আল্লাহ যখন সাথে থাকেন
একবার যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে চিনবেন তখন আপনার জীবনের কোনো বিপদকেই আর বিপদ মনে হবে না, কোনো সমস্যাকেই আর সমস্যা মনে হবে না। যেমন, ইব্রাহিম (আ) আল্লাহকে জানার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করলেন। তারপর যখন আল্লাহকে চিনলেন তখন আল্লাহ তাঁকে বললেন তার স্ত্রী সন্তানকে মক্কার মরুভূমিতে রেখে আসতে। তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলেন - আমাদের কেন এভাবে রেখে যাচ্ছেন? তিনি তার উত্তর জানতেন না। তারপর তার স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করলেন - এটা কি আল্লাহর নির্দেশ? ইব্রাহিম (আ) বললেন- হ্যাঁ। তারপর তার স্ত্রী বলেন - এটা যদি আল্লাহর নির্দেশ হয়ে থাকে তাহলে তিনি আমাদের ধ্বংস হতে দিবেন না।
হাজেরা (আ) ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝলেন। যদি আল্লাহ এমনটি করতে বলেন, তাহলে এখানে কোন ভুল হতে পারে না। আমাদের বিশ্বাসও এমন শক্তিশালী হওয়া উচিত। যদি আল্লাহর প্রতি এমন বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে অতি মূল্যবান একটি জীবন। তখন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন, ফেরেশতারা আপনাকে ভালোবাসবেন, আপনি অন্য রকম একজন মানুষে পরিণত হবেন। আপনার কোনো ধারণাই নেই আল্লাহ কিভাবে আপনার জীবনকে আশীর্বাদ এবং বরকতে পূর্ণ করে দিবেন।
জীবনে সমস্যা থাকলেও সমস্যার মাঝেই প্রশান্তি খুঁজে পাবেন। অনেক মানুষ বাইরে থেকে দেখবে আপনার সমস্যা তাদের সমস্যার মতোই। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে আপনার সমস্যা আসলে তাদের মতো নয়। যদি দুইজন ব্যক্তি কোনো সমস্যায় পড়ে, একজন সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী কারো সাহায্য পেয়ে থাকে, আর অন্যজন কারো কাছ থেকে কোনো সাহায্য পায় না। উভয়ে কি সমান? তারা সমান নয়।
একজন বিশ্বাসী এবং একজন অবিশ্বাসী একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে। বিশ্বাসীর সাথে আল্লাহ আছেন আর অবিশ্বাসীর সাথে আল্লাহ নেই। আল্লাহ যখন বলেন, "ইন্নাল্লাহা মায়াস সাবিরিন - আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।" আল্লাহর এই সাথে থাকা বিশাল পার্থক্য তৈরী করে। এর মানে হল, আপনি জিতবেন। আল্লাহ যদি আপনার সাথে থাকেন, আপনি কখনো পরাজিত হবেন না। আল্লাহর দল কখনো পরাজিত হয় না। আল্লাহ যদি আপনার সাথে থাকেন আপনি কখনো হারতে পারেন না। এটা অসম্ভব।
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন