পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে চলছে ভয়ংকর মিডিয়া ট্রাইল ও চাঁদাবাজি এবং প্রতারনা !
এই দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হচ্ছে মেহেদী।
যে ভূগোল মেহেদী নামে পরিচিত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একদফা আন্দোলনে পটুয়াখালী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ও ঝাউতলার ফোর লেনে ছাত্র জনতার উপর রামদা হকিস্টিক লাঠি নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়।
সেই সকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
তাদের প্রটোকল ও ভিডিও ধারন করে প্রচারের দায়িত্বে ছিল ছামাদ আরিফ ও তার সহযোগীরা।
তাদের আরেক সদস্য রায়হান
'পটুয়াখালীবাসী' নামে একটি ফেইসবুক নাম সর্বস্ব সংগঠন খুলে দুস্থ অসহায় ব্যাক্তি দের বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার কথা বলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফোন কল করে রায়হান ইমোশনাল কথাবার্তা বলে পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
মূলত রায়হান সামাজিক সংগঠনের নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা সংগ্রহ করে,
সেই সমস্ত টাকা আব্দুস সালাম আরিফ ও রায়হান এবং গোপাল হাওলাদার আত্মসাত করে আসছে।
রায়হান একজন মোবাইল দোকানের কর্মচারী হয়েও পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামেও চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা।
তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপন দেখলে মনে হবে কোটিপতি ব্যবসায়ী কিন্তু তাদের নেই কোন ধরনের বৈধ ইনকাম।
এখানেই শেষ নয় এর বাইরেও সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে পক্ষ বিপক্ষে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন ও সাংবাদিকতার নামে দলবেঁধে ভাড়ায় গিয়ে হুমকি ধামকি এবং পক্ষে বিপক্ষে নিউজ প্রকাশ করে অর্থ আদায় করাই এই সকল ভূয়া সাংবাদিকের একমাত্র পেশা।
তারা সকলেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার কারনে বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রাইল পরিচালনার দায়িত্বে আছে এরা।
সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমপক্ষে ১৫ থেকে২০ জনের একটি সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ দল রয়েছে এই কাজে।
তারা কথিত হলুদ সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফ নির্দেশনায় ও পরিচালনায় মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল বহর নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চষে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালীর শহরের বিভিন্ন এলাকা।
এই ভয়ংকর মিডিয়া প্রতারকরা অপকর্ম চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে জনতার হাতে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়ে,
তবে তাদের দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক ছামাদ আরিফ তাদেরকে অদৃশ্য কোন শক্তির মাধ্যমে তাদেরকে বার বার রক্ষা করে আসছে।
এদের দৌরাত্ম্যে এখন জেলা থেকে থানা ও গ্ৰাম পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
কেউ এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা জমি দখল করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সাংবাদ করা হবে, এমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
তাদের দলের আরেক ভূয়া সাংবাদিক গোপাল হাওলাদার
তার বাড়ি মির্জাগঞ্জে, বর্তমানে সবুজবাগ এলাকার সে একজন ভাড়াটিয়া টোকাই।
এই গোপাল হাওলাদার ভূয়া সাংবাদিক ছামাদ আরিফকে বাবা বলে ডাকে এবং ছামাদ আরিফের খুঁটির জোরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেই।
এদের বিরুদ্ধে
"পটুয়াখালীতে চাঁদাবাজ ক্লাবের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে"
এমন একটি পোষ্টে,
তোদের নামে মাদক ও জমি দখলের নিউজ হবে অপেক্ষা কর"
কমেন্টে এমন হুমকি-ধামকি দিতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত।
পটুয়াখালীতে ক্ষমতাবান ও অবৈধ অর্থের মালিক যারা রয়েছেন তাদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে সমাজে তাদের মানবতার ফেরিওয়ালা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাদের বিপক্ষের লোকজনকে মিডিয়া ট্রাইল করে মানহানি করে আসছে এই ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার এবং রায়হানরা।
বিগত দিনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য থাকলেও বর্তমানে কখনো জামায়াতে ইসলামী আবার কখনো বিএনপি বেশে আবার কখনো গনঅধিকার পরিষদের নেতা বলে নিজেদের দাবি করে আসছিলো।
তবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই সদস্যদের আসল চরিত্র কোনটা..?
সেটা বুঝাতে পারা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষে।
ইতিমধ্যেই আব্দুস সালাম আরিফ, রায়হান, গোপাল হাওলাদার বিগত সময়ের আওয়ামী ছাত্রলীগের সাথে সম্পর্কিত সকল নিউজ ডিলিট করে দিয়ে নতুন রুপে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের ম্যানেজ করতে তারা সদা তৎপর রয়েছে।
'তারা হচ্ছে বর্তমানে পটুয়াখালীর ভয়ংকর সাংবাদিক!
বিগত ও বর্তমান সময়ে যারা পটুয়াখালীতে দুর্নীতি অপকর্ম করেছে তাদের সম্পর্কে জনগন অবগত থাকলেও ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার ও রায়হানরা দালালির মাধ্যমে উল্টো তাদের দুর্নীতি অপকর্ম ঢেকে তাদের সাদা করার চেষ্টায় থাকেন টাকার বিনিময়ে।
তারা এক একজন ডিজিটাল দালাল ও চাঁদাবাজ এবং প্রতারক।
তাদের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী গডফাদারা পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক নেতাদের তেল মেরে ক্ষমতাবানদের ম্যানেজ ও তাদের দোহাই দিয়ে চলছে তাদের চাঁদাবাজি ও তদবির বানিজ্যে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন সম্মানীত ব্যাক্তিদের চরিত্র হরন করে আসছে বিগত দিন থেকেই।
এদের বিশাল নেটওয়ার্কের কাছে অসহায় আজ পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ।
এদের থেকে মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সচেতন সমাজ।
পটুয়াখালীর ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিক নামধারী এই সকল চাঁদাবাজ, প্রতারক এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ।
বিগত বছরগুলোতে এদের সাথে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের সাথে সম্পৃক্ততা এবং ঘনিষ্ঠতার অসংখ্য ছবি থেকে কিছু ছবি পোষ্টে ও কমেন্টে তুলে ধরা হলো।
তাছাড়া নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখতে পাবেন এদের নিয়ে আগের একটি রিপোর্ট।
দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন https://www.facebook.com/share/p/16JDkmGMh8/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন