সন্তান মিথ্যা বললে কী করবেন? জেনে নিন ৮টি সঠিক উপায়!
সন্তানকে মিথ্যা বলতে দেখা একজন বাবা-মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুদের বেড়ে ওঠার পথে মিথ্যা বলা অনেক সময়ই এক ধরনের স্বাভাবিক আচরণ। এটি হতে পারে শাস্তির ভয়, মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য। তাই বিষয়টিকে সঠিকভাবে বোঝা এবং সামলানো জরুরি।
চলুন জেনে নেই, কীভাবে আপনি সন্তানের মিথ্যা বলার প্রতিক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন:
১.কেন মিথ্যা বলছে, সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন
শিশুরা জন্মগতভাবে মিথ্যাবাদী নয়। তাই তারা কেন মিথ্যা বলেছে, সেই কারণ খুঁজে বের করা দরকার। অনেক সময় তারা ভয় বা চাপ থেকে মিথ্যা বলে।
২.খোলামেলা কথা বলার পরিবেশ তৈরি করুন
আপনার সন্তান যেন জানে, সে তার কথা ভুল হলেও আপনার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে। বিশ্বাস ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুললে শিশুরা সত্য বলার সাহস পায়।
৩.রাগ না করে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া দিন
সন্তানকে মিথ্যা বলতে ধরলে হঠাৎ রেগে না গিয়ে শান্ত থেকে কথা বলুন। এতে সে ভয় না পেয়ে নিজের ভুল বুঝতে পারবে।
৪.কল্পনা আর মিথ্যার পার্থক্য শেখান
শিশুরা অনেক সময় কল্পনার জগতে ডুবে যায়। গল্প বানানো আর ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে সাহায্য করুন।
৫.সত্য বলার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন
পরিবারে কিছু সহজ নিয়ম তৈরি করুন। যেমন, “আমরা সবসময় সত্য বলি, কারণ এতে সবার উপর বিশ্বাস থাকে।” নিয়মগুলো স্পষ্ট ও সহজভাবে বলুন।
৬.নিজের আচরণে সততার উদাহরণ দিন
আপনি নিজে যেমন আচরণ করবেন, সন্তান তা-ই শিখবে। তাই নিজের কথাবার্তায় ও কাজের মাধ্যমে সততা দেখান।
৭.সততা উদযাপন করুন
সন্তান যখন সত্য কথা বলবে। এমনকি যদি সেটা কোনো ভুলের কথা হয়,তখন তাকে প্রশংসা করুন। এতে সে বুঝবে, সত্য বলা ভালো কিছু।
৮.প্রতিটি ভুল থেকে শেখানোর সুযোগ নিন
শাস্তি না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন, মিথ্যার কী পরিণাম হতে পারে। এতে শিশুর দায়িত্ববোধ বাড়ে।
শিশুর মিথ্যা বলা মানেই সে খারাপ হয়ে যাচ্ছে এমন ভাবার দরকার নেই। ধৈর্য, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া দিয়ে তাকে সত্যের পথে নিয়ে আসা সম্ভব। মনে রাখবেন, সন্তান মানুষ করার পথটা দীর্ঘ কিন্তু সুন্দর। যেখানে ছোট ছোট প্রতিক্রিয়াও বড় প্রভাব ফেলে।
আপনার ভালোবাসা আর সচেতনতাই তাকে সত্যবাদী মানুষ করে তুলবে। (সংগ্ৰহকৃত)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন