♦️অমানুষ ছবি সাফল্যের পরে শক্তি সামন্ত
উত্তমকুমারকে নিয়ে আনন্দ আশ্রম ছবিটি করেছিলেন।
আনন্দ আশ্রম শুরু হওয়ার ৫-৬ দিন আগে আনন্দ আশ্রমের হিন্দি স্ক্রিপ্টটা দাদা মনি অর্থাৎ অশোক কুমারের চেম্বারে পৌঁছাতে গিয়েছিলেন পরিচালক প্রভাত রায়।
ট্রিপটা হাতে নিয়েই অশোক কুমার বলেছিলেন,
'এ কি তুমি হিন্দিটা নিয়ে এসেছ কেন? বাংলাটা নিয়ে এসো। @রূপকথা
কদিন পরে বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার উত্তমের সামনে দাঁড়িয়ে অ্যাক্টিং করতে হবে। বাংলা ডায়লগ ঠিকঠাক বলতে না পারলে ও তো আমাকে চিবিয়ে খেয়ে নেবে।'
পরদিন প্রভাত রায় সকালেই অশোক কুমারকে বাংলা স্ক্রিপটা পৌঁছে দিলেন।
বিকেলে উত্তম কুমার কলকাতা থেকে মুম্বাইয়ে পৌঁছেই শক্তি ফিল্মস এর অফিসে হাজির।
বললেন, 'প্রভাত আনন্দ আশ্রমের স্ক্রিপ টা দে।
প্রভাত রায় বাংলাটা হাতে দিতেই বলে উঠলেন, 'আরে বাংলাটা দিলি কেন ওটা আমি ম্যানেজ করে দেব।
তুই আমাকে হিন্দি টা দে। দাদা মনির সামনে হিন্দি সংলাপ বলে অভিনয় করতে গেলে তো ল্যাজেজে গোবরে হয়ে যাব। চিবিয়ে ছিবড়ে করে দেবে।'
@রূপকথা
হিন্দি স্ক্রিপটা উত্তমকুমারের হাতে দিয়ে প্রভাত রায় বললেন, 'কাল দাদা মনিও এই একই কথা বলেছিলেন।'
পাশ থেকে শক্তি সামন্ত বললেন, 'উত্তমদা লড়ে যান দাদামনির সঙ্গে।'
উত্তমকুমার কপালে হাত ঠেকিয়ে বললেন, ' মাথা খারাপ, ওনার সঙ্গে লড়বো। কত বড় অ্যাক্টর উনি। বাপরে।'
একজন অভিনেতার আরেকজন অভিনেতার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা দেখে সেদিন প্রভাত রায় অবাক হয়েছিলেন।
@রূপকথা
আনন্দলোক পত্রিকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন