💜💮বর্তমানে আমাদের পরিবারে এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায়—শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে একই ঘরে বা একই বিছানায় ঘুমায়। প্রথম দিকে এটা প্রয়োজনীয় হলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুকে আলাদা ঘরে দেওয়া কেন জরুরি, তা অনেকেই জানেন না।
👶 ০–৬ মাস:
নবজাতককে মায়ের খুব কাছেই রাখতে হয়।
বুকের দুধ খাওয়ানো, ডায়াপার বদলানো, সারাক্ষণ যত্ন—সবকিছু মায়ের হাতের নাগালে থাকতে হবে।
👉 তাই এই সময়ে শিশুকে আলাদা করা একেবারেই উচিত নয়।
---
👶 ৬ মাস – ২ বছর:
এই বয়সে শিশু ধীরে ধীরে রুটিন তৈরি করে।
তবে এখনো মা–বাবার কাছাকাছি থাকাটা নিরাপদ।
👉 আলাদা কট বা ছোট বিছানা ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু মায়ের ঘরের ভেতরেই রাখা ভালো।
---
👦 ২–৩ বছর:
শিশু কথা বলা, হাঁটা, খেলা—এসব শিখে যায়।
ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ও নিজের জায়গার প্রয়োজন অনুভব করে।
👉 এসময় থেকে আলাদা ছোট বিছানা দেওয়া শুরু করা যায়।
---
👦 ৪–৬ বছর:
শিশু মানসিক ও সামাজিকভাবে অনেকটা পরিপক্ক হয়।
সে বুঝতে শেখে—“এটা আমার ঘর, এটা আমার জিনিস।”
👉 এই বয়সে আলাদা রুমে ঘুমানোর অভ্যাস করানো সবচেয়ে ভালো।
---
👦 ৭ বছর বা তার বেশি:
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৭ বছর বয়স পার হলে শিশুকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখা উচিত।
কারণ, এসময় থেকে শিশু তার গোপনীয়তা (privacy) ও ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে।
👉 একই ঘরে মা–বাবার ব্যক্তিগত জীবনেও তখন অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
---
🌿 কেন শিশুকে আলাদা করতে হবে?
1. স্বাধীনতা তৈরি হয় – শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।
2. আত্মবিশ্বাস বাড়ে – আলাদা ঘরে ঘুমালে সাহসী হয়।
3. গোপনীয়তা শেখে – বড় হওয়ার সাথে সাথে privacy বোঝা জরুরি।
4. শৃঙ্খলা তৈরি হয় – নিজের ঘর গুছানো ও নিজের জিনিসপত্র সামলানো শেখে।
5. মা–বাবার সম্পর্ক সুস্থ থাকে – দাম্পত্য জীবনে ব্যক্তিগত পরিসর (personal space) বজায় থাকে।
---
🚨 দেরি করলে কী ক্ষতি?
শিশু অতি নির্ভরশীল হয়ে যায়।
আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
বাবা–মায়ের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।
ভবিষ্যতে decision making-এ দুর্বল হয়ে পড়ে।
---
✅ শেষ কথা:
👉 জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর মা–বাবার কাছে থাকাটা জরুরি।
👉 তবে ৪–৬ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে আলাদা রুমে অভ্যস্ত করানো সবচেয়ে ভালো সময়।
👉 এতে শিশুর স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব—সবকিছু ইতিবাচকভাবে গড়ে ওঠে।