এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২

রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১৮/১০/২০২২

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।  

(১৮-১০-২০২২) 

আজকের শিরোনাম-


* নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির পিতার কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯-তম জন্মদিন পালন। 


* শেখ রাসেল পদক ২০২২ প্রদান - শিশুদের জন্য সুন্দর ও বাসযোগ্য বিশ্ব গড়ে তোলার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর। 


* শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না - বললেন ওবায়দুল কাদের। 


* যুবলীগ একাই বিএনপির সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে যথেষ্ট - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


* রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের পরমাণুু চুল্লির প্রেসার ভ্যাসেল উদ্বোধন আগামীকাল। 


* ভারতের উত্তরাখন্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জন নিহত। 


* এবং অস্ট্রেলিয়ায় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস এর নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

শেখ রাসেলের জন্মদিন বার্তা বিভাগ বাংলাদেশ বেতার

শুভ জন্মদিন দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। এই নামকরণে মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। কিন্তু মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। তবে সাত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি নিজেই বন্দি হয়ে যান।


শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তখন রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।


১৯৬৪


‘রাসেলের জন্মের আগের মুহূর্তগুলো ছিল ভীষণ উৎকণ্ঠার। আমি, কামাল, জামাল, রেহানা ও খোকা চাচা বাসায়। বড় ফুফু ও মেজো ফুফু মার সাথে। একজন ডাক্তার ও নার্সও এসেছেন। সময় যেন আর কাটে না। জামাল আর রেহানা কিছুক্ষণ ঘুমায় আবার জেগে ওঠে। আমরা ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে জেগে আছি নতুন অতিথির আগমন বার্তা শোনার অপেক্ষায়। মেজো ফুফু ঘর থেকে বের হয়ে এসে খবর দিলেন আমাদের ভাই হয়েছে। খুশিতে আমরা আত্মহারা। কতক্ষণে দেখব। ফুফু বললেন, তিনি ডাকবেন। কিছুক্ষণ পর ডাক এলো। বড় ফুফু আমার কোলে তুলে দিলেন রাসেলকে। মাথাভরা ঘন কালো চুল। তুলতুলে নরম গাল। বেশ বড় সড় হয়েছিল রাসেল।’

সূত্র: শেখ হাসিনা, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’


১৯৬৬


কারাগারে দেখা করার সময় রাসেল কিছুতেই তাঁর বাবাকে রেখে আসবে না। এ কারণে তাঁর মন খারাপ থাকতো। কারাগারের রোজনামচায় ১৯৬৬ সালের ১৫ জুনের দিনলিপিতে রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “১৮ মাসের রাসেল জেল অফিসে এসে একটুও হাসে না- যে পর্যন্ত আমাকে না দেখে। দেখলাম দূর থেকে পূর্বের মতোই ‘আব্বা আব্বা’ বলে চিৎকার করছে। জেল গেট দিয়ে একটা মাল বোঝাই ট্রাক ঢুকেছিল। আমি তাই জানালায় দাঁড়াইয়া ওকে আদর করলাম। একটু পরেই ভিতরে যেতেই রাসেল আমার গলা ধরে হেসে দিল। ওরা বলল আমি না আসা পর্যন্ত শুধু জানালার দিকে চেয়ে থাকে, বলে ‘আব্বার বাড়ি’। এখন ধারণা হয়েছে এটা ওর আব্বার বাড়ি। যাবার সময় হলে ওকে ফাঁকি দিতে হয়।”

১৯৬৭


কারগারের রোজনামচায় ১৯৬৭ সালের ১৪-১৫ এপ্রিলের অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “জেল গেটে যখন উপস্থিত হলাম ছোট ছেলেটা আজ আর বাইরে এসে দাঁড়াইয়া নাই দেখে আশ্চর্যই হলাম। আমি যখন রুমের ভিতর যেয়ে ওকে কোলে করলাম আমার গলা ধরে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে কয়েকবার ডাক দিয়ে ওর মার কোলে যেয়ে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে ডাকতে শুরু করল। ওর মাকে ‘আব্বা’ বলে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ব্যাপার কি?’ ওর মা বলল,“বাড়িতে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে কাঁদে তাই ওকে বলেছি আমাকে ‘আব্বা’ বলে ডাকতে।” রাসেল ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকতে লাগল। যেই আমি জবাব দেই সেই ওর মার গলা ধরে বলে, ‘তুমি আমার আব্বা।’ আমার উপর অভিমান করেছে বলে মনে হয়। এখন আর বিদায়ের সময় আমাকে নিয়ে যেতে চায় না।”

১৯৭১


১৯৭১ সালে রাসেল তাঁর মা ও দুই আপাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি এবং বড় দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধে। মা ও আপাসহ পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্ত হন। রাসেল ‘জয় বাংলা’ বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে তখন চলছে বিজয়-উৎসব।

১৯৭৫


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তখন রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

কপি

পেস্ট 

তাবলীগ জামাত ফেইসবুক পেইজ

কয়েকটি গুণের ওপর মেহনত করিয়া আমল করিতে পারিলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজ।


গুণ কয়টি হলো—

১/ কালেমা ২/ নামায ৩/ এলেম ও জিকির ৪/ একরামুল মুসলিমিন ৫/ সহি নিয়ত ৬/ তাবলীগ


১/ কালেমা

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।


কালেমার অর্থ

 আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মাবুদ নেই আর হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত রাসুল ও আমাদের নবী।


কালিমার উদ্দেশ্য

আমাদের দুই চোখে যা কিছু দেখি না দেখি আল্লাহ ছাড়া সবই মাখলুক আর মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর আল্লাহ সবকিছু করতে পারেন মাখলুকের কোন প্রকার সাহায্য ছাড়া। একমাত্র হুযুর সাল্লাল্লাহু সালামের নূরানী তরিকায়ে দুনিয়া এবং আখেরাতের শান্তি ও কামিয়াবি।


কালেমার লাভ

 যে ব্যক্তি এ কালেমা একবার পাঠ করবে আল্লাহ পাক তার পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন, (সুবহানাল্লাহ)।


হাদিসে আছে যে ব্যক্তি প্রতিদিন এ কালেমা 100 বার পাঠ করবে কিয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিমার চাদের মতো উজ্জ্বল করে উঠাবেন।(সুবহানাল্লাহ)

হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে অজু করে অতঃপর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে আল্লাহ পাক তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেন সেই ব্যক্তি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।(সুবহানাল্লাহ)

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর চেয়ে বড় কোন আমলেই এবং এটি গুনাহকে মাফ না করে ছাড়ে না।(সুবহানাল্লাহ


নামাজ


নামাজের উদ্দেশ্যঃ

হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে নামাজ পড়তে বলেছেন এবং সাহাবাদেরকে যেভাবে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন সেভাবে নামাজ পড়ার যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করা।


নামাজের ফজিলতঃ

যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে আল্লাহ পাক তাকে নিজ দায়িত্বে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন মানে যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হবেন আল্লাহপাক তাঁর জিম্মাদারী নিবেন আর যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হবেন না আল্লাহ তার কোনো দায়িত্ব নেবেন না।(সুবহানাল্লাহ)

হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- কেয়ামত দিবসে সর্বাগ্রে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে ; যদি এটা ঠিক হয় তবে বাকি আমল ও ঠিক বলে প্রমাণিত হবে আর নামাজ ত্রুটিপূর্ণ হলে অবশিষ্ট আমল ও ত্রুটিপূর্ণ হবে।(সুবহানাল্লাহ)


নামাজ হাসিল করার তরিকাঃ ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করি। ওয়াজিব ও সুন্নাত নামাযের প্রতি যত্নবান হই ও কাজা নামাজ গুলো খুঁজে খুঁজে আদায় করি।নামাজের লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দেই ও সমগ্র উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য দোয়া করি।


ইলম ও জিকিরঃ

মাকসাদঃ আল্লাহ তায়ালার কখন কি আদেশ ও নিষেধ তা জেনে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকা অনুযায়ী আমল করা।


লাভঃ

কোন ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসিল করার সময় মারা গেলে সে শহীদ মর্তবা লাভ করবে।(সুবহানাল্লাহ)

হযরত আবু জার রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন আমি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে শুনেছি যে যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন শিক্ষা করার জন্য পথে বাহির হয় আল্লাহ পাক তার জন্য বেহেশতের রাস্তা সহজ করে দেন, আর ফেরেশতাগণ তালেবে ইলমের সম্মানের জন্য নূরের পাখা বিছিয়ে দেন এবং আসমান জমিনের সকল মাখলুক তার জন্য ইস্তেগফার করতে থাকে। (সুবহানাল্লাহ)


এলেম হাসিল করার তরিকাঃ এলেম দুই ভাগে শিখি। ১/ ফাযায়েল ২/ মাসায়েল। ফাজায়েলে এলেম তালিম ই হালকা থেকে আর মাসায়েলে এলেম উলামায়ে কেরামদের কাছ থেকে জেনে নেই।


জিকিরের মাকসাদঃ সকল সময় আল্লাহর ধ্যান ও খেয়াল অন্তরে পয়দা করা।


জিকিরের ফজিলতঃ

যে ব্যক্তি জিকির করতে করতে জিহ্বাকে তরতাজা রাখবে কেয়ামতের দিন সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সুবহানাল্লাহ)

জিকিরের মজলিস ফেরেশতাদের ই মজলিস।(সুবহানাল্লাহ)

আল্লাহপাক যাকেরিণ দের জন্য ফেরেশতাদের উপর গর্ব করে থাকেন।(সুবহানাল্লাহ)

জিকির হাসিল করার তরিকাঃ শ্রেষ্ঠ জিকির হল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর আফজাল জিকির হলো কুরআন তেলাওয়াত করা ; সকাল বিকাল তিন তসবিহ পাঠ করা।


একরামুল মুসলিমিনঃ

মাকসাদঃ প্রত্যেক মুসলমান ভাই এর কিমত জেনে তার সম্মান করা।


ফজিলতঃ

যদি কোন ব্যক্তি কোন মুসলমান ভাইয়ের উপকার করার চেষ্টা করে তবে আল্লাহ পাক তাকে ১০ বছর নফল এত্বেকাফ করার সওয়াব দান করবেন।(সুবহানাল্লাহ)

একরাম হাসিল করার তরিকাঃ আমরা আলেমদের তাজ্বীম করি, বড়দের শ্রদ্ধা করি, ছোটদের স্নেহ করি। এর ফজিলত জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দেই।(সুবহানাল্লাহ)


সহিহ নিয়তঃ

আমরা যে কোন নেক কাজ করি তা আল্লাহ তায়ালা কে রাজি এবং খুশি করার জন্যই করি।

নিয়ত কে সঠিক রেখে সামান্য খুরমা পরিমাণ দান করলেও আল্লাহপাক সেটাকে বাড়িয়ে উহুদ পাহাড় পরিমান করার সওয়াব দান করেন, আর যদি নিয়ত সঠিক না থাকে তবে পাহাড় পরিমান ও দান করলে খুরমা পরিমাণ সোয়াব পাওয়া যাবে না।(সুবহানাল্লাহ)

সঠিক নিয়ত হাসিল করার তরিকাঃ প্রত্যেক কাজ করার আগে লক্ষ্য করি যে এতে আল্লাহর হুকুম ও হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা ঠিক আছে কিনা এবং তা আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য করছে কিনা। প্রত্যেক কাজের পর এস্তেগফার পড়ি ও এর লাভ জানিয়ে অপর ভাইকে দাওয়াত দেই।


দাওয়াত ও তাবলীগঃ

আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহর দেওয়া মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে জান ও মালের সহি ব্যবহার শিক্ষা করা।

প্রথমে চার মাস সময় লাগিয়ে এই কাজ শিক্ষা করি এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ কাজ করার নিয়ত করি।

আল্লাহ পাক বলেন তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি মানুষের মঙ্গলের জন্যই তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ এই যে তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর এবং অসৎ কাজের নিষেধ কর।(সুবহানাল্লাহ)

আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে নিজের জরুরতে ১ টাকা খরচ করলে সাত লক্ষ টাকা সদকা করার ছোয়াব আমলনামায় পাওয়া যায়। এ রাস্তায় বের হয়ে একটি আমলের বদৌলতে ৪৯ কোটি নেকি আমল আমল নামায় পাওয়া যায়। (সুবহানাল্লাহ)

সমাপ্ত।


সংগ্রহ বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহতারাম তুফায়েল গাজালী সাহেবের টাইমলাইন থেকে।


কপি

পেস্ট

জান্নাতের চাবি

তিন বন্ধু মিলে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেলেন। তারা সেখানে একটি হোটেলে উঠলো এবং রুম পেয়েছেন ৭৫ তলায় ।

তবে হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী,রাত ১২ টার পর লিফ্ট বন্ধ থাকে!

একদিন তারা ঘুরতে বের হল । কিন্তু তারা ফিরতে দেরি হয়ে গেল । হোটেলে এসে দেখে লিফ্ট বন্ধ 

তারা চিন্তায় পড়ে গেলেন,, কিভাবে ৭৫ তলায় হেঁটে উঠবে!

.পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা উপরে উঠতে লাগল। তাদের মধ্যে একজন গল্প আরম্ভ করল!

তার গল্প শেষ হতে হতে তারা,২৫ তলায় পৌঁছাতে সক্ষম হলো !

এরপর আরেক জন

গানকরা আরম্ভ করল। গান শুনতে শুনতে দেখে ৫০ তলায় এসে গেছে !

এখন কি করা যায়?

তারপর তৃতীয় জন, গান , গল্প কিছুই পারেন না, তাই তার জীবনের ঘটে যাওয়া দুঃখ-কষ্ঠের কথা শুরু করলেন । তার সব ঘটনা যখন বলা শেষ হয়, তখন তারা ৭৫ তলায় গিয়ে পৌছে!

.

তারা যখন দরজা খুলতে গেল,দুর্ভাগ্য ক্রমে দেখা

গেল ,চাবিটা রিসেপশনে !

তবে এখনকি আর সম্ভব ! নিচে গিয়ে চাবি নিয়ে আসা?

এমনি ভাবে, আমরা যখন জীবনের তিনটি ধাপ পার করে, কবরে গিয়ে পৌছবো , যখন জান্নাতের সামনে গিয়ে দেখবো চাবিতো(নামাজ) দুনিয়ায় থেকে আনতে পারিনি , তখন কি আর দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে?

তাই প্রতিদিন জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, জান্নাতের চাবিটা সাথে রাখার প্রয়োজন নয় কি ?

মহান রাব্বুল আল আমিন, আমাদের সবাইকে বুঝবার তৌফিক দান করুন, ( আমিন ) !

কপি

পেস্ট 

সময়, টাকা, অবসর তিন টা একসাথে কখনো পাবেন না,,,, ফেইসবুকে থেকে নেওয়া

 ছোটবেলায় কিসমিস খেতে খুব ইচ্ছা করত। আম্মা খেতে দিত না। বাজার থেকে অল্প কিসমিস এনে আম্মা কুটুরিতে লুকিয়ে রাখত। শুধুমাত্র সেমাই রান্না করার সময় সেই কুটুরি খোলা হত। ঐ সময় হাতে দুই তিনপিস পেয়ে অতৃপ্ত  আমার বাল্যকালে খুশির রঙ লেগে যেত।


যখন টাকা আয় করা শুরু করলাম তখন কিসমিস খাওয়া শুরু করলাম। মুঠো মুঠো করে কিসমিস খাইছি। হয়ত বাল্যকালের সেই তিনপিসের মত টেস্ট পাই নাই, তবে অতৃপ্ত বাল্যকালের উপর কিছুটা প্রতিশোধ নিতে তো পারছি।


ঐদিন এক সুপার শপে দেখলাম নসিলা। ছোটবেলায় টিভিতে শুধু এড দেখতাম, বাচ্চারা টিফিনে নসিলা দিয়ে পাউরুটি মাখিয়ে নিয়ে যায়। এড দেখে বুঝতাম এই জিনিস বিরাট সুস্বাদু, কিন্তু মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের নসিলার বোতল কিনে দেয়ার আগ্রহ বা সক্ষমতা কোনটাই ছিল না।


ঐদিন এক বোতল নসিলা কিনে এনে আঙুল দিয়া চেটে পুটে খাইছি। যেটুকো সক্ষমতা আছে, সেটুকোর মধ্যে কোন  আক্ষেপ রাখা যাবে না। 


এক কলিগের  তেল আনতে নুন ফুরায় অবস্থা। একদিন দেখি  ফুল ফ্যামিলি কক্সবাজার যাবার বিমানের টিকেট সহ উপস্থিত । সবাই কানাঘুষা করতেছে। আমি ভাইরে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি?


সে বলল, আব্বা সারাজীবন স্বপ্ন দেখাইছে রোল ১ হইলে কক্সবাজার নিয়া যাবে। ক্লাসে সবসময় রোল ১ হইত, কিন্তু স্কুল শিক্ষক আব্বার  সক্ষমতা হয় নাই। আমিও ছেলেকে বলছিলাম রোল ১ হলে কক্সবাজার নিয়া যাব। একটাই জীবন, আমি আমার আব্বার মত হতে চাইনা।


জীবনটা তো ছোট। আজকে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার বয়স। টাকা জমিয়ে জমিয়ে কোন একদিন সময় করে বউ নিয়ে ঘুরতে যাবেন, ও স্বপ্ন সহজে পূরণ হবে না।সময়, টাকা, অবসর তিনটা একসাথে আপনার কোনদিন হয়ে উঠবে না।


জীবন একটু একটু করে চলে যাচ্ছে। আজকে যা গেল ওটাই শেষ। আজকে যা করতে পারেন নাই, ওটাই মিস করলেন। যেটুকু আপনার আছে এটুকুই অল্প করে উপভোগ করার মানেই জীবন।


জীবনটাকে নসিলা ভেবে চেটেপুটে খেতে থাকুন, কিসমিসের মত ভবিষ্যতের আশায় কুটুরিতে জমা করে রাখলে শুধু আফসোস বাড়বে।


@ Collected

কপি
পেস্ট

বাংলাদেশের ১৫ টি জাতীয় প্রতীক

ইংরেজিতে বাংলাদেশের ১৫টি জাতীয় প্রতীক

 National Fish (জাতীয় মাছ): Hilsha [ইলিশ]
 National Bird (জাতীয় পাখি) : Magpie [দোয়েল]
 National Fruit (জাতীয় ফল) : Jack-fruit [কাঠাল]
 National Flower (জাতীয় ফুল) : Water-lily [শাপলা]
 National Dress (জাতীয় পোশাক): sari/lungi [শাড়ি/লুঙ্গী]
 National Tree (জাতীয় গাছ) : mango tree [আম গাছ]
 National Mosque (জাতীয় মসজিদ) : baitul mukarram [বাইতুল মোকার্রম] 
 National Animal (জাতীয় পশু) : Royal Bengal Tiger [রয়েল বেঙ্গল টাইগার]
 National Temple (জাতীয় মন্দির) : dhakesshowari temple [ঢাকেশ্বরী মন্দির]
 National Drink (জাতীয় পানীয়) : [tea চা]
 National Poet (জাতীয় কবি) : kazi nazrul islam [কাজী নজরুল ইসলাম] 
 National Sport (জাতীয় খেলা) : kabadi/ hadudu [কাবাডি/হাডুডু]
 National Fort (জাতীয় দুর্গ) : lalbagh fort [লালবাগ কেল্লা]
 National Anthem (জাতীয় সঙ্গীত): amar shonar bangle [আমার সোনার বাংলা]
 National Musical instruments (জাতীয় বাদ্যযন্ত্র) : dotara [দোতারা]

💥
কপি
পেস্ট

ব্রয়লার সন্তান,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ব্রয়লার সন্তানঃ

**************

সন্তানের জন্য সঞ্চয়ী ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার নামে ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী বাবা-মায়ের জন্য লেখাটি পড়া খুবই জরুরি।

|| আমাদের 'ছেলে'রা কীভাবে 'পুরুষ' হবে? ||

গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।

চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।

আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ। এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত। সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।

জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।

ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।

আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।

আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব। তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।

সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।

একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।

আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে। আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।

বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ। এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।

সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে। আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।

আমরা কি বিষয়টা নিয়ে একটুও ভাবার প্রয়োজন বোধ করি?

কপি
পেস্ট

খরগোশ কচ্ছপ গল্পের পরের অংশ

 সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। যা হয়তো আমরা কেউ শুনেছি, কেউ শুনিনি।

১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তার মানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থিরভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমরা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি। কারন দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল। খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়

চতুর্থ অধ্যায়ঃ এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!

শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল। তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু'জনই একসাথে জয়ী হল।

আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে

পারি।

সুতরাং মোবাইল সার্ভিসিং কাজ আজই যোগাযোগ করুন😘

কপি

পেস্ট

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১৮/১০/২০২২

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(১৮-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে শেখ রাসেল দিবস - গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* সম্ভাব্য বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে একত্রে কাজ করার আহবান জানালেন শেখ হাসিনা। 


* বিশ্ব খাদ্য ফোরামে বক্তৃতায়, উদার নীতি ও আইনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবান। 


* কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


* দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা করছে, কিন্তু জমাতে পারছে না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


* ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও এর অর্থনৈতিক প্রভাব পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ৪০ লাখ শিশুকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে - জানিয়েছে ইউনিসেফ। 


* এবং আজ অস্ট্রেলিয়ায় পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম রাউন্ডে নামিবিয়া নেদারল্যান্ডসের এবং শ্রীলংকা সংযুক্ত আরব আমীরাতের মোকাবেলা করবে।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ১৭/১০/২০২২

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।  

(১৭-১০-২০২২) 

আজকের শিরোনাম-


* সম্ভাব্য বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে একত্রে কাজ করার আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 


* বিশ্ব খাদ্য ফোরামে বক্তৃতায়, উদার নীতি ও আইনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য শেখ হাসিনার আহবান। 


* যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশে আগামীকাল পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস - গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


* দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা করছে, কিন্তু জমাতে পারছে না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


* সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সারাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত - নির্বাচন কমিশনের সন্তোষ প্রকাশ। 


* কিয়েভে দফায় দফায় রুশ হামলার অভিযোগ ইউক্রেনের - শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। 


* এবং হোবার্টে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে নিজ নিজ খেলায় জয়ী।

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...