এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

একটু খানি আদব,,,তানজিন আরেফিন আদনান এর পোস্ট মোঃকাসেম আফ্ফান ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 #একটুখানি_আদাব: ৩


বায়ু ত্যাগ করা আমাদের প্রত্যেকেরই চিরায়ত স্বভাব। এবং এটা আমাদের সুস্থতার জন্য আবশ্যকও বটে। ভেতরের অযাচিত বায়ুগুলো নিঃসারণ হওয়ার একমাত্র উপায় এটিই।


কিন্তু আমাদের অনেকেরই অভ্যাস হলো, কেউ বায়ু ত্যাগ করলেই হেসে লুটোপুটি খান। বায়ু ত্যাগকারী ব্যক্তিটি যেন মহা লজ্জার কাজ করে ফেলেছেন। এবং এতে বেচারাও বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। বিশেষ করে বন্ধুমহলে এমনটা দেখা যায় বেশি। অথচ হাদীসের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটা করতে স্পষ্ট নিষেধ করেছেন। সহীহ বুখারীতে রয়েছে, عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَضْحَكَ الرَّجُلُ مِمَّا يَخْرُجُ مِنَ الأَنْفُسِ


আবদুল্লাহ ইবনু যামআ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বায়ু নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী, ৬০৪২ নং হাদীস)


আরেক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, 

لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ


অর্থাৎ তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে এমন কাজের জন্য, যে কাজটি সে নিজেও করে। (সহীহ বুখারী, ৪৯৪২ নং হাদীস)


হাতেম রহ. নামে একজন তাবি-তাবিয়ী ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক মহিলা এসেছিলেন একটি মাসআলা জানতে। মাসআলা জানতে এসে মহিলা সশব্দে ‘শব্দ দূষণ’ করেন! একজন সম্ভ্রান্ত মুফতির কাছে এসে কী এক অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়লেন তিনি! লজ্জায় যেন লাল হয়ে যাচ্ছেন।


ইমাম হাতেম রহ. প্রশ্নকারী মহিলার প্রশ্ন শুনেও নিজের কানের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, “জোরে বলুন।” তিনি এমন ভাব দেখালেন যে, তিনি কানে কম শোনেন। প্রশ্নকারী মহিলা যখন বুঝলেন, ইমাম সাহেব বধির, তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যাক, এর মানে ইমাম সাহেব তার ‘শব্দ’ শুনতে পাননি।


মহিলা চলে গেলেন। কিন্তু ইমাম সাহেব যে বধির হবার ভান করেছিলেন, সেটা অব্যাহত রাখেন। যখনই কেউ তার কাছে কিছু জানতে আসত, তিনি বলতেন “জোরে বলো”।

কারণ, ওই মহিলা যদি কখনো জানতে পারেন যে, ইমাম সাহেব বধির ছিলেন না, তাহলে তো তিনি লজ্জা পাবেন।


একজন মুসলিম মহিলার ইজ্জত রক্ষার জন্য ইমাম হাতেম রহ. মৃত্যু অবধি বধির থাকার ভান করে যান। যার কারণে তিনি পরিচিত হয়ে যান ‘আসম’ অর্থাৎ বধির নামে। তাঁকে মানুষ চিনত ‘হাতেমে আসম’ বা বধির হাতেম নামে।


ইসলাম এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়টার দিকেও নজর রেখেছে। ইসলাম আমাদেরকে জনসম্মুখে লজ্জিত হবার হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। ইসলাম চায় না আমরা সবার সামনে হাসিরপাত্রে পরিণত হই।

কপি
পেস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

হ্যালোব্লু মাসিক পণ্যের ইতিহাস  - পিরিয়ড হিস্টরি ট্রিবিউট

 মেরি বিট্রিস ডেভিডসন কেনার একজন আফ্রিকান-আমেরিকান উদ্ভাবক ছিলেন, যিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন। তিনি স্যানিটারি বেল্ট সহ বেশ ক...