জানেন কি??#রাসায়নিক_সার এবং #কীটনাশক কতটা ক্ষতিকর?
#কীটনাশক
কীটনাশক মূলত বিষ। সময়ের অভাবে কৃষক বেশিরভাগ সময় কৃষি কর্মকর্তার কাছে যেতে পারেন না।।। কৃষকের অজ্ঞতার কারণে আর মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে ।
১. #কীটনাশক উদ্ভিদের মূল ও পাতার সাহায্যে উদ্ভিদের ভেতর প্রবেশ করে খাদ্যদ্রব্যকে বিষাক্ত করে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ওই শাক-সবজি কৃষক বাজারে বিক্রি করছে। এতে মানুষের লিভার আক্রান্ত হওয়াসহ স্নায়ুরোগ, রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, গর্ভপাত, পঙ্গু সন্তান জন্ম ইত্যাদি হচ্ছে।
২. #প্রবাহমান (সিস্টেমিক) রাসায়নিক কীটনাশক এক গাছে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে নির্দিষ্ট পোকা ঐ কীটনাশকের বিরুদ্ধে সহনশীল হয়ে যায়। ফলে কীটনাশকের কার্যকারিতা লোপ পায়। তখন ঐ কীটনাশক আর কাজ করে না।
>>#বর্তমানে বেশিরভাগ কৃষকের প্রশ্ন -গত বছর যে কীটনাশক ব্যবহারে ফল পেয়েছে, এবার পোকা দমন হচ্ছে না। কারণ কি?কারণ হলো- পোকা প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
৩. #প্রকৃতিতে বেশ কিছু উপকারী পোকা আছে, যারা পরাগায়নে সাহায্য করে। ফলন বাড়ায়। কীটনাশক ব্যবহারের ফলে শস্যের উপকারী পোকা-মাকড় শেষ হওয়ার পথে। ফলে কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাচ্ছে না।
৪.#কীটনাশক স্প্রে করার সময় ৭৫ ভাগ কৃষকের ওপর সরাসরি ছিটকে পড়েছে এবং জমি থেকে এক কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্বে বসবাস করেন ৮৭ ভাগ কৃষক। ৫৪ ভাগ কৃষক কখনোই কীটনাশক ছিটানোর সময় প্রতিরোধমূলক পোশাক পরেন না। তাঁদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৫৩ ভাগ কৃষক ক্যান্সার, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া, কানে শোনার সমস্যা, কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
৫.#কীটনাশক ব্যবহারের যন্ত্র বা কৃষক তাঁর হাত-পা বা শরীর ধৌত করেন চাপকল, সেচনালা, পুকুর, ডোবা কিংবা নদীতে। এর মাধ্যমেও বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে জলজ মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।
৬.কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ না করলে অতিরিক্ত বিষক্রিয়ায় গাছ মারা যেতে পারে।এতে সম্পূর্ণ ফসলী জমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
কৃষি বিভাগের নিয়মানুযায়ী সহনীয় পর্যায়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত। সরকারিভাবে কৃষকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও অনেক কৃষক নির্দেশনা মেনে প্রয়োগ করেন না।
#করণীয়
বিকল্প হিসেবে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে উপকারী পোকা রক্ষা পাবে। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করে ও নির্দেশনা মেনে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
#রাসায়নিক_সার
রাসায়নিক সার (যেমন- ইউরিয়া, টিএসপি পটাশ) সহজলভ্য, গাছের জন্য সহজে গ্রহণ উপযোগী এবং প্রয়োগে তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যায় বলে কৃষকদের কাছে এর চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। সাময়িক ভাবে উপকৃত হলেও দীর্ঘদিন রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতিকর দিক।
১. মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়,উর্বরতা হারায়। অতিরিক্ত ব্যবহারে এক সময় সার ঐ মাটিতে কাজ করে না। ফলে জমি চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পরে।
২.গাছপালা কার্যত ইউরিয়া সারের মাত্র অর্ধেক বা তার কম নাইট্রোজেন ব্যবহার করে থাকে আর বাকি অর্ধেক নানা ধরনের বিক্রিয়ায় নাইট্রোজেন অণুতে রূপান্তরিত হয়ে মাটি, পানি ও বাতাসে মিশে যায়। এভাবে বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন দিন দিন বাড়তে থাকে আর শুরু হয় পরিবেশ দূষণের নতুন মাত্রার নাইট্রোজেন দূষণ।
৩. গাছের জন্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদান ১৭ টি৷ রাসায়নিক সারে মাত্র ২-৩ টি পুষ্টি উপাদান থাকে। জৈব সার ব্যবহার করলে উদ্ভিদ ৮-১০ টি পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে।
১৯৫০ সালের পর থেকে মাটিতে মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মাটির ৬-৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। নতুন গবেষণায় এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। আগামী ২০-৩০ বছর পর আরও পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪.অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাটিতে বসবাসকারী অনুজীব ও কেচো মারা যায়। অথচ এসকল উপকারী অণুজীব মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫.রাসায়নিক সার মাটিতে কম স্থায়ী হয় এবং বেশি অপচয় হয়। ফলে মাটি,পানি,বাতাস, আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হয়।
#সমাধান_কি_তাহলে?
জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। জৈব সার মাটি ও গাছের জন্য উপকারী। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, উর্বরতা বাড়ে। কৃষকরা অল্প খরচে বাড়িতেই জৈব সার তৈরি করতে পারে।
✔️ মাটি পরীক্ষা করে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে।
তাই নিজেরা সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি। বলি সবাই -"অযথা #রাসায়নিক সার ও #কীটনাশক নয়
জৈব বালাইনাশক ও জৈব সারে নেই কোন ভয়।"
সঠিক পরামর্শ নিন, নিরাপদ ফসল চাষ করুন
আপনাদের সেবায় আমরা আছি সবসময়।
![]() |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন