"সুচিত্রাদিকে বাইরে ভীষণ কঠোর মনে হত। কিন্তু মনে প্রাণে নরম। আগে থেকে আলাপ ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা রেকর্ডিংয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে। তবে তখন তত কাছে যেতে পারেনি, যতটা চাকরিসূত্রে যেতে পেরেছিলাম। ১৯৭০ সালে আমি রবীন্দ্রভারতীতে রবীন্দ্রসংগীতের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিই। ১৯৭০- ৯৫ রবীন্দ্রভারতীতে চাকরি করেছি। তখন সুচিত্রা মিত্র হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট।অত বিরাট মাপের মানুষ তার ওপর আবার হেড ডিপ। আমার একটু ভয় করছিল শুরুতে। কিন্তু দেখলাম, সময়ের সঙ্গে কাছে ডেকে নিয়ে ডিপার্টমেন্ট কিভাবে চলবে, কী কাজ করতে হবে সেই আলোচনা করছেন। কিভাবে ক্লাস নিলে ঠিক হবে তার হাতে খড়ি ওঁর কাছে। দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। ওঁর মানবিকতা বোধের আরো পরিচয় পেলাম যখন আমার স্বামী অসুস্থ হলেন এবং চলে গেলেন, সেই পর্বে। প্রতিদিন নিয়ম করে খোঁজ নিতেন বড় দিদির মত, জানতে চাইতেন খেয়েছি কি না। উপদেশ দিতেন। সেই সময় সুচিত্রাদি যেভাবে পাশে ছিলেন, তা আমি ভুলতে পারিনা। ভুল করলে, বকে শুধরেও দিতেন।''
('স্মৃতিসুধায়' / সুমিত্রা সেন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন