এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী, ইবলিশ শয়তানদের নেতা। 

 ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী, ইবলিশ শয়তানদের নেতা।


এই শব্দের অর্থ চরম হতাশ।কুরআন অনুসারে, যখন ইবলিস আদমকে সেজদা করার আদেশ অমান্য করেছিল তখন তাকে জান্নাতের বাহিরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ইসলামি ধর্মতত্ত্বে ইবলিসকে এমন বৈশিষ্ট্য এবং কর্মের উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যাকে আল্লাহ জাহান্নামে শাস্তি দিবেন। ইবলিসের উৎপত্তি ও প্রকৃতি সম্পর্কে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কুরআনের ব্যাখ্যা (তাফসির) এবং নবীদের গল্প (কিসাস আল-আম্বিয়া) ইবলিসের মূল কাহিনীকে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করে।

ইবলিশ হলো আকৃতি বিহীন আগুন। তবে তার যেকোন রুপ ধারন করার ক্ষমতা আছে। এবং যে কোন মানুষের চিন্তা শক্তি ও নফসের উপরে বর করার ক্ষমতা আছে।


ইসলাম ধর্মে ইবলিসকে দুষ্ট জিন বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন এ উল্লেখ করা হয়েছে, যে যখন আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করলেন এবং তিনি সকল ফেরেশতাদের বললেন আদমকে সিজদাহ্ করতে, তখন সকল ফেরেশতা সিজদাহ্ করলো। অথচ ইবলিস (শয়তান) সিজদাহ্ করলো না। ফলে সে অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হলো এবং আল্লাহ তাকে অভিশপ্ত করলেন।


কুরআনে বর্ণিত ইবলিশ শয়তানের কাহিনী- 


সুরা আল আরাফ (১১—৩৭):


আমি তো তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তোমাদের আকৃতি দিয়েছি, অতঃপর ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলাম আদমকে সাজদাহ করার জন্য। তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল। সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হল না।

তিনি বললেন, “আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন কি তোমাকে নিবৃত্ত করল যে, তুমি সিজদা করলে না?” সে বলল, “আমি তার চেয়ে শ্ৰেষ্ঠ; আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কাদামাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।”

তিনি বললেন, “তাহলে তুমি এখান থেকে নেমে যাও, এখানে থেকে অহংকার করবে, এটা হতে পারে না। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত।”

সে বলল, “আমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দিন ,যেদিন তারা পুনরুত্থিত হবে।”

তিনি বললেন, “নিশ্চয় তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।”

সে বলল, “আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, সে কারণে অবশ্যই অবশ্যই আমি আপনার সরল পথে মানুষের জন্য বসে থাকব।”

তারপর অবশ্যই আমি তাদের কাছে আসব তাদের সামনে থেকে ও তাদের পিছন থেকে, “তাদের ডানদিক থেকে ও তাদের বাম দিক থেকে এবং আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।”

তিনি বললেন, “এখান থেকে বের হয়ে যাও ধিকৃত,বিতাড়িত অবস্থায়। মানুষের মধ্যে যারাই তোমার অনুসরণ করবে, অবশ্যই অবশ্যই  আমি তোমাদের সবাইকে দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।”

“আর হে আদম! আপনি ও আপনার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করুন, অতঃপর যেথা হতে ইচ্ছা খান, কিন্তু এ গাছের ধারে –কাছেও যাবেন না, তাহলে আপনারা যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”

তারপর তাদের লজ্জাস্থান, যা তাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল তা তাদের কাছে প্রকাশ  করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল এবং বলল, “পাছে তোমরা উভয় ফেরেশতা হয়ে যাও কিংবা তোমরা স্থায়ীদের অন্তর্ভুক্ত হও, এ জন্যেই তোমাদের রব এ গাছ থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।”

আর সে তাদের উভয়ের কাছে শপথ করে বলল , “নিশ্চয় আমি তোমাদের শুভাকাংখীদের একজন।'

অতঃপর সে তাদেরকে প্রবঞ্চনার দ্বারা অধঃপতিত করল। এরপর যখন তারা সে গাছের ফল খেল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে  নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল। তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এ গাছ থেকে নিষেধ করিনি এবং আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য শত্রু ?”

তারা বলল, “হে আমাদের রব আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।“

তিনি বললেন, “তোমরা নেমে যাও, তোমরা একে অন্যের শক্র এবং যমীনে কিছুদিনের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল।”

তিনি বললেন, “সেখানেই তোমারা যাপন করবে এবং সেখানেই তোমরা মারা যাবে। আর সেখান থেকেই তোমাদেরকে বের করা হবে।”

আর স্মরণ করুন, যখন আমরা ফেরেশতাদের বললাম, আমাকে সিজদা করো, তখন ইবলিশ ছাড়া সকলেই সিজদা করলো ; সে অস্বীকার করলো ও অহংকার করলো। আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হলো।

আর আমারা বললাম, “হে আদম ! আপনি ও আপনার স্ত্রী  জান্নাতে বসবাস করুন এবং যেখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে আহার করুন, কিন্তু এই গাছটির কাছে যাবেন না ; তাহলে আপনারা হবেন যালিমদের অন্তর্ভুক্ত।”

অতঃপর শয়তান সেখান থেকে তাদের পদস্থলন ঘটালো এবং তারা যেখানে ছিলো সেখান থেকে তাদের কে বের করলো। আর আমরা বললাম, ‘তোমরা একে অন্যের শত্রু রুপে নেমে যাও; এবং কিছু দিনের জন্য তোমাদের  ও জীবিকা রইল জমিনে।”

তারপর আদম তার রবের কাছ থেকে কিছু বাণী পেলেন। অতঃপর আল্লাহ্‌ তার তাওবা কবুল করলেন।নিশ্চয় তিনিই তাওবা কবুলকারী,পরম দয়ালু।


তথ্য সংগৃহীত ইন্টারনেট থেকে।

কৃষি ও যৌনতা,,,,,,,,,

 ।। কৃষি ও যৌনতা ।।


প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ ও নিদর্শন অনুযায়ী কৃষিকাজের উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ১২,০০০ বছর পূর্বে। তার পূর্বে প্রায় ২০ লক্ষ বছর মানুষ ছিল মূলত শিকারী ও সংগ্রাহক, যা জনপ্রিয় ভাবে “হান্টার-গ্যাদারার সোসাইটি” নামে পরিচিত। এই হান্টার-গ্যাদারার সমাজের মানুষের কাজ ছিল মূলত বিভিন্ন ভক্ষণযোগ্য উদ্ভিদ, ফল, কীটপতঙ্গ, পাখির ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন পশু, পাখি ও মাছ শিকার করা।


এই হান্টার-গ্যাদারারদের কিন্তু কিছু নিজস্ব রিচুয়ালিস্টিক প্র্যাকটিস বা আধ্যাত্মিক চর্চাও ছিল। মোটা দাগে একে “ধর্ম” বলছি না, কারণ বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল অর্গানাইজড রিলিজিয়ন দেখতে পাই, মানব ইতিহাসে তার আবির্ভাব ঘটতে তখনও ঢের বাকি। কিন্তু কেন? কারণ তখনও অর্গানাইজড রিলিজিয়নের প্রয়োজন হয়ে ওঠেনি মানুষের। বরং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল মানুষের তখন প্রকৃতিকেন্দ্রিক কিছু বিশ্বাস গড়ে ওঠে, যাকে সহজ ভাষায় আমরা এ্যানিমিজম বা সর্বপ্রাণবাদ বলে থাকি।


সর্বপ্রাণবাদ। অর্থাৎ সব কিছুরই প্রাণ বা স্পিরিট আছে। যেমন ধরুন সুউচ্চ কোন পাহাড় কিংবা সুবিশাল কোন সমুদ্র। এদের কৃপা প্রাপ্তির প্রয়োজন হলে এদেরকেই সম্মান জানাতে হবে। আবার এই সর্বপ্রাণবাদের অংশ হিসেবেই উদ্ভব হয় জাদুবিশ্বাসের, যাকে বর্তমান অর্গানাইজড রিলিজিয়নের আদিমতম রূপও বলা যায়। এই জাদুবিশ্বাসের সাথে কিন্তু জাদুটোনার কোন সম্পর্ক নেই। বরং প্রাকৃতিক যেকোনো বিষয়, যার উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই, তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা থেকেই জাদুবিশ্বাসের উদ্ভব। যেমন ধরুন স্পেনের আলতামিরার কোন গুহাবাসী শিকারে যাওয়ার পূর্বে গুহার দেয়ালে একটি বাইসনের ছবি আঁকলেন এই বিশ্বাস থেকে যে এর মাধ্যমে তিনি বাইসনটির স্পিরিটের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন। ফলস্বরূপ আজ রাতে তিনি সহজেই এর শিকার করতে পারবেন।


জাদুবিশ্বাসকে অর্গানাইজড রিলিজিয়নের আদিমতম রূপ বলার অনেক গুলো কারণের মাঝে একটি হলো- এতে রিচুয়াল থাকলেও তা জটিল নয়। বাইসন চাই, তাই বাইসনের ছবি আঁকবো। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান বা বিষয়ের আন্তঃসম্পর্ক। যেমন আকাশ, বৃষ্টি ও জলের সম্পর্ক। অনেক সংস্কৃতিতে আজও বৃষ্টির প্রার্থনা স্বরূপ আকাশের দিকে জল ছুঁড়ে দেওয়ার চর্চা দেখা যায়। অর্থাৎ নিচে থেকে জল ছুঁড়ে দিলে জলের স্পিরিট আকাশের স্পিরিটকে প্রভাবিত করবে। এর ফলে আকাশও জল স্বরূপ বৃষ্টি দান করবে। মনে রাখতে হবে, এই আন্তঃসম্পর্কই কৃষির সাথে যৌনতাকে জুড়ে দিয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে।


কৃষির উদ্ভাবন মানব সভ্যতার বেড়ে ওঠার ইতিহাসের যে সুউচ্চ পর্যায়ে আছে, খুব কম বিষয়ই সেই উচ্চতাকে অতিক্রম করতে পেরেছে বোধহয়। হয়তো আগুন আবিষ্কারের পর এটিই ছিল মানব ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাইলফলক। কিন্তু একই সাথে ফসল উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি বুঝতে মানুষের বেশ মুশকিলও হয়েছে। “শুধু বীজ বুনলেই কি ফসল হয়?” – হয়তো এমন প্রশ্ন মানুষকে ভাবিয়েছে দীর্ঘ সময়। অর্থাৎ সে যে বীজ বুনছে, তা থেকে ফসল ফলছে কীভাবে? কোন অতিপ্রাকৃতিক স্পিরিট কি এটি নিয়ন্ত্রণ করছে?


২০ লক্ষ বছর ধরে হান্টার-গ্যাদারার সোসাইটিতে বাস করে আসা মানুষ শিকার ও সংগ্রহ সম্পর্কে প্রায় সবকিছু জেনে থাকলেও কৃষি সম্পর্কে তার ধারণা শূন্য। শিকার যোগ্য প্রাণী চোখের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, চোখের সামনেই গাছে ঝুলছে ফল। কিন্তু ফসলটা ফলছে চোখের আড়ালে, অনেকটা অদৃশ্য থেকেই। আবার ফল কিংবা প্রাণীর যোগান সহজেই চাহিদা মোতাবেক নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও, ফসলের ফলনের পরিমাণ নিশ্চিত করার কোন উপায় ছিল না। তাই ঠিক কী ধরণের জাদুচর্চার মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি কিংবা নিশ্চিত করা যায়, তার সম্পর্কেও সে জ্ঞানশূন্য।


আর এখানেই ঘটে অদ্ভুত এক বিষয়। মানুষের সৃজনশীল মস্তিষ্ক কৃষির সাথে এমন একটি বিষয়ের আন্তঃসম্পর্ক স্থাপন করে যার সাথে এর সরাসরি কোন সম্পর্ক না থাকলেও বৈশিষ্ট্যগত কিছু মিল ছিল। আর তা হলো নারীর প্রজনন।


প্রথমত, কৃষির মতো প্রজননের পুরো বিষয়টিও মানুষের কাছে অদৃশ্য ছিল। দ্বিতীয়ত, একটি অদৃশ্য প্রক্রিয়া থেকে ফসলের জন্ম এবং একই রকম অদৃশ্য প্রক্রিয়া থেকে শিশুর জন্মের মাঝে সে খুঁজে পেয়েছিল অদ্ভুত রকম সাদৃশ্য। এই দুই অদৃশ্যের মাঝে যে সাদৃশ্য, তা থেকে আরও কিছু সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যেমন ফসলী জমি বা ভূমির সাথে যোনী ও মাতৃত্বের সাদৃশ্য। অপরদিকে হলকর্ষণের সাথে পুরুষত্বের সম্পর্ক। অর্থাৎ পুরুষের লিঙ্গ ও নারীর যোনীর মিলন বা যৌনক্রিয়ার ফলস্বরূপ যেমন শিশুর জন্ম হয়, তেমনি কৃষি জমিতে হলকর্ষণের ফলে ফসলের ফলন হয়।


এই বিষয়ে আলোকপাত করে লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ সুধীর চক্রবর্তী তাঁর “নির্বাচিত প্রবন্ধে” লিখেছেন-- “কৃষিভিত্তিক সমাজে জমিতে শস্য উৎপাদন আর নারী গর্ভে সন্তান আগমন একই জাদুবিশ্বাসে গৃহীত হয়।”


এভাবেই উদ্ভব ঘটে যৌনতা ভিত্তিক বিভিন্ন জাদুবিশ্বাসের। এমন ধারণারও জন্ম হয় যে, নারী পুরুষের যৌনক্রিয়া যত বেশি হবে, ভূমিও ততই যৌনসক্রিয় ও উর্বর হয়ে উঠবে। প্রাচীনকালে ইন্দোনেশিয়ার জাভা সহ পৃথিবীর আরও বিভিন্ন অঞ্চলে এই ধারণা এতটাই তীব্র ছিল যে অনেক সময় কৃষির জমিতেই নারী-পুরুষ যৌনক্রিয়ায় অংশ নিতেন। আবার মধ্য আমেরিকার পিপাইল জাতির কৃষকেরা জমিতে বীজ বোনার প্রায় চার দিন আগে থেকেই সঙ্গম থেকে বিরত থাকতেন। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন, বীজ বপনের ঠিক আগের রাতে তীব্র যৌনক্রিয়া করতে পারলে জমির উর্বরতা তার দ্বারা প্রভাবিত হবে।


এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। হান্টার-গ্যাদারার সমাজের প্রাথমিক পর্যায়ে লিঙ্গভিত্তিক শ্রেণীবিভাজনের বিষয়টি তুলনামূলক কম ছিল। শিকার হোক অথবা ফলমূল সংগ্রহ, নারী পুরুষ উভয়ই সে কাজে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু এই দৃশ্যপট আবার বদলে যায় বল্লম আবিষ্কারের পর। বল্লম নিক্ষেপের দক্ষতা পুরুষদের শিকারে পারদর্শী করলে তারা ফলমূল সংগ্রহের কাজ ধীরে ধীরে ছেড়ে দেন। অর্থাৎ নারীরা একাই সংগ্রহের কাজটি অব্যহত রাখেন। আর এই ফল সংগ্রহের কাজ করতে করতেই কিন্তু তার বীজ থেকে নারীরাই প্রথম কৃষির উদ্ভাবন করেন। এর প্রমাণস্বরূপ পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য লোকগল্পের দেখা মেলে। যেমন আমেরিকার চেরোকি আদিবাসীরা এখনও বিশ্বাস করেন, শস্য আবিষ্কার করেছিলেন পৃথিবীর প্রথম নারী, ঘন জঙ্গলের ভেতরে। গবেষক রবার্ট ব্রিফল্ট এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য করেন— "The art of cultivation has developed exclusively in the hands of women."


তাই নারীদের হাতে কৃষিকাজের সূচনা হওয়া কিন্তু কৃষির সাথে নারী ও মাতৃত্বের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। এর ফলে পরবর্তীতে কৃষিভিত্তিক যত গুলো রিচুয়ালের উদ্ভব ঘটে, তার সাথে নারী ও মাতৃত্বের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যায়। বিশেষত এমন ধারণা করা হয় যে, যেসব বিষয় বা পূর্বশর্ত নারীকে প্রজননক্ষম বা উর্বর করে, তা ভূমিকেও উর্বর করে।


এখানে উদাহরণ হিসেবে ঋতুস্রাবের কথা উল্লেখ করা যায়। নারীরা যেমন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋতুমতী হন, একই ভাবে ভূমি বা ধরণীরও ঋতুপর্ব চলে। গ্রীষ্মের তাপদাহের পর তপ্ত পৃথিবীর বুকে যখন আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি নামে, তখন আমাদের উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় অম্বুবাচীর পারণ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এ কয়দিন ধরণীর ঋতুপর্ব চলে। এ সময় একজন ঋতুমতী নারীর মতোই ধরণীর প্রতিও অধিক যত্নবান হতে হবে। তাই এই নির্দিষ্ট সময়কালে জমিতে হলকর্ষণ এবং চাষাবাদ তো নিষিদ্ধই, এমনকি অন্য কোন কারণেও মাটি খোঁড়া যাবেনা।


আবার সন্তানসম্ভবা নারীকে যেমন সাধ খাওয়ানোর রীতি আছে, তেমনি কৃষি জমিকেও সাধ খাওয়ানোর রীতি দেখা যায় আমাদের উপমহাদেশে। শিবায়ন কাব্যে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, ভোর রাতে কৃষক স্নান করে ভিজে কাপড়ে জমিতে সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান করে থাকেন। এখানে সাধের উপকরণ হলো– আতপ চালের গুড়ো, কাঁচা তেঁতুল, কাঁচা হলুদ, ডাবের জল, কাঁচা দুধ, গঙ্গা জল, খেজুরের নতুন গুড়।


কিছু নেটিভ আমেরিকান জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস অনুযায়ী, নারীরা যেহেতু সন্তানের জন্ম দিতে পারেন, তাই তারা ফসলের জন্মও দিতে পারবেন। নারীর উর্বরতাশক্তি কোন এক অতিপ্রাকৃতিক শক্তির বলে বীজের ভেতর ঢুকে যায়। তাই সেখানে নারীরাই সর্বদা ফসলের বীজ বুনতেন। তারা ধারণা করতেন, নারীরা ভুট্টা বুনলে প্রতি বৃন্তে তিনটি করে ভুট্টা ফলবে।


ধীরে ধীরে অর্গানাইজড রিলিজিয়ন এবং বিভিন্ন দেবদেবীর উত্থান হতে শুরু করলে দেখা যায়, কৃষি ও প্রজনন উভয়ের জন্য একই মাতৃকা শ্রেণীর দেবীর ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জানা যায়, প্রাচীন সর্বপ্রাণবাদী সমাজে এই দেবীদের উত্থান শুরু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের প্রতিকৃতি তৈরি হতো জমির ফসল দিয়েই। কারণ মানুষের বিশ্বাস ছিল ফসল কাটা শুরু হলে তার ভেতরের স্পিরিটটি দ্রুত ফসলের গোড়ার দিকে চলে যায়। তাই একবার ফসল কর্তন শেষ হলে সেই গোড়ার অংশ গুলো দিয়েই তৈরী হতো প্রতিকৃতি। অতঃপর তাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হতো নানা উৎসব-পার্বণ। কালের বিবর্তনে পৃথিবীর নানা প্রান্তে উদযাপিত এই উৎসব গুলোই ধীরে ধীরে “নতুন ফসলের উৎসব” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।


সময়ের সাথে সাথে মাতৃকা শ্রেণীর এই দেবীরা আরও স্বতন্ত্র রূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। হরপ্পা সভ্যতা থেকে অজস্র নগ্ন মাতৃমূর্তি পাওয়া গিয়েছে। গবেষকদের ধারণা, এর সাথে কৃষিভিত্তিক জাদুবিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। আবার একটি শিলে দেখা যায়, এক নারী ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে দু’ পা প্রসারিত করে রেখেছেন এবং তাঁর যোনী থেকে বেরিয়ে আসছে শাক-লতা-পাতা। 


প্রাচীন সুমেরীয় অঞ্চলের উর্বরতা ও প্রজননের দেবী ইশতার। জানা যায়, প্রায় ছয় হাজার বছরের প্রাচীন এই দেবীর মন্দিরে গণিকারা অবস্থান করতেন। তাদের মনে করা হতো উর্বরতার এই দেবীর প্রতিনিধি। সেখানকার গম চাষিরা ব্রোঞ্জের মুদ্রার বিনিময়ে মন্দিরে থাকা গণিকাদের সাথে সঙ্গম করতে পারতেন। তবে এই সঙ্গম কেবল মনোরঞ্জনের কারণেই নয়, বরং তখনকার বিশ্বাস অনুযায়ী এটি ছিল ফসল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ। আবার অনেক গবেষক দাবী করেন, আদিতে দেবী দুর্গাও ছিলেন শস্যদেবী। দুর্গাপূজার সাথে জড়িত নবপত্রিকা সে বিষয়টিই হয়তো নির্দেশ করে। এমনকি দেবী ইশতারের মতো দেবী দুর্গার পূজা উৎসবেও গণিকাদের উপস্থিতি ছিল বলে মনে করেন গবেষক নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এর উল্লেখ পাওয়া যায় কালিকাপুরাণেও। মূলত শবর জাতিগোষ্ঠী একসময় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দশমীর রাতে ‘শাবরোৎসব’ আয়োজন করতেন, যেখানে নর্তকী ও গণিকারা উপস্থিত থেকে সকলের মনোরঞ্জন করতেন।


একই ভাবে প্রাচীন ভারতের ভূমি দেবী বা বসুন্ধরাও কিন্তু একাধারে কৃষিজমির উর্বরতা এবং প্রজননের জন্য পূজিত। বসুন্ধরা দেবীর সমকক্ষ গ্রীক দেবী হলেন গাইয়া। গাইয়াও একই ভাবে জমির উর্বরতা এবং সন্তান সন্ততি লাভের জন্য পূজিত হতেন।


তবে এখানে আরও চমকপ্রদ একটি বিষয় আছে। আমাদের এই উপমহাদেশের দেবদেবীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে বর্ণিত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁরা তাঁদের মূল থেকে অনেকটাই সরে গিয়ে অন্য কোন রূপ ধারণ করেছেন। ঠিক তেমনটাই দেখা যায় রামায়ণের অন্যতম মূল চরিত্র “সীতা”র ক্ষেত্রে।


প্রাচীন ভারতে সীতা একসময় স্বয়ং কৃষিদেবী হিসেবেই পূজিত হয়েছেন। ঋগ্বেদে কৃষিদেবী হিসেবে উল্লেখিত আছে সীতার নাম। আবার অথর্ববেদে আছে সীতার স্তবক মন্ত্র–

"সীতা বন্দামহে ত্বাবর্চীসুভগে ভব

যথাঃ নঃ সুমনা অসো যথাঃ নঃ সুফলা ভব"


মৌর্য যুগে সীতা ছিলেন রাষ্ট্রীয় কৃষিদেবী। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের একটি অধ্যায়ের নাম 'সীতাধ্যক্ষ'। এই শব্দের অর্থ হলো– উচ্চপদস্থ কৃষি কর্মচারী।


তবে যদি রামায়ণের সীতার জন্মকথাকে একটু ভেঙে দেখি, তবে দেখবেন সেখানেও কৃষি ও যৌনতার অভাবনীয় একটি সম্পর্কের অস্তিত্ব আছে। 


বলা হয়, মিথিলার রাজা জনক সন্তান লাভের আশায় আচার-প্রথা হিসেবে জমিতে লাঙ্গল দিলে জমি থেকে সীতার আবির্ভাব হয়। “সীতা” শব্দের অর্থই হলো জমিতে লাঙ্গল দেওয়ার ফলে সৃষ্ট দাগ। অর্থাৎ জমি আর লাঙ্গলের মিলনের চিহ্ন, ঠিক যেমন নারী পুরুষের মিলনের চিহ্ন হলো তাদের সন্তান। শাস্ত্র অনুযায়ী সীতা কিন্তু ভূমি দেবীরই কন্যা, আর রাজা জনক তাকে পেয়েছিলেন লাঙ্গল দিয়ে জমি কর্ষণ করতে গিয়েই।


আবার লাঙ্গল শব্দটির ধাতু হলো 'লঙ্গ'। লিঙ্গ শব্দের ধাতুও কিন্তু তা-ই। অর্থাৎ পুরুষের লিঙ্গ আর কৃষির লাঙ্গলকে সমতুল্য হিসেবে দেখা হয়েছে। তাই ভূমি যদি যোনী হয়, তবে লাঙ্গল হলো পুরুষাঙ্গ। লাঙ্গল দিয়ে হলকর্ষণের ফলে ভূমি যেমন উর্বর হয়, নরের সাথে মিলনে তেমনি নারীও হয় সন্তানসম্ভবা। সীতার জন্মকাহিনীতেও হয়তো এই বিষয়টিই প্রতিকীরূপে দেখা যায়।


শেষ করছি বাংলায় এসে। এখানেও ঘটেছে চমকপ্রদ আরেকটি ঘটনা। বাংলার কোচ সম্প্রদায় থেকে শুরু করে আরও অসংখ্য সম্প্রদায়, অঞ্চল ও সেখানকার লোক আচারে শিব ঠাকুরকে তাঁর বৈদিক ও পৌরাণিক রূপ থেকে সরিয়ে লৌকিক কৃষক হিসেবে দেখা হয়। ধর্মমঙ্গল কাব্যে শিবের এই কৃষক রূপ আরও উদ্ভাসিত হয়। শূন্য পুরাণে এই আলাপ আরও বিস্তর। শিব সেখানে আরও সাধারণ, একজন ভিক্ষুক। সংসার যখন অভাবে আর চলছে না, তখন তাঁর স্ত্রী গৌরী তাঁকে চাষাবাদ করার পরামর্শ দিলেন। 


চাষের জন্য তিনি বলদ, লাঙ্গল, মই, দড়ি সবই সৃষ্টি করলেন। কিন্তু বীজ পাবেন কোথায়? সেই নিয়ে আকুল হয়ে ভাবতে ভাবতে একদিন গৌরীর প্রতি শিবের কামভাব জাগ্রত হলো। আর সেই কামভাব থেকেই জন্ম নিলো পৃথিবীর প্রথম ধান “কামোদ”, যার থেকে ধীরে ধীরে পৃথিবীর সকল ধানের সৃজন হলো–


“কৌতুক করিতে শিবে উপজিত কাম।

কামে উপজিল ধান কামোদ বলি নাম।।

একধানে হইবাক সহস্রেক নাম।

ইহাতে আসিয়া লক্ষ্মী করিবে বিরাম।।”


— মুহাইমিনুল নীলয়


তথ্যসূত্র:

১। উপমা অধিকারী, “মাতৃকাশক্তির উপাসনা - পর্ব ১”, ফোকলোর এক্সপেডিশন বাংলাদেশ (২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩)

২। স্বপনকুমার ঠাকুর, “বাংলার কৃষিকাজ ও কৃষিদেবতা”, খড়ি প্রকাশনী (২০২০)

৩। Sir James Frazer, “The Golden Bough”, Macmillan Publishers (1890)

৪। নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, “ভারতীয় ধর্মের ইতিহাস”, জেনারেল প্রিন্টার্স (১৯৭৭)

৫। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, “লোকায়ত দর্শন”, নবশক্তি প্রেস (১৯৫৯)

৬। “আত্মা, শস্য, যৌনতা ও দেবত্ব”, ক্যানভাস (১ অক্টোবর, ২০২১)

ননস্টিক প্যানে একটি সামান্য স্ক্র্যাচ থেকে ৯ হাজার বিষাক্ত মাইক্রো-প্লাস্টিক উন্মুক্ত হয়ো

 ননস্টিক প্যানে একটি সামান্য স্ক্র্যাচ থেকে ৯ হাজার বিষাক্ত মাইক্রো-প্লাস্টিক উন্মুক্ত হয়। আর প্রলেপ উঠে গেলে সে সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ২০ লাখে! যা প্রতিবার রান্নায় মেশে খাবারের সাথে।


ননস্টিক প্যান, খুন্তি— এসবে টেফলনের প্রলেপ দেওয়া হয়। টেফলন প্লাস্টিক জাতীয় পলিমার। সাধারণ প্লাস্টিক নয়, বরং এটি একটি 'ফরেভার কেমিক্যাল', যা কখনও নষ্ট করা যায় না। একে 'চিরস্থায়ী বিষ' বললেও ভুল হবে না।


এসব সরঞ্জাম একটু পুরনো হলেই খাবারের সাথে মিশতে থাকে এসব কেমিক্যাল, যা দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নারী ও পুরুষ উভয়েরই বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে! এমনকি শিশুর বিকাশ ও ক্যানসারের কারণও এসব কণা। হরমোনের ভারসাম্যহীনতারও সূত্রপাত এখান থেকেই। ৯৯% আমেরিকানের রক্তে বিভিন্ন মাত্রায় এই রাসায়নিক পাওয়া গেছে। 


Dr.Abu Musa Khan ডিএইচএমএস ( হোমিওপ্যাথি), মাদার তেরেসা ও মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত, সুদীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা।

প্রভাষক (অব.) কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিওপ্যাথি কলেজ ও ট্রাস্ট বোর্ডের মেম্বার ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথি কলেজ।


ঠিকানা::::

বিলাসী শপিং কম্পেলেক্স,  বোয়ালমারী উপজেলা সদর, ফরিদপুর।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৮-০৪-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৮-০৪-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে রোম থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।


সেপ্টেম্বরে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চ।


সংলাপের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান ঢাকার।


বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, সড়ক ও রেলপথে গ্রাহক কিংবা যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হলে টেলিভিশন স্ক্রলের মাধ্যমে জানানোর নির্দেশনা।


রফতানি প্রক্রিয়া উন্নয়নে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু।


কাশ্মির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো ভারত। 


আজ চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও সফররত জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও শেষ ক্রিকেট টেস্ট।

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

আঁকড়ে ধরা বোঝো,,,,,

 আঁকড়ে ধরা বোঝ,,,? 

যেমন করে আঁকড়ে থাকে ঝিনুক তার মুক্তোকে। যেমন করে আকাশের বুকে আঁকড়ে থাকে মেঘ। ঐ যে অল্প অল্প করে ধরছি আর ছাড়ছি। ছাড়ছিও না আবার শক্ত করে ধরছিও না ; এমনটা নয়। 


অনাদর বোঝ,,,,? 

হৃদয়ে প্রেম আর আদরে টইটম্বুর, অথচ দেখার কেউ নেই। ঐ যে যেমন করে অবুঝ শিশু আদর পেলে মিশে থাকে বুকের সাথে। যেমন করে ছোট্ট পাখি পোষ মানে আদর পেলে। কেউ পাশে থাকার পরও বুকে শূন্যতা নিয়ে বেড়ানোই অনাদর। 


দূরত্ব বোঝ,,,,,? 

এই যে তুমি আছো, আমি আছি, শুধু আমাদের কোন কথা নেই। তুমি তোমার মতো আর আমি আমার মতো। দূরত্ব কি বলে কয়ে আসে? আমরাই ডেকে নিয়ে আসি। 


অভিমান বোঝ,,,,,? 

কথা বলার তীব্র আকুতি, কথা গলায় আটকে যাওয়াই হলো অভিমান। যেমন করে নিঃস্বঙ্গ পাখিটি উড়ে বেড়ায় আকাশের বুকে। 


অবহেলা বোঝ,,,,,? 

এই যে দিনের পর দিন অপেক্ষায় উপেক্ষা নিয়ে বসে থাকা। আসবে না, ভালোবাসবেনা জেনেও কি নিদারুণ আকুতি। এতো ভালোবাসা পেয়েও দিব্যি ভুলে থাকো, দূরে থাকো----এটিই অবহেলা। 


তুমি এতো কিছু বোঝ শুধু মন বোঝ না। মনের আকুতি বোঝ না। বেখেয়ালি মনে পৃথিবী দেখো, নিজের মতো করে সব ভাবো। 

শুধু আমার মতো করে আমায় বোঝ না 🖤🖤🖤


নিজেকে বুঝতে আমাদের সাথে ট্রাভেল করুন আমাদের ট্রাভেল পেজ Gangchil Travellers BD - GTB

পাখি পাকা পেঁপে খায়" ছাড়াও আরো অনেক বাক্য আছে! আসুন ঝটপট পড়ে ফেলি :

 "পাখি পাকা পেঁপে খায়" ছাড়াও আরো অনেক বাক্য আছে!

আসুন ঝটপট পড়ে ফেলি :


★ বাবলা গাছে বাঘ উঠেছে

★ গম আর চিনা

★ চাচি তুমি চাঁছা চটা চেঁছ না আচাঁছা চটা চেঁছ

★ লোহার রেলগাড়ী

★ হাঁসের ঠোঁট চ্যাপ্টা, মুরগির ঠোঁট চুক্কা

★ হরলালের রেলগাড়ি

★ তেলে চুল তাজা জলে চুন তাজা

★ সুঁচে সুতো ছাতে ছুঁচো

★ লারা রোড রোলারে লর্ডসে যায়

★ কাকেরা কা কা করিয়া কাকে কাকা কইছে

★ কাঁচা পেঁপে, পাকা পেঁপে

★ নলিনী লালনের নোলক নাকে তাল তাকে থাক কাক তাকে খাক

★ পাতে পটল পড়লেও পড়তে পারে

★ পাখি পাকা পেঁপে খায়

★ বারো হাঁড়ি রাবড়ি বড় বাড়াবাড়ি

★ কাঁচা গাব, পাকা গাব

★ লীনা নিল, নীলা লীলা নিল না

★ নেরু রেনুর কান টানে, রেনু নেরুর নাক টানে

★ বাঘার বাড়ি বাবার গাড়ি

★ লরির ওপর রোলার

★ টাকে কাক, তাকে কাপ

★ লেনিন নিলেন লিনেন, লিনেন লেনিন নিলেন, নিলেন লেনিন লিনেন

★ গাছ কাটা কাটা খাঁজ, খাঁজ কাটা কাটা গাছ

★ করলার কলে বাড়ে কলেরার কলরব

★ শ্যমবাজারের শশী বাবু সকাল বেলায় সাইকেল চড়ে শশা খেতে খেতে সশরীরে স্বর্গে গেলেন

★ পাখি কাঁপে ফাঁদে, পাপী কাঁদে ফাঁকে

★ এক আনায় আনা যায় কত আনারস

★ মালির মাথায় মালার ডালা, মালার হাতে মালির মালা

★ রণে রাণী লড়ে, লনে নারী নড়ে

★ মাসি মারে মশা, মেসো মারে মাছি

★ অস্ট্র উষ্ট্রের সাথে অষ্ট অশ্ব

★ লালুর লড়াই রাবড়ি লড়েন

★ নানিরে পান দিই, চুন দিই

★ লাল ল্যানোলিন, নীল ল্যানোলিন

★ দুর্যোধন জর্দা খেয়ে দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়

★ রোমা রল্যা লেড় খায়

★ চাচায় চা চায়, চাচি চেঁচায়

★ লালু লালা নিলী লিলি লীলা লীনা

★ মনাকে মনার মা মানা করেছে, মনা মায়ের মানা না শুনে চলে গেছে

★ চল চপলার চকিত চরণে করিছে চরণ বিচরণ

★ কত না জনতা জানাল যতনে যতনে

★ লীলা নিলি নালা নালী

★ কালুদের কুচকুচে কালো কুকুর কাল কচুরিতে কামড় দিয়েছিল

★ টিপুর টুপি টুপুর টাকে, টুপুর টাকা টিপুর ট্যাঁকে

★ উৎকটকটমহাশঙ্করকিটকিটাম্বররায়চৌধুরী 

★ লালা রি লোলা রি লিলারি লালারি লু

★ পাঁক পুকুরের পশ্চিম পাড়ের পাঁচু পাইন পাঁচটি পুলিশ কে পটিয়ে পাঁচটি পাইপ পুঁতিল

★ হেলিকপ্টারের প্রোপ্রাইটারের প্রপিতামহ প্রপেলারের চোটে পটলপ্রাপ্ত

★ গড়ের মাঠে গরুর গাড়ি গড় গড়িয়ে যায়

★ চারুচন্দ্র চক্রবর্তী চটি জুতো চরণে জড়ায়ে চট্টগ্রাম চলে গেছে

★ লাল গরুর লাল রান

★ রুলারে লড়াই

★ কে কোণে কাঁটা পুঁতে, কানা কোণে কাঁটা পুঁতে, কেন কানা কোণে কাঁটা পুঁতে, পুঁতে দেখুক  না কানা কোণে কাঁটা

★ মিতা আটা হাতে আতা কাটে

★ বাঁশের বাঁশি, বাঁশের কাঠি, কাঠের বাঁশি, কাঁসার বাটি

★ ভাত আর নেব না

★ মাচার তলে গুড়ের হাড়ি,

গুড় উঠাই গুড় খাই

★ চাচা চেঁচায়, চাচি চেঁচায়, চাচা চাচি এত চেঁচায়, চামিলি চমকে যায়

অর্গানিক ফার্মিং: অল্প পুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা!

 অর্গানিক ফার্মিং: অল্প পুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা!


বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই সুযোগে খুব কম পুঁজিতে অর্গানিক চাষাবাদের মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০,০০০–২০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এটি একটি সম্মানজনক, পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক ব্যবসা।


কেন অর্গানিক ফার্মিং করবেন?


বাজারে অর্গানিক খাদ্যের উচ্চ চাহিদা


রাসায়নিকমুক্ত চাষাবাদ হওয়ায় পরিবেশবান্ধব


তুলনামূলক কম পুঁজিতে শুরু করা যায়


কম প্রতিযোগিতা, বেশি লাভের সুযোগ


স্টার্টআপ প্ল্যান (পরিকল্পনার ধাপ):


ধাপ ১: চাষের পণ্য নির্বাচন করুন


শাকসবজি (লেটুস, পালং শাক, পুঁই শাক)


ফলমূল (পেঁপে, কলা, লেবু)


ভেষজ গাছ (তুলসী, অ্যালোভেরা)


ধাপ ২: জমি নির্বাচন


৫–১০ কাঠা জমিতে শুরু করতে পারেন


জমি নিজের না হলে ভাড়া নিতে পারেন


ধাপ ৩: প্রাকৃতিক উপায়ে মাটি প্রস্তুত করুন


গোবর সার, কম্পোস্ট সার ব্যবহার করুন


জমিতে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন না


ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ


ভালো মানের বীজ


জৈব সার (কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট)


পানি সরবরাহের ব্যবস্থা (সেচ)


আনুমানিক খরচের হিসাব:


জমি ভাড়া: ৫,০০০–১৫,০০০ টাকা (মাসিক)


বীজ ও সার: ১০,০০০–২০,০০০ টাকা


সেচ ও অন্যান্য: ৫,০০০–১০,০০০ টাকা


মোট প্রাথমিক খরচ: ৩০,০০০–৫০,০০০ টাকা


মাসিক আয় ও লাভ:


উৎপাদন শুরু: ২–৩ মাসের মধ্যে


প্রতি মাসে ফসল বিক্রি করে আয়: ৫০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা


লাভ থাকবে আনুমানিক ৪০–৬০% পর্যন্ত


কোথায় বিক্রি করবেন?


স্থানীয় বাজার


সুপারশপ ও অর্গানিক ফুড স্টোর


অনলাইন প্লাটফর্ম (Facebook Page, Instagram)


অতিরিক্ত টিপস:


অর্গানিক ফার্মিংয়ের প্রশিক্ষণ নিন (DOF, PKSF, BRAC)


আপনার পণ্যের ব্র্যান্ডিং করুন (প্যাকেটিং ও লোগোসহ)


গ্রাহকদের ফার্ম ভিজিটের সুযোগ দিন—বিশ্বাস তৈরি হবে


অর্গানিক ফার্মিং শুধু একটি ব্যবসা নয়, এটি একটি স্বাস্থ্য সচেতন আন্দোলন। আপনি চাইলে নিজের ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকেই বিশাল সাফল্যের গল্প তৈরি করতে পারেন।


#অর্গানিক_ফার্মিং #স্বাস্থ্যকর_খাদ্য #GreenBusiness #AgriStartup #GlobalTravelMates #EntrepreneurBD

ছাগল পালন করে আয় করুন সঠিক জাত বেছে নিয়ে!

 🐐 ছাগল পালন করে আয় করুন সঠিক জাত বেছে নিয়ে!


আপনি কি ছাগল পালন করে লাভের কথা ভাবছেন? নিচের লাভজনক জাতগুলো সম্পর্কে জেনে নিন, যা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সহজলভ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল:


🇧🇩🇮🇳🇵🇰 বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সেরা ছাগলের জাত

1️⃣ ব্ল্যাক বেঙ্গল (Black Bengal)


বৈশিষ্ট্য: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, মাংস ও চামড়া উৎকৃষ্ট।


ওজন: পুরুষ ২০-৩০ কেজি, মাদী ১৫-২৫ কেজি।


লাভ: কম খরচে দ্রুত বাজারজাত করা যায়।


2️⃣ জামুনাপারি (Jamunapari)


বৈশিষ্ট্য: লম্বা পা, দুধ ও মাংস উভয়ের জন্য ভালো।


ওজন: পুরুষ ৫০-৯০ কেজি, মাদী ৩৫-৬০ কেজি।


লাভ: উচ্চমূল্যের ব্রিড, বিদেশে রপ্তানির সুযোগ।


3️⃣ বিটাল (Beetal)


বৈশিষ্ট্য: বড় আকার, দুধ উৎপাদন ভালো।


ওজন: পুরুষ ৫০-৮০ কেজি, মাদী ৩৫-৬০ কেজি।


লাভ: স্থানীয় চাহিদা বেশি, দাম ভালো।


4️⃣ বারবাড়ি (Barbari)


বৈশিষ্ট্য: ছোট আকার, দ্রুত বেড়ে ওঠে।


ওজন: পুরুষ ৩৫-৫০ কেজি, মাদী ২৫-৩৫ কেজি।


লাভ: শহুরে বাজারে জনপ্রিয়।


5️⃣ বোয়ার (Boer - বাংলাদেশে এখন চাষ হচ্ছে!)


বৈশিষ্ট্য: দক্ষিণ আফ্রিকান এই জাত দ্রুত বাড়ে, মাংসের জন্য সেরা।


ওজন: পুরুষ ৯০-১৩৫ কেজি, মাদী ৭০-১০০ কেজি।


লাভ: উচ্চ মাংস উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামারের জন্য আদর্শ।


✅ ছাগল পালনের লাভ

কম জায়গায় বেশি লাভ: গরু/মুরগির তুলনায় কম জায়গা লাগে।


দ্রুত রিটার্ন: ৬-১২ মাসেই বিক্রি করা যায়।


বহুমুখী আয়: মাংস, দুধ, চামড়া ও বাচ্চা বিক্রি।


⚠️ সতর্কতা

জাত বাছাই করুন স্থানীয় জলবায়ু অনুযায়ী।


বোয়ার ছাগল পালনে বিশেষ যত্ন নিন: উন্নত খাদ্য ও বাসস্থান ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।


খাদ্য ও চিকিৎসার খরচ আগেই হিসাব করুন।


📢 আপনার এলাকায় কোন জাতটি ভালো হবে? কমেন্টে জানান, আমরা সাহায্য করব!

🔄 শেয়ার করুন যারা ছাগল পালনে আগ্রহী তাদের সাথে!


#ছাগল_পালন #লাভজনক_খামার #গোঠাল_পরিচালনা #বোয়ার_ছাগল


🎯 এই পোস্টটি কেন শেয়ার করবেন?


ছাগল পালন শুরু করতে চান এমন নতুন খামারিদের সাহায্য হবে।


বাংলাদেশে বোয়ার ছাগল পালনের আধুনিক তথ্য পাবেন।


স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সঠিক জাত বেছে নেওয়ার গাইডলাইন পাবেন।


👉 নিজের খামার শুরু করার আগে একজন ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন!

অনুপ্রেরণা.... 

 অনুপ্রেরণা.... 


জীবন পরিবর্তন ১৮ ঘন্টা বা ১৮দিন কিংবা ১৮ মাসে হয় না। ১৮ বছর লাগে।  তাই শর্টকাট ভুলে শোভার আত্মজীবনীটা পড়ে দেখুন, চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না।

আপনি অন্তত এর থেকে ভালো থাকলে আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলুন।

অদম্য মেধাবী মুখ 

ঠিকানাহীন মেয়েটার ঠিকানা হলো বুয়েটে 


আমি মায়ের গর্ভে থাকতেই বাবা মারা যান। ফলে জন্মের পরপরই লোকের কাছে ‘অপয়া’ ছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন মা মামার বাড়ি গেলেন। আমার দিদিমাও মারা গিয়েছিলেন। পরে দাদু দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যে কারণে মামাবাড়িতেও এক ধরনের আগন্তুকের মতো ছিলাম। স্থানীয় একটা স্কুলে দপ্তরির কাজ করতেন মা। তত দিনে আমি অ আ ক খ শিখে ফেলেছি। সেই সময়কার একটা ঘটনা মনে আছে। একটা জামা বা কী যেন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরেছিলাম। মায়ের হাতে পয়সা নেই। পরে ঘরের মুরগির ডিম বিক্রি করে সেটা কিনে দিয়েছিলেন। এটা জানতে পেরে মামা রাগ করে আমাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছিলেন। একটা পোঁটলা আর আমাকে নিয়ে মা বাড়ি ছাড়লেন। বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি। মায়ের চোখে জল। কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা যে আমাদের নেই!


দিদিমার নিজের চলাই দায়


উপায়ান্তর না দেখে মা তখন তাঁর পিসির বাড়িতে গেলেন। কিন্তু তাঁদের সংসারেও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দুই-তিন মাস পর মায়ের একটা কাজ জুটল। কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ। সেই বাড়িতে রান্নাঘরের পাশে ছোট্ট একটা রুমে আমরা থাকতাম। সেখানে বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন বাড়িওয়ালা বললেন, ‘কাজ করে একজন। খায় দুজন। তোমার মেয়েকে কেন রাখব?’ এক পর্যায়ে সেই বাসাও ছাড়তে হলো।


কিন্তু কোথায় যাবে মা?


অনন্যোপায় হয়ে আবার গন্তব্য মামাবাড়ি। অনুনয়-বিনয়ের পর মামার দয়া হলো। সেখানে একটা স্কুলে ক্লাস ফোরে ভর্তি হলাম। তত দিনে কোনো কাজ জোগাড় করতে পারেননি মা। ফলে মাস দুয়েক পর আবার মামার বাড়ি ছাড়তে হলো। এবারও শেষ ঠিকানা মায়ের সেই পিসির বাড়ি। পরে মা সেই বাড়িতে আমাকে রেখে কুমিল্লা চলে গেলেন। এক বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ পেলেন। মা যে বাসায় কাজ করতেন বছরখানেক পর তারাও অন্যত্র চলে যায়। ফলে মা আবার গ্রামে ফেরেন।


আবার বিয়ের পিঁড়িতে


তখন অবস্থা এমন যে মামার বাড়িতেও আমাদের ঠাঁই নেই, দিদিমণির বাড়িতেও থাকার উপায় নেই। এদিকে আমি বড় হচ্ছি। মা-মেয়ের স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। ফলে প্রতিবেশীরা চাচ্ছিল মাকে আবার বিয়ে দিতে। কিন্তু মা রাজি ছিলেন না। অনেকে বোঝানোর পর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবেই রাজি হলেন। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। বিয়ের পর কুমিল্লা থেকে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চলে আসি। সেখানে আদর্শ কিন্ডারগার্টেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। পিএসসি পাসের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভর্নমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। কয়েক শ শিক্ষার্থীর মধ্যে আমিসহ মাত্র ১২০ জন ভর্তির সুযোগ পেল। স্কুলের কাছেই ছিল নিউ অক্সফোর্ড কোচিং সেন্টার। সেখানে দিদার স্যার এবং পার্থ স্যার অল্প টাকায় আমার পড়ার ব্যবস্থা করলেন। স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অষ্টম হয়েছিলাম!

বাবা ছিলেন উদাসীন


তাঁর সহায়-সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। চায়ের দোকানে কাজ করতেন। একদিন কাজ করলে দুই দিন বসে থাকতেন। ছোট্ট এক রুমের ভাড়া বাসায় উঠিয়েছিলেন আমাদের। ঠিকমতো চাল-ডাল আনতেন না। ঘরভাড়াও বাকি পড়ত। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়াঝাঁটি হতো। একটু উচ্চবাচ্য করলেই মায়ের ওপর চলত নির্যাতন। পড়ার টেবিলে বসে আমি কাঁদছি। চোখের জলে বইয়ের পাতা ভিজে গেছে কত দিন! খাবারদাবার বা অন্য কোনো কিছুর জন্য নয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু প্রার্থনা করতাম, আমাকে এমন একটা পরিবেশ দাও যেন একটু পড়তে পারি। জীবনে আর কিছুই চাই না। শুধু পড়াশোনা করতে চাই!


টিউশনি শুরু করলাম


তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম। খাবার, পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে সব কিছু মাকেই জোগাড় করতে হতো। স্থানীয় একটা কারখানায় আচার, চকোলেট ইত্যাদির প্যাকেট বানাতেন মা। আচারের এক হাজার প্যাকেট বানালে ৩০ টাকা পেতেন। আমি এলাকার কয়েকটা বাচ্চাকে পড়ানো শুরু করলাম। সপ্তাহে সাত দিন।

মাসে একেকজনের কাছ থেকে ৫০-১০০ টাকা করে পেতাম।


জীবনে কোনো দিন অপচয় করেছি বলে মনে পড়ে না। যতটুকু লাগত তার চেয়ে কম বৈ বেশি চাইনি। দিন দিন পড়াশোনার খরচ বাড়ছিল। আমাদের এমন করুণ অবস্থার কথা স্কুলে তখনো জানত না। স্কুলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েরা পড়ে। সব সময় মনে হতো তারা জানলে কী ভাববে।


চোখের জল ফুরাত না


জেএসসি পরীক্ষার রাতগুলোও খুব কষ্টের ছিল। বাবা প্রায়ই এসে ঝগড়া করতেন। রাতে ঘুমাতে যেতাম কাঁদতে কাঁদতে। সকালে উঠে কোনো মতে পরীক্ষার হলে যেতাম। এসবের মধ্যেও পড়তে চেষ্টা করতাম। জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেলাম। বৃত্তিও পেলাম। নবম শ্রেণিতে চেয়েছিলাম কমার্সে পড়তে। কারণ বিজ্ঞানে পড়ার খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই। পরে স্যাররা পাশে দাঁড়ালেন। বললেন, তুমি বিজ্ঞানেই পড়বে। নবম ও দশম শ্রেণিতে ক্লাসে প্রথম হয়েছিলাম।


ভেবেছিলাম আর হবে না


ক্লাস নাইনে ওঠার পর ভেবেছিলাম, আর পড়াশোনা করব না। এমন পরিস্থিতি কত সহ্য করা যায়? আগে তো বাঁচতে হবে। একদিন বইপত্র সব বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেছি। মাকে বললাম—চলো, যাই। কিন্তু প্রতিবেশীরা তখন বুঝিয়েছে। কোচিং সেন্টারের স্যাররাও বলেছেন, কষ্টসৃষ্টে এই স্কুল থেকেই এসএসসি শেষ করো। ফলে আবারও সৎবাবার ঘরে ফিরে গেলাম।

দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন খবর পেলাম, আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে একটা বৃত্তি এসেছে। ক্লাসে দাঁড়িয়ে ম্যাডামকে বললাম, বৃত্তিটা পেলে খুব উপকার হবে। বৃত্তিটা পেলাম। এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস এবং বৃত্তি পেয়েছি। এসএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাবা ঘর থেকে বের করে দেন। রাতভর কিছুই পড়তে পারিনি। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮ নম্বর পেয়েছিলাম। এসএসসিতে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও উচ্চতর গণিতে আমার গড় নম্বর ছিল ৯৮.৯১।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনও একই ঘটনা ঘটল। তখনো ভেবেছিলাম, আর নয়। কোচিং সেন্টারের স্যাররা আবার বোঝালেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম। তখন একটা বেসরকারি ট্রাস্ট থেকে অদম্য মেধাবী হিসেবে বৃত্তি পেলাম।


অবশেষে ঘর ছাড়লাম


এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে শহরে একটা মেসে উঠলাম। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কেন্দ্রবিন্দু একাডেমিক কেয়ারে বিনা পয়সায় কোচিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। তারা বৃত্তি দিত। টিউশনি করতাম। অপুষ্টি, ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ফলে মা তত দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিডনি, মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ নানা রকম জটিলতায় ভুগছিলেন। নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি মাসে আড়াই হাজার টাকার মতো মায়ের চিকিৎসার পেছনে খরচ হতো। এসবের মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা হলো।


এবার ভর্তিযুদ্ধে

এইচএসসি পরীক্ষার আগে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন একটা পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। সেখানে নির্বাচিত হয়ে বিনা মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ও হোস্টেলে থাকার সুযোগ পেলাম। সেই থেকে ঢাকায় হোস্টেল জীবন। এর মধ্যে ঈদ আসে, পূজা আসে। সবাই নিজ নিজ বাড়ি যায়। কিন্তু আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই! মন খারাপ হতো। কিন্তু আবার নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আমাকে হতেই হবে।

মা তখনো কাঁদছিলেন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফরম পূরণ, যাতায়াতসহ সব খরচ দিয়েছিল মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তারা মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। যাহোক বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বুটেক্সসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। সব কটিতে মেধাতালিকায় প্রথম দিকে আছি। ২৫ নভেম্বর বুয়েটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হলো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। খবরটা জেনে সবার আগে মাকে ফোন করেছি। মুঠোফোনের অন্য প্রান্তে মা তখনো কাঁদছিলেন। তবে এ কান্না আনন্দের!


আমার জীবন একটা কষ্টের সাগর


প্রতিমা রানী দাশ শোভার মা

বাচ্চাটারে নিয়ে অনেক কষ্ট করছি। কোনো মতে ডাইল-ভাত খাইয়া বাচ্চাটারে দাঁড় করাইচি। ম্যালা জায়গায় কাজ করচি। বাবারে তোমারে কী কমু, মালিকেরা তো বেশি ভালা না। মাইয়া মানুষ কোন জায়গায় নিরাপদ? পরে বিয়া কইরা যার কাছে আইছি হেও কষ্ট দিছে। তাও ভাবছি, যতই কষ্ট হউক শোভারে পড়ামু। বাচ্চাটা টিফিন খাইব। দিমু যে দুইডা টাকা, হেই সামর্থ্য আছিল না। আমার জীবনটা একটা কষ্টের সাগর। আমি তো কষ্ট পাইছি। শোভাও প্রচুর কষ্ট পাইছে। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাইনসের ঋণ শোধ করতে পারুম না।


সূত্র: কালের কণ্ঠ(২০২০)

পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে চলছে ভয়ংকর মিডিয়া ট্রাইল ও চাঁদাবাজি এবং প্রতারনা !,,,, পটুয়াখালীর খবর ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে চলছে ভয়ংকর মিডিয়া ট্রাইল ও চাঁদাবাজি এবং প্রতারনা !

এই দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হচ্ছে মেহেদী।

যে ভূগোল মেহেদী নামে পরিচিত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একদফা আন্দোলনে পটুয়াখালী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ও ঝাউতলার ফোর লেনে  ছাত্র জনতার উপর রামদা হকিস্টিক লাঠি নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। 

সেই সকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

তাদের প্রটোকল ও ভিডিও ধারন করে প্রচারের দায়িত্বে ছিল ছামাদ আরিফ ও তার সহযোগীরা।


তাদের আরেক সদস্য রায়হান 

'পটুয়াখালীবাসী' নামে একটি ফেইসবুক নাম সর্বস্ব সংগঠন খুলে দুস্থ অসহায় ব্যাক্তি দের বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার কথা বলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফোন কল করে রায়হান ইমোশনাল কথাবার্তা বলে পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

 মূলত রায়হান সামাজিক সংগঠনের নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা সংগ্রহ করে,

 সেই সমস্ত  টাকা আব্দুস সালাম আরিফ ও রায়হান এবং গোপাল হাওলাদার আত্মসাত করে আসছে।

রায়হান একজন মোবাইল দোকানের কর্মচারী হয়েও পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামেও চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা।

 তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপন দেখলে মনে হবে  কোটিপতি ব্যবসায়ী কিন্তু তাদের নেই কোন ধরনের বৈধ ইনকাম।


 এখানেই শেষ নয় এর বাইরেও সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে  পক্ষ বিপক্ষে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন ও সাংবাদিকতার নামে দলবেঁধে ভাড়ায় গিয়ে হুমকি ধামকি এবং পক্ষে বিপক্ষে নিউজ প্রকাশ করে অর্থ আদায় করাই এই সকল ভূয়া সাংবাদিকের একমাত্র পেশা।

 

তারা সকলেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার কারনে বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রাইল পরিচালনার দায়িত্বে আছে এরা।

সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমপক্ষে ১৫ থেকে২০ জনের একটি সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ দল রয়েছে এই কাজে। 

তারা কথিত হলুদ সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফ নির্দেশনায় ও পরিচালনায় মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল বহর নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চষে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালীর শহরের বিভিন্ন এলাকা। 

এই ভয়ংকর মিডিয়া প্রতারকরা অপকর্ম চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে জনতার হাতে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়ে,

 তবে তাদের দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক ছামাদ আরিফ তাদেরকে অদৃশ্য কোন শক্তির মাধ্যমে তাদেরকে বার বার রক্ষা করে আসছে। 

এদের দৌরাত্ম্যে এখন জেলা থেকে থানা ও গ্ৰাম পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। 


কেউ এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা জমি দখল করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সাংবাদ করা হবে, এমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। 

 তাদের দলের আরেক ভূয়া সাংবাদিক গোপাল হাওলাদার

তার বাড়ি মির্জাগঞ্জে, বর্তমানে সবুজবাগ এলাকার সে একজন ভাড়াটিয়া টোকাই। 

এই গোপাল হাওলাদার ভূয়া সাংবাদিক ছামাদ আরিফকে বাবা বলে ডাকে এবং ছামাদ আরিফের খুঁটির জোরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেই। 


এদের বিরুদ্ধে

 "পটুয়াখালীতে চাঁদাবাজ ক্লাবের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে" 

এমন একটি পোষ্টে, 

 তোদের নামে মাদক ও জমি দখলের নিউজ হবে অপেক্ষা কর"  

 কমেন্টে এমন হুমকি-ধামকি দিতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত।


পটুয়াখালীতে ক্ষমতাবান ও অবৈধ অর্থের মালিক যারা রয়েছেন তাদের কাছ  থেকে অর্থের বিনিময়ে সমাজে তাদের মানবতার ফেরিওয়ালা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাদের বিপক্ষের লোকজনকে মিডিয়া ট্রাইল করে মানহানি করে আসছে এই ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার এবং রায়হানরা। 


বিগত দিনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য থাকলেও বর্তমানে কখনো জামায়াতে ইসলামী আবার কখনো বিএনপি বেশে  আবার কখনো গনঅধিকার পরিষদের নেতা বলে নিজেদের দাবি করে আসছিলো।


তবে নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগের এই সদস্যদের আসল চরিত্র কোনটা..?

 সেটা বুঝাতে পারা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষে।

ইতিমধ্যেই আব্দুস সালাম আরিফ, রায়হান, গোপাল হাওলাদার বিগত সময়ের আওয়ামী ছাত্রলীগের সাথে সম্পর্কিত সকল নিউজ ডিলিট করে দিয়ে নতুন রুপে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের ম্যানেজ করতে তারা সদা তৎপর রয়েছে।

'তারা  হচ্ছে বর্তমানে পটুয়াখালীর ভয়ংকর সাংবাদিক!

 বিগত ও বর্তমান সময়ে যারা পটুয়াখালীতে দুর্নীতি অপকর্ম করেছে তাদের সম্পর্কে জনগন অবগত থাকলেও ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার ও রায়হানরা দালালির মাধ্যমে উল্টো  তাদের দুর্নীতি অপকর্ম ঢেকে তাদের সাদা করার চেষ্টায় থাকেন টাকার বিনিময়ে। 


তারা এক একজন ডিজিটাল দালাল ও চাঁদাবাজ এবং প্রতারক। 


তাদের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী গডফাদারা পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক নেতাদের তেল মেরে ক্ষমতাবানদের ম্যানেজ ও তাদের দোহাই দিয়ে চলছে তাদের চাঁদাবাজি ও তদবির বানিজ্যে। 


মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন সম্মানীত ব্যাক্তিদের চরিত্র হরন করে আসছে বিগত দিন থেকেই।

এদের বিশাল নেটওয়ার্কের কাছে অসহায় আজ পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ। 


এদের থেকে মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সচেতন সমাজ।


পটুয়াখালীর ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিক নামধারী  এই সকল চাঁদাবাজ, প্রতারক এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে  মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ।


বিগত বছরগুলোতে এদের সাথে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের সাথে সম্পৃক্ততা এবং ঘনিষ্ঠতার অসংখ্য ছবি থেকে কিছু ছবি পোষ্টে ও কমেন্টে তুলে ধরা হলো। 


তাছাড়া নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখতে পাবেন এদের নিয়ে আগের একটি রিপোর্ট। 

দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন https://www.facebook.com/share/p/16JDkmGMh8/

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...