এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
সতর্কতা মূলক পোস্ট,,,বিষয় বিদেশ
#সতর্কতামূলক_পোস্ট
কানাডা ভিসা ২০ লাখ !! আমেরিকা ভিসা ২০ লাখ !! ইউরোপ ভিসা ১৫ লাখ !! ভিসার আগে বা পরে ১ টাকাও নয়, সমস্ত পেমেন্ট পৌঁছানোর পরে।।
এরকম রংচং মাখা বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে, আমার পরিচিত এক ভাই এই ফাঁদে পা দিয়ে তার সর্বশেষ খুয়িয়েছেন।। তার করুন কাহিনী হুবহু তুলে ধরা, যদি কারো কোনও উপকার এ আসে।।
S.B. Rasel
সে এমনই কোনও এক বিজ্ঞাপন দেখে ঢাকায় অভিজাতো এলাকায় একটা অফিসে গিয়েছিলেন, সেখানে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চায়। এবং তারা বলে যে, আমরা গ্রান্টি দিয়ে আপনাকে বিদেশ নিয়ে যাবো, ২ বছর এর জন্যে জব ভিসা, মাসিক ২০০০-২৫০০ ডলার বেতন, ৫ বছর পরে নাগরিকত্ত পেতে আমরাই সাহায্য করবো।। এমনকি ভিসার আগে ও পরে কোনও অর্থ প্রদান করতে হবে না, সমস্ত খরচ আপনি বিদেশ পৌঁছানর পরে আপনি যখন বিদেশ থেকে আপনার পরিবার কে ফোন দিয়ে বলবেন যে আপনি ভালোভাবে পৌঁছে গেছেন, তার পর আপনার পরিবার আমাদের টাকা দিবে।। আমাদের আমেরিকা কানাডা তে সরাসরি প্রতিনিধি আছে, তারাই সরসরি আমেরিকা কানাডা থেকে আপনার নামে ভিসা ইসু করে পাঠাবে, তাই এখানে এম্বাসি ফেস করার কোনও ঝামেলা নেই।।
এক সঙ্গে এতো অফার পেয়ে বেচারা কনফিউস হয়ে গেলো !! সে নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো বিদেশ যাওয়া এতো সোজা ?? নিজে নিজে উত্তর ও খুজে নিলো, আরে কি আর, এক বার চেষ্টা করে দেখি, আমার তো ২৫ পয়সাও আগে দিতে হবে না, সমস্ত খরচ যেখানে আমেরিকা/কানাডা পৌঁছানর পরে, সেখানে আমার আবার টেনশন কি !! যেই কথা সেই কাজ, বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা এর সাথে আলোচনা করলো।। যেখানে সমস্ত খরচ পৌঁছানর পরে সেহেতু বাবা-মা আর দ্বিধা না করে রাজী হয়ে গেলো, শুরু হয়ে গেলো সুদের টাকা গুছানো ও অবশিষ্ট জমিজমা বিক্রি করার প্রস্তুতি।। ১৮-২০ দিনের মাথায় টাকা গুছানোর প্রস্তুতি শেষ করে পাসপোর্ট নিয়ে আবার অফিসে গিয়ে নিজের নামটা বুকিং দিয়ে আশা, বুকিং এর সময় অরিজিনাল পাসপোর্ট সহ ২ কপি ফটো ও ন্যাশনাল আইডি এর ফটোকপি রাখলো সঙ্গে মোবাইল নাম্বার।।
৭ দিন পরে, তাকে ফোন করে অফিসে ডাকা হলও।। যথারীতি, অফিসে যাবার পরে দেখলও সেখানে তার মতো আরও ১১ জন অপেক্ষা করছে কানাডা বা আমেরিকা যেতে চায়।। এর পরে অফিস থেকে তাদের বলা হলও, টোটাল ১২ জন এর একটা গ্রুপ এদের প্রত্যেকের (৯ জন কানাডা, ৩ জন আমেরিকা) ভিসা রেডি, এনাদের ফ্লাইট আগামী ৪ দিন পরে।। ফ্লাইট ভারতের নিউ দিল্লী থেকে সরাসরি, তাই প্রত্যেকের পাসপোর্ট এ ইন্ডিয়ান ভিসা লাগানো আছে, ২ দিন এর ভীতর ১২ জন এর গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে নিউ দিল্লী এর উদ্দেশে রওনা দিতে হবে, সঙ্গে তাদের প্রতিনিধি থাকবে।। তাদের প্রত্যেকের ভিসা অনলাইন এ ইসু হয়ে গেছে, অনলাইন ভিসা কপি ও বিমান টিকিট নিউ দিল্লী থেকেই উনাদের প্রতিনিধি প্রত্যেক ক্যান্ডিডেট এর হাতে দিয়ে দেবে।।
এই ১২ জন এর ভীতর ২/১ জন এর মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিলো যে, পাসপোর্ট এর স্টাম্প ছাড়া কি আসলেই তারা কানাডা যেতে পারবে তো, আবার নির্ভয়ে ২/১ জন এই প্রশ্ন করেও ফেলে, কিন্তু তারা রিতিমত ধমক খেয়ে যায়।। আরে মিয়া, আপ্নারা কি আমাদের থেকে বেশি বোঝেন, আমরা ২৫ বছর ধরে এই লাইন এ, আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, আপনাদের আগে আমাদের যে সব ক্যান্ডিডেট বিদেশ গেছে, এই নেন ফোন নাম্বার, এদের সাথে কথা বলেন।।
আপনাদের কি টেনশন ?? আপনার কি ২৫ পয়সা পেমেন্ট করেছেন??? আপনাদের পিছনে আমাদের কত করে ইনভেস্ট করতে হয়েছে জানেন?? একটা কানাডা এর ভিসা রেডি করতে কতো টাকা লাগে জানেন?? এর পরে প্লেন এর টিকিট নেটে সার্চ দিয়ে দেখেন কত খরচ ।। কথাগুলি (ঝারি) শোনার পরে সবাই চুপ হয়ে গেলো ও নির্ধারিত তারিখ সবাই নিউ দিল্লী এর উরদ্দেশে রওনা দিলো।।
ঢাকা থেকে ট্রেনে কোলকাতা, এর পর কোলকাতা থেকে নিউ দিল্লী ট্রেনে সবমিলিয়ে ২/৩ দিন পরে তারা নিউ দিল্লী পৌঁছালো !! নিউ দিল্লী স্টেশন থেকে প্রায় ৩/৪ ঘন্টা প্রাইভেটকারে করে কোথায় নিয়ে গিয়ে রাতে এই ১২ জন এর গ্রুপ কে রাখা হলো কেউ সঠিক বলতে পারলো না।।
((একটা নিরিবিলি এপার্টমেন্ট, আশেপাশে ফাঁকা সর্বশান্ত পরিবেশ))
প্রত্যেকে ২/৩ ঘন্টা করে পিটালো আলাদা ভাবে, এবং সারারাত রাতে কোনও ফাঁকা রুমে আটকিয়ে রাখলো (খাবার পানি ছাড়াই সারারাত)।। পরেরদিন সকাল এ এক একজন করে অন্য ফাঁকা রুমে নিয়ে গেলো এবং মাথায় পিস্টল ঠেকিয়ে বাড়িতে ফোন করতে বাদ্ধ করলো যে " মা/বাবা আমার আজ রাতে কানাডা এর ফ্লাইট আমার জন্যে দোয়া করবে সবাই" !!
প্রত্যেকে আলাদাভাবে তাদের পরিবার এর সাথে একই কথা বলালো এবং এর পরে ২ দিন তাদের একসাথে সেই বদ্ধ ঘরে আটকিয়ে রাখলো (দিনে ১ বার খাবার সহ)।।
২ দিন পরে একই স্টাইল এ মাথায় পিস্টল ঠেকিয়ে বাড়িতে ফোন করতে বাধ্য করলো যে " মা/বাবা আমি ভালো ভাবে কানাডা পৌঁছে গেছি, কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি, এমন কি আগামিকাল থেকে আমি কাজে জয়েন্ট করবো, তোমরা এনাদের প্রাপ্প টাকা দিয়ে দাও "!!
নিরিহ বাবা মা দ্বিধা না করে সবাই সবার চুক্তি সরূপ টাকা দিয়ে দিলো !!! টাকা হাতে পাবার গ্রিন সিগ্নাল পাবার পরে, প্রত্যেক কে একই স্টাইল এ নিউ দিল্লী স্টেশন এ পৌঁছে দেয় কোনও এক রাতের বেলায়, সঙ্গে কোলকাতা ফেরার ট্রেন এর টিকিট সহ।
আমাদের অনেক পরিচিত আত্মীয়সজন যাতে এইরূপ প্রতারণার না পড়ে তাই পোস্ট করা....
SB ফেইসবুকে থেকে কপি করা
সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১২/১০/২০২২ বাংলাদেশ বেতার
বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ
(১২-১০-২০২২)
আজকের শিরোনাম -
* আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
* ঢাকার চারটি খাল পুনঃখননসহ ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন একনেকে - মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
* টেমস নদীর তীরে বসে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার দিবাস্বপ্ন দেখছে - বললেন ওবায়দুল কাদের।
* ব্রুনেইয়ের সুলতানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
* বাংলাদেশ ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
* রাসায়নিক, জীবাণু বা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়াকে কঠোর মাশুল দিতে হবে বলে জি-সেভেন নেতৃবৃন্দের হুঁশিয়ারি।
* এবং ক্রাইস্টচার্চে ত্রি-দেশীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আজ নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২
রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম ১১/১০/২০২২ বাংলা দেশ বেতার
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।
(১১-১০-২০২২)
আজকের শিরোনাম-
* ঢাকার খাল পুন:খননসহ একনেকে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন - মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকী ব্যবস্থা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
* আগামীকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করবেন শেখ হাসিনা।
* টেমস নদীর তীরে বসে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার দিবাস্বপ্ন দেখছে - বললেন ওবায়দুল কাদের।
* ব্রুনেইয়ের সুলতানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে তিনটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর হতে পারে - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
* আজ থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার বিশেষ কার্যক্রম শুরু।
* রংপুরে বজ্রপাতে ৫ জন নিহত।
* রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি জো বাইডেনের।
* এবং ক্রাইস্টচার্চে ত্রি-দেশীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
আমাদের ছেলেরা কিভাবে পুরুষ হবে ফেইসবুকে থেকে নেওয়া
"""" আমাদের 'ছেলে'রা কীভাবে 'পুরুষ' হবে?"""
গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।
চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।
আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ। এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত। সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।
জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।
ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।
আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।
আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব। তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।
সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।
একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।
আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে। আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।
বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ। এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।
সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে। আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।
আমরা কি বিষয়টা নিয়ে একটুও ভাবার প্রয়োজন বোধ করি?
(সংগৃহীত)
জান্নাতের বর্ননা
জান্নাতে সর্ব প্রথম গান শোনাবেন হুরেরা, তাতে কেটে যাবে ৭০ বছর,
জান্নাতি বাতাসে গাছের পাতার সাথে মিলিয়ে অপূর্ব এক বাজনা সৃষ্টি করবে,
আর জান্নাতের হুরদের সাথে সুর মিলাবে সুরের মুর্ছনায় গোটা জান্নাত মুখরিত হয়ে যাবে,
আল্লাহ্ তখন জান্নাতবাসীদের কাছে জানতে চাইবেন,,
----"কেমন লাগলো?
----"সকলেই জবাব দিবে, খুব ভালো,
----"আল্লাহ্ বলবেন," এর চেয়েও ভালো শোনো।
জান্নাতবাসী বলবে
"হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কি,
তখন আল্লাহ্ হযরত দাউদ (আঃ) কে ডাক দিয়ে বলবেন,
---- "হে দাউদ এবার তুমি শুনাও"
দাউদ (আঃ) বলবেন,
----"হে আল্লাহ্ আমার কন্ঠ তো দুনিয়াতে ছিল যবুর শরীফে,
আল্লাহ্ বলবেন,
----তোমার কন্ঠ ফিরিয়ে দিলাম কোরআন মাজিদ শোনাও।
❣️হযরত দাউদ (আঃ) কোরআনের " একটি সুরা শোনাবেন! জান্নাতবাসী মুগ্ধ হয়ে যাবে।
আল্লাহ্ আবার বলবেন,---"কেমন লাগলো?
"জান্নাতিরা বলবে,--- মারহাবা, খুব ভালো লাগলো।
আল্লাহ্ বলবেন, এর চেয়ে ভালো শোনো,
জান্নাত বাসীরা, বলবে "হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কি হতে পারে, আল্লাহ্ পাক রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলবেন,
----হে আমার প্রিয় হাবিব এবার আপনি ওদের শোনান!
💚রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কোরআনের হৃদয় "সুরা ইয়াসিন" তেলাওয়াত করবেন। পুরো জান্নাত আনন্দে মুখরিত হয়ে যাবে আর ধ্বনি তুলবে,"
আল্লাহু আকবার "
আল্লাহ্ আবারও জানতে চাইবেন, কেমন লাগলো?জান্নাতবাসীরা বলবেন, আল্লাহ্ সবকিছু থেকে এটাই বেশি ভালো লাগলো!
❤️আল্লাহ্ বলবেন,"এর চেয়েও ভালো আছে, "জান্নাতবাসী অবাক হয়ে বলবে, আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কিছু আছে,
আল্লাহ্ জবাব দিবেন,
"এর চেয়ে ভালো যা তা হলো তোমাদের রব! আল্লাহ্ বলবেন, "রিজওয়ান (একজন ফেরেস্তা) পর্দা সরিয়ে দাও, আজ আমার বান্দা আমার দীদার করবে, আমাকে দেখবে,
"আল্লাহু আকবার"! পর্দা সরে যাবে ও সবাই আল্লাহর দীদার লাভ করবে আল্লাহকে দেখার পরে বান্দা অস্থীর হয়ে যাবে তখন ----শেষে আল্লাহ পাক সুরা আর রহমান পাঠ করবেন তখন মানুষের অবস্থা কি যে হবে আল্লাহ ভাল জানেন।
জান্নাতের হুর কি,
শরাব কি,
নহর কি,
ফল কি,
সব কিছুকে মূল্যহীন মনে হবে
বান্দা বলবে, "আল্লাহ্ কিছুই চাইনা,
শুধু তোমার দীদার চাই!তোমাকে দেখতে চাই।
আল্লাহ্ আমাদের কে জান্নাতে কবুল করুন।
আমিন ,,,,
সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১১/১০/২০২২
বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ
(১১-১০-২০২২)
আজকের শিরোনাম -
* যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সর্বোত্তম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার - নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেনের ‘মধুমতি সেতু’ এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধনকালে বললেন প্রধানমন্ত্রী ।
* জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ এর খসড়ায় মন্ত্রীসভার নীতিগত অনুমোদন।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আছেন - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।
* স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যার দায়ে ঢাকার একটি আদালতে সাত জনের মৃত্যুদন্ড।
* ভেনিজুয়েলার লাস টেজেরিয়াস শহরে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ।
* ইউক্রেনে বেশ কয়েক দফা ভয়াবহ গোলাবর্ষণের জন্য রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেজ ।
* এবং সিলেটে এশিয়া কাপ নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোকাবেলা করবে আজ।
সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক
বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নতুন অধ্যাপক তাঁর ক্লাস নিতে শুরু করলেন। যে মুহুর্তে তিনি পড়ানোর জন্যে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে ঝুঁকলেন, সেই সময় ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ করেই সিনেমা হলের মতো জোরে শিস বাজালো।
অধ্যাপক ঘুরে ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে, কে শিস দিয়েছে? কে সিটি মারলো?
কেউ উত্তর দিলোনা। সবাই চুপ। সবাই এমন ভাব করেছে যেন কেউ কিছু শুনেনি বা দেখেনি।
অধ্যাপক শান্তভাবে চকটি টেবিলে রেখে বললেন, আজ আর লেকচার দেবোনা। তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শোনাব তেমাদের।
সবাই আগ্রহী হয়ে নড়ে চড়ে বসলো। অধ্যাপক গল্প শুরু করলেন।
গতকাল রাতে আমি ঘুমানোর জন্য খুব চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ঘুম আমার চোখ থেকে কয়েক মাইল দূরে আছে মনে হলো। ভাবলাম, ঘুম যখন আসছেনা আমার গাড়িতে রাতে পেট্রোল ভরে রাখি। যা কাল সকালের ভিড়ে আমার সময় বাঁচাবে এবং তারপর নির্বিঘ্নে আমি ঘুমাতেও পারবো।
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্যাংকটি পরিপূর্ণ করে নেয়ার পরে দেখি পুরো রাস্তা খালি। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস, আকাশে হালকা মেঘের আড়ালে আধো চাঁদ। তাই ভাবলাম একটু আশেপাশে ঘুরেই আসি।
একটু সামনে অগ্রসর হতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের এক কোণে আমি একজন ভদ্রবেশী তরুণী মেয়েকে দেখলাম। আলো আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায় ভাবে। যেই রকম সুন্দরী সেই রকম সুন্দর পোশাক তাঁর! পোশাকটি দেখে মনে হচ্ছিলো তাঁর রূপের সঙ্গে ম্যাচ করে কোন নিপুণ শিল্পী এটি বানিয়েছেন! নিশ্চয়ই কোনও পার্টি থেকে ফিরছেন তিনি। আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না! প্রথম নজরেই প্রেমে পড়ে গেলাম।
সৌজন্যতা বোধ হারিয়ে আমি আমার গাড়িটি ঘুরিয়ে তাঁর পাশে থামাই। গাড়ির কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'আমি কি কোনো সহায়তা করতে পারি আপনাকে? যদি কোন সাহায্য করতে পারি তবে বলুন।'
তরুণীটি হেসে উঠলো সলজ্জভাবে। তাঁর শুভ্র দন্তরাজীর ঝিলিক দেখে মনে হলো, যেন সন্ধ্যাতারা রাস্তার কোণ জুড়ে নেমে এসেছে।
তিনি মৃদু হেসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আমি কি তাকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি? তাঁর গাড়িটি আসবেনা কারণ স্টার্ট নিচ্ছেনা বলে জানিয়েছে তাঁর ড্রাইভার। আর সে কোন ট্যাক্সিও পাচ্ছেনা অনেক্ষণ ধরে।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাকে আমার সামনের দরজা খুলে দিলাম। তিনি আমার সাথে সামনের সিটেই বসলেন সানন্দে।
অতঃপর আমি তাকে নিজের পরিচয় জানিয়ে বললাম, আমি আপনাদের এলাকারই পাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
উনি উনার পরিচয় জানালেন। আমরা কথা বলতে শুরু করলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম তিনি খুবই বুদ্ধিমতী! বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে আলোচনা করার পর বুঝলাম; সবগুলো বিষয়ের উপরই তাঁর প্রভুত জ্ঞান আছে। যা আজকালকার অনেক যুবকেরই নেই।
অনেক দূরে তাঁর ঠিকানায় যখন পৌঁছলাম, তিনি আমার বিনয় প্রকৃতি ও সুন্দর আচরণের প্রশংসা করে বললেন, আমরা দুজনেই মুক্ত মনের মানুষ। আমাদের আবার দেখা হতে পারে। এবং লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে না গিয়ে বলেই ফেললেন, আমার মতো একজন যুবক ছিল তাঁর কল্পনায়। রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বিবাহিত? আমি বুঝে ফেললাম, তিনিও প্রথম দর্শনেই আমার প্রেমে পড়েছেন।
আমি বললাম, আপনার অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে প্রথমেই আমি গাড়ি ঘুরিয়েছিলাম। এই রকম একজন রাজকন্যার স্বপ্ন আমি দেখতাম, যে দেখতে ঠিক আপনার মতো হবে এবং আমি ভাবতাম তাকেই আমি বিয়ে করবো। তারপর আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কথার গভীরতা শুনে আমি খোলাখুলি বলছি, ইতিমধ্যে আমিও আপনার গভীর প্রেমে পড়ে গেছি।
মেয়েটি বললো, আসুন আমাদের এপার্টমেন্টে। চা খাবেন ও আরো কিছুক্ষন গল্প করা যাবে।
প্রেম যখন প্রকাশিত হয়েই গেছে দুই তরফে, তাহলে আর দ্বিধা রেখে লাভ কি। ওর বাসার ভেতরে চলে গেলাম।
আরো কিছুক্ষণ গল্প করে বিদায় নেয়ার সময় সে আমাকে বললো, শুনুন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, আমার ভাই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মানে আপনারই ছাত্র হবে। যদিও সে এখন বাসায় নেই। আপনি ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন যেন ঠিকমতো পড়াশুনা করে। এখন থেকে আমাদের মধ্যে যেহেতু একটি সুন্দর সম্পর্ক হয়ে গেছে সেহেতু এটি আপনার দায়িত্ব হয়ে গেল।
আমি বললাম, তোমার ভাইয়ের নাম কি?
আমার নব্য প্রেমিকা বললো, আপনি আর আমি পরস্পরকে আমাদের প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারণে স্বল্প সময়ে ভালোবেসে ফেলেছি। আপনি আপনার বুদ্ধি দিয়ে খুঁজে বের করবেন তাকে। তাই আমি তাঁর নাম বলছি না। তবে আমার ভাইয়ের একটা বৈশিষ্ট আছে যা দিয়ে আপনি তাকে চিনতে পারবে।
বললাম, আচ্ছা। তাহলে বলো কি সেই বৈশিষ্ট?
আমার প্রেমিকা বললো, সে প্রায়ই হঠাৎ জোরে শিস দেয়!
পুরো ক্লাসের সমস্ত চোখ তৎক্ষণাৎ যে ছেলেটি শিস দিয়েছিল তাঁর দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে রইলো।
অধ্যাপক ধীরে ধীরে চকটি আবার হাতে উঠিয়ে নিয়ে গম্ভীর ভাবে বললেন: "আমি মনোবিজ্ঞানে আমার পিএইচডি ডিগ্রিটি কিনিনি, আমি এটি অর্জন করেছি।"
মূল থিম: বিজ্ঞ অধ্যাপক একটি কাল্পনিক গল্পের মাধ্যমে ক্লাসে শিস দেয়া ছাত্রটিকে খুঁজে বের করলেন।
- সংগৃহীত ।
বই পড়া মানে কি ফেইসবুক থেকে নেওয়া
১. "বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকিয়ে রাখবার জন্য জ্ঞান দান করে । অতএব, বই হল সভ্যতার রক্ষাকবচ ।" - ভিক্টর হুগো (বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকারকর্মী)
২. "ভালো বইয়ের সাহচর্য আছে এমন কোন মানুষকে বন্ধুহীন বলা যায় না ।" - এলিজাবেথ ব্যারেট (ভিক্টোরিয় যুগের বিখ্যাত ইংরেজ কবি)
৩. "আপনি একবার পড়তে শিখলে, আপনি চিরতরে মুক্ত হবেন ।" - ফ্রেডরিক ডগলাস (আমেরিকার বিখ্যাত সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও লেখক)
৪. "যারা সাধারণের ঊর্ধ্বে উঠতে চায় তাদের জন্য পড়া অপরিহার্য ।" - জিম রোহন (আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক ও প্রেরণাদায়ক বক্তা)
৫. "ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভর্তি করে, কিন্ত ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে ।" – স্পিনোজা (সপ্তদশ শতকের বিখ্যাত ইউরোপীয় দার্শনিক)
৬. "ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা ।" - দেকার্তে (বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক গণিতবিদ ও বৈজ্ঞানিক)
৭. "পড়ার অভ্যাস অর্জন করা মানে জীবনের প্রায় সমস্ত দুঃখ-কষ্ট থেকে নিজের জন্য আশ্রয় তৈরি করা ।" - ডব্লিউ সমারসেট (বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং ছোটগল্প লেখক)
৮. "আপনি যতো বেশী পড়বেন, ততো বেশি জিনিস আপনি জানতে পারবেন । আপনি যতো বেশি শিখবেন, ততো বেশী জায়গায় যাবেন ।" - ডাঃ সেউস (আমেরিকার বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক)
৯. "আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, একটি বই পড়ার সময় অপরাধ করা অসম্ভব ।" - জন ওয়াটার্স (আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার, লেখক ও শিল্পী)
১০. "শুধুমাত্র পাঠকদের একটি প্রজন্ম লেখকদের একটি প্রজন্মের জন্ম দেবে ।" - স্টিভেন স্পিলবার্গ (আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার)
১১. "পড়ুন । পড়ুন । পড়ুন । শুধু এক ধরনের বই পড়বেন না । বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন বই পড়ুন, যাতে আপনি বিভিন্ন শৈলীর বিকাশ করেন ।" – আর এল স্টাইন (আমেরিকার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার)
১২. "বই হল সবচেয়ে শান্ত এবং সবচেয়ে ধ্রুবক বন্ধু; তারা পরামর্শ দাতাদের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং জ্ঞানী এবং শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে ধৈর্যশীল ।" - চার্লস ডব্লিউ এলিয়ট (বিখ্যাত আমেরিকান লেখক)
১৩. "পৃথিবী তাদেরই যারা পড়ে ।" - রিক হল্যান্ড (বিখ্যাত ইংরেজ কবি ও শিল্পী)
১৪. "বই পড়তে যে ভালোবাসে, তার শত্রু কম ।" - চার্লস ল্যাম্ব (অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক)
১৫. "আইনের মৃত্যু হয়, কিন্তু বইয়ের মৃত্যু হয় না ।" - এনড্রিউ ল্যাঙ (স্কটিস কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সমালোচক)
১৬. "যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্ম নেয় না ।" - পিয়ারসন স্মিথ (বিখ্যাত আমেরিকান কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ)
১৭. "বইয়ের মত এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই ।" - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সাংবাদিক)
১৮. "বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো । - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারত তথা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিক)
১৯. "জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই ।" - ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (বিখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক, দার্শনিক ও বহুভাষাবিদ)
২০. "পড়তে শেখা মানে আগুন জ্বালানো; বানান করা প্রতিটি শব্দাংশ একটি স্ফুলিঙ্গ ।" - ভিক্টর হুগো (বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকারকর্মী)
সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১০/১০/২০২২
বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ
(১০-১০-২০২২)
আজকের শিরোনাম -
* আজ নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ।
* ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন।
* সংখ্যালঘু নির্যাতন ও রাজনৈতিক নিপীড়নে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে বিএনপি - আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য।
* ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনার মতো আর কেউই কাজ করেননি - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
* নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬।
* এবং সিলেটে সকাল ৯টায় এশিয়া কাপ নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...