"A" দ্বারা শুরু হওয়া ৫৯ টি হোমিওপ্যাথিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের *ঘামের* লক্ষন
*কেন্ট*, *বোরিক*, *অ্যালেন*, *ফ্যারিংটন*, *ক্লার্ক* প্রমুখ লেখকদের রেফারেন্স অনুযায়ী:
১. *Aconitum Napellus (অ্যাকোনাইট)*
- হঠাৎ ভয় বা আতঙ্কে ঠান্ডা ঘাম।
- হাতের তালুতে ঠান্ডা ঘাম।
- ঘাম সাধারণত শরীরের যে পাশে শোয়, সেই পাশে বেশি হয়।
*সূত্র*: Kent, Boericke
২. *Aethusa Cynapium (এইথুসা)*
- বমির সময় কপালে ঠান্ডা ঘাম।
- শিশুদের মধ্যে দুধ হজম না হলে দুর্বলতা ও ঘাম দেখা যায়।
*সূত্র*: Allen, Boericke
৩. *Agaricus Muscarius (আগারিকাস)*
- অতিরিক্ত ঘাম, বিশেষ করে চুলকানি ও জ্বালার সাথে।
- ত্বকে জ্বালা ও গরম অনুভূতির সাথে ঘাম।
*সূত্র*: Kent, Farrington
৪. *Agnus Castus (অ্যাগনাস)*
- যৌন দুর্বলতার সাথে ঠান্ডা ঘাম।
- মানসিক অবসাদের সাথে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম।
*সূত্র*: Allen, Boericke
৫. *Allium Cepa (অ্যালিয়াম সিপা)*
- সর্দি ও চোখে পানি পড়ার সাথে ঘাম।
- গরম ঘাম, নাক দিয়ে ঝাঁঝালো স্রাবের সাথে।
*সূত্র*: Clarke, Boericke
৬. *Aloe Socotrina (অ্যালো)*
- সকালে দুর্বলতার সাথে ঘাম।
- পাতলা পায়খানা ও পেটের গড়গড় শব্দের সাথে অতিরিক্ত ঘাম।
*সূত্র*: Boericke, Allen
৭. *Alumina (অ্যালুমিনা)*
- সাধারণত ঘাম কম হয়।
- ত্বক শুষ্ক, ঘামহীন; মাঝে মাঝে অল্পমাত্রায় রাতের ঘাম।
*সূত্র*: Kent, Clarke
৮. *Ammonium Carbonicum (অ্যামোনিয়াম কার্ব)*
- রাতে বিশেষ করে মাথায় ঘাম।
- ঘামে দুর্গন্ধ থাকতে পারে।
*সূত্র*: Boericke, Farrington
৯. *Ammonium Muriaticum (অ্যামোনিয়াম মিউর)*
- রাতের বেলায় মাথা ও বুকে ঘাম।
- বাতজনিত ব্যথার সাথে ঘাম।
*সূত্র*: Allen, Boericke
১০. *Anacardium Orientale (অ্যানাকার্ডিয়াম)*
- মানসিক দ্বন্দ্ব বা পরীক্ষার ভয় থেকে ঘাম।
- হালকা ঘাম, ঠান্ডা অনুভূতির সাথে।
*সূত্র*: Kent, Boericke
১১. *Antimonium Crudum (অ্যান্টিমোনিয়াম ক্রুডাম)*
- রাতে মাথা ও মুখে ঘাম।
- গরমে ঘামে বৃদ্ধি হয়।
*সূত্র*: Boericke, Farrington
১২. *Antimonium Tartaricum (অ্যান্টিমোনিয়াম টারটারিকাম)*
- দুর্বলতা ও ঘামের সাথে শ্বাসকষ্ট।
- সামান্য পরিশ্রমেই ঘাম, তাতে আরাম পায় না।
*সূত্র*: Kent, Allen
১৩. *Apocynum Cannabinum (অ্যাপোসাইনাম)*
- অতিরিক্ত ঘাম, মুখে ঠান্ডা ঘাম — হৃদরোগ বা ফুসফুসে পানি জমায়।
- ঘাম হলুদ ও দগদগে, হাঁপানির রোগীদের মাঝে দেখা যায়।
*সূত্র*: Allen, Clarke
১৪. *Apis Mellifica (অ্যাপিস)*
- গরমে ঘাম বাড়ে, বিশেষ করে দুপুরে।
- মুখে ও মাথায় ঘাম, কখনো ঠান্ডা ও শীতল ঘাম হয়।
*সূত্র*: Boericke, Kent
১৫. *Argentum Nitricum (আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম)*
- মানসিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তায় ঘাম।
- হাত-পা ঘামে, সাথে কম্পন থাকে।
*সূত্র*: Kent, Allen
১৬. *Arnica Montana (আর্নিকা)*
- রাতে বিছানায় শুয়ে ঘামে, ঘাম ঘুমকে ভেঙে দেয়।
- আঘাতের পর শরীর ঠান্ডা ঘামে ভিজে যায়।
*সূত্র*: Boericke, Clarke
১৭. *Arsenicum Album (আর্সেনিকাম এলবাম)*
- ভোরে ঘাম, দুর্বলতা নিয়ে ও
- গরমে ও রাতে ঘামে বৃদ্ধি, বিশেষ করে বুকে ও মুখে।
*সূত্র*: Kent, Boericke
১৮. *Asafoetida (আসাফোইটিডা)*
- অতিরিক্ত ঘাম, মানসিক উত্তেজনার সাথে।
- দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম, মানসিক চাপ কমায়।
*সূত্র*: Boericke
১৯. *Aurum Metallicum (অরাম মেটালিকাম)*
- ঠান্ডা ঘাম, বিষণ্নতা ও আত্মহত্যার প্রবণতার সাথে।
- রাতে ঘাম বৃদ্ধি, হৃদরোগের সাথে।
*সূত্র*: Kent, Farrington
২০. *Aconitum Lycotonum (অ্যাকোনাইটাম লাইকোটোনাম)*
- হাতের তালুতে ঘাম।
*সূত্র*: KnowHomoeopathy
২১. *Aesculus Hippocastanum (এসকিউলাস হিপোকাস্টানাম)*
- ঘাম খুব একটা হয় না।
- মলদ্বারে ব্যথার সাথে ক্লান্তি; অতিরিক্ত কষ্টে মাথায় ঘাম হতে পারে।
*সূত্র:* Boericke
২২. *Aethusa Cynapium (এইথুসা)*
- শিশুরা দুধ হজম না করলে কপালে ঠান্ডা ঘাম।
- বমির সাথে তীব্র দুর্বলতা ও ঘাম।
*সূত্র:* Allen, Farrington
২৩. *Ailanthus Glandulosa (আইল্যান্থাস)*
- গরম ও ঘামে বেশি কষ্ট।
- ঘামের সাথে বিষাক্ত গন্ধ।
*সূত্র:* Clarke
২৪. *Aletris Farinosa (অ্যালেট্রিস ফারিনোসা)*
- দুর্বলতা, রক্তাল্পতা ও ঘাম।
- গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত ঘাম দেখা যায়।
*সূত্র:* Boericke
২৫. *Allium Sativum (অ্যালিয়াম স্যাটিভাম)*
- গ্যাস ও বদহজমে ঘাম হয়।
- ঘামে দুর্গন্ধ থাকে।
*সূত্র:* Clarke
২৬. *Aloes Socotrina (অ্যালো)*
- সকালে পায়খানার সময় মুখে ঘাম।
- পেট গড়গড় শব্দ, পায়খানার সাথে হালকা ঘাম।
*সূত্র:* Kent, Boericke
২৭. *Alstonia Scholaris (অ্যালস্টোনিয়া)*
- জ্বরোত্তর দুর্বলতা, ঘামে শরীর ভিজে যায়।
- পাতলা পায়খানা ও ঘামের সংযোগ।
*সূত্র:* Boericke
২৮. *Ammoniacum (অ্যামোনিয়াকাম)*
- সাইনাস বা বাত ব্যথায় কপালে ঘাম।
*সূত্র:* Allen
২৯. *Ammonium Bromatum (অ্যামোনিয়াম ব্রোমাটাম)*
- গলায় কফ জমে ঘাম হয়।
- ঘামে আরাম পায় না।
*সূত্র:* Boericke
৩০. *Amygdalus Persica (অ্যামিগডালাস পার্সিকা)*
- বমি, পেট খারাপ ও শিশুদের ঘামের ওষুধ।
*সূত্র:* Clarke
৩১. *Anagallis Arvensis (অ্যানাগ্যালিস)*
- চর্মরোগে ঘাম বাড়ে।
- চুলকানির সাথে ঘাম দেখা যায়।
*সূত্র:* Boericke
৩২. *Anemone Pulsatilla Nigricans (পালসেটিলা)*
- দিনের বেলায় ঘাম, রাতের ঘাম কম।
- গরমে ঘামে কষ্ট পায় না। ঠান্ডা চায়।
*সূত্র:* Kent, Boericke
৩৩. *Angustura Vera (অ্যাঙ্গুস্তুরা)*
- হাত-পায়ে কাঁপুনি ও ঘাম।
- বাত রোগে ঘামের পর বৃদ্ধি।
*সূত্র:* Allen
৩৪. *Antimonium Arsenicosum (অ্যান্টিমোনিয়াম আর্সেনিক)*
- শ্বাসকষ্টের সাথে ঠান্ডা ঘাম।
*সূত্র:* Clarke
৩৫. *Antimonium Sulphuratum Auratum*
- ত্বকে ঘাম ও ফুসকুড়ির সংযোগ।
- বাত রোগে ঘাম।
*সূত্র:* Boericke
৩৬. *Anthracinum (অ্যানথ্রাসিনাম)*
- ঘন ঘন ঘাম; বিষাক্ত সংক্রমণে ঘাম দেখা দেয়।
*সূত্র:* Clarke
৩৭. *Apis Mellifica (অ্যাপিস)*
- গরম ও দুপুরে ঘাম বেড়ে যায়।
- মুখ ও মাথায় ঘাম।
*সূত্র:* Kent, Boericke
৩৮. *Apocynum Cannabinum (অ্যাপোসাইনাম)*
- হৃদপিণ্ড ও কিডনি সমস্যায় মুখে ঠান্ডা ঘাম।
*সূত্র:* Boericke, Allen
৩৯. *Aralia Racemosa (আরালিয়া)*
- হাঁপানির সময় ঠান্ডা ঘাম পড়ে।
- রাতের বেলা ঘাম, শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এমন অনুভূতি।
*সূত্র:* Boericke
৪০. *Aristolochia (অ্যারিস্টোলোকিয়া)*
- তীব্র ঘাম, মুখ ও মাথা।
- বিষক্রিয়ায় কণ্ঠনালীতে ঘাম।
*সূত্র:* Clarke
৪১. *Arnica Montana (আর্নিকা)*
- আঘাতের পর ঘাম পড়ে, শুয়ে ঘাম বেড়ে যায়।
*সূত্র:* Kent
৪২. *Arsenicum Album (আর্সেনিক)*
- দুর্বলতা ও বিষাদে ঘাম।
- ঠান্ডা ঘাম, রাত ১টা থেকে ৩টা।
*সূত্র:* Kent, Allen
৪৩. *Artemisia Vulgaris (আর্টেমিসিয়া)*
- খিঁচুনির পর মাথায় ঘাম।
- মৃগীরোগে ঘামের সাথে তন্দ্রা।
*সূত্র:* Clarke
৪৪. *Asafoetida (আসাফোইটিডা)*
- হিস্টিরিয়ায় ঠান্ডা ঘাম পড়ে।
- মানসিক উত্তেজনায় ঘাম বৃদ্ধি।
*সূত্র:* Boericke
৪৫. *Asarum Europaeum (অ্যাসারাম)*
- অতিসংবেদনশীলতায় ঘাম, বিশেষ করে কানে শব্দে।
*সূত্র:* Kent
৪৬. *Asclepias Tuberosa (অ্যাসক্লেপিয়াস)*
- ঠান্ডা ঘাম, বুকে চাপ ও শ্বাসকষ্টে।
*সূত্র:* Clarke
৪৭. *Asclepias Syriaca (অ্যাসক্লেপিয়াস সিরিয়াকা)*
- ঘাম দ্বারা পানি নিঃসরণ বাড়ে, এডিমা কমে।
*সূত্র:* Boericke
৪৮. *Asterias Rubens (অ্যাস্টেরিয়াস রুবেন্স)*
- স্তন ক্যান্সারে রাতের বেলা মাথায় ঘাম।
*সূত্র:* Clarke
৪৯. *Atropa Belladonna (বেলাডোনা)*
- হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে গরম ঘাম।
- মাথায় ঘাম, ত্বক গরম।
*সূত্র:* Kent, Boericke
৫০. *Aurum Metallicum (অরাম মেট)*
- ঠান্ডা ঘাম; বিষণ্নতার সাথে ঘাম।
- হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় রাতের ঘাম।
*সূত্র:* Farrington, Allen
৫১.Acidum Nitricum(এসিড নাইট)
---
*ঘামের লক্ষণ (Sweat Symptoms) of Acidum Nitricum:*
1. *রাত্রে ঘাম*
- ঘাম সাধারণত *রাতে বেশি হয়*।
*(Boger’s Synoptic Key, p. 375)*
2. *ঘামে টক গন্ধ*
- ঘামে টক বা তীব্র গন্ধ থাকে, যা কাপড় নষ্ট করে ফেলে।
*(Kent’s Materia Medica)*
3. *ঘামে জ্বালা ভাব*
- ঘামে শরীরে জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে।
*(Allen’s Encyclopedia)*
4. *পায়ে ও বগলে ঘাম*
- পা ও বগলের অংশে ঘাম বেশি হয়।
*(Farrington's Clinical Materia Medica)*
5. *ঘাম সহজে হয় না*
- কোনো-কোনো ক্ষেত্রে রোগী ঘামতে *কঠিনতা অনুভব করে* (anhidrosis)।
*(Nash's Leaders in Homoeopathic Therapeutics)*
Dr. Md. Selim Uddin, DHMS; BSc; MPH( UCTC)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন