এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

#হোমিয়প্যাথি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
#হোমিয়প্যাথি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

হোমিওপ্যাথিতে চর্মরোগের চিকিৎসার,,,,,,,

 হোমিওপ্যাথিতে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন শর্টকাট রাস্তা নাই। রোগের নাম নয় বরং রোগের লক্ষণ এবং রোগের কারণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই আরোগ্যের আশা করতে পারেন। হ্যাঁ, যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে-কোন চর্মরোগ নিরাময় করা সম্ভব যদি সেই ঔষধের সাথে রোগটির লক্ষণ মিলে যায়। তারপরও নীচে কয়েকটি হোমিও ঔষধের ব্যবহার বর্ণনা করা হলো।


#Thuja_occidentalis : একটু মারাত্মক ভয়ঙ্কর ধরনের অধিকাংশ চর্মরোগের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে কোন চর্মরোগ দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা দিবেন। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা নেওয়া উচিৎ।


#Arsenicum_album : যে-কোন চর্মরোগের সাথে যদি অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া, পেটের অসুখ, রাতের বেলা বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক দিবেন।


#Kali_sulphuricum : ক্যালি সালফ খুসকির মতো চামড়া ওঠা জাতীয় রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ক্যালি সালফের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো হলুদ রঙ। যদি পূঁজের রঙ, প্রস্রাবের রঙ অথবা কফের রঙ হলুদ হয়, তবে যে-কোন রোগে ক্যালি সালফ প্রয়োগে ভাল ফল পাবেন।


#Sepia : তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে সিপিয়া দতে পারেন।


#Sulphur : চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিৎ। যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয়, তাঁদেরকে প্রথমে অবশ্যই দুয়েক মাত্রা সালফার খাওয়াতেই হবে এবং সালফার তাঁর ভেতর থেকে সকল চর্মরোগ বের করে আনবে। পক্ষান্তরে যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয় এবং শীতকাতর তাঁদেরকে প্রথমে খাওয়াতে হবে সোরিনাম (Psorinum)। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।


#Mezereum : মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।


#Graphites : গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার চর্মরোগ সারিয়ে দেবে।


#Hepar_sulph ‍ : হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ (over-sensitiveness), এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শও সহ্য করতে পারে না, এমনকি কাপড়ের স্পর্শও না। কেবল মানুষের বা কাপড়ের স্পর্শ নয়, এমনকি ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শও সহ্য করতে পারে না। সাথে সাথে শব্দ (গোলমাল) এবং গন্ধও সহ্য করতে পারে না। হিপারের শুধু শরীরই সেনসেটিভ নয়, সাথে সাথে মনও সেনসেটিভ। অর্থাৎ মেজাজ খুবই খিটখিটে। কাটা-ছেড়া-পোড়া ইত্যাদি ঘা/ক্ষত শুকাতে হিপার বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে যে, হিপারের পূঁজ হয় পাতলা। যেখানে আঠালো পূঁজ বা কষ বের হয়, সেখানে হিপারের বদলে ক্যালি বাইক্রোম (Kali bichromicum) ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত ফোঁড়া পাকাতে নিম্নশক্তি এবং ফোঁড়া সারাতে উচ্চশক্তি ব্যবহার করতে হয়।


#Natrum_muriaticum : মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন, মানসিক আঘাত পাওয়ার পর কোন চর্মরোগ হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর খেতে পারেন।


#Croton_Tiglium : ক্রোটন টিগ চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো চর্মরোগে প্রচুর চুলকানি থাকে কিন্তু জোরে চুলকানো রোগী সহ্য করতে পারে না। কেননা তাতে আরাম না বরং সাংঘাতিক ব্যথা পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে হালকা ভাবে চুলকালে অথবা মালিশ করলে রোগী আরাম পায়।


#Rhus_toxicodendron : রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়।


((পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত সুতরাং যাদের অর্গানন অব মেডিসিন, রোগীলিপি, রেপার্টরী,শক্তি মাত্রা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই দয়া করে তাঁরা  মেডিসিনের নাম জেনেই নিজে নিজে সেবন করতে যাবেন না এতে হিতে বিপরীত হবে।))

রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

হোমিওপ্যাথি পড়ার সময় পড়েছেন এলোপ্যাথি থিওরি ভুল, আর এখন এলোপ্যাথি টেস্ট দেখে বলছি হোমিওপ্যাথি তে চিকিৎসা নাই।

 একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেন, হোমিওপ্যাথি পড়ার সময় পড়েছেন এলোপ্যাথি থিওরি ভুল, আর এখন এলোপ্যাথি টেস্ট দেখে বলছি হোমিওপ্যাথি তে চিকিৎসা নাই।


যেমন - 

আঁচিল - এলোপ্যাথি সূত্র হল, কোন অনাকাংখিত বৃদ্ধি মানেই ক্যান্সার, তাদের সূত্র অনুসারে হলেও এলপ্যাথি একে ক্যান্সার হিসেবে মানতে নারাজ বরং একে তোয়াক্কাই করে না। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে একে ক্যান্সার হিসেবেই গণ্য করা হয়। এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ গণহারে আঁচিল নির্মূল করছেন অত্যন্ত সফলতার সাথে।


টিউমার - এলোপ্যাথিতে বায়োপসি করে - বিনাইন , ম্যালিগনেন্ট নির্ধারণ করে । ননক্যান্সার হলে অপারেশন আর ক্যান্সার হলে অপারেশন ও ক্যামোথেরাপি। এছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা নাই। সেখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ গণহারে সফলতার সাথে টিউমারর নির্মূল করে চলছেন।


ক্যান্সার - যখন বায়োপসিতে ক্যান্সার সনাক্ত হয়, অপারেশন এবং ক্যামোথেরাপি ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা নাই । সেখানেও অনেক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রোগিদের চিকিৎসা দিয়ে ক্যামোথেরাপি ছাড়াই রোগি সুস্থ জীবন যাপন করছেন। যেখানে চিকিতসাই নাই, সেখানে ক্যান্সার দূর হল কিনা সেটা বড় কথা নয়, এখানে রোগী ভালো থাকাই সুস্থতা।


--------------------

আমার অভিজ্ঞতা - 

সাধারণত বয়সজনিত কারণে বা বিশেষ কোন কারণে রোগিকে ক্যামোথেরাপি দেয়া সম্ভব না হলে, বাতিল রোগীর  তালিকায় ফেলা হয়। তখন রোগিরা একটু হোমিও খেতে আসে। আবার অনেকে আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখে যে ক্যামোথেরাপির রোগী বেশী দিন বাঁচে না , তাই হোমিও খেতে আসে। আবার কেউ কেউ খরচ সংকটে হোমিও খেতে আসে।


আগের কথা বাদ, শুধুমাত্র গত কয়েক মাসে আমি ২৫ জন ক্যান্সার রোগী দেখেছি , এর মধ্যে আছে,

ফুসফুস ক্যান্সার,

ভোকাল কর্ড ক্যান্সার,

পাকস্থলী ক্যান্সার,

কোলন ক্যান্সার,

লিভার ক্যান্সার

ওভারী ক্যান্সার,

জরায়ু ক্যান্সার,

স্তন ক্যান্সার,


ব্রেন ক্যান্সার,

ইত্যাদি,

এদের মধ্যে সবগুলো রোগী সুস্থ জীবন যাপন করছেন। 


শুধুমাত্র গত কয়েক মাসে টিউমার রোগী দেখেছি ৯৪ জন, 

সবগুলো টিউমার আরোগ্য লাভ করেছে বা আরোগ্যের পথে আছেন।


আমার সাভার চেম্বারের একজন রোগী জরায়ু ক্যান্সার অপারেশন এর পরে পোস্ট অপারেটিভ কমপ্লিকেশন এর পর ক্যালসিফিকেশন হয়েছে, কেন হয়েছে, এটা লিখতে গেলে অনেক বড় পোস্ট হবে পরে একসময় লিখব। রোগির চিকিৎসা চলছে।


গতবছর, ২ জন ক্যান্সার রোগী - শেষ সময় এসে কিছুটা উপশম হয়েছিল। একাধিক অপারেশন করে ফেইল হয়ে হোমিও তে এসেছিল।


*** এই গরমের মধ্যেও Cold Allergy এর রোগী দেখেছি ১৫০ জন, গত কয়েক মাসে। এদের মধ্যে আছেন, MBBS চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্য। 


-------------------

আমার বক্তব্য, হল, এভাবে অনেক চিকিৎসক সফলতা পাচ্ছেন। কেন ? কারণ, তারা একে ক্যান্সার হিসেবে ভয় না পেয়ে হোমিওপ্যাথির দর্শন অনুসারে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং রোগিরা উপায় না পেয়ে ধৈর্য্য ধরে ঔষধ খেয়ে যাচ্ছেন এই ভেবে যে, মরে তো যাবই, মরার আগে একটু খেয়ে দেখি।


তাহলে কি দাড়াল ?

যেই চিকিৎসা এলপ্যাথিতে নাই, সেটা হোমিওপ্যাথিতে সফলতা আছে। 

এই রকম, দূরারোগ্য জ্বর, এজমা, কোল্ড এলার্জি, ব্রেইন স্ট্রোক, ইত্যাদিতে   এলোপ্যাথিতে সাময়িক উপশম ছাড়া আরোগ্যের চিকিৎসা নাই, সেখানে আমি সফলতার সাথে চিকিৎসা দিচ্ছি।

দিনে ৪-৫ বার নেবুলাইজার দিতে হয়, ২ টা ইনহেলার নিতে হয়, এমন যত কষ্টকর এজমা , কোল্ড এলার্জি, টনসিল, সাইনাস, মাইগ্রেন, পলিপ, কানের ইনফেকসন ৬-১০ মাসে সম্পূর্ণ সুস্থ হচ্ছে, তাও আবার সারাজীবনের জন্য। 


তাহলে, বর্তমানে, কিডনি রোগিদের জন্য হোমিওপ্যাথির দর্শন বাদ দিয়ে এলোপ্যাথি টেস্ট রিপোর্ট দেখেই আমরা বলছি, হোমিওপ্যাথিতে এর চিকিৎসা নাই। কেন ? কারণ, এখানে হোমিওপ্যাথির দর্শন বাদ দিয়ে এলোপ্যাথির চশমা দিয়ে দেখা হচ্ছে।


এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি আমার ওয়েবসাইটে লিখার পর , আলহামদুলিল্লাহ, সাধারণ মানুষ কে সঠিক তথ্য বুঝাতে এবং চিকিৎসা দিয়ে আরোগ্য করতে সক্ষম হচ্ছি।  এমন অনেক বিষয় আমি যখন আরো ৬-৭ বছর আগে লিখেছি, তখন আমার পোস্টে নেগেটিভ কমেন্ট করলেও এখন অনেক চিকিৎসক এর প্রোফাইলে সেগুলো স্থান পাচ্ছে যে আপনারা সফল হচ্ছেন, এবং আমার ওয়েবসাইটে দেয়া থিওরি মোতাবেক আপনারা পোস্ট করছেন। এককালে গালি দিলেও এখন আপনারা নিজেরাই এই থিওরি মোতাবেক রেজাল্ট পাচ্ছেন, এটাই আমার সার্থকতা। 


আল্লাহ যদি হায়াতে বাঁচিয়ে রাখে, আশাকরি, আগামী কয়েকবছর পরেই দেখব, কেউ না কেউ আমার কিডনি থিওরি মোতাবেক সফলতা পাচ্ছেন। আমি মরে গেলেও আমার থিওরি যদি মানুষের কল্যানে লাগে তাতেই অনেক।


পরিশেষে, অনেকেই উলটাপালটা কমেন্ট করবেন যে, আমি আবার কোন দেশের বিজ্ঞানী যে আমার থিওরি। 

উত্তর - আমি কোন বিজ্ঞানী নই। আমার দীর্ঘদিনের লেখাপড়া ও রোগী পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা অভিজ্ঞতা থেকে  যা অর্জন করেছি চিকিৎসা দর্শন সেটাই আমি আমার ওয়েবসাইটে লিখেছি। না আমার কোন জার্নাল নাই। জার্নালে লিখার যোগ্যতাও নাই। 

একটা প্রমাণ দেই,  সাম্প্রতিক সময়ে - কোল্ড এলার্জি বিষয়ক যে লিখাগুলো হোমিওপাথি চিকিৎসকদের প্রোফাইলে আছে, এই তথ্য টি বাংলা বা ইংরেজী কোন মেডিকেল বইতে নাই। এই চিকিৎসক হয় আমার কন্টেন্ট কপি করেছেন, অথবা তিনি যদি অন্য কোন শিক্ষক থেকে জেনে থাকেন, তাহলে সেই শিক্ষক, আমার কন্টেন্ট কপি করেছেন।


আমার চেম্বারে আগত রোগিরাই আমাকে বলেন যে, ওয়েবসাইটের তথ্য অবিকল বা কিঞ্চিত পরিবর্তন করে অনেক প্রোফাইলে দেখে রোগীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন যে এই লিখা আসলে কার ? কিন্তু পোস্টে সময় দেখা যায় বলেই, তারা পরে বুঝতে পারেন যে, ওয়েব সাইটে আগে লিখা হয়েছে। এই লিখাগুলো ওয়েবসাইটে ২০১৩ -২০১৮ সালের মধ্যে লিখা হয়েছে।


=============


সামারি ঃ 


পোস্টের সামারি হল, 

আমরা যখন হোমিওপ্যাথি লেখাপড়া করি তখন বলা হয়, এলোপ্যাথি থিওরী ভুল এবং হোমিওপ্যাথি থিওরী অনুসারে চিকিৎসা শিখানো হয়।  কিন্তু আমরা চেম্বার দেয়ার পর, হোমিওপ্যাথি থিওরী ভুলে গিয়ে এলোপ্যাথি টেস্ট রিপোর্ট দেখে বলতে থাকি যে, হোমিওপ্যাথি তে চিকিৎসা নাই।

কারণ, আপনি হোমিওপ্যাথি দর্শন ভুলে এলোপ্যাথি দর্শন এ আছেন। তাই চোখ থেকে এলোপ্যাথি চশমা খুলে হোমিওপ্যাথির চশমা পড়তে হবে।


তাই আমি বলতে চাই,

এলোপ্যাথি রিপোর্ট ভয় না করে যেভাবে টিউমার আচিল এর চিকিৎসা দিচ্ছেন হোমিওপ্যাথি দর্শন অনুসারে, ঠিক সেইভাবে অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা করুন। আপনি অবশ্যই সফল হবেন। 


জ্বরের রোগী এলোপ্যাথি খেয়ে জ্বর থাকে না কিন্তু নেতিয়ে যায়। আর জ্বরের রোগী হোমিও খেলে জ্বর নিয়েও দাড়িয়ে থাকে। 


=================


নোটঃ ক্লাসে টিচার পড়ানোর সময় দেখবেন কিছু ছাত্র হাসি তামাসা করে কারণ, ওরা ক্লাসের টপিক বা গুরুত্ব কিছুই বুঝে না, তেমনি পোস্টেও এমন কিছু পাঠক থাকবে যারা না বুঝেই হাহা রিয়েক্ট দিবে। এগুলাই স্বাভাবিক। হাতের সব আঙ্গুল সমান না। অনেকে চিকিৎসক হলেও এখনো আচরণের বাচ্চামি দূর হয় নাই, ইমম্যাচিউর :)


===================


ডিসক্লেইমার:

সম্পূর্ণ পোস্টে কোথাও দাবি করা হয় নাই যে, আমি ক্যান্সার ভালো করেছি। সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, ক্যামোথেরাপি দেয়ার মত শারীরিক বা আর্থিক অবস্থা নাই, এমন বাতিল রোগীদের,  হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে কিছুটা উপশম দেয়াই সুস্থতা।

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

গর্ভকালীন সময়ে হোমিও চিকিৎসা বনাম এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা। 

 গর্ভকালীন সময়ে হোমিও চিকিৎসা বনাম এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা। 

মহিলারা গভর্ধারণ করলে আর রক্ষা নাই । গাইনী ডাক্তাররা তাদেরকে পায়খানা, প্রস্রাব, রক্ত, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি ইত্যাদি এক বস্তা টেস্ট করতে দিবেন । কিন্তু কেন ? গভর্ধারণ করা কি কোন অপরাধ ? ববরর্তার একটা সীমা থাকা দরকার ! তারপর দিবে এক বস্তা ঔষধ / ইনজেকশান / ভ্যাকসিন, মাসের পর মাস খেতে থাক ! কেন ? এখন আমরা তো সবাই স্বচক্ষেই দেখি, জিওগ্রাফী / ডিসকভারী টিভি চেনেলগুলোতে, গরু-ছাগল-হরিণ-বাঘ-সিংহ-হাতি সবাই গর্ভধারণ করছে এবং সুস্থ-সুন্দর বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে । কই, তাদের তো গাইনী ডাক্তারদের কাছেও যেতে হয় না, এক বস্তা টেস্টও করতে হয় না, মাসকে মাস ঔষধও খেতে হয় না কিংবা সিজারিয়ান অপারেশানও লাগে না । হাস্যকর কিছু বললাম ? না, আসলে আত্মিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে আমরা ভিন্ন হলেও জৈবিক দিক দিয়ে কিন্তু পশু-পাখিদের সাথে আমাদের কোন পার্থক্য নাই ।

এবার আসা যাক গর্ভকালীন সময়ে ঔষধ খাওয়া প্রসংগে । অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে গর্ভবতীদেরকে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি খাওয়ানো হয় বস্তায় বস্তায় । তাদের সমস্ত ঔষধই এতবেশী ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্টযুক্ত যে, তারা সেগুলো গর্ভবতীদের খাওয়াতে সাহস পায় না । ফলে তারা এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি খাওয়াতে থাকে জম্মের মতো । যেহেতু তারা এগুলোকে গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ মনে করে থাকেন । তবে এসব ঔষধের কারণে গর্ভবতী ও গর্ভস্থ শিশুর কি কি ক্ষতি হয়, তা জানার কোন উপায় নেই । কারণ প্রথমত বড় বড় ঔষধ কোম্পানীগুলো সাধারণত তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে ঔষধের ক্ষতিকর দিকটি প্রকাশ করে না । দ্বিতীয়ত তাদের এসব ঔষধ যেহেতু ইদুঁর-বাদর-খরগোস-গিনিপিগের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করা হয় ; কাজেই কোন ঔষধ ইদুঁর-বাদর-খরগোস-গিনিপিগের ক্ষতি করে না বলে মানুষেরও ক্ষতি করবে না- এমনটা বলা যাবে না । তাছাড়া বস্তা বস্তা ক্যালশিয়াম খাওয়া যে কিডনীতে পাথর ( Renal calculus ) হওয়ার একটি মূল কারণ, এটা আমরা অনেকেই জানি । এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি যেহেতু আমাদের দৈনন্দিন খাবারেই যথেষ্ট পরিমাণে থাকে, কাজেই ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি ঔষধ আকারে বস্তা বস্তা খেলে তাতে শরীরে এসব উপাদানের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্ঠি হওয়াই স্বাভাবিক । এসব ভারসাম্যহীনতার কারণেই সম্ভবত গভবতী মায়েদের পেটের পানির ( placenta fluid ) পরিমাণ কমে যায়, ঠিকমতো প্রসব ব্যথা উঠতে চায় না । ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের ( Cesarean operation ) সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে । এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি বস্তায় বস্তায় খাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী নগদ যে ক্ষতিটি প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, তাহলো এতে অধিকাংশ মহিলাই ভীষণ রকমে মোটা (obese ) হয়ে যান । আর এখনকার সকল চিকিৎসা বিজ্ঞানীই একমত যে, মোটা মানুষরা ( এযুগের প্রধান প্রধান ঘাতক রোগ ) ক্যানসার, হৃদরোগ ( heart disease ), হাঁপানী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট এটাক, জয়েন্টে ব্যথা ( Arthritis ) ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয় বেশী হারে ।


সে যাক, হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গর্ভকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে কোন ( ভিটামিন, আয়রণ, ক্যালশিয়াম জাতীয় ) ঔষধ খাওয়ানোর পক্ষপাতী নন । বিশেষত যাদের হজমশক্তি ভালো আছে এবং মাছ-গোশত-শাক-সবজি-ফল-মূল ইত্যাদি কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ আছে, তাদের কোন ( ভিটামিন জাতীয় ) ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নাই । তবে যে-সব গর্ভবতী মায়েরা শরীরিক-মানসিক দুর্বলতা, রক্তশূণ্যতা ইত্যাদিতে ভোগছেন, অথবা যারা অভাব-অনটনের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্ঠিকর খাবার-দাবার কিনে খেতে পারেন না কিংবা যারা পুষ্ঠিকর খাবার কিনে খেতে পারলেও শারীরিক ত্রুটির কারণে সেগুলো যথাযথভাবে শরীরে শোষিত ( absorption ) হয় না, তাদেরকে ক্যালকেরিয়া ফস ( Calcarea phos ), ফেরাম ফস ( Ferrum phos ), ক্যালি ফস ( Kali phos ), লিসিথিন ( Lecithinum ) ইত্যাদি হোমিও ভিটামিন / টনিক জাতীয় ঔষধগুলো নিম্নশক্তিতে ( 6X ) অল্প মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । এই ঔষধগুলি মানব শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম, আয়রণ, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস সরবরাহ করে থাকে । পাশাপাশি এই ঔষধগুলো আমাদের শরীরকে এমনভাবে গড়ে তোলে যাতে আমাদের শরীর নিজেই তার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্ঠিকর উপাদানগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাবার থেকে শোষণ করার / গ্রহন করার যোগ্যতা লাভ করে ।

গর্ভকালীন সময়ে খেলে এই ঔষধগুলো আপনার গভর্স্থ সন্তানের হাড় ( bone ), দাঁত ( teeth ), নাক ( nose ), চোখ ( eye ), মস্তিষ্ক ( brain ) ইত্যাদির গঠন খুব ভালো এবং নিখুঁত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার সন্তান ঠোট কাটা ( harelip ), তালু কাটা ( cleft palate ), হাড় বাঁকা ( rickets ), খোঁজা ( epicene ), বামন ( dwarfish ), পিঠ বাঁকা ( Spina bifida ), বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ( autism ), হৃদরোগ, চর্মরোগ, কিডনীরোগ প্রভৃতি দোষ নিয়ে জন্মনোর হাত থেকে রক্ষা পাবে । এই জন্য যাদের বংশে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্দ্বি শিশু জন্মের ইতিহাস আছে, তাদের গর্ভকালীন সময় এই ঔষধগুলো অবশ্যই খাওয়া উচিত । ভিটামিন জাতীয় এই হোমিও ঔষধগুলো গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের এত চমৎকার যত্ন নেয় যে, এগুলো বেশ কয়েক মাস খেলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ ( hypertension ), হাঁপানী ( asthma ), ডায়াবেটিস ( diabetes ), মাথাব্যথা, বমিবমিভাব, ছোটখাট জ্বর-কাশি, খিচুঁনি ( eclampsia ) ইত্যাদি রোগ এমনিতেই সেরে যায় । অন্যদিকে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানী, ডায়াবেটিস, খিচুঁনি, ধনুষ্টংকার ইত্যাদি রোগ নাই, তারাও এই ঔষধ তিনটি খাওয়ার মাধ্যমে সে-সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন ।


ঔষধ চারটি একসাথে খাওয়া উচিত নয় ; বরং একটি একটি করে খাওয়া উচিত । যেমন- ক্যালকেরিয়া ফস সাত দিন, তারপর ফেরাম ফস সাত দিন, তারপর ক্যালি ফস সাত দিন, তারপর লিসিথিন সাতদিন – এইভাবে চক্রাকারে একটির পর একটি করে খান । সাধারণত 1X, 3X, 6X, 12X ইত্যাদি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত ; যেটি মার্কেটে পাওয়া যায় । ৫ টি বড়ি করে সকাল-বিকাল রোজ দুইবার করে খান । প্রয়োজন মনে করলে গর্ভকালীন পুরো দশ মাসই খেতে পারেন এবং সন্তানকে স্তন্যদানকালীন দুই বছরও খেতে পারেন । তবে মাঝে মধ্যে সাতদিন বা পনের দিন মধ্যবর্তী বিরতি দিয়ে খাওয়াও একটি ভালো রীতি । সহজ, আরামদায়ক এবং সিজারিয়ানমুক্ত ডেলিভারির জন্য কলোফাইলাম ( Caulophyllum thalictroides ) ঔষধটি ( ৩, ৬, ১২ ইত্যাদি নিম্নশক্তিতে ) প্রসবের দুইমাস পূর্ব ( অর্থাৎ‍ আট মাস ) থেকে ( ৫ বড়ি করে ) রোজ একবার করে খেয়ে যান । এটি গর্ভ রক্ষার অর্থাৎ গর্ভস্থ শিশুকে রক্ষার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । এটি গর্ভস্থ শিশুর চারদিকে পানির ( placenta fluid ) পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখে এবং পানির পরিমাণ কমতে দেয় না, ফলে অধিকাংশ শিশু সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়াই স্বাভাবিক পথে ( vaginal route ) জন্ম নিয়ে ‍থাকে । এমনকি যাদের কোমরের বা তলপেটের ( pelvic cavity ) গঠন ভালো নয় বলে ডাক্তাররা সিজার করতে বলে, তাদেরও দেখেছি শিশু এবং মায়ের কোন ক্ষতি ছাড়াই নরমাল ডেলিভারি হয়ে যায় । তাছাড়া অতীতে যাদের সিজার হয়েছে, তারাও কলোফাইলাম খেয়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পারেন, নিজের এবং শিশুর কোন ক্ষতি ছাড়াই ।


কলোফাইলাম গর্ভপাতেরও ( abortion ) একটি উত্তম ঔষধ, যাতে ভুয়া প্রসব ব্যথা দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করতে হয় । যাদের প্রতিবারই ( তৃতীয় ‍মাস, পঞ্চম মাস ইত্যাদি ) একটি নির্দিষ্ট সময়ে গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়, তারা সেই নির্দিষ্ট সময়ের একমাস পূর্ব থেকেই অগ্রিম এই ঔষধটি খাওয়া শুরু করতে পারেন । অন্যদিকে ডেলিভারির জন্য খাওয়াবেন পালসেটিলা ( Pulsatilla pratensis ) নামক ঔষধটি । যদি ডেলিভারি ডেট অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যথা না ওঠে অথবা প্রসবব্যথা কম ওঠে অথবা ব্যথা একবার আসে আবার চলে যায়, তবে পালসেটিলা ( Pulsatilla pratensis ) নামক হোমিও ঔষধটি আধা ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন । এটি প্রসব ব্যথাকে বাড়িয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব কাজ সমাধা করার ব্যাপারে একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ । এমনকি ডাক্তাররা যদি সিজারিয়ান অপারেশান করার জন্য ছুড়িতে ধার দিতে থাকে, তখনও আপনি পালসেটিলা খাওয়াতে থাকুন । দেখবেন ছুড়ি ধার হওয়ার পূবেই বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হয়ে গেছে । মনে রাখবেন, নরমাল ডেলিভারির কষ্ট থাকে দুয়েক দিন, কিন্তু সিজারিয়ান অপারেশানের কষ্ট দুয়েক বছরেও যায় না । ক্ষেত্রবিশেষে অপারেশানের কষ্ট সারাজীবনই ভোগ করতে হয় । শুধু তাই নয়, সন্তানের পজিশন যদি ঠিক না থাকে, তবে পালসেটিলা তাও ঠিক করতে পারে । শিশুর মাথা যদি উপরের দিকে অথবা ডানে-বামে ঘুরে থাকে, তবে দুয়েক মাত্রা পালসেটিলা খাওয়ালেই দেখবেন শিশুর মাথা ঘুরিয়ে অটোমেটিকভাবে নীচের দিকে নিয়ে এসেছে ।


★তবে হাজারে একজনের সিজার প্রয়োজন হতেই পারে। তখন অবশ্যই সিজারে যেতে হবে। কিন্তু গনহারে সিজার কখনই কাম্য নয়।

কষ্টিকাম এর রোগী চেনার উপায়,,,,,

 ★★★★কষ্টিকাম এর রোগী চেনার উপায়


★★★★:------


★ রাতে পা স্থির রাখতে পারে না। পা নাড়ে।


★ শরীরের বিভিন্ন অংশে বাত, ছিঁড়ে ফেলার মত যন্ত্রণা। গরমে ভাল থাকে।


★ একাঙ্গীক পক্ষাঘাত বা সিঙ্গল মাসল প্যারালাইসিস।বিশেষ করে ডান দিকের প্যারালাইসিস।


★ স্বরযন্ত্র, জিভ, চোখের পাতা, হাত-পা, মুখ, মূত্রযন্ত্রের পক্ষাঘাত। স্বর ভঙ্গ। 


★ হাঁচি কাশি দিতে গেলে অসাড়ে মূত্র বেরিয়ে আসে।মুত্র ধারণে অক্ষম। 


★ প্রথম রাতে শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার স্বভাব।


★ চর্মরোগ চাপা পড়ে পক্ষাঘাত।এজন্য চর্মরোগে মলম লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত। রোগীরা এই বিষয়টা বোঝেনা। 


★ ঋতুস্রাব কেবলমাত্র দিনের বেলায় দেখা যায়। রাতে বন্ধ থাকে।


★ দিনে কাশি কম থাকে। ঠান্ডা পানি পান করলেই কাশি কমে যায়। এটা একটা অদ্ভুত লক্ষণ। 


★ মিষ্টি দ্রব্যে অরুচি।


★ মেটেরিয়া মেডিকায় লেখা থাকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মলত্যাগ করতে পারে কিন্তু বসলে পারে না। মূল ব্যাপার হল মেরুদণ্ড সোজা করে বসলেও মলত্যাগ করতে পারে। 


★ শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গে, গলায় আঁচিল।


★ শুকনো পরিষ্কার আবহাওয়ায় রোগীর কষ্ট বাড়ে অথচ বাজে মেঘলা ভিজে আবহাওয়ায় রোগী বেশ ভাল বোধ করে। এটাও একটা অদ্ভুত লক্ষণ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অদ্ভুত লক্ষণের বেশি মূল্যায়ন করতে হয়। 


★ শিশুর হাঁটাচলা ও অনুধাবন শক্তির খর্বতা। দেরিতে শেখে,


★ অন্যের প্রতি দরদী।প্রচন্ড রকমের প্রতিবাদী, প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেনা। লিডারশিপ নিতে পারে। নিজের গোত্রের কোনো অসুবিধা হলে, তাকে রক্ষা করতে নিজে ঝাপিয়ে পড়ে। 


******কষ্টিকামের আগে ও পরে ফসফরাস ব্যবহার করা হয় না।******

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

A" দ্বারা শুরু হওয়া ৫৯ টি হোমিওপ্যাথিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের *ঘামের* লক্ষন 

 "A" দ্বারা শুরু হওয়া ৫৯ টি হোমিওপ্যাথিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের *ঘামের* লক্ষন 

*কেন্ট*, *বোরিক*, *অ্যালেন*, *ফ্যারিংটন*, *ক্লার্ক* প্রমুখ লেখকদের রেফারেন্স অনুযায়ী:


১. *Aconitum Napellus (অ্যাকোনাইট)*

- হঠাৎ ভয় বা আতঙ্কে ঠান্ডা ঘাম।

- হাতের তালুতে ঠান্ডা ঘাম।

- ঘাম সাধারণত শরীরের যে পাশে শোয়, সেই পাশে বেশি হয়।

*সূত্র*: Kent, Boericke


২. *Aethusa Cynapium (এইথুসা)*

- বমির সময় কপালে ঠান্ডা ঘাম।

- শিশুদের মধ্যে দুধ হজম না হলে দুর্বলতা ও ঘাম দেখা যায়।

*সূত্র*: Allen, Boericke


৩. *Agaricus Muscarius (আগারিকাস)*

- অতিরিক্ত ঘাম, বিশেষ করে চুলকানি ও জ্বালার সাথে।

- ত্বকে জ্বালা ও গরম অনুভূতির সাথে ঘাম।

*সূত্র*: Kent, Farrington


৪. *Agnus Castus (অ্যাগনাস)*

- যৌন দুর্বলতার সাথে ঠান্ডা ঘাম।

- মানসিক অবসাদের সাথে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম।

*সূত্র*: Allen, Boericke


৫. *Allium Cepa (অ্যালিয়াম সিপা)*

- সর্দি ও চোখে পানি পড়ার সাথে ঘাম।

- গরম ঘাম, নাক দিয়ে ঝাঁঝালো স্রাবের সাথে।

*সূত্র*: Clarke, Boericke


৬. *Aloe Socotrina (অ্যালো)*

- সকালে দুর্বলতার সাথে ঘাম।

- পাতলা পায়খানা ও পেটের গড়গড় শব্দের সাথে অতিরিক্ত ঘাম।

*সূত্র*: Boericke, Allen


৭. *Alumina (অ্যালুমিনা)*

- সাধারণত ঘাম কম হয়।

- ত্বক শুষ্ক, ঘামহীন; মাঝে মাঝে অল্পমাত্রায় রাতের ঘাম।

*সূত্র*: Kent, Clarke


৮. *Ammonium Carbonicum (অ্যামোনিয়াম কার্ব)*

- রাতে বিশেষ করে মাথায় ঘাম।

- ঘামে দুর্গন্ধ থাকতে পারে।

 *সূত্র*: Boericke, Farrington


৯. *Ammonium Muriaticum (অ্যামোনিয়াম মিউর)*

- রাতের বেলায় মাথা ও বুকে ঘাম।

- বাতজনিত ব্যথার সাথে ঘাম।

*সূত্র*: Allen, Boericke


১০. *Anacardium Orientale (অ্যানাকার্ডিয়াম)*

- মানসিক দ্বন্দ্ব বা পরীক্ষার ভয় থেকে ঘাম।

- হালকা ঘাম, ঠান্ডা অনুভূতির সাথে।

*সূত্র*: Kent, Boericke


১১. *Antimonium Crudum (অ্যান্টিমোনিয়াম ক্রুডাম)*

- রাতে মাথা ও মুখে ঘাম।

- গরমে ঘামে বৃদ্ধি হয়।

*সূত্র*: Boericke, Farrington


১২. *Antimonium Tartaricum (অ্যান্টিমোনিয়াম টারটারিকাম)*

- দুর্বলতা ও ঘামের সাথে শ্বাসকষ্ট।

- সামান্য পরিশ্রমেই ঘাম, তাতে আরাম পায় না।

*সূত্র*: Kent, Allen


১৩. *Apocynum Cannabinum (অ্যাপোসাইনাম)*

- অতিরিক্ত ঘাম, মুখে ঠান্ডা ঘাম — হৃদরোগ বা ফুসফুসে পানি জমায়।

- ঘাম হলুদ ও দগদগে, হাঁপানির রোগীদের মাঝে দেখা যায়।

*সূত্র*: Allen, Clarke


১৪. *Apis Mellifica (অ্যাপিস)*

- গরমে ঘাম বাড়ে, বিশেষ করে দুপুরে।

- মুখে ও মাথায় ঘাম, কখনো ঠান্ডা ও শীতল ঘাম হয়।

*সূত্র*: Boericke, Kent


১৫. *Argentum Nitricum (আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম)*

- মানসিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তায় ঘাম।

- হাত-পা ঘামে, সাথে কম্পন থাকে।

*সূত্র*: Kent, Allen


১৬. *Arnica Montana (আর্নিকা)*

- রাতে বিছানায় শুয়ে ঘামে, ঘাম ঘুমকে ভেঙে দেয়।

- আঘাতের পর শরীর ঠান্ডা ঘামে ভিজে যায়।

*সূত্র*: Boericke, Clarke


১৭. *Arsenicum Album (আর্সেনিকাম এলবাম)*

- ভোরে ঘাম, দুর্বলতা নিয়ে ও

- গরমে ও রাতে ঘামে বৃদ্ধি, বিশেষ করে বুকে ও মুখে।

*সূত্র*: Kent, Boericke


১৮. *Asafoetida (আসাফোইটিডা)*

- অতিরিক্ত ঘাম, মানসিক উত্তেজনার সাথে।

- দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম, মানসিক চাপ কমায়।

*সূত্র*: Boericke


১৯. *Aurum Metallicum (অরাম মেটালিকাম)*

- ঠান্ডা ঘাম, বিষণ্নতা ও আত্মহত্যার প্রবণতার সাথে।

- রাতে ঘাম বৃদ্ধি, হৃদরোগের সাথে।

*সূত্র*: Kent, Farrington


২০. *Aconitum Lycotonum (অ্যাকোনাইটাম লাইকোটোনাম)*

- হাতের তালুতে ঘাম।

*সূত্র*: KnowHomoeopathy


২১. *Aesculus Hippocastanum (এসকিউলাস হিপোকাস্টানাম)*  

- ঘাম খুব একটা হয় না।  

- মলদ্বারে ব্যথার সাথে ক্লান্তি; অতিরিক্ত কষ্টে মাথায় ঘাম হতে পারে।  

*সূত্র:* Boericke


২২. *Aethusa Cynapium (এইথুসা)*  

- শিশুরা দুধ হজম না করলে কপালে ঠান্ডা ঘাম।  

- বমির সাথে তীব্র দুর্বলতা ও ঘাম।  

*সূত্র:* Allen, Farrington


২৩. *Ailanthus Glandulosa (আইল্যান্থাস)*  

- গরম ও ঘামে বেশি কষ্ট।  

- ঘামের সাথে বিষাক্ত গন্ধ।  

*সূত্র:* Clarke


২৪. *Aletris Farinosa (অ্যালেট্রিস ফারিনোসা)*  

- দুর্বলতা, রক্তাল্পতা ও ঘাম।  

- গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত ঘাম দেখা যায়।  

*সূত্র:* Boericke


২৫. *Allium Sativum (অ্যালিয়াম স্যাটিভাম)*  

- গ্যাস ও বদহজমে ঘাম হয়।  

- ঘামে দুর্গন্ধ থাকে।  

*সূত্র:* Clarke


২৬. *Aloes Socotrina (অ্যালো)*  

- সকালে পায়খানার সময় মুখে ঘাম।  

- পেট গড়গড় শব্দ, পায়খানার সাথে হালকা ঘাম।  

*সূত্র:* Kent, Boericke


২৭. *Alstonia Scholaris (অ্যালস্টোনিয়া)*  

- জ্বরোত্তর দুর্বলতা, ঘামে শরীর ভিজে যায়।  

- পাতলা পায়খানা ও ঘামের সংযোগ।  

*সূত্র:* Boericke


২৮. *Ammoniacum (অ্যামোনিয়াকাম)*  

- সাইনাস বা বাত ব্যথায় কপালে ঘাম।  

*সূত্র:* Allen


২৯. *Ammonium Bromatum (অ্যামোনিয়াম ব্রোমাটাম)*  

- গলায় কফ জমে ঘাম হয়।  

- ঘামে আরাম পায় না।  

*সূত্র:* Boericke

 ৩০. *Amygdalus Persica (অ্যামিগডালাস পার্সিকা)*  

- বমি, পেট খারাপ ও শিশুদের ঘামের ওষুধ।  

*সূত্র:* Clarke


৩১. *Anagallis Arvensis (অ্যানাগ্যালিস)*  

- চর্মরোগে ঘাম বাড়ে।  

- চুলকানির সাথে ঘাম দেখা যায়।  

*সূত্র:* Boericke


৩২. *Anemone Pulsatilla Nigricans (পালসেটিলা)*  

- দিনের বেলায় ঘাম, রাতের ঘাম কম।  

- গরমে ঘামে কষ্ট পায় না। ঠান্ডা চায়।  

*সূত্র:* Kent, Boericke


৩৩. *Angustura Vera (অ্যাঙ্গুস্তুরা)*  

- হাত-পায়ে কাঁপুনি ও ঘাম।  

- বাত রোগে ঘামের পর বৃদ্ধি।  

*সূত্র:* Allen


৩৪. *Antimonium Arsenicosum (অ্যান্টিমোনিয়াম আর্সেনিক)*  

- শ্বাসকষ্টের সাথে ঠান্ডা ঘাম।  

*সূত্র:* Clarke


৩৫. *Antimonium Sulphuratum Auratum*  

- ত্বকে ঘাম ও ফুসকুড়ির সংযোগ।  

- বাত রোগে ঘাম।  

*সূত্র:* Boericke


৩৬. *Anthracinum (অ্যানথ্রাসিনাম)*  

- ঘন ঘন ঘাম; বিষাক্ত সংক্রমণে ঘাম দেখা দেয়।  

*সূত্র:* Clarke


৩৭. *Apis Mellifica (অ্যাপিস)*  

- গরম ও দুপুরে ঘাম বেড়ে যায়।  

- মুখ ও মাথায় ঘাম।  

*সূত্র:* Kent, Boericke


৩৮. *Apocynum Cannabinum (অ্যাপোসাইনাম)*  

- হৃদপিণ্ড ও কিডনি সমস্যায় মুখে ঠান্ডা ঘাম।  

*সূত্র:* Boericke, Allen


৩৯. *Aralia Racemosa (আরালিয়া)*  

- হাঁপানির সময় ঠান্ডা ঘাম পড়ে।  

- রাতের বেলা ঘাম, শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এমন অনুভূতি।  

*সূত্র:* Boericke


৪০. *Aristolochia (অ্যারিস্টোলোকিয়া)*  

- তীব্র ঘাম, মুখ ও মাথা।  

- বিষক্রিয়ায় কণ্ঠনালীতে ঘাম।  

*সূত্র:* Clarke

 ৪১. *Arnica Montana (আর্নিকা)*  

- আঘাতের পর ঘাম পড়ে, শুয়ে ঘাম বেড়ে যায়।  

*সূত্র:* Kent


৪২. *Arsenicum Album (আর্সেনিক)*  

- দুর্বলতা ও বিষাদে ঘাম।  

- ঠান্ডা ঘাম, রাত ১টা থেকে ৩টা।  

*সূত্র:* Kent, Allen


৪৩. *Artemisia Vulgaris (আর্টেমিসিয়া)*  

- খিঁচুনির পর মাথায় ঘাম।  

- মৃগীরোগে ঘামের সাথে তন্দ্রা।  

*সূত্র:* Clarke


৪৪. *Asafoetida (আসাফোইটিডা)*  

- হিস্টিরিয়ায় ঠান্ডা ঘাম পড়ে।  

- মানসিক উত্তেজনায় ঘাম বৃদ্ধি।  

*সূত্র:* Boericke


৪৫. *Asarum Europaeum (অ্যাসারাম)*  

- অতিসংবেদনশীলতায় ঘাম, বিশেষ করে কানে শব্দে।  

*সূত্র:* Kent


৪৬. *Asclepias Tuberosa (অ্যাসক্লেপিয়াস)*  

- ঠান্ডা ঘাম, বুকে চাপ ও শ্বাসকষ্টে।  

*সূত্র:* Clarke


৪৭. *Asclepias Syriaca (অ্যাসক্লেপিয়াস সিরিয়াকা)*  

- ঘাম দ্বারা পানি নিঃসরণ বাড়ে, এডিমা কমে।  

*সূত্র:* Boericke


৪৮. *Asterias Rubens (অ্যাস্টেরিয়াস রুবেন্স)*  

- স্তন ক্যান্সারে রাতের বেলা মাথায় ঘাম।  

*সূত্র:* Clarke


৪৯. *Atropa Belladonna (বেলাডোনা)*  

- হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে গরম ঘাম।  

- মাথায় ঘাম, ত্বক গরম।  

*সূত্র:* Kent, Boericke


৫০. *Aurum Metallicum (অরাম মেট)*  

- ঠান্ডা ঘাম; বিষণ্নতার সাথে ঘাম।  

- হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় রাতের ঘাম।  

*সূত্র:* Farrington, Allen


৫১.Acidum Nitricum(এসিড নাইট)

---


*ঘামের লক্ষণ (Sweat Symptoms) of Acidum Nitricum:*


1. *রাত্রে ঘাম*  

   - ঘাম সাধারণত *রাতে বেশি হয়*।  

   *(Boger’s Synoptic Key, p. 375)*


2. *ঘামে টক গন্ধ*  

   - ঘামে টক বা তীব্র গন্ধ থাকে, যা কাপড় নষ্ট করে ফেলে।  

   *(Kent’s Materia Medica)*


3. *ঘামে জ্বালা ভাব*  

   - ঘামে শরীরে জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে।  

   *(Allen’s Encyclopedia)*


4. *পায়ে ও বগলে ঘাম*  

   - পা ও বগলের অংশে ঘাম বেশি হয়।  

   *(Farrington's Clinical Materia Medica)*


5. *ঘাম সহজে হয় না*  

   - কোনো-কোনো ক্ষেত্রে রোগী ঘামতে *কঠিনতা অনুভব করে* (anhidrosis)।  

   *(Nash's Leaders in Homoeopathic Therapeutics)*


Dr. Md. Selim Uddin, DHMS; BSc; MPH( UCTC)

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ___


 📚 ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা -


✍️ ফাইলেরিয়া (Filariasis) একধরনের পরজীবীঘটিত রোগ যা সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি Wuchereria bancrofti, Brugia malayi, বা Brugia timori নামক ফাইলেরিয়াল ওয়র্ম দ্বারা হয়। এটি প্রধানত লসিকা (lymphatic) সিস্টেমকে আক্রান্ত করে এবং ধীরে ধীরে হাত, পা, যৌনাঙ্গ প্রভৃতিতে ফোলা (elephantiasis) সৃষ্টি করতে পারে।


🩺 ফাইলেরিয়ার লক্ষণসমূহ:


* পা, হাত, অণ্ডকোষ, স্তন ইত্যাদি অঙ্গের অস্বাভাবিক ফোলা

* উচ্চ জ্বর (প্রায়শই সন্ধ্যাবেলা বাড়ে)

* কাঁপুনি ও ঘাম

* লসিকা গ্রন্থির ব্যথা (Lymphadenitis)

* ত্বকে ঘা বা সংক্রমণ

* দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ত্বকে মোটা ও শক্ত পরিবর্তন

⚕️  ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং রোগীর সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে করা হয়। নিচে ফাইলেরিয়ার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ হোমিও ঔষধ দেওয়া হলো:


🌿 1. Hydrocotyle Asiatica


* অতিরিক্ত লসিকাজনিত ফোলাভাব

* চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া

* হস্ত ও পায়ে elephantiasis টাইপ ফোলা


🌿 2. Arsenicum Album


* ত্বকে ঘা, পুঁজ পড়া বা জ্বালাভাব

* রোগী দুর্বল, অস্থির ও উদ্বিগ্ন

* রাতের বেলায় জ্বর ও ফোলা বাড়ে


🌿 3. Silicea


* দীর্ঘস্থায়ী ফোলা ও পুঁজ পড়া

* শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে কার্যকর

* ফিস্টুলা বা ঘা হলে উপকারী


🌿 4. Graphites


* মোটা, শুষ্ক, চামড়া সহ elephantiasis

* নির্গত তরলে আঠালো ভাব

* ত্বকে ফাটল, ফোড়া বা ঘা


🌿 5. Calcarea Fluorica


* কঠিন টিউমার টাইপ ফোলা

* চামড়া মোটা ও শক্ত

* ধীরে ধীরে হওয়া ফোলাভাব


 6. Thuja Occidentalis


* দীর্ঘস্থায়ী পরজীবী সংক্রমণে উপকারী

* লসিকা গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে

* অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেমানান ফোলা হলে


 📝 পরামর্শ-


* ফাইলেরিয়া অনেক সময়ে দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাই চিকিৎসা দীর্ঘদিন চলতে পারে।

* চিকিৎসা শুরুর আগে হোমিওপ্যাথিক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশার কামড় থেকে বাঁচা অত্যাবশ্যক।


✍️ ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার, সভাপতি বাংলাদেশ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক ফোরাম, ইভা হোমিও হল, আশুলিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড, বাইপাইল, সাভার, ঢাকা। মোবাইল নাম্বার 01716-651488

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

সোরিয়াসিস  কী? সোরিয়াসিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী, অসংক্রামক, অটোইমিউন রোগ, যা ত্বকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে হয়।

 সোরিয়াসিস  কী?

সোরিয়াসিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী, অসংক্রামক, অটোইমিউন রোগ, যা ত্বকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে হয়।

এই রোগে ত্বক গাঢ়, শুষ্ক, চুলকানি এবং আঁশযুক্ত হয়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এই জায়গাগুলো লাল বা বেগুনি রঙের হয়ে যায়।

সোরিয়াসিস শরীরের যেকোনও জায়গায় হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথার ত্বক, কনুই, হাঁটু, পিঠে দেখা যায়। সোরিয়াসিসের তীব্রতা ছোট, স্থানীয় প্যাচ থেকে সম্পূর্ণ শরীরে হতে পারে। শুকনো ত্বক চুলকে খসে পরার পর সামান্য রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। তবে ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্ততে অসংক্রামিত হয় না।


সরিয়াসিস কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ?ঃ


১. সরিয়েসিসে আক্রান্ত রোগীদের হার্টের রোগ ও পরিপাক সংক্রান্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। তবে সোরিয়াসিস চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে নিলে এ ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।


২. সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩০% রোগীর আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট প্রদাহ ও অকেজো হতে দেখা যায়। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে এ ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।


৩. গবেষণায় দেখা গিয়েছে এ রোগটির সাথে জীনগত (বংশগত) সম্পর্ক রয়েছে এবং আক্রান্তের পরিবারের ২/১ জন সদস্যের মাঝেও এ রোগ বিস্তৃত হতে পারে।


৪. পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩% মানুষ সরিয়াসিসে আক্রান্ত। দুই বাংলার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত। সুধু অ্যামেরিকাতেই ৬০ লক্ষ মানুষ সরিয়েছিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশ ও ভারতের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ রোগে আক্রান্ত অসহায় রোগীদের সাথে মানুষ তেমন মিশতে চায়না। অনেকের সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।


৫. বিগত ৩০ বৎসরের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোরিয়াসিস চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো ভালো করে বিবেচনা করা উচিত।


সরিয়াসিসের প্রকারভেদ


১. প্লেক সোরিয়াসিস (plaque psoriasis)


সরিয়াসিসে আক্রান্ত ৮০% রোগী প্লেক সরিয়েসিসের অন্তর্গত। এর বৈশিষ্ট্য হল লালচে প্রদাহিত চর্ম উদ্ভেদের উপরে সিলভার বা সাদা বর্ণের আবরণ, চলটা বা আস উঠে। সাধারণত হাতের কনুই, হাঁটু, মাথা ও পিঠের নিচের দিকে প্লেক সোরিয়াসিস (plaque psoriasis) হতে দেখা যায়।


২. ইনভার্স সোরিয়াসিস (inverse psoriasis)


ইনভার্স সরিয়াসিস সাধারণত বগল, কুঁচকি, স্তন, জনান্দ্রেয় ও নিতম্বের ভাঁজ সহ শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে দেখা দেয়।


ইনভার্স সরিয়াসিস দেখতে সাধারণত লালচে হয়, তার চলটা বা আস থাকেনা, অনেকটা মসৃণ ও চকচকে হয়। এটি ঘর্ষণ, চুলকানি ও ঘর্মে জ্বালা যন্ত্রণা করে, অতিমোটা বা চামড়ায় গভীর ভাঁজ যুক্ত ব্যক্তিদের ইনভার্স সোরিয়াসিস (inverse psoriasis) বেশি হয়।


৩. ইরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস (erythrodermic psoriasis)


ইরিথ্রোডার্মিক সরিয়াসিসের বিশেষত্ব হল এটি লালচে প্রদাহিত ও শরীরের অনেকটা স্থান জুড়ে হয়। প্লেক সরিয়েসিসের পরবর্তী স্টেজেও এটি হয়। এটা থেকে চলটা বা স্রাব ঝরে এতে প্রচণ্ড চুলকানি ও ব্যথা হতে পারে।


ইরিথ্রোডার্মিক সরিয়াসিস শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে শরীরের প্রোটিন ও ফ্লুয়িড ক্ষতিগ্রস্ত করে, তার ধারণ ক্ষমতা বিনষ্ট করে। যার ফলে রোগীর শোথ রোগ, কম্পন বা কাঁপুনি, অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা, নিউমোনিয়া, হার্ট ফেলিওর সহ নানান ধরণের রোগ হতে পারে।


৪. গাউটেড সোরিয়াসিস (guttate psoriasis)


গাউটেড সরিয়েসিস সাধারণত শিশু বা যুবক বয়সে হতে দেখা যায়। এটি লাল ছোট ছোট স্পটের মতো হয়, চামড়া মোটা হয়ে উঠে, প্লাগ সরিয়েসিসের মতো চলটা উঠে।


এর ফলে পরবর্তীতে ঊর্ধ্ব শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, স্ট্রেপটোকক্কাল প্রদাহ, টনসিল প্রদাহ, ট্রেস বা টেনশন দেখা দিয়ে রোগটি চাপা পড়তে পারে। আবার পর্যায়ক্রমিক ভাবে ফিরে আসতে পারে।


বহুকাল এ রোগটি অনুপস্থিত থেকে পুনরায় ফিরে আসতে পারে ও প্লাগ সরিয়েসিসে রূপান্তরিত হতে পারে।


৫. পাস্টুলার সোরিয়াসিস (pustular psoriasis)


সরিয়েসিসে আক্রান্ত ৫% রোগী পাস্টুলার সরিয়েসিসের অন্তর্গত, এটি শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে সাদা পুজবটিকা বা ফোস্কা উৎপন্ন করে তার চারিদিকে লালচে চামড়া থাকে, এটি শরীরের অন্য স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে যায়না ও অন্যকে সংক্রমিত করেনা। এটি চক্রাকারে চামড়া লাল হয়ে উঠে, পুজবটি উৎপাদনের স্তর তৈরি করে, পুঁজ নির্গমন ও চলটা উঠতে থাকে।


হোমিওপ্যাথিতে সোরিয়াসিসের চিকিৎসাঃ

সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘ মেয়াদি অসুস্থতা। এর থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সময় সাপেক্ষ। হোমিওপ্যাথি একটি ব্যাক্তিভিত্তিক সার্বিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা অটোইমিউন রোগে খুব কার্যকরী। এই পরিস্থিতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সোরিয়াসিসের লক্ষণগুলির তীব্রতা কমাতে এবং রোগীকে প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে এক বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে।

সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করালে সোরিয়াসিসের পুনরায় ফিরে আসাকে প্রতিহত করা যায়। এমনকি, সোরিয়াসিস সম্পূর্ণ নিরাময় করতে সক্ষম। এই রোগের স্থায়ী কোন  চিকিৎসা এলোপ্যথিতে নেই।

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫

পায়ের নখের কোণায় ইনফেকশন (Ingrown Toenail with Infection)

 পায়ের নখের কোণায় ইনফেকশন (Ingrown Toenail with Infection) একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষত বর্ষাকালে পায়ের আর্দ্রতা ও ময়লা জমার কারণে। এতে ব্যথা, ফোলা, লালভাব এবং পুঁজ জমতে পারে। এ সমস্যায় করণীয়:


প্রাথমিক পরিচর্যা

১. পরিষ্কার রাখুন


আক্রান্ত পা দিনে ২ থেকে ৩ বার হালকা গরম পানিতে (লবণ বা অ্যান্টিসেপ্টিক যেমন স্যাভলন মিশিয়ে) ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।


শুকানোর পর পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।


২. জায়গা শুকনা রাখুন

বর্ষায় মোজা ঘন ঘন বদলান, সুতি মোজা ব্যবহার করুন।

স্যান্ডেল বা খোলা জুতো পরুন যাতে বাতাস চলাচল করে।


৩. নখ কাটার সতর্কতা

নখ সোজা কাটুন, গোলাকার বা খুব ছোট করবেন না।

নখের কোণাগুলো যেন ত্বকের ভিতরে না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।


যদি ২ থেকে ৩ দিনে উন্নতি না হয়, ব্যথা বা পুঁজ বাড়ে, বা ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে।


প্রতিরোধ

পা সবসময় শুকনা ও পরিষ্কার রাখুন।

আঁটোসাঁটো জুতো এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত নখ কাটুন (সোজা লাইনে)।


সতর্কতা:

দ্রুত চিকিৎসা না নিলে ইনফেকশন হাড় পর্যন্ত ছড়াতে পারে (Osteomyelitis), বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে।


"মানব জীবন + হোমিওপ্যাথি" 

এই পেজটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

যখন ব্যথা হয় “নাক থেকে শুরু হয়ে চোখ দিয়ে মাথার ভিতর ঢুকে যায়” এমন অনুভব হয়

 🔹 যখন ব্যথা হয় “নাক থেকে শুরু হয়ে চোখ দিয়ে মাথার ভিতর ঢুকে যায়” এমন অনুভব হয়  

When pain seems to travel from the nose, through the eye, deep into the head


🧾 Spigelia এর প্রধান লক্ষণসমূহ | Key Symptoms of Spigelia:

🔴 বাম পাশের তীব্র মাথাব্যথা  

     Severe left-sided headache  

🔴 চোখের পেছনে ব্যথা  

     Pain behind the eyes  

🔴 মাথার ধপধপানি, আলো ও রোদে বাড়ে  

     Throbbing headache aggravated by light or sun  

🔴 হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ও বুকের কাঁপুনি  

     Palpitations and chest fluttering  

🔴 Trigeminal Neuralgia (মুখের নার্ভের তীব্র ব্যথা)  

     Severe facial nerve pain (Trigeminal Neuralgia)


⚠️ বিশেষ পরামর্শ | Important Advice:  

⚕️ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন।  


 এলি লোবেল একজন নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি University College Kensington, London থেকে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

 এলি লোবেল একজন নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি University College Kensington, London থেকে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।


১৯৯৬ সালের বসন্তে, মাত্র ২৭ বছর বয়সে এলি একটি জঙ্গলে হাঁটার সময় একটি পোকা (টিক বা Deer Tick) কামড় দেয়। 

এই টিকের দেহে থাকা Borrelia burgdorferi নামক ব্যাকটেরিয়া এলির রক্তে ঢুকে পড়ে।


প্রথমে সাধারণ জ্বর, ব্যথা ও দুর্বলতা দিয়ে শুরু হয়, যা দিন দিন বাড়তে থাকে। অনেক ডাক্তার এটি ফ্লু, ভাইরাল ইনফেকশন, আর্থ্রাইটিস, লুপাস ইত্যাদি বলে ধরে নেন। কিন্তু এক বছর পর জানা যায়—তিনি লাইম ডিজিজে আক্রান্ত, যা বোরেলিয়া বার্গডোর্ফেরি নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।


এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর এলি লাইম ডিজিজে ভোগেন। শরীর দুর্বল হতে হতে এক পর্যায়ে তিনি হুইলচেয়ারে বসে যান। ব্যথা, স্মৃতিভ্রষ্টতা, স্নায়ু দুর্বলতা—সবকিছু মিলিয়ে তাঁর জীবন এক বিষাদে পরিণত হয়। এক সময় চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন যে, তাঁর আর চিকিৎসার কোনো উপায় নেই এবং মাত্র ৩ মাসের আয়ু অবশিষ্ট আছে।


২০১১ সালে এলি সিদ্ধান্ত নেন ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাবেন। সেখানেই একদিন একটি মৌমাছির দল হঠাৎ করে তাঁকে আক্রমণ করে। অসংখ্য মৌমাছি তাঁকে কামড় দেয় এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এলির শরীরে মৌমাছির বিষের প্রতি এলার্জি ছিল, তাই পরিবারের সবাই ভেবেছিল এবার হয়তো তাঁর মৃত্যু হবে।


কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, সেই মৌমাছির কামড়ই এলির জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য করেন—তার শরীরের ব্যথা কমে যাচ্ছে, মাথা পরিষ্কার হচ্ছে, এবং তিনি আস্তে আস্তে হাঁটতেও পারছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন নামক একটি পেপটাইড বোরেলিয়া ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে ধ্বংস করেছে। এর ফলে শরীরে থাকা লাইম ডিজিজের মূল উৎস কার্যত নিঃশেষ হতে শুরু করে।


এলি লোবেলের জীবন আমাদের এক অসাধারণ বার্তা দেয়—প্রকৃতির মাঝে এমন অনেক বিষ আছে, যা প্রয়োজনমতো ব্যবহারে ওষুধ হয়ে উঠতে পারে। মৌমাছির বিষে প্রাণঘাতী ব্যথা শুরু হলেও, তা-ই তাঁকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে।


হোমিওপ্যাথির দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। হোমিওপ্যাথির মূল নীতি “Like cures Like” অর্থাৎ—যা রোগ সৃষ্টি করে, তা-ই রোগ সারাতে পারে—এই দর্শনের সঙ্গে এলির অভিজ্ঞতা গভীরভাবে মিলে যায়। মৌমাছির বিষ তাঁর শরীরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং পরে তা-ই আরোগ্যের পথ খুলে দেয়, তা হোমিওপ্যাথির মূল ভাবনার বাস্তব প্রতিফলন বলা চলে।

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি, ঔষধ নির্বাচন,প্রয়োগ ও মাত্রা।

 ✔️🥦হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি, ঔষধ নির্বাচন,প্রয়োগ ও মাত্রা।

শেয়ার করে ওয়ালে রাখবেন কাজে দেবে।


🍒হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। মনে রাখতে হবে যে, রোগের লক্ষণগুলোই হলো রোগের প্রকৃত পরিচয় পাওয়ার একমাত্র রাস্তা। তাই রোগের শারীরিক লক্ষণসমূহ, মানসিক লক্ষণসমূহ এবং রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণসমূহ বুঝতে না পারলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলি সংগ্রহ করতে না পারলে, সঠিক ঔষধ নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে হাজার বার ঔষধ পাল্টিয়ে এবং হাজার ডোজ ঔষধ খেয়েও সামান্য ছোটখাট রোগও সারানো যায় না। আবার মারাত্মক অসুখ-বিসুখ কিংবা অনেক বছরেরও পুরনো রোগ-ব্যাধিও মাত্র এক ডোজ ঔষধে নির্মূল হয়ে যায় যদি লক্ষণের সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে ঔষধ দেওয়া যায়। রোগের নাম নয়, বরং রোগ এবং রোগীর সমস্ত লক্ষণসমূহের উপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। কারণ হোমিওপ্যাথিতে রোগের নামে কোন ঔষধ নাই। একই রোগের জন্য সব রোগীকে একই ঔষধ দিলে কোন কাজ হবে না। যেমন ধরুন ডায়েরিয়ার কথা, ডায়েরিয়ার সাথে যদি পেটে ব্যথা থাকে তবে এক ঔষধ আর যদি পেটে ব্যথা না থাকে তবে অন্য ঔষধ। ডায়েরিয়ার ফলে যদি রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে তবে এক ঔষধ আর যদি দুর্বল না হয় তবে অন্য ঔষধ। ডায়েরিয়া শুরু হওয়ার কারণের ওপর ভিত্তি করেও ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে এবং ব্যথা বা পায়খানার রঙ, গন্ধ, ধরণ বা পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেও ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনার রোগের লক্ষণসমূহ যে-ঔষধের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পাওয়া যাবে, সেটি হবে আপনার উপযুক্ত ঔষধ। মনে করুন আপনার জ্বর হয়েছে ; যদি দেখেন যে আপনার জ্বরের দুইটি লক্ষণ ব্রায়োনিয়া ঔষধটির সাথে মিলে যায় অন্যদিকে তিনটি লক্ষণ বেলেডোনা ঔষটির সাথে মিলে যায়, তাহলে বেলেডোনাই হবে আপনার উপযুক্ত ঔষধ। আবার শারীরিক লক্ষণের চাইতে মানসিক লক্ষণের গুরুত্ব বেশী। কাজেই যদি দেখেন যে, আপনার শারীরিক লক্ষণসমূহ রাস টক্স ঔষধটির সাথে মিলে যায় কিন্তু মানসিক লক্ষণ একোনাইট ঔষধটির সাথে মিলে যায়, তাহলে একোনাইট ঔষধটি-ই আপনার খাওয়া উচিত। হোমিওপ্যাথিতে একবারে একটির বেশী ঔষধ খাওয়া নিষিদ্ধ। মনে করুন, আপনার আমাশয় হয়েছে। তো আমাশয় হলে সাথে পেট ব্যথাও থাকে এবং কয়েকবার পায়খানা করলে শরীরে দুর্বলতাও এসে যায়। এক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আপনাকে তিনটি ঔষধ দিবে; একটি আমাশয়ের জন্য, একটি পেটব্যথার জন্য এবং স্যালাইন দিবে দুর্বলতার জন্য। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে যদি ঠিকমতো লক্ষণ মিলিয়ে দিতে পারেন তবে একটি ঔষধেই আপনার আমাশয়, পেট ব্যথা এবং দুর্বলতা সেরে যাবে। এজন্য তিনটি ঔষধ লাগবে না। ভাষাজ্ঞানের অভাবে অবুঝ শিশুরা এবং পশুপাখিরা তাদের অনেক কষ্টদায়ক রোগ লক্ষণের কথা বলতে পারে না। রোগের যন্ত্রণায় বেঁহুশ ব্যক্তিও তাদের কষ্টের কথা বলতে পারে না। এইসব ক্ষেত্রে আমাদেরকে বুদ্ধি খাটিয়ে রোগীর লক্ষণসমূহ আন্দাজ করে নিতে হবে। প্রতিটি রোগের সাথে যতগুলো ঔষধের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তার সবগুলো প্রথমে পড়ে নিন এবং তারপর যে ঔষধটি আপনার রোগ লক্ষণের সাথে সবচেয়ে বেশী মিলে যায়, সেটি খাওয়া শুরু করুন। ঔষধ কেনার নিয়ম-কানুন ? জার্মানী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যাণ্ড, পাকিস্তান, ভারত প্রভৃতি দেশে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরী হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও প্রায় আটাত্তরটির মতো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানী আছে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কেনার সময় দোকানদারকে বলবেন জার্মানীর অথবা আমেরিকান ঔষধ দেওয়ার জন্য। কেননা জার্মানীর এবং আমেরিকান ঔষধের কোয়ালিটির ওপর সবারই আস্থা আছে। হোমিওপ্যাথিক মূল ঔষধটি তৈরী করা হয় তরল আকারে। কিন্তু সেগুলো রোগীদের দেওয়া হয়ে থাকে পানিতে মিশিয়ে, (চিনির) বড়িতে মিশিয়ে, দুধের পাউডারে মিশিয়ে কিংবা অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি মূল ঔষধটিও দেওয়া হয়। তবে সরাসরি মূল ঔষধটি কেনা বা খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে ঔষধ বেশী খাওয়া হয়ে যায়; ফলে তার সাইড-ইফেক্টও বেশী হতে পারে। তাছাড়া শিশির কর্ক টাইট করে লাগাতে ভুলে গেলে ঔষধ উড়ে যায় এবং মুখ খুলে বা শিশি ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে গেলে সেগুলো আর উঠানো যায় না। কাজেই ঔষধ চিনির বড়িতে কেনা এবং খাওয়াই বুদ্ধিমানের পরিচায়ক। এক ড্রাম, দুই ড্রাম, হাফ আউন্স, এক আউন্স ইত্যাদি পরিমাণে ঔষধ ক্রয় করবেন। ঔষধ কেনার সময় এই ভাবে বলতে হবে যে, ডাক্তার সাহেব ! আমাকে অমুক ঔষধটি অমুক শক্তিতে (যেমন Nux vomica 30) বড়িতে এক ড্রাম দেন। (কারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধের যারা ব্যবসা করেন তারা সবাই গভার্নমেন্ট রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা।) হোমিও ঔষধের মেয়াদ থাকে কত দিন ? মূল হোমিও ঔষধ যা তরল আকারে তৈরী করা হয়ে থাকে, তার কোন এক্সপাইরি ডেট নাই অর্থাৎ এগুলো কখনও নষ্ট হয় না। কেননা মূল হোমিও ঔষধটি ইথাইল এলকোহল বা রেকটিফাইড স্পিরিটে তৈরী করা হয়ে থাকে। আর এলকোহল বা স্পিরিট যেহেতু কখনও নষ্ট হয় না, সেহেতু মূল হোমিও ঔষধও কখনো নষ্ট হয় না। এগুলো আপনি কেয়ামত পযর্ন্ত নিশ্চিনে- ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু মূল ঔষধটি যখন আপনি চিনির বড়িতে, পাউডারে বা পানিতে মিশিয়ে কিনে আনবেন, সেটি আপনি অনন্তকাল ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা সেগুলো কয়েক বছর পরেই নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আপনি একটি ঔষধ চিনির বড়িতে কিনে আনলেন এবং পাঁচ বছর পরে দেখলেন সাদা চিনির বড়িগুলি হলুদ বা লাল বা কালো হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে ঔষধগুলি ফেলে দেওয়া উচিত; কেননা এগুলো যে নষ্ট হয়ে গেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কত শক্তির ঔষধ খাওয়া উচিত ? হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিগুলো হলো ৩, ৬, ১২, ৩০, ২০০, ১০০০ (বা 1M), ১০০০০ (বা 10M), ৫০০০০ (বা 50M), ১০০,০০০ (বা CM) ইত্যাদি। সবচেয়ে নিম্নশক্তি হলো মাদার টিংচার বা কিউ (Q) এবং ইহার শক্তিকে ধরা হয় শূণ্য (zero)। তাদের মধ্যে ৩, ৬, ১২, ৩০ কে বলা হয় নিম্নশক্তি আর ২০০ শক্তিকে বলা হয় মধ্য শক্তি। পক্ষান্তরে ১০০০, ১০০০০, ৫০০০০ এবং ১০০০০০ কে ধরা হয় উচ্চ শক্তি হিসাবে। নতুন রোগ বা ইমারজেন্সী রোগের ক্ষেত্রে নিম্নশক্তি এবং মধ্যশক্তির ঔষধ সবচেয়ে ভালো কাজ করে। পক্ষান্তরে উচ্চ শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করতে হয় অনেক দিনের পুরনো রোগে অর্থাৎ ক্রনিক ডিজিজে। হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের মতে, ৩০ শক্তি হলো স্ট্যান্ডার্ড শক্তি। হ্যাঁ, ঔষধের প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহের অনেকগুলো যদি রোগীর মধ্যে নিশ্চিত পাওয়া যায়, তবে এক হাজার (1M) বা দশ হাজার (10M) শক্তির ঔষধও খেতে পারেন। কিন্তু উচ্চ শক্তির ঔষধ অপ্রয়োজনে ঘনঘন খেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া উচ্চ শক্তির ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। কেননা সেক্ষেত্রে ঔষধের নির্বাচন ভুল হলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। একই শক্তির ঔষধ সাধারণ একবারের বেশী খাওয়া উচিত নয়। অনেক সময় দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার খেলেও উপকার হয়। কিন্তু ইহার পর আর ঐ শক্তির ঔষধে তেমন কোন উপকার হয় না। হ্যানিম্যানের নির্দেশ হলো, প্রতিবার ঔষধের শক্তি বৃদ্ধি করে খেতে হবে। আপনার কাছে যদি একাধিক শক্তির ঔষধ না থাকে, তবে একমাত্রা (এক ফোটা বা ৪/৫ টি বড়ি) ঔষধকে আধা বোতল পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাওয়ার পূর্বে জোরে দশবার ঝাঁকি দিয়ে ঔষধের শক্তি বাড়িয়ে খান। (সাধারণত হাফ লিটার বা তার চাইতেও ছোট বোতল ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত একই বোতলে একবারের বেশী ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে অন্য কোন বোতল না থাকলে সেটিকে অবশ্যই সাবান দিয়ে এবং গরম পানি দিয়ে ভালো করে অনেকবার ধুয়ে নেওয়া উচিত।) ঔষধ কি পরিমাণ খেতে হবে ? পূর্ণ বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ঔষধ বড়িতে খেলে সর্বোচ্চ ৪/৫ (চার/পাঁচ) টি বড়ি করে খাবেন এবং তরল আকারে মূল ঔষধটি খেলে এক ফোটা করে খাওয়াই যথেষ্ট। তের বছর বয়স পযর্ন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ঔষধ বড়িতে খেলে ২/৩ (দুই/তিন) টি বড়ি করে খাবেন এবং তরল আকারে মূল ঔষধটি খেলে আধা ফোটা করে খাবেন। পক্ষান্তরে দুয়েক দিন বা দুয়েক মাসের একেবারে ছোট নবজাতক শিশুকে ঔষধ বড়িতে খাওয়ালে ১/২ (এক/দুইটি) টি বড়ি করে খাওয়াবেন এবং তরল আকারে মূল ঔষধটি খাওয়ালে এক ফোটার চার ভাগের এক ভাগ খাওয়ানোই যথেষ্ট। (এক ফোটা ঔষধকে এক চামচ পানির সাথে ভালো করে মিশিয়ে তার অর্ধেকটি ফেলে দিয়ে বাকী অর্ধেকটি খেলেই আধা ফোটা ঔষধ খাওয়া হবে। তেমনিভাবে এক ফোটা ঔষধকে এক চামচ পানির সাথে ভালো করে মিশিয়ে তার চার ভাগের তিন ভাগ ফেলে দিয়ে বাকীটুকু খেলেই এক ফোটার চার ভাগের এক ভাগ ঔষধ খাওয়া হবে।) কখনও ভাববেন না যে, এতো কম করে ঔষধ খাওয়ালে রোগ সারবে কিনা ? মনে রাখবেন ঔষধ বেশী খাওয়ালে বরং রোগ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষত শিশুরা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হলে তাদেরকে নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে বেশী ঔষধ খাওয়াবেন না, তাহলে তাদের রোগ বেড়ে গিয়ে জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হতে পারে। ঔষধ কিভাবে খেতে হবে ? ঔষধ খেতে হবে প্রধানত মুখ দিয়ে। যত ইমারজেন্সী সমস্যাই হোক না কেন, মুখে খেলেই চলবে। ঔষধের নির্বাচন যদি সঠিক হয়, তবে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সেটি মুখে খেলেও একেবারে হাই পাওয়ারের ইনজেকশানের চাইতেও অন্তত একশগুণ দ্রুত কাজ করবে। ইনজেকশান দেওয়া, পায়খানার রাস্তা দিয়ে ঔষধ ঢুকানো বা এই জাতীয় কোন শয়তানী সিষ্টেমের হোমিওপ্যাথিতে স্থান নেই। যদি রোগীর দাঁত কপাটি লেগে থাকে বা বমির জন্য ঔষধ গিলতে না পারে, তবে ঔষধ মুখে বা ঠোটের ফাঁকে রেখে দিলেই চলবে। আবার ঔষধকে একটি বোতলে নিয়ে একটু পানির সাথে মিশিয়ে জোরে কয়েকটা ঝাঁকি দিয়ে তার বাষ্প নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলেও কাজ হবে। আরেকটি পন্তুা আছে, তাহলো ঔষধকে একটু পানিতে মিশিয়ে পরিষ্কার চামড়ার ওপর মালিশ করা (যেখানে কোন চর্মরোগ নেই)। যে-সব শিশু বুকের দুধ খায়, তাদের যে-কোন রোগ-ব্যাধিতে তাদেরকে ঔষধ না খাইয়ে বরং তাদের মা-কে খাওয়ালেও কাজ হবে। শিশুরা বা মানসিক রোগীরা যদি ঔষধ খেতে অস্বীকার করে, তবে তাদেরকে না জানিয়ে দুধ, পানি, ভাত, চিড়া, মুড়ি, বিস্কিট, ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে ঔষধ খাওয়াতে পারেন। তাতেও কাজ হবে। অধিকাংশ নতুন রোগ (acute disease) একমাত্রা হোমিও ঔষধেই সেরে যায়; যদি ঔষধের লক্ষণ আর রোগের লক্ষণ একশ ভাগ মিলিয়ে সঠিক শক্তিতে ঔষধ দেওয়া যায়।

⭕🌿🌳🍀🌲⭕🌿🌳🍀⭕🌿🌳🍀⭕

হোমিওপ্যাথিক টিপস অল্প সময়ে অধিক গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করায় ফেসবুক কতৃপক্ষ সম্ভবত অনেক পোস্ট স্পামবক্সে ফেলে দিয়ে বুস্ট করার জন্য বার বার রিমান্ডার দিচ্ছে।

এটি একটি পরামর্শ ও সচেতনতামূলক পেজ।বুস্ট করে জনপ্রিয়তা অর্জনের কোন কার্যক্রম গ্রহন করার মানষিকতা এডমিনের নেই।আর তাছাড়া দর্শক প্রিয়তার চেয়ে বড় বুস্ট আর নেই।

তাই বেশি বেশি লাইক ও শেয়ার করুন যাতে পরবর্তী লেখার অনুপ্রেরনা পাই আর আপনার মাধ্যমে যেন অন্য কেউ উপকার পায়।অন্যথায় হয়তো লেখার মানষিকতা হারিয়ে যাবে।যে কোন পরামর্শের জন্য যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।সবার জন্য শুভকামনা রইল।

  

📗জার্মান হোমিও কেয়ার

☎হেল্পলাইন 🏪01994453367

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) নারীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুতর একটি রোগ

 স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) নারীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুতর একটি রোগ। সঠিক সচেতনতা, নিয়মিত পরীক্ষা ও সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।


🌸 স্তন ক্যান্সারের কারণসমূহ:


১. জেনেটিক বা বংশগত কারণ:

যদি পরিবারের মা, বোন বা নিকট আত্মীয়দের স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে, তবে ঝুঁকি বেশি থাকে।


২. বয়স:

বয়স বাড়ার সাথে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে, বিশেষ করে ৪০ বছরের পর থেকে।


৩. হরমোনাল কারণ:

সময়ের আগে মাসিক শুরু হওয়া বা অনেক দেরিতে বন্ধ হওয়া।

মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া।


৪. জীবনযাপনের অভ্যাস:

অতিরিক্ত ওজন, শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান বা অতিরিক্ত মদ্যপান।


৫. প্রথম সন্তান জন্মদানে বিলম্ব অথবা সন্তান না হওয়া।


৬. দুধ না খাওয়ানো


সন্তানকে স্তন্যদান না করাও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


✅ স্তন ক্যান্সার থেকে উত্তরণের করণীয়:


১. নিয়মিত স্ব-পরীক্ষা (Self-Examination)


প্রতি মাসে স্তনে কোনো গাঁট, অস্বাভাবিক ফোলা, ব্যথা, নিঃসরণ বা গঠনগত পরিবর্তন আছে কি না দেখে নিন।


২. মেডিকেল স্ক্রিনিং


ম্যামোগ্রাফি: ৪০ বছরের পর থেকে প্রতি বছর ম্যামোগ্রাফি করা ভালো।


ডাক্তারি পরামর্শ: বছর অন্তর একজন স্তন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা করা উচিত।


৩. সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ


প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন।


স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।


ফলমূল, শাকসবজি ও কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।


৪. স্তন্যদান (Breastfeeding)


সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করানো স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।


৫. হরমোন চিকিৎসা থেকে বিরত থাকা


দীর্ঘমেয়াদী হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এড়িয়ে চলুন।


৬. মানসিক সচেতনতা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত


স্তন ক্যান্সার নিয়ে ভয় না পেয়ে, সময়মতো পরীক্ষা ও প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।


📢 মনে রাখুন:

"সময়মতো পরীক্ষা করান, নিজেকে ও প্রিয়জনকে রক্ষা করুন।"


"মানব জীবন + হোমিওপ্যাথি" 

এই পেজটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এন্টিবায়োটিকের বিকল্প হোমিওপ্যাথিক ঔষধ-  ---------------

 এন্টিবায়োটিকের বিকল্প হোমিওপ্যাথিক ঔষধ-

 ---------------------------------

Alternative medicine list of homeopathy

কিছু হোমিও ঔষধ আছে যাদেরকে লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারলে দেখা যাবে,এরা বাজারের যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকের চাইতেও ভালো এবং দ্রুত কাজ করছে।যেমন-একোনাইট নেপিলাস, আর্সেনিকএলবম, বেলেডোনা, ব্যাপটেসিয়া, ফসফরাস,ল্যাকেসিস, ফেরমফস, পালসেটিলা,হিপার সালফার,মার্কসল,আর্নিকা,ভেরেট্রাম এলবম, 

কেলি বাইক্রম, পাইরোজিনাম,ইচিনিসিয়া ঔষধগুলিকে বিপদজ্জনক পরিস্থিতিতে হোমিও এন্টিবায়োটিক রূপে ব্যবহার করতে পারেন।এদের বাইরেও আরো অনেক হোমিও ঔষধ আছে, যাদেরকে লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করলে এন্টিবায়োটিকের মতো ফল পাবেন।সাধারণত মারাত্মক কোন জীবাণুর আক্রমণ নিয়ন্ত্র্রণ এবং নিমূর্ল করতে যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকেরও দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায় ; কিন্তু যদি ঠিক-ঠাক মতো লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধগুলো উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে দেখবেন দু’য়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে-কোন মারাত্মক ইনফেকশানও কন্ট্রোলে এসে যায়। 

আরেকটি কথা হলো এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া নিধন করতে পারে কিন্তু ভাইরাস দমন করতে পারে না;কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেগুলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস সবই মুহূর্তের মধ্যে বিনাশ করে দিবে। এ‍্যালোপ্যাথিতে যদিও অল্পকিছু এন্টিভাইরাল ঔষধও আছে, কিন্তু দাম এতো বেশী যে তাতে রোগীদের ভিটেমাটি বিক্রি করা লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে রক্তের কালচার টেস্ট করে জানতে হয়, কোন জাতের কোন বেজাতের জীবাণু আক্রমণ করেছে এবং কোন এন্টিবায়োটিকে তাকে মারা সম্ভব ! কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো ঠিকমতো, লক্ষণ মিলিয়ে দিতে পারলে, জীবাণু নিশ্চিতই বিনাশ হবে, তাদের জীবাণুর জাতকুল জানা যাক আর না যাক।তাছাড় উচ্চ শক্তির এন্টিবায়োটিক গুলোর সাইড ইফেক্ট এতই মারাত্মক যে, তাতে যে কারও অকাল মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। এগুলো মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের এবং হাড়ের মেরুমজ্জার এতই ক্ষতি করে যে, তাতে যে কেউ প্যারালাইসিস, ব্রেন ড্যামেজ, ব্লাড ক্যানসার, সারাজীবনের জন্য কংকালসার হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে এমন জঘন্য ধরনের কোন সাইড ইফেক্ট নাই, এমনকি ছোট্ট শিশুরাও যদি ভুল ঔষধ খেয়ে ফেলে তাতেও না। আরেকটি কথা হলো, এন্টিবায়োটিকগুলো ক্ষতিকর জীবাণুর সাথে সাথে আমাদের শরীরের অনেক উপকারী জীবাণুকেও বিনাশ করে দেয়, কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো উপকারী জীবাণু হত্যা করে না।এজন্য অনেক বিজ্ঞানী এন্টিবায়োটিককে মনে করেন আন্দাজে বোমা মারার সমান, যাতে দুশমনও মরে আবার নিরীহ মানুষও মরে আবার কখনও কখনও বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনও মরে সাফ হয়ে যায়।


#একোনাইট নেপিলাস:

যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি সেটি হঠাৎ শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। রোগের উৎপাত এত বেশী হয় যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। এক ফোটা বা ৫টি বড়ি করে রোজ তিনবেলা বা আরো ঘন ঘন খেতে পারেন যতদিন প্রয়োজন মনে করেন।সাধারণত ৩০ বা ২০০ শক্তি হইল স্ট্যান্ডার্ড পাওয়ার।


#ব্রাইয়োনিয়া এলবম:

যদি রোগীর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে,নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, পায়খানা শক্ত হয়ে যায়ইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে হোক না তা টাইফয়েড-নিউমোনিয়া-এপেন্ডিসাইটিস বা আরো মারাত্মক কোন ইনফেকশান, ব্রায়োনিয়া হবে তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। উচ্চ শক্তিতে (১০০০, ১০০০০, ৫০০০০) এক ডোজ ব্রায়োনিয়া খাইয়ে দিন, সম্ভবত দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানোর আর প্রয়োজন হবে না। 


#রাসটক্স: 

রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করতেছে। বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া বা ভিজা বাতাসের সময়কার যে-কোন জ্বরে (বা অন্যান্য রোগে) রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে না। বরং এজন্য কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কেননা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রাস টক্সের একশান নষ্ট হয়ে যায়। 

(* ব্রায়োনিয়া এবং রাস টক্সের প্রধান দুটি লক্ষণ মনে রাখলেই চলবে ; আর তা হলো - নড়াচড়া করলে ব্রায়োনিয়ার রোগ বেড়ে যায় এবং রাস টক্সের রোগ হ্রাস পায় / কমে যায়।) 


#বেলেডোনা:

যে-কোন রোগেযদি সারা শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায়, শরীর জ্বালা পোড়া করতে থাকে, তবে বেলেডোনা হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। যে-কোন রোগের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে (অর্থাৎ এলোমেলো কথা বলতে থাকে), তবে বুঝতে হবে যে রোগীর ব্রেনে ইনফেকশান হয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে বেলেডোনা হলো তার সেরা এন্টিবায়োটিক। 


#আর্সেনিক এলবম:

যে-কোন রোগে বা ইনফেকশনের সাথে যদি রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী নড়াচড়া ছাড়া থাকতে পারে না), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্পতেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে,অতিমাত্রায় মৃত্যুভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিতইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে আর্সেনিক হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। 


#ব্যাপটেসিয়া টেনাক্স :

যদিও ব্যাপটিশিয়া ঔষধটি হোমিওপ্যাথিতে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় বেশী ব্যবহৃত হয় কিন্তু এই ঔষধটির লক্ষণসমূহ পাওয়া গেলে যে-কোন মারাত্মক ধরনের ইনফেকশনে এটি চমৎকার এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে। ব্যাপটিশিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অবশ অবশ ভাব, এখনই প্যারালাইসিস হয়ে যাবে এমন ভয় হওয়া, চেতনা আধা লোপ পাওয়া (অনেকটা মাতালদের মতো), সারা শরীরে যেন ঘা হয়ে গেছে এমন ব্যথা, মুখ থেকে এবং নিঃশ্বাসে মরা লাশের গন্ধ, ঘুমঘুম ভাব, কথা শেষ করার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মনে হয় তার শরীর টুকরা টুকরা হয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। 


#ফেরম ফস:

ফেরাম ফস ঔষধটি যে-কোন নতুন ইনফেকশানে ব্যবহার করে দারুণ ফল পাবেন। ইনফেকশনের মূল ঝামেলা হলো স্থানীয় রক্ত সঞ্চয় এবং ফেরাম ফস কনজেশান দূর করতে সেরা ঔষধ। সাধারণত অন্যকোন ঔষধের লক্ষণ পাওয়া না গেলে যে-কোন ইনফেকশনে ফেরাম ফস একটি উৎকৃষ্ঠ এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে। 


#হিপার সালফ: 

হিপার সালফ চর্ম এবং কোমল কলাতন্তু একটি শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক। সাধারণত ফোড়া , দাঁতের গর্তের ইনফেকশান, ইরিসিপেলাস , কান পাকা ইত্যাদি রোগে ইহার প্রয়োগ বেশী হয়ে থাকে। পাশাপাশি ফুসফুসের রোগেও এটি একটি সেরা এন্টিবায়োটিক।কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশি ইত্যাদি রোগেও হিপারের কথা এক নাম্বারে মনে রাখা দরকার। হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্ত স্থানে এতো ব্যথা থাকে যে স্পর্শই করা যায় না এবং ঠান্ডা বাতাসে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। 


#আর্নিকা মন্টেনা: 

আমরা সবাই জানি যে, আঘাতের ব্যথার জন্য আনির্কা একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ।কিন্তু আনির্কা যে একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক বা জীবাণু বিনাশী ঔষধ তা আমরা অনেকেই জানি না। টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি ইত্যাদির মতো মারাত্মক ইনফেকশনেও লক্ষণ থাকলে চোখ বুজে আনির্কা দিতে পারেন। সাধারণত যে-কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা উপর থেকে পড়ার কারণে কোন ইনফেকশান বা ক্ষত হলে; এমনকি গ্যাংগ্রিন হলেও আনির্কাহবে তার শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক।আনির্কার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্ত স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে), রোগী ভীষণ অসুস্থ হয়েও মনে করে তার কোন অসুখ নেই, সে ভালো আছ।


#মার্ক সল: মার্ক সল একটি বহুমুখী কার্যসম্পন্ন হোমিওপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তুরোগী আরাম পায় না, ঘামে এবং মুখে দুর্গন্ধ থাকে, পায়খানা করার সময় কোথানি লাগে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায় ইত্যাদি। মারকারী গ্রুপের অন্যান্য ঔষধগুলিও একই রকম এন্টিবায়োটিক ক্ষমতাসম্পন্ন ঔষধ।যেমন- মার্ক কর, মার্ক ডলসিস, মার্ক আইয়োড, আইয়েডেট, মার্ক পডো আইয়োড ইত্যাদি প্রয়োজনের সময় যে-টাই হাতের কাছে পান,ব্যবহার করতে পারেন।


রোগীর ধাতুগত লক্ষণ, মানসিক লক্ষণ, রোগীর লক্ষণসমষ্টির সাদৃশ্যে সর্বাপেক্ষা অধীক সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করতে সক্ষম হলেই দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। এ কাজটি অত্যন্ত কঠিন তাই নিজের ঔষধ নিজে নির্বাচন না করে একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাহায্য নিন।

---------------------

লেখা-- ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

অ্যাকিউট ডিজিজ এর চিকিৎসা করার জন্য কিছু পিকিউলিয়ার সিমপটমস জেনে রাখুন-----

 🔸🪴 অ্যাকিউট ডিজিজ এর চিকিৎসা করার জন্য কিছু পিকিউলিয়ার সিমপটমস জেনে রাখুন-----


★ ঝরনা বা পাহাড়ী নদীতে যখন জল কল কল করে উপর থেকে নিচে নামে, তা দেখে মাথা ঘুরে যায় ----ফেরাম মেটালিকাম,


★ মেয়েদের ঋতুস্রাব এত কম যে মাত্র এক বা দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়, তার বেশী আর হয় না----ইউফ্রেশিয়া ,


★ মেয়েদের প্রিয়ড হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখে ---প্রিয়ড হয় না, কিন্তু ঠিক সেই দিনগুলিতেই ----প্রচুর সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া হয়----- ককুলাস ইন্ডিকা,


★ প্রিয়ডের তারিখগুলিতে প্রিয়ড হয় না , কিন্তু ঠিক সেই সময় প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা হয়----- গ্লোনয়িন ,


★প্রত্যেকবার কাশির ধমক শেষ হলে এক টুকরো দূর্গন্ধ কফ মুখের ভেতর থেকে ঠিকরে বাইরে পড়ে ---- ক্যাপসিকাম ,


★ মাথার চুল গায়ে গায়ে বড্ড জড়িয়ে যায়, যাকে বলে চুলে জট পড়ে --- বোরাক্স,


★ খাবার দাবারের গন্ধ একেবারেই সহ্য হচছে না, যে কোন রান্না করা খাবার দেখলেই বমি আসছে, ----ককুলাস ইন্ডিকা,


★ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে ঠিক মতন প্রস্রাব করতে পারে, বসে করতেই পারে না -- অসুবিধা হয় ----- সার্সাপেরিলা৷,


★ পেট ব্যথার সময় মনে হয় পেটের সামনের দিক থেকে একটা দড়ি বা বেল্ট দিয়ে পেটটাকে যেন পিছন দিকে ভার্টিব্রাল কালামের সাথে টাইট করে কেউ বেঁধে রেখেছে -----প্লাম্বাম মেটালিকাম ,


★ হার্টে মনে হয় শক্ত লোহার তার দিয়ে টাইট করে পিছন দিকে বেঁধে রেখেছে ---- ক্যাকটাস,


★ নতুন বিবাহিতা মহিলাদের প্রস্রাবের রোগ, প্রস্রাব আটকে যাচ্ছে , সাথে জ্বালা ও ব্যথা --- স্টাফিসেগ্রিয়া,


★ সামনা সামনি বসলেও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না, অন্য দিকে তাকিয়ে অাড় চোখে কথা বলে----- স্টাফিসেগ্রিয়া ,


কলেরা টি বি, ক্যান্সার, এসব বড় বড় অসুখের বড্ড ভয় ---- নাইট্রিক অ্যাসিড,


★ টিন এজের ছেলেরা রাত দিন একা থাকতে চায়, বাইরে বেরুতে চায় না, বদ্ধ ঘরের মধ্যে থেকে শুধু হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা------ বিউফো রানা,


★ প্রত্যেকবার মাসিকের সময় গলায় ব্যথা হবেই হবে ----ম্যাগ কার্ব, ল্যাক ক্যানাইনাম,


★ প্রত্যেকবার মাসিকের সময় পাতলা পায়খানা হবেই হবে ------এ্যামন কার্ব, বোভিষ্টা, ভিরেট্রাম এ্যালবাম, পালসেটিলা,


★ প্রত্যেকবার মাসিকের সময় পায়খানা খুব শক্ত হয়ে যায় ----সাইলিসিয়া


★ প্রত্যেকবার মাসিকের আগে বা পরে মুখে ব্রণ বের হয় --কোনিয়াম, ডালকামারা৷


চলবে

মানবদেহের অলৌকিকতা: স্রষ্টার নিখুঁত সৃষ্টি ও বিজ্ঞানের বিস্ময়

 মানবদেহের অলৌকিকতা: স্রষ্টার নিখুঁত সৃষ্টি ও বিজ্ঞানের বিস্ময়


মানবদেহ—এই একটি সৃষ্টি এতটাই জটিল, এতটাই নিখুঁতভাবে গঠিত যে, একজন চিকিৎসক সারাজীবন শুধু একটি অঙ্গ নিয়েই গবেষণা করে কাটিয়ে দিতে পারেন—তবুও সে পূর্ণরূপে তা বোঝেন না। আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সব উন্নতির পরও আমরা এখনো মানবদেহের বহু রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারিনি।


এই শরীর শুধু হাড়-মাংসের কাঠামো নয়—এটি অলৌকিকতার এক জীবন্ত নিদর্শন। কুরআন বলেছে:


> "وَفِي أَنفُسِكُمْ ۚ أَفَلَا تُبْصِرُونَ"

“আর তোমাদের নিজের মধ্যেই তো বহু নিদর্শন আছে, তবুও কি তোমরা দেখবে না?”

— সূরা আদ-ধারিয়াত: ২১


১. মানব মস্তিষ্ক: মহাবিশ্বের চেয়েও জটিল


একটি মানব মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, এবং প্রতিটি নিউরন অন্যদের সঙ্গে হাজারো সংযোগ তৈরি করে—ফলাফল: একটি নিউরোনাল নেটওয়ার্ক যা ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি সংযোগ তৈরি করে।


মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে দশ হাজারের বেশি তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে, আমাদের চেতনা তা বুঝে ওঠার আগেই।


➡️ কিন্তু আশ্চর্য যে, এই মস্তিষ্ক কোনো “চার্জার” ছাড়া চলতে থাকে। হৃদয় আর অক্সিজেনই তার জ্বালানি।


২. হৃদপিণ্ড: এক অক্লান্ত ইঞ্জিন


মানব হৃদয় প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ বার স্পন্দিত হয় এবং প্রায় ৭,৫০০ লিটার রক্ত পাম্প করে।


এটি এক মুহূর্তের জন্যও থামে না। যদি থেমে যায়—জীবনও থেমে যায়।


➡️ সৃষ্টিকর্তা এর যান্ত্রিক গঠন এমন নিখুঁতভাবে বানিয়েছেন—যেটি একটানা ৬০–১০০ বছর পর্যন্ত চলে যায় বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি ছাড়াই!


৩. মানব চক্ষু: এক জটিল ক্যামেরা


চোখ প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে তিন লাখ বার তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে।


মানুষের চোখ ১০ মিলিয়ন রঙ পার্থক্য করতে পারে, এবং আধুনিক প্রযুক্তি এখনও এই পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে না।


রেটিনা এত সংবেদনশীল যে, একটি জ্যোতির্ময় নক্ষত্র রাতের আকাশে দেখেও আমরা তার আলোর সন্ধান পেয়ে যাই।


➡️ অথচ এই চোখ মাত্র ২.৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের।


৪. ডিএনএ: আমাদের জীবনের কোডবই


প্রতিটি মানুষের দেহে প্রায় ৩৭ ট্রিলিয়ন কোষ আছে। প্রতিটি কোষে আছে ডিএনএ—একটি জটিল জেনেটিক কোড।


ডিএনএ-র এককোটিরও বেশি "বর্ণ" (base pair) আছে, যা যদি টাইপ করে কাগজে লেখা হয়, তবে তা প্রায় ৬০০,০০০ পৃষ্ঠার একটি বই হবে।


➡️ এটি সেই কোড যা বলে দেয়—তোমার গায়ের রঙ কেমন হবে, চোখ কেমন হবে, কণ্ঠস্বর কেমন, এমনকি তুমি কোন রোগে বেশি আক্রান্ত হতে পারো!


 ৫. হাড় ও পেশী: শক্তির আশ্চর্য খনি


মানুষের হাড় তার ওজনের তুলনায় ৫ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে।


আমাদের শরীরের পেশী ও স্নায়ু এমনভাবে কাজ করে, যাতে মিলিমিটার পরিমাণ গতিও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


➡️ কেবল একটি আঙুল নাড়ানোর জন্য ৩০টিরও বেশি পেশী কাজ করে।


৬. রক্ত: প্রাণের নদী


মানবদেহে রক্তনালীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১ লক্ষ কিমি—যা পৃথিবীকে ২.৫ বার ঘুরিয়ে ফেলার মতো।


রক্ত কোষ প্রতি ২০ সেকেন্ডে একবার দেহের সব কোষে পৌঁছে যায়—অক্সিজেন, হরমোন, পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে আবার ফিরে আসে।


➡️ আমরা গভীর ঘুমে থাকলেও এই নীরব সিস্টেম কাজ করে যায়!


৭. ঘুম ও স্বপ্ন: দেহ-মন রিফ্রেশারের অলৌকিকতা


ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক "ডেটা ক্লিনআপ" করে—অপ্রয়োজনীয় তথ্য মুছে ফেলে, গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি সংরক্ষণ করে।


স্বপ্ন এমন এক মানসিক জগৎ, যেখানে আমরা দেখি অতীত, ভবিষ্যৎ, কখনও অদ্ভুত, কখনও বাস্তবের ছায়া!


➡️ নবী ﷺ বলেছেন: “স্বপ্ন নবুওতের একটি অংশ।” (সহিহ মুসলিম)


ইসলাম ও মানবদেহ: সম্পর্ক কী?


ইসলাম মানবদেহকে "আমানত" হিসেবে দেখে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে:


> “যখন তাদের কানে, চোখে ও ত্বকে সাক্ষ্য দিতে বলা হবে তারা বলবে: 'তোমরা কেন আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে?' তারা বলবে: ‘আমাদের কথা বলিয়েছেন সেই আল্লাহ, যিনি সব কিছুকেই বাকশক্তি দিয়েছেন।’”

— সূরা হা-মীম সিজদাহ: ২০–২১


উপসংহার:


মানবদেহ কোন সাধারণ জৈবিক গঠন নয়—এটি এমন এক অলৌকিক ইঞ্জিন যার প্রকৌশলী একমাত্র আল্লাহ। এই শরীরের প্রতিটি অঙ্গ, প্রতিটি কার্যক্রম আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্রষ্টার অস্তিত্ব, তার জ্ঞান ও ক্ষমতার সীমাহীনতা।


✅ বিজ্ঞান যখন বলে “বিস্ময়”,

 তখন কুরআন বলে—“তাফাক্কুর করো।”


🤲 আল্লাহর কাছে দোয়া:

হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে আমাদের শরীর গঠন করেছেন, তেমনি আমাদের মন, আত্মা ও ঈমানকেও সুস্থ ও পরিশুদ্ধ করুন। আমাদের শরীরকে আপনার ইবাদতের জন্য ব্যবহার করার তাওফিক দিন।

আমিন।

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

হৃদরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা -

 🔸🌵 হৃদরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা -


হৃদরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগীর লক্ষণভিত্তিক, ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। নিচে কিছু সাধারণ হৃদরোগ ও তাতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সংক্ষিপ্ত আলোচনা দেওয়া হলো:


 🫀 সাধারণ হৃদরোগের ধরন ও উপসর্গ:


1. হৃৎপিন্ডের দুর্বলতা (Cardiac weakness)

2. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)

3. বুক ধড়ফড় করা বা অনিয়মিত স্পন্দন (Palpitation)

4. এনজাইনা বা হৃদযন্ত্রে ব্যথা (Angina pectoris)

5. হার্ট ফেইলুর বা হৃদযন্ত্র ব্যর্থতা (Heart failure)


🌿 গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ:


1. Crataegus Oxyacantha/


ব্যবহার: হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে, উচ্চ রক্তচাপে উপকারী।

বিশেষত্ব: এটি "heart tonic" হিসেবে কাজ করে।


2. Digitalis Purpurea/ ডিজিটালিস পারপুরা


ব্যবহার: হৃদস্পন্দন ধীর কিন্তু শক্তিশালী – অনুভব হয় যেন প্রতি স্পন্দনের পর থেমে যায়।

বিশেষত্ব: দুর্বল হৃদযন্ত্রে কার্যকর।


3. Cactus Grandiflorus/ ক্যাকটাস গ্রান্ডিফ্লোরা


ব্যবহার-  বুকে যেন কেউ চেপে ধরে আছে – হৃদযন্ত্র সংকোচনের মতো ব্যথা।

বিশেষত্ব: এনজাইনা ও বুক ধড়ফড় করার ক্ষেত্রে উপকারী।


 4. Aurum Metallicum/  অরাম মেট


ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা ও হৃদকম্প।

বিশেষত্ব: মানসিক চাপজনিত হৃদরোগে কার্যকর।


 5. Spigelia / স্পাইজেলিয়া


ব্যবহার: হৃদযন্ত্রের ব্যথা বামদিকে ছড়িয়ে পড়ে, মাঝে মাঝে হাতেও যায়।

**বিশেষত্ব: সংবেদনশীল ও দ্রুত স্পন্দনবিশিষ্ট হৃদরোগে ব্যবহৃত হয়।


 6. Lachesis/ ল্যাকেসিস 


ব্যবহার: রক্তচাপ বাড়ে, গলা বা বুকে চাপ লাগলে খারাপ হয়।

বিশেষত্ব: মেয়েদের মেনোপজ পরবর্তী হৃদরোগে উপকারী।


 7. Adonis Vernalis এডোনিস ভার্সন 


ব্যবহার: দীর্ঘস্থায়ী হৃদযন্ত্র দুর্বলতা বা হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেলে।

বিশেষত্ব: এটি কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রস্রাবের পরিমাণও বাড়ায়।


⚠️ সতর্কতা:


* হৃদরোগের ক্ষেত্রে নিজে চিকিৎসা না করে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

* হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যক্তি ও উপসর্গভিত্তিক হওয়ায় একজনের ওষুধ অন্যজনের ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এর নিকট থেকে চিকিৎসা নিন।

Cd

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

মানব জীবন + হোমিওপ্যাথি"

 বিবাহিত মহিলাদের অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা (Nymphomania বা Excessive Sexual Desire) এবং সঙ্গীর অপর্যাপ্ত মনোযোগের কারণে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের দিকে ঝোঁক একটি জটিল সামাজিক ও মানসিক সমস্যা। হোমিওপ্যাথিতে এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য মানসিক লক্ষণ, শারীরিক উপসর্গ এবং রোগীর সামগ্রিক প্রকৃতি বিবেচনা করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়।


হোমিওপ্যাথিক ওষুধের তালিকা (প্রধান ৫টি):


1. Platina (প্লাটিনা)

মানসিক লক্ষণ:

অতিরিক্ত যৌন কল্পনা, অহংকারী ও নার্সিসিস্টিক প্রবণতা।

সঙ্গীর প্রতি অবজ্ঞা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাব।

উত্তেজনার সাথে যৌনাঙ্গে অসাড়তা বা অতৃপ্তি।


শারীরিক লক্ষণ:

যৌনাঙ্গে সংবেদনশীলতা, রজঃস্রাবের সময় যন্ত্রণা।

উত্তেজনার পরেও তৃপ্তির অভাব।


2. Nux Vomica (নাক্স ভমিকা)

মানসিক লক্ষণ:

অতিরিক্ত উত্তেজনা, কিন্তু তা দমনের চেষ্টা করে।


স্বামীর প্রতি রাগ বা বিরক্তি, অস্থিরতা।

কাজের মধ্যে ডুবে থাকলেও যৌন চিন্তা ভাবনা করে।


শারীরিক লক্ষণ:

পেলভিক অঞ্চলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি।

কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যালকোহল বা মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক।


3. Lilium Tigrinum (লিলিয়াম টাইগ্রিনাম)

মানসিক লক্ষণ:

ধর্মীয় বা নৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে, কিন্তু যৌন ইচ্ছা দমন করতে পারে না।

হৃদয়ে চাপ বা ব্যথা অনুভব করা।

সব সময় যৌন চিন্তা, বিশেষ করে ধর্মভীরু মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।


শারীরিক লক্ষণ:

জরায়ুতে টান বা ভারী ভাব, যোনিপথে জ্বালাপোড়া।

ডান ডিম্বাশয়ে ব্যথা, হাঁটলে বেড়ে যায়।


4. Origanum (ওরিগ্যানাম)

মানসিক লক্ষণ:

অতিরিক্ত উত্তেজনা, প্রায়শই যৌন স্বপ্ন দেখা।

সঙ্গীর অনুপস্থিতিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি।


শারীরিক লক্ষণ:

রজঃস্রাবের সময় উত্তেজনা বৃদ্ধি।

যৌনাঙ্গে গরম ভাব, ঘন ঘন যৌন ইচ্ছা।


5. Selenium (সেলেনিয়াম)

মানসিক লক্ষণ:

দুর্বল স্নায়ুতন্ত্র, কিন্তু যৌন চিন্তা প্রবল।

স্বামীর প্রতি আকর্ষণ কম, কিন্তু অন্য পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ।


শারীরিক লক্ষণ:

শুক্রাণু বা যোনি স্রাবের সাথে দুর্বলতা।

উত্তেজনার পরে শারীরিক দুর্বলতা।


সাধারণ ব্যবস্থাপনা:

এই ওষুধগুলো এক্সপার্ট হোমিওপ্যাথের পরামর্শে সেবন করা উচিত।


মানসিক চাপ কমানোর জন্য ধ্যান, যোগব্যায়াম বা কাউন্সেলিং প্রয়োজন।


স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনা ও সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি।


দ্রষ্টব্য: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যক্তিগত লক্ষণের উপর নির্ভরশীল, তাই স্ব-চিকিৎসা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


"মানব জীবন + হোমিওপ্যাথি"

 এর পেইজের এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

জেলসেমিয়াম ঔষধ ভালো কাজ করেছে

 ডঃ ডব্লিউ. ই. রজার্স এমন একটি রোগীর কথা বলেছেন যেখানে জেলসেমিয়াম ঔষধ ভালো কাজ করেছে। রোগীটি ছিল ২২ বছর বয়সী এক যুবক, যার মেজাজ সবসময় খারাপ থাকত এবং সে অনেক বছর ধরে হস্তমৈথুন করত।


আগে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়েও তেমন উপকার পায়নি। তার লক্ষণগুলো ছিল: যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে পড়েছে, কোনো যৌন অনুভূতি নেই, অঙ্গগুলো অবশ লাগত, সে নিজেকে সম্পূর্ণ পুরুষত্বহীন মনে করত।


সন্ধ্যার দিকে হালকা উত্তেজনা হলেও খুব সামান্য স্রাব হতো। তার মন ছিল খুব বিষণ্ণ, সে বিবাহিত, শরীরের ওজন কমে গিয়েছিল, খাওয়ার ইচ্ছাও কমে গিয়েছিল, পেটেও ব্যথা হতো এবং চেহারাও ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল।


তাকে সকালে ও রাতে জেলসেমিয়াম টিংচারের দুই ফোঁটা করে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই তার অবস্থার উন্নতি হয় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়।

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

 

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

🌼🌿 প্রথমে ঔষধ > প্রিয়তা > কাতরতা 🌿🌼

1. 🤍এন্টিম ক্রুড:🤍 টক > উভয় কাতর।

2. 🤍এন্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

3. 🤍আর্জেন্ট নাইট:🤍 মিষ্টি, লবণ > গরম কাতর।

4. 🤍ব্যাসিলিনাম:🤍 মিষ্টি > অনির্দিষ্ট।

5. 🤍এসিড নাইট্রিক:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

6. 🤍কার্বোভেজ:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

7. 🤍চায়না:🤍 টক, ঝাল, মিষ্টি > শীত কাতর।

8. 🤍কস্টিকাম:🤍 ঝাল, লবণ > শীত কাতর।

9. 🤍ক্যালকেরিয়া কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > শীত কাতর।

10. 🤍ফ্লুরিক এসিড:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

11. 🤍হিপার:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

12. 🤍ক্যালি ফস:🤍 টক, মিষ্টি।

13. 🤍লাইকোপোডিয়াম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

14. 🤍ল্যাক ক্যান:🤍 ঝাল, লবণ > গরম কাতর।

15. 🤍মেডু:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > উভয় কাতর।

16. 🤍ম্যাগ মিউর:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

17. 🤍নেট্রাম ফস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

18. 🤍নেট্রাম মিউর:🤍 তিতা, লবণ > গরম কাতর।

19. 🤍সিকেলি কর:🤍 টক > গরম কাতর।

20. 🤍সিপিয়া:🤍 টক, ঝাল, তিতা > শীত কাতর।

21. 🤍সেলেনিয়াম:🤍 টক > গরম কাতর।

22. 🤍সালফার:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

23. 🤍স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যান:🤍 ঝাল।

24. 🤍থেরিডিয়ান কুরাস:🤍 টক।

25. 🤍থুজা:🤍 তিতা, লবণ > শীত কাতর।

26. 🤍ভিরেট্রাম:🤍 টক, লবণ > শীত কাতর।

27. 🤍পালস:🤍 টক, ঝাল > শীতকাতর/গরম কাতর।

28. 🤍ক্যালি কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

29. 🤍নাক্স ভমিকা:🤍 মিষ্টি, ঝাল > শীত কাতর।

30. 🤍আর্সেনিকাম অ্যালবাম:🤍 টক > শীত কাতর।

31. 🤍আকোনাইট:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

32. 🤍বেলাডোনা:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

33. 🤍ব্রায়োনিয়া:🤍 টক > শীত কাতর।

34. 🤍ক্যামোমিলা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

35. 🤍ক্যাফিয়া ক্রুডা:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

36. 🤍ক্যাংথারিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

37. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

38. 🤍ডিজিটালিস:🤍 লবণ > শীত কাতর।

39. 🤍ড্রোসেরা:🤍 টক > শীত কাতর।

40. 🤍ইপিকাকুয়ানা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

41. 🤍ইগনেশিয়া:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

42. 🤍কেন্টারিস:🤍 টক > শীত কাতর।

43. 🤍ল্যাকেসিস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

44. 🤍লেডাম প্যাল:🤍 টক > শীত কাতর।

45. 🤍ম্যাগনেসিয়া কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

46. 🤍মারকিউরাস:🤍 টক > শীত কাতর।

47. 🤍নাট্রাম কার্ব:🤍 টক > গরম কাতর।

48. 🤍ফসফরাস:🤍 টক > গরম কাতর।

49. 🤍রোডোডেন্ড্রন:🤍 টক > শীত কাতর।

50. 🤍স্পঞ্জিয়া:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

51. 🤍আলুমিনা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

52. 🤍এনাকার্ডিয়াম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

53. 🤍অ্যান্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

54. 🤍আর্সেনিকাম সেলফ:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

55. 🤍বারাইট কার্ব:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

56. 🤍ক্যালি আইওড:🤍 লবণ > গরম কাতর।

57. 🤍ক্যালি সালফ:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

58. 🤍ক্যানসারোসিন:🤍 মিষ্টি > উভয় কাতর।

59. 🤍সিনিচোনা:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

60. 🤍কোডেনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

61. 🤍কিউপ্রাম মেট:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

62. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

63. 🤍ফেরাম ফস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

64. 🤍গ্লোনোইন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

65. 🤍গ্রাফাইটস:🤍 টক > শীত কাতর।

66. 🤍হামামেলিস:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

67. 🤍হায়োসিয়ামাস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

68. 🤍ইডাক্রেনাম:🤍 টক > শীত কাতর।

69. 🤍ইডোফর্ম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

70. 🤍ইন্ডিগো:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

71. 🤍ইরিস ভার্স:🤍 টক > শীত কাতর।

72. 🤍জ্যাবোরান্ডি:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

73. 🤍কালি ব্রম:🤍 টক > শীত কাতর।

74. 🤍কালি ক্লোর:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

75. 🤍লেডাম পাল:🤍 টক > শীত কাতর।

76. 🤍লিথিয়াম কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

77. 🤍লুপুলিন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

78. 🤍ম্যাগনেসিয়া ফস:🤍 টক > শীত কাতর।

79. 🤍ম্যাংগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

80. 🤍মেডোরিনাম:🤍 টক > উভয় কাতর।

81. 🤍মেলিলোটাস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

82. 🤍মেন্টা পিপ:🤍 টক > শীত কাতর।

83. 🤍মোরফিনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

84. 🤍মিসমোডিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

85. 🤍মোনোট্রোপা:🤍 টক > শীত কাতর।

86. 🤍মিউরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

87. 🤍নাইট্রোজেন:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

88. 🤍নিকোতিনাম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

89. 🤍নাইট্রিক এসিড:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

90. 🤍নুক্স মোস্ক:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

91. 🤍অপিয়াম:🤍 টক > শীত কাতর।

92. 🤍অরিগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

93. 🤍অসিমাম স্যাঙ্ক:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

94. 🤍প্যারিস কোয়াড:🤍 টক > শীত কাতর।

95. 🤍পেট্রোলিয়াম:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

96. 🤍ফসফরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

97. 🤍প্লাটিনাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

98. 🤍প্লুম্বাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

99. 🤍পসিপরিনাম:🤍 ঝাল > উভয় কাতর।

100. 🤍রানুনকুলাস:🤍 টক > শীত কাতর।

💝💓💖 এই ঔষধগুলির প্রিয়তা এবং কাতরতা লক্ষণগুলি সাধারণত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

--Cd

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।


১। কোন বিষয় মনে উদয় হইবা মাত্র কার্যে পরিণত করা ঃ- Acid Oxalic

২। কোন পীড়ার কথা চিন্তা করিবা মাত্র সেই পীড়ার উৎপত্তি ঃ- Acid Oxalic

৩। কোনও প্রকার শব্দ ও গীতবাদ্য সহ্য হয়না ঃ- Aconite

৪। রক্ত বা ছুরি দেখিলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঃ- Alumina

৫। মানসিক লক্ষণ প্রাতে আরম্ভ, যত বেলা বাড়িতে থাকে ততই প্রবল হয় ঃ- Alumina

৬। সময় অতি ধীরে কাটে, ১ ঘন্টা সময় এক দিন বলিয়া মনে হয় ঃ- Alumina, Can. Indica

৭। শিশু স্নান করিতে চাহেনা ঃ- Ammon Carb, Antim Cr, Sulphur

৮। মনে করে সে শশ্মানে রহিয়াছে, শুনিতে পায় কে যেন তাহাকে বলিতেছে সে মরিবে ঃ- Anacardium

৯। শিশু নিয়ত কোলে বেড়াইতে চায় ঃ- Antim Tart

১০। শিশুর গায়ে হাতটি ছোঁয়াইলেই কাঁদে ঃ- Antim Tart

১১। শিশু মায়ের কোলে জড়াইয়া থাকে, চিকিৎসককে নাড়ী দেখিতে দেয়না ঃ- Antim Tart

১২। কসিয়া কাপড় পরিতে পারেনা ঃ- China

১৩। রোগী সর্বদা নিজের পীড়ার কথা বলে ঃ- Argent Nitric

১৪। সর্বদাই কথা কহিবার জন্য একজন লোক চায় ঃ- Argent Nitric

১৫। রোগী কোন কাজে হাত দিতে চাহেনা, ভাবে তাহার কাজ বিফল হইবে ঃ- Argent Nitric

১৬। সকল কাজে ব্যস্ত, তাড়াতাড়ী করে, দ্রুত চলে, উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত, নার্ভাস ঃ- Argent Nitric

১৭। মৃত্যুর দিন নির্ধারিত করিয়া বলে ঃ- Argent Nitric

১৮। সর্ব্ববিষয়ে রোগীর তাচ্ছিল্যভাব, মনে করে সে ভাল আছে ঃ- Arnica

১৯। সহজেই চটিয়া উঠা, উত্তেজিত হওয়া ঃ- Asterias Rub

২০। আত্মহত্যার ইচ্ছা ঃ- Aurum Met

২১। রোগী উদাসীন, দুঃখিত, আত্মহত্যার চিন্তা ঃ- Rhus Tox

২২। কাঁদে, ধর্ম বিষয়ে বকে, অনর্গল প্রর্থনা করে ঃ- Aurum Met

২৩। রোগী ক্রমাগত প্রশ্ন করিতে থাকে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন, উত্তরের জন্য এক মূহুর্তও অপেক্ষা করেনা ঃ- Aurum Met

২৪। প্রেমে নিরাশ কিংবা দুঃখিত হইয়া পীড়া ঃ- Aurum Met

২৫। স্ত্রীলোক বন্ধা, তজ্জন্য ভীষণ মনোকষ্ট, হিষ্টিরিয়া ঃ- Aurum Met.

২৬। নৈরাশ্য, রোগী বলে আর কেন চিকিৎসা করানো, কাঁদে মনেকরে পীড়া কিছুতেই আরোগ্য হইবেনা, মুত্যু কামনা করে, মনেকরে সে এই পৃথিবীর উপযুক্ত নহে ঃ- Aurum Met

২৭। কোনও বিষয়ে চিন্তা করিবার ক্ষমতা লোপ ঃ- Baptisia

২৮। আচ্ছন্নতা, প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই নিদ্রিত হইয়া পড়া, ঠিক উত্তর দিতে না পারা ঃ- Baptisia

২৯। ঠিক উত্তর দেয় কিন্তু তৎক্ষণাৎ আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে ঃ- Arnica

৩০। বিছানা বড় শক্ত বোধ হয় ঃ- Baptisia

৩১। কেহ আসিলে লুকায় ঃ- Barayta Carb

৩২। ঔষধ সেবন করিতে চাহেনা, বলপূর্বক খাওয়াইতে হয় ঃ- Belladona

৩৩। কোমরে কাপড় আঁটিয়া পড়িতে পারেনা ঃ- Bovista, Cal. Carb

৩৪। পরের দুঃখ দেখিয়া অন্তরে কষ্টবোধ ঃ- Causticum

৩৫। অতি সামান্য বিষয়ে শিশুর মত চীৎকার করিয়া কান্না ঃ- Causticum

৩৬। কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেই রাগিয়া যায় ঃ- Colocynth

৩৭। নিজকৃত অপরাধজনিত মনঃপীড়া ঃ- Colocynth

৩৮। ভালবাসা মনে চাপিয়া রাখিয়া পীড়া ঃ- Conium

৩৯। সামান্যমাত্র গোলমাল ও শব্দ অসহ্য, অস্থির ও উত্তেজিত হয় ঃ- Ferrum Met

৪০। কাহাকেও নিকটে থাকিতে দেয়না বা কাহারও সহিত কথা কহিতে চাহেনা ঃ- Gelsimium

৪১। যদি কেহ কাছে থাকে বা গায়ে হাত দেয়, তাহাতে বিরক্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪২। পরীক্ষার নিমিত্ত কেহ মাঢ়িতে হাত দিলেই শিশু ভীষণ ক্রুদ্ধ ও উম্মত্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪৩। গীতবাদ্যাদিতে কান্না পায় ঃ- Graphities

৪৪। রোগী একটুতেই কাঁদিয়া ফেলে ঃ- Pulsatilla

৪৫। রোগী ভাবী অমঙ্গলের আশঙ্কা করে ঃ- Graphities

৪৬। অর্থ শূন্য কথা কহে, অত্যন্ত জোরে হাসে ঃ- Hyociamus

৪৮। গায়ে কিছুতেই কাপড় চাপা রাখেনা, উলঙ্গ থাকে, অশ্রাব্য গান গায় ঃ- Hyociamus

৪৯। গুহ্যস্থানের কাপড় খুলিয়া ফেলে, অনবরত লিঙ্গে হাত দেয় ঃ- Hyociamus

৫০। কি বলিতে যাইতেছিল ভুলিয়া যায় ঃ- Hypericum

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম তিন দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা -- এই সফরে অ...