এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

#হোমিয়প্যাথি #চিকিৎসা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
#হোমিয়প্যাথি #চিকিৎসা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

শরীরে #পানি_জমা/ #শোথ_রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-

 শরীরে #পানি_জমা/ #শোথ_রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-

                                


🟥 শোথ রোগ কি ?


দেহের কোষের দোষে, হৃৎপিন্ডের পীড়া, যকৃতের দোষ, অধিক মদ্যপান, সর্বাঙ্গীণ দুর্বলতা, অজীর্ণ, আমাশয়, রক্ত স্বল্পতা বা কোন কঠিন রোগ ভোগের সর্বশরীরে  পানি জমা (শোথ) আলাদা কোন রোগ নয়, এটি অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র। শোথ হইবার নানা বিধ কারণ থাকিতে পারে। হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক হ্যানিম্যান বলেছেন দেহের ভিতরে প্রদাহ, অধিক রক্তক্ষরণ, মূত্র গ্রন্থির পীড়ায় শরীরে পানি জমে। যদি নিজেকে মাঝে মাঝে স্ফীত মনে হয় বা হাত, পা ও মুখমণ্ডল ফোলা ফোলা লাগে তবে ধারনা করা যেতে পারে শরীরে কোনো কারণে পানি জমছে।


🟥 শোথের লক্ষণসমুহ


১। আক্রান্ত স্থান স্ফীত হয় এবং সর্বাঙ্গ ধীরে ধীরে ফুলে উঠে।

২। আক্রান্ত স্থানে আঙ্গুল দিয়ে টিপলে গর্ত হয় এবং আঙ্গুল তুলে নিলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঐ গর্ত থাকে পরে মিলে যায়।

৩। চর্ম ফ্যাকাসে, উজ্জল ও শীতল হয়।

৪। অতিশয় দুর্বলতা, ক্ষুধাহীনতা ও পিপাসা বৃদ্ধি পায়।

৫। উদরাময়, মুত্র স্বল্পতা ও লালবর্ণের মুত্র।

৬। শোথ কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়,অন্যরোগের উপসর্গ।

৭। রক্তে জলীয় অংশ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দেহ কোষগুলো প্রথমে আক্রান্ত হয়। দিনের বেলায় পদদ্বয়ে শোথ বৃদ্ধি এবং রাতে পায়ের শোথ ভাব কম থাকে।

৮। শ্বাসকষ্ট, উদরাময়, হাঁপানি বোধ। ঘর্মরোধ, পিপাসা এবং নড়াচড়া করতে কষ্ট।


🟥 শোথের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধ -


🟦 ডিজিটেলিসঃ  এই ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে প্রথমে হৃৎপিণ্ডের নাড়ীর গতি ভাল করিয়া জানা আবশ্যক, কারন ইহাতে নাড়ী ও হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত দুর্বল থাকে, নাড়ীর প্রতিঘাত (beat) মিনিটে ৩০/৪০ বার পর্যন্ত এবং ৩য়, ৫ম, অথবা ৭ম আঘাত বিলুপ্ত হয়, হৃৎপিণ্ডের ও নাড়ীর এই প্রকার অবস্থা না থাকিলে ডিজিটেলিস প্রয়োগে বিশেষ ফল হইবে না। সাধারণ শোথ ও উদরীতে কেবলমাত্র রোগীর প্রস্রাবের উপর লক্ষ্য রাখিয়া অনেক স্থলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।


🟦 লিয়াট্রিসঃ সর্বাঙ্গীণ শোথ অর্থাৎ সমস্ত শরীর ফুলা প্রস্রাব পরিমানে কম। এর ফলে প্রস্রাবের পরিমান বৃদ্ধির মাধ্যমে শোথ রোগ আরোগ্য হয়।


🟦 অক্সিডেনড্রনঃ সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের শোথ ও ফোলা, পেটে পানি জমা, শ্বাস কষ্ট, প্রস্রাব অল্প ইত্যাদি লক্ষনে ব্যাবহার করলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।


🟦 এপোসাইনামঃ হৃৎপিন্ডের রোগসহ সকল প্রকার শোথেই ইহা উপকারী। ইহাতে মতিস্কের অত্যন্ত গোলযোগ থাকে, মাথা খুব ভারী হয়, নাড়ী অত্যন্ত ক্ষীণ, কোষ্ঠবদ্ধ, প্রস্রাব অতি অল্প, প্রস্রাব ঘোলা ও গরম, প্রস্রাবে ঘন শ্লেষ্মা, অনেক সময় প্রস্রাব অসাড়ে নির্গত হয়, বুকে পিঠে চাপবোধ, কিছু খাইলে নিশ্বাস ফেলিতে কষ্ট হয়, নিশ্বাস জোরে টানিয়া ফেলে, বুকে বেদনা ও হৃৎপিণ্ডের মধ্যে এক প্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, নাড়ী সবিরাম কিম্বা অত্যন্ত দুর্বল অথবা একেবারে পাওয়া যায় না। শোথ রোগের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। অত্যন্ত পানি পিপাসা ও পানের পরই বমি বমি ভাব। প্রস্রাবের পরিমান কম, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট। হৃদরোগ বা কিডনির পীড়া জনিত শোথে ইহা অধিক উপকারী। পেট বেদনা করে, রোগী যেদিকে চাপিয়া শোয় সেই দিক অধিক ফোলে।


🟦 লাইকোপোডিয়ামঃ লিভার পীড়াগ্রস্ত ব্যাক্তিগণের শোথরোগে লাইকোপোডিয়াম উপকারী। কোনও শোথ রোগে পায়ে অধিক ফোলা থাকিলেও সেই ফোলার উপর ঘা থাকিলে ইহা আরও অধিক উপযোগী।লাইকোপোডিয়ামে রোগীর উপরার্ধ যেমন– হাত, মুখ, বুক, গলা ইত্যাদি শুষ্ক শীর্ণ এবং নিম্নাঙ্গ যেমন পেট, পাছা, পা ইত্যাদি খুব ভারিবোধ ও অত্যন্ত ফোলা-ফোলা দেখায়। হৃৎপিণ্ডের পীড়াজনিত শোথে ইহা আর্সেনিক প্রভৃতি অন্যান্য ঔষধ অপেক্ষাও অনেক সময়ে অধিক উপকার করে পেরিকার্ডিয়ামের ও প্লুরার শোথেও লাইকোপোডিয়াম উপকারী।


🟦 এপিস মেলঃ ইহাতে রোগীর পিপাসা থাকে না, প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হয়, গায়ের চামড়া সাদাটে বা স্বচ্ছ দেখায়, চোখ, পা অধিক ফোলে রোগী আদৌ শুইতে পারে না।

অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট, একবার শ্বাস লইয়া মনে করে পরের বারে আর শ্বাস লইতে পারিবে না এই তাহার শেষ নিঃশ্বাস। চোখের নীচের পাতা অধিক ফোলে।


🟦  ঈগল ফোলিয়াঃ সর্বপ্রকার যান্ত্রিক রোগ সংযুক্ত শোথ, উদরী, স্বল্প প্রস্রাব, চোখ, মুখ, হাত পা, পেটফোলা, জ্বর, অরুচি এবং বহুদিন যাবৎ প্লীহা, পেটের অসুখ, আমাশয় ইত্যাদিতে ভুগিয়া বা মাঝে মাঝে ঐরূপ হইয়া ক্রমশঃ ফুলিয়া পড়িলে ইহাতে উপকার হইবে। বেরি-বেরি  রোগের ফোলাতেও ইহাতে উপকার হয়।


🟦 ডিজিটেলিসঃ হৃৎপিন্ডের পীরা জনিত শোথ, শ্বাস-প্রশ্বাসে অত্যন্ত কষ্ট, নাড়ির গতি অসম। চলিতে চলিতে হঠাৎ নাড়ি থামিয়া যায়। আবার চলিতে থাকে। তৃতীয় পঞ্চম কিংবা সপ্তম স্পনদন বিল্যুপ্ত হলে এটাই প্রধান ঔষধ।


🟦 আর্সেনিক এলবামঃ হাত, পা, পেট, সমস্ত দেহের শোথ বিশেষ করে মুখের চামড়া ফ্যাকাসে, নীল বা সবুজ আভা। খুব দুর্বলতা সামান্য নড়াচড়া করলে অবসন্নতা। রাতে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে, অস্থিরতা। খুব পিপাসা কিন্তু অল্প অল্প জলপান, হৃদপিণ্ডের শোথ।


🟦 এমন বেঞ্জোয়িকামঃ যে সকল ব্যাক্তির প্রস্রাবে এলবুমেন থাকে, প্রস্রাব অত্যন্ত অল্প পরিমাণে হয়,প্রস্রাব ধরিয়া রাখিলে ভিতরে ধোঁয়ার মত পদার্থ দেখিতে পাওয়া যায়,অত্যন্ত কটু গন্ধ থাকে, প্রস্রাব কখনও কখনও লালবর্ণ হয় এবং লালবর্ণের ঘন তলানি পড়ে, তাহাদের পীড়ায় ও শোথে ইহা অধিক উপকারী।


🟦 সাইরিকাঃ ইহা হৃৎপিণ্ডের ও কিডনি সম্বন্ধীয় কতিপয় পীড়ায়, শোথরোগে ও বাতে ব্যবহৃত হয়। ইহা সেবনে ঘর্ম ও প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, সেইজন্য ইহা সকল প্রকার শোথে, বিশেষতঃ হৃৎপিণ্ডের ও কিডনির পীড়া জনিত শোথরোগে অধিক উপকারী।


🟦 এম্পিলপসিসঃ প্রস্রাবের দোষজনিত শোথ, হাইড্রোসিল এবং স্ক্রুফুলাস ব্যক্তির পুরাতন গলাধরায় ইহা অধিক উপকারী। তদ্ভিন্ন  চক্ষুর পিউপিল বিস্তৃত, বামদিকের পাঁজরায় কষ্টাল প্রদেশে স্পর্শ কাতরতা তীক্ষ্ণ বেদনা, কনুইয়ের হাড়ে ও পিঠে এবং সমস্ত অঙ্গে বেদনা, বমি ও বাহ্যের সহিত কোঁথানি, পেটে গড়গড় শব্দ এই ঔষধের বিশিষ্ট লক্ষণ।


🟦 কোয়ার্কাস গ্ল্যাণ্ডিয়মঃ পুরাতন প্লীহা ও প্লীহাজনিত শোথ রোগে ইহা পূর্বে ব্যবহৃত হইত। মাথাঘোরা মাথায় শব্দ, কানে কম শোনা, কালা হওয়া, লিভার পীড়া ও শোথ,ম্যালেরিয়া জ্বরসহ পেটফাঁপা ইত্যাদিতে ইহা ব্যবহার্য।


🟦 থেরিডিয়নঃ স্নায়ুরবোধ শক্তির আধিক্য। ক্ষয়রোগ ধাতুগ্রস্ত ব্যক্তির উপরে ইহার বিশেষ কাজ। শির ঘূর্ণন, বমিসহ মাথা ঘোরা, হৃদপ্রদেশে অদ্ভুদ ধরণের বেদনা, রক্তস্রাবী যক্ষ্মারোগ, গণ্ডমালা প্রভৃতি বহু রোগে ইহা দ্বারা উপকার পাওয়া যায়।যে সকল ক্ষেত্রে নির্বাচিত ঔষধ দীর্ঘদিন কাজ করে না সেখানে ইহা বিশেষ উপকারী। পায়ের ফুলা, নিম্নাঙ্গে কামড়ানি বেদনা।


🟦 আর্জেন্ট ফসঃ শোথ রোগে ইহাতে প্রস্রাব নিঃসরণে সহায়তা করে।


🟦 এসেটিক এসিডঃ সর্বাঙ্গীণ শোথ কিম্বা উদরীর সহিত উদরাময় ও বমন কেবলমাত্র এসেটিক এসিডেই আছে, অন্য ঔষধে নাই।


🟦 হেলিবোরাসঃ হৃৎপিন্ডের গোলযোগের কারণে শোথ ও উদরীরোগে প্রস্রাব কালবর্ণ কিম্বা ঘোলা, পরিমাণে অত্যন্ত অল্প, প্রস্রাব ধরিয়া দেখিলে তাহাতে ধোঁয়ার মত পদার্থ ভাসে, তলানি কফি গুঁড়ার মত, বাহ্য আমমিশ্রিত, এই সমস্ত লক্ষণে হেলিবোরাস উপকারী।বক্ষশোথ  নিশ্বাসে ও বসিতে কষ্ট দমবন্ধভাব হয়।


🟦 ল্যাথাইরাসঃ পা ঝুলাইয়া চেয়ারে বা বেঞ্চিতে বসিয়া কাজ করিলেই পা ফুলিয়া উঠে।


🟦 স্যাম্বুকাসঃ কিডনির তরুণ প্রদাহ জনিত শোথরোগে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগসহ প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হয় ও ঘন সেডিমেণ্ট থাকে।


🟥 শোথ রোগের রোগীর জন্য পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় ও মাসিক চলাকালে হাতে-পায়ে ও মুখমণ্ডলে পানি আসতে পারে। এছাড়া অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মেনোপজ কিংবা থাইরয়েড, লিভার বা কিডনি সমস্যারলক্ষণও হতে পারে শরীরে পানি জমা। এরজন্য চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

তবে প্রাথমিকভাবে রেহাই পেতে রয়েছে ঘরোয়া কিছু পন্থা। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এসব উপায় উল্লেখ করা হয়। প্রচুর পানি পান করুন, যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করলে পানি জমা কমানো যায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সমস্ত দিনের মধ্যে সুষমভাবে পানি পান করা হয়। কারণ একেবারে অধিক পানি পান করলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

লবণ ও চিনি খাওয়া কমান- লবণ কোষে পানি ধরে রাখে এবং লবণের আধিক্য শরীরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। অপর দিকে, চিনি দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে দেহ থেকে সোডিয়াম তথা লবণ নিষ্কাশন কমিয়ে দেয়। বেছে নিন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। ফার্মেসিতে ছুটে যাওয়ার আগে রান্নাঘরের দিকে একবার নজর দিন। ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। বাঁধাকপির কাঁচাপাতা, সবুজ চা, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ধনিয়াপাতা, জিরা ইত্যাদি হতে পারে ঘরোয়া সমাধান।

রসুনঃ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে উপকার হতে পারে।এটি চর্বি ভাঙতেও সহায়তা করে।

বরফঃ একটি পাতলা কাপড়ে বেশ কয়েকটি বরফের টুকরা নিয়ে পানি জমা জায়গায় চেপে ধরুন। এটি কিছুটা প্রশান্তিদায়ক হতে পারে।

অ্যালকহল বর্জন করুন, অ্যালকোহল পান হতে পারে শরীরে পানি জমার কারণ। এটি শরীরে জোর করে অধিক পানি জমিয়ে রাখে।

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 🩺 দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 

👉 দন্তরোগ বা দাাঁতের পীড়া কি ?

দাঁত মানুষের অমূল্য সম্পদ।দাঁতের সাহায্যে মানুষ খাদ্যবস্তু চর্বন করে থাকে। চর্বন ক্রিয়ার সময় মুখ হতে লালা রস বের হয়ে খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।দাঁত সৌন্দর্যের অঙ্গ। দন্তহীন ব্যক্তিরা স্পষ্ট কথা বলতে পারে না এবং তাদের মুখের শ্রী নষ্ট হয়ে যায়। হজম কাজের সাহায্যের জন্য খাদ্যবস্তুকে টুকরা টুকরা করে গলধঃকরণ করাই দাঁতের কাজ।

দাঁতের গঠন জনিত ত্রুটি, দাঁতের অযত্ন, আঘাত, দাঁতের পোকা, বেশি গরম, শীতল খাদ্য, মিষ্টি ও টক খাদ্য গ্রহণ এবং অপরিষ্কার জনিত জীবাণু দূষণে দাঁতের গোড়া ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়।

দাঁতের রোগসমুহ


 মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।

ঠান্ডা পানি খেলে শিরশির করা।

মুখে দূর্গন্ধ হওয়া।

অকালে দাঁত পড়া।

 দাঁতের ক্ষয় হওয়া।

আক্কেল দাঁত উঠা।

মাড়ি ফুলে যাওয়া।

দাঁতের সামনে পেছনে দাগ পড়া, দাঁতে পাথর হওয়া।


👉 দন্তক্ষয় রোগ/ পোকা খাওয়া


আহারের পর খাদ্যদ্রব্যের কিছু দাঁতের ফাঁকে অথবা আশেপাশে লেগে থাকতে পারে। সেখানে ব্যাকটেরিয়া নামক এক জাতীয় জীবাণু অম্লের উৎপত্তি করে। এ অম্ল দাঁতে সামান্য গর্তের সৃষ্টি করে। প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ গর্ত দিনে দিনে বড় হতে থাকে।


👉 দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত সদৃশ ঔষধ নির্বাচন


💎 একোনাইট ন্যাপ

ঠান্ডা লাগিয়া হঠাৎ দাঁতে কনকনানি ব্যাথা। মাড়ি ফোলা,ছটফটানি অস্থিরতায় একনাইট প্রযোজ্য।


💎 মার্ক সল

দাঁতের মাড়ি ফোলা, ব্যাথা, মাড়িতে ঘা, রক্ত পড়ে, লালা ঝরে, মুখে দূর্গন্ধ, পোকা ধরা দাঁত ঠান্ডা পানিতে যন্ত্রনা বাড়ে, দাঁতের যন্ত্রনা রাতে বিছানার গরমে বৃদ্ধিতে এটি অব্যা্র্থ। দাঁতের আগা ক্ষয় হতে থাকলে এটি উপকারি।


💎 এন্টিম ক্রুড

পোকায় ধরা দাঁতের গর্তে  খাবার আটকালে বা ঠান্ডা পানি দাতে লাগলে যন্ত্রনা বাড়ে। সেই জন্য রোগী হা করিয়া গলার ভিতর পানি ঢেলে পান করে। জিহ্বায় সাদা প্রলেপ যুক্ত রোগীর জন্য এই ঔষধ অধিক উপকারি।


💎 কফিয়া

দাঁত বেদনায় চমৎকার ঔষধ, ঠান্ডা পানি মুখে রাখলে ব্যাথা কমে।মুখের ভেতর পানি গরম হলে যন্ত্রনা বাড়ে। তাই রোগী বারবার ঠান্ডা পানি মুখে দেয়।এই লক্ষনে কফিয়া অব্যার্থ।


💎 হেকলা লাভা

মাড়ী ফোলা, শূলনী ব্যাথা, মাড়িতে ক্ষত, পোকায়ধরা দাঁত, দাঁত আস্তে আস্তে ভাঙ্গিয়া যায়।দাঁত তোলার পর যন্ত্রনার উপসর্গে দাঁতের নালীর ঘায়ে এটি অব্যার্থ।


💎 এসিড ফ্লোর

পায়োরিয়া রোগের শ্রেষ্ঠ ঔষধ। দাঁতের মাড়িতে ঘা,পুঁজ পড়ে, মুখ দিয়া পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। ঠান্ডা পানি মুখে নিলে আরাম লাগে। গরমে যন্ত্রনা বৃদ্ধিতে এটি অমোঘ।


💎 কার্ডুয়াস মেরী

এটি পায়োরিয়া রোগের শ্রেষ্ঠ ঔষধ। মাড়ি ফুলে,মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, দাতের গোড়া আলগা হইয়া যায়। মাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পুঁজ বাহির হয়।


💎 ক্যামোমিলা

খিটখিটে বদমেজাজী রাগী।সামান্য কারনেই গালমন্দ করে। ঝগরাঝাটি লাগিয়ে বসে। এই ধরনের ধাতুর রোগীদের  দাঁতের ব্যাথায় ক্যামোমিলা অব্যার্থ।


💎 ক্রিয়জোট

শিশুদের দাঁত উঠিবার পরেই দাত গুলো আস্তে আস্তে কালো হতে থাকে।ভেঙ্গে পড়ে,পোকায় ধরে,মাড়ি ফুলে রক্ত পড়ে,পোকায় ধরা দাঁতে ভীষন ব্যাথা প্রভৃতি লক্ষনে ইহা উপকারী।


💎 ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া

ক্রোধ স্বভাব অপমানিত হলেও আত্মসন্মানের ভয়ে ঝগড়া করে না। সর্বদা কাম ভাবের চিন্তা । শীত কাতর এই ধাতুর রোগীদের দাঁতে পোকা,মাড়ী ফোলা,রক্ত পড়া ইত্যাদি লক্ষনে এটি উপকারি।


💎 ম্যাগনেশিয়া কার্ব

গর্ভবতি মহিলাদের দাঁত ব্যাথা, রাতে বৃদ্ধি।পায়চারি করিলে বা ঠান্ডা পানিতে উপশমে ইহা উপকারী।


💎 র‌্যাটানহিয়া

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ভয়ানক দাঁতে ব্যাথা।ব্যাথা শুইলে বাড়ে, চলিয়া বেড়াইলে ব্যাথা কমলে এটি উপকারী। দাঁতের মাড়িতে রক্ত পড়ায়ও এটি ভাল ঔষধ।


💎 কার্বোভেজ

দাঁত মাজতে বা কুলি করতে রক্ত পড়ে। মাড়ি থেকে দাতের গোড়া বের হয়ে যায়, ব্যাথা করে।


💎 এসিড নাইট

ঠোঁটের কোনায় ঘা, দাঁতের মাড়িতে ক্ষত,রক্ত পড়ে মুখ থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। লালা পড়ে, প্রস্রাবে কটু দর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষনে এটি উপকারি।


💎 ট্রিলিয়াম

দাঁত তোলার পর রক্ত পড়তে থাকলে এর Q তুলা দিয়ে দাঁতের গর্তে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।


💎 প্লান্টেগো

সব রকমের দাঁতের ব্যাথায় এটি কর্যকরি ভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।


💎মেজেরিয়াম

দাঁতের গোড়া ক্ষয় হতে থাকলে এটি উপকারি।


 এই লেখাটি আমার হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস অফ মেডিসিন বই এর অংশবিশেষ।


আসসালামু আলাইকুম,

আমি ডা. ইয়াকুব আলী সরকার ( ডি.এইচ.এম.এস-বি.এইচ.বি-ঢাকা ), এম.এস.এস (এন.ইউ)।


হোমিওপ্যাথিক কনসালটেন্ট 

গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।

ইভা হোমিও হল। বাইপাইল, আশুলিয়া থানার সামনে, সাভার, ঢাকা।

মোবাইল নং 01716-651488 / ০১৬৮৬৯৮১৪৪৫

ইমেইলঃ- yeakubtangail@gmail.com


#everyoneシ゚ #homeopathytreatment #homeopathic #হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক পাঠশালা

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

শীত_আসার_সঙ্গে_সঙ্গে_হাঁপানি_রোগ_বৃদ্ধি_পায়ঃ

 


শীত_আসার_সঙ্গে_সঙ্গে_হাঁপানি_রোগ_বৃদ্ধি_পায়ঃ-

হাঁপানি বা এ্যাজমা কি ?

দীর্ঘমেয়াদী হাঁপ বা বারবার হাঁপের আক্রমণকে হাঁপানি বলে। হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের ক্রনিক প্রদাহ জনিত ও ক্ষুদ্র শ্বাস নালীর রোগ, যাতে ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো সর্বদা প্রদাহজনিত কারণে লাল এবং সংবেদনশীল থাকে। এ সংবেদনশীল ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো যদি ঠাণ্ডা, ভাইরাস জীবাণু অথবা হাঁপানি উদ্দীপক অন্য কোন বস্তুর সংস্পর্শে আসে তখন সেগুলোতে প্রতিক্রিয়া জনিত সংকোচন ঘটে ফলে শ্বাস নালী সংকীর্ণ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়।


হাঁপানির কারণঃ

হোমিওপ্যাথি মতে সোরা ও সাইকোসিস উপবিশ এর প্রধান কারণ।যেমন কারো গনোরিয়া বা চর্ম রোগ মলম দিয়ে বা বিসদৃশ পন্থায় চিকিৎসা করার পরে এ রোগটি ফুসফুসে আক্রমণ করলে রোগের নাম হয় হাঁপানি,লিভারে আক্রমণ করলে এর নাম হয় লিভার সিরোসিস, কিডনিতে আক্রমণ করলে এর নাম হয় নেফরোসিস এবং বংশানুক্রমিক বিস্তার লাভ করে।এলার্জির কারণে হাঁপানি হতে পারে।ধূলা, বালি, ফুলের রেণু, পশুপাখির লোম,পালক,বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন – ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, বেগুন, ডিম ইত্যাদিতে যদি কারো এলার্জি থাকে তবে এগুলোর সংস্পর্শে এলে বা খেলে হাঁপানি হতে পারে। কম্বল, কার্পেট, লোমশ পোশাক অনেক সময় কারণ হতে পারে।যদি কারো বংশে হাঁপানির ইতিহাস থাকে তবে তার হাঁপানি হতে পারে। ধূমপান করলে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রকার ভেদ (Classification) :

ক)ক্রনিক হাঁপানি (Chronic Asthma) : এটা এপিসোডিক হাঁপানি যা বছরের পর বছর রোগীকষ্ট পায়।কিন্তু ভালো সময়ে কিছু পরিমাণ শ্বাস কষ্ট থাকে।কাশি মিউকাস মিশ্রিত থুথু এবং বার বার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রামণ দেখা যায়। যখন রোগের অন্য লক্ষণ থাকে না তখনও Bronchi দেখা যায়।হঠাৎ মারাত্মক আকার ধারন করে।

খ)হাঁপানি (Acute severe Asthma) : এ ধরনের খুবই মারাত্মক।এই হাঁপানি থেকে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।

উপসর্গ ও লক্ষণ:

নাড়ীর গতি হঠাৎ ১২০ বারের বেশী সেই সাথে পালসাস প্যারাডক্সাস থাকে এবং পরে কমতে থাকে।

এক সাথে পুরো বাক্য বলে শেষ করতে পারে না।সেন্ট্রাল সায়ানোসিস থাকতে পারে।অবসন্নতা,রক্তচাপ প্রথমে বাড়ে পরে কমতে থাকে।ফুসফুসের কোন শব্দ না হওয়া (Silent chest)।মারাত্মক হাঁপানির চিকিৎসার প্রধান কথাই হল রোগীকে দ্রুত বিপদ মুক্ত করতে হবে। হোমিও ঔষধ দিয়ে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। হোমিও ঔষধে কাজ হলে হাসপাতালে যাওয়ার পূর্বেই রোগী সুস্থ অনুভব করবে।রোগী সহনশীল অবস্থায় ফিরে এলে লক্ষণ ভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা করতে হবে।

প্রতিরোধ (Prevention):

রোগীর অভিজ্ঞতা অনুসারে যে যে কারণে (আবহাওয়া,বিশেষ খাদ্য ও পানিয়,গোসল ও পরিবেশ ইত্যাদি) হাঁপানির টান বেড়ে যায় তা থেকে রোগীকে দূরে থাকতে হবে।ধূমপান এবং সব রকমের ধোয়া থেকে রোগীর দূরে থাকা প্রয়োজন।কম্বল,কার্পেট,লোমশ পোশাক,ঘর ঝাড়া,কুকুর,বিড়াল,খরগোস ইত্যাদির মাধ্যমে হাঁপানির সংক্রমণ ঘটতে পারে তাই এ গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

হাঁপানির রোগীর কারণ ভিত্তিক সদৃশ ঔষধ নির্বাচনঃ-

জন্মগত কারণে হাাঁপানির রোগীর সদৃশ ঔষধঃথুজা,নেট্রাম সাল্ফ,কেলি কার্ব,কার্বো ভেজ ইত্যাদি।

বুকে চাপা বা আঘাতের কারণে হাপনি হলে সদৃশ ঔষধঃআর্ণিকা মন্টেনা, রাস টক্স ইত্যাদি।

গর্ভবতির ধুমপানের কারনে অথবা কৃত্তিম দুধের কারণে হাঁপানি হলে সদৃশ ঔষধঃ এলুমিনা,সোরিনাম ইত্যাদি।

এলার্জিক কারণে হাঁপানি হলে সদৃশ ঔষধঃডলকামারা, রাসটক্স, ব্রাইয়োনিয়া এলবম ইত্যাদি।

রক্তের দূষণের কারণে হাঁপানি হলে সদৃশ ঔষধঃফেরম ফস,সাইলেসিয়া ইত্যাদি।

হাঁপানির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের লক্ষণভিত্তিক আলোচনাঃ


এমেন কার্ব:পুরাতন হাপানি সিড়ি বেয়ে দু’এক ধাপ উপরে উঠিলে শ্বাসটান বৃদ্ধি,মুক্ত বায়ুতে রোগীর আরাম বোধ,উষ্মবায়ুতে দম বন্ধের ভাব,মুখ নিলাভ হয় খুকখুক কাশিসহ শ্বাসকষ্ট ও সামান্য পরিশ্রমেই হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি হলে উক্ত ঔষধ জরুরী।


এন্টিম টার্ট:অত্যধিক শ্বাসকষ্টের জন্য রোগী উঠিয়া বসিতে বাধ্য হয়।শেষ রাত্রিতে বিশেষ করে রাত তিনটায় রোগের বৃদ্ধি।বুকের ভিতরপ্রচুর শ্লেষ্মা জমে,ঘড়ঘড় শব্দ করে ,শ্লেষ্মা উঠাইতে পারে না ফলে শ্বাসটান বাড়ে ,কাশির সাথে শ্লেষ্মা উঠিলে আরাম হয় সেই রোগীর জন্য উক্ত ঔষধ জরুরী প্রয়োজন।


আর্সেনিক এলবম:দুর্নিসহ শ্বাসটান,রাত একটার পর রোগের বৃদ্ধি,অত্যধিক উদ্বেগ ও অস্হিরতা শ্বাসরোধ হওয়ার ভয়ে শুইতে ভয় পায়,সারা রাত বসিয়া থাকে,সামান্য নড়াচড়ায় বৃদ্ধি,সিড়ি বেয়ে উপরে উঠিতে পারে না,উত্তাপে ও গরম ঘরে আরাম বেধ হলে আর্সেনিক এলবম প্রয়োগ জরুরী।


কেলি বাইক্রম:শ্বাসনালির প্রদাহসহ হাপানি,কফ আঠাল দড়িরমত,রাত তিন চারটার দিকে হাপানির টান বাড়ে,শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে রোগ বাড়ে,সামনের দিকে ঝুকিলে ও দড়িরমত আঠাল কফ বাহির করিতে পারিলে আরাম হয়,রোগী অত্যধিক দুর্বল হলে চোখের উপর পাতা ফোলা ভাব হলে কেলিবাইক্রম জরুরী প্রয়োগ প্রয়োজন।


লোবেলিয়া:বুকের মধে আরষ্টতা বোধ,সামান্য নড়াচড়ায় কষ্ট,পাকাশয়ের উপরে অস্হিরকর দর্বলতা,দ্রুত চলাফেরা করিলে আরাম পাইলে,হাপানি বাড়ার আগে শরীর চিটমিট করে তবে এই ঔষধ প্রয়োজন।


ল্যাকেসিস:হাপাঁনির কারনে নিদ্রা ভাঙ্গ,বুকের উপর সামান্য চাপও সহ্য হয় না,কাশির সাথে সামান্য তরল কফ বাহির হলেও আরাম হয়।ঘুমের পরে রোগের আরাম হলেে,আহারের পরে আরাম হলে এবং গলার কাছে কাপড়ও না রাখতে দিলে,গরম ঘরে রোগ বৃদ্ধি হলে ল্যাকেসিস প্রয়োজন।


ব্রোমিয়াম:সমুদ্রতীরে গেলে হাঁপানি বাড়লে,শ্বাস গ্রহনে কষ্ট হলে,রোগী যদি মনে করে ফুস ফুসে বায়ু প্রবেশ করাইতে পারিলেই আরাম হবে তবে রোগীর জন্য ব্রোমিয়ামই উপযুক্ত ঔষধ।

ইপিকাক:আক্ষেপিক হাঁপানির টানের এটি শ্রেষ্ঠ ঐষধ।বুকের মাঝে সংকোচন বোধ,বুকের মাঝে বুজবুজ শব্দ,দমবন্ধের ভাব,সামান্র নড়াচড়ায় বৃদ্ধি,বুকের মাঝে অনেক কফ,কাশিবার সময় ঘরঘরানি শব্দ,কফ উটিতে চায না,হাঁপানির সাথে বমি ও বোমিভাব,হাতপায়ে ঠান্ডা ঘাম হলে ইপকাক প্রয়োজন।


সালফার:চর্মরোগের কুচিকিৎসার পরেঅর্থাৎ মলম ও বিসদৃষ ঔষধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে হাাঁপানি রোগ হলে,মাঝ রাতে শ্বাসটানের বৃদ্ধি হলে মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর রোগের কষ্ট বুদ্ধি হলে ঘরের দরজা জানালা খুলিয়া দিতে বলে ,মনে করে খোলা বাতাসে আরাম পাবে,মাথা ও পায়ে জ্বালা অনুভব হলে,দুপুরের পুর্বে  পাকাশয়ে শুন্যতা অনুভব হলে সাথে অবসন্ন বোধ করলে সালফার জরুরী প্রয়োজন।


গ্রাফাইটিস:শ্বাসটানের কারনে ঘুম ভাংলে,সামান্য আহারে আরাম পাইলে,রোগী মোটা,শীতকাতর,কোষ্ঠব্ধ হলে,শীত ও গ্রীষ্ম উভই তার জন্য কষ্টকর,গরমঘরেহাাঁপানির বৃদ্ধি,মুক্ত বায়ুতে আরাম হলে গ্রাফাইটিস প্রয়োজন।


এন্টিম আর্স:এমফাইজিমাসহ হাঁটপানি রাগীর প্রবল শ্বাসটান,মুক্ত বায়ুতে আরাম,আহারের পরে ওশয়নকালে শ্বাসটানে বৃদ্ধি হলে এন্টিম আর্স প্রয়োজন।


এপিস মেল:অত্যধিক শ্বাসকষ্ট;রোগী মনে করে সে শ্বাস নিতেই পারবেই না;বাতাস করিতে বলে।শ্বাসের অভাবের সময় গলায় হাত দিতে দেয় না।গরমঘরে শ্বাসটানের বৃদ্ধি।আমবাত সারার পরে হাঁপানির বৃদ্ধি হলে এপিস মেল প্রয়োজন।


কার্বোভেজ:দুর্বল বৃদ্ধহাপানির রোগীর জন্য কার্বোভেজ প্রয়োজন।রোগী মনে করে সে মারাই যাবে।শীতকাতর রোগীঅত্যন্ত শ্বাসটান,শরীর নিরাভ হয়,হৃতপ্রদেশে উদ্বেগ শ্বাস গ্রহনের জন্য শরীরের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে।রোগী হঠাৎ রোগীর শ্বাসটান  শয়নেবৃদ্ধি হয় ।অধিক বায়ুর আশায় পাখার বাতাস চায়।


কুপ্রম মেট: আক্ষেপিক শ্বাসটান দমবন্ধভাব,গলাব্দ হয়,,মুখমন্ডল নিলাভ,হঠাৎ হাপানির বৃদ্ধি রাত ২/৩টায়  হঠাৎ আরাম। মানসিক বিকার জনিত হাঁপানি।রাতের বেলায় মাসিকের পুর্বে রোগের বৃদ্ধি।


ডলকামারা:শীতল ও স্যাতসেতে আবহাওয়ায় হাাঁপানির বৃদ্ধি,সরল ঘরঘরে কাশি,বর্ষাকালে রোগের বৃদ্ধি হলে ।

লাইকোপোডিয়াম:বুকেরমাঝে ঘরঘর শব্দ কাশির সাথে পুজসহ হলুদ কফ।মুক্ত বায়ুতে,চিৎ হয়ে শয়নে,নিদ্রাকালে,সামান্য পরিশ্রমে,অথবা আবদ্ধ গরম ঘরে শ্বাসটানের বৃদ্ধি।পেটের গোলযোগসহ হাঁপানির রোগীর জন্য উপযোগী।

নেট্রাম সাল্ফ:বৃষ্টির দিনে শ্বাসটানের বৃদ্ধি।বুকের মধে ঘরঘরানিসহ শ্বাসটান।প্রাতকালিন উদরাময়সহ হাঁপানির রোগী,প্রমেহ দোষগ্রস্হ রোগী,সকালবেলায় হাপানির বৃদ্ধি ও প্রচুর সবুজাভ কফ।

নাক্স ভোম:খিটখিটে রোগীর অজীর্ণসহ হাপানির রোগী।আহারের পরেপেটে চাপ বোধঅস্হে ও বুকের মাঝে সংকোচন বোধ,কাপড় ঢিলা করে দিলে উদগার উঠিলে উপশম।শীতল বায়ুতে,পরিশ্রমে,সিড়ি বেয়ে উপড়ে উঠিলে হাঁপানির বৃদ্ধি।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

১০টি প্রচলিত রোগ ও হোমিও ঔষধ

 🌱🎍 ১০টি প্রচলিত রোগ যেগুলো ঘন ঘন হয়, প্রতিটির জন্য ৩টি করে কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এবং প্রতিটি ঔষধের ২-৩টি মূল লক্ষণ দিয়ে দিচ্ছি।


🩺 ১০টি প্রচলিত রোগ ও হোমিও ঔষধ


১. এসিডিটি / গ্যাস্ট্রিক (Acidity, Dyspepsia)


Nux Vomica → অল্প খেলে এসিডিটি, টক ঢেঁকুর, রাতে বেশি বাড়ে।


Carbo Veg → বেশি গ্যাস জমে, পেট ফুলে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়।


Lycopodium → সামান্য খেলেই পেট ফুলে ওঠে, বিকেলের দিকে গ্যাস বেড়ে যায়।


---


২. সর্দি-কাশি (Common Cold, Cough)


Aconite → হঠাৎ ঠান্ডা লাগার পর কাশি, জ্বর, ভীষণ অস্থিরতা।


Bryonia → শুকনো কাশি, সামান্য নড়লেই কাশি বেড়ে যায়, প্রচণ্ড পিপাসা।


Pulsatilla → ভিজা/কফযুক্ত কাশি, ঠান্ডা বাতাসে বাড়ে, রাতে শ্বাসকষ্ট।


---


৩. জ্বর (Fever)


Belladonna → হঠাৎ জ্বর, মাথা গরম, চোখ লাল, শরীর জ্বলে।


Rhus Tox → ঠান্ডা লাগার পর জ্বর, শরীরে ব্যথা, নড়াচড়া করলে আরাম।


Gelsemium → দুর্বলতা, ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ভারি, হাই তুলতে থাকে।


---


৪. মাথাব্যথা (Headache, Migraine)


Nux Vomica → টেনশনে মাথাব্যথা, কপালে ব্যথা, সকালে ঘুম থেকে উঠলে বেড়ে যায়।


Belladonna → তীব্র মাথাব্যথা, আলো-শব্দে বেড়ে যায়, মাথা গরম।


Glonoinum → রক্তচাপ বাড়লে মাথাব্যথা, রোদে দাঁড়ালে বেশি হয়।


---


৫. কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)


Nux Vomica → ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার ইচ্ছা, কিন্তু মল বের হয় না।


Bryonia → শুকনো মল, প্রচণ্ড চাপ দিলে বের হয়।


Alumina → একেবারেই মলত্যাগের বেগ হয় না, অন্ত্র যেন নিষ্ক্রিয়।


---


৬. ডায়রিয়া (Diarrhea)


Arsenicum Album → ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, দাহ, দুর্বলতা।


Podophyllum → হঠাৎ প্রচণ্ড ডায়রিয়া, পানির মতো, সকালে বেশি হয়।


China (Cinchona) → ডায়রিয়ার পর শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে যায়।


---


৭. পাইলস / হেমোরয়েডস (Piles)


Hamamelis → পাইলসের রক্তপাত, ব্যথা তেমন নেই।


Aesculus Hippocastanum → পাইলসের ব্যথা, পিঠ ও কোমর ব্যথা।


Nux Vomica → টেনশনে বা কোষ্ঠকাঠিন্যে পাইলস বেড়ে যায়।


---


৮. অম্বল (Heartburn)


Robinia → টক ঢেঁকুর, বুক জ্বালা, রাতে বাড়ে।


Carbo Veg → বেশি খেলে বুক জ্বলা, পেট ফাঁপা।


Natrum Phos → টক ঢেঁকুর, শিশুদের অম্বলে কার্যকর।


---


৯. অনিদ্রা (Insomnia)


Coffea Cruda → অতিরিক্ত আনন্দ/উদ্বেগে ঘুম আসে না।


Nux Vomica → টেনশনে ঘুম কম, রাতে বারবার জেগে ওঠা।


Passiflora Incarnata → স্নায়বিক কারণে ঘুম না আসা।


---


১০. গেঁটে বাত / জোড়ায় ব্যথা (Arthritis, Joint Pain)


Rhus Tox → সকালে বিছানা থেকে উঠলে ব্যথা, চলাফেরায় আরাম।


Bryonia → নড়াচড়া করলে ব্যথা বেড়ে যায়, বিশ্রামে আরাম।


Colchicum → বাতের ব্যথা, বিশেষ করে পা-আঙুলে বেশি হয়।


👉 এগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রোগ ও ঔষধ, তবে রোগীর সম্পূর্ণ লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ বেছে নিতে হয়।


🤷‍♂️🌷সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা উচিৎ নয়।🩺Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

Helpline:01955507911

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

Intestinal Obstruction- পেট ফেঁপে ঢোল, তীব্র ব্যথা আর বমি? সাবধান❗আপনার পেটের ভেতর বসেনি তো ভয়ংকর ট্র্যাফিক জ্যাম⁉️🚗🚙🚚

 Intestinal Obstruction- পেট ফেঁপে ঢোল, তীব্র ব্যথা আর বমি? সাবধান❗আপনার পেটের ভেতর বসেনি তো ভয়ংকর ট্র্যাফিক জ্যাম⁉️🚗🚙🚚


ভাবুন তো একবার, শহরের ব্যস্ততম রাজপথ হঠাৎ করে বন্ধ! কোনো গাড়ি সামনে এগোতে পারছে না, পেছনে লেগে গেছে মাইলের পর মাইল জ্যাম। হর্ন, হৈচৈ আর অস্থিরতায় এক ভয়ানক পরিস্থিতি। ঠিক এমনই এক মহাবিপর্যয় যখন আপনার পেটের ভেতরের 'হাইওয়ে' বা অন্ত্রে (Intestine) ঘটে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা তাকেই বলি "ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন" (Intestinal Obstruction) বা নাড়িভুঁড়ির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া।

এটি কোনো সাধারণ গ্যাস-অম্বলের সমস্যা নয়, বরং একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি, যেখানে এক মুহূর্তের অবহেলাও হতে পারে জীবননাশের কারণ। চলুন, আজ এই নীরব ঘাতকের মুখোশ উন্মোচন করি এবং জেনে নিই, কীভাবে এই ভয়ংকর 'ট্র্যাফিক জ্যাম' থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।


💢 ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন—আসুন সহজ করে বুঝি 🧐🚧

নামটা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এর অর্থ জানলেই অর্ধেক ভয় কেটে যাবে।

🍃ইন্টেস্টাইনাল (Intestinal): এর অর্থ হলো 'অন্ত্র সম্পর্কিত' বা যা আমরা চলতি কথায় নাড়িভুঁড়ি বলি। এটি আমাদের হজমতন্ত্রের সেই দীর্ঘ, প্যাঁচানো পথ, যা দিয়ে খাবার হজম হয়ে বর্জ্য পদার্থ হিসেবে বেরিয়ে যায়।

🍃অবস্ট্রাকশন (Obstruction): এর সহজ অর্থ হলো 'বাধা' বা 'পথরোধ'।

সুতরাং, ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন মানে হলো, অন্ত্র বা নাড়িভুঁড়ির রাস্তা কোনো কারণে আটকে যাওয়া, যার ফলে খাবার, তরল, গ্যাস এবং বর্জ্য পদার্থ সামনে এগোতে না পেরে পেছনে জমতে শুরু করে।

✅ সেরা উপমা: আপনার বাসার বেসিনের পাইপলাইনের কথা ভাবুন। যদি পাইপের ভেতর ময়লা জমে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কী হবে? পানি আর নামতে পারবে না, উল্টো বেসিনে উপচে পড়ে একটি বিপর্যয় ঘটবে। ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশনও ঠিক তাই! এটি হজমতন্ত্রের পাইপলাইনে সৃষ্ট এক মারাত্মক ব্লকেজ।


💢 কেন হয় এই ভয়ংকর ট্র্যাফিক জ্যাম? পেছনের কারিগর কারা? 🔗🕵️‍♂️

বিভিন্ন কারণে অন্ত্রের এই 'হাইওয়ে' ব্লক হতে পারে। কারণগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

📮১. মেকানিক্যাল অবস্ট্রাকশন (রাস্তায় সরাসরি দেয়াল): এক্ষেত্রে অন্ত্রের ভেতরে বা বাইরে থেকে কোনো কিছু পথ আটকে দেয়। যেমন:

🔸অ্যাডহেশন (Adhesions): পেটের কোনো অপারেশনের পর সেরে ওঠার সময় টিস্যুগুলো আঠার মতো একে অপরের সাথে জড়িয়ে গিয়ে নাড়ির পথ সরু করে ফেলতে পারে। এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ।

🔸হার্নিয়া (Hernia): পেটের দেয়ালের কোনো দুর্বল অংশ দিয়ে নাড়ির অংশবিশেষ বেরিয়ে এসে প্যাঁচ লেগে গেলে।

🔸টিউমার বা ক্যান্সার (Tumor): অন্ত্রের ভেতরে বা পাশে কোনো টিউমার বড় হয়ে পথ আটকে দিতে পারে।

🔸ভলভ্যুলাস (Volvulus): নাড়িভুঁড়ি নিজেই নিজের চারপাশে প্যাঁচ খেয়ে গেলে।

🔸ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD): ক্রোন'স ডিজিজের মতো রোগে অন্ত্রের দেয়াল পুরু হয়েও পথ বন্ধ করতে পারে।


📮২. ফাংশনাল বা প্যারালাইটিক ইলিয়াস (রাস্তা ফাঁকা, কিন্তু গাড়ি চলে না): এক্ষেত্রে অন্ত্রের রাস্তায় কোনো বাধা থাকে না, কিন্তু অন্ত্রের পেশিগুলো অবশ হয়ে যায়। ফলে সে খাবারকে সামনে ঠেলে দিতে পারে না। পেটের ইনফেকশন, কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপারেশনের পর এমনটা হতে পারে।


💢 শরীর যখন বাজায় বিপদের ঘণ্টা: লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন 🚨🚑

ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশনের লক্ষণগুলো হঠাৎ এবং তীব্রভাবে দেখা দেয়। এগুলোকে কখনোই অবহেলা করবেন না:

🔻পেটে তীব্র, মোচড়ানো ব্যথা: ব্যথা ঢেউয়ের মতো আসে এবং সময়ের সাথে বাড়তে থাকে।

🔻পেট ফেঁপে যাওয়া: পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে শক্ত হয়ে যায়।

🔻বমি হওয়া: প্রথমে খাবার, পরে পিত্ত এবং অবস্থা গুরুতর হলে মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত বমি হতে পারে।

🔻মল ও বায়ুত্যাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া: এটি একটি অন্যতম বিপদ সংকেত।

🔻দুর্বলতা ও পানিশূন্যতা: শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলে, বিশেষ করে যদি আপনার আগে পেটের কোনো অপারেশন হয়ে থাকে, তবে এক মুহূর্তও দেরি না করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করুন।


🍀 চিকিৎসা ও প্রতিরোধ: জীবন বাঁচানোর দৌড় এবং হলিস্টিক ভাবনা 🌱🩺

🚩 জরুরি চিকিৎসা:

এটি কোনো ঘরোয়া টোটকা বা কবিরাজি দিয়ে সারানোর রোগ নয়। এর একমাত্র চিকিৎসা হাসপাতাল।

🍃রোগ নির্ণয়: চিকিৎসক লক্ষণগুলো দেখে এবং পেটের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ব্লকেজটি নিশ্চিত করেন।

💊চিকিৎসা: রোগীকে প্রথমে স্যালাইন দেওয়া হয় এবং নাকের ভেতর দিয়ে নল (Nasogastric Tube) ঢুকিয়ে পেটের জমে থাকা গ্যাস ও তরল বের করে আনা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এর মাধ্যমেই ব্লকেজ খুলে যায়। 🚩কিন্তু কারণ যদি অ্যাডহেশন, হার্নিয়া বা টিউমার হয়, তবে জরুরি অপারেশনের কোনো বিকল্প নেই।


📗✅ প্রতিরোধ ও সচেতনতা: হলিস্টিক জীবনযাত্রার ভূমিকা

যদিও সব কারণ প্রতিরোধযোগ্য নয়, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আপনার হজমতন্ত্রের 'হাইওয়ে'-কে সচল রাখতে সাহায্য করতে পারে।

🍃ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: আঁশযুক্ত শাকসবজি, ফলমূল ও শস্য অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, যা ব্লকেজের ঝুঁকি কমায়।

🍃পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না। পানি হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ রাখে।

🍃নিয়মিত ব্যায়াম: শারীরিক সচলতা অন্ত্রের পেশিকেও সচল রাখে।

🍃মনযোগী হয়ে খাওয়া: ধীরে-সুস্থে ও ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ কমে।

🚩অপারেশনের পর সতর্কতা: পেটে অপারেশন হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত হাঁটাচলা শুরু করলে অ্যাডহেশন বা আঠালো জট হওয়ার ঝুঁকি কমে।


✨☘️ "আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার"-এর দর্শনে, শরীর একটি নিখুঁত যন্ত্র। যখন এর কোনো অংশে বিপর্যয় ঘটে, তখন সে তীব্র সংকেত পাঠায়। ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন হলো তেমনই এক জরুরি বিপদ সংকেত, যা আমাদের শেখায় শরীরের ভাষাকে গুরুত্ব দিতে। প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা এবং বিপদের সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই হলো শরীর ও মনের প্রতি প্রকৃত যত্ন।


🌿 শেষ কথা

পেটের সব ব্যথা গ্যাস বা বদহজম নয়। কিছু ব্যথা হতে পারে মারাত্মক কোনো রোগের পূর্বাভাস। ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশনের লক্ষণগুলো চিনে রাখা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই পারে একটি জীবন বাঁচাতে। আপনার শরীর আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু; তার পাঠানো সতর্কবার্তাকে সম্মান করুন।


সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং জরুরি অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ✅💚


©️ তথ্য সংকলন ও পরিমার্জনে-

Muhammad Nasim Hossain

Natural Lifestyle & Naturopathy Specialist

(Asad Holistic Health Center),

ঢাকা: ২৭-সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মায়াজম পরিচিতি বা রোগের মূল কারণঃ-

 মায়াজম পরিচিতি বা রোগের মূল কারণঃ-

👉মায়াজম কি? 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিধান মতে, মায়াজম হল রোগের মূল কারণ এবং জীবাণু গুলো হল উত্তেজক কারণ। যে সকল প্রাকৃতিক অদৃশ্য কারণসমূহ হইতে রোগ উৎপত্তি হয়, সে সকল কারণ সমূহকে মায়াজম বলে।


🎗️মহাত্মা হ্যানিম্যান বলেন,

“যাবতীয় রোগ মায়াজমের অশুভ প্রভাবে সৃষ্টি হয়।” মায়াজম শব্দের অর্থ উপবিষ, কলুষ, পুতিবাষ্প, ম্যালেরিয়ার বিষ প্রভৃতি। যাবতীয় রোগের কারণই হল এই মায়াজম। তরুণ পীড়া তরুণ মায়াজমের অশুভ প্রভাবে এবং চিররোগ চির মায়াজমের অশুভ প্রভাবে সৃষ্টি হয়। ইহা প্রাকৃতিক রোগ সৃষ্টিকারী দানব।

হ্যানিম্যান বলেছেন, 

চিররোগ সৃষ্টির মূল কারণ হইল তিনটি চিররোগবীজ। ইহাদের মধ্যে সোরা হইল আদি রোগ বীজ। সকল রোগের মূল কারণ হইল সোরা। এমনকি প্রমেহ এবং উপদংশ নামক আদি রোগবীজের উৎপত্তি ও সোরা হতে; এজন্য সোরাকে আদি রোগবীজ বলা হয়। হ্যানিম্যান️ বলেছেন,

বংশ পরস্পরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানব দেহের মধ্যে এই সোরা মায়াজম কল্পনাতীতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন অসংখ্য প্রকারের বিকৃতি, ক্ষত, বিশৃঙ্খলা ও যন্ত্রণার প্রতিমূর্তি রুপে অন্ত পীড়ায় সৃষ্টি করে থাকে।

সুতরাং মায়াজম হচ্ছে এক ধরনের গতিময় দূষণ মাধ্যম যাহা জীব দেহের মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গে একবার প্রবিষ্ট হলে জীবনীশক্তির উপর প্রভুত্ব করে, ব্যক্তিকে সার্বিকভাবে এমনিধারায় দূষিত করে যার পিছনে একটি স্থায়ী রোগজ অবস্থা স্থাপন করে যাহা সম্পূর্ণ রুপে মায়াজম বিরোধী প্রতিকারক দ্বারা দূরীভূত না হলে রোগীর সারাজীবন ব্যাপী বিরাজ করবে এবং বংশপরস্পরায় প্রবাহমান থাকে।

  

★মায়াজম ৪ প্রকার।


⏺️সোরা মায়াজম

⏺️সিফিলিস মায়াজম

⏺️সাইকোসিস মায়াজম

⏺️টিউবারকুলার মায়াজম


★সোরার রোগীর ধাতুগত লক্ষণ :


⏺️সর্বদা ভীতিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, অবসাদগ্রস্ত, শ্রমবিমুখ।

⏺️মেজাজ খিটখিটে সামান্য মতের অমিল হলে ক্ষিপ্ত হয়।

⏺️স্বার্থপরতা কিন্তু নাটকীয় উদারতা দেখায়।  

⏺️অস্বাভাবিক ক্ষুধা, খেলে আবার ক্ষুধা লেগে যায়।

⏺️অসম্ভব চুলকানি, চুলকানোর পর জ্বালা।

⏺️হাত পায়ের তলা জ্বলে।

⏺️দেহের বর্জ নির্গমন পথগুলি লাল বর্ণের।

⏺️যে কোন স্রাব নির্গমনে আরাম বোধ।

⏺️দাঁতে, মাড়ীতে ময়লা জমে।

⏺️কেবলই শুয়ে থাকতে চায়।

⏺️নোংরামি পছন্দ।

⏺️স্নয়ুকেন্দ্রে প্রবল বিস্তার করে কিন্তু যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে না।

⏺️যে কোন সময় রোগাক্রমন বা বৃদ্ধি ।

⏺️চোখে নানা রং দেখে ও দৃষ্টিভ্রম হয়।


★সিফিলিসের রোগীর ধাতুগত লক্ষণ :


⏺️আত্নহত্যা করার ইচ্ছা।

⏺️নৈরাশ্য, হঠকারিতা, মূর্খতা, বিতৃষ্ণা।

⏺️স্মরণশক্তি ও ধারণশক্তি হ্রাস।

⏺️মানসিক জড়তায় কথা কম বলে।

⏺️মাংসে অরুচি কিন্তু দুগ্ধ খাইবার ইচ্ছা।

⏺️অগ্নিকান্ড, হত্যাকান্ডের স্বপ্ন দেখে।

⏺️সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত বৃদ্ধি।

⏺️জিহ্বা মোটা ও দাঁতের ছাঁপযুক্ত।

⏺️চুলকানীবিহীন চর্মরোগ।

⏺️বিকলঙ্গতা।

⏺️অস্থির ক্ষয়প্রাপ্তি।

⏺️স্রাবের প্রচুরতা, দুর্গন্ধতা এবং স্রাব নিসরনে রোগ বৃদ্ধি।

⏺️দুষ্টজাতীয় ফোঁড়া।

⏺️অতিরিক্ত গরম-ঠান্ডা অসহ্য।


★টিউবারকুলিনাম রোগীর ধাতুগত লক্ষণ :


⏺️চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও রোগী একই লক্ষণ ঘুরে ফিরে আসে।

⏺️একই সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

⏺️যে খাবারে বৃদ্ধি সেই খাবারেই আকাঙ্খা।

⏺️বিনা কারণে ঠান্ডা-সর্দ্দি লাগে।

⏺️যথেষ্ট পানাহার সত্বেও দুর্বলতা, শুষ্কতা শীর্ণতা প্রাপ্ত হয়।

⏺️কুকুর ভীতি বিদ্যমান।

⏺️উদাসীনতা ও চিন্তাশূন্যতা।

⏺️ক্রোধপরায়ণ, অসন্তুষ্ট, চঞ্চল, পরিবর্তনশীল মেজাজ।

⏺️কামোত্ততার জন্য যে কোন উপায়ে শুক্রক্ষয় করে।

⏺️বার বার চিকিৎসক বদল করে ।

⏺️জাঁকজমকের সাথে কাজ শুরু করলেও তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

⏺️অনবরত ঘুরে বেড়ানো স্বভাব।

⏺️নিদ্রায় চিৎকার করে কথা বলে ।


★সাইকোসিস রোগীর ধাতুগত লক্ষণ :


⏺️ডাক্তারের কাছে লক্ষণ বলতে গিয়ে দেখে আশেপাশে কেউ আছে কিনা।

⏺️ডাক্তার ঔষধ দিয়েছে! সে আবার খোঁজাখুঁজি করে। কারণ ডাক্তার লক্ষণ গুলো পুরাপুররি শুনল কিনা। আবার জিজ্ঞাস করে কোন ঔষধ কিসের জন্য দিয়েছে।

⏺️পড়ালেখা করতে গেলেও সন্দেহ । একলাইন লেখে তো বারবার কাটাকাটি করে। চিন্তা করে এই শব্দের বদলে ঐশব্দ যোগ করি।

⏺️ঘর থেকে বের হবে দেখবে সব ঠিকঠাক মত আছে তো?

⏺️হিসাব করতে যাবে ব্যবসা অথবা চাকুরিতে সেখানেও সমস্যা, সন্দেহ আর ভূলে যাওয়া।

⏺️মনেও সন্দেহ! রাতে এই বুঝি কেউ পিঁছনে পিঁছনে আসছে; আশেপাশে কেউ আছে।

⏺️বাজার করতে যাবে সেখানেও সমস্যা এই বুঝি দোকানদার আমাকে ঠকিয়ে বেশি নিল।  আমি বাজার করেছি কেউ দেখে ফললো না তো।

⏺️এই ডাক্তার আমার রোগ বুঝবে কি বুঝবেনা, আমার রোগ সারাবে কি সারাবে না সন্দেহ। আরো ২-৩ জন ডাক্তার একাত্রিত হলে ভাল হতো।  

⏺️মনটি রোগের উপর পড়ে থাকে । সব সময় রোগের কথা বলে ।

⏺️রোগ সূর্যোদয় হতে সূর্যান্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি ।

⏺️আঁচিল, টিউমার মাংস বৃদ্ধি, অন্ডকোষ প্রদাহ এর নিদর্শক।

⏺️অস্বাভাবিক গঠন। যেমন- হাত পায়ের আঙ্গুল বেশী বা কম।

⏺️ঝড়-বৃষ্টির পূর্বে বা সময় ঘনঘন মূত্র ত্যাগ।

Bile Reflux(পিত্তরসের রিফ্লাক্স)- বুকজ্বালা কমছেই না? শুধু অ্যাসিড নয়, আসল শত্রু হতে পারে পিত্তরস! 

 Bile Reflux(পিত্তরসের রিফ্লাক্স)- বুকজ্বালা কমছেই না? শুধু অ্যাসিড নয়, আসল শত্রু হতে পারে পিত্তরস! 🤢🔥


অ্যাসিড কমানোর সব ওষুধ খেয়ে ক্লান্ত। বছরের পর বছর ধরে অ্যান্টাসিড আপনার নিত্যসঙ্গী। কিন্তু পেটের উপরের অংশে সেই তীব্র জ্বালাপোড়া, তেতো স্বাদ আর বমি বমি ভাব কিছুতেই যাচ্ছে না। ডাক্তাররা শুধু বলছেন, "আপনার অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা GERD হয়েছে।" কিন্তু যদি বলি, আপনার এই দুর্ভোগের পেছনের আসল কারিগর অ্যাসিড নয়, বরং তার এক রহস্যময় যমজ ভাই?

পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি—বাইল রিফ্লাক্স (Bile Reflux), অর্থাৎ পিত্তরসের উল্টো স্রোত। এটি হজমতন্ত্রের এমন এক জটিলতা যা প্রায়শই সাধারণ অ্যাসিড রিফ্লাক্স ভেবে ভুল করা হয়, কিন্তু এর কারণ এবং প্রতিকারের পথ অনেকটাই ভিন্ন। চলুন, এই লুকানো শত্রুকে আজ চিনে নেওয়া যাক।


💢 বাইল রিফ্লাক্স—এই আবার কী? 🧐💥

নামটা জটিল মনে হলেও, ঘটনাটা বেশ সোজাসাপ্টা।

🔸 বাইল (Bile) বা পিত্তরস: এটি আমাদের লিভারে তৈরি হওয়া এক ধরণের সবুজ-হলুদ তরল, যা পিত্তথলিতে জমা থাকে। এর প্রধান কাজ হলো ক্ষুদ্রান্ত্রে (Small Intestine) খাবার থেকে চর্বি হজম করতে সাহায্য করা।

🔸 রিফ্লাক্স (Reflux): এর অর্থ হলো কোনো কিছুর উল্টো দিকে বা ভুল পথে প্রবাহিত হওয়া।

তাহলে বাইল রিফ্লাক্স মানে হলো, এই পিত্তরস ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে উল্টো পথে পাকস্থলী এবং খাদ্যনালীতে (Esophagus) চলে আসা। যেখানে এর থাকার কথাই নয়!

✅ সেরা উপমা: আপনার শহরের ট্র্যাফিক সিস্টেমের কথা ভাবুন। কিছু রাস্তা আছে যা শুধু 'ওয়ান ওয়ে' বা একমুখী। যদি কোনো গাড়ি ভুল করে সেই রাস্তায় উল্টো দিক থেকে ঢুকে পড়ে, তাহলে কী হবে? পুরো সিস্টেমে একটা জট লেগে যাবে, তাই না?

বাইল রিফ্লাক্স ঠিক তেমনই একটি 'ট্র্যাফিক জ্যাম'। আমাদের পাকস্থলী থেকে খাবার ক্ষুদ্রান্ত্রে যাওয়ার জন্য একটি দরজা বা ভালভ (Valve) আছে, যার নাম পাইলোরিক স্ফিংটার (Pyloric Sphincter)। এটি একটি 'ওয়ান ওয়ে' গেটের মতো কাজ করে। যখন এই গেটটি ঠিকমতো বন্ধ হতে পারে না, তখন ক্ষুদ্রান্ত্রের পিত্তরস আর হজমকারী এনজাইম উল্টো পথে পাকস্থলীতে ঢুকে পড়ে, আর সেখানেই শুরু হয় আসল গণ্ডগোল।


💢 অ্যাসিড রিফ্লাক্স বনাম বাইল রিফ্লাক্স: যমজ ভাই, কিন্তু চরিত্র ভিন্ন! 🎭

অনেকেই এই দুটোকে এক ভেবে ভুল করেন। কিন্তু এদের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য বোঝাটা চিকিৎসার জন্য জরুরি।

📍অ্যাসিড রিফ্লাক্স: পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে। মুখে টক স্বাদ অনুভূত হয়।

📍বাইল রিফ্লাক্স: ক্ষুদ্রান্ত্রের পিত্তরস পাকস্থলীতে ওপরে উঠে আসে। মুখে তীব্র তেতো স্বাদ লাগে এবং বমি হলে সবুজ-হলুদ তরল বেরিয়ে আসতে পারে।

📍বড় সমস্যা: অনেক সময় এই দুটি একসাথে ঘটে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে এবং সাধারণ অ্যাসিডের ওষুধে কোনো কাজ হতে চায় না।


💢 কেন এই 'উল্টো পথের যাত্রা'? নেপথ্যের কারণগুলো কী কী? 🔗🕵️‍♂️

👉 পিত্তথলি অপসারণ (Gallbladder Removal Surgery): পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার পর লিভার থেকে পিত্তরস ক্রমাগত ক্ষুদ্রান্ত্রে পড়তে থাকে, যা রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।

👉 পাকস্থলীর সার্জারি (Gastric Surgery): ওজন কমানোর জন্য করা গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের মতো সার্জারি পাইলোরিক ভালভের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।

👉 পেপটিক আলসার (Peptic Ulcer): আলসারের কারণে এই ভালভটি ঠিকমতো বন্ধ হতে পারে না।

👉 ধীর হজম (Delayed Gastric Emptying): পাকস্থলী থেকে খাবার বের হতে দেরি হলেও ভেতরের চাপ বেড়ে রিফ্লাক্স হতে পারে।


💢 শরীর কী কী বিপদ সংকেত পাঠায়? লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন 🚨😫

পেটের উপরের অংশে ঘন ঘন এবং তীব্র জ্বালাপোড়া বা ব্যথা, যা বুকের দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে।

মুখে তীব্র তেতো স্বাদ পাওয়া।

বমি বমি ভাব এবং সবুজ-হলুদ পিত্তরস বমি হওয়া।

গলা খুসখুস করা, দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া।

খাওয়ার পর অস্বস্তি বেড়ে যাওয়া।

কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া।

সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো, অ্যাসিড কমানোর ওষুধ (PPIs) খাওয়ার পরেও আপনার উপসর্গের তেমন কোনো উন্নতি না হওয়া।


🍀 রোগ নির্ণয় ও প্রতিকার: আধুনিক ও প্রাকৃতিক পথের সমন্বয় 🌱🩺

🚩 প্রচলিত চিকিৎসা:

রোগ নির্ণয়: এন্ডোস্কোপি (Endoscopy) হলো এর প্রধান পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার আপনার পাকস্থলী ও খাদ্যনালীতে পিত্তরসের উপস্থিতি এবং কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা সরাসরি দেখতে পারেন।

ওষুধ: এর চিকিৎসায় সাধারণ অ্যান্টাসিড তেমন কার্যকর নয়। ডাক্তাররা পিত্তরসের গঠন পরিবর্তন বা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ (যেমন: Ursodeoxycholic Acid, Bile Acid Sequestrants) দিতে পারেন।


📗✅ জীবনযাত্রা ও প্রাকৃতিক নিরাময়: আপনার আরোগ্যের আসল চাবিকাঠি ✅💚

বাইল রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

👉 চর্বিকে বিদায় জানান: যেহেতু চর্বি হজমেই পিত্তরস লাগে, তাই উচ্চ চর্বিযুক্ত, ভাজা-পোড়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন। এটি পিত্তরসের উৎপাদন ও নিঃসরণ কমাবে।

👉 অল্প খান, বারে বারে খান: একবারে পেট পুরে না খেয়ে, সারাদিনে অল্প পরিমাণে ৫-৬ বার খাবার গ্রহণ করুন। এটি হজমতন্ত্রের ওপর চাপ কমায়।

👉 খাওয়ার পরেই শোবেন না: খাওয়ার পর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে বা হাঁটাচলা করে কাটান। শোয়ার সময় বিছানার মাথার দিকটা ৪-৬ ইঞ্চি উঁচু করে নিন।

👉 ট্রিগার ফুড চিহ্নিত করুন: কফি, চকলেট, পেঁয়াজ, টমেটো বা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার কার কার অস্বস্তি বাড়ায়, তা খেয়াল করুন এবং এড়িয়ে চলুন।

👉 মানসিক চাপ কমান: মানসিক চাপ হজমতন্ত্রের গতি এবং ভালভের কার্যকারিতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। মস্তিষ্ক-অন্ত্রের সংযোগকে শান্ত রাখতে নিয়মিত মেডিটেশন, প্রাণায়াম বা পছন্দের কাজ করুন।


✨☘️ "আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার"-এর দর্শনে, বাইল রিফ্লাক্স কেবল একটি যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, এটি লিভার, পিত্তথলি এবং হজমতন্ত্রের সামগ্রিক কার্যকারিতার ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ। শরীর আপনাকে সংকেত দিচ্ছে যে, আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার বোঝা সে আর বইতে পারছে না। আমাদের লক্ষ্য শুধু উপসর্গকে সাময়িকভাবে চাপা দেওয়া নয়, বরং সঠিক পুষ্টি, মানসিক প্রশান্তি এবং প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে হজমতন্ত্রের 'গেটগুলোকে' ভেতর থেকে শক্তিশালী করা এবং শরীরকে তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা।


🌿 শেষ কথা

যদি দীর্ঘদিনের বুকজ্বালা আর তেতো স্বাদে আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং প্রচলিত চিকিৎসায় ফল না মেলে, তবে আপনার সমস্যাটি বাইল রিফ্লাক্স হতে পারে। হতাশ হবেন না। আপনার কষ্টটা ১০০% বাস্তব। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিকল্পিত পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আপনি এই জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আপনার শরীরের কথা শুনুন। হজমতন্ত্রকে বিশ্রাম দিন এবং সঠিক পথে পরিচর্যা করে একটি স্বস্তিদায়ক ও স্বাস্থ্যকর জীবন ফিরে পান। ✅💚


©️ তথ্য সংকলন ও পরিমার্জনে-

Muhammad Nasim Hossain

Natural Lifestyle & Naturopathy Coach 

(Asad Holistic Health Center),

ঢাকা: ২৯-সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কর্ন এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

 🌾 কর্ন এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা


পায়ের আঙুল বা তালুতে শক্ত চামড়া জমে ছোট ছোট গুটি তৈরি হয়, যাকে বলা হয় কর্ন (Corn)। এটি কখনো শক্ত আবার কখনো নরম হতে পারে। হাঁটার সময় ব্যথা, জ্বালা, প্রদাহ বা পুঁজের সমস্যাও দেখা দেয়। হোমিওপ্যাথিতে কর্নের জন্য বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ আছে, যা রোগীর অবস্থাভেদে নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি হলো –


---


১. Antimonium Crudum – শক্ত ও ব্যথাযুক্ত কর্নে


এই ওষুধ কর্নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যেসব কর্ন শক্ত, বড় ও শিংয়ের মতো শক্ত হয়ে যায়। এগুলো পায়ে বা আঙুলে হতে পারে। কখনো ব্যথাহীন থাকে, আবার হাঁটার সময় তীব্র সুচ ফোটার মতো, চাপের মতো বা জ্বালা ধরণের ব্যথা হয়।


---


২. Silicea – আঙুলের ফাঁকের নরম কর্নে


আঙুলের মাঝখানে নরম কর্ন হলে Silicea বিশেষভাবে উপযোগী। এই কর্নে তীব্র সেলাই করার মতো ব্যথা, জ্বালা, কখনো পুঁজ হওয়ার প্রবণতাও থাকে। আক্রান্ত পায়ে ঘাম হয় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।


---


৩. Hepar Sulph – ইনফেকশন ও পুঁজযুক্ত কর্নে


যেসব কর্ন ইনফেক্টেড হয়ে পুঁজ বের করে এবং তীব্র সুচ ফোটার মতো ব্যথা হয়, সেখানে Hepar Sulph অসাধারণ কাজ করে। এসব কর্ন স্পর্শে অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, সামান্য ছোঁয়াতেই প্রচণ্ড ব্যথা করে।


---


৪. Ranunculus Bulbosus – জ্বালা ও দাহযুক্ত কর্নে


এই ওষুধ সবচেয়ে কার্যকর যখন কর্ন শক্ত ও শিংয়ের মতো হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড জ্বালা বা দাহজনিত ব্যথা তৈরি হয়। সামান্য ছোঁয়াতেই ব্যথা বেড়ে যায়, রোগী অস্বস্তিতে থাকে।


---


৫. Sulphur – প্রদাহযুক্ত কর্নে


Sulphur মূলত সেই কর্নে উপযোগী যেগুলো লালচে, ফোলা, গরম ও ব্যথাযুক্ত। সবচেয়ে স্পষ্ট উপসর্গ হলো তীব্র জ্বালা। এছাড়া সুচ ফোটার মতো, খোঁড়ার মতো, চাপের মতো বা সেলাই করার মতো ব্যথাও থাকতে পারে।


---


৬. Lycopodium – নানা ধরনের ব্যথাযুক্ত কর্নে


যেসব কর্ন শক্ত, মোটা হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা করে – যেমন চাপের মতো, টান ধরা, ছিঁড়ে যাওয়ার মতো, সেলাই করার মতো বা জ্বালা ব্যথা – সেখানে Lycopodium অত্যন্ত কার্যকর। অনেক সময় প্রদাহ হয়ে দাহধর্মী ব্যথাও তৈরি করে।


---


✨ কর্নের প্রকৃতি আলাদা, তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আলাদা ওষুধ প্রয়োজন হয়। সঠিক উপসর্গ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ বেছে নিলে দীর্ঘদিনের কর্নও ধীরে ধীরে নিরাময়ের পথে আসে।


Dr-Esrat Jahan Metu 

Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14

BHMS (DU)

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আঁচিল/চুলকানির — ১০০ হোমিও ঔষধ ও মূল লক্ষণ (সংক্ষেপে):~

 🎍আঁচিল/চুলকানির — ১০০ হোমিও ঔষধ ও মূল লক্ষণ (সংক্ষেপে):~


1. Sulphur — জ্বালাপোড়া; রাতে খারাপ; স্কেলে চামড়া; চুলকানি তীব্র।


2. Graphites — চর্মের ফাটল ও তরল ঝরা; কেজি-ধরনের আঁচিল।


3. Psorinum — শুকনো, ফাটানো, দুর্গন্ধযুক্ত চামড়া; অতীতের অপ্রতিষেধিত সংক্রমণ।


4. Rhus toxicodendron — ক্লান্তিকর চুলকানি; ছোঁয়ায় ও আঘাতে খারাপ, গরমে ভাল।


5. Arsenicum album — জ্বালাপোড়া, পোড়ার মত চুলকানি; দুর্বলতা; উদ্বেগ।


6. Mezereum — তীব্র খোঁচানো চুলকানি; ফোস্কা ও ক্রাস্ট।


7. Sepia — ত্বকে খাপছাড়া রঙফেরত ও চুলকানি; শুকনো এলাকায় ভূসরূপ বিন্যাস।


8. Kali bichromicum — শক্ত ক্রাস্ট ও সাদা খসখসে পদার্থ; নাক/চামড়া উভয়ে।


9. Hepar sulphuris — সংবেদনশীল, কাঁটায় কাঁটায় চামড়া; স্পর্শে বেশি।


10. Natrum muriaticum — খোসা পড়ে যাওয়া, খাওয়ায় খারাপ না; লেবুর মতো ফাটল।


11. Silicea — দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ; ফোস্কা ধীরে খুলে; গর্তজাত ভাব।


12. Calcarea carbonica — বার্ধক্যবতী, ঘন স্কেল ও ঘন চুলকানি।


13. Petroleum — ভেজা ফাটল; চুলকানি রাতেই তীব্র; শুকনো ত্বক।


14. Bryonia — শুকনো, শক্ত ও টানটান চামড়া; স্পর্শে বেদন।


15. Calendula — ক্ষত-সুস্থতায় সহায়ক; পরিষ্কার জখমে।


16. Belladonna — হঠাৎ আর তীব্র লালত্ব ও গরম চামড়া।


17. Aconitum napellus — হঠাৎ শুরু; ভয়/উদ্বেগসহ ত্বক লাল।


18. Apis mellifica — চিংড়ির মতো ফোস্কা; সিংহবৃংহিত শীতল স্পর্শ প্রফুল্ল।


19. Antimonium crudum — কড়কড়ে ত্বক, অম্লত্ব বা পেটের সাথে সম্পর্কিত।


20. Antimonium tartaricum — খুসকির মত পদার্থ; ঘষলে খানিক ভালো।


21. Argentum nitricum — বার বার চুলকানি; অত্যংশে শুষ্ক; উদ্বেগ সহ।


22. Baryta carbonica — অল্পবয়স্কদের দীর্ঘস্থায়ী স্কেল বা চুলকানি।


23. Calcarea sulphurica — মাঢ় ক্রাস্ট ও দুর্গন্ধযুক্ত সেক্রেশন।


24. Carbo vegetabilis — শুষ্ক-ঝরঝরে ত্বক; ক্লান্তি সহ।


25. Chelidonium — চামড়ায় হলদে প্যাঁচ/চিহ্ন; পিত্তসংক্রান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড।


26. China (Cinchona) — দুর্বলতা পরবর্তী খুশকি/চুলকানি।


27. Crotalus horridus — দাগধর্মী ফোসকা ও বিষবৎ জ্বালা (রেয়ার)।


28. Dulcamara — সর্দি-আবহাওয়া পরিবর্তনে খারাপ; আর্দ্রতায় খুশকি বেশি।


29. Euphrasia — চোখের আশেপাশে চুলকানি/জ্বালা সহ চামড়া সমস্যা।


30. Echinacea — সংক্রমণ-প্রবণতা কমাতে ব্যবহৃত (সাপোর্টিভ)।


31. Ferrum metallicum — লাল, জ্বলন্ত ত্বক; দুর্বলতা।


32. Fluoric acid — কণক্কৃত বা চাপার মত চামড়া লেসন।


33. Graphites (repeat) — (উপর দিয়েছি — আবার যায়)


34. Hepar causticum — ক্ষত ও ক্রাস্টিং-এ সংবেদনশীলতা।


35. Hydrocotyle — স্কার্টি/স্ট্রেচ-আকারে চামড়া সমস্যা।


36. Ignatia amara — মানসিক টানাপোড়েনসঙ্গে খুসকি/চামড়া প্রতিক্রিয়া।


37. Kalium bichromicum — শক্ত ক্রাস্ট; আঁচিলের সেন্টারেড লেশন।


38. Kali carbonicum — সন্ধ্যায় খারাপ; কাঁধ/বাচ্চাদের স্কেল।


39. Kali iodatum — লাল-চকচকে ডার্মাটাইটিস; গলদা ফোঁটা।


40. Lac caninum — শিশুসুলভ ও অদ্ভুত স্কিন রিয়্যাকশান।


41. Lamium album — চুলকানি ও গুটিবহুল ক্ষুদ্র লেসন।


42. Ledum palustre — কামড় বা ছোঁয়ায় খারাপ; ঠাণ্ডায় ভাল।


43. Lycopodium — ডান দিকের প্রাধান্য; ফোলাভাব ও স্কেল।


44. Magnesia muriatica — আর্দ্র চামড়ায় খোসা খসা; জ্বালাপোড়া।


45. Magnesia phosphorica — খুঁচকির মত ব্যথা-কমানোর ক্ষেত্রে।


46. Mancinella — বিষাক্ত উদ্ভিদ স্পর্শ-জাতীয় রিঅ্যাকশনস।


47. Mezereum (repeat) — উপরে আছে; তীব্র খোঁচানো।


48. Mercurius solubilis — আর্দ্র, দুর্গন্ধযুক্ত, দ্রুত ছড়ানো লেশন।


49. Mercurius vivus — (মার্সারি গ্রুপ) — আর্দ্রতা ও দুর্গন্ধ।


50. Natrum sulphuricum — আর্দ্রপ্রবণ, নাক/চামড়া উভয়ে সমস্যা।


51. Natrum muriaticum (repeat) — উপরে আছে; সরল লিপিডহীন ত্বক।


52. Natrum phosphoricum — তিতা/চুলকানি সম্পর্কিত স্কিন সমস্যা।


53. Nitric acid — দাগযুক্ত, ক্যানকারের মতো ক্ষত বা চর্মভঙ্গ।


54. Nux vomica — অতিরিক্ত কাজ/স্ট্রেসে খুসকি বাড়ে।


55. Oleander (Nerium oleander) — বিষাক্ত উদ্ভিদ-রিঅ্যাকশন (রেয়ার)।


56. Phosphorus — লাল, নরম ও পাতলা চামড়া; রক্ত প্রবণতা।


57. Phytolacca — কালো বা গাঢ় রঙের লেসন; ব্যথাসহ নোড়ন।


58. Plumbum metallicum — সাদা ক্রাস্ট/কয়েকটি নির্দিষ্ট লেসন।


59. Podophyllum — ফাটলধর্মী বা কংক্রিট করণের ড্রাই নোডিউল।


60. Pulsatilla — পরিবর্তনশীল, আর্দ্র চামড়া; শিশুসুলভ।


61. Ruta graveolens — ছত্রাকীয় বা আঘাত-জমা চামড়া সমস্যা।


62. Sabadilla — পাতলা, কম্পনশীল চামড়া; মাথা-চুলকানি সম্পর্ক।


63. Sabadilla (repeat) — একই শ্রেণীর লক্ষণ।


64. Sarsaparilla — কষ্টকর স্কিন লেসন (রেয়ার)।


65. Sepia (repeat) — উপরে আছে; হরমোন-সংবেদনশীল।


66. Silicea (repeat) — উপরে আছে; ধীর সুস্থতা।


67. Staphysagria — কাটা/আঘাত থেকে উদ্ভূত চামড়া সমস্যা।


68. Stannum metallicum — দুর্বলতা ও নির্দিষ্ট দাগ।


69. Sulphuricum acidum — তীব্র জ্বালাপোড়া, ব্যথা চরিত্র।


70. Symphytum — ক্ষতের পুনর্গঠনে সহায়তা (সাপোর্টিভ)।


71. Taraxacum — চर्मে ভারি শুষ্কতা ও তীব্র খোসাপড়া।


72. Teucrium — হাইপোথেটিকাল স্কিন রিয়্যাকশন (রেয়ার)।


73. Thuja occidentalis — ওয়ার্ট/বাম্পধর্মী লেসন; দুর্গন্ধহীন ক্রাস্ট।


74. Urtica urens — হঠাৎ চুলকানি; ছোঁয়ায় ফোস্কা (ভাইরাল/অ্যালার্জি).


75. Vaccinicum — ভ্যাকসিন-প্রতিক্রিয়া সংশ্লিষ্ট চামড়া বদল।


76. Viola tricolor — বিভিন্ন রকমের ক্ষত-খুসকি; কোমল।


77. Zincum metallicum — দীর্ঘস্থায়ী, বার বার ফিরে আসা লেসন।


78. Barium carbonicum — দুর্বল কোষ্ঠকাঠিন্য সহ চর্মরোগ।


79. Benzoic acid — দুর্গন্ধযুক্ত সেক্রেশন কমাতে।


80. Borax — ফাম্প বা পিচ্ছিল লেসন বিশেষায়িত।


81. Camphor — ঠাণ্ডা-সংক্রান্ত খুঁচুনি বা অস্থিরতা কমাতে (সাপোর্ট)।


82. Causticum — সঙ্কোচনশীল নোডিউল বা শক্ত ফাইব্রস লেসন।


83. Cinnabaris — গ্ল্যান্ড বা ক্রাস্টযুক্ত অঞ্চলে বিশেষ।


84. Cocculus — চর্মে ঘোরতর ফুঁয়ে ওঠা বা দুর্বলতা।


85. Colchicum — তীব্র জ্বালা/জ্বরের সঙ্গে খুশকি।


86. Conium maculatum — কিছু নির্দিষ্ট দাগ/নোডিউলে।


87. Drosera — রাতের সময় খারাপ হওয়া চুলকানি।


88. Glonoinum — গরম/উচ্চ তাপের সাথে খারাপ হওয়া লেসন।


89. Guaiacum — ত্বকে ক্রমাগত খোসা ও ব্যথা।


90. Kali phosphoricum — মানসিক চাপ-সংক্রান্ত ত্বকের বিকার।


91. Lactic acid — অতিরিক্ত শুষ্কতা ও ফাটল।


92. Mercurius corrosivus — জ্বলন্ত দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষত (সামান্য রেয়ার)।


93. Morphinum — তীব্র কোমলতা ও স্পর্শে বেদন।


94. Muriatic acid — কাটা-ধর্মী দাগ ও খোসা।


95. Natrum arsenicosum — দীর্ঘস্থায়ী, দাগযুক্ত চামড়া।


96. Nitrobenzene — অত্যন্ত তীব্র জ্বালাপোড়া (রেয়ার)।


97. Phytolacca (repeat) — উপরে আছে; শক্ত লেসন।


98. Rhododendron — শীতকালে খারাপ হওয়া স্কিন।


99. Silica (repeat) — গভীর পুরোনো লেসনে ধীর সুস্থতা।


100. Ustilago maydis — বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বা বিরল চর্মরোগের জন্য ঐতিহ্যগত ব্যবহৃত (রেয়ার)।


দ্রুত নির্দেশনা ও সতর্কতা


উপরের প্রতিটি নাম বহুপ্রচলিত হোমিও অপশন; কিন্তু যে কোনো নির্দিষ্ট ঔষধ অবশ্যই রোগীর মোট মানসিক ও শারীরিক অবস্থা, রোগের সময়কাল ও লেশন-জাতীয় বৈশিষ্ট্য দেখে নির্ধারণ করতে হয়।


আমি প্রেসক্রাইব করছি না — যদি তীব্র চামড়া লালচে, ফোসকা, পিপাসা, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তৎক্ষণাত নিকটস্থ ডাক্তার/হোমিওপ্যাথে দেখান।

🩺Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

Helpline:01955507911

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৫০টি হোমিও ঔষধের শারীরিক লক্ষণ~

 🎍৫০টি হোমিও ঔষধের শারীরিক লক্ষণ~


1. Aconite – হঠাৎ জ্বর, ভয়, তীব্র তৃষ্ণা।


2. Belladonna – হঠাৎ তাপ, লালচে মুখ, মাথার ধপধপানি।


3. Nux Vomica – বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, খিটখিটে মেজাজ।


4. Arsenicum Album – রাত ১২টার দিকে ডায়রিয়া, জ্বলুনি, দুর্বলতা।


5. Pulsatilla – হরমোনজনিত সমস্যা, কান্নাকাটি, গরমে অসহ্য, ঠান্ডায় আরাম।


6. Sulphur – ত্বকে চুলকানি, অগোছালো অবস্থা, উষ্ণতা সহ্য হয় না।


7. Lycopodium – ডান দিকের অসুখ, গ্যাস, বিকেল ৪-৮টা খারাপ।


8. Bryonia – সামান্য নড়াচড়া করলে ব্যথা, তৃষ্ণা বেশি।


9. Rhus Tox – নড়াচড়ায় আরাম, বিশ্রামে ব্যথা।


10. Ignatia – মানসিক দুঃখ, গলায় বলের মতো অনুভূতি।


11. Gelsemium – দুর্বলতা, কাঁপুনি, ভয়, মাথা ভার।


12. Chamomilla – দাঁতের ব্যথা, রাগ, শিশুর কান্না।


13. Calcarea Carb – ঠান্ডায় ভয়, ঘামে ভেজা মাথা, মোটা শিশু।


14. Sepia – জরায়ুর প্রল্যাপস, গৃহকর্মে বিরক্তি।


15. Phosphorus – রক্তক্ষরণ, দয়ার স্বভাব, লবণ-পানি চাই।


16. Hepar Sulph – পুঁজযুক্ত ফোঁড়া, সামান্য ঠান্ডায় অসহ্য।


17. Silicea – পুঁজ ধীরে ধীরে বের হয়, ঠান্ডায় ভয়, ঘামে ভেজা পা।


18. Kali Carb – ভোর ৩টার দিকে কাশি, দুর্বলতা।


19. Natrum Mur – কান্না চাপা, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, সূর্যে মাথা ব্যথা।


20. Carbo Veg – মৃতপ্রায় অবস্থা, বাতাস চাই, গ্যাস জমা।


21. China (Cinchona) – রক্তক্ষরণের পর দুর্বলতা, গ্যাস।


22. Spigelia – বাম দিকের মাথা ব্যথা, হৃদযন্ত্রে ব্যথা।


23. Colocynthis – পেটে মোচড়, চেপে ধরলে আরাম।


24. Mag Phos – খিঁচুনি, গরমে আরাম, ব্যথায় চাপ দিতে হয়।


25. Causticum – পক্ষাঘাত, পুরনো কাশি, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা।


26. Apis Mellifica – ফোলা, দাহ, ঠান্ডায় আরাম, গরমে খারাপ।


27. Ferrum Phos – প্রথম পর্যায়ের জ্বর, দুর্বলতা।


28. Kali Bichrom – ঘন হলুদ শ্লেষ্মা, সাইনাসে ব্যথা।


29. Mercurius Sol – মুখে দুর্গন্ধ, রাতের দিকে ঘাম, জিহ্বা দাগ কাটা।


30. Antim Tart – শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ জমা কিন্তু বের হয় না।


31. Ipecac – বমি বমি ভাব, বমি, রক্তক্ষরণ।


32. Digitalis – হৃদযন্ত্র দুর্বল, পালস ধীর, হঠাৎ থেমে যায়।


33. Staphysagria – অপমানের পর রোগ, দাঁত ক্ষয়।


34. Thuja – আঁচিল, ভেজা ঠান্ডা জায়গায় খারাপ।


35. Baryta Carb – শিশুতোষ প্রাপ্তবয়স্ক, টনসিল বড়।


36. Conium – ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত, গ্রন্থি শক্ত।


37. Cactus Grandiflorus – হৃদযন্ত্রে লোহার রিংয়ের মতো চাপ।


38. Glonoinum – রোদে মাথা ব্যথা, গরমে খারাপ।


39. Arnica – আঘাত, নীলচে কালশিটে, বিছানা শক্ত লাগে।


40. Ruta Graveolens – হাড় ও টেন্ডনে আঘাত, চোখের ক্লান্তি।


41. Hypericum – স্নায়বিক ব্যথা, আঘাতের পর নার্ভ ব্যথা।


42. Coffea – অতিরিক্ত আনন্দ, ঘুমের অভাব, উত্তেজনা।


43. Opium – গভীর ঘুম, স্ট্রোক, কোষ্ঠকাঠিন্য।


44. Veratrum Album – প্রচুর বমি, ডায়রিয়া, ঠান্ডা ঘাম।


45. Camphor – হঠাৎ ঠান্ডা, তৃষ্ণাহীনতা।


46. Aloe Socotrina – হঠাৎ পায়খানা চলে যাওয়া, পাইলস।


47. Podophyllum – সকালে ডায়রিয়া, প্রচুর পানি, গন্ধ।


48. Crocus Sativus – রক্ত গাঢ় ও সুতো টানা।


49. Mezereum – চুলকানি, ফোস্কা, হাড়ে ব্যথা।


50. Tarentula – অস্থিরতা, নাচতে ইচ্ছে হয়, দ্রুত চলাফেরা।


🤷‍♂️🌷সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা উচিৎ নয়।🩺Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

Helpline:01955507911

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এলোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।    

 🙋‍♂️এলোপ্যাথি হোক বা হোমিওপ্যাথি যেকোনো চিকিৎসায়  একজন এক্সপার্ট  ডক্টর এর তত্ত্বাবধানে করাউচিত  নাহলে  কতবড়বিপদ হতেপারে এই লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন 


👉 এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।''

:

👉 এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''। 

:

👉 ধরি, আমার দেহে একলক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।

:

👉 তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকেনা এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।

এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করেনা।

:

👉 সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা।

:

👉 আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দীতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।

:

👉 উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,

"This organism is registrant against this Drugs in Indian subcontinent''

:

👉 টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ জল খেতেহবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়েও জরুরী। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা।

আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসি ওয়ালারা...

----------------------------------------------------------------------------------

👉 রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসীতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Ezithromycin or,cefixime or cefuroxime or levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কতো দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষধটি ১ ডোজ খাবেন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।  

:

🤷‍♂️ এলোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।         ~ সংগৃহীত ~

.

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) ইনফেকশন: গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের নেপথ্যের খলনায়ক – সঠিক চিকিৎসায় নির্মূল সম্ভব 

 হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) ইনফেকশন: গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের নেপথ্যের খলনায়ক – সঠিক চিকিৎসায় নির্মূল সম্ভব ✅💢💚


পেটের গোলমাল, গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা অনেকেই এর জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস বা লাইফস্টাইলকে দায়ী করি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর পেছনে লুকিয়ে থাকে এক নীরব ঘাতক—হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) নামক একটি ব্যাকটেরিয়া।


বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত, যদিও বেশিরভাগই তা জানেন না। এটি সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে শুরু করে পেপটিক আলসার এমনকি পাকস্থলীর ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগেরও কারণ হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।


💢♦️হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) কী? 🚨

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি হলো এক ধরনের সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া, যা পাকস্থলীর ভেতরের প্রতিকূল ও অ্যাসিডিক পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। এটি পাকস্থলীর ভেতরের মিউকাস স্তরে আশ্রয় নেয় এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ইউরিয়েজ (Urease) নামক এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে, যা পাকস্থলীর অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

🔸 এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর প্রতিরক্ষামূলক আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে শক্তিশালী পাচক অ্যাসিড সরাসরি পাকস্থলীর প্রাচীরে আঘাত হানে।

🔸 এর ফলে পাকস্থলীতে প্রদাহ (Gastritis), ক্ষত বা ঘা (Peptic Ulcer) এবং দীর্ঘমেয়াদে আরও জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এটি কেবল হজমের সমস্যা নয়, এটি একটি সুনির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।


💢📕 H. pylori সংক্রমণের কারণ ও ঝুঁকির কারণসমূহ 🤔🔎

এই ব্যাকটেরিয়া মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। প্রধান ঝুঁকির কারণগুলো হলো—

🔴 অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: দূষিত পানি পান করা বা ভালোভাবে রান্না না করা খাবার খাওয়া এর সংক্রমণের প্রধান কারণ।

🔴 ব্যক্তিগত সংস্পর্শ: সংক্রমিত ব্যক্তির লালা, বমি বা মলের সংস্পর্শে এলে এটি ছড়াতে পারে। এক প্লেটে খাওয়া বা এক গ্লাসে পানি পানের মাধ্যমেও এটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

🔴 পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের কারো এই সংক্রমণ থাকলে অন্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

🔴 নিম্নমানের জীবনযাত্রা: অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করলে এর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

🔴 শৈশবের সংক্রমণ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ শৈশবে ঘটে এবং কোনো লক্ষণ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে শরীরে থাকতে পারে।


💢🥵H. pylori সংক্রমণের লক্ষণসমূহ 🥵 🚩

অনেকের ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে যখন ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর প্রাচীরের ক্ষতি করতে শুরু করে, তখন নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়:

⏺️ পেটে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া: পেটের উপরের অংশে ভোঁতা বা জ্বালা করার মতো ব্যথা হওয়া, যা খালি পেটে বা রাতের বেলা বেড়ে যায়।

⏺️ পেট ফাঁপা ও গ্যাস: অল্প খেলেই পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি এবং অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া।

⏺️ ঘন ঘন ঢেকুর ওঠা: কোনো কারণ ছাড়াই বারবার ঢেকুর ওঠা।

⏺️ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া: প্রায়শই বমি ভাব এবং মাঝেমধ্যে বমি হওয়া।

⏺️ ক্ষুধামন্দা: খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া।

⏺️ অকারণে ওজন হ্রাস: কোনো চেষ্টা ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যেতে থাকা।

⏺️ কালো বা আলকাতরার মতো মল: পেপটিক আলসার থেকে রক্তক্ষরণের কারণে মলের রঙ কালো হতে পারে, যা একটি গুরুতর লক্ষণ।


💢 🍀চিকিৎসা ও প্রতিকার🌱 🚨

🚩 (অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা)

H. pylori সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো বিকল্প নেই। জীবনযাত্রার পরিবর্তন উপসর্গ কমাতে পারলেও ব্যাকটেরিয়াকে পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না।

✅ রোগ নির্ণয়: ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট (Urea Breath Test), স্টুল অ্যান্টিজেন টেস্ট (Stool Antigen Test) বা এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে বায়োপসি পরীক্ষা করে এই সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়।

✅ অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি: চিকিৎসকরা সাধারণত "ট্রিপল থেরাপি" বা "কোয়াড্রপল থেরাপি"র পরামর্শ দেন। এতে দুটি বা তিনটি ভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের (যেমন: Amoxicillin, Clarithromycin, Metronidazole) সাথে একটি অ্যাসিড কমানোর ওষুধ (Proton Pump Inhibitor - PPI) ১৪ দিনের জন্য দেওয়া হয়।

✅ কোর্স সম্পন্ন করা: ব্যাকটেরিয়াকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে এবং এর প্রতিরোধ ক্ষমতা (Antibiotic Resistance) ঠেকাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা অপরিহার্য।


📗 ✅ন্যাচারাল ও লাইফস্টাইল ব্যবস্থাপনা🌿

প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো মূল চিকিৎসাকে সহায়তা করে, নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

👉 প্রোবায়োটিক গ্রহণ: অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপির সময় এবং পরে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: ঘরে পাতা টক দই) খেলে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরে আসে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমে।

👉 ব্রোকলি স্প্রাউট: এতে থাকা সালফোরাফেন (Sulforaphane) নামক উপাদান H. pylori ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

👉 গ্রিন টি ও মধু: গ্রিন টি এবং মানুকা হানি (Manuka Honey)-এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

👉 প্রদাহরোধী খাবার: রসুন, হলুদ, আদার মতো প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী খাবার পাকস্থলীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

👉 যা এড়িয়ে চলবেন: ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার এবং ক্যাফেইন পাকস্থলীর ক্ষতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।


এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুধু উপসর্গ উপশম নয়, বরং মূল কারণকে দূর করে রোগীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করে।


🌿 শেষ কথা

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি সংক্রমণ একটি সাধারণ হলেও নীরব ঘাতক, যা অবহেলা করলে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড খেয়ে মূল রোগকে চেপে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে পেপটিক আলসার বা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।


👉 তাই পেটের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি প্রকাশ পায়, তবে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ নিন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসাই আপনাকে এই নীরব শত্রুর হাত থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে।

সচেতন থাকুন, আপনার পাকস্থলীর যত্ন নিন এবং সুস্থ থাকুন 💚


©️ তথ্য সংকলন ও পরিমার্জন

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...