এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

সকাল ১৭/৩/২০২৩ শুক্রবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৭ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ - নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে জাতি। 


আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন - পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে নিত্যপণ্য সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহবান প্রধানমন্ত্রীর।


স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাষ্ট্রপতি। 


যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয় - বললেন ওবায়দুল কাদের। 


পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিমকোর্ট আইজীবী সমিতি  নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি পন্থীরা - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ইউক্রেন ও রাশিয়াকে যথাশীঘ্র সম্ভব শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহবান চীনের। 


এবং মুম্বাইয়ে তিনম্যাচ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত।

রাত ১৬/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৬ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩—তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল — নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে জাতি।

 


* আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন —পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে নিত্যপণ্য সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। 

 


* স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাষ্ট্রপতি।

 


* যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয় — বললেন ওবায়দুল কাদের।

 


* পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিমকোর্ট আইজীবী সমিতি  নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি পন্থীরা — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


 

* পূর্ব সাগরে একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া।  

 


*এবং বঙ্গবন্ধু  কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় নেপালকে পরাজিত করে টানা তৃতীয় জয় পেলো বাংলাদেশ।

সকাল ১৬/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৬ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


দেশের অন্যান্য খাতের মতো নার্সিংসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতকেও এগিয়ে নেবে সরকার, বললেন প্রধানমন্ত্রী।


আজ তৃতীয় ধাপে আরও পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। 


সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচন ভন্ডুল করতেই আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে বিএনপি - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


তত্ত¡াবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, আশাবাদ বাণিজ্যমন্ত্রীর - এক সাথে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহবান।


বিরোধীদের ওপর দমনাভিযান ও ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধকে সমর্থন দেয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান।


এবং ইস্ট লন্ডনে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আজ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।

রাত ১৫/৩/২০২৩ বুধবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৫ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* দেশের অন্যান্য খাতের মতো নার্সিংসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতকেও এগিয়ে নেবে সরকার, বললেন প্রধানমন্ত্রী ——— জনগণের সেবায় আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করতে নার্সদের প্রতি আহ্বান।

 


* আগামীকাল তৃতীয় ধাপে আরও পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। 

 


* সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচন ভণ্ডুল করতেই আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে বিএনপি ——— বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


* তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না ——— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


* পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, আশাবাদ বাণিজ্যমন্ত্রীর ——— এক সাথে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহ্বান।


 

* করোনা মহামারি শুরুর তিন বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশী পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলো চীন।

 


* এবং রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা।

সকাল ১৫/৩/২০২৩ বুধবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৫ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখতে বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান।


২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকার আশ্বাস এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের।


দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্ব আরোপ।


বিএনপি নির্বাচনের সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


নির্বাচনে জয়ের আশা নেই জেনেই বিদেশিদের পদলেহন করছে বিএনপি - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ক্রান্তীয় ঝড় ফ্রেডির তান্ডবে আফ্রিকার মালাউইতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯০।


এবং মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ - রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি

 রমজানের বিশেষ আমল।


১) চাঁদ দেখা


২) রমজানের রোজা রাখা


৩) তারাবীহ নামাজ পড়া


৪) রমজানের সেহরি খাওয়া


৫) সেহরি দেরি করে খাওয়া


৭) ইফতারি খাওয়া


৮) ইফতারি তাড়াতাড়ি খাওয়া


৯) ইফতারের পরে দোয়া করা


১০) ইফতার এবং সেহরিতে খেজুর খাওয়া


১১) বেশি বেশি দোয়া করা


১২) সব রকমের পাপাচার বর্জন করা


১৩) বিশেষ করে মিথ্যাকে পরিহার করা


১৪) স্পেশালি, ঝগড়াঝাঁটি থেকে বিরত থাকা


১৫) ছোট-বড়, যত ভালো কাজ আছে, সবকিছু এই


মাসে বেশি বেশি করা


১৬) গুরুত্ব সহকারে ইস্তেগফার করা, আল্লাহর কাছে


গোনাহ মাফ চাওয়া


১৭) রোজাদারকে ইফতার করানো


১৮) গুরুত্ব সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করা


১৯) একজন আরেকজনকে কোরআন তেলাওয়াত


শোনানো   

২০) রমজানে বেশি বেশি দান খয়রাত করা


২১) সেহরির সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া, দোয়া


করা, এস্তেগফার করা।


২২) সমর্থ্যবানরা ওমরা পালন করা


২৩) দিনের বেলায় বেশি বেশি মিসওয়াক করা


২৪) এতেকাফ করা


২৫) শেষ দশকে বেশি বেশি এবাদত করা


২৬) শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর


তালাশ করা


২৭) লাইলাতুল কদরের বিশেষ দোয়া পড়া


২৮) রমজানের শেষে ফিতরা আদায় করা |


আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই আমল গুলো, এবং আরো


অন্যান্য যত ভালো আমল আছে, আমল গুলো করার


তৌফিক দান করেন আমিন।

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

রাত ১৪/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৪ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:……


বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখতে বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।

 


২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকার আশ্বাস এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের।

 


দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্ব আরোপ।

 


বিএনপি নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ——— বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


নির্বাচনে জয়ের আশা নেই জেনেই বিদেশীদের পদলেহন করছে বিএনপি ——— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরও দু’মাস বাড়াতে সম্মত রাশিয়া।


এবং মিরপুরে টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ ——— টাইগারদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

হেনতেন,,,,,,, জসিমউদদীন,,,,,

 অল্প বয়সেই আজিজের বাপ-মা মরে গেল। বুড়ো নানা আজিজকে এনে তাঁহার বাড়িতে রাখলেন। কিন্তু তার মতো দুষ্ট ছেলেকে সামাল দিবেন কতদিন? আজ এটা নষ্ট করে, কাল ওটা বাজারে বিক্রি করে মিঠাই খায়। অনেক ধকম-ধামক মারপিট করেও আজিজকে ভালো করা গেল না। পরিশেষে নানা তাঁকে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দিলেন।

দশ-বারো বছর পরে একদিন অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে আজিজ দেশে ফিরে আসল। এসে শহরে একটি বাড়ি কিনে ফেলল। তারপর নানা-নানীর সঙ্গে দেখা করতে আসল। তার হাতে আঙটি, দামি ঘড়ি, পরনে দামী কাপড়। নানা-নানী তো দেখে অবাক!নানা জিজ্ঞাসা করলেন, “হ্যারে আজিজ! বিদেশে গিয়ে তুই এত টাকা-পয়সা কামাই করিলি কি করে?” আজিজ উত্তর করল, “নানা।

ওসব জিজ্ঞাসা করবেন না। টাকা পয়সা উপার্জন করেছি হেনতেন এটা-সেটা করে।” নানা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “আরে নাতী! বল না হেনতেন কাকে বলে?” আজিজ বলল, “সে কথা আর একদিন বলব নানা। আজ থাক।”আজিজ চলে গেল।

কিন্তু নানার মনে কেবলই জাগে, হেনতেন কাকে বলে? আচ্ছা, নাতীর মতো হেনতেন করে নানা নিজের আবস্থা আরও ভালো করতে পারে না? ভেবে ভেবে নানার আর ঘুম হয় না। সেদিন আজিজকে নানা ডেকে আনলেন; বড়লোক নাতীর জন্য নানী অনেক পিঠা-পায়েস করেছেন।

নানা নাতী দুইজনে বসে খাচ্ছেন, নানা তখন কথাটা তুললেন, “হ্যারে আজিজ! সেদিন না বলেছিলি হেনতেন কাকে বলে অন্য সময় বলবি? আজ তোকে কিছুতেই ছাড়ব না। হেনতেন কাকে বলে তোকে বলতেই হবে?” একটা পিঠা চিবাইতে চিবাইতে আজিজ বলল, “নানা, আজ ওকথা থাক। পরে একদিন বলব।”

নানী বললেন, “আর একদিন কেন নাতী? তোমার নানা যখন জানতে চান, আজই বল না কেন, ভাই? হেনতেন কাকে বলে আমারও জানার ইচ্ছা।” আজিজ বলল, “আচ্ছা নানী! হেনতেন কাকে বলে আমি শুধু মুখেই বলব না। আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব। আমাকে শুধু এক মাস সময় দেন।”

একটু কি ভেবে আজিজ আবার বলল, “নানা! একটা কথা! নানী তো সারা জীবন আপনার সংসারে খেটে শরীর ক্ষয় করে ফেললেন। আপনি যদি অনুমতি দেন তবে নানীকে আমার শহরের বাড়িতে কিছুদিন রেখে সবকিছু দেখিয়ে আনি।” এ কথা শুনে নানী নাতীর উপর খুব খুশী হলেন। নানার মুখের দিকে তিনি চেয়ে রইলেন, নানা কি জবাব দেন।

নানা বললেন, “সে তো ভালো কথা ভাই! আমার তো আর কোনো আত্মীয়-স্বজন নাই, যেখানে গিয়ে তোমার নানী দুইদিন বিশ্রাম করে আসবে। তুমি বড়লোক নাতী, নিয়ে যাও তোমার নানীকে। কয়েকদিন শহরের যা কিছু দেখে আসুক।”

নানীকে সঙ্গে নিয়ে আজিজ তার শহরের বাসায় আসল। নানার বাড়ি হতে পঞ্চাশ-ষাট মাইল দূরে। কিছুদিন পরে শহর হতে এসে আজিজ কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, “নানা! দুঃখের কথা আর বলব কি! একদিনের কলেরা হয়েই নানী মরে গিয়েছেন। আপনাকে যে খবর দিব তারও সময় পেলাম না। ডাক্তার-কবিরাজের বাড়ি ঘুরেই শরীর কাহিল করে ফেললাম।”

নানা কিছুদিন বউ-এর জন্য খুব কাঁদলেন। তারপর ঘর-সংসারের কাজে মন দিলেন।আজিজ শহরের বাড়িতে গিয়ে তার নানীকে বলল, “নানী। দুঃখের কথা কি বলব! বসন্ত রোগ হয়ে একদিনেই নানা মরে গিয়েছেন।” শুনে নানী ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠলেন, “ওরে আজিজ! শীগগীর আমাকে বাড়িতে রেখে আয়।”

আজিজ আরও কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, “নানী! আপনাদের গ্রামে আরও দুই তিন জনের বসন্ত হয়েছে। সেখানে গেলেই আপনাকে বসন্ত রোগে ধরবে। কিছুতেই আমি আপনাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারব না।” চার পাঁচ দিন কেঁদে কেটে নানী আবার আগের মতোই খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলেন।

কিছুদিন পরে আজিজ এসে তার নানার সঙ্গে দেখা করে বলল, “নানা! আর কতদিন একলা সংসার সামলাইবেন? এই বুড়ো বয়সে কে দেয় আপনার ভাত-পানি, আর কে লয় আপনার খবরাখবর?” কয়েকদিন হাত পুড়াইয়া রান্না করে খেয়ে নানা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

নাতীর কথায় একেবারে গলিয়া গেলেন, “তাই তো রে ভাই! এই বুড়ো বয়সে ঘর সংসারের কাজ করতে করতে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছি।” সুযোগ বুঝে আজিজ বলল, “নানা! আমার বাসার কাছে একেবারে নানীর মতো দেখতে একটি বিধবা মেয়ে আছে। নানীর মতো বয়সী। বলেন তো তার সঙ্গে আপনার বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারি।”

নানা বললেন, “নারে ভাই, এই বুড়ো বয়সে কাকে এনে দিবি, জানি না, চিনি না, আমার ঘর-সংসার নাস্তানাবুদ করে ফেলবে।” আজিজ বলল, “নানা! ওসব চিন্তা করবেন না। আমার বাসার কাছে বলে সর্বদা মেয়েটিকে দেখতে পাই। তার চাল-চলন একেবারে নানীর মতো। আপনি দেখলে বুঝতে পারবেন না মেয়েটি নানী নাকি অন্য কেউ।”

নানা তখন বললেন, “আচ্ছা তোর যদি ইচ্ছা হয় তবে বিবাহের বন্দোবস্ত কর।” আজিজ বলল, “নানা! খালি হাতে তো বিবাহ হয় না। কনে পক্ষ আবার বিরাট শরীফ ঘর। অন্ততঃ হাজার টাকা না হলে এই বিবাহের কাজে নামা যায় না।” নানা গুণে গণিয়া নাতীর হাতে হাজার টাকার নোট দিলেন।

বাসায় এসে আজিজ তার নানীকে বলল, “নানী। এইভাবে বিধবা হয়ে আপনি আর কতদিন থাকবেন? আমাকে তো জানেনই। আমার মতিগতির কোনো ঠিক নাই। যা টাকা-পয়সা আছে ফুরিয়ে গেলে আবার বিদেশ চলে যাব। তখন আপনার কি উপায় হবে?” নানী একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, “তাই তো রে ভাই! আমার ভবিষ্যৎ ভেবে কুল-কিনারা পাই না।”

আজিজ বলল, “অমুক গ্রামে একজন বুড়ো লোক দেখেছি। একেবারে নানার মতো দেখতে। অবস্থা বেশ ভালো। অল্পদিন হল তার বউ মরেছে। আপনি যদি বলেন, তার সঙ্গে আপনার বিবাহের বন্দোবস্ত করতে পারি।”

শুনে নানী ক্ষেপে উঠলেন, “আরে হতভাগা! আমার কি এখন নিকার (বিয়ের) বয়স আছে?” আজিজ বলল, “সেই বুড়ো লোকটারও কি বিয়ার বয়স আছে? তবে দিনে দিনে আপনি যখন আরও কমজোর হয়ে পড়বেন তখন আপনার দেখাশুনা করবে কে? নানী! আপনি তো আমার কথায় বিশ্বাস করবেন না- সেই লোকটার চলন-বলন, হাবভাব, গায়ের রং একেবারে নানার মতো।

প্রথমে দেখলে তাঁকে নানা ছাড়া অপর কেউ মনে হবে না।”নানী বললেন, “তোর নানার মতো যদি দেখতে হয়, তবে কর বিয়ার জোগাড়।”শুভদিনে শুভক্ষণে নানা বিবাহের পোশাক পরে পালকিতে চড়ে কয়েকজন বরযাত্রী সঙ্গে নিয়ে নাতীর বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন।

বাজী-বন্দুক ফুটিয়ে নাতী বুড়ো নওসাকে ঘরে এনে বসাল।শা-নজরের সময় নানা নানীকে চিনিতে পারলেন। নানীও নানাকে চিনতে পারলেন। দুইজনে দুইজনকে পেয়ে ভারি খুশী।

তবুও নানা আজিজকে ডেকে ধমকিয়ে বললেন, “ওরে শয়তান! এই তোর কীর্তি!” হাঁসতে হাঁসতে আজিজ এসে নানাকে বলল, “নানা, হেনতেন কাকে বলে জানতে চেয়েছিলেন। তাই হেনতেন কাকে বলে আপনাদের  হাতে কলমে দেখিয়ে দিলাম,,


মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

পান্তাবুড়ির কথা – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

 

এক যে ছিল পান্তাবুড়ি, সে পান্তাভাত 







পান্তা বুড়ি পান্তা ভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত
।….এক চোর 
এসে  
রোজ পান্তাবুড়ির পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল।…পান্তাবুড়ি পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে,‘ পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!’

শিঙিমাছ বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘আচ্ছা।’

তারপর পান্তাবুড়ি বেলতলা দিয়ে যাচ্ছে। একটা বেল মাটিতে পড়ে ছিল, সে বললে, ‘পান্তাবুড়ি কোথায় যাচ্ছ?’……..পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।’………বেল বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘আচ্ছা।’

তারপর পান্তাবুড়ি পথের ধারে খানিকটা গোবর দেখতে পেলে। গোবর বললে, ‘পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।’

গোবর বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যেও, তোমার ভালো হবে।’

পান্তাবুড়ি বললে ‘আচ্ছা।’

তারপর খানিক দূরে গিয়ে পান্তাবুড়ি দেখলে, পথের ধারে একখানা ক্ষুর পড়ে রয়েছে।

ক্ষুর বললে, ‘পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি।’

ক্ষুর বললে, ‘ফিরে যাবার সময় আমাকে সঙ্গে নিও। তোমার ভালো হবে।’

পান্তাবুড়ি বললে, ‘আচ্ছা।’

তারপর পান্তাবুড়ি রাজার বাড়ি গিয়ে দেখলে, রাজামশাই বাড়ি নেই। কাজেই সে আর নালিশ করতে পেল না।

বাড়ি ফিরবার সময় তার ক্ষুর আর গোবর আর বেল আর শিঙিমাছের কথা মনে হল। সে তাদের সকলকে তার থলেয় করে নিয়ে এল।

পান্তাবুড়ি যখন বাড়ির আঙিনায় এসেছে, তখন ক্ষুর তাকে বললে, ‘আমাকে ঘাসের উপর রেখে দাও।’

তাই বুড়ি ক্ষুরখানাকে ঘাসের উপর রেখে দিল।

তারপর যখন সে ঘরে উঠতে যাচ্ছে, তখন গোবর বললে, ‘আমাকে পিঁড়ির উপর রেখে দাও।’

তাই বুড়ি গোবরটাকে পিঁড়ির উপর রেখে দিল।

বুড়ি যখন ঘরে ঢুকল, তখন বেল বললে, ‘আমাকে উনুনের ভিতরে রাখ।’ শুনে বুড়ি তাই করলে। শেষে শিঙিমাছ বললে, ‘আমাকে তোমার পান্তাভাতের ভিতরে রাখ।’

বুড়ি তাই করল।

তারপর রাত হলে বুড়ি রান্না-খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে রইল।….ঢের রাত্রে চোর এসেছে। সে তোর আর জানে না, সেদিন বুড়ি কি ফন্দি করেছে। সে এসেই পান্তাভাতের হাঁড়িতে হাত ঢুকিয়ে দিল। সেখানে ছিল শিঙিমাছ। সে চোর বাছাকে এমনি কাঁটা ফুটিয়ে দিল যে তার দুই চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল।

শিঙিমাছের খোঁচা খেয়ে চোর কাঁদতে কাঁদতে উনুনের কাছে গেল। তার ভিতর ছিল বেল। চোর যেই আঙুলের তাত দেবার জন্য উনুনে হাত ঢুকিয়েছে, অমনি পটাশ করে বেল ফেটে, তার চোখেমুখে ভয়ানক লাগল।

তখন সে ব্যথা আর ভয়ে পাগলের মতো হয়ে যেই ঘর থেকে ছুটে বেরুবে, অমনি সেই গোবরে তার পা পড়েছে। তাতে সে পা হড়কে ধপাস করে সেই গোবরের উপরেই বসে পড়ল।..তারপর গোবর লেগে ভূত হয়ে বেটা গিয়েছে ঘাসে পা মুছতে। সেইখানে ছিল ক্ষুর, তাতে ভয়ানক কেটে গেল। তাতে আর ‘ও মা গো! বলে না চেঁচিয়ে বাছা যান কোথায়?…তা শুনে পাড়ার লোক ছুটে এসে বললে, ‘এই বেটা চোর! ধর বেটাকে! মার বেটাকে। কান ছিঁড়ে ফেল!’…………………………..তখন যে চোরের সজাটা,,,,,,,


বোকা বুড়ি,,,, সুকুমার রায়,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এক ছিল বুড়ো আর এক ছিল বুড়ী। তারা ভারি গরীব। আর বুড়ী বেজায় বোকা আর ভয়ানক বেশি কথা বলে— যেখানে সেখানে যার তার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়— তার পেটে কোন কথা থাকে না।বুড়ো একদিন তার জমি চষ্‌তে চষ্‌তে মাটির নিচে এক কলসী পেলে, সেই কলসী ভরা টাকা আর মোহর! তখন তার ভারি ভাবনা হল— এ টাকা যদি ফেলে রাখি কোনদিন কে চুরি ক’রে নেবে।

আর যদি টাকা বাড়ি নিয়ে যাই, বুড়ী টের পেয়ে যাবে— সে সকলের কাছে তার গল্প করবে; ক্রমে কথা রাষ্ট্র হয়ে পড়লে রাজার কোটাল এসে সব কেড়েকুড়ে নিয়ে যাবে। ভেবে ভেবে সে এক ফন্দি আঁটল। সে ঠিক করল যে বুড়ীকে সব কথা বলবে কিন্তু এ রকম উপায় করব যাতে বুড়ীর কথা কেউ না বিশ্বাস করে।

তখন সে একটা মাছ কিনে এনে তার ক্ষেতের ধারে একটা গাছের উপর বেঁধে রাখল, আর একটা খরগোস এনে নদীর ধারে একটা গর্তের মধ্যে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখল, তারপর সে তার স্ত্রীকে গিয়ে বলল, “একটা ভারি আশ্চর্য খবর শুনলাম— গাছের গায়ে নাকি মাছ উড়ে বসে আর খরগোস নাকি জলে খেলা করে। আমাদের গণক ঠাকুর বলেন— “মৎস্য বসেন গাছে জলে খরগোস নাচে গুপ্ত রতন খুঁজলে পাবে খুঁড়লে তারি কাছে।”

বুড়ী বলল, “তোমার যেমন কথা!” বুড়ো বলল, “হাঁ! এরকম নাকি সত্যি সত্যি দেখা গেছে।” এই বলে বুড়ো আবার কাজে বেরুল।আধঘণ্টা না যেতে যেতেই বুড়ো আবার ফিরে এসে ভারি ব্যস্ত হয়ে বুড়ীকে সেই টাকা পাওয়ার কথা বলল। তখন বুড়ো বুড়ী মিলে টাকা আনতে চলল। পথে যেতে যেতে বুড়ো সেই গাছতলায় এসে বলল, “গাছের উপর চক্‌চক্‌ করছে কি?” এই বলে সে একটা ঢিল ছুঁড়তেই মাছটা পড়ে গেল।

বুড়ী ত অবাক! তখন বুড়ো বলল, “নদীতে জাল ফেলেছিলাম, মাছ-টাছ পড়ল কিনা দেখে আসি।” জাল টানতেই— ওমা! খরগোস যে! তখন বুড়ো বলল, “কেমন! গণক ঠাকুরের কথা আর অবিশ্বাস করবে?” তারপর টাকা নিয়ে তারা বাড়ি এল।টাকা পেয়েই বুড়ী বলল, “ঘর করব, বাড়ি করব, গহনা বানাব, পোশাক কিনব।

” বুড়ো বলল, “ব্যস্ত হ’য়ো না— কিছুদিন র’য়ে স’য়ে দেখ— ক্রমে সবই হবে। হঠাৎ অত কাণ্ড করলে লোকে সন্দেহ করবে যে।” কিন্তু বুড়ীর তাতে মন উঠে না— সে একে বলে, ওকে বলে; শেষে একবারে কোটালের কাছে নালিশ ক’রে দিল। কোটালের হুকুমে বুড়োকে হাতকড়া দিয়ে হাজির করা হল।

বুড়ো সব কথা শুনে বলল, “সে কি হুজুর! আমার স্ত্রীর কি মাথার কিছু ঠিক আছে? সে ত ওরকম আবোল তাবোল কত কি বলে।” কোটাল তখন তেড়ে উঠলেন— “বটে! তুমি টাকা পেয়ে লুকিয়ে রেখেছ— আবার বুড়ীর নামে দোষ দিচ্ছ?” বুড়ো বলল, “কিসের টাকা? কবে পেলাম? কোথায় পেলাম? আমি তো কিছুই জানি না।”

বুড়ী বলল, “না তুমি কিছুই জান না? সেই যেদিন গাছের ডালে মাছ বসেছিল, নদীতে জাল ফেলে খরগোস ধরলে— সেদিনের কথা তোমার মনে নেই? কচি খোকা আর কি?” তাই শুনে সবাই হাসতে লাগল; কোটাল এক ধমক দিয়ে বুড়ীকে বলল— “যা পাগ্‌লী, বাড়ি যা! ফের যদি যা-তা বলবি তোকে আমি কয়েদ ক’রে রাখব।”বুড়ী তখন বাড়ি ফিরে গেল। কোটালের ভয়ে সে আর কারু কাছে টাকার কথা বলত না।

 কপি

পেস্ট 

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...