এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -৩০-০৯-২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -৩০-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বাংলাদেশে দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা।


আগামীকাল শিল্প এলাকায় ৪০ লাখ শ্রমিককে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি।


শিগগিরই সংশোধন করা হবে সাইবার নিরাপত্তা আইন – বলেছেন আইন উপদেষ্টা।


সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও আইএফসি‘র সহায়তা চেয়েছে সরকার।


বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্পের জন্য ৩০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।


চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত।


লেবাননে অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১০৫ জনের প্রাণহানি - ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলা।


থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের ফাইনালে আজ ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাঙ্গালাহ্ সালতানাত,,,,,,,,

 বাঙ্গালাহ সালতানাতঃ এক নজরে


★ অবস্থা: সম্রাজ্য


★ রাজধানী: 

১. ফীরূজাবাদ (পান্ডুয়া) 

২. গৌড় (জান্নাতাবাদ)

৩. মুয়াজ্জিমাবাদ (সোনারগাঁও) 

৪. খাওয়াসপুর-তানুরাহ বা তান্ডা 


আনুগত্য: আব্বাসীয় খিলাফাহ 


★ প্রতিষ্ঠাতা: শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ 


★ প্রতিষ্ঠা সালঃ ১৩৫২


★ উপাধি:

১. শাহ-ই- বাঙ্গালিয়ান (বাঙালিদের শাহ)

২. শাহ- ই বাঙ্গালাহ (বাংলার শাহ) 

৩. সুলতান-ই বাঙ্গালাহ (বাংলার সুলতান)

৪. ইয়ামিন- আল খিলাফাহ (খিলাফাতের ডানহাত/সাহায্যকারী)

৫. খলিফাতুল্লাহ 

   


শাসকের উপাধি- সুলতান/বাদশাহ [সুলতানদের সকলে 'বাদশাহ' (পাদশাহ) ছিলেন না] 

             


সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক: সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ 

সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক: বাদশাহ্ জাহান  রুকন-উদ্দিন বারবাক শাহ্                                 

সবচেয়ে দীর্ঘসময় শাসন করেন: বাদশাহ সিকান্দার শাহ্ (৩৫ বছর)

একমাত্র হিন্দু শাসক: রাজা গণেশ উরফে সুলতান কানস শাহ

সবচেয়ে কম সময় শাসন করেন: সুলতান মুজাহিদ শাহ্ (১ সপ্তাহ)

সবচেয়ে বেশি ভূমি শাসন করেন: গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ্ 

সবচেয়ে বেশি ভূমি জয় করেন: সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ 

সবচেয়ে কম ভূমি শাসন করেন: সুলতান মুজাহিদ শাহ 

সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিস্তৃতি: ১৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭০৬ বর্গকিলোমিটার (আজম শাহর সময়ে)


দ্বিগ্বিজয়ী শাসক: ২ জন।

(১) সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ (১৩৩৮-১৩৫৮)

(২) বাদশাহ রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ্ (১৪৫৯-১৪৭৪)


ধর্ম - ইসলাম (রাজধর্ম ৯-১০%)

হিন্দু - (সংখ্যাগরিষ্ঠ ৮০-৯০%)

বৌদ্ধ, জৈন 


শাসকদের জাতিসত্ত্বা:


১. ইলিয়াস শাহী বংশ - পারসিক সিস্তানী ও বাঙ্গালীর মিশ্রিত রক্তধারা 

২. রাজা গণেশের পরিবার - বাঙ্গালী (আর্য)

৩. হোসেন শাহী বংশ -  বাঙ্গালী (অনার্য)

৪. হাবশী বংশ - আবিসিনিয়ান

৫.গাজী বংশ - পাঠান

৬. কররানী বংশ - পাঠান 


ভাষা: বাংলা (রাজভাষা), ফার্সী (রাজভাষা), আরবি (ধর্মীয়) 


★★ সবচেয়ে বড় বিজয়:- 

০১. ঐতিহাসিক একডালার প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে দিল্লী সালতানাত কে পরাজিত করে চূড়ান্তভাবে  সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা

২. নেপাল বিজয়-১৩৫০ 

৩. বাহমনী সালতানাত কে করদ রাজ্যে পরিণতকরণ

৪. আরাকান বিজয়- ১৪৩০ 

৫. উড়িষ্যা বিজয়- বারবাক শাহর রাজত্বকালে

৬. উড়িষ্যার গজপতিদের চূড়ান্ত পতন- কালাপাহাড়ের নেতৃত্বে

৭. অহম বিজয়- ১৩৯৩ 


★ সবচেয়ে বড় পরাজয়:

১. যাউনপুরের শার্কীদের বিহার ও ত্রিহুত দখল-১৪১৫ 

২. নেপাল হাতছাড়া- ১৪১৩ 

৩. তুর্কোইয়ের যুদ্ধে মুঘল সাম্রাজ্যের কাছে পরাজয়

৪. রাজমহলের যুদ্ধে পতন ও বিলুপ্তি

৫. শেরখানের হাতে দেড় দশকের জন্য সার্বভৌমত্ব  হারানো 


★ গৌরব: চীনের পর পৃথিবীর সবচাইতে ধনী সাম্রাজ্য, সারা পৃথিবীতে পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য, জাহাজ নির্মাণে মুসলিম বিশ্বে শীর্ষে। 

 


★ শত্রু সমূহ:

১. মুঘল সাম্রাজ্য

২. দিল্লী সালতানাত (১৩৫৯ সালের পূর্বে)

৩. শূরী সালতানাত

৪. শার্কী সালতানাত

৫. কামরূপ রাজ্য

৬. গজপতি সাম্রাজ্য

    

★ মিত্রসমূহ: 

১. তৈমুরী সাম্রাজ্য

২. মামলুক সালতানাত (কায়রোর আব্বাসী খিলাফত) 

৩. মিং সাম্রাজ্য

৪. দিল্লী সালতানাত (১৩৫৯ সালের পর)

৫. পর্তুগাল

৬. ইথিওপিয়ান সাম্রাজ্য /হাবশা

 

রাজবংশঃ ১. ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৩৫২-১৪১৪] 

২. রাজা গণেশের পরিবার [১৪১৪-১৪৩৬]

৩. দ্বিতীয় ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৪৩৬-১৪৮৭]

৪. হাবশি শাসন [১৪৮৭-১৪৯৩]

৫. হোসেন শাহী রাজবংশ [১৪৯৪-১৫৩৮]

৬. মুহম্মদ শাহী রাজবংশ [১৫৫৪-১৫৬৩]

৭. কররানি রাজবংশ [১৫৬৪-১৫৭৬]


★ সবচেয়ে বড় লজ্জা: মোগলমারির যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুঘলদের কাছে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলা ও বিহার হারানো।

 

★ সর্বশেষ শাসক: বাদশাহ দাঊদ শাহ্ কররানী 


★ বিলুপ্তি: ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ


[ মুঘলবিরোধী স্বাধীনতা যুদ্ধ: ১৫৭৬-১৬১১ নেতৃত্ব প্রদানকারী- ভাটিরাজ ঈসা খাঁ মাসনাদ- ই আলা (হোসেন শাহী বংশের ওয়ারিশ) ও ভাটিরাজ মুসা খাঁ ] 


চিত্র- বাদশাহ বারবাক শাহের রাজত্বকালে বাংলা সালতানাত, ১৪৭০ খ্রিস্টাব্দ


লেখার কৃতজ্ঞতাঃ রাজিত তাহমীদ জিত

https://www.facebook.com/rouhan.joy

পৃথিবী বদলে দেয়া ১০০টি বই,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পৃথিবী বদলে দেয়া ১০০টি বই।


বিশ্বের ৩৫টি দেশের লেখক, বইপ্রেমীদের মধ্যে 'বিবিসি কালচার' থেকে একটি জরিপ চালানো হয়, যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, কোন বইগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, সমাজ বদলে দিয়েছে।


১০৮ জন লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অনুবাদকরা ৫টি করে বই নির্ধারন করেন, যেগুলো পৃথিবী বদলে দিয়েছে। বিশ্বের ৩৩ ভাষার বই রয়েছে এর মধ্যে, যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে উগান্ডা থেকে পাকিস্তানি, কলম্বিয়া থেকে চায়নার মানুষ রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ইংরেজি।


এই নির্বাচনকারীদের মধ্যে ৬০ ভাগ নারী ও ৪০ ভাগ পুরুষ ছিলেন। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ফ্রাঞ্জ কাফকা, ভার্জিনিয়া উলফ এই লেখকদের ৩ টি করে বই স্থান পেয়েছে এই তালিকায়।

চলুন দেখে নেয়া যাক কোন বইগুলো পৃথিবী বদলে দিয়েছেঃ  


১. দ্য ওডিসি (হোমার, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক)


২. আঙ্কল টম'স কেবিন (হ্যারিয়েট বিচার স্টো, ১৮৫২)


৩. ফ্রাঙ্কেনস্টাইন (মেরি শেলি, ১৮১৮)


৪. নাইটিন এইটি-ফোর (জর্জ অরওয়েল, ১৯৪৯)


৫. থিংস ফল অ্যাপার্ট (চিনুয়া আচেবে, ১৯৫৮)


৬. ওয়ান থাউজ্যান্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইটস (বিভিন্ন লেখক)


৭. ডন কিহোতে (মিগুয়েল দে সারভান্তেস, ১৬০৫–১৬১৫)


৮. হ্যামলেট (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৬০৩)


৯. ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিটিউড (গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, ১৯৬৭)


১০. দ্য ইলিয়াড (হোমার, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক)


১১. বিলভড (টনি মরিসন, ১৯৮৭)


১২. দ্য ডিভাইন কমেডি (দান্তে আলিগিয়ারি, ১৩০৮–১৩২০)


১৩. রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৫৯৭)


১৪. দ্য এপিক অফ গিলগামেশ (লেখক অজানা)


১৫. হ্যারি পটার সিরিজ (জে কে রাওলিং, ১৯৯৭–২০০৭)


১৬. দ্য হ্যান্ডমেইড'স টেল (মার্গারেট অ্যাটউড, ১৯৮৫)


১৭. ইউলিসিস (জেমস জয়েস, ১৯২২)


১৮. অ্যানিমেল ফার্ম (জর্জ অরওয়েল, ১৯৪৫)


১৯. জেন আয়ার (শার্লট ব্রন্টি, ১৮৪৭)


২০. ম্যাডাম বোভারি (গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, ১৮৫৬)


২১. রোমান্স অব দ্য থ্রি কিংডমস (লুয়ো গুয়ানঝং, ১৩২১–১৩২৩)


২২. জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট (উ চেং'এন, আনুমানিক ১৫৯২)


২৩. ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট (ফিয়দোর দস্তয়েভস্কি, ১৮৬৬)


২৪. প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (জেন অস্টেন, ১৮১৩)


২৫. ওয়াটার মার্জিন (শি নাই'আন, ১৫৮৯)


২৬. ওয়ার অ্যান্ড পিস (লিও টলস্টয়, ১৮৬৫–১৮৬৭)


২৭. টু কিল আ মকিংবার্ড (হার্পার লি, ১৯৬০)


২৮. ওয়াইড সারগাসো সি (জিন রাইস, ১৯৬৬)


২৯. ঈশপ'স ফেবলস (ঈশপ)


৩০. ক্যান্ডিড (ভলতেয়ার, ১৭৫৯)


৩১. মেডিয়া (ইউরিপিডিস, খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১)


৩২. মহাভারত (বেদব্যাস, খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতক)


৩৩. কিং লিয়ার (উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, ১৬০৮)


৩৪. দ্য টেল অফ গেনজি (মুরাসাকি শিকিবু, ১০২১-এর পূর্বে)


৩৫. দ্য সরোস অফ ইয়ং ওয়ের্থার (জোহান উলফগ্যাং ভন গোথে, ১৭৭৪)


৩৬. দ্য ট্রায়াল (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯২৫)


৩৭. রিমেমব্রেন্স অফ থিংস পাস্ট (মার্সেল প্রুস্ট, ১৯১৩–১৯২৭)


৩৮. উইদারিং হাইটস (এমিলি ব্রন্টি, ১৮৪৭)


৩৯. ইনভিজিবল ম্যান (রালফ এলিসন, ১৯৫২)


৪০. মবি-ডিক (হারম্যান মেলভিল, ১৮৫১)


৪১. দেয়ার আইজেস ওয়্যার ওয়াচিং গড (জোরা নীল হার্স্টন, ১৯৩৭)


৪২. টু দ্য লাইটহাউস (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৭)


৪৩. দ্য ট্রু স্টোরি অব আহ কিউ (লু সুন, ১৯২১–১৯২২)


৪৪. অ্যালিস'স অ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (লুইস ক্যারল, ১৮৬৫)


৪৫ আন্না ক্যারেনিনা (লিও টলস্টয়, ১৮৭৩–১৮৭৭)


৪৬. হার্ট অব ডার্কনেস (জোসেফ কনরাড, ১৮৯৯)


৪৭. মাঙ্কি গ্রিপ (হেলেন গার্নার, ১৯৭৭)


৪৮. মিসেস ড্যালোয়ে (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৫)


৪৯. ইডিপাস দ্য কিং (সফোক্লিস, খ্রিস্টপূর্ব ৪২৯)


৫০. দ্য মেটামরফোসিস (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯১৫)


৫১. দ্য ওরেস্টেইয়া (এস্কাইলাস, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক)


৫২. সিন্ডারেলা (লেখক অজানা, তারিখ অজানা)


৫৩. হাউল (অ্যালেন গিন্সবার্গ, ১৯৫৬)


৫৪. লে মিজারেবল (ভিক্টর হুগো, ১৮৬২)


৫৫. মিডলমার্চ (জর্জ এলিয়ট, ১৮৭১-১৮৭২)


৫৬. পেদ্রো পারামো (হুয়ান রুলফো, ১৯৫৫)


৫৭. দ্য বাটারফ্লাই লাভারস (লোককাহিনী)


৫৮. দ্য ক্যানটারবরি টেলস (জিওফ্রে চসার, ১৩৮৭)


৫৯. পঞ্চতন্ত্র (বিষ্ণু শর্মা, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০)


৬০. দ্য পোস্টহিউমাস মেমোয়ার্স অফ ব্রাস কিউবাস (হোয়াকিম মারিয়া মাচাদো দে আসিস, ১৮৮১)


৬১. দ্য প্রাইম অব মিস জিন ব্রডি (মুরিয়েল স্পার্ক, ১৯৬১)


৬২. দ্য র‍্যাগেড-ট্রাউজারড ফিলানথ্রপিস্টস (রবার্ট ট্রেসেল, ১৯১৪)


৬৩. সং অফ লাউইনো (ওকোট পি'বিটেক, ১৯৬৬)


৬৪. দ্য গোল্ডেন নোটবুক (ডোরিস লেসিং, ১৯৬২)


৬৫. মিডনাইট'স চিলড্রেন (সালমান রুশদি, ১৯৮১)


৬৬. নার্ভাস কন্ডিশনস (টসিতসি ডাংগারেমবগা, ১৯৮৮)


৬৭. দ্য লিটল প্রিন্স (অঁতোয়া দ্য সেন্ট-একজুপেরি, ১৯৪৩)


৬৮. দ্য মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিটা (মিখাইল বুলগাকভ, ১৯৬৭)


৬৯. রামায়ন (বাল্মিকি, খ্রিস্টপূর্ব ১১শ শতক)


৭০. অ্যান্টিগোন (সফোক্লিস)


৭১. ড্রাকুলা (ব্রাম স্টোকার, ১৮৯৭)


৭২. দ্য লেফট হ্যান্ড অফ ডার্কনেস (উরসুলা কে. লে গুয়িন, ১৯৬৯)


৭৩. আ ক্রিসমাস ক্যারল (চার্লস ডিকেন্স, ১৮৪৩)


৭৪. আমেরিকা (রাউল ওতেরো রাইখ, ১৯৮০)


৭৫. বিফোর দ্য ল (ফ্রাঞ্জ কাফকা, ১৯১৫)


৭৬ চিলড্রেন অফ গেবেলাওয়ি (নাগিব মাহফুজ, ১৯৬৭)


৭৭. ইল কানজনিয়েরে (পেত্রার্ক, ১৩৭৪)


৭৮. কেবরা নাগাস্ট (বিভিন্ন লেখক, ১৩২২)


৭৯. লিটল ওমেন (লুইসা মে অ্যালকট, ১৮৬৮–১৮৬৯)


৮০. মেটামরফোসেস (ওভিড, ৮)


৮১. ওমেরোস (ডেরেক ওয়ালকট, ১৯৯০)


৮২. ওয়ান ডে ইন দ্য লাইফ অফ ইভান ডেনিসোভিচ (আলেক্সান্ডার সলঝেনিৎসিন, ১৯৬২)


৮৩. অরল্যান্ডো (ভার্জিনিয়া উলফ, ১৯২৮)


৮৪. রেইনবো সার্পেন্ট (অস্ট্রেলীয় গল্প)


৮৫. রেভল্যুশনারি রোড (রিচার্ড ইয়েটস, ১৯৬১)


৮৬. রবিনসন ক্রুসো (ড্যানিয়েল ডিফো, ১৭১৯)


৮৭. সং অফ মাইসেলফ (ওয়াল্ট হুইটম্যান, ১৮৫৫)


৮৮. দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ হাকলবেরি ফিন (মার্ক টোয়েন, ১৮৮৪)


৮৯. দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ টম সয়ার (মার্ক টোয়েন, ১৮৭৬)


৯০. দ্য আলেফ (হোর্হে লুইস বোর্হেস, ১৯৪৫)


৯১. দ্য ইলোকোয়েন্ট পিয়াজেন্ট (প্রাচীন মিশরীয় লোকগল্প)


৯২. দ্য এম্পেরর'স নিউ ক্লোদস (হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, ১৮৩৭)


৯৩. দ্য জঙ্গল (আপটন সিনক্লেয়ার, ১৯০৬)


৯৪. দ্য খামরিয়াত (আবু নুওয়াস)


৯৫. দ্য রাডেটজকি মার্চ (জোসেফ রথ, ১৯৩২)


৯৬. দ্য রেভেন (এডগার অ্যালান পো, ১৮৪৫)


৯৭. দ্য স্যাটানিক ভার্সেস (সালমান রুশদি, ১৯৮৮)


৯৮. দ্য সিক্রেট হিস্টরি (ডোনা টার্ট, ১৯৯২)


৯৯. দ্য স্নোই ডে (এজরা জ্যাক কেটস, ১৯৬২)


১০০. টোবা টেক সিং (সাদাত হাসান মান্টো, ১৯৫৫)


তথ্যসূত্রঃ BBC Culture, BBC

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৯-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৯-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ।


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন এক হাজার পাঁচশো ৮১ জন।


ঢাকার খালগুলো নিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার - জানালেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা।


হার্ট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস।


দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে সাত জনের মৃত্যু - হাসপাতালে ভর্তি নতুন আটশো ৬০ জন।


নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬।


ভুটানের থিম্পুতে পাকিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ ফুটবলের ফাইনালে  উঠেছে বাংলাদেশ।

ইসলামি শরিয়তে পুরুষদের জন্য যে কোনো পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করা হারাম

 ইসলামি শরিয়তে পুরুষদের জন্য যে কোনো পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করা হারাম। হাদিসে স্বর্ণ ব্যবহারের ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে।  


বিখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে একদিন আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবির হাতে স্বর্ণের আংটি দেখতে পেয়ে তা তার হাত থেকে খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন,

يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ 

"আপনাদের অনেকে জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে পরিধান করেন!" 


 আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার পর ওই সাহাবিকে বলা হলো, আংটিটি তুলে নিয়ে অন্য কাজে লাগান। সাহাবি বললেন, না, আল্লাহর কসম! যে বস্তু রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলে দিয়েছেন তা আমি কখনোই আর নেবো না। 

---->[মুসলিম: ২০৯০]।

ইবনু আবূ লাইলা (রহঃ) থেকে বর্ণিত: 


তিনি বলেন, হুযাইফাহ (রাঃ) মাদাইনে অবস্থান করেছিলেন। তিনি পানি পান করতে চাইলেন। এক গ্রাম্য লোক একটি রৌপ্য পাত্রে কিছু পানি নিয়ে আসল। হুযাইফা (রাঃ) তা ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি ছুঁড়ে ফেলতাম না; কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করেছি, সে নিবৃত হয়নি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বর্ণ, রৌপ্য, পাতলা ও মোটা রেশম তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের জন্য) দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য আখিরাতে। 

----->[সহীহ্ বুখারী, হাদীস নাম্বার ৫৮৩১; (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০২]। 


বারা’আ ইবনু ‘আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত: 


তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ স্বর্ণের আংটি বা তিনি বলেছেন, স্বর্ণের বলয়, মিহি রেশম, মোটা রেশম ও রেশম মিশ্রিত কাপড়, রেশম এর তৈরী লাল রঙের হাওদা, রেশম মিশ্রিত কিস্‌সী কাপড় ও রৌপ্য পাত্র। আর তিনি আমাদের সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেনঃ রোগীর শুশ্রূষা, জানাযার অনুসরণ করা, হাঁচির উত্তর দেয়া, সালামের জবাব দেয়া, দা’ওয়াত গ্রহণ করা, শপথকারীর শপথ পূরণে সাহায্য করা এবং মাযলূম ব্যক্তির সাহায্য করা।

--->[সহীহ্ বুখারী, হাদীস নাম্বার ৫৮৬৩; আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩২]। 


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: 


আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। ‘আম্‌র (রহঃ) বাশীর (রহঃ) -কে রকমই বর্ণনা করতে শুনেছেন।

---->[সহীহ্ বুখারী, হাদীস নাম্বার ৫৮৬৪ (মুসলিম ৩৭/১১, হাঃ ২০৮৯); আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৩]। 


আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: 


রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি ব্যবহার করেন। আংটির মোহর হাতের তালুর দিকে ঘুরিয়ে রাখেন। লোকেরা ঐ রকমই (আংটি) ব্যবহার করা শুরু করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের আংটিটি ফেলে দিয়ে রৌপ্যের আংটি বানিয়ে নিলেন।

---->[সহীহ্ বুখারী, হাদীস নাম্বার ৫৮৬৫, ৫৮৬৬, ৫৮৬৭, ৫৮৭৩, ৫৮৭৬, ৬৬৫১, ৭২৯৮; (মুসলিম ৩৭/১১, হাঃ ২০৯১, আহমাদ ৫৮৫৫); আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩৪]। 


হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 


مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَلْبَسْ حَرِيرًا وَلَا ذَهَبًا 


"যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ এবং আখেরাতে ঈমান রাখে, সে যেন রেশমি কাপড় বা স্বর্ণ ব্যবহার না করে।"

---->[মুসনাদে আহমদ: ২২২৪৮]।

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কলকাতায় কোথায় কি বিশেষ খাবার পাওয়া যায়,,,,,,,

 কলকাতায় কোথায় কি বিশেষ খাবার পাওয়া যায় :


১) নিউ মার্কেট - নিজাম'স এর কাঠি রোল ও বটী কাবাব !

২) ধর্মতলা নিউ আলিয়া - মাটন স্পেশাল বিরিয়ানী, মাটন টিক্কা, মটন স্টিউ, ফিরনি ও হালিম।

৩) পার্ক স্ট্রিটে পিটার ক্যাট - চেলো কাবাব !! 

৪) ডেকার্স লেন চিত্ত দার দোকান - রুমালি রুটি + চিকেন ভর্তা, চিকেন আর মাটন্ স্ট্যু। 

৫) শোভাবাজার - বিডন স্ট্রীটের এলেন কিচেন - প্রন কাটলেট , চিকেন স্টিক !! 

৬) শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন আর গ্রে স্ট্রীটের ক্রসিংয়ে মিত্র ক্যাফে - ব্রেন চপ , ব্রেন স্যুপ, টোস্ট, ফিস ফ্রাই এবং কবিরাজি !! 

৭) পার্ক সার্কাস রয়াল - মাটন বিরিয়ানি + চিকেন আর মাটন চপ !! 

৮) বাঙালি বুফে - ৬ বালিগঞ্জ প্লেস !! 

৯) কলেজ স্ট্রিট প্যারামাউন্ট - ডাব সরবত 

আর কালিকা - বিভিন্ন রকম চপ !! 

১০) মিষ্টি - বলরাম মল্লিক , নকুড় , পুটিরাম , ভিম নাগ , গাঙ্গুরাম !!

১১ )  দ্যা ভোজ কোম্পানী অবশ্যই নতুন ব্রাঞ্চ টা! 

১২) বিবেকানন্দ রোডের কাছে বিধান সরণীর ওপর স্বামিজীর বাড়ির উল্টো ফুটে চাচার !হোটেলের ফিস ফ্রাই আর মাটন্ কাটলেট।

১৩) শ্যামবাজারে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউয়ে মণীন্দ্র কলেজের উল্টো দিকের গলিতে গৌরীমাতা সরণীতে মামুর দোকানের ( বড়ুয়া এ্যান্ড দে ) মাটন্ প্যান্থারাস্ আর ব্রেইজড্ কাটলেট।

১৪) গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনের (পশ্চিম পাড়ে) ঠিক পাশেই নিরঞ্জন আগারের  মাটন্ চপ ও লিভার কষা।

১৫) হেদুয়ার মোড়ে বসন্ত কেবিনের এবং দক্ষিনে লেক মার্কেটের কাছে রাদু বাবুর দোকানের চা এবং চপ, কাটলেট।

১৬) হাতিবাগানে টাউন স্কুলের উল্টো দিকের ফুটপাথে মালঞ্চর কবিরাজী কাটলেট।

১৭) কলেজ স্ট্রীটে পুঁটিরামের কচুরী।

১৮) প্যারামাউন্টের সরবত ।

১৯) কপিলা আশ্রমের সরবত!

২০) রয়্যালের মটন চাঁপ।

২১) সিরাজের বিরিয়ানি।

২২) সাবিরের রেজালা।

২৩) স্যাঙ্গিভ্যালি রেস্তরাঁর চপ, কাটলেট।

২৪) সিমলার নকুড়ের সন্দেশ।

২৫) ফড়িয়াপুকুরে সেন মহাশয়ের বাবু সন্দেশ।

২৬) ভবানীপুরের শ্রীহরির লুচি/ কচুরী আর পাতলা ছোলার ডাল।

২৭) বাগবাজার নবীন দাশের রসগোল্লা ।

২৮) শ্যামবাজার স্ট্রীটের চিত্তরঞ্জনের রসগোল্লা ও মধুপর্ক।

২৯) শ্যামবাজারের স্ট্রিট  ভবতারিণীর রসগোল্লা ।

৩০) ফড়িয়াপুকুরে অমৃতের দই।

৩১) বাগবাজারে পটলার দোকানের তেলেভাজা আর কচুরী।

৩২) নিউটাউন বাস স্ট্যান্ডে বিরিয়ানী বার - বিরিয়ানী, চাপ, রেজালা, কাঠি রোল।

৩৩) নিউ মার্কেট এর নাহুম্স এর বেকারী

৩৪) পার্ক স্ট্রিট ন্যাচারালস এর টেন্ডার কোকোনাট আইসক্রিম।

 ৩৫) কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের আড্ডা সহযোগে কফি।

৩৬) বউবাজার জাংশনে ভিমনাগের সন্দেশ 

৩৭) স্কুপের ড্রাইফ্রুট আইসক্রিম ।

৩৮) এসপ্লানেড মোড়ের কেসি দাসের রসগোল্লা 

৩৯) আওধের বিরিয়ানি ।

৪০) রিপন স্ট্রিটের জামজামের বিফ বিরিয়ানি ও মালাই।

৪১) গুপ্তা সুইটস এর ক্যাডবেরি সন্দেশ।

৪২) কস্তুরীর কচু পাতা বাটা চিংড়ি ।

৪৩) সল্টলেকের চার্নক সিটির ডাব চিংড়ি ।

৪৪) ভজহরি মান্নার নলেন গুড়ের আইসক্রিম।

৪৫) সিদ্ধেশ্বরী আশ্রমের বাঙালি খাদ্যসামগ্রী।

৪৬) খিদিরপুরের "ইন্ডিয়া" এর কাচ্চি বিরিয়ানি, গলৌটি কাবাব, চিকেন চাপ ও তন্দুরি।

৪৭) এম জি রোড বড়বাজার দেশবন্ধু মিষ্টান্নর সীতাভোগ ও সিঙাড়া।

 ৪৮) দমদমের হাজির মাটন বিরিয়ানি আর মালাই কাবাব।

৪৯) আগমনীর লাল ক্ষীর দই আর সরভাজা।

৫০) গড়িয়ার ফুটব্রিজের নীচের লাল আটার ফুচকা চুরমুর ও মোমো।

৫১) লেকটাউনে জয়া সিনেমা হলের উলটো দিকে চিকেন রোল।

৫২) বিরাটী মোড়ে ভোরের আলোর রসগোল্লা।।

৫৩) সিকিম হাউসের মোমো, পর্ক শাপটা।

৫৪) কালিঘাটে আপনজনের ফিশ চপ, ফিস ওরলি, মাটনের পুর ভরা আর কিমা মোগলাই।

৫৫) ফ্রেন্ডস্ এর চীজ ওনিয়ন ধোসা ।

৫৬) মাদ্রাস টিফিনের ধোসা।

৫৭) ওলি পাবের বিফ স্টিক।

 ৫৮) গড়িয়াহাট ক্যাম্পারির চিকেন কাটলেট ।

৫৯) গড়িয়াহাট দাস কেবিনের মোগলাই ।

৬০) হাজরা মোড় ক্যাফের পুডিং, চিকেন স্টু, কাটলেট, ফিস ফ্রাই।

৬১) করিমস এর বিরিয়ানি ও তন্দুরি পদ।

৬২) টেরিটিবাজার ছাত্তাওলা গলির চাইনিজ:   তুং নাম।

৬৩) নন্দলালের কচুরী ও ছোলার ডাল।

৬৪) বোহেমিয়ান এর ফিউশান ফুড - গন্ধরাজ জোলেপ্,  চিলি পিকল্ চীজ বেকড্ ক্রাব সংগে কলমী গ্রীণস।

৬৫) স্পাইসক্রাফ্ট এর ফিউশান ফুড - দাজাজ চারমৌলা, বীয়ার ক্যান টেম্পুরা ফিশ, জ্যাক ডানিয়েলস্ মৌশে।

 ৬৬) কাবুল কোলকাতার মটন রোশ, চিকেন সিজি।

৬৭) মোকাম্বো রেস্তরাঁর বেকড্ ক্রাব ও মিক্সড গ্রীলড্ প্লাটার।

৬৮) খিদিরপুর ফ্যান্সির পাশে ঠেলাগাড়ির বিফ হালিম।

৬৯) নিউ মার্কেট টিপু সুলতান মসজিদের পাশে ফালুদা।

৭০) ডেকার্স লেনের অগ্রণী গলিতে ম্যাংগো লস্যি 

৭১) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট সুফিয়া- নিহারি, হালিম।

৭২)  জ্যাকারিয়া স্ট্রিট দিল্লি সিক্স- পেয়ারে কাবাব, শিরমল, আফগানি কাবাব।

৭৩) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট হাজি লিয়াকত- মুসকত হালুয়া

৭৪) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট হাজি আলাউদ্দিন- হালুয়া ও গুলাব জামুন।

৭৫) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট দিলশাদ - বিফ মালাই কাবাব ও অন্যান্য।

৭৬) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট আডামস্ - সুতলি কাবাব ।

৭৭) জ্যাকারিয়া স্ট্রিট বোম্বে হোটেল- বিফ  চাপ।

৭৮) মানজিলাৎ ফতিমা - আওধি কুজিন।

৭৯) নিউ মার্কেট এর রালিস্ এর কুলফি।

৮০) শ্যামবাজারের মেট্রো গেট - লস্যি ।

৮১) চাইনিজ: বারবিকিউ ( ফ্লেভারস ওফ চায়না), চায়নাটাউন ( কাফুলক), নমনম ( সল্টলেক)।

৮২) সি ফুড: সান্তাস ফানটাসিয়া, ফিউসন ফানটাসিয়া ।

৮৩) শ্যামবাজারের রুপা- মটন কষা।

৮৪) শ্যামবাজারের তৃপ্তির মোমো।

৮৫) আহিরিটোলা- ভূতনাথ লিট্টি।

৮৬) আহিরিটোলা  সাধুর চা।

৮৭) সিটি সেন্টারের কাছে চৌরাসিয়া - পাওভাজি ও চাট।

৮৮) হাজরা কাফে - পুডিং ।

৮৯) যতিনদাস পার্ক মেট্রোয় পণ্ডিত স্যান্ডউইচ।

৯০) নিউ মার্কেট এর ইন্দ্রমহল এর কুলফি।

৯১)  বারুইপুরের "আসমা হোটেল"-এর চিকেন ।চাঁপ আর লাচ্ছা পরোটা।

৯২) শিয়ালদা শিশির মার্কেট লাগোয়া "কল্পতরুর" লস্যি।

৯৩) ঢাকুরিয়া স্টেশন লাগোয়া "জিহ্বার জল"-এর ধোকা ভাজা, সোয়াবিনের চপ্।

৯৪) রাজপুরের মঙ্গল দা'র দোকানের কচুরী।

৯৫) গড়িয়া মোড়ে "জিতেন মাহাতো"র চিকেন মোমো।

৯৬) সোনারপুর বৈকুণ্ঠপুর মোড়ের লুচির সাইজের ফুচকা।

৯৭) গড়িয়া "আমিনিয়া"র চিকেন চট্-পটা

৯৮) সোনারপুর স্টেশন লাগোয়া "সুবোল সাহা"র লস্যি

৯৯) হোন্ডোর বিফ বার্গার।

১০০) কলেজস্ট্রিট এ কল্পতরুর পান।

১০১) কলেজস্ট্রিট স্বাধীন ভারতের মাংস ভাত 

১০২ ) শ্যাম বাজার ট্রাম ডিপোর পাশে ঘুগনি চাট 

১০৩ ) হেদুয়া বসন্ত কেবিন এর ফিস ফ্রাই 

১০৪ ) হাতিবাগান নিরামিষ তেলে ভাজা 

১০৫ ) সেন মহাশয় মিষ্টি দই 

১০৬ ) বাগবাজারের গণেশ দার মাছের কচুরি 

১০৭ ) ধর্মতলার আমিনিয়ার বিরিয়ানি 

১০৮ ) শ্যামবাজার মোড়ে গোলবাড়ী"র কষা মাংস ও পরোটা 

১০৯ ) ধর্মতলার অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা 


শেয়ার করে টাইম লাইনে রেখে দিন.. আমিও দিলাম, কাজের সময় কিছুই মাথায় আসেনা।✓



সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৮-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৮-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ - তরুণদের অফুরান শক্তি বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রুপান্তরের দ্বার উন্মোচন করেছে উল্লেখ কোরে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় সম্পৃক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান।


রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের টেকসই সংস্কার এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার - বললেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ - প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা। 


দেশের প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনাগুলো সংরক্ষণে নীতিমালা ঠিক করা হচ্ছে - বললেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা।


ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুরকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন - তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার শোক প্রকাশ।


যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন ‘হেলেনের’ আঘাতে অন্তত ৪৫ জনের প্রাণহানী।


কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসের ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে আজ পুনরায় ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 *লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর


সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়।


কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন!


কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক


মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং


তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে


গেছেন অসংখ্য রহস্যের.........


১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন।


১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক


ভাবে মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর সময় নিয়ে আকা


মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান!


অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি


সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল.......


ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়,


এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর। অবাক করার বিষয়


হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল


থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি


পরিবর্তন করে!


এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা!


১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে


মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা


মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন


প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা!


কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!!


রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি


১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে


দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি


ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বলেছিল সে চোরকে


দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়। প্রায় ৩৫০ বছর


আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!!


১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া


যায়। লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের


জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ


কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য


এতো টাকা খরচ!!


এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা


কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০


মিলিয়ন ডলার।


টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!!


মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও


দিয়ে যাননি। ২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে


অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে


দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে


ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা


জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ


করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা


শুরু করেন।


২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার


ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন


ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন


যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর


৪০ মাইক্রোমিটার।


অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা!


পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার


ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে


লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।


সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই


আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা


পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে


দিয়েছে!


সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে


মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।


মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে


হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে


মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে।


মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে


হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে


তাকালেই সে হাসি গায়েব!


সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার


ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি


ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার


করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা শ্রীমতি শিল্পী হাওলাদার


তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।"


যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার


এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে


সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি


বোঝাতে চেয়েছিলেন?"


প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র


উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।


অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে


দেয়ার মত!


ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা


দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।


সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি


তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির


জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে


দেখেছিলেন!


ছবিটা একটা এলিয়েনের!!


ভিনগ্রহের এলিয়েন.. 


#everyoneシ゚ #সংগৃহীত #everyonefollowme



সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৭-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৭-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান অন্তবর্তী শাসন ও সংস্কারে সমর্থন পুনব্যক্ত করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।


বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে নতুন অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করলেন ডক্টর মুহম্মদ ইউনূস।


জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সাধারন আলোচনায় আজ ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে - বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা। 


বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দেশে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।


যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা অব্যাহত। 


আজ কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৬-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৬-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


তরুণ সমাজের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ।


রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত মনোযোগ কামনা করে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, অন্যথায় এটি সমগ্র অঞ্চলকে সমস্যায় ফেলতে পারে।


রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বিশ কোটি মার্কিন ডলার মানবিক সাহায্য ঘোষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।


সার্ক পুনরুজ্জীবিত করতে পাকিস্তানের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা।


অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে বাংলাদেশ - জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা।


লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।


ইথিওপিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জনের প্রাণহানি।


আজ গলে দ্বিতীয় ও শেষ ক্রিকেট টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলংকার মোকাবেলা করবে নিউজিল্যান্ড।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৫-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৫-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের - যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস।


ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ও জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে বৈঠক - বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি কানাডার।


যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেয়ার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাতশো আট জনের নামের তালিকা প্রকাশ।


পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ - আজ থেকে সব শিল্প কারখানা খোলা রাখার ঘোষণা। 


সুপার মার্কেটে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ‍অভিযান শুরু হচ্ছে পয়লা অক্টোবর। 


ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় লেবাননে যুদ্ধ এড়াতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বান। 


সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৪-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৪-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আজ নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা - মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক।


ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশক নিধন অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১০টি টিম গঠিত।


জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরতে বাংলাদেশ বেতারের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার আহ্বান।


নদী ভাঙন রোধে জরুরী ব্যবস্থা নেবে সরকার - বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা।


লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলী বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২-এ।


আজ চেষ্টার-লী স্ট্রিটে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে অস্ট্রেলিয়া।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২৩-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২৩-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


জাতিসংঘের ৭৯-তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আজ নিউইয়র্ক রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা। 


পুলিশ ও নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ।


রাজনৈতিক কারণে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রতাহারে দুটি পৃথক কমিটি গঠন।


প্রতিবছর ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।


প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৩ই অক্টোবর থেকে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি।


 ছাত্র আন্দোলনে তিন মাসেরও বেশি বন্ধ থাকার পর গতকাল পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু।


দ্বিতীয় দফা ভোট গণনা শেষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুরা কুমারা দেশানায়েককে বিজয়ী ঘোষণা।


গতকাল চেন্নাই ক্রিকেট টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশকে ২৮০ রানে  হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত।

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়।  অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না। 

 মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়। 

অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না। 


একজন চীনা বিত্তবান মারা গেলেন। 

ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন।

সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বললেন, 

এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। 

এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!


নিরেট সত্যটি হচ্ছে-অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে দীর্ঘ্ জীবন লাভ করা বেশি জরুরি। 


তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ্য জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়া উচিত।


আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়ঃ


* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।


* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।


* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।


* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।


* সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না। 


করণীয় কী?


# অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।


# অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।


# মানুষকে ক্ষমা করে দিন।


# রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।


# পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।


# সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।


# ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।


# সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিন্নদেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন।


# ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।


# মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না। 


বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।


মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন জীবন তো একটাই।🙂

উপদেশ দিচ্ছি না ভালো লাগলো তাই কপি করলাম 🙂

যিনি লিখেছেন উনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 💖💖

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৩-০৯-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৩-০৯-২০২৪ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে প্রধান উপদেষ্টা --- মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক।


         


ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশক নিধন অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১০টি টিম গঠিত।


         


জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরতে বাংলাদেশ বেতারের  প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার আহ্বান।


         


দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার সঙ্গে দেশসেবায় আত্মনিয়োগের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।


        


শপথ নিলেন শ্রীলংকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।


লেবাননে ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলায় নিহত ১৮২ জন, আহত কয়েকশো।


    


      


এবং গলে প্রথম ক্রিকেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে এক-শূন্যতে এগিয়ে স্বাগতিক শ্রীলংকা।

ডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেন স্বর্গের সৌন্দর্য্য

ডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেন স্বর্গের সৌন্দর্য্যন স্বর্গের সৌন্দর্য্য


বেনদা: ❤️

কালিম্পং-এর কাছেই পাহাড়ের কোলে রয়েছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি। পর্যটকদের রাতযাপনের সুবিধার্থে ছোট ছোট কটেজ রয়েছে, রয়েছে পাহাড়ি খাবারের সম্ভার । ঝরনা, নদী, পাহাড়িয়া সবুজ গাছপালার সৌন্দর্যের মাঝে নজর কাড়ে চারপাশের বাহারি ফুলের সৌন্দর্য। এখনও লোক পরিচিতি খুব একটা হয়নি বলে খানিকটা নিরিবিলিই থাকে এই ভিউ পয়েন্টটি। তাই আসার আগে হোমস্টে বুক করে আসাই শ্রেয়।


বিজনবাড়ি: ❤️

ছোট রঙ্গিত নদী তীরে ছোট গ্রাম বিজন বাড়ি। রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রও। গ্রামের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে ছোট রঙ্গিত খরস্রোতা নদীটি,এটিই মূল আকর্ষণ । নদীর ধারেই রয়েছে ছোট ছোট হোম স্টে। রোমাঞ্চকর ট্রিপ করতে আসার অন্যতম সেরা ডেস্টিনেশন। পাহাড় ঘেরা গ্রামের মাঝে নীল জলে ডুব দিলে সব ক্লান্তি হবে ধুয়ে মুছে সাফ।


চিবো: ❤️

পাহাড়ের কোলে মেঘে ঢাকা ছোট্ট গ্রাম চিবো। প্রায় ৪১০০ ফুট উচ্চতায় এই গ্রামটির সঙ্গে এখনও পর্যটকদের বেশি আলাপ নেই। চিবোতে থাকার জায়গা একটিই রিসর্ট, ‘চিবো ইন’। পাহাড়ের ঢালে ছড়ানো ছোট-ছোট কাঠের কটেজ।জানলা দিয়ে মেঘ-কুয়াশার হাতছানি, খরস্রোতা নদীর শব্দ..মন জুড়োবেই। এখানে বিদেশি পর্যটকদের  সমাগমের কারণে আধুনিক অনেক সুবিধেই পাবেন। নিউ জলপাইগুড়ি/শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৭৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম।


জামুনি: ❤️

প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার অনুভুতির সাক্ষী থাকতে চাইলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন এই জামুনি গ্রামে। চারিদিকে গাঢ় সবুজ চা বাগানে ঘেরা মনমাতানো ছোট্ট এই গ্রাম। এখানে কিছু লেপচা, গুরুং জাতির বসবাস। মানুষের জীবিকা বলতে চা, বিভিন্ন চাষ ও পশুপালন। নাম না জানা বিভিন্ন ফুল আর অর্কিডে পরিবেষ্টিত গোটা গ্রাম। পাহাড়ি সংস্কৃতি কাছ থেকে পরখ করে দেখবার অনন্য সুযোগ রয়েছে এই গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার।


ঝেঁপি: ❤️

ক’টা দিন নির্জনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর সেরা ঠিকানা ঝেঁপি। জনবসতি থেকে খানিকটা দূরে নির্জনে এক টুকরো শান্তির ছোঁয়া পাবেন এই গ্রামে। এখানে সকালের ঘুম ভাঙ্গে অজানা পাখির ডাকে ও ফুলের সুগন্ধে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে এই ঝেঁপি গ্রামের দূরত্ব ৮৭ কিলোমিটারের মতো।


ফিকালেগাঁও: ❤️

ফিকালেগাঁও পাহাড়ের কোলে থাকা একটি ছোট্ট অজানা গ্রাম। সাংসে খাস মহলের মধ্যে এই গ্রামে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার মন মাতানো দৃশ্যের সঙ্গে আনন্দ বেশ উপভোগ্য । উত্তর বঙ্গের একমাত্র আপেল বাগান এখানেই আছে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে ৭৮ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই গন্তব্য।


তথ্য কোনো ভুল থাকলে দয়া করে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।


পরবর্তীতে কোন বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন দেখতে চাইছেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।❤️


এই ধরনের আরো পোস্ট দেখতে চাইলে আমাকে please ফলো করবেন 🙏


তথ্য - সংগৃহীত













আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? জেনে নিন এই ৮ প্রশ্নে😊

 আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? জেনে নিন এই ৮ প্রশ্নে😊



একটা বয়সে পৌঁছানোর পর বিয়ে না করা পর্যন্ত এ দেশে প্রায় সবাইকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়—‘বিয়ে কবে করছ?’ 


আপনি ‘সেলিব্রিটি’ হোন কিংবা ‘আমজনতা’, এ প্রশ্ন ‘কমন’ পড়বেই। বিয়ে মানে তো জীবনের এক নতুন অধ্যায়। এই অধ্যায় শুরু হওয়ার জন্য কিন্তু কেবল ‘বয়স’ হলেই চলে না, সবদিক থেকে নিজেকে ‘প্রস্তুত’ করে নিতে হয়।


ধরে নেওয়া যাক, আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে। পরিবার থেকে বিয়ের কথা বলছে, আর্থিক দিক থেকেও কোনো বাধা নেই। আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? নিজেকে যাচাই করে নিন আজ এই আট প্রশ্নে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য রয়েছে চারটি উত্তর। ‘ক’ উত্তরের জন্য পাবেন ৫ নম্বর, ‘খ’ উত্তরের জন্য ৪ নম্বর, ‘গ’ উত্তরের জন্য ৩ এবং ‘ঘ’ উত্তরের জন্য ২। সব শেষে মিলিয়ে নিন ফলাফল।


✅১. আপনার কাছে বিয়ের অর্থ কী?😊


ক. যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার

খ. জীবনের প্রয়োজনে একজন সঙ্গীর সঙ্গে পথচলা

গ. দারুণ রোমান্টিক ব্যাপার

ঘ. জীবনে একটা বাড়তি ঝামেলা


✅২. কাছের মানুষদের কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে আপনি কী করেন?


ক. বিষয়টি নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন

খ. রাগারাগি, চিৎকার-চেঁচামেচি করেন

গ. কোনো না কোনো সময় বিষয়টি নিয়ে তাঁকে খোঁচা মেরে কথা বলেন

ঘ. তাঁকে এড়িয়ে চলেন


✅৩. যাঁদের সঙ্গে আপনি বেড়ে ওঠেননি, এমন মানুষদের সঙ্গে একই জায়গায় থাকার ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?


ক. দারুণ

খ. ভালো

গ. মোটামুটি

ঘ. ভীষণ কষ্টকর


✅৪. বিয়ের পর আর্থিক ব্যাপারগুলো কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?


ক. যাঁর রোজগার যেমনই হোক, সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বিষয়গুলো সামলে নেওয়া উচিত

খ. দুজনের মধ্যে যাঁর রোজগার বেশি, তাঁরই বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত

গ. কে কোন খরচটা দেবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত

ঘ. নিজ নিজ খরচে চলা উচিত


✅৫. সাংসারিক কাজের ব্যাপারে আপনি কী ভাবেন?


ক. দুজনে মিলেমিশে সব কাজ করবেন

খ. এত দায়িত্ব না নিলেও ক্ষতি নেই, ঘরের কাজের সহকারী রেখে নিলেই চলবে

গ. যাঁর সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে, এগুলো তিনিই দেখবেন

ঘ. বাজার করা বা রান্না করার মতো কাজের জন্য আপনার জন্ম হয়নি


✅৬. পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি কী করেন?


ক. সবার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার চাহিদার দিকে খেয়াল রাখেন

খ. সবার কথা শোনেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কারও কথায় বেশি গুরুত্ব দেন

গ. নিজে যা ভালো বোঝেন, সেটাই করেন

ঘ. আপনি এসবের মধ্যেই থাকেন না


✅৭. জীবনে যখন অফুরন্ত অবসর আসবে, সেই সময়টা কীভাবে কাটাতে চান?


ক. জীবনসঙ্গীর সঙ্গে

খ. পরিবারের অন্যদের সঙ্গে

গ. বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে আড্ডা দিয়ে

ঘ. একা, নিজের মতো


✅৮. ‘শ্বশুরবাড়ি’ সম্পর্কে আপনি কী ভাবেন?


ক. পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে

খ. সেখানে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে

গ. সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসবে

ঘ. অবধারিতভাবেই তাঁদের সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকবে


🔰ফলাফল


✅আপনার প্রাপ্ত মোট নম্বর যদি ৩১ থেকে ৪০-এর মধ্যে হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যায় আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।🥰


✅নম্বর যদি ২৬-৩০–এর মধ্যে হয়, তাহলেও আপনার কিছুটা প্রস্তুতি আছে বলা যেতে পারে। তবে ভাবনাগুলোকে আরেকটু গুছিয়ে নিলে বিয়ের পরের জীবনটাও আরেকটু সহজ হয়ে উঠবে আপনার জন্য।😉


✅আপনার মোট নম্বর যদি হয় ২১ থেকে ২৫–এর মধ্যে, তাহলে সম্ভবত আপনি বিয়ে করতে আগ্রহী হলেও এখনো ঠিক প্রস্তুত নন। জীবন সম্পর্কে আরেকটু বাস্তব ভাবনা চর্চার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে আপনি আরেকটু সময় নিতে পারেন।😇


✅নম্বর যদি হয় ২০–এর কম, তাহলে সম্ভবত আপনি এখনো প্রস্তুত নন। তাই বলে আপনার বিয়ে করার সময় হয়নি—এমন সোজাসাপটা উপসংহার টানা ভুল হবে। আপাতত আপনি আত্মোন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে পারেন।🙃


আপনার নম্বর কত? কমেন্ট করে জানান..🤩


সূত্র : প্রথম আলো


রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ: ২২-০৯-২০২৪খ্রি:।

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ: ২২-০৯-২০২৪খ্রি:।

আজকেরশিরোনাম:-… 


জাতিসংঘের ৭৯-তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল নিউইয়র্ক রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

    

পুলিশ ও নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ।

     

রাজনৈতিক কারণে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রতাহারে দুটি পৃথক কমিটি গঠন।

 

প্রতিবছর ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

 

প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৩ই অক্টোবর থেকে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি।

 

ছাত্র আন্দোলনে তিন মাসেরও বেশি বন্ধ থাকার পর আজ পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু।

       

কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় চলছে ভোট গণনা৷


এবং আজ চেন্নাই ক্রিকেট টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশকে  ২৮০ রানে  হারালো স্বাগতিক ভারত।

বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ইতিহাসের হাজার নথি ঘাঁটলেও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে ইতিহাস এটা অবশ্যই বলে যে, বাঙালি জাতির বিশ্বজোড়া প্রসিদ্ধি রয়েছে তাঁর রসনার জন্য। সেজন্যই, প্রাচীন বঙ্গের বাঙালি নারীরা, ‘৬৪ রকমের ব্যঞ্জন’ ও হরেক রকম মিষ্টান্ন বানাতে জানতেন। অতীতে, উত্তর ভারতের শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি লাড্ডু’। সেই ‘লাড্ডু’ ছাড়া, ‘বিহার’ ও ‘উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের’ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি প্যাঁড়া’। অতীতে, উত্তর ভারতে ছানার তৈরি মিষ্টান্নের কোনো বালাই ছিল না এবং বর্তমান সময়েও বিশেষ নেই। ছানার তৈরি মিষ্টান্ন বঙ্গদেশেরই বৈশিষ্ট্য। 


বাঙালিদের ছানা তৈরি করার শিখন পদ্ধতি

যদিও বাঙালি ছানা তৈরি করা শিখেছে পোর্তুগিজদের কাছ থেকে, তবুও অতীতে ছানা দিয়েই হরেক রকম মিষ্টান্ন তৈরি করতেন বাঙালি নারীরা। এ ছাড়া তাঁরা ক্ষীরের, ময়দার, নারকেলের ও ডালবাটার মিষ্টান্নও তৈরি করতেন।


ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টি

 সেই সময়, বাংলার ঘরে ঘরে সেগুলো তৈরি হত। পুরানো  kolkata-য় ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টান্নের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘জিভেগজা’। 


ক্ষীর দিয়ে তৈরি মিষ্টি

ক্ষীর দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘ক্ষীরের পুতুল’।


নারকেল দিয়ে তৈরি মিষ্টি

আর নারকেল দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে বিখ্যাত ছিল -- ‘চন্দ্রপুলি’ ও ‘নারকেল নাডু’।


পুরানো kolkata-র মিষ্টির দোকানের হাল-হকিকত

অতীতে, ‘জিভেগজা’টা সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে খুব প্রিয় একটা খাদ্য ছিল। বিংশ শতকের শুরুর দিকের কলকাতায়, মিষ্টির দোকানগুলো থেকে, এক পয়সা মূল্যে চারখানা ‘জিভেগজা’ কিনতে পারা যেত, সেগুলোর সঙ্গে আবার কিছু ‘বোঁদে’ ‘ফাউ’ হিসেবে দেওয়া হত। সেই সময়, ছানা দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন ছিল ‘সন্দেশ’। পুরানো kolkata-র সন্দেশের দোকানগুলোর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে প্রাচীন -- সেটা বলা কঠিন। বিংশ শতকের শুরুর দিকের kolkata-র  প্রতি পাড়াতেই অন্তত একটা করে সন্দেশের দোকান দেখা যেত। সেই সময়ের কলকাতার, ‘নতুন বাজারে’ ‘মাখন ময়রা’র সন্দেশই ছিল সবথেকে চমৎকার। সেই দোকানে কেবলমাত্র সন্দেশই বানানো হত। কড়া ও নরম দু-রকম পাকেরই।


 'আনন্দবাজার পত্রিকা'-র বিবরণ

 ’৮০-র দশকের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য়, জনৈক ‘জীবনতারা হালদার’, পুরানো kolkata-র মিষ্টি নিয়ে একটি প্রবন্ধে স্মৃতিচারণ করে লিখেছিলেন, “আমাদের ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকো ছিল মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এখনকার মতো তখন অলিগলিতে মিষ্টান্নের দোকান ছিল না। জোড়াসাঁকো অঞ্চলে দোকান ছিল দশ- বারোটা। সে সময় ময়দার মিষ্টিরই বেশি চল ছিল। ময়দার মিষ্টির মধ্যে আবার বেশি চলত ‘গজা’ ও ‘মতিচুর’। ছাতুবাবুর বাজারে ছিল সবথেকে বড় ছানাপট্টি। দরমাহাটা স্ট্রিটেও ময়রাপট্টি ছিল। সেখানে বিখ্যাত ছিল নাথ ময়রার কাঁচাগোল্লা। বউবাজারে নবকৃষ্ণ গুঁই-এর ছানার পোলাউ, পান্তুয়া, দরবেশ ও বোঁদের স্বাদ ছিল সুন্দর। পান্তুয়া পরে রূপান্তরিত হয় লেডিকেনিতে। লর্ড ক্যানিং একবার মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে যান। মুর্শিদাবাদের সেরা ময়রা তাঁর জন্য দশসেরি পান্তুয়া বানালেন। উপহার দিলেন লেডি ক্যানিং-এর হাতে। সে থেকে লোকেরা মিষ্টিটার নাম দিল ‘লেডিকেনি’। তারপর কলকাতাতেও লেডিকেনি তৈরি হতে লাগল।” কিন্তু পরে কলকাতা প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তার রসগোল্লার জন্য। আজও বাঙালি মাত্রেই রসোগোল্লায় মজে যায়। সারা পৃথিবী জুড়ে রসগোল্লার পরিচিতি রয়েছে এবং বাঙালিয়ানার সাথে এই মিষ্টিটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই পৃথিবী বিখ্যাত মিষ্টিটির আবিষ্কারক ছিলেন ‘নবীন চন্দ্র দাস’৷ নবীন কলকাতায় তাঁর প্রথম মিষ্টির দোকানটি দিয়েছিলেন -- জোড়াসাঁকোর ‘মাথাঘষা গলি’-তে। সেই দোকান না চলায়, পরে তিনি আর-একটা দোকান করেছিলেন, বাগবাজারে, ‘আপার চিৎপুর রোডের’ ওপর, ‘শক স্ট্রিটের’ ঘোড়ার ট্রাম ডিপোর কাছে। সেখানেই নবীন প্রথম তাঁর রসগোল্লা সৃষ্টি করেছিলেন। তবে ‘নবীনচন্দ্র দাস’ কবে রসগোল্লার আবিষ্কার করেছিলেন? এক সময় নবীনের রসগোল্লা আবিষ্কারের সালটি নিয়ে ঐতিহাসিক ও খাদ্য গবেষকদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক ছিল -- ১৮৬৮ সাল নাকি ১৮৮০ সালের পরে? একদলের মতে, যেহেতু ‘কলকাতা ট্রামওয়েজ কোম্পানি’, বাগবাজারে ট্রাম চালাবার জন্য ‘কলকাতা করপোরেশনের’ সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ১৮৭৯ সালের ২রা অক্টোবর তারিখে, তাই এর থেকে প্রমাণিত হয় যে -- ‘নবীন’, রসগোল্লা আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৮০ সালের পরে। কিন্তু পরবর্তীকালের গবেষণায়, রসগোল্লার আবিষ্কার যে ১৮৮০ সালের পরে হয়েছিল -- এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে।


'বর্তমান পত্রিকা'-র বিবরণ

 ‘নবীন’ যে ১৮৬৮ সালেই রসগোল্লার আবিষ্কার করেছিলেন, সেটা প্রথম, ১৯৮৮ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে। ‘গৌতম হোড়’ নামের এক অখ্যাত খাদ্য গবেষক প্রথম জানিয়েছিলেন। সেই প্রবন্ধে তিনি স্পষ্টভাবে লিখেছিলেন -- “নবীন চন্দ্র দাস রসগোল্লা সৃষ্টি করেছিলেন ১৮৬৮-তে।” নবীনচন্দ্র দাসের পূর্বপুরুষরা ছিলেন চিনির ব্যবসায়ী। সেই সময়ের আগে, রস বড় মাটির পাত্রে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হত। সেই গুড় থেকে উৎপন্ন হত চিনি, তবে ওই পদ্ধতিটা ছিল আদিম। ওই গুড়কে ‘পাতা’ নামের এক প্রকার শ্যাওলা দিয়ে ঢেকে দেয়া হত। সেই গুড় বা ‘ঝোলাগুড়ে’ যেসব লাল বা বাদামি রং-এর নোংরা থাকত, সেগুলো সরে গিয়ে একসময় চিনি বেরিয়ে আসত। শুদ্ধিকরণের সেই পদ্ধতিটি প্রাচীন হলেও, ওই চিনির স্বাদ নাকি বর্তমানের থেকে অনেক ভালো ছিল। এক সময়, নবীনচন্দ্রের পূর্বপুরুষেরা বাংলার চিনির বাজারের একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৮৪৬ সালে নবীনের জন্ম হওয়ার সময় থেকেই তাঁর পারিবারিক ব্যবসায়ের রমরমা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। নবীনচন্দ্র তাঁর জন্মের তিন মাসের মধ্যেই পিতাকে হারিয়েছিলেন। আর্থিক দুরবস্থার কারণে লেখাপড়া না হওয়ায় তিনি ১৮৬৪ সালে, ‘জোড়াসাঁকো’-তে একটা মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু সেই দোকান তেমন চলে নি। এর ঠিক দু-বছর পরে, বাগবাজারের একটি পোড়োবাড়িতে তিনি নতুন একটি মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন। সেই সময়, ‘জিলাপি’ আর ‘পাঁচমিশালি মিষ্টি’ বানাতে বানাতে ক্লান্ত নবীনচন্দ্র চাইছিলেন যে, তিনি ছানা দিয়ে এমন একটি রসসিক্ত মিষ্টি বের করবেন, যা সবাইকে চমকে দেবে। একদিন দুপুরে কাজ শেষ করতে করতে তিনি খেয়ালের বশে, ছানার গোল্লাকে চিনির রসে ফেলে ভেজে তুলেছিলেন। এভাবেই খেয়ালের বশেই তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন রসগোল্লার রেসিপি। কিন্তু তাঁর সেই নতুন মিষ্টি জনপ্রিয় হবে কিনা, তা নিয়ে তিনি খুব একটা নিশ্চিন্ত ছিলেন না। তাই তিনি অন্য মিষ্টির সঙ্গে সেটি বিক্রি করতেন না। নবীনচন্দ্রের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা ‘মার্কেট সার্ভে’ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও তিনি তাঁর সহজাত ব্যবসায়িক বুদ্ধির বলে বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর আবিষ্কৃত সেই নতুন মিষ্টির বাজার প্রতিক্রিয়াটা জানা খুবই জরুরি। তাই তিনি তাঁর আত্মীয়, বন্ধু ও চেনাজানাদের ওই মিষ্টিটি খেতে দিতেন -- তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। এরপরে একদিন সকালে, নবীনচন্দ্রের বাগবাজারের দোকানের সামনে হাজির হয়েছিল একটি ঘোড়ায় টানা জুড়িগাড়ি। সেই গাড়িতে ছিলেন তৎকালীন কলকাতার ধনী ব্যবসায়ী -- ‘ভগবানদাস বাগলা’। সেদিন ভগবানদাসের এক ছেলের খুবই জল তেষ্টা পেয়েছিল। নবীনচন্দ্র এগিয়ে এসে তাঁকে জল দিয়েছিলেন এবং সঙ্গে দিয়েছিলেন একটি রসগোল্লা। ওই ছেলেটি সেই নতুন ধরনের মিষ্টি দেখে প্রথমে একটু থমকালেও, সেটি খেয়ে একেবারে আহ্লাদিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ছুটে গিয়ে তাঁর বাবাকেও সেই মিষ্টিটি খেয়ে দেখতে বলেছিলেন। রসগোল্লা খেয়ে ভগবানদাসও বাক্যহারা হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরে নিজের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের জন্য ভগবানদাস, নবীনের কাছ থেকে কয়েক হাঁড়ি রসগোল্লা কিনে নিয়েছিলেন। এবং কার্যত ওই দিন থেকেই, বাঙালির মিষ্টির রাজ্যে রসগোল্লার সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়েছিল। রসগোল্লা জনপ্রিয় হবার পরে, সেটির একটি ‘শিশু সংস্করণ’ বের হয়েছিল। সেই মিষ্টির নাম ছিল -- ‘রসমুণ্ডী’। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের kolkata-য় একটা রসগোল্লার দাম ছিল -- দু-পয়সা। আর ওই একই সময়ের kolkata-য় এক পয়সাতে চারটে ‘রসমুণ্ডী’ পাওয়া যেত। উপরন্তু ক্রেতা ‘ফাউ’ চাইলে দোকানীরা একটা ‘ফাউ’ও দিতেন। ১৯৮৮ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রবন্ধে, ‘গৌতম হোড়’ আরও লিখেছিলেন যে -- “সিমলার নকুড় নন্দীর দোকানও ১৪৪ বছরের পুরানো।” যদিও এটি সন্দেহজনক উক্তি। কেন-না আজ পর্যন্ত কেউই সঠিকভাবে জানেন না যে পুরানো kolkata-র কোনো মিষ্টির দোকান ঠিক কতটা প্রাচীন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ‘নকুড় নন্দী’র শ্বশুরমশাই ছিলেন গিরীশচন্দ্র দে। ‘কড়া পাক সন্দেশ’ তৈরির জন্য, পুরানো kolkata-য় তাঁর অসাধারণ প্রসিদ্ধি ছিল। কলকাতায় ‘শোনপাপড়ি’ চালু করেছিলেন -- ‘নেপালচন্দ্র হালুইকর’। তাঁর আদি দোকানটি ছিল ‘আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে’। তবে ‘শোনপাপড়ি’ অবশ্য ‘নেপালচন্দ্র হালুইকরের’ আবিষ্কৃত মিষ্টি নয়। তাঁর অনেক আগে থেকেই, ‘বিহার’ ও ‘উত্তরপ্রদেশে’ ওই মিষ্টিটি প্রচলিত ছিল। স্বামী বিবেকানন্দের অনুজ, মহেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছিলেন যে, উত্তর ভারতের মিষ্টান্ন, যথা -- ‘অমৃতি’, ‘জিলাপি’, ‘বালুসাই’, ‘রাবড়ি’ ইত্যাদি তাঁর সময়েই অর্থাৎ উনিশ শতকের শেষের দিকে kolkata-য় আমদানি করা হত। মহেন্দ্রনাথ দত্ত প্রদত্ত তত্ত্বে ভুল কিছু নেই, কারণ, কলকাতায় উত্তর ভারতের মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকদের আগমন ঘটেছিল ১৮৬৪-৬৫ সাল নাগাদ, অর্থাৎ, kolkata-র সঙ্গে উত্তর ভারতের রেলপথে যোগাযোগ স্থাপনের পরে।


হরিদাস মোদকের মিষ্টির দোকান                                          

বিংশ শতাব্দীর সূত্রপাতের কলকাতায়, ‘শ্যামবাজারের’ ‘পাঁচমাথার মোড়ের’ প্রসিদ্ধ সন্দেশ-দইয়ের দোকান ছিল ‘হরিদাস মোদকের’। প্রথম দিকে হরিদাস মোদকের দোকানটি ছিল ‘শ্যামবাজার বাজারের পূর্বদিকে’, একখানা চালা ঘরের মধ্যে, ‘শ্যামবাজার ব্রিজ রোডের’ ওপরে। পরে ওই রাস্তা বিস্তৃতকরণ করে ‘আর. জি. কর রোড’ সৃষ্টির সময়, হরিদাস মোদকের দোকানটি উঠে এসেছিল ‘শ্যামবাজার পাঁচমাথা’র সামনে - ‘আপার সার্কুলার রোডের উপরে (বর্তমানের ‘আচার্য প্রফুল্লচন্দ্ৰ রোড’)। সেই দোকানটি এখনও জীবিত রয়েছে। ‘সন্দেশ’, ‘ছানার জিলাপি’ ও ‘জিভেগজা’র জন্য ওই দোকানটি এখনও বিখ্যাত। 


সমসাময়িক কলকাতার অন্যান্য মিষ্টির দোকান

ওই একই সময়ে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘মম্বুলিয়াটোলা’য় ছিল ‘দ্বারিকচন্দ্র ঘোষের’ দোকান। দ্বারিকচন্দ্ররও সুনাম ছিল ‘সন্দেশ’ ও ‘দই’য়ের জন্য। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের শেষের দিকে, দ্বারিকের আরেকটি দোকান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - ‘শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে’। তার আগে, ওই একই জায়গায় ছিল - ‘বিপিন ময়রার দোকান’। পরে কলকাতার নানা জায়গায় দ্বারিকের দোকানের আরো বিভিন্ন শাখা খোলা হয়েছিল। এমনকি কলকাতার বাইরে, ‘দেওঘরে’ও দ্বারিকচন্দ্রর একখানা দোকান খোলা হয়েছিল। কিন্তু পরে গৃহবিবাদের জেরে, দ্বারিকের দোকানগুলির হয় বিলুপ্তি, আর তা নয় তো অবনতি ঘটেছিল। বর্তমানের শ্যামবাজারের শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক হল, ‘ফড়িয়াপুকুর স্ট্রীটের’ ‘সেন মহাশয়’-এর দোকান। ওই দোকানের ‘কেশব ভোগ’ ও ‘মালাই চপ’ বিখ্যাত। কলকাতার ‘বহুবাজার’ বা ‘বৌবাজার’ অঞ্চলের ‘নবকৃষ্ণ গুঁইয়ের’ দোকানের এখন বৃদ্ধি ঘটেছে। ওই দোকানের তৈরি ‘ছানার মুড়কি’ তুলনাহীন ও অদ্বিতীয়। এরই পাশে ‘ভীম নাগের’ দোকানের আয়তন ক্রমশঃ হ্রাস পেয়েছে। অথচ একসময় ‘ভীম নাগ’ই ছিল কলকাতার শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন বিক্রেতা। অতীতে অনেককেই দেখেছিলেন যে, ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত ‘স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়’, বিকালে ‘কলেজ স্ট্রিট’ ও ‘বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রিটের’ মোড়ে পুরানো ‘অ্যালবার্ট বিল্ডিং’-এর তলায় অবস্থিত ‘আর ক্যামব্রের বইয়ের দোকানে’ গল্পগুজব করে, বাড়ি ফেরবার পথে তাঁর গাড়ি দাঁড় করাতেন ভীম নাগের দোকানের সামনে, এবং ওই দোকান থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হত আধ সের সন্দেশ, যা তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাত না। গাড়িতে বসেই মিষ্টান্নবিলাসী স্যার আশুতোষ, সেটা শেষ করতেন। তবে ভীম নাগের দোকান, আকৃতিতে অনেক ছোটো হয়ে গেলেও, ওই দোকানের তৈরি সন্দেশ -- গুণ ও স্বাদের দিক দিয়ে আজও পুরানো কলকাতার ঐতিহ্যকেই বহন করে। বর্তমানে তো কলকাতার অলিতে গলিতে মিষ্টান্নের দোকান। তবে সেই সব দোকানের মধ্যেও পুরানো কলকাতার কয়েকটি দোকান, বিশেষ ধরনের মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত। যেমন - ‘শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ের’ কাছের ‘যোগমায়া মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘ভাপা সন্দেশ’, ‘শৈল সুইটস’-এর ‘ল্যাংচা’, ‘ফড়িয়াপুকুরের মোড়ে’ ‘অমৃত’-এর ‘দই’, ‘জলযোগ’-এর ‘দই’ ও বড়দিনের সময় তৈরী নানারকমের ‘কেক’ ইত্যাদি, ‘রাধা সিনেমা’র নীচে অবস্থিত ‘কে. সি. ঘোষের’ দোকানের ‘রসমালাই’ ও ‘মালাই চপ’, ‘গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘নোনতা’, ‘ঢাকাই পরোটা’, ‘ঢাকাই শোনপাপড়ি’, ‘কড়াপাকের অমৃতি’ ও ‘ক্রিম রোল’, ‘রঙমহল থিয়েটারের’ পাশে অবস্থিত ‘নদীয়া সুইটস’-এর ‘পান্তুয়া’ ও ‘সরপুরিয়া-সরভাজা’, ‘গরাণহাটার মোড়ে’ অবস্থিত ‘সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ সকালবেলার ‘জিলিপি’ ও বিকেলবেলার ‘মালপোয়া’, ‘সুকিয়া স্ট্রীটের’ ‘নন্দলাল ঘোষের’ দোকানের ‘রাবড়ি’, ‘জোড়াসাঁকো’র ‘নেপাল হালুইকরের’ ‘গাজরের হালুয়া’, ‘বিবেকানন্দ রোড’ ও ‘সেন্ট্রাল অ্যাভেন্যু’র মোড়ে অবস্থিত ‘শর্মা’র দোকানের ‘কালাকাঁদ’ ও ‘কাজু বরফি’, ‘কলেজ স্ট্রীটের মোড়ে’ ‘কলেজ রো’-এর ভিতরে অবস্থিত ‘সন্তোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘ছানার পায়েস’, ‘শিয়ালদহের’ কাছে অবস্থিত ‘নাটোর সুইটস’-এর ‘রসকদম্ব’, ‘মধুরিমা’র ‘রসকদম্ব’, ‘সত্যনারায়ণ গুপ্তের’ ‘সন্দেশ’, ‘কমলা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘কমলাভোগ’, ‘নাগের’ ‘ঘিয়েভাজা গজা’, ‘হ্যারিসন রোড’ ও ‘চিৎপুর রোডের’ মোড়ে অবস্থিত ‘ইন্দ্রের দোকানের’ ‘বেদনা বোঁদে’, ‘ধর্মতলা’য় ‘শর্মা’ কিংবা ‘কল্পতরু’র নানারকম মিষ্টান্ন (কম দামি প্যাঁড়া সমেত), ‘জানবাজারের’ ‘সরস্বতী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘দই’ ও ‘বেলের মোরব্বা’, ‘তালতলা’র ‘যশোদা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘যশোধি’, ‘মল্লিকবাজারের’ ‘লিলী সুইটস’-এর ‘সন্দেশ’ (বিশেষ করে ‘কাঁচাগোল্লা’), ‘বেকবাগানের’ ‘মেঠাই’-এর ‘কড়াপাক সন্দেশ’, ‘তেওয়ারি’র ‘জিলিপি’ ও ‘লাড্ডু’, ‘ভবানীপুরের’ ‘সেন মশাই’-এর ‘রোজক্রীম’ ও ‘দ্বারিক’-এর ‘নিকুতি’, ‘হরির হরিভোগ’ বা ‘কেক সন্দেশ’ ইত্যাদি। তবে পুরানো কলকাতার অনেক ধরনের মিষ্টান্ন এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন -- ‘তিলকুটো’, ‘জিভেগজা’, ‘চিত্রকুট’, ‘ক্ষীরের বরফি’, ‘বেলের মোরব্বা’, ‘ছানার গজা’ ইত্যাদি। আগে ওগুলো কলকাতার প্রতিটা মিষ্টান্নের দোকানেই পাওয়া যেত। বর্তমানে কিছু কিছু বিশেষ দোকানে পাওয়া যায়।


তথ্যসূত্র:

১. কলকাতার পুরাতন কাহিনি ও প্রথা -- মহেন্দ্রনাথ দত্ত।


২. কলকাতার কড়চা -- বিনয় ঘোষ।


৩. ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা -- ড. অতুল সুর।

কিভাবে জানব ভালবাসা আসল কিনা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কিভাবে জানব ভালবাসা আসল কিনা


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসে, তুমি জানো এবং তুমি তা অনুভব করবে। প্রমাণ পাওয়া যাবে।


নীচে কিছু প্রমাণ দেওয়া হল...


✅ মনোযোগ


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, সে তোমাকে গুরুত্ব দিবে। আমরা যে জিনিস ভালোবাসি সেগুলোকেই গুরুত্ব দেই।


✅ যত্ন নিন


কেউ যখন তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার ভালোর খেয়াল করবে। যে তোমার মঙ্গলের পরোয়া করে না সে তোমাকে ভালোবাসে না।


✅ যোগাযোগ


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনার সাথে যতটা সম্ভব যোগাযোগ করবে। যাকে ভালবাসো তার কন্ঠ শুনলে আনন্দ লাগে।


✅ দান করছি


ভালোবাসার প্রাকৃতিক বহিরঙ্গন হচ্ছে। যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমাকে দিবে। এটা অর্থ থাকতে হবে না কিন্তু সেখানে দান থাকবে।


✅ একসাথে সময় কাটাচ্ছি


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছা করবে এবং অনেক ইচ্ছা করবে। যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন, আপনি তার উপস্থিতি কামনা করবেন। যে তোমার সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে না, সে তোমাকে ভালোবাসবে না।


✅ বলিদান


ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ হলো ত্যাগ। ভালোবাসা মানে আত্মসন্ধানী নয়। ভালবাসা সবসময় প্রিয় মানুষটির খরচে নিজেকে ব্যয় করে। যে মানুষটি তোমার মন ভালো করার জন্য একবারের জন্য পথ থেকে সরে যাচ্ছে না, সে হয়তো তোমাকে ভালোবাসবে না। ভালোবাসা হলো উৎসর্গীকৃত।


✅ ধৈর্য


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনার সাথে ধৈর্য ধারণ করবে। তারা আপনার দুর্বলতা, ডাউন টাইম ইত্যাদিতে ধৈর্য ধারণ করবে।


✅ সুরক্ষা


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে, সে নিশ্চিত করবে যে আপনি নিরাপদে আছেন।


✅ দয়া


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার প্রতি দয়ালু হবে। ভালবাসা দয়ালু। কঠোরতা ঘৃণা, অসন্তোষ বা রাগের লক্ষণ ভালোবাসার লক্ষণ নয়।


✅ অশ্লীলতা


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে। তারা তাদের গার্ড হারাবে, তাদের প্রতিরক্ষা বন্ধ করবে, তারা ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলবে এবং তারা তাদের দুর্বল দিকগুলি আপনাকে দেখাবে আশা করে আপনি তাদের ক্ষতি করবেন না।


✅ সমর্থন করুন


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, সে তোমাকে যত সামর্থ্য দিয়ে সমর্থন করবে। তারা আপনার স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করবে, তারা আপনাকে আর্থিক, আধ্যাত্মিক, আবেগগতভাবে এবং অন্যথায় সহায়তা করবে।


✅ বিনিয়োগ


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তারা আপনার সাথে মানসিক, আবেগগতভাবে, অর্থনৈতিকভাবে যতটা না দেখা হয়েছে তার চেয়ে ভাল করার জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করবে। ভালোবাসা গড়ে ওঠে।


সুতরাং এইগুলি কিছু লক্ষণ যা দেখায় যে কেউ আপনাকে ভালবাসে।


তুমি কিভাবে জান যে ভালবাসা আসল?


✅ সময় দাও


আমি সম্প্রতি রেনো ওমোক্রির কাছ থেকে কিছু পড়েছি যা আমার কাছে অনেক অর্থবহ করেছে। আসলে, আমি যা বলতে চাই তা আমার জন্য নিখুঁত পরিপ্রেক্ষিতে রাখে।


তিনি বলেন, "কোন মাস্ক চিরকাল পরা যায় না। মানুষকে সময় দিন। এদের মুখোশ পড়ে যাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত এদের সাথে বিয়ে বা ব্যবসা করবেন না। ভালবাসুন, কিন্তু সতর্ক থাকুন। "


গর্ভাবস্থা চিরকাল ঢাকা যাবে না, সময়ের সাথে সাথে তা প্রকাশ পাবে সবার দেখার জন্য।


সুতরাং, ব্যক্তিকে সময় দিন। সে বলে তোমায় মন দিয়ে ভালবাসে,তুমি তার সকালের তারা,রোদ,চায়ে চিনি,রুটিতে মাখন,তার একমাত্র নারী,কোন সমস্যা নাই। সময় দাও।


যখন সে সেক্স চায় এবং আপনি তাকে বলেন বিয়ে না করা পর্যন্ত সেক্স করবে না, তখনও কি সে প্রেম করেই যাবে?


তুমি যখন নিজেকে খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পাবে, হয়তো তুমি গুরুতর অসুস্থ, তখনও কি সে ভালোবাসবে?


সে বলে সে তোমাকে ভালবাসে, তুমি তার পৃথিবী এবং তুমি তার কাছে সবকিছু। তোমাকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না বা বাঁচতে পারবে না। তুমি তার অক্সিজেন এবং জীবনশক্তি। কোন প্রবলেম নাই। সময় দাও।


যখন আপনি আপনার চাকরি হারাবেন বা আপনার ব্যবসায় একটি বড় আঘাত পেয়েছেন, সে কি এখনও ভালোবাসবে?


যখন তুমি ভেঙ্গে পড়বে এবং তার আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে না, সে কি তখনও ভালোবাসবে নাকি অন্য ছেলের সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবে?


তাড়াহুড়া করবেন না। সময় দাও। সময় একটি প্রকাশকারী। ভালোবাসাটা সত্যি কি না সময়ের সাথে সাথে বুঝা যাবে মানুষটা সত্যি বলছে না মিথ্যা বলছে। ভালবাসা অবিরত থাকে এবং ভালবাসা দীর্ঘ কষ্টের। ভালবাসুন, কিন্তু সতর্ক থাকুন।


"ভালোবাসা সত্যি কি না সেটা সময়ই প্রকাশ পাবে... "



শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২১-০৯-২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২১-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


তিন পার্বত্য জেলায় সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের --- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পরিদর্শন করবে আজ।

    

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা --- পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি। 

     

ছুটির দিন শুক্রবারেও শুরু হলো মেট্রোরেলের চলাচল --- আবার চালু হলো কাজীপাড়া স্টেশন।

     

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন ২৭শে সেপ্টেম্বর --- বিশ্ব সংস্থায় বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হবে --- জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

        

শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের --- বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

        

২০২২ সালের গণ বিক্ষোভের পর শ্রীলঙ্কায় এই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

       

এবং চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গতকালের ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং পুনরায় শুরু করবে স্বাগতিক ভারত।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ২০-০৯ -২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ২০-০৯ -২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


আজ থেকে শুক্রবারসহ প্রতিদিনই চলবে মেট্রোরেল --- ফের চালু হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন।

         

পয়লা অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন --- ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন। 

         

অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ– ২০২৪ এর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন।

         

ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক –-- জানালেন অর্থ উপদেষ্টা।

          

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ।

 

লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে সকল সীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল --- কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর।

         

এবং চেন্নাইতে প্রথম ক্রিকেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গতকালের ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং পুনরায় শুরু করবে স্বাগতিক ভারত।

বাদীর জেরা- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাদীর জেরা- 

১।  আপনি কি বিল্লুকে আপনার ঝাপি থেকে   মাছ নিয়ে যেতে দেখছেন? 

- জ্বী। 

২। দেখার পরেও আপনি চুপ করে বসেছিলেন? 

- না। 

৩। বিল্লুকে তাড়া করেছিলেন?

- জ্বী। 

৪। ধরতে পারেননি?

- না। 

💚💚 বিল্লু আপনার চেয়ে বুদ্ধিমান এবং বেশি দৌঁড়াতে পারে। 

- সত্য নয়।

৫।  বিল্লুকে তাড়া দেওয়ার সময়ে অন্য কেউ দেখেছে? 

- মনে পড়ছে না।

৬। আপনাকে বিল্লুকে তাড়া করতে  দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী আছে আপনার কাছে?

- না। 

💚💚 আপনি বিল্লুকে মাছ চুরি করতে দেখেননি। তাড়াও করেননি।

 -- সত্য নয়। 


৭। বিল্লু কী মাছ  নিয়েছিল? 

-- রুই মাছ। 

৮। বাজারে আপনি একাই কি রুই মাছ বিক্রি করেন? 

- না। 

৯। আরও অনেকে রুই মাছ বিক্রি করে? 

- হ্যাঁ। 

১০। অন্যদের মাছের চেয়ে আপনার মাছের চেহারা সাইজ আলাদা?  অন্যদের মাছের সাথে মেলালে আপনার দোকানের মাছ আলাদা করা যায়? 

- না। 

১১।  বিল্লুর কাছের যে রুইমাছ এরকম মাছ আপনি ছাড়াও আরও অনেকে বিক্রি করে?

- হ্যাঁ। 

১২। বিল্লুর কাছের পাওয়া মাছটা আপনার দোকানের কিনা প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়া  তা যাচাই করার আর কোনো উপায় আছে? 

- না। 

১৩। বিল্লুকে মাছ নিয়ে যেতে আপনি ছাড়া আর কেউ দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী কি আপনি কোর্টে উপস্থাপন করেছেন? 

- না। 

😏😏পর্যাপ্ত সাক্ষ্য  প্রমাণের অভাবে বিল্লুর বিরুদ্ধে চুরির  অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিল্লুকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।



বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা,,,, মাসুক শাহর মাজার ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?


সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি, 


"হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"


প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,


১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।

২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।

৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।

৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।

৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷ 

৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷ 

৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।

৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না। 

৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।

১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।


ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি  বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।


আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।

ভালবাসায় বেচে থাকুক সব পরিবার


বিয়ের আগে বোনদের মানসিক প্রস্তুতি:,,,,,

বিয়ের আগে বোনদের মানসিক প্রস্তুতি:

বিয়ের আগে মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতিটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। 
কারণ, পুরুষ যত টাকা আয় করুক না কেন, ঘর কিন্তু সামলে রাখেন ঘরের মেয়েরাই।
 পুরুষরা হলেন ঘরের ড্রাইভারের মতো, আর মেয়েরা হলেন সেই ঘরের ইঞ্জিন। 
ইঞ্জিন ছাড়া যেমন গাড়ি চলবে না, ড্রাইভার ছাড়াও গাড়ি চলা অসম্ভব।

তাদের সবচেয়ে বড় মানসিক প্রস্তুতি হলো, এত বছরের চেনা পরিবেশ আর নিজ পরিবারকে দূরে রেখে নতুন এক পরিবেশে গিয়ে নতুন পরিবারকে আপন করে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি।
 তাদেরকেই এখন থেকে জীবনের সুখ-দুঃখের অংশীদার বানিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি।

মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই বাসার সবচেয়ে আদুরে হয়ে থাকে। 
তাদের আবদারও থাকে বেশি।
 আবার কেউ কেউ বড্ড অভিমানীও হয়।
 কিন্তু বিয়ের পর এই মেয়েকেই অনেক আবদার পরিস্থিতি বুঝে মনের মধ্যেই চেপে যেতে হয়।

আগে হয়তো নিজের বাসায় এঁটো বাসনগুলোও ধরতে ঘেন্না হতো, এখন তাকে এসব তো পরিষ্কার করতে হবেই, ক'দিন বাদে সন্তানের মল-মূত্রও নিজহাতে সাফাই করতে হবে।
 অথচ বিয়ের আগে এর মানসিক প্রস্তুতি না-থাকার কারণে অনেক মেয়েই শ্বশুরবাড়ি এসে ভেঙে পড়ে। 
মন খারাপ করে বসে থাকে। সবাই এমন তা নয়, অনেকেই ছোট থেকে ঘরের সব কাজ করা শিখে নেয়; তাদের জন্য বিয়ের পর সবকিছু মানিয়ে নেয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

আবার অনেকের অভ্যাস হলো সকালে আটটার আগে ঘুম না ভাঙা।
 আটটার পর মা এসে টেনেটুনে ঘুম ভাঙান।
 এ নিয়ে বাসায় প্রতিদিন বকাঝকা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। 
কিন্তু বিয়ের পর এমন হলে চলবে না বোন, এখন ফজরের পর উনুনের আগুনটা প্রথমে আপনাকেই ধরাতে হবে।
 আগে হয়তো বাসায় বুয়া এসে কাপড়চোপড় ধুয়ে দিতেন। 
শ্বশুরবাড়ি তো বুয়া নাও থাকতে পারে, তখন নিজের কাপড়, স্বামীর কাপড়, প্রয়োজনে খেদমতের নিয়তে শ্বশুর-শাশুড়ির কাপড়ও ধুয়ে দিতে হবে।

বিয়ের পরে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি সহ্য করতে হয় তা হলো, শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন আত্মীয়দের কটুকথা। বাবার বাড়ি থেকে কী দিল? কে কে দেখতে আসল? রান্না এমন কেন?
 শরীর এত শুকনো কেন? মাথায় চুল কম কেন? বাবার বাড়ি এত যাওয়া লাগে না কি, বছরে একবার গেলেই তো হয়!— এসব নানারকম কথা শুনতে হয় মুখ বুজে।

বাবার বাড়ির রাজকন্যা এখানে এসে হয়ে যায় ঘরের বউ। 
পার্থক্য এটাই যে, বাবার বাড়িতে তার মন জুগিয়ে চলতে হতো সবার।
 তার অভিমানের কাছে যেন রাজ্যের ক্ষমতাও নস্যি। 
কোনো কিছু চাওয়ার আগেই যেন তার সামনে তা হাজির করার জন্য সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। অথচ এখন এখানে তাকে চলতে হবে সবার মন জুগিয়ে। 
এখানে অভিমানগুলো সব আঁচলেই মুছে যায়। কত আবদার হারিয়ে যায় স্বামীর সামর্থ্য না থাকার কারণে। 
এসব মেনে চলার জন্য বিয়ের আগেই মানসিক প্রস্তুতি দরকার।
.
বই: 'বিয়ের আগে :
 ফ্যান্টাসি নয়, হোক বাস্তব প্রস্তুতি' বই থেকে

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ১৯-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ১৯-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


এক হাজার দুশো কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত।


অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সমর্থন দেবে জার্মানি - বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০ কোটি ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।


যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এখনো চাকরিতে যোগ দেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না - নেওয়া হবে শৃংখলামূলক ও আইনগত ব্যবস্থা।


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যায় উস্কানীদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে -বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য "অন অ্যারাইভাল ভিসা" পুনরায় চালু করার  অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।


লেবাননে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে ২০ জনের প্রাণহানি। 


চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম ক্রিকেট টেস্ট শুরু হচ্ছে আজ।

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১৮-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১৮-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীকে আগামী দুই মাসের জন্য দেশব্যাপী বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।


একশো কোটি টাকা সরকারি অনুদান নিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু।


অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের দু’শো কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি।


বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা আশা করছে সরকার - জানালেন অর্থ উপদেষ্টা।


বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে একশো কোটি ইউরো দিচ্ছে জার্মানি। 


দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


লেবাননজুড়ে একযোগে হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যোগাযোগ যন্ত্র পেজার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জন নিহত ও দুই হাজার সাতশো জনের বেশি আহত।


গলে স্বাগতিক শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হচ্ছে আজ।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১৭-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১৭-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


রাজধানীর যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর উপায় বের করতে পুলিশ এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


নৌ পথে চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। 


বিগত সরকারের আমলে পদোন্নতি-বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন।


পহেলা জুলাই থেকে ১৫ই আগষ্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল।


মধ্য ইউরোপের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি - মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬।


আজ কলম্বোয় চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে শ্রীলংকা নারী “এ” দলের মোকাবেলা করবে  বাংলাদেশ নারী “এ” দল।

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১৫-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১৫-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


দরগাহ ও মাজারে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা - জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ।


চাপ সৃষ্টি না করে স্বেচ্ছায় কর দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান।


দেশে সারের কোনো সংকট নেই - মজুতদারদের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ কৃষি উপদেষ্টার। 


চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৪ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।


বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মার্কিন প্রতিনিধিদল এখন ঢাকায়।


আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম।


স্থলহামলার আশঙ্কায় গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে হাজারো ফিলিস্তিনিকে সরে যাবার আদেশ ইসরাইলী সেনাবাহিনীর।


আজ কলম্বোয় তৃতীয় নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে শ্রীলংকা ‘এ’ দলের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১৪-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১৪-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস - আটকা পড়েছেন সহস্রাধিক পর্যটক।


দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন প্রতিনিধিদল।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৮৭৫, আহত তিন সহস্রাধিক - জানালো মানবাধিকার সংগঠন এইচ আর এস এস।


দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটে আবার উৎপাদন শুরু।


বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বিজিবি। 


টাইফুন ইয়াগির ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে মিয়ানমারে ১৯ জনের প্রাণহানি।


কার্ডিফে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারালো স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১২-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১২-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ - জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি শিল্প-কারখানা চালু রাখার আহ্বান ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের।


শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে ‘শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি’ গঠন। 


বৈষম্যহীন ও গতিশীল অর্থনীতির জন্য ১২ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন - ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয় সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন।


বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন - জানালেন পানিসম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা।


গাজায় নুসেইরাত শিবিরে সর্বশেষ ইসরাইলি হামলায় ছয় জাতিসংঘ কর্মীসহ ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত।


তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ২৮ রানে হারালো অস্ট্রেলিয়া।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১৩-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১৩-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সরকারের সাথে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন।


বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ ফেরত আনতে সহযোগিতার আশ্বাস সুইজারল্যান্ডের।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরও গতিশীল করতে একশো দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা।


জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সরকার - মন্তব্য অ্যাটর্নি জেনারেলের।


নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠান নাকচ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাংলাদেশের   বিয়েবাড়িতে  যে  ঘটনাগুলো ঘটবেই:-

 বাংলাদেশের   বিয়েবাড়িতে  যে  ঘটনাগুলো ঘটবেই:-


১. বরযাত্রা শুরু হবে- এসময় দেখা যাবে গুরুত্বপুর্ণ কেউ অনুপস্তিত। খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবে শেভ করতে সেলুনে নয়তো জুতা পলিশ করতে গেছে।


২. যথাযথভাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি এই অভিযোগে দু'একজন আত্মীয় অনুষ্ঠান বর্জন করবে।


৩. বর/কনের চাচা ও মামা পক্ষের মধ্যে একটা রেষারেষি থাকবেই। বিয়েতে কোন পক্ষের কর্তৃত্ব বেশি হবে সেটা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগীতাও চলবে।


৪.গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বর/কনের দুলাভাই কিংবা মামা টাইপের কেউ অভিমান করবে। তার মান ভাঙাতে অন্য মুরুব্বিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবে।


৫. কনের বাড়িতে গেট দিয়ে ঢোকার সময় টাকা দেয়া নিয়ে ব্যাপক দেনদরবার হবেই। কখনও কখনও এটা মারামারির পর্যায়ে চলে যায়।


৬. বরযাত্রীরা কখনই যথা সময়ে কনের বাড়ি পৌছতে পারবে না। এবং নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বরযাত্রী বেশি হবেই। এটা নিয়ে কনে পক্ষের খোটাও শুনতে হবে।


৭. পাত্র পক্ষের দেয়া শাড়ি কিংবা গহনার মান নিয়ে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত কনের খালা/ফুফুরা বেশি ভুমিকা পালন করে।


৮. মেয়ের বাবা কর্তৃক ছেলের যোগ্যতা অনুযায়ি 'খুশি করে দেয়া'(যৌতুক নয় কিন্তু) নিয়েও বাদানুবাদ হবে।


৯.খাবার  নিয়ে  একটা  ঝামেলা  হবে, অনেক  সময়  অতিরিক্ত  মেহমানের  কারণে  কোন  একটা  নির্দিষ্ট   আইটেমের   শর্ট   পড়বে, আর  তাতেই  শোরগোল  ও  হুলস্তূল  পড়ে  যাবে। অনেকেই  গরুর  মাংস  খায়না  অজুহাত  দেখিয়ে   মুরগির  রোস্ট   ডাবল   নেওয়ার  চেষ্টা  করবে । পরে  আবার  গরুর  মাংসের ঐ  আইটেমটাও  নেবে।


১০.কোন   তরুণীকে   বিরক্ত   করাকে  কেন্দ্র  করে  দুপক্ষের  মধ্যে   শোরগোল  এবং  বাক্যবিনিময়  হবে।


১১.বর বা  কনে  যতই  সুন্দর  হোক  না  কেন   দাওয়াতে  আসা  মানুষজন  খুঁত  বের  করবেই।


১২. নতুন বউয়ের দোষ প্রথম খুজে পাবে বউ দেখতে আসা পাশের বাড়ির মহিলারা। এটা গ্রামে চাউর হবেও তাদের মাধ্যমে। খাবারের মান নিয়েও এরা প্রশ্ন তুলবে।


১৩. বরের  জুতা  চুরির  ঘটনা  ঘটবে, তা  থেকে জিম্মি  করে  টাকাও  ভাগিয়ে  নেওয়া  হতে  পারে।


১৪.  রং  দিয়ে  একে  অপরকে   রাঙ্গানোর  নামে  হালকা  মল্লযুদ্ধ ও  হতে  পারে!


সব শেষে সবাই সবাইকে বলবে- কিছু মনে করবে না ভাই, বিয়ে-শাদীতে এরকম টুকটাক হয়েই থাকে। আমরা আমরাই তো।

😅😅

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১১-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১১-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন প্রদান এবং বাংলাদেশের কৃষি, সামুদ্রিক ও শিল্পসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করবে নেদারল্যান্ড।


ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে কাজ করছে সরকার - জানালেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা - অব্যাহত থাকবে ভারতীয় অর্থায়নে চলমান প্রকল্প।


দেশের  উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যে কোন বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে  - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে - জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য চার দিনের রিমান্ডে - ফারহান ফাইয়াজকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের।


রাশিয়াকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের দায়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।


ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে কলম্বিয়া, বলিভিয়া ও ইকুয়েডর।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইলিশ মাছের জন্য কারো সংসার ভাঙে? 

 ইলিশ মাছের জন্য কারো সংসার ভাঙে? আমার মায়ের ভেঙেছে। মাত্র পাঁচশো টাকা দামের ইলিশ মাছের মাথা নিজে খেয়ে ফেলার অপরাধে আম্মা চিরতরে আব্বার বাড়ি ছেড়ে হাঁটা দেন। ঘটনা টা শুরু থেকেই বলি তবে।


আমার বাবা মায়ের ভালোবাসার বিয়ে। তাদের ই ভালোবাসার ফসল আমি। তবে আমার জন্মের সাত বছর হয়ে গেলেও, আমার দাদী কখনো আম্মাকে আপন করে নিতে পারেন নি। আম্মার প্রতিটা কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখতো দাদী। একটা কিছু ভুল পেলে, তা নিয়েই গাল মন্দ করে দিন পার করা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। আম্মার প্রতি দাদীর এহেন আচরণের কারণ ছিল, দাদীর বোনের মেয়ে "মিতা ফুপি"। তিনি ছোট বেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে থাকতেন। দাদীই তাকে বড় করেছেন। তাই দাদী সবসময় চাইতো, মিতা ফুপির সাথে আব্বার বিয়ে দিতে। কিন্তু আব্বা সে কথা অমান্য করে আম্মাকে বিয়ে করে নেন। বিয়ের আগ অব্দি আব্বা দাদীর সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তাই দাদীর কথা অমান্য করে আম্মাকে বিয়ের ব্যাপারটা দাদী এত বছরেও হজম করতে পারেন নি। সেই রাগ আজ দশ বছর ধরে উনি আম্মার উপর তুলছেন।


আমার আম্মার ইলিশ মাছ খুব প্রিয় ছিল। তবে আব্বা ইলিশ মাছ আনতেন না সহজে। আনলেই দাদী চিৎকার জুড়ে দিত। আম্মা নাকি ইলিশ মাছের কাঁটা গলায় বিঁধিয়ে দাদীকে মারতে চান। কাঁটা শুধুই অযুহাত ছিল, মূলত দাদী চাইতেন না আম্মা নিজের পছন্দের খাবার খাক। এটা সবাই বুঝতো। তবে সাংসারিক শান্তির জন্য আম্মা ও আস্তে আস্তে ইলিশ খাওয়া ছেড়ে দিল। তার হয়ে আব্বা কোন দিন দাদীকে কিছু বলেন নি। যতকিছু ই হোক আব্বা সারাক্ষণ আম্মারে বলতো,

-" শেফালি, আম্মা বুড়া মানুষ। আর কয়দিন ই বা বাঁচবে? ওনার কথা কানে নিও না। একটু সহ্য করো। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।"


আম্মা আব্বার কথা পুরোপুরি মান্য করতো না। তিনি চুপচাপ সহ্য করলেও, কথা ঠিক ই কানে নিতেন। আর চোখের পানি ফেলতেন। আমি ড্যাবড্যাব করে আম্মার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ই কিছু বুঝে উঠতে পারতাম না। 


আম্মারে দেখতে না পারলেও দাদী আমাকে খুব আদর করতেন। হয়তো ওনার একমাত্র ছেলের অংশ বলেই। পুরো বাড়িতে যার সাথে উনি সব চেয়ে কম উঁচু স্বরে কথা বলতেন, সে হলাম আমি। আমারে উনি বুবু বলে ডাকত। কিছু খেলে, আমার জন্য খানিকটা রেখে দিত। আমিও দিনের বেশিরভাগ সময় দাদীর সাথে লেগে থাকতাম। উনি সারাক্ষণ ই আমার কাছে, আম্মার নামে এই সেই অভিযোগ করতেন। মিতা ফুপি কে বাদ দিয়ে আম্মাকে কেন বিয়ে করছে সেজন্য আব্বাকে নিয়ে আক্ষেপ করতেন।


আমার যখন সাত বছর বয়স, আম্মা আবার সন্তানসম্ভবা হলেন। সবাই মহাখুশি। সেই থেকে আমি আর আম্মা সারাদিন গুটুর গুটুর গল্প করতাম, নতুন বাবুকে নিয়ে। ওই সময় টা আমি সারাদিন আম্মার আগে পিছে ঘুরতাম। তখন অতশত বুঝতাম না। তাই ভাবতাম, এই বুঝি বাবুকে পরী রা দুনিয়ায় দিয়ে যাবে আর আমি বড় আপা হয়ে যাবো। দাদী আদর করে ডেকে কাছে বসালেও আমার মন পড়ে থাকতো আম্মার কাছে। বেশিক্ষণ দাদীর কাছে থাকতাম না। আমার এসব ব্যাবহারে দাদী ফুঁসে উঠতো আম্মার উপর। আম্মা নাকি, আব্বার মত আমাকেও তার থেকে দূরে সরাচ্ছে। আমি ঘুনাক্ষরে ও টের পাই নি, বড় আপা হওয়ার উত্তেজনায় আমি চির কালের জন্য আমার ছোট সাথী কে হারিয়ে ফেলবো।


এক রাতে আমি আম্মা আর আব্বার মাঝে শুয়ে ছিলাম। আব্বা নরম গলায় আম্মারে জিজ্ঞেস করলো,

-"শেফালি, এখন ভালা মন্দ খাইতে হইবো তোমার। নয়তো আমাগো শিমুল রানীর খেলার সাথী দুর্বল হইবো। কও তোমার কি খাইতে মন চায়?"


আম্মা আবেগী গলায় উত্তর দিল,

-"অনেক দিন থেকে ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য মন উথাল পাথাল করতাছে। এখন তো ইলিশের সিজন। আপনি কাল একটা ইলিশ আনবেন? আমি নিজ হাতে রান্না করে খামু।"


আব্বা হাসতে হাসতে সম্মতি দেয়। পরের দিন ঠিক ই সকালে উঠে আব্বা আমারে নিয়ে হাটে যায়। আমি হাটের সব থেকে বড় ইলিশ টার দিকে আঙুল দিয়ে আব্বারে ইশারা করি। আব্বা ওই ইলিশ টাই নেয়। খুশি মনে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেই আম্মার কাছে দৌড়ে যাই। আম্মা ও হাসি হাসি মুখে ইলিশ মাছ টা নিজে কেটে রান্না করে। সারাবাড়ি ইলিশের গন্ধে মো মো করছিল। 


দুপুরে আমাকে আর দাদীকে খেতে দেয় আম্মা। দাদী ইলিশের মাথা চায় খেতে। কিন্তু আম্মা ওটা আগেই খেয়ে ফেলছিলো। স্বভাব সুলভ ভাবে দাদী আবার গাল মন্দ করা শুরু করে আম্মারে। আম্মা তার পাতে মাছের বড় এক পিস দেওয়ার জন্য পাতিল নিয়া আসতেই, তিনি ছোঁ মেরে পাতিল নিয়ে উঠানে ছুড়ে মারে। 


ওই সময় আব্বা দোকান বন্ধ করে দুপুরের ভাত খেতে বাড়ি আসে। বাড়ি তে পা দিতেই দেখে উঠানে ইলিশ মাছের তরকারি পরে আছে। আব্বারে দেখেই দাদী নাক কান্না করতে করতে আব্বার দিকে ছুটে আসে। আব্বা তখন হতভম্ব হয়ে আম্মার দিকে তাকিয়ে আছে। দাদী সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আব্বাকে বানিয়ে বানিয়ে বলেন,

-" দেখ আশরাফ, তোর বউয়ের কাছে ইলিশ মাছের মাথা টা খাইতে চাইছি দেইখা চেইতা গেছে। ওর জন্য আনা খাবার আমি চাইছি কেন? আমি নাকি তোর বউয়ের খানার দিকে নজর দেই। আমি শুধু কইলাম, বুড়া মানুষের মনের কি ঠিক আছে? কখন কি খাইতে মন চায়। তোর বউ আমারে কয়, ওই ইলিশের কাডা যেন আমার গলায় বাইজ্যা আমি মরি। এসব শুইন্যা আমি কান্দন শুরু করছি, তাই পাতিল সহ আমার সামনে ফালাইয়া দিয়া কইছে সব মাছ যেন আমি খাই।"


আব্বা উত্তরের আশায় পুনরায় আম্মার দিকে তাকায়। আম্মা শুধু নিচু গলায় বলে, 

-"পোয়াতি অবস্থায় একটা মাছের মাথা খাইছি বইলা এতো মিথ্যা কথা বলতে আপনার মুখে বাঁধতাছে না আম্মা? আপনিও তো একজন মা। জানেন ই তো এই সময় মনের অবস্থা। "


আম্মার কথা শুনে দাদী দ্বিগুন চেতে যায়। বিশ্রী ভাষায় গালাগাল শুরু করে। গালাগালির এক পর্যায়ে তিনি আম্মারে অভিশাপ দিয়ে বলেন,

-" তুই যদি মিথ্যা বলস, তোর যেন মরা বাচ্চা হয়।"


এটা শুনে আম্মা আর নিজেরে ধরে রাখতে পারলেন না। উঁচু গলায় দাদীকে কটু কথা বলে বসলেন। আব্বা সাথে সাথেই আম্মার গালে একটা চড় মেরে দেন। আম্মা অসুস্থ শরীরে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। এরপর ই ঘটে যায় ভয়ংকর রক্তারক্তি কান্ড। আম্মা মাটিতে পড়ে পেটে হাত দিয়ে একনাগাড়ে চিৎকার শুরু করেন। আব্বা আর দাদী ভড়কে যান। কোন মতে ধরাধরি করব আম্মাকে তখনই হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু আম্মা বেঁচে গেলেও, বাচ্চা টা মরে যায়। আম্মা ওই রাতেই আমাকে নিয়ে নানা বাড়িতে চলে যায়। পরেরদিন সকালে আব্বা আম্মামে আনতে গেলে, আম্মা সোজা সাপ্টা বলে দেন, উনি আর ওই বাড়ি যাবেন না।

আব্বা নিজের কাজের জন্য অনেক ক্ষমা চান। উনি আম্মাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন, দাদীর অভিশাপেই উনি রেগে গেছিলেন। তবে যতই হোক দাদী তো ওনার মা। তাই দাদী কে না পেরে আম্মাকে চড় দিয়ে বসেন।

আম্মা হিসহিসিয়ে বলেন,

-" আমারে যেমন দশ বছর ধরে সবকিছু চুপচাপ সহ্য করে মানিয়ে নিতে বলছেন, ওইরকম আপনার আম্মারেও যদি বুঝাতেন আমারে মানতে না পারলেও মানিয়ে চলতে। তাইলে আজ আমার বাচ্চা টা মইরা যাইতো না। আমার সাথে যা করছেন তার জন্য আপনারে আমি মাফ করলেও। আমার বাচ্চার মরার দায় থেকে আপনারে মাফ করমু না। নিজের বউয়ের উপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে যে পারে না, তার ঘর আমি করমু না।"


এরপর ও আব্বা বহুবার আমাকে আর আম্মাকে আনতে গেলেও আমরা আর যাই নি। আমাকে আম্মা যেতে কখনো নিষেধ করে নি। কিন্তু ওইদিন নিজের মায়ের উপর হওয়া অন্যায় দেখে আমার ছোট মনেও বাবা আর দাদীর জন্য ঘৃণা সৃষ্টি হয়। একসময় আব্বা ও আসা বন্ধ করে দিলেন।


বহুবছর কেটে গেলেও আম্মা আব্বার মধ্যে ডিভোর্স হয় নি। কিন্তু তারা একদিনের জন একসাথে ও থাকেন নি। প্রতি মাসে আব্বা লোক মারফত আমার আর আম্মার খরচ বাবদ টাকা পাঠিয়ে দিত। 


কিন্তু আজ হঠাৎ আব্বা আবার আমাদের দুয়ারে আসেন। এখন আমি মেট্রিক দিবো। আব্বা অনেক টাই বুড়িয়ে গেছেন। আম্মার হাত ধরে হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করেন। দাদী নাকি মৃত্যু শয্যায়। সারাদিন শুধু আম্মার নাম ধরে ডাকে আর কান্না করে। তার শেষ একটা ই ইচ্ছা আম্মার কাছে মাফ চাওয়া। মৃত্যুর কথা শুনে, আম্মা আর স্থির থাকতে পারলেন না। তৎক্ষনাৎ আমাকে বগলদাবা করে দাদীবাড়ির দিকে রওনা দিলেন। 


আম্মারে দেখেই দাদী চোখের পানি ছেড়ে,নিজের করা পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে শুরু করলেন। আম্মা তারে বাচ্চাদের মতো জড়িয়ে ধরে বুঝাতে লাগলো। হঠাৎ দাদী আব্বাকে ডেকে বললেন,

- আশরাফ, বাজান একটা ইলিশ আনবি? অনেকদিন শেফালির হাতের রান্ধন খাই না। খুব ইচ্ছা করতাছে। ও মাছ রান্না কইরা আমার সামনে বইসা মাথা খাইবো। আমি মন ভইরা দেখমু। এতে যদি আমার পাপের ক্ষমা হয়।"


আম্মার দিকে ফিরে বলেন,

-"কিরে মা, এই বুড়ি টারে চাইরডা ভাত রাইন্ধা খাওয়াবি না?"


আম্মা কান্না করতে করতে সম্মতি দিলেন। এই ভালোবাসা টুকুই তো এতবছর মা চেয়েছিলেন। আমি এক কোনে বসে অবাক চোখে দেখি আমার পরিবারের পুণর্মিলন।


.

সমাপ্ত


🖊 জান্নাতুল আক্তার মুন্নি

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...