এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:৩১-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:৩১-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু - সংসদে ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে  অহিংস ও  গঠনমূলক কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি।


ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত  - দ্বাদশ  সংসদে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।


দেশে চিকিৎসা ও প্রাণ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের জন্য  বিশ্বমানের জাতীয় বায়োব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব আরোপ।


টিআইবি’র দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, এ অপবাদের পরোয়া করে না সরকার - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবৃতি কোনো খবর নয়, বিজ্ঞাপন - মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি বাড়ীতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত। 


আজ ব্লুমফন্টেইনে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্বের খেলায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোং ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোং ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।


ইতিমধ্যে এমআরটি লাইন -৬ এর দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। 


[১] এম আর টি লাইন-১

----------------------------

দৈর্ঘ্য : ২৬.৬ কি. মি. রুট : হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর - খিলক্ষেত -কুড়িল- যমুনা ফিউচার পার্ক- বাড্ডা -রামপুরা -মালিবাগ- রাজারবাগ- কমলাপুর এবং কুড়িল হতে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত। নগর এলাকাতে বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে যাবে। 


[২] এম আর টি লাইন-২

___________________

ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল (মাস র্যাপিড ট্রানজিট -এমআরটি লাইন- ২) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাপান সরকারের সহযোগিতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেটপার্টনারশিপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় এটি নির্মাণ করা হবে। 


[৩] এমআরটি লাইন -৩ 

-----------------------------

নামে যে প্রকল্প সেটি গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ হবে। এটিকে বলা হচ্ছে মেট্রোরেল বিআরটি। এর নির্মাণ এখন চলছে। মেট্রোরেল নিয়ে সরকারের এই পরিকল্পনার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত জানান বুয়েটের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল ইসলাম।


[৪] এমআরটি লাইন-৪ 

_______________

২০৩০ সালের মধ্যে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


[৫] এম আর টি লাইন-৫

________________

দৈর্ঘ্য : ১৯.৬ কি. মি. রুট : হেমায়েতপুর- গাবতলি-টেকনিক্যাল-মিরপুর ১- মিরপুর ১০- মিরপুর ১৪- কচুক্ষেত- বনানী-গুলশান২- নতুন বাজার-ভাটারা।


[৬] এমআরটি লাইন-৬ 

-------------------------------

ঢাকা মেট্রো লাইন ৬ হল ঢাকা মেট্রো রেলের একটি রেলপথ। উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের এই রুটের দূরত্ব ২০.১ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট। ১৬টি স্থানে স্টেশন থাকবে।



অনু গল্প বাবার ঋণ আজ টুইটার থেকে নেওয়া

 বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো”।বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) “একটা গল্প শুনবি?”ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-“বলো বাবা শুনবো……”তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখোনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর ‘মা কে ‘সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো।

সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়েগেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মা কেও না।
একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি ল্যাপটপ এর জন্য। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে ল্যাপটপ টা কিনে দিয়েছিলাম। আমার তখনকার এক টাকা তোর এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্র্যান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন সুগার মাপাই । জানিস আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে তাঁত মেলায় ঘুরে বেড়াই।
বাবারা নাকি “খাড়ুশ টাইপের” হয় । আমিও আমার বাবাকে তাই ভাবতাম । পুরুষ থেকে পিতা হতে আমার কোনো কষ্ট হয়নি, সব কষ্ট তোর মা সহ্য করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর পিতা থেকে দ্বায়িত্বশীল পিতা হবার কষ্ট একজন পিতাই বোঝে। যুগে যুগে সর্বস্থানে মাতৃবন্দনাহলেও পিতৃবন্দনা কোথাও দেখেছিস ?
পিতৃবন্দনা আমি আশাও করি না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না,তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না। আমি তোর পেছনে আমার যে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যায় করেছি তা হয়তো তুই তিন বছরে শোধ দিতে পারবি…কিন্তু যৌবনে দেখা আমার স্বপ্ন গুলো ?
যে স্বপ্নের কাঠামোতে দাঁড়িয়ে তুই আজ তোর ঋণশোধের কথা বলছিস.সেই স্বপ্ন গুলো কি আর কোনোদিন বাস্তব রুপ পাবে ?আর যদি বলিস বাবা আমি তোমার টাকা না তোমার ভালোবাসা তোমায় ফিরিয়ে দেব, তাহলে বলবো বাবাদের ভালোবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি, ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো….যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই।
কাকে বাঁচাবি ?( ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা! )উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!আমি শুধু আল্লাহর কাছে একটা জিনিস চাই।আমার শেষ যাত্রায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি –তোকে কোলে নেবার ঋণ ।


২০২৩ সালে মহাকাশে মানুষের চমকপ্রদ যত কর্মকাণ্ড,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ***২০২৩ সালে মহাকাশে মানুষের চমকপ্রদ যত কর্মকাণ্ড***


**বিজ্ঞান এবং মহাকাশ ভ্রমণের জগতে ২০২৩ সালে ঘটেছে কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা। ঘটনাগুলো যেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর উপন্যাস থেকে উঠে এসেছে।**


দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ সালের মহাকাশের সবচেয়ে নজরকাড়া কয়েকটি মুহূর্ত।


**মহাকাশে পর্যটন**


শখের তোলা আশি টাকা। তবে আপনার শখ যদি হয় মহাকাশ ভ্রমণ? সামর্থ্য থাকলেও সেটি পূরণ করা কয়েক বছর আগেও ছিল অসম্ভব।


কিন্তু আমরা এখন এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি, যেখানে কারও সামর্থ্য থাকলেই তিনি মহাকাশে ভ্রমণ করতে পারবেন। মূলত ২০২৩ সালের মে থেকে অ্যাক্সিয়ম-২ এর হাত ধরে মহাকাশ পর্যটন শুরু হয়। সেবার নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন এবং তিনজন গ্রাহক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করেন। তবে অনুরূপ ভ্রমণের জন্য প্রতি আসনের জন্য খরচ পড়বে ৫৫ মিলিয়ন ডলার।


অন্যদিকে, ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন মহাকাশ পর্যটনের জন্য ভার্জিন গ্যালাকটিক নামে আরেকটি উদ্যোগ চালু করেছেন। ২০২৩ সালে ভার্জিন গ্যালাকটিক সাব-অরবিটাল রকেট-চালিত মহাকাশ বিমানের মাধ্যমে মহাকাশের প্রান্তে ছয়টি ভ্রমণ করেছে। এখানে প্রতি আসনের জন্য যাত্রীদের খরচ করতে হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।


এদিকে, জেফ বেজোসের মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ব্লু অরিজিনও ২০২৩ সালে তাদের সাব-অরবিটাল রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে।


**মহাকাশে নভোচারীর এক বছর**


নাসার মহাকাশচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও'র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস কাটানোর কথা ছিল। কক্ষপথে যাতায়াতের জন্য তিনি রাশিয়ান সয়ুজ মহাকাশযানে ছিলেন। তবে মহাকাশযানটির একটি কুল্যান্ট ফুটো হয়ে গেলে রাশিয়াকে আরেকটি যান পাঠাতে হয়। যার কারণে রুবিও'র ফিরে আসতে ছয় মাস বিলম্বিত হয়। ৩৭১ দিন মহাকাশে কাটানোর পর অবশেষে সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে পা রাখেন তিনি। যা তাকে এনে দেয় মার্কিন নভোচারীদের মধ্যে মহাকাশে একটানা সর্বোচ্চ সময় কাটানোর রেকর্ড।


তবে রুবিওকে নিয়ে একটি হালকা কেলেঙ্কারির ঘটনাও ঘটে গেছে। কক্ষপথে জন্মানো প্রথম টমেটোগুলোর মধ্যে একটি হারিয়ে গেলে, তিনি সেটি ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেছিলেন বলে অনেকে সন্দেহ করেন। মূল্যবান এই সম্পদটি যদিও পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া গেছে। তখন অবশ্য তাকে এ অভিযোগ অব্যাহতি দেওয়া হয়।


**স্পেসএক্সের মার্স রকেট বিস্ফোরণ**


এ বছর এখন পর্যন্ত নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স। তবে দুই বারের প্রচেষ্টা বিফলে গেছে এবং রকেটগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে।


প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে মানুষ নেওয়ার জন্য স্টারশিপ নামে একটি রকেট এবং মহাকাশযান সিস্টেম চালু করেছে স্পেসএক্স। এপ্রিলে প্রথম প্রচেষ্টায় রকেটটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করলে স্পেসএক্স এটিকে ধ্বংস করতে বাধ্য হয়। নভেম্বরে দ্বিতীয় প্রয়াসে যানটি আরও অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু মহাকাশযান ও রকেট বুস্টার উভয়ই শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়।


তবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের দুর্ঘটনাগুলো যে স্পেসএক্সের জন্য বড় ধরনের কোনো বিপত্তি নিয়ে এসেছে এমনটি নয়। কেননা প্রতিষ্ঠানটি রকেট উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে এরকম ব্যর্থতা আলিঙ্গনের জন্য আগে থেকেই পরিচিত।


২০২৫ সালের মধ্যে স্পেসএক্স নাসার জন্য চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ইলন মাস্ক আশা করছেন ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষকে মঙ্গলে পৌঁছে দেবে স্টারশিপ।


**চাঁদে অবতরণের নতুন প্রতিযোগিতা**


চাঁদে অবতরণ নিয়ে আবার নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে এবারের অংশগ্রহণকারীরা সবাই রোবট।


প্রতিযোগিতাটি এপ্রিলে শুরু হয়, যখন আইস্পেস নামে জাপানের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রথম বাণিজ্যিক যান হাকুটো-আর ল্যান্ডার-কে চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত অবতরণে সময় সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। রাশিয়ার স্পেস এজেন্সিও (রসকসমস) আগস্টে তাদের লুনা-২৫ মিশনটি সফল করতে ব্যর্থ হয়।


তবে এর কিছুদিন পরই ২৩ আগস্ট ভারতের মহাকাশ সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করায়। চাঁদে মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণের ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ দেশ। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণকারী হিসেবে প্রথম দেশ হয়ে উঠে ভারত।


অপরদিকে, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সিও চাঁদে অবতরণের উদ্দেশ্যে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। যা আগামী বছরের শুরুর দিকে অবতরণ করবে।


**নাসা প্রকাশিত প্রথম ইউএফও রিপোর্ট**


অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা অধ্যয়নের জন্য নাসা একটি বিশেষজ্ঞের দল গঠন করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। দলটি মূলত আন-আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) নিয়ে অধ্যয়ন করছে। দলটি সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনে তাদের প্রথম ফলাফল প্রকাশ করেছে।


দলটি জানায়, অনেক বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রায়শই সামরিক পাইলটরা আকাশে এমন সব বস্তু দেখেছেন, যেগুলো তারা চিনতে পারেননি। যদিও বেশিরভাগ ঘটনার রহস্য সমাধান হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা পরিচিত মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা যায়নি।


তবে ঘটনাগুলো কোনো বুদ্ধিমান এলিয়েন ঘটিয়েছে, এরকম কোনো শক্ত প্রমাণও দলটি এখন পর্যন্ত পায়নি।


**আবার চাঁদে পা ফেলবে মানুষ**


পাঁচ দশক পর চার মহাকাশচারী আবার চাঁদের বুকে পা ফেলবে বলে জানিয়েছে নাসা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তারা আর্টেমিস ২ মুন মিশনটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে এবং নভোচারীদের বাছাই করে।


২০২৪ সালের নভেম্বরে এটি টেক-অফের জন্য প্রস্তুত হবে বলে জানানো হয়। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার পরের গন্তব্য হবে মঙ্গল গ্রহ। আর্টেমিস ২ মিশনের একটি লক্ষ্য হচ্ছে, চাঁদে একটি স্থায়ী ফাঁড়ি স্থাপন। যেখানে মহাকাশচারীরা থাকতে এবং কাজ করতে পারবেন। যা একসময় মঙ্গল গ্রহে ক্রু মিশনগুলোর পথ প্রশস্ত করবে।


**অসিরিস-রেক্সের বিশেষ ডেলিভারি**


২০২৩ সালে একটি মহাকাশযান পৃথিবীতে মহাকাশ থেকে গ্রহাণুর টুকরো নিয়ে আসে। যাতে থাকতে পারে সৌরজগতের লুকিয়ে থাকা চমকপ্রদ সব তথ্য।


নাসার অসিরিস-রেক্স ক্যাপসুল মহাকাশের গ্রহাণু থেকে পাথর, ধূলিকণাসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে থাকে। ২০২০ সালে বেন্নু নামক গ্রহাণু থেকে সফলভাবে একটি নমুনা সংগ্রহ করে ক্যাপসুলটি।


গত ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাপসুলটি উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি মহাজাগতিক ধাঁধায় ফেলে দেয়। ক্যাপসুলটির নিয়ে আসা সম্পদগুলো বিজ্ঞানীদের ধারণার বাইরে ছিল।


প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা যায়, ক্যাপসুলটির আনা শিলা এবং ধূলিকণাগুলোতে পানি এবং প্রচুর পরিমাণে কার্বন রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টির পেছনে গ্রহাণুগুলোর অবদান থাকতে পারে। এর বাইরেও নতুন অনেক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছে এই ক্যাপসুলটি। বিজ্ঞানীরা যেগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন।


পরিশেষে, মহাকাশ অনুসন্ধানে নাসা এবং মার্কিন সরকারের বাইরেও ভারত এবং চীনের মতো দেশগুলো থেকেও বিভিন্ন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত খাত থেকেও এই ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে। যার কারণে আমাদের সামনে আসছে আশ্চর্যজনক সব আবিষ্কার।


**তথ্যসূত্র: সিএনএন**


**গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি**

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

জেনে রাখুন বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্যঃ,,,, আজকের টুইটার থেকে নেওয়া

 জেনে রাখুন বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্যঃ

------------------------- প্রথম বার ১০০০ টাকা রিচার্জে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা। কারণঃ ১। মিটার পরীক্ষার সময় আপনাকে প্রথমেই ১০০ টাকা মিটারের সাথে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ১ বার ১০০ টাকা কাটবে। ২। ডিমান্ড চার্জ আগে প্রতি কিলো ওয়াট লোডের জন্য ছিল ২৫ টাকা এখন ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা। (প্রতি মাসে এক বার করে কাটবে) ৩। মিটার ভাড়া ৪০ টাকা। (প্রতি মাসে এক বার) ৪। সরকারি ভ্যাট আগেও ছিল ৫% এখনো ৫%। ৫। সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা। (প্রতি মাসে একবার) বিঃ দ্রঃ এই সব কারণে ডিজিটাল মিটার প্রথম ১০০০ টাকার কার্ড রিচার্জে ১০০০ টাকার স্থানে ৭৯২ টাকা দেখাবে, কিন্তু আপনি ঐ মাসেই যদি আবার ১০০০ টাকা রিচার্জ করেন তাহলে শুধু সরকারি ভ্যাট ৫% টাকা কাটার পর বাকি টাকা মিটারে রিচার্জ হবে। তাই ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নাই। স্থিতি জানতে আরও কিছু বিশেষ তথ্যঃ ১। আপনি কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা জানার জন্য ৮০০ চাপুন। ২। আপনার মিটারে কত টাকা জমা আছে তা জানতে ৮০১ চাপুন। ৩। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জানতে ৮১০ চাপুন। ৪। মিটার টি চালু অথবা বন্ধ করতে ৮৬৮ চাপুন। ৫। আপনার মিটারটি কত কিলোওয়ার্টের তা জানতে ৮৬৯ চাপুন। পোস্টটি প্রয়োজনীয় হলে শেয়ার করে টাইমলাইনে রাখতে পারেন।

Tittro Plus,,,,

 Tittro Plus


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি কি?


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি একটি স্পর্শক, পাকস্থলীয় ও শ্বাসরোধক ক্রিয়াসম্পন্ন অর্গানোফসফরাস এবং সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড কীটনাশকদ্বয়ের মিশ্রণে তৈরি একটি শক্তিশালী তরল কীটনাশক। এর প্রতি লিটারে ৫০০ গ্রাম ‘ক্লোরপাইরিফস’ এবং ৫০ গ্রাম ‘সাইপারমেথ্রিন’ সক্রিয় উপাদান আছে। এই মিশ্রিত উপাদান দু’টির নিজস্ব কার্যকারিতা এখানে সমন্বিতভাবে পাওয়া যায়।


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি কেন ব্যবহার করবেন?


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি একটি বহুমুখী ক্রিয়াসম্পন্ন তরল কীটনাশক।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসিতে দু’টি কীটনাশক এর কার্যকারিতা এখানে সমন্বিতভাবে পাওয়া যায় বলে অন্যান্য কীটনাশকের তুলনায় ইহা অনেক বেশি প্রজাতির পোকা দমন করে।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি বিভিন্ন ফসলের মাটির উপর ও নিচের ক্ষতিকর পোকা দমন করে।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি খুব অল্প মাত্রায় কার্যকর হতে পারে বিধায় খরচ কম পড়ে।


ফসলঃ আলু, তুলা, চা, বেগুন, শিম, টমেটো, আম


মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪

অনু গল্প এক রাতের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 --১ রাত কাটানো কতো টাকা নিবি। 


--বেশি না বাবু পাচশত টাকা হলেই যথেষ্ট আমার। বলুন কোথায় যেতে হবে আমাকে।


--এতো কম টাকায় দেহ ব‍্যবসা করিশ। আমার বিশ্বাসাসেই হচ্ছে না। 


--এই সব বাদ দিন না সাহেব। বলুন কোথায় যেতে হবে আমাকে। 


--চলে আমার বাসায় চল। আজকে পুরা বাসা ফাকা। 


--ঠিক আছে চলুন? 


--এর পরে মেয়েটি হাসিবের সঙ্গে পিছু পিছু যেতে থাকে। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পরে হাসিব মেয়েটিকে প্রশ্ন করে। 


হাসিব : তা শুনি তোর পরিবারে কে কে আছে। 


--এইতো আমার মা ছোট্ট একটি বোন আর আমি।  


হাসিব : কেনো তোর বাবা নেই। 


--আছে কিন্তু আমাদের সঙ্গে থাকেনা। অন‍্য একটি বিয়ে  করেছে ওখানে থাকে। 


হাসিব : এই পথে আসলি কেনো জানতে পারি কি আমি প্লিজজজ। 


--আগে মানুষের বাসায় কাজ করতাম। কিন্তু এতে যা টাকা আসতো সেটা দিয়ে ভালো করে খাইতে পারতাম না। তাতেই আবার মা অসুস্থ হয়ে গেলো। এর পরে কি আর করার বাদ্ধ হয়েই এই পথে আসা। 


হাসিব : তুই অনেক সুন্দর। 


--কি যে বলেন সাহেব আপনি। 


হাসিব : আচ্ছা যদি তোকে কেউ বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার করবি। 


--এই ব‍্য*শাকে বিয়েটা করবে কে শুনি। তা ছারা বিয়ে করলেও আমার কিছু সর্ত আছে যা মানে পারবেনা কখনো।


হাসিব : কী কী শর্ত। 


--প্রথম সর্ত আমার মায়ের চিকিৎসা করতে হবে। ২য় সর্ত আমার বোনকে পরাশুনা করাতে হবে। ৩য় শর্ত এক সঙ্গে সবাকে থাকার অনুমতি দিতে হবে। যদি কখনো কোন পুরুষ এই সব মেনে আমাকে বিয়ে করে তাহলে আমি রাজি।


হাসিব : তাইইইই। ( আচ্ছা তোর নামটা তো জানা হলোনা)


--আমার নাম ঝুমুর। 


হাসিব : বা খুব সুন্দর নাম দেখি তোর.? তা ঝুমুর আমাকে বিয়ে করবে। 


ঝুমুর : ফাজলামি করিয়েন না সাহেব চলুন তারা তারি আপনার বাসায়। 


হাসিব : ফাজলামি না। আমি সত্যি বলতেছি। 


ঝুমুর : এটা কখনো সম্ভব না। 


হাসিব : জানিস আমি না তোর মতো সুন্দর একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু হঠাৎ সে আমাকে ধোকা দিয়ে চলে যায়। তার পরে নেশা করি, মেয়ে নিয়ে বাসায় আসি। কিন্তু আজ তোর কথা গুলা শুনে মনে কেমন জানি একটা তৃপ্তি পেলাম। কেনো জানি আবার নতুন করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করতেছে। ঝুমুর প্লিজজ আমাকে বিয়ে করো আমি তোমার সব দায়িত্ব নিবো। এই খারাপ পথ থেকেও ফিরে আসবো কথা দিলাম। 


"হাসিবের এমন কথা শুনে ঝুমুর কিছুক্ষন নিস্তব্ধ থাকার পরৈ বলে উঠে "


ঝুমুর : আপনার পরিবারের মানুষ কে আমাকে মানবে।


হাসিব : হুমমম মানবে। ওরা আমাকে বিয়ে দেয়ার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি কখনো রাজি হইনি। 


ঝুমুর : ওহ। এই টুকু পরিচয়ে আমাকে বিয়ে করবেন আপনি। 


হাসিব : হুমমম। 


ঝুমুর : পরবর্তীতে যদি আমাকে কষ্ট দেন বা আমার পরিবারের মানুষ কে না দেখেন তখন। 


হাসিব : তাহলে আমাকে ছেরে দিও। 


"ঝুমুর আবার বেশ কিছুক্ষন ভাবার পরে হাসিবকে বলে"


ঝুমুর : আচ্ছা আমি রাজি। 


হাসিব : আমি তোমাকে এই মুহূর্তে বিয়ে করতে চাই। কাজি অফিসে  চলো। 


ঝুমুর : আচ্ছা চলো? 


"গল্পটি পুরা পুরি কাল্পনিক। কেউ বাস্তবে ভাব্বেন না আশা করি। 


-অনু_গল্প 

এক_রাতের_গল্প 


ইরতিজা_আহমেদ_শ্রাবণ 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




৫০% গ্রীন এগ্রো শেডনেট,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ৫০% গ্রীন এগ্রো শেডনেট

Advanced Agricultre এ পাচ্ছেন সরাসরি ইন্ডিয়া থেকে আমদানিকৃত ৫০% ও ৭৫% গ্রীন এগ্রো শেডনেট

সাইজঃ ৩ মিটার*৫০ মিটার

সবজি ফসল চাষে শেড নেটঃ 

টমেটো, শসা, লেটুস, মরিচ, ক্যাপসিকাম, কপি, ধনেপাতা বা পালং শাক, ফুল ইত্যাদি খোলা মাঠে চাষ করতে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। বর্তমানে নানা উন্নত জাত গরমে চাষ সম্ভব হলেও গুনমানকে ধরে রাখতে ও রোগপোকা ঠেকাতে স্প্রে করতে হয় বেশী। 

সেজন্য বর্তমানে ৫০% সবুজ শেডনেট ফসলের ১০-১৫ ফুট উপরে বাঁশ, সিমেন্টের পিলার বা স্টিল এর কাঠামোর উপর দিয়ে ঢাকার ব্যবস্থা করলে এই সব সবজি চাষ খুব ভালো ভাবে করা সম্ভব যা লাভজনক কৃষি উৎপাদন। 

নার্সারিতে শেড নেটঃ

সবজি চারা, সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চারা তৈরির জন্য উত্তম জায়গা হলো ছায়া যুক্ত স্থান। চারা জন্মানোর জন্য ঠিক যেমন পরিবেশ দরকার হয় শেড নেট ঠিক সেই পরিবেশটা তৈরি করে। রোদের তীব্রতা, তাপমাত্রা, ঠান্ডা, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করে সুস্থ চারা উৎপাদন করতে শেড নেট হাউজ এর বিকল্প নেই। 

পান চাষে শেড নেটঃ

প্রথাগত পান চাষে খরচ প্রচুর। ‘শেড নেট’ ব্যবহারের মাধ্যমে পান চাষ করলে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শেড নেটে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে ৫০ শতাংশ। কিন্তু কুয়াশা প্রবেশ করতে পারে না। বাতাস ও সূর্যালোক প্রবেশের ফলে ছত্রাকের সমস্যা কমে যায়। ফলে হেমচিতি রোগ হয় না। তেমনি গরমের ক্ষেত্রেও তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ছাদবাগানে শেড নেট হাউজঃ

ছাদবাগানের ছোট জায়গায় চারা উৎপাদন ও অর্গানিক সবজি চাষের জন্য শেড নেট হাউজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ছাদে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই সবজি ফসলগুলো ভাল ফলন দেয় না। এই শেড নেট হাউজের ভিতরে টবে বা বেডে সকল ধরনে সবজি ও শাক চাষ করতে পারবেন। রোগবালাই কম হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। 

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে শেড নেট হাউজে চাষাবাদ করে সারা বছরব্যাপী উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে আমাদের দেশের কৃষকগণ ভাল লাভবান হতে পারবে।

সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার মাঠকৃষি ও ছাদকৃষির জন্য আমাদের কৃষি পণ্যসমূহঃ

১) সীডলিং ট্রে - (১২০ গ্রাম-৭২/১০৫/১২৮ সেল)

২) ট্রান্সপ্লান্টিং/জার্মিনেটিং/হাইড্রোপনিক ট্রে – ৫৮ সেঃমিঃ * ২৮ সেঃমি * ৩ সেঃমি, ৪৭৫ গ্রাম

৩) মালচিং ফিল্ম- ২৫ মাইক্রন, ৪ ফুট প্রশস্থ-৫০০মিঃ, ৩ ফুট প্রশস্থ-৬০০ মিটার

৪) কোকোপিট ব্লক-৪.৫ কেজি

৫) লুস কোকোপিট

৬) কোকো গ্রোয়িং স্টিক ২৪/৩২/৩৮ ইঞ্চি 

৭) কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট 

৮) হাড়ের গুড়া/শিংকুচি

৯) ভার্মিকম্পোস্ট 

১০) মাচার জাল (৮ হাত*৫৫ হাত-১২ ইঞ্চি গ্যাপ)

১১) কাটিং এইড রুট হরমোন- শিকড় গজানোর জাদুকরী হরমোন

১২) হিউমিনল গোল্ড অরগানিক পিজিআর (PGR)

১৩) লিবিনল- বৃদ্ধিকারক জৈব নিয়ন্ত্রক

১৪) ফ্ল্যাশ (Flash)-উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অনুখাদ্য সমাহার

১৫) মাইটেন্ড ইমপ্রোভ- মাকড়নাশক

১৬) ট্রাপ- সাদামাছি, থ্রিপস ও শোষক পোকা দমনের জন্য 

১৭) প্রহরী প্লাস- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৮) শিল্ড- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৯) ট্রিগার২-স্প্রে কনসেন্ট্রেটর

২০) নিউবুন (ফ্রুট স্পেশাল)-ফল গাছের জন্য বিশেষ নিউট্রিশন সাপোর্ট

২১) বুস্টার১-লাউ জাতীয় ফসলের স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২২) বুস্টার২-বেগুন, মরিচ, টমেটো সহ ফল গাছে অধিক পরিমানে ফুল আনে

২৩) বুস্টার৩-শসা ও তরমুজে স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২৪) বুস্টার৪-পটল ও কাকরোলের পরাগায়নে সহায়তা করে

২৫) বাম্পার-ফুল ও ফল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

২৬) প্যানথার টিভি-ফসলের ছত্রাকজনিত পচন প্রতিরোধ করে

২৭) প্যানথার পিএফ- ফসলের ব্যাকড়েরিয়াল উইল্টিংজনিত ঢলে পড়া প্রতিরোধ করে

২৮) সুধা জার্মিনেইড- বীজ সতেজীকরণ ও শোধনের জৈব সমাধান

২৯) থান্ডারস- ব্লাস্ট ও অন্যান্য ছত্রাকঘটিত রোগ দমনে কার্যকরী জৈব সমাধান 

৩০) সাফ ছত্রাকনাশক

৩১) ওয়েস্ট ডিকম্পোজার 

৩২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করর

৩৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ

৩৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট

৩৫) কেমাইট-জৈব মাকড়নাশক

৩৬) বায়োক্লিন- সবজি ও ফলের ছাতরা পোকা বা মিলিবাগ ও সাদামাছি পোকা দমন করে

৩৭) বায়োট্রিন-থ্রিপস, জাব পোকা, পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা, ধানের কারেন্ট পোকা দমন করে

৩৮) বায়োশিল্ড-জৈব ছত্রাকনাশক

৩৯) বায়ো-চমক-ধানের মাজরা পোকা ও বাদামী গাছ ফড়িং, বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে কার্যকরী

৪০) বায়ো-এনভির - মোজাইক ভাইরাস, ইয়েলো ভেইন মোজাইক ভাইরাস, লিফ কার্ল ভাইরাস, পিভিওয়াই ভাইরাস দমনে কার্যকরী

৪১) বায়ো-এলিন-জৈব ব্যাকটেরিয়ানাশক

৪২) বায়ো-ভাইরন-জৈব ভাইরাসনাশক

৪৩) বায়োবিটিকে- ছিদ্রকারী পোকা দমনের কীটনাশক

৪৪) বায়োডার্মা পাউডার/সলিড (ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম)

৪৫) কিউ-ফেরো/বিএসএফবি/স্পোডো-লিউর ফেরোমন টোপ

৪৬) বলবান-পিজিআর

৪৭) চিলেটেড জিংক

৪৮) সলবোর বোরন

৪৯) হলুদ/নীল/সাদা স্টিকি ট্র্যাপ

৫০) ম্যাঙ্গো/ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ

৫১) সবজি, তরমুজ ও পেঁপেঁর হাইব্রিড বীজ


সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


সীডলিং ট্রে,রাইস সীডলিং ট্রে,সবজির চারা করার ট্রে,ধানের চারা করার ট্রে,জার্মিনেশন ট্রে,মালচিং ফিল্ম,কোকোপিট ব্লিক,কোকোপোল,কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট,ভার্মিকম্পোস্ট,ট্রাইকোকম্পোস্ট,মাচাং জাল,হাড়ের গুড়া,শিংকুচি,কাটিং এইড রুট হরমোন,হিউমিনল গোল্ড পিজিয়ার,মারগোসা নিমতেল,বাম্পার,বুস্টার১,বুস্টার২,বুস্টার৩,বুস্টার৪,ট্রাপ,লিবিনল,ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি,ট্রাইকোডার্মা পিএফ,অরগাভিতা রোজ,সুধা জার্মিনেইড,ফ্ল্যাশ,ওয়েস্ট ডিকম্পোজার,সাফ ছত্রাকনাশক,বায়োক্লিন,বায়োএনভির,বায়োট্রিন,বায়োশিলদ,কেমাইট,বায়োচমক,বায়োবিটিকে,সলুবোর বোরণ,চিলেটেড জিংক,বলবান পিজিয়ার,হলুদ ফাদ,ফেরোমন ফাদ,কিউ ফেরো ফাদ,ব্যাকট্রোডি ফের,বিএফএসবি ফের,ম্যাংগো ফ্রুট ব্যাগ,ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ,সবজির হাইব্রিড বীজ,শসার হাইব্রিড বীজ,ময়নামতি, গ্রিনবার্ড,হ্যাপি গ্রিন,গ্যালাক্সী ৯৭,গ্রিনলাইন,থাইল্যান্দ,গ্রিনবল,পার্পল কিং,প্রিতম,চৈতি,মালিক ৫৫৩,ললিতা,বিজলি,বিজলি প্লাস,বিজলি প্লাস ২০২০,ফায়ারবক্স,আশা চিচিঙ্গা,সাগর ঝিঙ্গা,আর্তি ধুন্দল,সুমী হাইব্রিড ঢেড়শ,সুপার সুমী হাইব্রিড ঢেড়শ,বাহুবলী হাইব্রিড টমেটো,হাইব্রিড পেপে বীজ,বাসন্তি বেগুন,ওডিসি৩ সজিনা বীজ



ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


বখতিয়ার খিলজির সমাধি,,,, (গঙ্গারামপুর)

 বখতিয়ার খলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর ) 

যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।

বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তুর্কি সেনাপতি ও বীর যোগদ্ধা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। তিনি ছিলেন তুর্কি জাতিভুক্ত খিলজি বংশের সন্তান। বখতিয়ার খিলজির পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গরমশির অঞ্চলে বাস করতেন। অল্প বয়সে তিনি ভাগ্যান্বেষণে বের হন এবং বহু দরবার ঘুরে অযোধ্যার শাসক হুসামুদ্দিনের সেনাবাহিনীতে থিতু হন।


হুসামুদ্দিন তাঁকে ‘ভগবত’ ও ‘ভিউলা’ নামক দুটি পরগনার জায়গির দান করেন। এর পরই তাঁর জীবনধারা বদলে যায় এবং নিজেকে একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান।

একজন যোগ্য শাসক ও সেনাপতি হিসেবে বখতিয়ার খিলজির সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের সুদৃষ্টি লাভ করেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বিনিময়ে বিহার অভিযানের অনুমতি পান। বিহার বিজয়ের পর বখতিয়ার খিলজির ক্ষমতা ও সামর্থ্য আরো সংহত হয়।


তিনি বিশাল এক বাহিনী গঠন করেন এবং ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনাধীন বাংলার নদীয়া জয় করেন। আকস্মিক আক্রমণে রাজা লক্ষ্মণ সেন প্রধান রাজধানী বিক্রমপুর পালিয়ে যান। এভাবেই বাংলার মাটিতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয়।

এরপর তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্মণাবতী, গৌড়সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন।


লক্ষ্মণাবতীর নাম পরিবর্তন করে লখনৌতি করে তাকে রাজধানী ঘোষণা করেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি তিব্বত অভিযানে বের হন। কিন্তু উপজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতা ও কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন। এতে তাঁর সেনাদলের বৃহদাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। তিব্বত বিপর্যয়ের পর ব্যর্থতার গ্লানি ও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবকোটে (বর্তমান দিনাজপুর) ফিরে আসেন।

এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলেন মীর মর্দানের হাতে নিহত হন।

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ইতিহাসের পাতায় যতটা উচ্চারিত, যতটা চর্চিত, যতটা স্মরিত; ঠিক ততটাই অবহেলিত ও অজ্ঞাত  বখতিয়ারের সমাধিস্থল। বখতিয়ার খিলজির কবর যে এখনো চিহ্নিত আছে তা-ও হয়তো বহু মানুষের জানা নেই। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খিলজি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘুমিয়ে আছেন। জেলার গঙ্গারামপুর থানায় পীরপালে এখনো টিকে আছে তাঁর সমাধিসৌধ।


অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে বখতিয়ার খিলজির সমাধিসৌধও। সমাধিস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বারো দুয়ারি ও দীঘির ঘাট এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে গেছে সমাধিসৌধের দেয়ালের একাংশ। ধারণা করা হয়, বারো দুয়ারি নামে চিহ্নিত স্থাপনাটি মূলত একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের মুসল্লি ও কবর জিয়ারতকারীদের অজুর জন্য পাথর বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি ও বারো দুয়ারি পাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। তবে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার স্যার ফ্রান্সিস বুকানন হামিল্টন, যিনি ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গ ও বিহারের জরিপকাজে নিযুক্ত হন। তিনি বখতিয়ার খিলজির সমাধির বিবরণ দেওয়ার সময় বারো দুয়ারির ভেতরে একটি কবর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্যার হামিল্টনের ধারণা বারো দুয়ারির কবরটিই বখতিয়ার খিলজির এবং এখনো টিকে থাকা কবরটি বখতিয়ারের সহচর পীর বাহাউদ্দিনের। অবশ্য সমাধিসৌধের সামনে টানানো বতর্মান নামফলকে স্যার হামিল্টনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং টিকে থাকা সৌধটিকেই বখতিয়ারের বলে দাবি করা হয়েছে।


বর্তমানে কালের নিয়মে বখতিয়ার খিলজির সমাধি অবহেলার পাত্র হলেও স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘দেবতুল্য’। কথিত আছে বখতিয়ার খিলজি মাটিতে শুয়ে আছেন বলে পীরপালের মানুষরা খাট বা চৌকিতে ঘুমায় না। তারা অনেকাংশে শত শত বছর ধরে মাটিতেই ঘুমিয়ে আসছে।


সংগ্রহ।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


30/01/2024 আজ সকালে স্যারের মেসেজ,,,

 30/01/2024 আজ সকালে স্যারের মেসেজ,,,,,,

সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে এতদিন বৈরী আবহাওয়া প্রচন্ড কুয়াশা এবং শীতের কারণে অনেকেই মার্কেটে একটু লেটে গিয়েছেন আমরা সেটা ওভার লুক করেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মনে করে কিন্তু এখন সেই অবস্থাটা অনেকটাই ভালো হয়েছে আমি আশা করব আপনারা সকলেই সঠিক টাইমে মার্কেটে উপস্থিত হবেন নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট রুটে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে মার্কেট থেকে বিকেল ৫ টার পর বের হবেন। এটার ব্যত্যয় ঘটলে সুপারভাইজার গন  জবাবদিহিত  আওতায় নিয়ে আসবে।সুপারভাইজার কোন মুহূর্তে ভিডিও কল দিবেন এবং ভাইয়েরা অবশ্যই ভিডিও কল রিসিভ করে আপনার অবস্থান নিশ্চিত করবেন।অবশ্যই অফিশিয়াল ড্রেস আপ মেনটেন করবেনদোকানদারের সাথে যারা ডিলার বিষয়ে কথা বলবেন তারা গুছিয়ে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আস্থার সহিত কথা বলে তাদের ডিলার দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন যে কোন সমস্যায় সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার কে পাওয়া না গেলে বা ব্যস্ত থাকলে আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন।আর একটা বিষয় সকলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ,,,,


এক পোস্টে বাগানের সব,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এক পোস্টে বাগানের সব 


বিভিন্ন সারের কাজ, অভাবজনিত লক্ষণ,  মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলাফল, কীটনাশকের বিকল্প উৎস্য, কচি ফল ঝরা প্রতিরোধে করণীয়, কোন জায়গায় কোন ফসল ভালো হবে তার তালিকা এবং উপকারী ও অপকারী পোকার চিত্রসহ পরিচিতিঃ----


কোনটা উপকারী পোকা এবং কোনটা অপকারী পোকা তা জানার অভাবে আমরা অনেক সময় উপকারী পোকাদেরও মেরে ফেলি। কীটনাশক ব্যবহার করলে অপকারী পোকার পাশাপাশি উপকারী পোকাও ধ্বংস হয়ে যায়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষসহ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতিসাধন করে থাকে। তাই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প উৎসগুলো ব্যবহার করা উচিত। 


🔴 বাংলাদেশের কৃষিতে মূলত ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড বা বোরন প্রভৃতি সার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সারগুলোর কাজ, ঘাটতি বা অভাবজনিত লক্ষণ, মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো-


🎯🎯 ইউরিয়া সারের কাজঃ-----


ইউরিয়া একটি নাইট্রোজেন সংবলিত রাসায়নিক সার, যা ব্যাপক হারে ফসলের জমিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইউরিয়া সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ থাকে ৪৬%। ইউরিয়া সার নাইট্রোজেন সরবরাহ করে থাকে যা শিকড়ের বৃদ্ধি বিস্তাররে সহায়তা করে থাকে। গাছের ও শাকসবজির পর্যাপ্ত পরিমাণ পাতা, ডালপালা ও কান্ড উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। ইউরিয়া সার ক্লোরোফিল উৎপাদনের মাধ্যমে গাছপালাকে গাঢ় সবুজ বর্ণ প্রদান করে থাকে। কুশি উৎপাদনসহ ফলের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উদ্ভিদের শর্করা ও প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও গাছের অন্যান্য সব আবশ্যক উপাদানের পরিশোষণের হার বাড়িয়ে থাকে।


🧿 নাইট্রোজেনের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে নাইট্রোজেন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি বা অভাব দেখা দিলে ক্লোরোফিল সংশ্লেষণের হার অনেকাংশে কমে যায়। ফলে গাছ তার স্বাভাবিক সবুজ রং হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও পাতার আকার ছোট হয়ে শাখা প্রশাখার বৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে গাছ খাটো হয়ে যায়। পাতার অগ্রভাগ থেকে বিবর্ণতা শুরু হয় এবং বৃন্ত ও শাখা প্রশাখা সরু হয়ে যায়। গোলাপি অথবা হালকা লাল রঙের অস্বাভাবিক বৃন্ত হয়। পুরাতন পাতার মধ্যশিরার শীর্ষভাগ হলুদাভ-বাদামি বর্ণ ধারণ করে পাতা অকালেই ঝরে পড়ে। ফুল ও ফলের আকার কিছুটা ছোট হয়ে ফলন কমে যায়।


🛑 ইউরিয়া বেশি মাত্রায় প্রয়োগের ফলাফলঃ----


ইউরিয়া সারের প্রয়োগ মাত্রা বেশি হলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছে ফুল ও ফল উৎপাদন কিছুটা বিলম্বিত হয়ে যায়। এছাড়াও পোকামাকড় ও রোগ আক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক সময় পাতার অংশ ভারি হয়ে গাছ হেলে যায়। অতিরিক্ত নাইট্রোজেন প্রয়োগের কারণে অনেক ফল পানসে হয়ে যায় এবং গাছ মারা যায়। গাছে ফুলফল আসার সময় নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ করলে ফুলফল না এসে কুশির ও পাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 


🎯🎯 টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের কাজঃ----


🔘টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ও ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট)ঃ-----

এই দুটোই হলো ফসফেট জাতীয় রাসায়নিক সার। এই সার দুটোতে শতকরা ২০ ভাগ ফসফরাস থাকে। টিএসপিতে শতকরা ১৩ ভাগ ক্যালসিয়াম এবং ১.৩ ভাগ গন্ধক রয়েছে। ডিএপিতে ফসফেট ছাড়াও ১৮% নাইট্রোজেন বিদ্যমান থাকে যার কারণে ডিএপি সার প্রয়োগ করলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া সার কম দিতে হয়।


ফসফরাস জাতীয় সার কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে। শর্করা উৎপাদন ও আত্তীকরণে সহায়তা করে। গাছের মূল বা শিকড় গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে গাছকে নেতিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে থাকে। ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে থাকে। ফুল, ফল ও বীজের গুণগত মান বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।


🧿 ফসফরাসের ঘটতিজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি দেখা দিলে কাণ্ড ও মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গাছের শাখা প্রশাখা কুণ্ডলিকৃত বা পাকানো হয়ে যায়। গাছের পুরোনো পাতা অসময়ে ঝরে পড়ে। ফুলের উৎপাদন, পার্শ্বীয় কাণ্ড এবং কুড়ির বৃদ্ধি অনেকাংশে কমে যায়। পাতার গোড়া রক্তবর্ণ বা ব্রোনজ রং ধারণ করে থাকে। পাতার পৃষ্ঠভাগ নীলাভ সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং পাতার কিনারে বাদামি বর্ণ হয়ে শুকিয়ে যায়। এছাড়াও গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।


🛑 ফসফরাসের মাত্রা বেশি হলেঃ-----


ফসফরাস প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে ফলন কমে যায়। গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং অকাল পরিপক্বতা পরিলক্ষিত হয়।


🎯🎯 এমওপি সার বা পটাশ সারের কাজঃ-----


এমওপি বা মিউরেট অব পটাশ সারে শতকরা ৫০ ভাগ পটাশিয়াম থাকে। এমওপি উদ্ভিদ কোষের ভেদ্যতা রক্ষা করে। উদ্ভিদে শর্করা বা শ্বেতসার দ্রব্য পরিবহনে সহায়তা করে। লৌহ ও ম্যাংগানিজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। উদ্ভিদে প্রোটিন বা আমিষ উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। উদ্ভিদে পানি পরিশোষণ, আত্তীকরণ ও চলাচলে অর্থাৎ সার্বিক নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নাইট্রোজেন ও ফসফরাস পরিশোষণে সমতা বজায় রাখে।


বিকল্প উৎস্যঃ পাকা কলার খোসাতে পটাশ থাকে। তাই পাকা কলার খোসা পঁচিয়ে অথবা শুকিয়ে গুড়া করে পটাশের অভাব পূরণ করা যায়। 


🧿 এমওপি সারের ঘাটতিজনিত লক্ষণঃ-----


গাছে পটাশ সারের ঘাটতি দেখা গেলে পুরাতন পাতার কিনারা থেকে বিবর্ণতা শুরু হয়। পরে পাতার আন্তঃশিরায় বাদামি বর্ণের টিস্যু দেখা যায়। এছাড়াও পাতার উপরিভাগে কুঞ্চিত হতে বা ভাঁজ পড়তে থাকে। গাছ বিকৃত আকার ধারণ করে এবং গাছের ছোট আন্তঃপর্বসহ বৃদ্ধি কমে যায়। পরবর্তীতে প্রধান কাণ্ডটি মাটির দিকে হেলে পড়ে। গাছে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ বেড়ে যায়।


🛑 পটাশের পরিমাণ বেশি হলেঃ---


জমিতে বা গাছে পটাশ প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে ক্যালসিয়াম ও বোরনের শোষণ হার কমে যায়। ফলে বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ দেখা যায়। পানি নিঃসরণের হার কমে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়।


🎯🎯 জিপসাম সারের কাজঃ-----


জিপসাম সারে শতকরা ১৭ ভাাগ গন্ধক এবং ২৩ ভাগ ক্যালসিয়াম রয়েছে। জিপসাম বা গন্ধক প্রোটিন বা আমিষ উৎপাদনে সহায়তা করে। তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গন্ধক ক্লোরোফিল গঠনে ভূমিকা রাখে এবং গাছের বর্ণ সবুজ রাখতে সহায়তা করে। বীজ উৎপাদন এবং হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।


🧿 জিপসামের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে গন্ধকের অভাব হলে গাছের সবুজ বর্ণ নষ্ট হয়ে কাণ্ড চিকণ হয়ে যায়। গাছের পাতা ফ্যাকাশে সবুজ বা হলুদ বর্ণ ধারণ করে থাকে।


🛑 জিপসাম প্রয়োগের মাত্রায় বেশি হলেঃ-----


জমিতে জিপসাম প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। ফলে গাছের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম কমে যায়।


🎯🎯 জিংক সালফেট সারের কাজঃ-----


সালফেট ( মনোহাইড্রেটে ) শতকরা ৩৬.০ ভাগ দস্তা এবং ১৭.৬ ভাগ গন্ধক রয়েছে। অপরদিকে জিংক সালফেট ( হেপটাহাইড্রেটে ) দস্তা ও গন্ধকের যথাক্রমে ২১.০ % এবং ১০.৫% রয়েছে। এছাড়াও চিলেটেড জিংকে ১০ % দস্তা রয়েছে। জিংক সালফেট (মোনোহাইড্রেট), জিংক সালফেট (হেপটাহাইড্রেট) সারের তুলনায় বেশি পরিমাণে মাটিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কোনো ফসলে স্প্রে করেও এটি প্রয়োগ করা যায়।


গাছে বিভিন্ন ধরনের হরমোন তৈরিতে দস্তা বা জিংক অংশগ্রহণ করে থাকে। ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিম জাতীয় সবজির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ফলন বাড়িয়ে থাকে।


🧿 জিংকের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে দস্তার ঘাটতি দেখা গেলে গাছের পাতায় তামাটে বা দাগ আকারে বিবর্ণতা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। পাতা ছোট হয়ে যায় এবং নতুন পাতার গোড়ার দিক হতে বিবর্ণতা দেখা যায়। বিশেষ করে আন্তঃশিরায় বিবর্ণতা বেশি দেখা যায়।


🛑 জিংক প্রয়োগের মাত্রা বেশি হলেঃ-----


জমিতে জিংকের পরিমাণ বেশি হলে গাছে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত দস্তা প্রয়োগে আমিষ উৎপাদন ব্যাহত হয়।


🎯🎯 বোরন সারের কাজঃ-----


বরিক এসিডে ১৭ % এবং সলুবোর বোরণে ২০% বোরণ থাকে। এটি গাছের কোষ বৃদ্ধিতে এবং পাতা ও ফুলের রং আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। পরাগরেণু সবল ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বীজ উৎপাদনে সাহায্য করে এবং চিটা হওয়া রোধ করে থাকে। বোরন গাছে ফুল ও ফল ধারণে সাহায্য করে এবং ফলের বিকৃতি রোধ সহায়তা করে।


🧿 বোরনের ঘাটতিজনিত লক্ষণঃ-----


বোরন সারের অভাবে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং গাছে ফুল সংখ্যায় কম আসে। এছাড়াও গাছের অগ্রভাগ মরে যায়, কাণ্ড কালো বর্ণ ধারণ করে। শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। সবজি বা ফল গাছের ফুল ঝরা বেড়ে যায়। ফল আকারে ছোট হয় এবং ফেটে যায়। পেঁপে, কাঁঠাল, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের আকার বিকৃত হয়ে অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যায়।


🛑 বোরন প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলেঃ-----


বোরণের প্রয়োগ মাত্রা বেশি হলে কচি পাতা এবং ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফলন অনেক কমে যায়।


যতোটা সম্ভব রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প উৎসগুলো ব্যবহার করা। একান্ত প্রয়োজন হলে পরিমাণে কম ব্যবহার করা উচিত। রাসায়নিক সারের বিকল্প উৎসগুলো হলোঃ গোবর সার, জৈবসার, সবুজসার, ভার্মিকম্পোস্ট(কেঁচো সার), খৈল পঁচানো পানি, রান্নাঘর এবং বাগান ও ক্ষেতের উচ্ছিষ্টাংশ পচানো পানি, ডিমের খোসা চূর্ণ, কলার খোসা চূর্ণ, কলার খোসা পচানো পানি, ছাই, শুকনো পাতা চূর্ণ, কোকোডাস্ট(শুকনো নারিকেলের খোসা চূর্ণ) ইত্যাদি। 


🔘 নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে কীটনাশক ব্যবহার করার তেমন একটা প্রয়োজন পড়েনা।


১। মাটি প্রস্তুতের সময় নিম খৈল, নিম পাতা, পেঁয়াজের খোসা ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। 


২। বাগানকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মরা ডাল ও পাতা অপসারণ করতে হবে। 


৩। নিম তেল ও হ্যান্ড ওয়াশ / গুড়ো সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে মাঝেমধ্যে গাছগুলোকে ভালোভাবে গোসল করাতে হবে।


৪। পোকার আক্রমণ দেখা দিলে সাথে সাথে মেরে ফেলতে হবে।


৫। বাগানে হলুদ, সবুজ এবং লাল স্টিকি পেপার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। 


৬। রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষাবাদ করতে হবে। 


৭। বীজ জার্মিনেশনের সময় জীবাণুমুক্ত/শোধন করতে হবে। 


৮। সম্ভব হলে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গাঁদা ফুলের চারা লাগাতে হবে। এতে নেমাটোড অনেকটাই কন্ট্রোল হবে।


৯। সবজি ও ফলের মাছি পোকা দমনের জন্য আলাদা আলাদা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। 


১০। অতিরিক্ত পোকামাকড় দেখা দিলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে।


শেয়ার করে রেখে  দিতে পারেন। পরবর্তীতে দেখে নিতে পারবেন। 


তথ্য ও ছবিঃ সংগৃহীত








ভেষজগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি গাছ স্টেভিয়া সৃষ্টিকর্তার এক অলৌকিক সৃষ্টি,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ভেষজগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি গাছ স্টেভিয়া সৃষ্টিকর্তার এক অলৌকিক সৃষ্টি। এ গাছ শত শত বছর ধরে প্যারাগুয়ের পাহাড়ি অঞ্চল রিওমন্ডে এলাকায় চাষাবাদ হয়ে এসেছে। প্যারাগুয়ের গুরানী ইন্ডিয়ান নামক উপজাতীয়রা একে বলে কাহিহি অর্থাৎ মধু গাছ। ১৮৮৭ সালে সুইজ উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড. এমএস বার্টনি প্রথম স্টেভিয়াকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। পৃথিবীতে স্টেভিয়ার প্রায় ৯০টি জাত এবং ২৪০টি প্রজাতি আছে। এদের মধ্যে স্টিভিয়া রিবাউডিয়ানা প্রজাতির পাতায় সবচেয়ে মিষ্টি উপাদান রিবাউডিওসাইড যৌগটি রয়েছে।


স্টেভিয়া গাছের সবুজ পাতাই মিষ্টি উপাদানের উৎস।  চিনির চেয়ে স্টেভিয়ার পাতা ৩০-৪০ গুণ বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়া পাতা সংগ্রহের পর সূর্যালোকে বা ড্রায়ারের মাধ্যমে শুকান হয়। তারপর ক্রাশ করে পাউডারে পরিণত করা হয়। এক কেজি পাতা শুকিয়ে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম পাউডার পাওয়া যায়। স্টেভিয়া পাতার ১০০ গ্রাম নির্যাস থেকে ৪০ কেজি চিনির সমপরিমাণ মিষ্টি পাওয়া যায়। প্রসেস করলে মিষ্টির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। পাতা থেকে রিফাইন করা স্টিভিওসাইডের স্বাদ সাদা চিনির মতো এবং সাদা চিনির চেয়ে প্রায় ৪০০ গুণ বেশি মিষ্টি! 

স্টেভিয়ার কাঁচা বা শুকনো পাতা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায়। প্রতি ১ কেজি খাবার মিষ্টিকরণের জন্য মাত্র ৭.৯ মিলিগ্রাম স্টেভিয়াই যথেষ্ট! এক গ্লাস পানিতে একটি কাঁচাপাতার রস মিশালেই অনেক মিষ্টি হয়ে যায়। খাবার এবং পানীয় দ্রব্যে ব্যবহার করা যায় স্টেভিয়া পাউডার, ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ। চা-কফিতে স্টেভিয়ার ব্যবহার বিশ্বব্যাপী। ১ কাপ চায়ে চা চামচের মাত্র ৪ ভাগের ১ ভাগ স্টেভিয়া পাউডারই যথেষ্ট! 


ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি(EFSA) মানুষের ব্যবহারের জন্য স্টেভিওল গ্লাইকোসাইড ৪ মিলিগ্রাম/কেজি অ্যাডভাইজড ডেইলি ইনটেক(ADI) রেকমেন্ড করে। অর্থাৎ একজন মানুষের দিনে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ৪ মিলিগ্রাম পরিমাণ স্টেভিয়া(প্রসেসড) কনজিউম করা নিরাপদ। উদাহরণস্বরূপ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৭০×৪= ২৮০ মিলিগ্রামের বেশি স্টেভিয়া খাওয়া উচিত নয়।

মাত্রাতিরিক্ত স্টেভিয়া খেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (সুয়েলিং, বমি বমি ভাব, ব্যথা, পেশী দুর্বল হওয়া, মাথা ঘোরা, অ্যালার্জি ইত্যাদি) সৃষ্টি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে স্টেভিয়ার মূত্রবর্ধক ক্রিয়া(Diuretic) আছে। স্টেভিয়া কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে- 'স্টেভিয়া প্রাকৃতিক সুইটনার তাই মানবশরীরের জন্য নিরাপদ।' স্টেভিয়া পাতায় থাকে খনিজ, বিটা ক্যারোটিন, এন্টিওক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। চিনির পরিবর্তে নির্ভয়ে স্টেভিয়া ব্যবহার করতে বলেন চিকিৎসকেরা। ইউকে গভর্নমেন্টের পুষ্টি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মার্গারেট অ্যাশওয়েল গবেষণা করে দেখেছেন- 'স্টেভিয়া কনজিউম করলে স্থূলতা কমে।' স্টেভিয়া পাউডার দিয়ে বানানো মিষ্টান্ন ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।


১৯৬৪ সালে প্যারাগুয়েতে স্টেভিয়ার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়। জাপানে শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। অল্পদিনের মধ্যেই ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইসরাইল, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া প্রভৃতি দেশে বাণিজ্যিকভাবে স্টেভিয়ার চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চীনে স্টেভিয়ার ব্যাপক চাষ হলেও বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিক দিয়ে জাপান বেশি এগিয়ে গেছে। জাপানে প্রায় ৪০ শতাংশ চিনির চাহিদা মেটানো হয় স্টেভিয়া দিয়ে।

ক্যান্সার সৃষ্টিকারক হওয়ার কারণে ১৯৭০ এর দশকে জাপান সরকার আর্টিফিশিয়াল সুইটনার নিষিদ্ধ করে। জাপানে ১৯৭৩ সালের দিকে ৪৩ টি রিসার্চ সেন্টারে স্টেভিয়ার চাষ ও প্রাকৃতিক সুইটনার বানানো নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই জাপানি সিজনিং, কোমল পানীয় এবং আইসক্রিমে স্টেভিয়ার ব্যবহার শুরু হয়। জাপানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই নিশ্চিত করা হয়েছে যে মানুষের জন্য স্টেভিয়ার ব্যবহার নিরাপদ। বর্তমানে সেখানে কৃত্রিম চিনি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেমিক্যাল সুইটনারের বদলে তারা স্টেভিয়া ব্যবহার করে। 

ভারতে ২০১১ সালে স্টেভিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

 

কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রি, চিনি কোম্পানি, আর্টিফিশিয়াল সুইটনার কোম্পানি এবং চিনি রপ্তানি নির্ভর কিছু দেশ স্টেভিয়াতে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে বহুদিন অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্বয়ং USFDA (Food and Drug Administration) এর গবেষণায়ই প্রমাণিত হয়েছে- 'স্টেভিয়াতে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ নেই।' আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি স্টেভিয়াকে নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বেলজিয়ামের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইয়ান গ্যোন্স বলেন, "শুধু সুগার লবিই নয় কেমিক্যাল সুইটনার্স কর্পোরেশন গুলোও স্টেভিয়ার অগ্রযাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ অথচ ভোক্তারা চায় ন্যাচারাল সুইটনার্স৷ ইউরোপীয় আইন প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য বাজারে আসতে বাধা দিচ্ছে ফুড সেফটির ছুতোয়৷ টোবাকো লবির মত সুগার লবিও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছে৷''


১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টেভিয়া ব্যান করা হয়। স্টেভিয়াকে USFDA নিষিদ্ধ করেছিল একটি ডামি গবেষণার ভিত্তিতে। যেখানে দাবি করা হয়েছিল স্টেভিয়া ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। মনসান্টো এটিকে বাজার থেকে সরিরে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্টেভিয়া যেন অনুমোদন না পায় সেজন্য সুগার ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক লবিং করেছিল। পরবর্তীতে সত্যিকারের গবেষণা প্রকাশিত হলে FDA স্টেভিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাধ্য হয়। একটি ফলো-আপ রিসার্চ আগের ডামি গবেষণাকে ভুল প্রমাণ করে। ১৯৯৫ সালে ইউএসএফডিএ স্টেভিয়াকে সুইটনার হিসাবে নয় শুধু নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্টারি হিসাবে আমদানি এবং বিক্রি করার অনুমতি দেয়।  

২০০৮ সালে স্টেভিয়াকে এফডিএ থেকে GRAS (সর্বসাধারণের জন্য নিরাপদ) স্বীকৃতি এবং মেইনস্ট্রিম মার্কিন ফুড প্রোডাকশনে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে স্টেভিয়া দিয়ে সব ধরনের খাবার এবং পানীয় তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাটোরেড ফিট, ভিটামিন ওয়াটার জিরো, সোবি লাইফওয়াটার, কোকা-কোলা লাইফ এবং ক্রিস্টাল লাইট সহ আরো অনেক ফুড ও বেভারেজ প্রোডাক্টের উপাদান হিসেবে স্টেভিয়া ব্যবহার হয়। 


বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি মানুষ চিনির বিকল্প হিসাবে স্টেভিয়া ব্যবহার করে৷ তবে স্টেভিয়া এখনো চিনির স্থান দখল করতে পারেনি৷ ২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বীকার করে যে স্টেভিয়ার উপাদান স্টিভিওল গ্লাইকোসাইড মানুষের জন্য নিরাপদ এবং ২০১১ সালে স্টেভিয়া ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্টেভিয়াকে পুরোপুরি ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করছে৷ কমার্শিয়াল ইউজের জন্য এখনো আনপ্রসেসড স্টেভিয়া অনুমোদিত নয়। 

WHO এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন৷ বিশ্বে চিনি কনজিউম হয় প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মেট্রিক টন৷ মিষ্টি জাতীয় খাদ্য বিক্রি হয় ৬০ বিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ৷ বাজারে স্টেভিয়া সহজলভ্য হলে ইউরোপীয় চিনি উৎপাদনকারীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে!


স্টেভিয়া পাতায় থাকা স্টেভিওল গ্লাইকোসাইড, রেবাউডিওসাইড-এ, স্টেভিওসাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং টেরপেন যৌগগুলো স্টেভিয়ার মিষ্টতা ও ঔষধি গুণের জন্য দায়ী। স্টেভিয়াতে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণ এবং স্থূলতা থেকে রক্ষা করে। ইনফ্লামেশন ও টিউমারের বৃদ্ধি থামাতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

স্টেভিয়ার উপাদান ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করতে পারে, যা রক্তনালীকে শিথিল করে এবং প্রশস্ত করে দেয়। এইভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে স্টেভিয়া। স্টেভিয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ব্যাড এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা। 

ইতিহাসবিদ ব্রিজেট মারিয়া চেস্টারটন বলেছেন, "ডায়াবেটিস আধুনিক রোগে পরিণত হওয়ার আগে স্টেভিয়া ডায়াবেটিসের একটি ওষুধ ছিল" 


স্টেভিয়া পাতা—

• ডায়াবেটিস ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে

• উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে

• যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও প্লীহায় পুষ্টি সরবরাহ করে

• অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে

• ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে

• ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বাড়ায়

• দাঁতের ক্ষয় রোধ করে

• ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দমন করে

• খাদ্য হজমে সহায়তা করে

• শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে


• অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক: এটি অগ্ন্যাশয় কোষের কার্যকলাপ, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং ইনসুলিন উৎপাদন ইমপ্রুভ করতে পারে। যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় সহায়ক।

• অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ: স্টিভিওসাইড যৌগ রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়াল কোষে ক্যালসিয়াম আয়নকে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে রক্তচাপ কমায় এবং হাইপারটেনসিভ রোগীদের রক্তনালী সংকোচন হ্রাস করে।  

• অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার মধ্যে রয়েছে ওপিজেনিন, কেমফেরল এবং কুয়েরিট্রিন। এগুলো ডিএনএ স্ট্র্যান্ডের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

• অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক: স্টিভিওল গ্লাইকোসাইড চারটি উপাদান নিয়ে গঠিত। যথা- স্টিভিওসাইড, রিবাউডিওসাইড-এ, রিবাউডিওসাইড-সি এবং ডুক্লোসাইড-এ। এগুলো অ্যান্টি-কারসিনোজেন হিসেবে ১২-০-টেট্রাডেকানয়লফোরবোল-১২-অ্যাসিটেট (TPA) দ্বারা প্রদাহ সৃষ্টিকে দৃঢ়ভাবে বাধা দেয়।

• অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল: স্টেভিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি ঠেকায়।

• অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: স্টেভিয়া প্রদাহ এবং ইমিউনো-মডুলেশন কমাতে সহায়ক। এটা কোষে প্রদাহ সৃষ্টিকারক এজেন্টগুলোর সংশ্লেষণ হ্রাস করে।

• কার্ডিওভাসকুলার অ্যাক্টিভিটি: স্টেভিয়ার কার্ডিওটোনিক অ্যাকশন মানুষের সংবহনতন্ত্রের ক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।

• ডাইজেস্টিভ টনিক এক্টিভিটি: স্টেভিয়া ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের উন্নতি ঘটায় এবং ক্ষুধা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

• ডার্মাটোলজিকাল অ্যাক্টিভিটি: স্টেভিয়াকে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার(যেমন- ব্রণ) একটি কার্যকর ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্টেভিয়ার নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের গঠন উন্নত করে এবং ত্বক ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।


বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি স্টেভিয়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এদেশে সারা বছরই লাভজনকভাবে স্টেভিয়া চাষ করা সম্ভব। বৃষ্টির পানি জমে না এরকম জৈব পদার্থযুক্ত লাল ক্ষারীয় মাটিতে স্টেভিয়া ভালো জন্মে। হেক্টরপ্রতি ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার কেজি শুকনো পাতা উৎপাদন হয়। ভারতে বিভিন্ন কোম্পানি চাষীদের চুক্তিভিত্তিক চারা সরবরাহ করে এবং তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে স্টেভিয়া পাতা কিনে নেয়। আমাদের দেশে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে একই পদ্ধতিতে তামাক চাষ করা হয়। ক্ষতিকর তামাক চাষের পরিবর্তে ঐ অঞ্চলে স্টেভিয়া চাষ হতে পারে। 

বাসাবাড়িতে সহজেই স্টেভিয়া চাষ করা যায়। সারা বছরই বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে টবে স্টেভিয়া চাষ করা সম্ভব। বাংলাদেশে বিএসআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন ২০০১ সালে। বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কুয়াশা মাহমুদ জানান, "ঔষধি উদ্ভিদ স্টেভিয়া সহজে চাষ করা যায়। টবেও চাষ করা যায়। বাংলাদেশের যেকোনো এলাকায় এর চাষ সম্ভব। একবার লাগালে তিন থেকে চার বছর নতুন করে চারা লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। স্বল্প শ্রম ও খরচে স্টেভিয়া উৎপাদন হয়।"

Red Pill 

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


তথ্যসূত্র: 

১। https://daily.jstor.org/

২। www.acefitness.org/

৩। https://livingratio.com/

৪। www.usatoday.com/

৫। www.verywellhealth.com/

৬। Ingredion.com

৭। সায়েন্স ডাইরেক্ট

৮। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেক ইনফরমেশন

৯। globalsteviainstitute.com 

১০। cancer.gov

১১। www.jagonews24.com/

১২। www.ittefaq.com.bd/

১৩। http://krishi.gov.bd/content

১৪। https://yua.sheerherb-bio.com/

১৫। www.jugantor.com




রুটি  ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!',,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!' 


রাজার রাজ্যে ১ লোক রুটি বিক্রি করতো। সে একমাত্র রুটি বিক্রেতা। 

সে একদিন রাজার কাছে গিয়ে বললঃ 'হুজুর, অনেক বৎসর ৫ টাকা করে রুটি বিক্রি করি। এখন দাম বাড়িয়ে ১০ টাকা করতে চাই। আপনি যদি অনুমতি দেন!' 


রাজা বললেন, 'যা কাল থেকে ৩০  টাকা রুটির দাম!' 

দোকানী বলল, 'না হুজুর, আমার ১০ টাকা হলেই চলবে!' 


রাজা বললেন, 'চুপ করে থাক! আর আমি যে দাম বাড়াতে বলেছি, কাউকে বলবিনা!' 


রুটি ওয়ালা খুশিমনে ফিরে গেল। 

পরদিন থেকে তার রুটির দাম ৩০ টাকা!


সারা রাজ্যে প্রতিবাদ! জনগণ ক্ষেপে গিয়ে রাজার কাছে বিচার দিল, 'হুজুর, আমাদের বাঁচান! এ কি অন্যায়! ৫ টাকার রুটি ৩০ টাকা হলে আমরা বাচবো কি খেয়ে!'


রাজা হুংকার দিলেন, 'রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!' 


তারপর ঘোষণা দিলেন কাল থেকে রুটির দাম অর্ধেক (মানে ১৫ টাকা!) 


সারা রাজ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেল! শুধু এমন একজন রাজা ছিলো বলে! না হলে জনগণের কি হতো!


রুটি ওয়ালা খুশি! 

জনগণও খুশি!

রাজাও খুশি! 

এরপর রাজা গোপনে রুটিওয়ালাকে ডেকে আনলো ও বলল তুমি রুটির দাম ১০ টাকা রেখে বাকি ৫ টাকা আমাকে দিবে কেউ যেন না জানে।


(সংগৃহীত)



সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:৩০-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:৩০-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আজ - ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি।


আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।


দেশের স্বার্থে কোনো অপশক্তিকে সহ্য করা হবে না - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীকে হস্তান্তরের জন্য কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে - বললেন প্রতিমন্ত্রী।


চিরশত্রু ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে চার ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান।


সিলেটে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজ নিজ খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের জয়লাভ।


সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৯-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৯-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:…


সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর।


রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানালেন শেখ হাসিনা।


জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তাগিদ দিলেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা এবং দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি।


নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ - বললেন ওবায়দুল কাদের। 


মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


জর্ডানের সিরীয় সীমান্তের কাছে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সৈন্য নিহত।


বিপিএল ক্রিকেটে আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স- চট্টগ্রাম চ্যালঞ্জার্সের এবং দুর্দান্ত ঢাকা- খুলনা টাইগার্সের মোকাবেলা করবে।


সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৮-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৮-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


সরকারের নানা উদ্যোগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে – আশাবাদ ওবায়দুল কাদেরের।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ’র শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হলো ৫০ - প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ।


গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে আই সি জে’র রায়ের পর আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।


টানা দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিসে নারী এককের শিরোপা জিতলেন বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কা।


মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি! মাননীয় হুইপ!  আজ দুটি কথা আপনাকে নিয়ে লিখবো।,,,,,, Nazmul h khan ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি! মাননীয় হুইপ! 


আজ দুটি কথা আপনাকে নিয়ে লিখবো। 

ছোট্ট বেলায় পড়েছিলাম "অসি অপেক্ষা মসী অধিক শক্তিশালী " তাই আমার অসি না থাকলেও যেটুকু মসী শক্তি আছে আমি চালিয়ে যাবো। কেউ আমার লেখা পড়ুক আর না পড়ুক আমি লিখেই যাবো।এটাই আমার প্রত্যয়।এটাই আমার ইচ্ছা, এটাই আমার ভিতরের দাবি। 

এবার আসি মূল কথায়..... 

 ২০০১ সাল হবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক আগুন ঝরা বোলার যুক্ত হয়েছে নাম তার মাশরাফি বিন মর্তুজা! নামের প্রতি সুবিচার করার আগেই শুনতে পেলাম তিনি ইনজুরি আক্রান্ত। ইংল্যান্ড গেছেন চিকিৎসা হতে। চার বা ছয় সপ্তাহের রেস্ট, এর মধ্যে খেলতে পারবেন না। দুমড়ে মুচড়ে গেল মনটা। 

ইনজুরি থেকে ভালো হয়ে বাংলাদেশ দলে আবার আগুন ঝরা বল করা শুরু করলেন।ভক্ত হয়ে গেলাম মাশরাফির। বাংলাদেশ তখন হাঁটাহাঁটি পা পা করে দুই একটা ম্যাচ জেতা শুরু করছে।তাও আবার কেনিয়ার বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের নিকট হারে। শ্রীলংকার নিকট পাত্তাই পেত না। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কে তো বাঘের মতো ভয় পেত বাংলাদেশ।

বলার ছিল শান্ত, তাপস বৈশ্য,স্পিনে মোহাম্মদ রফিক। তাছাড়া ভালো মানের কেউ ছিল না। স্পিন যায় হতো ফাস্ট বোলে তুলা ধুনা ধুনে দিতো। মাশরাফি যখন নিয়মিত খেলা শুরু করলো বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিলো,পাকিস্তান কে সামান্যের  জন্য জেতা ম্যাচ হেরে গেলো, কেঁদে ফেলতাম খেলা দেখে। প্রায়ই এমন হতো। তীরে এসে তরী ডুবে যেত। মন খারাপ হতো। তারপরও আমরা মাশরাফি, রফিক, এনামুল হক মনিদের জন্য আশায় বুক বেঁধে থাকতাম, এবার জিতবো। 

বাংলাদেশ শিবিরে মোহাম্মদ আশরাফুল যখন আসলো আমরা অস্ট্রেলিয়া কে হারিয়ে দিলাম, তাদের মাঠে।আমাদের বোলার ভালো, ব্যাটসম্যান ভালো, ম্যাচ জেতা শুরু হলো। ২০০৭ বিশ্বকাপে আমারা দূর্দান্ত খেললাম।বাঘা বাঘা তিনটি দলকে হারিয়ে সেকেন্ড রাউন্ডে উঠলাম। 

এই ভাবে অনেক ধারাভাষ্য দেওয়া যাবে অসংখ্য অসংখ্য ভালো প্লেয়ার আমাদের বাংলাদেশ টিমে আসা যাওয়া করছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 

মাশরাফি আমাদের দল নেতা, কান্ডারী, নাবিক। তিনি সঠিকভাবে দল পরিচালনা করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে নিয়ে গেছেন। 

আজ, মাশরাফি কে নিয়ে আশরাফুল যে কথা বলছে, আমি মনে করি মাশরাফির আর খেলা উচিৎ না। তার মতো প্লেয়ার দুই তিন পা দৌড়ে বল করে??  তার বলে ব্যাটসম্যান চার ছয় মারার জন্য মুখিয়ে থাকে, ভাবলেন কেমন যেন মনে হয়। 

মাশরাফি, বস, ক্যাপেটন আপনি আর খেলেন না। আপনার জন্য নাকি বিপিএলের মান কমে যাচ্ছে। আপনার জন্য নাকি একজন তরুণ বলার দলে চান্স পাচ্ছে না, আপনি আর খেলেন না। আপনি কিছু মনে না করলেও আমার মন হাউমাউ করে কেঁদে উঠছে।আপনি অবসর নেন। আপনি বিসিবির সভাপতি হোন,আপনি ক্রিকেট খেলা নিয়ে থাকেন, কোন সমস্যা নেই। বাংলার লক্ষ কোটি জনতা আপনাকে কোন দিন ভুলবে না। সবারই তো একদিন ছাড়তে হয়। আপনি ছেড়ে দেন। আমরা আপনার নিয়ে কেউ কথা বলুক সহ্য করতে পারছিনা। নক্ষত্রেরও পতন হয়।সেই ভাবেই না হলো আপনার পতন হোক, তাও চাই আপনি আর খেলেন না। সিলেট টিমের মালিক আপনাকে যতো চাপই দিক না কেন?? শান্তর নিকট দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আপনি বসে যান। আপনার জন্য নাকি বিপিএল খেলার মেরিট কমে যাচ্ছে!! দেশে বিদেশে এই খেলা প্রচার হচ্ছে। আপনার নামে এই কলংক আর শুনতে মন চাচ্ছে না। এবার বসে যান। আপনার অবদান আমরা যারা আপনার সমসাময়িক বয়সের মানুষ কোন দিন ভুলবো না। আপনি মাশরাফি, আপনি ক্যাপ্টেন,আপনি বাংলাদেশ। স্যালুট মাশরাফি, স্যালুট ক্যাপ্টেন।



সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৭-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৭-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পুননির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের অভিনন্দন অব্যাহত - শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তানের।


বিএনপি নির্বাচনে না এসে কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই টের পাবে - মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


সংসদের আগামী অধিবেশনেই শ্রম আইন পাস করা হবে - জানালেন আইনমন্ত্রী ।


ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হলেন দেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। 


গাজার হাসপাতালগুলোকে সামরিক কাজে ব্যবহারের ইসরাইলের দেওয়া প্রমাণ উপেক্ষা করে হামাসের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ।


ব্লুমফন্টেইনে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রকে ১২১ রানে হারিয়ে সুপার সিক্স পর্বে উঠেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪,,,,,,

 রাজধানীর ঢাকার উপকণ্ঠে তুরাগ নদীর তীরে প্রায় 160 একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে,যে বিশাল ভূমির উপর বিশ্ব ইজতেমাকে উছিলা করে  লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগম ঘটেছে, তা হঠাৎ করেই হয়ে যায়নি। যতটুকু জানা যায়, তাবলীগ জামাতের সর্বপ্রথম ইজতেমা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর পূর্বে ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদের পাশে রমনা পার্কে।

* এরপর ১৯৪৭ সালে তাবলীগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইল মসজিদে।

* এরপর ১৯৪৮ সালে তৎকালীন চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে।

* এরপর ১৯৫৮ সালে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।

তারপর থেকে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর খোলা মাঠে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব  ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়,যা অদ্যবদি পর্যন্ত চলে আসছে।

এই বিশ্ব এজতেমায় প্রায় 40 থেকে 50 লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

 প্রায় ১৩০টি দেশ থেকে অর্ধালক্ষের উপরে মেহমান এতে অংশগ্রহণ করেন।

*তাবলীগ জামাতের প্রাণপুরুষ হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রা:) সর্ব প্রথম এই তাবলীগের কাজ শুরু করেন দিল্লির মেওয়া থেকে।(জন্ম ১৩০৩ হি:১৮৮৪ইং

২| দ্বিতীয় আমির ছিলেন হযরত মাওলানা ইউসুফ (র:)

৩|তৃতীয় আমীর ছিলেন মাওলানা এনামুল হাসান কান্ধলভী (রা:)

*বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাবলীগ জামাতের আমীর ছিলেন, খুলনা জেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের প্রাণপুরুষ মাওলানা আব্দুল আজিজ

 (রা:) যা বর্তমানে মজলিসে শুরার ভিত্তিতে পরিচালিত।

মজলিসের শুরার সদস্য গনের মধ্য থেকে অন্যতম হলেন,

১|মাওলানা জুবায়ের সাহেব (দা:বা:)

২|মাওলানা রবিউল হক সাহেব ( দা:বা:)

৩|মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব (দা:বা:)

৪|মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব(দা:বা:)

সবচেয়ে খুশির সংবাদ হল, এত বড় বিশাল এন্তেজামের কোন কেন্দ্রীয় তহবিল বা ফান্ড নেই। এবং বয়ানের জন্য কোন পোস্টারিং, লিফলেট করা হয় না, পূর্ব ঘোষিত কোন নামও প্রকাশ করা হয় না।

আল্লাহ তাআলা মুরুব্বিদের এই মেহনত এবং বিশ্ব ইজতেমা কে কবুল আর মঞ্জুর ফরমান আমীন।

আগামী ২,৩,৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ইজতেমাকে আল্লাহ তায়ালা ভরপুর কামিয়াব করুন আমীন।




সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪

আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়।,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়।


 বাংলাদেশের অর্থকরী ফল। বাংলাদেশের ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে আমকে। আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধারণত মার্চ মাসের দিকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু করে। মুকুলে অনেক পরিমাণে ফুল থাকে। আসুন জেনে নিই আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়:-


আমরা অনেক সময় ভাবি আমদের গাছে অনেক মুকুল আসছে কিন্ত তবুও কেন ফুলগুলো ঝরে পরে যাচ্ছে, এই সমস্ত কথা অনেক আম চাষিই বলে থাকে। আম গাছের একটা ডালে অনেকগুলা ফুল থাকে, যদি ওই একটা ডাল থেকে একটা ফল ও হয় তাহলে একে বাম্পার ফলন বলা হবে। কিন্তু এই বাম্পার ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।


তারপরও অনেক সময় পত্রিকার পাতায় দেখা যায় বৃষ্টি বা ঝড়ের জন্য আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। যেখানে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার কথা সেখানে আম ঝড়ে পরছে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির জন্য অথবা পরিচর্যার অভাবে। তাহলে এই মুকুল ঝড়া প্রতিরোধ করা কতটা জরুরী। এর জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। তার আগে জেনে নিই আমের মুকুল কি এবং মুকুল ঝড়ে পরার কারন কি?


আমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ:


মূলত আমের ফুলগুলোকে একত্রে আমের মুকুল বলা হয়ে থাকে। আমের মুকুলের মধ্যে হাজার হাজার ফুল থাকে। পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল একসাথেই থাকে। এই মুকুল থেকেই আমের গুটি আসা শুরু করে। এই মুকুল থেকে আমের গুঁটি জন্মায়।


(১) হপার পোকার আক্রমণ মুকুল ঝড়ে পরার একটি অন্যতম কারন। একটা হপার পোকা প্রায় ১৫০টা ডিম পাড়তে পারে। এই ডিম গুলা পরে ৫-৭ দিনের মাথায় ডিম ফুটে নিম্ফ হয় এবং এই ডিম গুলো পরে আম গাছের পাতা, ফুল, ফলের রস শুষে খায় তখন এক ধরণের রস নিঃসরণ করে যাকে ”হানি ডিউ” বলে। এই আঠালো একটা পদার্থের জন্য আম গাছে শুটি মোল্ড নামে এক ধরণের ছত্রাক জন্মায় ফলে সম্পূর্ণ গাছের পাতা, মুকুল কালো হয়ে যায়। তখন বলা হয় মহালাগা।


(২) অ্যানথ্রাকনোজ রোগ আমের মুকুলে হয়ে থাকে। এটি কোলিটোট্রিকাম গোলেসপোরিওডিস (Colletotrichum gloeosporioides) নামক এক প্রকার ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এই রোগের ফলেও আমের মুকুল ঝড়ে পড়ে।


(৩) পাউডারী মিলডিউ ওডিয়াম মেংগিফেরা (Oidium mangiferae) নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের কারণে আক্রান্ত অংশে সাদা পাউডারে আমের মুকুল ঢেকে যায় ও আমের মুকুল ঝড়ে যায়। এখন আমাদের যেই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


(৪) প্রাকৃতিক কারণ যেমন বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, শিলা বৃষ্টির জন্য মুকুল ঝড়ে পরে।


(৫) মাটিতে রসের অভাব হলে আমের মুকুল ঝড়ে পরে যায়।


আমের মুকুল ঝড়ে পরা রোধে করণীয়:


(১) আমবাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আগাছামুক্ত ও খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে । মরা ডালপালা ছেঁটে ফেলতে হবে। রোগাক্রান্ত ডাল, পাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।


(২) শীতের পর গরম শুরু হয়।এই সময়টাতে আম গাছের প্রচুর পানির প্রয়োজন পরে। তাই গাছের গোড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।


(৩) ফুল থেকে যখন ফল মটর দানার মতো হবে তখন একটা স্প্রে করতে হবে হপার পোকা দমনের জন্য। সাধারণত মুকুল আসার আগে হপার পোকার জন্য স্প্রে করতে হয়।হপার পোকার জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লেবাসিড ৫০ ইসি চা চামচের ৪ চামচ ৮.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করতে হবে। অথবা ম্যালাথিয়ন বা এমএসটি ৫৭ ইসি উপরোক্ত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।এছাড়া সাইপারমেথ্রিন১০ ইসি(সিমবাস বা রিপকর্ড)@ ২মিলি./১লি. স্প্রে করা যেতে পারে।


(৪) আমটা যখন গুটি আকার ধারণ করবে তখন ১০-২০ দিন পর পর বোরিক এসিড@৬ গ্রাম/১০ লি. পানি স্প্রে করলে আমের গুটির পরিমাণ বেড়ে যাবে।


(৫) সালফার জাতীয় কীটনাশক আমের গুটিতে স্প্রে করতে হবে যাতে ছত্রাক আক্রান্ত না করতে পারে।অথবা ম্যানক্রোজেন ২ গ্রাম/লি. নামক ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। ব্যাভিসটিন WP ০.২ % হারে অথবা ডাইথেন-এম ০.৩ % হারে দুই বার ফুল ধরার আগে ও পরে স্প্রে করতে হবে।


(৬) পাউডারী মিলডিউ রোগ দমনে থিয়োভিট ০.৩ % হারে ফুল ফোটার পূর্বে এক বার ও পরে দুই বার স্প্রে করতে হবে। ম্যালাথিয়ন ০.২ % হারে ফুল ফোটার পর একবার ও গুটি আসার পর ১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করতে হবে।


৭) আম যখন মারবেলের মতো ছোট ফল হবে তখন ইউরিয়া সার @২০ গ্রাম/লি. স্প্রে করতে হবে।


(৮) আম গাছের পাশে মৌমাছি পালন করতে হবে প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য। এছাড়া আম বাগানে বিভিন্ন জাতের আম গাছ লাগানোর করতে হবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ফুল গাছ লাগাতে হবে যাতে বিভিন্ন পোকামাকড় পরপরাগায়নে সহযোগিতা করে।

লক্ষ্য রাখতে হবে গাছে যখন ফুল ফুটে যাবে তখন কোনো প্রকার স্প্রে করা যাবে না। আম গাছে মুকুল আসার আগে স্প্রে করা যেমন জরুরি না, তেমনি মুকুল ফোটার পর স্প্রে করার জরুরি নয়। কেননা এই সময় অনেক উপকারী পোকারা পরাগায়নের জন্য আসে।


কৃষিবিদ সমীরন বিশ্বাস

এগ্রিকেয়ার ২৪.কম:


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম সেরা পাঁচ গান:  *সাবিনা ইয়াসমিন:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম সেরা পাঁচ গান: 

*সাবিনা ইয়াসমিন: 

১.সব কটা জানালা খুলে দাও না(দেশাত্মবোধক)

২.সেই রেললাইনের পাশে মেঠো(দেশাত্মবোধক)

৩.মাঝি নাও ছাইড়া দে(দেশাত্মবোধক)

৪. মাগো আর তোমাকে ঘুমপাড়ানি মাসি হতে দিব না(দেশাত্মবোধক)

৫.পৃথিবী তো দুইদিনের ই বাসা(মরনের পরে) 


*রুনা লায়লা: 

১.একাত্তরের মা জননী(বিক্ষোভ)

২.বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়(বিক্ষোভ)

৩.তুমি আমার জীবন(অবুঝ হৃদয়)

৪.ও বন্ধুরে প্রাণ বন্ধুরে(মেঘ বৃষ্টি বাদল)

৫. ও কি কাজল ভ্রমরা( রঙিন রাখাল বন্ধু) 


*সৈয়দ আব্দুল হাদী: 

১.আমি তোমারি প্রেম ভিখারি(চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা)

২.কথা বলবো না বলেছি(আঁখি মিলন)

৩.পৃথিবীকে সাক্ষী রেখে(মহামিলন)

৪.পৃথিবী তো দুইদিনের ই বাসা(মরনের পরে)


*সুবীর নন্দী: 

১.তুমি সুঁতোয় বেঁধেছো শাপলার ফুল(হাজার বছর ধরে)

২.আশা ছিল মনে মনে(হাজার বছর ধরে)

৩.আমায় বড় ডিগ্রি দিছে মা(বিক্ষোভ)

৪.পিঁপড়া খাইলো বড়লোকের ধন(মায়ের অধিকার)

৫.কোন ডালে রে পাখি তুই(আনন্দ অশ্রু)


*এন্ড্রু কিশোর: 

১.আমার বুকের মধ্যিখানে(নয়নের আলো)

২.আমার সারা দেহ(নয়নের আলো)

৩.ভালো আছি ভালো থেকো(তোমাকে চাই)

৪.পড়েনা চোখের পলক(প্রানের চেয়ে প্রিয়)

৫.ঘুমিয়ে থাকোগো স্বজনী(নারীর মন) 


*খালিদ হাসান মিলু: 

১.যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে(প্রানের চেয়ে প্রিয়)

২.অনেক সাধনার পরে(ভালোবাসি তোমাকে)

৩.জীবনে বসন্ত এসেছে(নারীর মন)

৪.প্রেম কখনো মধুর(মহৎ)

৫.সাথী তুমি আমার জীবনে(চাওয়া থেকে পাওয়া)


*কনকচাঁপা: 

১.তুমি আমার এমনই একজন(আনন্দ অশ্রু)

২.কত মানুষ ভবের বাজারে(লাভ স্টোরি)

৩.আমার হৃদয় একটা আয়না(ফুল নেবো না অশ্রু নেবো)

৪.একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাকো(ভুলনায় আমায়)

৫.তোমায় দেখলে মনে হয়(বিয়ের ফুল)


*সামিনা চৌধুরী: 

১.আমার গরুর গাড়িতে(আঁখি মিলন)

২.আমি তোমার দুটি চোখে(নয়নের আলো)

৩.না বোল না(না বোল না)

৪.আমি জায়গা কিনব কিনব বলে(আধুনিক)

৫.নদী চায় চলতে(না বোল না)


*আইয়ুব বাচ্চু: 

১.আম্মাজান আম্মাজান(আম্মাজান)

২.অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে(লুটতরাজ)

৩.এই জগত সংসারে(তেজী)

৪.তোমার আমার প্রেম(আম্মাজান)

৫.স্বামী আর স্ত্রী(আম্মাজান)


*মনির খান: 

১.এই বুকে বইছে যমুনা(প্রেমের তাজমহল)

২.তুমি খুব সাধারন একটি মেয়ে(দুই নয়নের আলো)

৩.ঈশ্বর আল্লাহ বিধাতা জানে(আব্বাজান)

৪.চিঠি লিখেছে বউ আমার(আধুনিক)

৫.ভাড়া করি আনবি মানুষ(আধুনিক)

হৃদয় সাহা


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



ঢেঁড়স চষের নিয়ম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আপনারা_কিভাবে_ঢেঁড়স_আবাদ_করবেন 


#উপযুক্ত_মাটিঃ

দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি ঢেঁড়শ/ভেন্ডি চাষের জন্য উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকলে এঁটেল মাটিতেও চাষ করা যায়। 


#জলবায়ু

ঢেঁড়শ/ভেন্ডি উৎপাদনের জন্য উষ্ণ জলবায়ু প্রয়োজন। শুল্ক ও আর্দ্র উভয় অবস্থায় ভাল জন্মে।


#জমি_তৈরিঃ

কমপক্ষে ৩-৪ টি চাষ দিয়ে মাটি ঝরঝরে করে আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে। 


#বীজ_বপনের_সময়ঃ

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে সাধারণত খরিফ মৌসুমে এর চাষ করা হয় । ফাল্গুন-চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। 

#জাত_নির্বাচনঃ

শান্তি/সুপার সুমি/দুরন্ত/দীবা/নবীন/নোলক/OH-2324/

লাবণ্য/টপস্টার/রেড ফিঙ্গার/ললনা/ভেন্ডি নাম্বার-১ টিউলিপ/সিনথিয়া/গ্রীণ সুপার/শান্ত/অপু/গ্রীণ এনার্জি/হীরা কোমল/রাজমনি/মহাবীর/ফাইটার/আশা/সিন্দাবাদ

কাঞ্চন/কাঞ্চন সুপার/বাদশাহ/ডন/মনিকা/রেবিকা/টাওয়ার/টাওয়ার সুপার/চ্যাম্পিয়ন/সবুজ বাংলা/রকেট/ সুষমা/বাজিমাত/মমতা/অনিতা/শক্তি।


#বীজহারঃ

শতকে: বীজ প্রয়োজন ২৫-৩০ গ্রাম

বিঘায়: বীজ প্রয়োজন ৭০৯-৯০০ গ্রাম 

হেক্টর প্রতি বীজ প্রয়োজন ৬-৭ কেজি 


#বীজ_ভিজানোঃ

বীজ বোনার আগে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হয়। গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে চাষের জমি তৈরী করতে হয়। 


#বীজ_বপন_দুরত্বঃ

সারি থেকে সারির দূরত্ব ৪৫ সেমি এবং সারিতে ৩০ সেমি দূরে দূরে ২-৩ টি করে বীজ বুনতে হয়। চারা গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ-সবল চারা রেখে বাকি চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।


#সারের_পরিমানঃ বিঘা প্রতি  ৩৩ শতকে

গোবর ২৫০০ কেজি

ইউরিয়া ৩০ কেজি

টিএসপি ২০ কেজি

এমও পি ১৫ কেজি

জিপসাম ১০ কেজি

জিংক ১ কেজি (আলাদাভাবে)

বোরন ১ কেজি


#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ

জমি তৈরী করার সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ৭-১০ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ/ভেন্ডি বীজ বপন করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়।


#প্রথম_কিস্তিঃ 

চারা গজানোর ২০ থেকে ২৫ দিন পরে

#দ্বিতীয়_কিস্তিঃ 

বীজ বপনের/চারা গজানোর ৪০ দিন পরে।

#তৃতীয়_কিস্তিঃ। বীজ বপনের ৬০ দিনে


#সেচ_পানি_নিষ্কাশনঃ

মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী ১০/১২ দিন পর পর সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রথম কিস্তি সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।


#আগাছা_পরিষ্কারঃ

নিড়ানি দিয়ে মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।


#রোগ_পোকাঃ

ঢেঁড়সের সাদামাছি, মোজাইক ভাইরাস প্রধান বালাই। আপনার ইউনিয়ন/ব্লকের সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বা উপজেলা কৃষি অফিস এ যোগাযোগ করে আপডেট পরামর্শ নিতে পারেন।


#ফসল_তোলাঃ

বীজ বোনার ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে এবং ফুল ফোটার ৩-৫ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। জাতভেদে ফল ৮-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়। গাছপ্রতি ২৫-৩০ টি ফল হয়।


#ফলনঃ

শতকে ৮০-৯০ কেজি 


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নতুন আরো কোন ভালো জাতের নাম বাদ পরলে কমেন্টে জানাবেন। 


মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা 

ব্লকঃ ভোটমারী, কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সম্পত্তি দান করতে চাইলেঃ ♦জেনে নেওয়া যাক দান কিঃ,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🔴 সম্পত্তি দান করতে চাইলেঃ


♦জেনে নেওয়া যাক দান কিঃ

♦দানের উপাদানঃ

♦দান কীভাবে করতে হয়ঃ

♦দান আর উইল এক বিষয় নয়ঃ

♦করতে হবে নিবন্ধনঃ

♦দাতার মৃত্যুর পর দানপত্র রেজিস্ট্রি করা যায়    কি-না?

♦দান কি বাতিল করা যায়?


♦জেনে নেওয়া যাক দান কিঃ


কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় এবং কোন প্রকার বিনিময় মূল্য বা প্রতিদান গ্রহণ না করে নিজের মালিকানাধীন কোন স্থাবর বা অবস্থাবর সম্পত্তি অপর ব্যক্তিকে হস্তান্তর করলে এবং সেই ব্যক্তি বা তার পক্ষে অন্য কেউ তা গ্রহণ করলে তাকে বলা হয় দান। যিনি দান করেন তাকে দাতা এবং যিনি গ্রহণ করেন তাকে দানগ্রহীতা বলা হয়। দাতার জীবদ্দশায় এবং সে যখন দান করতে সম্পূর্ণ সক্ষম সেই অবস্থায় দান গ্রহণ করতে হয়।


♦দানের উপাদানঃ


দানের মাধ্যমে দানকৃত সম্পত্তির মালিকানা অন্য ব্যক্তির বরাবরে হস্তান্তর করা হয়। দানের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দিতে হয়।


★দানের সময় সম্পত্তিতে দাতার সম্পূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে;

★সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে;

★দানগ্রহীতা কর্তৃক দানটি গৃহীত হতে হবে;

★দান স্বেচ্ছায় সম্পাদিত সম্পাদিত হতে হবে;

★দান বিনিময় মূল্য ছাড়া হতে হবে;

★দানকৃত সম্পত্তির অস্তিত্ব থাকতে হবে;

★যার বরাবরে দান করা হবে, তাকে দানটি গ্রহণ করতে হবে;

★কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বরাবরে সম্পত্তি দান করতে হবে;

★দাতা সম্পত্তি হস্তান্তরের যোগ্য ব্যক্তি হবেন। নাবালক কর্তৃক সম্পত্তি দান করা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ দাতাকে সুস্থ মস্তিষ্কের সাবালক ব্যক্তি হতে হবে।


কোন সম্পত্তি দান করতে হলে তা অবশ্যই রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে করতে হবে এবং ওই দলিলে দাতা বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি স্বাক্ষর করবেন এবং অন্ততঃ দুইজন সাক্ষী দ্বারা উক্ত দলিল সত্যায়িত করতে হবে। অস্থাবর সম্পত্তির দান রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল বা সম্পত্তির দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে করা যায়।


♦করিমের একটি মাত্র মেয়ে। আর কোনো সন্তান নেই তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন তাঁর মেয়ে। করিম তাঁর সব সম্পত্তি মেয়েকে দিয়ে যেতে চান। কিন্তু তাঁর দুই ভাই এবং ভাইয়ের ছেলেরা জীবিত। তাঁর ভাই কিংবা ভাইয়ের ছেলেরা তাঁর সম্পত্তির অংশীদার হোক, এটি তিনি চান না। এখন তিনি কী করবেন? তাঁর জীবিতাবস্থায় কি তাঁর একমাত্র মেয়েকে সম্পত্তির মালিক করে দিতে পারবেন? এর সমাধান আছে আইনে। আইন অনুযায়ী, করিম জীবিতাবস্থায় তাঁর সম্পত্তি মেয়েকে দান করে যেতে হবে। মুসলিম আইনে দানকে হেবা বলা হয়।


♦দান কীভাবে করতে হয়ঃ


সাধারণত দানের মাধ্যমে একজন সম্পত্তির মালিক তাঁর ওয়ারিশ কিংবা অন্য যে কাউকে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। এটি আইন স্বীকৃত। সাধারণত কেনাবেচার ক্ষেত্রে দামের বিনিময় হয়, কিন্তু দানের ক্ষেত্রে এ রকম বিনিময় হয় না। দান করতে হলে দাতার এবং গ্রহীতার সম্পূর্ণ ইচ্ছা ও সম্মতি থাকতে হয়। দান বা হেবা করতে হয় নিঃস্বার্থ। তবে দান করার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, হেবা বা দানকারীকে দানের ঘোষণা দিতে হবে অথবা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা করেও ঘোষণা দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, যাঁকে হেবা বা দান করা হচ্ছে, তাঁর দ্বারা সম্পত্তি গ্রহণ করতে হবে। আর তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, দানকৃত সম্পত্তির দখল সঙ্গে সঙ্গেই হস্তান্তর করা। এখন ওপরের ঘটনায় করিম তাঁর মেয়েকে সব সম্পত্তি দানপত্রের মাধ্যমে দান করে দিয়ে যেতে পারেন। দান করে দিলে তাঁর মেয়েকে ওই সম্পত্তি সঙ্গে সঙ্গে হস্তান্তর করতে হবে। নাবালক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সম্পত্তি দান করা যায়, তবে হস্তান্তর করা যাবে না, যত দিন না ও প্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বৈধ অভিভাবককে ওই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে হবে। পরবর্তী সময়ে নাবালক সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে হবে।


♦দান আর উইল এক বিষয় নয়ঃ


অনেকে মুসলিম আইনে দানকে উইলের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। মনে রাখতে হবে, উইল জীবিতাবস্থায় কার্যকর করা যায় না। একমাত্র উইল ঘোষণাকারীর মৃত্যুর পর উইল কার্যকর হয়, কিন্তু দানের ক্ষেত্রে দাতার জীবিতাবস্থায় কার্যকর হয়। তবে দানের ক্ষেত্রে জীবিতাবস্থায় সম্পত্তি হস্তান্তর করে দিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখতে হবে, মুসলিম আইনে উইলের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীদের অনুমতি ছাড়া সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি কার্যকর হবে না, কিন্তু হেবা বা দান পুরো সম্পত্তিই করা যাবে।


♦করতে হবে নিবন্ধনঃ


দানের দলিল নির্ধারিত ফরমে এবং স্ট্যাম্পে করতে হবে। দানের দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে। ২০০৫ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে হেবা বা দানকৃত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


♦দাতার মৃত্যুর পর দানপত্র রেজিস্ট্রি করা যায় কি-না?


কোন কারণে যদি রেজিস্ট্রি করার আগেই দাতার মৃত্যু হয় তারপরও উক্ত দান রেজিস্ট্রি করা যাবে। তবে দাতা বেঁচে থাকতে দানগ্রহীতা কর্তৃক সম্পত্তিটি গ্রহণ করতে হবে। দান-এর শর্তসমূহ পূরণ করা হলে দাতার মৃত্যুর পরও দানপত্র রেজিস্ট্রি করা যায়।


♦দান কি বাতিল করা যায়ঃ


একবার দান করার পর এবং সম্পত্তি হস্তান্তর করার পর আদালতের ডিক্রি ছাড়া বাতিল করা যাবে না। তবে দানপত্র সম্পাদন করলেও সম্পত্তিটি হস্তান্তর না করা হলে কিছু ক্ষেত্রে দানপত্র বাতিল করা যায়। যেমন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দান, দানগ্রহীতা যদি মারা যায়, যখন দাতা কিছুর বিনিময়ে গ্রহণ করবে, সম্পত্তি যখন ধ্বংস হয়ে যাবে প্রভৃতি।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

লেখাপড়া ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 স্কুল পালাতো রবীন্দ্রনাথ। নজরুল তো বেশি পড়তেই পারলেন নাই। লালন বুঝলোই না স্কুল কি জিনিস। অথচ আজ মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করছে।

অ্যান্ড্রু কার্নেগীকে তো ময়লা পোশাকের জন্য পার্কেই ঢুকতে দেয় নি। ৩০ বছর পরে উনি সেই পার্কটি কিনে ফেলেন আর সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন “সবার জন্য উন্মুক্ত”।

স্টিভ জবস শুধু মাত্র ১ দিন ভাল খাবারের আশায় ৭ মাইল দূরে পায়ে হেটে মন্দিরে যেতেন।

ভারতের সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হিন্দু ছিলেন বলে স্কুলের বারান্দায় বসে বসে ক্লাস করতেন। তাঁকে ক্লাসের বেঞ্চে বসতে দেয়া হতো না, কোন গাড়ি তাঁকে নিতো না। মাইলের পর মাইল হেঁটে পরীক্ষা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এর ক্যাডেট কলেজে ভর্তির টাকা হাটুরেদের নিকট থেকে টাকা তুলে যোগাড় করেছিলেন তার চাচারা। গরু না থাকায় তিনি নিজে জমিতে লাঙ্গল টেনেছেন একসময়।

সুন্দর চেহারার কথা ভাবছেন? শেখ সাদী এর চেহারা যথেষ্ট কদাকার ছিল, লতা মঙ্গেস্কারের চেহারা মোটেই সুশ্রী নয়। তৈমুর লং খোঁড়া ছিলেন, নেপোলিয়ন বেটে ছিলেন। শচীন টেল্ডুলকারের উচ্চতা তো জানাই আছে। আব্রাহাম লিঙ্কনের মুখ ও হাত যথেষ্ট বড় ছিল।

স্মৃতি শক্তির কথা ভাবছেন? আইনস্টাইন নিজের বাড়ীর ঠিকানা ও ফোন নাম্বার মনে রাখতে পারতেন না।

কিছুই আপনার উন্নতির পিছনে বাধা হতে পারে না। যদি কোন কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে তা আপনার ভিতরের ভয়। ভয়কে দূরে রেখে জয় করা শিখুন। সাফল্য আসবেই আজ অথবা কাল।



৭ম  শ্রেণির শরিফ-শরিফার গল্পটা এরকমও হতে পারতো,,, GM মাসুম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 **৭ম শ্রেণির শরিফ-শরিফার গল্পটা এরকমও হতে পারতো:- 

** শরিফ আর শরিফা দুই ভাই-বোন...বাবা আর মায়ের সাথে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করেন। স্কুলের ছুটি পেয়ে ঢাকা থেকে দাদু বাড়ি বেড়াতে গাইবান্ধায় যাচ্ছে, এটাই তাদের প্রথম ট্রেন ভ্রমণ, তাই ওরা দুজনেই খুব উৎফুল্ল, শরিফ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে আর শরিফা চতুর্থ শ্রেণিতে। শরিফ-শরিফার বাবা জনাব আশরাফ সাহেব রাজধানীর স্বনামধন্য ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক.....


রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে থামলে একদল হিজড়া/তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ট্রেনটিতে উঠে, ট্রেনের জানালার কাঁচ দিয়ে সে দৃশ্য দেখে শরিফ ও শরিফা, দুই ভাই-বোনই ওদের দেখে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে! 'মানুষগুলো মেয়েদের মত দেখতে, কিন্তু অনেক লম্বা, ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক লাগানো, মুখেও অনেক মেকাপ, দেখতে কেমন যেন একটু অদ্ভুত লাগে! ওরা সবচেয়ে অবাক হয়, মেয়েদের মত দেখতে হলেও ওদের গলার আওয়াজ ঠিকই ছেলেদের মতো... শরিফা ভয় পেয়ে মায়ের আঁচলে লুকোতে চায়... কৌতুহল জাগে শরিফের মনে... সে বাবাকে জিজ্ঞেস করে, 'বাবা, কে এরা তাদের দেখতে এমন কেন?'


আশরাফ সাহেব বলেন, 'ওরা তোমার আমার মতই স্বাভাবিক মানুষ... সৃষ্টিকর্তা তোমাকে যেমন ছেলে বানিয়েছেন... তোমার ছোট্ট বোনটাকে যেমন মেয়ে বানিয়েছেন... তেমনি সৃষ্টিকর্তা ওদেরও এক বিশেষভাবে বানিয়েছেন, ওরা ছেলেও না, আবার মেয়েও না, ওদের বলা হয় থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ'।


বাবা-ছেলের এই প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে চলতেই সেই হিজড়াদের দলের একজন ওদের কাছে আসে, কিছুটা পুরুষের মত ভাঙ্গা গলা সুরে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে বলে শরিফের বাবাকে... শরিফের বাবা আশরাফ সাহেব পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট শরিফের হাতে দিয়ে বলেন, 'নাও বাবা, এটা আন্টিকে দাও'। শরিফ ভয়ে ভয়ে টাকাটা হিজড়া মানুষটির দিকে বাড়িয়ে দেয়, টাকা নিয়ে মুচকি হাসি দেয় সে হিজড়া মহিলা, শরিফের গাল টেনে আদর করে দিয়ে বলে, 'অনেক বড় হও বাবা'আর শরীফার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে দিল...


এক পর্যায়ে চলে যায় হিজড়ার দল অন্য এই বগি থেকে অন্য বগিতে। কিন্তু কৌতুহল তখনও কাটেনি শরিফের, আবারও শরিফ জিজ্ঞেস করে তার বাবাকে, 'আচ্ছা বাবা, ওরা যদি আমাদের মত স্বাভাবিক মানুষ হয়, তাহলে ওরা ট্রেনে ট্রেনে এভাবে টাকা চেয়ে বেড়ায় কেন?


বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শরিফ-শরিফার বাবা সুন্দর করে তার দুই ছেলে-মেয়েকে বুঝিয়ে বলেন, 'ওরা আমাদের মত স্বাভাবিক মানুষ হলেও স্বাভাবিক মানুষের মত কাজ করার সুযোগ তেমন একটা ওরা সমাজে পায় না, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগও ওদের তেমন নেই। সমাজে কিছু মানুষ ওদের দূর দূর করে। বেশিরভাগ মানুষ তাদের দিকে আর চোখে তাকিয়ে থাকে। ওরা যদি সমাজে আট দশটা ছেলে মেয়ের মত সব জায়গায় সমান তালে পড়ালেখা ও চাকুরি করার সুযোগ পেত, তাহলে ওদের ট্রেনের বগিতে, বগিতে এভাবে ভিক্ষা করার প্রয়োজন হত না। তাহলে তোমার মত বাবা-মার আদর স্নেহ পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারত। সমাজের কিছু মানুষের কারণে তারা আজ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।


এ কথা শুনে শরিফ এবং শরিফা দুঃখ প্রকাশ করে বাবা-মায়ের কাছে ওরা বলে, ওরা বড় হয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এই অবহেলিত মানুষদের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে আর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, শরিফ-শরিফার বাবা-মা এই কথা শুনে খুব খুশি হয়‌। বাবার সাথে শরীফ শরিফা হিজড়াদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে বলতে ট্রেনটি নাটোর-বগুড়া পার হয়ে গাইবান্ধা স্টেশনে চলে আসে, পরে তারা ট্রেন থেকে নেমে দাদুর বাড়িতে চলে যায়।


বিঃদ্রঃ উক্ত লেখাটি সংগৃহীত। লেখাটিতে ট্রেনের নাম এবং জায়গার নামগুলো যাস্ট এডিট করে বসানো হয়েছে।

Gm মাসুম ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...