এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

কিংবদন্তি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রতি  অবিরাম শ্রদ্ধা।

 পিএইচডি করতে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন জার্মানি। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতেন সেই সময়ে আইনস্টাইন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একবার সেই শহরে এক কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হল।  স্থানীয় জার্মান ভাষায়।  আর সেই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেলেন এক বাঙালি। ভাবা যায় !


একবার এক রাষ্ট্রদূত তাঁর সাথে সাক্ষাত করে আলাপ করলেন। পরে সেই রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, “আমি জীবনে এত অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এত বিষয়ে আলাপ শুনি নাই, যেটা উনি আমাকে শুনিয়েছিলেন অল্প কয়েক ঘন্টার মধ্যে।"


১৭ টি ভাষা ছিল তাঁর দখলে।  ১৭ টি ভাষাতেই তিনি কথা থেকে শুরু করে লিখতে পর্যন্ত পারতেন।  "গীতা" সম্পূর্ণ মুখস্থ।  কবিগুরুর "গীতবিতান" শেষ থেকে শুরু সম্পূর্ণ মুখস্থ।  একবার এক অনুষ্ঠানে এক পুরোহিত সংস্কৃত ভাষায় গীতা সম্বন্ধে বক্তব্য রাখছিলেন।  উনি ধরে ফেললেন কিছু জায়গায় ভুল বলেছেন ওই পুরোহিত।  দাঁড়িয়ে সমস্ত বক্তব্য মূল সংস্কৃত ভাষায় কী হবে তা মুখস্থ বলে গেলেন।  উপস্থিত দর্শকেরা হতবাক। তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী।  হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় "বঙ্গীয় শব্দকোষ” রচনা করেছিলেন। সেই হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যাবার পূর্বে বলেছিল, “আমার অভিধান যদি কোনো সময় সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে যেন সৈয়দ মুজতবা আলী সেটা করে।” এর মাধ্যমেই বোঝা যায় সৈয়দ মুজতবা আলী-র বাংলা ভাষায় কত গভীর দখল ছিল। 


আদ্যন্ত ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। জাত ধর্ম নয় । মনুষ্যত্বের শিক্ষাই ছিল তাঁর আদর্শ। কটাক্ষের শিকার হতেন প্রায়ই। অনেকেই বলত,‘মুজতবা আলীর ধর্ম নিরপেক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গি একটা আইওয়াশ, আসলে আলী একজন ধুরন্ধর পাকিস্তানি এজেন্ট।’ আক্ষেপ করে লেখক শংকরকে বলেছিলেন, ‘এক একটা লোক থাকে যে সব জায়গায় ছন্দপতন ঘটায়, আমি বোধহয় সেই রকম লোক।’


রসবোধ ছিল খুব বেশি। মৃত্যুর আগে অবধিও তা বজায় ছিল।  বলেছিলেন,"আমার মৃত্যুর পর সবাইকে বলবে আলী সাহেব তার বেস্ট বইটা লেখার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু কী করবেন, উনার তো প্যারালাইসিস হয়ে ডান হাতটা অবশ হয়ে গেল। হাতটা ভালো থাকলে তিনি দেখিয়ে দিতেন সৈয়দ মুজতবা আলীর বেস্ট বই কাকে বলে।"


তাঁর লেখা পড়লে অনুধাবন করা যায় তাঁর লেখনীর গভীরতা, তাঁর জীবনতৃষ্ণার প্রতি ভালবাসা। সৈয়দ মুজতবা আলী-র মত সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে বিরল। 


কিংবদন্তি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রতি 

অবিরাম শ্রদ্ধা।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১৫-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১৫-০৪-২০২৪ ।

আজকের শিরোনাম:


বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারাদেশে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ।

 

ঢাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় তিমির বিনাশে ঐক্যবদ্ধ শ্লোগানে বাঙালি।

 

সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিক ও জাহাজ মুক্ত – ২৩ ক্রু অক্ষত ছাড়া পাওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা পরিবারের সদস্যদের। 

 

পবিত্র ঈদুল ফিতর, সাপ্তাহিক ও নববর্ষের টানা ছুটি শেষে অফিস খুলছে আজ। 

 

মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্ব আর কোনো যুদ্ধভার বহন করতে পারবে না - মধ্যপ্রাচ্য এখন খাদের কিনারে, ফেরানোর দায়িত্ব সবার --- নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

 

এবং গতকাল আইপিএল-এ কোলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ ---- আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু মোকাবেলা করবে সানরাইজার্স  হায়দ্রাবাদের ।

রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

এক নজরে ২নং লাহুড়িয়া ইউনিয়ন,,,

 প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব


লাহুড়িয়া ইউনিয়নের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকা

ক্র: নংনামপদবীমন্তব্য

১পাগলা পীরমাজার ২এস.এম.এ. আহাদসমাজ সেবক 

৩সৈয়দ নওশের আলী,, 

৪বাদশা মতিউর রহমানচেয়ারম্যান 

৫এস.এম.এ. হান্নান রুনু,, 

৬জিিএম. নজরুল ইসলাম,,



এক নজরে ২নং লাহুড়িয়া ইউনিয়ন


সীমানাঃ-উত্তরে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন,দক্ষিণে শালনগর ইউনিয়ন, পূর্বে বানা ইউনিয়ন এবং নলদী ইউনিয়ন অবস্থিত।

আয়তনঃ-  ১৮ বর্গ কিঃ মিঃ

লোকসংখ্যাঃ- ২৪১৯৩ জন।পূরুষ ১২৬১০জন,নারী ১১৫৮৩জন।

গ্রামের সংখ্যাঃ-   ২৫টি ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ- ২৪ টি।

শিক্ষার হারঃ- ৬০.৪৩ %।

মৌজার সংখ্যাঃ-১৫ টি।

খেয়াঘাটের সংখ্যাঃ-০টি।

নদীর সংখ্যাঃ- ২ টি।

খালের সংখ্যাঃ- ৫টি।

বিলের সংখ্যাঃ-৫টি।

সরকারী পুকুরঃ ৭টি।


বই পড়ুয়াদের জন্য ৩০টি টিপস

 ✅বই পড়ুয়াদের জন্য ৩০টি টিপস!🆗

.

১) বইপড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো পড়ার জন্য বসা! অধিকাংশ মানুষের এই সুযোগটাই হয় না। 

.

২)  পড়ার মজা বাড়ানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো, বোরিং টপিকের বইগুলো আগে না পড়া।

.

৩)  একটি বই পড়লেই জীবন হয়ত পাল্টে যাবে না। কিন্তু প্রতিদিন বই পড়লে একদিন না একদিন জীবন পাল্টাবে ইনশাআল্লাহ।

.

৪) নতুন বইয়ের চাইতে সেসব বই বেশি পড়ুন, যেগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষ পড়ছে। 

.

৫) জীবনে আপনি কয়টা বই পড়েছেন, সেটা দেখার বিষয় না। দেখুন কয়টা বই আপনার ভিতরে রেখাপাত করতে পেরেছে।

.

৬) পড়ার সময় মনোযোগ থাকে না? মোবাইল অন্য রুমে রেখে আসুন। মনোযোগ আসতে বাধ্য।

.

৭) একটি ভালো বই যদি একবার পড়তে হয়, তাহলে সেরা বইগুলো বার বার পড়তে হবে। 

.

৮) বই পড়া শুরু করতে চাইলে 'পড়ুয়া' হওয়া জরুরী না। বরং বই পড়তে পড়তেই একদিন আপনি পড়ুয়া হয়ে উঠবেন।

.

৯) পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলার চেয়ে একটা খারাপ বই ছেড়ে দেওয়া ভালো। 

.

১০) কোনো বই যদি আপনার জীবনে সামান্য পরিবর্তনও এনে থাকে, তাহলে বছরে সেটা একবার হলেও পুনরায় পড়ুন।

.

১১) যে বই আপনার ভালো লাগেনি, সেটা নিজের কাছে না রেখে অন্যকে গিফট করে দেওয়া ভালো। 

.

১২) বই পড়ার মোক্ষম সময় হলো, যখন আপনি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকেন। 

.

১৩) সব পাঠককেই এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যখন সে বুঝে উঠতে পারে না তার জন্য কোন বইটি ভালো হবে। 

.

১৪) ওপরের সমস্যাটার সমাধান হলো, সঙ্কোচ না করে বড়দের সহায়তা নেওয়া। তাহলে অনেক সময়, শ্রম দুটোই বেঁচে যাবে। 

.

১৫) একটি সেরা বইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো, আপনি চাইলেও সেটা দ্রুত পড়ে ফেলতে পারবেন না। কারণ, সে আপনাকে বার বার থামিয়ে দেবে, ভাবাবে। 

.

১৬) বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো কাজে পরিণত করা। মুখস্থ নয়। সুতরাং তথ্য-উপাত্ত মনে রাখার বদলে কাজেকর্মে বাস্তবায়নে বেশি মনোযোগ দিন।

.

১৭) বই পড়ার অভ্যাস গড়তে চান? তাহলে প্রতিদিন ২ মিনিট করে পড়ার টার্গেট নিন। জি এত ছোট টার্গেট, যাতে আপনার মন অজুহাত দেখানোর সুযোগই না পায়। 

.

১৮) একটি ভালো বইয়ের সারাংশ যে পড়ে, তার চাইতে ১০ গুণ বেশি উপকার পায় সেই ব্যক্তি, যে সারাংশটা লিখে। কাজেই বই পড়া শেষে সারাংশ লিখতে ভুলবেন না।

.

১৯) কোনো বই পড়ার পর যদি আপনার আচার-ব্যবহারে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন না আসে, তাহলে বুঝে নিবেন হয় বইটি ভালো নয় অথবা আপনি কিছুই শিখতে পারেন নি।

.

২০) প্রচুর বই কিনলেই পাঠক হওয়া যায় না। কথা সত্য। তবে অল্প বই নিয়ম করে প্রতিদিন পড়লে একদিন ঠিকই ভালো পাঠক হয়ে যাবেন। 

.

২১) বই কেনা মানে বিনিয়োগ করা, খরচ নয়। হতে পারে একটি ভালো বই ভবিষ্যতে আপনাকে লক্ষকোটি টাকা আয়ের রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে। 

.

২২) পড়ার জন্য মোটিভেশন নয়, বেশি দরকার পড়ার পরিবেশ তৈরি করা। একটা সাধারণ বই আপনি লাইব্রেরীতে বসে যত সহজে পড়ে ফেলতে পারবেন, একটি অসাধারণ বই কোলাহল পরিবেশে পড়া ততটাই কঠিন হবে, যদিও বইটা অসাধারণ। 

.

২৩) যেখানেই যান, একটি বই সঙ্গে রাখুন। কারণ, আপনি জানেন না, কখন আপনি বই পড়ার জন্য বাড়তি সময় পেতে যাচ্ছেন।

.

২৪) একটি বইকে সর্বোচ্চ ৩বার সুযোগ দিতে পারেন (৩টি অধ্যায় পড়ার মাধ্যমে)। এরপরও যদি বইটি ভালো না লাগে, তাহলে অন্য বই ধরুন। 

.

২৫) একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশংসার বিষয় হলো, যখন সে দেখে পাঠক তার বইটি দাগিয়ে দাগিয়ে পড়েছে, হাইলাইট করেছে, নোট টুকে রেখেছে। 

.

২৬) ছোট বইকে কখনো তুচ্ছজ্ঞান করবেন না। কখনো কখনো ছোট মরীচে ঝাল বেশি হয়।

.

২৭) আপনার সমস্যা যদি অসংখ্য হয়, তাহলে বইও অসংখ্য পড়ুন। প্রত্যেক নতুন সমস্যারই নতুন বই আছে।

.

২৮) বই হলো শিক্ষা নেবার সবচেয়ে শর্টকাট রাস্তা। মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে আপনি ১০০ দিনের শিক্ষা পেয়ে যেতে পারেন, কিংবা কয়েক বছরের! 

.

২৯) অতীতের ফেলে আসা সময়গুলো যদি বই জন্য পড়ার ভালো সময় হয়ে থাকে, তাহলে আজকে থেকেই পড়া শুরু করলে সেটা হবে সর্বোত্তম সময়।  

.

৩০) একটি ভালো বইয়ের নাম ভুলে যেতে পারেন, বইয়ের আলোচনাও ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু শিক্ষাটা আজীবন আপনার মনে গেঁথে থাকবে।


Collected



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১৪-০৪-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১৪-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


আজ পহেলা বৈশাখ - চিরায়ত উৎসাহ উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নববর্ষকে।


নববর্ষ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় অতীতের দুঃখ-গ্লানি ভুলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে দেশবাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। 


সোমালী জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিকের মুক্তি লাভ।


গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি - মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের।


বিএনপি এখন সোমালী জলদস্যুদের চেয়েও ভয়ংকর - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। 


পাঞ্জাবে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাঞ্জাব কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

মহুয়া ফুলের সাথে জড়ানো জীবন ও জড়ানো জনপদের অজানা কথা,,,,

 মহুয়া ফুলের সাথে জড়ানো জীবন ও জড়ানো জনপদের অজনা কথা!


নব্বই এর দশকে বগুড়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মহুয়া গাছ চোখে পড়তো। গ্রামগঞ্জের ছোট ছেলে-মেয়েরা গাছে উঠে মহুয়া ফুল-ফল সংগ্রহ করে মালা গেঁথে গলায় ঝুলিয়ে ঘুঁড়ে বেড়াতো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারের পাশে বেড়ে ওঠা গাছটির নামেতো জায়গাটিরই নাম হয়েছে মহুয়াতলা।


ভারতের ছোটনাগপুরের মালভূমি নামে চিহ্নিত পাহাড়ি অরণ্যে গোন্ড উপজাতি বাস করতো। তাদের নাম থেকেই গন্ডোয়ানাল্যান্ড কথাটি এসেছে। মুখ্য জীবিকা শিকার ও চাষবাস ছাড়া তাদের ছিল মহুয়া, যাকে বাদ দিয়ে বাঁচার কথা তারা কল্পনাও করতে পারতো না। তাদের জীবন থেকে মৃত্যু, প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে মহুয়া! শুধু নেশার জন্যই নয়, মহুয়া গাছই তাঁদের জীবনের অঙ্গ। ওয়াইনের কৌলীন্য এর মাঝে আজও টিকে রয়েছে তাদের ঝিম ধরানো মহুয়ার নেশা। গোন্ডদের কাছে মহুয়া মানে জীবন, মহুয়া চিরন্তন, যা তাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাদের পুরাণেও মহুয়ার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে এ গাছকে ভীষণ পবিত্র মনে করা হয়, তাই তারা মহুয়াকে ‘জীবন বৃক্ষ’ বলে ডাকে।


এদের ক্যালেন্ডারে নতুন বছর শুরু হয় চৈত্র মাসে। এ মাসে তারা মহাপরব পালন করে, যেখানে মহুয়া ফুল খুব জরুরি। ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল এ তিনমাস মহুয়া গাছ ফুলে ভরে থাকে। এরপর বর্ষাকালে সেই মহুয়া ফুল থেকে সুরা তৈরির আগে মহুয়া উৎসব পালিত হয়। অর্থাৎ একটি গাছে ফুল আসা ও ফুল ফোটা ধরে তৈরি হয় একটি উপজাতির উৎসব।তাছাড়া এদের কাছে মহুয়ার কান্ড, ডাল, ফুল, ফল সবই খুব পবিত্র। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জীবন সংগ্রামে একটি গাছের এমন ভূমিকা বিশ্বে বিরল।


গোন্ড ছাড়াও এই অঞ্চলের বেশিরভাগ উপজাতির কাছে মহুয়া ভগবানের আশীর্বাদ। শুধু নেশা নয়, তারা এই গাছের ফল ও বিভিন্ন অংশ সিদ্ধ করে, গুঁড়িয়ে বা রস করে খাবার তৈরি করে। শুকনো কাঠ জ্বালানির কাজে লাগে। কোয়া উপজাতিরাতো এ গাছের কাঠ দিয়েই তাদের চিতা সাজায়, তাদের বিশ্বাস মহুয়া কাঠের আগুন ছাড়া মানুষের দেহের প্রকৃত পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হয় না। 


চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এ দেশের পানীয়ের মধ্যে শ্রেণিবৈষম্য লক্ষ করেছিলেন। সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী সেই সময়ে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও নিম্নবর্গের লোকদের পছন্দের পানীয় এক ছিল না। কিন্তু সে সুরা গোন্ডদের জীবনের প্রতিটি স্তরে অপরিহার্য হয়ে ওঠেছিল। এদের জীবন জীবিকা, সমাজ সংস্কৃতির সব কিছুই মহুয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল।


খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে রচিত আয়ুর্বেদ গ্রন্থ চরক সংহিতাতেও মহুয়া গাছের উল্লেখ আছে। সেখানে মহুয়া রসকে মহৌষধ বলা হয়েছে। ইতিহাসবিদ সি পি খাঁড়ের বইয়ে মহুয়াকে ব্রঙ্কাইটিস ও সর্দিকাশির অতি কার্যকরী ঔষধ বলে বর্ণনা করেছেন। এত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও মহুয়া জঙ্গলের পথ পেরিয়ে আজও হয়তো নাগরিক জীবনে আসেনি কিন্তু সে তার সাবলীল ছন্দে, নিজস্ব মদিরতায় আজও বেঁচে আছে এক জীবন-বৃক্ষ হয়ে।


পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সাঁওতালদের পালিত দ্বিতীয় বড় উৎসব বাহা পরব। বাহা উৎসব প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে দোল পূর্ণিমার পর পালন করে। পুরুষেরা দল বেঁধে শিকারে বের হয়, মেয়েরা নতুন ফুলে নিজেদের সজ্জিত করে। বাহা শব্দের অর্থ ফুল। সেজন্যই বাহা উৎসবকে ফুল বা বসন্ত উৎসব নামেও ডাকা হয়। মুণ্ডা বা হো উপজাতিরা এই উৎসবকে সাহরুল নামে পালন করে।


সাঁওতালরা ১লা মাঘকে শস্যবর্ষ সূচনার প্রথম দিন হিসাবে পালন করে। সেদিন তারা জমিতে লাঙ্গল দিয়ে চাষের সূচনা করে। দোল পূর্ণিমার পর চৈত্র মাস পর্যন্ত প্রতিটি সাঁওতাল গ্রামে বাহা উৎসব পালিত হয়। শাল-পলাশ ফোটার সাথে সাথেই বাহা উৎসবের আগমনী বার্তা আসে। মহুয়া ফুলের কুঁড়ি উদ্গমের সাথে সাথেই যুবক-যুবতীদের মধ্যে শুরু হয় উৎসবের প্রস্তুতি। প্রকৃতি যখন নতুন রূপে সেজে ওঠে শাল পলাশের রঙে ওগন্ধে তখন এদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। মেয়েরা খোঁপায় নতুন ফুল গুঁজে না যতক্ষণ না বাহা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। খায়ও না কোনো নতুন ফল। সে জন্য অত্যন্ত পবিত্রতার সাথে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।


বাহা উৎসবের ১ম দিন উম বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিন। উৎসবের মাসাধিক কাল পূর্ব থেকেই সাঁওতালরা ঘরবাড়ি পরিষ্কার শুরু করে। একটি শাল বা মহুয়া গাছকে ঘিরে গৃহ তৈরি হয়। সন্ধ্যায় গ্রামে নাচ, গান হয়। প্রতিটি পরিবারেই মেয়ে জামাইকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়। শাল ও মহুয়া ফুল দেবদেবীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। পুরোহিত ডাল থেকে পূজার নতুন ফুল দেন। মেয়েরা সে ফুল বণ্টন করে খোপায় গুঁজে দেওর, বৌদি ননদের মধ্যে জল ছিটিয়ে আনন্দ করে। সারারাত নাচে গানে মেতে ওঠে। তিন দিন ধরে উৎসবে যুব বৃদ্ধ সবাই মেতে থাকে। বাহা উৎসবের মধ্য দিয়েই সাঁওতাল সমাজ নতুন ফুল, ফল ও পাতা ব্যবহার শুরু করে।


তথ্যসূত্র:

ক। উইকিপিডিয়া 

খ। অতীন্দ্র দানিয়াড়ী, এই সময় গোল্ড।

গ। উপেন কিসকুর- ‘সাওতাল উৎসব’ প্রবন্ধ


#প্রত্নতত্ত্ব #ইতিহাস #উপজাতি #virals #trend #মহুয়া

ঋষনা রুপকথা- The First Myth ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ১৩-০৪-২০২৪ 

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ১৩-০৪-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


দেশজুড়ে চলছে বাংলা নববর্য উদযাপনের প্রস্তুতি - নববর্ষের প্রাক্কালে ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর।


ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ - বিনোদন কেন্দ্রে ভ্রমণ পিয়াসীদের উপচে পড়া ভীড়।


পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তিনদিনব্যাপী বৈসাবি উৎসব শুরু।


ইসরাইলে মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি। 


পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে - জাতিসংঘের হুঁশিয়ারী।


লক্ষ্নৌতে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টসকে ৬ উইকেটে হারালো দিল্লী ক্যাপিটালস।

পৃথিবীতে কোন কিছুই success নয়!  অবাক হচ্ছেন?

 পৃথিবীতে কোন কিছুই success নয়!  অবাক হচ্ছেন?

এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া চিঠি :


যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের success,

যখন হাটতে শিখলাম মনে হল এটাই success,

যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই success,


 ভুল ভাঙল,


এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম First হওয়াটা success,

এরপর বুঝলাম না আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটা Success,

ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেসাল্টটা ধরে রাখাই Success,


এখানেই শেষ নয়,


এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে  চান্স পাওয়াটাই Success,


পরে বুঝলাম না বিশ্ববিদ্যালয়  শেষে চাকরী পাওয়াটা Success,

এরপর বুঝলাম না, নিজের টাকায় একটা ফ্ল্যাট কেনাটা Success,

সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল Success,


আবার ভুল ভাঙল,


এরপর দেখলাম বিয়ে করে সংসার করাটাই Success,


বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে বড় করাটাই Success,

ছেলে হলে সে প্রতিষ্ঠিত হওয়াটাই Success, মেয়ে হলে ভালো বাড়িতে বিয়ে দেওয়াটাই Success,


এরপর এলো রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক Utilization ই Success...


এরপর যখন সবাই মিলে চিতায় তুলে দিল, তখন বুঝলাম পৃথিবীতে কোন কিছুই Success নয় , 


পুরো টাই competition, যার মুলে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, যা কখনো পূর্ণ হয়না।


🥺🥺🤔🤔😢😢☹️☹️🙁😦

💯💯💯💯💯

সংগ্রহীত



শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

শাওয়ালের ছয় রোযা,,,, ২য় অংশ ২২/৪/২০২৪

 শাওয়ালের ছয় রোযা


রমযানের পরের মাস শাওয়াল। আর রমযানের আগের মাস হল শাবান। শাওয়াল ও শাবান হল রমযান সংশ্লিষ্ট ও রমযানের আগে-পরের মাস। তাই রমযানের সম্মানার্থে শাবান ও শাওয়াল মাস এবং এ দুই মাসে রোযা রাখার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। বিশেষত শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া চাই। কেননা হাদীস শরীফে এর প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আবু আইয়ূব আনছারী রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-


مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمّ أَتْبَعَهُ سِتّا مِنْ شَوّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدّهْرِ.


যে মাহে রমযানের রোযা রাখল এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল এটি তার জন্য সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য হবে।  -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৩


রমযান মাস ও শাওয়ালের ছয় দিন রোযা রাখলে কীভাবে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব হবে- এর বিবরণ এসেছে আরেক হাদীসে। ছাওবান রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-


صِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ بِعَشَرَةِ أَشْهُرٍ وَصِيَامُ سِتّةِ أَيّامٍ مِنْ شَوّالٍ بِشَهْرَيْنِ فَذَلِكَ صِيَامُ سَنَةٍ.


রমযান মাসে রোযা রাখা দশ মাস রোযা রাখার সমান এবং শাওয়ালে ছয় দিন রোযা রাখা দুই মাস রোযা রাখার সমান। সুতরাং রমযান ও ছয় রোযা মিলে এক বছরের রোযার সমান। -সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদীস ২৮৭৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ২১১৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২৪১২; সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/২৯৩


হাদীসটির আরেক বর্ণনায় এসেছে-


جَعَلَ اللهُ الْحَسَنَةَ بِعَشْرٍ فَشَهْرٌ بِعَشَرَةِ أَشْهُرٍ وَسِتّةُ أَيَّامٍ بَعْدَ الْفِطْرِ تَمَامُ السّنَةِ.


আল্লাহ তাআলা এক নেকীকে দশ নেকির সমান করেছেন। সুতরাং (রমযানের) এক মাস (রোযা রাখা) দশ মাসের সমান। আর সাথে ঈদুল ফিতরের পরে ছয় দিন রোযা রাখা সারা বছর রোযা রাখার সমান। -সুনানে নাসাঈ, হাদীস ২৮৭৪


আল্লাহ এক নেকীতে দশ নেকীর সওয়াব দান করেন। এক দিনের রোযা দশ দিনের সমান, তিন দিনের রোযা এক মাসের সমান। ছয় দিনের রোযা দুই মাসের সমান। আর এক মাসের রোযা দশ মাসের সমান। সুতরাং যে রমযানের এক মাস ও শাওয়ালের ছয় দিন রোযা  রাখবে সে এক বছরের সমান সওয়াব পাবে।


রমযানের রোযা কবুল হওয়ার আলামত


শাওয়ালের রোযার একটি ফযীলত হল, এই রোযা রমযানের রোযা কবুল হওয়ার একটি আলামত। রমযান মাসের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে কিছু রোযা রাখা একথার আলামত যে, আল্লাহ তাআলার দরবারে রমযানের রোযা কবুল হয়েছে। কেননা আল্লাহ তাআলা যখন বান্দার কোনো আমল কবুল করেন তখন অন্য একটি নেক আমলের তাওফীক দান করেন।


قَالَ مَنْ قَالَ مِنْ السّلَفِ كَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ: إنّ مِنْ ثَوَابِ الْحَسَنَةِ الْحَسَنَةُ بَعْدَهَا وَإِنّ مِنْ عُقُوبَةِ السّيِّئَةِ السّيِّئَةُ بَعْدَهَا.


সাঈদ ইবনে জুবায়ের রাহ. ও আরো কোনো কোনো সালাফের বক্তব্য হল, নেক আমলের প্রতিদান হচ্ছে, এর পর আরো নেক আমলের তাওফীক পাওয়া। আর গোনাহের শাস্তি হল, এর পর আরো গোনাহে লিপ্ত হওয়া। -মাজমূউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ১০/১১


সালাফের এই কথার সমর্থন কুরআন মাজীদেই বিদ্যমান। আল্লাহ তাআলা বলেন-


وَ الَّذِیْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًی وَّ اٰتٰىهُمْ تَقْوٰىهُمْ.


যারা হেদায়েতের পথ অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েতে উৎকর্ষ দিয়েছেন এবং তাদেরকে দান করেছেন তাদের (প্রয়োজনীয়) তাকওয়া। -সূরা মুহাম্মাদ (৪৭) : ১৭


আয়াতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, হেদায়েত ও নেক আমলের পথে চললে আল্লাহ তাআলা তাকে আরো বেশি তাকওয়া ও হেদায়েতের তাওফীক দান করেন।


হাদীস শরীফেও অনুরূপ এসেছে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-


عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنّ الْبِرّ يَهْدِي إِلَى الْجَنّةِ، وَمَا يَزَالُ الرّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرّى الصِّدْقَ حَتّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقًا، وَإِيّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النّارِ، وَمَا يَزَالُ الرّجُلُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرّى الْكَذِبَ حَتّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذّابًا.


তোমরা সত্যকে আঁকড়ে ধর। কেননা সত্য আনুগত্যের দিকে নিয়ে যায়। আর আনুগত্য জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। মানুষ সত্য বলতে থাকে এবং সত্যের জন্য চেষ্টা করতে। এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তার নাম লেখা হয় ‘ছিদ্দীক’।


তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাক। কেননা, মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়। আর পাপ জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে এবং মিথ্যার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। একসময় আল্লাহর নিকট তার নাম লেখা হয় ‘কায্যাব’। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬০৭; সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০৯৪


হাদীসের মধ্যে এসেছে, সত্য বলার আমল আরো অনেক নেক আমলের মাধ্যম হয়। যেমনভাবে মিথ্যা আরো গোনাহের দিকে নিয়ে চলে।


উল্লিখিত আয়াত ও হাদীস থেকে জানা যায়, মানুষ যখন কোনো ভালো আমল করে তার জন্য আরো অনেক ভালো আমল করা সহজ হয়ে যায়। সুতরাং একটি ভালো আমলের পর আরেকটি ভালো আমলের তাওফীক হওয়া একথার অলামত যে, পূর্বের ভালো আমলটি আল্লাহ কবুল করেছেন। তাই তাকে আরো কিছু আমলের তাওফীক দান করেছেন। অতএব রমযান মাসের পর শাওয়াল মাসে রোযা রাখা এ কথার একটি দলীল যে, তার রমযানের রোযা আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন।


রমযানের রোযার শুকরিয়া


আল্লাহ তাআলা যখন কোনো নিআমত দান করেন, এর দাবি হল আল্লাহর জন্য কিছু ইবাদত করা। বিশেষ করে গোনাহমাফের শোকরস্বরূপ ইবাদত-বন্দেগি বাড়িয়ে দেওয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। তিনি রাতের বেলা নামাযের মধ্যে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। আয়েশা রা. জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেন এত কষ্ট করেন, আপনার তো আগে-পরের সব গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন?


তিনি উত্তর দিয়েছেন-


أَفَلاَ أُحِبّ أَنْ أَكُونَ عَبْدًا شَكُورًا.


আমার কি মন চায় না, আমি শোকরগুযার বান্দা হব? -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৮৩৭; সহীহ মুসলিম,


★★★★★★★★

উপরের হাদীসটা কেন পোস্ট করলাম, তা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেন নি।


আসলে একটা বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে। তা থেকে এই হাদিসটি মনে পড়ল।


বড় উস্তাদজী রহ. এর ঔরসে জন্ম নেওয়া বা তার বংশের প্রতিটি প্রদীপ স্বচ্ছ আলো দানকারী।


তাদের প্রত্যেকের মাঝে রয়েছে কিছু পবিত্র প্রতিভা। (ইল্লা আনা) কারোরটা প্রকাশিত হয়। সে হয় প্রসিদ্ধ।  আবার কারোরটা থাকে সুপ্ত নিভৃত। ফলে বাহ্যত মনে হয় সে দূর্বল প্রতিভার অধিকারী। 

যদিও বাস্তবতা তার বিপরীত।


তেমনই নিভৃতচারী ও সূপ্ত প্রতিভা এবং হাজারো সদগুণের অধীকারী হলেন, বড় উস্তাদজীর রহ.এর বড় সাহেবজাদা মাও. রুহুল আমীন দা. বা. 


আমার কাছে মনে হয়কি জানেন? বড় ভাইয়েরা বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছোটদের জন্য সব কুরবানী করেন। শত দুঃখ ব্যথা নিরবে সয়ে নেন। 

সব প্রসিদ্ধি আর সুখ্যাতি ছোটদের জন্য বরাদ্দ করে দেন। 


তা না হলে এত এত গুণধর ব্যক্তি কীভাবে সবার মাঝে থাকেন অতি সাদাসিধে হয়ে? 

ভাবতেই আমার অবাক লাগে! 

আমি মনে করি আল্লাহর মুকাররব বান্দাদের দ্বারাই এসব সম্ভব!


আজ আমাকে ফোন দিয়ে তার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণীর জীবনীর স্মারকের খবর দেওয়ার সময় সময় তার কন্ঠে যেই মায়া আর স্মৃতি বিজড়িত করুণ সূর মিশ্রিত ধ্বণি ইতিপূর্বে আমি অনুভব করিনি। 


অনেক আগ্রহে আমার ইমেইল নিয়ে আমার কাছে পান্ডুলিপি পাঠালেন। আমি ক্লাসে ছিলাম। তাৎক্ষণাৎ দেখতে পারিনি। 

রুমে এসে পান্ডুলিপিটি খুলে চোখ বুলালাম। 

আমার হৃদয়ে নতুন করে সৃষ্টি হলো শোকের উত্তাল তরঙ্গ।  একেএকে ভেসে উঠল নিষ্ঠুর নিদারুণ স্মৃতিগুলো। 

আপনজন হারানোর বেদনা পুনঃ জেগে উঠলো হৃদয়ে মাঝে। হারিয়ে গেলাম দূর অতীতে! 


তবে একটা জিনিসে খুব অবাক হলাম! সাদাসিধে এই বড়ভাই এত বড় প্রেমিক! এতো রোমান্টিক?  তাদের মাঝের ভালবাসার পরিমান অতল সমুদ্দুর বা অসীম আকাশ সম!

কি স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন তাদের ভালবাসা। একে অপরের প্রতি কতটা কুরবান ছিলেন! 

যার সামান্য নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। 

প্রিয় প্রেমাষ্পদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে লিখে ফেললেন স্মারকগ্রন্থ!!  

বাহরে বাহ! কী চমৎকার নমুনা!

আর স্মৃতিচারণগুলোও সেই মানের! 

ধন্যবাদ হে গুণবান আবু বকরের সন্তান! ধন্যবাদ.....

★★★★★★★

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪

সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। 

 সবচেয়ে বড় অভাগা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। 

তার চার বছরের শিশু বুলবুল যে রাতে মা/ রা গিয়েছিল, সে রাতে তার পকেটে একটা কানাকড়িও ছিল না। 


অথচ কাফন,দাফন,গাড়িতে করে দেহ নেওয়া ও গোরস্থানে জমি কেনার জন্য দরকার ১৫০ টাকা, সে সময়ের ১৫০ টাকা মানে অনেক টাকা। এত টাকা কোথায় পাবে। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম লাইব্রেরি দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। টাকা আবশ্যক।


ঘরে দেহ রেখে কবি গেলেন এক প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক শর্ত দিল- এই মুহূর্তে কবিতা লিখে দিতে হবে। তারপর টাকা......💔


কবি মনের নীরব কান্না, যাতনা লিখে দিলেন কবিতায়.....


"ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে

আমার গানের বুলবুলি।

করুণ চোখে চেয়ে আছে

সাঝের ঝরা ফুলগুলি।।


ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলা কে গান গেয়ে,

নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে,

বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যারাণী চুল খুলি।।


কাল হতে আর ফুটবে না হায়, লতার বুকে মঞ্জরী

উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস মর্মরী।


গানের পাখি গেছে উড়ে শূণ্য নীড়,

কন্ঠে আমার নেই যে আগের কথার ভিড়,

আলেয়ার এই আলোতে আর আসবে না কেউ কুল ভুলি।।


একজন সন্তানহারা পিতার কি নিদারুণ কষ্ট। 

যদিও এই মানুষটাই বাংলা সাহিত্যকে অনেক কিছু দিয়েছেন....। দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, জেল খেটেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়ে...। কিন্তু হঠাৎ করে সেই মানুষটার পিছন থেকে সবাই সরে যায়..., একেবারে ভুলে যায়....., যাদের জন্য তিনি সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে গেছেন....💔


" রমজানের এই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ.... " উনার রচিত গানের মাধ্যমে ঈদ উৎযাপন করি।

তিনি আমাদের বিদ্রোহী কবি। বিনম্র শ্রদ্ধা।🙏🏼


এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"

 এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু...