এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

একটি ‘ঘুম’ বদলে দিল ইতিহাস! সকালবেলা। আপনি অফিসের তাড়ায় ছুটছেন, আর আপনার ছেলে বা মেয়ে স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে গেল।গেট থেকে একটু দূরে গিয়ে সে একবার পেছন ফিরে তাকালো। আপনি হয়তো ব্যস্ত ছিলেন ফোনে কথা বলতে—তাই সেই চোখটা আপনার চোখে পড়েনি।বাচ্চার স্কুল থেকে ফোন এল বলল আপনাকে স্কুলে দেখা করতে। গিয়ে শুনলেন সন্তান ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছে—এই কথা শুনেই আপনার মনটা হঠাৎ করে ভারী হয়ে যায়।আপনি ভাবেন—সে মনোযোগী নয়। সে হয়তো পিছিয়ে পড়ছে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা হয়। কিন্তু যদি বলি, এমনই এক ছাত্র একদিন ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল…আর সেই ঘুমই হয়ে উঠেছিল এক অভূতপূর্ব জাগরণ, শুধুই তাঁর জন্য নয়—সমস্ত পৃথিবীর জন্য? আমরা সবসময় চাই, আমাদের সন্তান যেন সেরা হয়—শ্রেষ্ঠ নম্বর পাক, সবার আগে থাকুক, কেবল ‘পারফেক্ট’ হোক।কিন্তু বাস্তবটা সবসময় অঙ্কের মতো সোজা নয়। আজ আমি আপনাদেরকে এমন একটি সত্যিকারের গল্প বলব—একটি ছেলে, যে একদিন ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল…আর সেই ঘুমই তাকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে গিয়েছিল। ঘটনাটা ১৯৩৯ সালের। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিমশীতল সকাল। ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে আসা আলো ছুঁয়ে যাচ্ছে ছাত্রদের চোখ। প্রফেসর ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন গণিতের জটিল ছক। তার কথাগুলো ধীরে ধীরে বাতাসে মিশে যাচ্ছে... আর এক কোণে বসে থাকা এক তরুণ ছাত্র, জর্জ ডান্টজিগ, চোখের পাতা বন্ধ করে ফেলছে। ক্লান্ত শরীর, ক্লান্ত মন—হয়তো রাতভর গণিতের বই নিয়ে জেগে ছিল, হয়তো জীবন নিয়ে কোনো দ্বিধা। বাকি ছাত্রছাত্রীরা গভীর মনোযোগে প্রফেসরের কথা শুনছে।কেউ খেয়ালও করেনি, এই ছেলে ক্লাসেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ক্লাস চলতে থাকে। প্রফেসর বোর্ডে দুটি জটিল গাণিতিক সমস্যা লিখে বলেন, "এই সমস্যাগুলো আজ পর্যন্ত কেউ সমাধান করতে পারেনি। এগুলো শুধু উদাহরণ হিসেবে দেখালাম।" জর্জ তখনো ঘুমিয়ে। সে শুনল না এই সতর্কতা। ক্লাস শেষে সবাই হইচই করতে করতে বেরিয়ে যায়। তখন জর্জের ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে সে দেখে বোর্ডে লেখা দুইটি সমস্যা। তাঁর সরল চিন্তা—“অ্যাঁ! নিশ্চয় হোমওয়ার্ক।” খাতায় লিখে নেয়। কিছু না ভেবে। কোনো প্রশ্ন না করে। বাড়ি ফিরে এক যুদ্ধ শুরু হয়। গণিতের সমস্যা সে এর আগে অনেক করেছে, কিন্তু এই সমস্যাগুলো যেন অন্যরকম।প্রথমে মাথায় ঢুকছে না। সূত্র মিলছে না। কোথাও যেন কিছু বাদ পড়ছে। কিন্তু সে থামে না।কারণ সে জানে না—এই সমস্যাগুলো ‘অসম্ভব’। এই না-জানাটাই হয়ে দাঁড়ায় তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। সে ভাবছে, “হোমওয়ার্ক তো, মানে নিশ্চয় কোনো সমাধান আছে।” এই বিশ্বাস নিয়েই সে গভীরভাবে পড়তে থাকে। লাইব্রেরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায়। বইয়ের পর বই, থিওরির পর থিওরি। ঘরে ফিরে আবার চেষ্টা। মাঝরাতে উঠে আবার কাগজে আঁকা-আঁকি। বন্ধুরা খেলতে যাচ্ছে—সে যাচ্ছে গণিতের প্যাচ খুলতে। দিনের পর দিন পরিশ্রম করে শেষমেশ সে একটি সমস্যার সমাধানে পৌঁছায়। পরের ক্লাসে, খুশি মনে খাতা জমা দেয় জর্জ। সে ভেবেছে—“এবার ভালো নম্বর পাব। হয়তো একটা ‘A’!”কিন্তু প্রফেসর তো বিস্ময়ে অবাক! “জর্জ! তুমি এটা করেছ কীভাবে? তুমি জানো তো, তুমি কী করেছ?” জর্জ অবাক হয়ে বলে—“এই তো হোমওয়ার্ক ছিল!” প্রফেসর চুপ করে যান কিছুক্ষণ। তারপর বলেন— “জর্জ, এগুলো হোমওয়ার্ক ছিল না। এগুলো ছিল দুইটি অমীমাংসিত গাণিতিক সমস্যা—যা বহু গণিতবিদ বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারেননি। তুমি এর একটি সমাধান করে ফেলেছ!” জর্জ তখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না। তাঁর চোখে তখনও সেই সরলতা—যে সরল বিশ্বাস থেকেই এক অসম্ভব সমাধান সম্ভব হয়েছে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব:প্রিয় অভিভাবক, আপনি হয়তো ভাবছেন—"আমার ছেলে মনোযোগ দেয় না", "ও খুব ধীর", "পাশের বাচ্চা কত ভালো করে"… কিন্তু আপনি জানেন না, আপনার সন্তানটিও একদিন ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারে। হয়তো আজ সে ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছে, হয়তো সে একবার পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে, হয়তো সে অঙ্কে একটু ধীরে এগোচ্ছে… কিন্তু বিশ্বাস করুন, তার মনে যদি থাকে একটি সরল বিশ্বাস,যদি আপনি তাকে ভালোবাসা আর ধৈর্যের সঙ্গে আগলে রাখেন,তাহলে সেই ঘুমন্ত চোখেই লুকিয়ে থাকে এক জাগ্রত ভবিষ্যৎ। সন্তানদের চাপে নয়, বিশ্বাসে বড় করুন তারা পারবে, যদি আপনি বলেন “তুমি পারো।” তারা এগোবে, যদি আপনি বলেন “আমি তোমার পাশে আছি।” তারা ইতিহাস গড়বে, যদি আপনি তাদের উপর ভরসা রাখতে শেখেন। জর্জ ডান্টজিগ আমাদের এই একটি কথাই শিখিয়ে যান—"যদি তুমি না জানো এটি অসম্ভব, তাহলে তুমি সেটি করেই ফেলো।" আজকের মতো ঘুমিয়ে পড়া একটি ঘটনা ।আগামীকাল হয়ে উঠতে পারে একটি অমর অনুপ্রেরণা। যারা পড়বেন অনুরোধ রইল মতামত জানাবেন সংগৃহীত

 একটি ‘ঘুম’ বদলে দিল ইতিহাস!


সকালবেলা। আপনি অফিসের তাড়ায় ছুটছেন, আর আপনার ছেলে বা মেয়ে স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে গেল।গেট থেকে একটু দূরে গিয়ে সে একবার পেছন ফিরে তাকালো। আপনি হয়তো ব্যস্ত ছিলেন ফোনে কথা বলতে—তাই সেই চোখটা আপনার চোখে পড়েনি।বাচ্চার স্কুল থেকে ফোন এল বলল আপনাকে স্কুলে দেখা করতে। গিয়ে শুনলেন সন্তান ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছে—এই কথা শুনেই আপনার  মনটা হঠাৎ করে ভারী হয়ে যায়।আপনি ভাবেন—সে মনোযোগী নয়। সে হয়তো পিছিয়ে পড়ছে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা হয়।


কিন্তু যদি বলি, এমনই এক ছাত্র একদিন ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল…আর সেই ঘুমই হয়ে উঠেছিল এক অভূতপূর্ব জাগরণ, শুধুই তাঁর জন্য নয়—সমস্ত পৃথিবীর জন্য?


আমরা সবসময় চাই, আমাদের সন্তান যেন সেরা হয়—শ্রেষ্ঠ নম্বর পাক, সবার আগে থাকুক, কেবল ‘পারফেক্ট’ হোক।কিন্তু বাস্তবটা সবসময় অঙ্কের মতো সোজা নয়।


আজ আমি আপনাদেরকে এমন একটি সত্যিকারের গল্প বলব—একটি ছেলে, যে একদিন ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল…আর সেই ঘুমই তাকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে গিয়েছিল।


ঘটনাটা ১৯৩৯ সালের।


কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিমশীতল সকাল। ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে আসা আলো ছুঁয়ে যাচ্ছে ছাত্রদের চোখ। প্রফেসর ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন গণিতের জটিল ছক। তার কথাগুলো ধীরে ধীরে বাতাসে মিশে যাচ্ছে... আর এক কোণে বসে থাকা এক তরুণ ছাত্র, জর্জ ডান্টজিগ, চোখের পাতা বন্ধ করে ফেলছে। ক্লান্ত শরীর, ক্লান্ত মন—হয়তো রাতভর গণিতের বই নিয়ে জেগে ছিল, হয়তো জীবন নিয়ে কোনো দ্বিধা।


 বাকি ছাত্রছাত্রীরা গভীর মনোযোগে প্রফেসরের কথা শুনছে।কেউ খেয়ালও করেনি, এই ছেলে ক্লাসেই ঘুমিয়ে পড়েছে।


ক্লাস চলতে থাকে। প্রফেসর বোর্ডে দুটি জটিল গাণিতিক সমস্যা লিখে বলেন,

"এই সমস্যাগুলো আজ পর্যন্ত কেউ সমাধান করতে পারেনি। এগুলো শুধু উদাহরণ হিসেবে দেখালাম।"


জর্জ তখনো ঘুমিয়ে। সে শুনল না এই সতর্কতা।


ক্লাস শেষে সবাই হইচই করতে করতে বেরিয়ে যায়। তখন জর্জের ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে সে দেখে বোর্ডে লেখা দুইটি সমস্যা।


তাঁর সরল চিন্তা—“অ্যাঁ! নিশ্চয় হোমওয়ার্ক।”


খাতায় লিখে নেয়। কিছু না ভেবে। কোনো প্রশ্ন না করে।

বাড়ি ফিরে এক যুদ্ধ শুরু হয়।


গণিতের সমস্যা সে এর আগে অনেক করেছে, কিন্তু এই সমস্যাগুলো যেন অন্যরকম।প্রথমে মাথায় ঢুকছে না। সূত্র মিলছে না। কোথাও যেন কিছু বাদ পড়ছে।


কিন্তু সে থামে না।কারণ সে জানে না—এই সমস্যাগুলো ‘অসম্ভব’।

এই না-জানাটাই হয়ে দাঁড়ায় তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি।

সে ভাবছে, “হোমওয়ার্ক তো, মানে নিশ্চয় কোনো সমাধান আছে।”


এই বিশ্বাস নিয়েই সে গভীরভাবে পড়তে থাকে।

লাইব্রেরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায়। বইয়ের পর বই, থিওরির পর থিওরি। ঘরে ফিরে আবার চেষ্টা। মাঝরাতে উঠে আবার কাগজে আঁকা-আঁকি।

বন্ধুরা খেলতে যাচ্ছে—সে যাচ্ছে গণিতের প্যাচ খুলতে।


দিনের পর দিন পরিশ্রম করে শেষমেশ সে একটি সমস্যার সমাধানে পৌঁছায়।


 পরের ক্লাসে, খুশি মনে খাতা জমা দেয় জর্জ।


সে ভেবেছে—“এবার ভালো নম্বর পাব। হয়তো একটা ‘A’!”কিন্তু প্রফেসর তো বিস্ময়ে অবাক!

“জর্জ! তুমি এটা করেছ কীভাবে? তুমি জানো তো, তুমি কী করেছ?”


জর্জ অবাক হয়ে বলে—“এই তো হোমওয়ার্ক ছিল!”

প্রফেসর চুপ করে যান কিছুক্ষণ। তারপর বলেন—

“জর্জ, এগুলো হোমওয়ার্ক ছিল না। এগুলো ছিল দুইটি অমীমাংসিত গাণিতিক সমস্যা—যা বহু গণিতবিদ বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারেননি। তুমি এর একটি সমাধান করে ফেলেছ!”


জর্জ তখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না।

তাঁর চোখে তখনও সেই সরলতা—যে সরল বিশ্বাস থেকেই এক অসম্ভব সমাধান সম্ভব হয়েছে।


অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব:প্রিয় অভিভাবক, আপনি হয়তো ভাবছেন—"আমার ছেলে মনোযোগ দেয় না", "ও খুব ধীর", "পাশের বাচ্চা কত ভালো করে"…

কিন্তু আপনি জানেন না, আপনার সন্তানটিও একদিন ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারে।

হয়তো আজ সে ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছে,

হয়তো সে একবার পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে,

হয়তো সে অঙ্কে একটু ধীরে এগোচ্ছে…


কিন্তু বিশ্বাস করুন, তার মনে যদি থাকে একটি সরল বিশ্বাস,যদি আপনি তাকে ভালোবাসা আর ধৈর্যের সঙ্গে আগলে রাখেন,তাহলে সেই ঘুমন্ত চোখেই লুকিয়ে থাকে এক জাগ্রত ভবিষ্যৎ।


সন্তানদের চাপে নয়, বিশ্বাসে বড় করুন


তারা পারবে, যদি আপনি বলেন “তুমি পারো।”

তারা এগোবে, যদি আপনি বলেন “আমি তোমার পাশে আছি।”

তারা ইতিহাস গড়বে, যদি আপনি তাদের উপর ভরসা রাখতে শেখেন।


জর্জ ডান্টজিগ আমাদের এই একটি কথাই শিখিয়ে যান—"যদি তুমি না জানো এটি অসম্ভব, তাহলে তুমি সেটি করেই ফেলো।"


আজকের মতো ঘুমিয়ে পড়া একটি ঘটনা ।আগামীকাল হয়ে উঠতে পারে একটি অমর অনুপ্রেরণা।


যারা পড়বেন অনুরোধ রইল মতামত জানাবেন


সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই:

পায়ের নখের কোণায় ইনফেকশন (Ingrown Toenail with Infection)

 পায়ের নখের কোণায় ইনফেকশন (Ingrown Toenail with Infection) একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষত বর্ষাকালে পায়ের আর্দ্রতা ও ময়লা জমার কারণে। এতে ব্যথা,...