দইখাওয়া :
এই স্থানটিতে এবং এর বর্ডারসংলগ্ন উত্তরের জলপাইগুড়ি অঞ্চলে একসময় মেচ/বোড়ো/রাভা আদিভাষা প্রচলিত ছিলো, পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে এখনো প্রচলিত আছে। এ আদি ভাষায় দই অর্থ পানি, দই খ্রোং অর্থ নদী। নদীকে বিভিন্ন ভাষার লোকজন বিভিন্ন নামে ডাকে; যেমন- নদী/সতী/গাঙ ইত্যাদি। বোড়ো ভাষার লোকজন নদীকে দইখ্রোং বলতো, বলে। এভাবে বর্তমান দইখাওয়া বাজারের পাশ্ববর্তী নদীটি এবং স্থানটি তখন সবার কাছে 'দইখ্রোং' নামে পরিচিত হয়। দইখাওয়া শব্দটি দইখ্রোং এর বিকৃত রূপ।
তাই, দইখাওয়া নামের বর্তমান প্রচলিত উৎসগুলি ( যেমন: দুই খেয়া থেকে দইখাওয়া, দৈ থেকে দইখাওয়া) সম্ভবত সত্য নয়। বোড়ো/মেচ/রাভা এই অঞ্চলের আদিভাষা। যা আর্যদের আগমনের পূর্বে (দুই হাজার বছর আগে) নিজস্ব বর্ণসহ পূর্ণাঙ্গভাবে প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে আর্যদের আগমনের পর আর্যভাষার সাথে এ আদিভাষাগুলি মিলেমিশে এক হয়ে যায়।
বোড়ো/মেচ/রাভা সম্ভবত একই আদিভাষার এলাকাভিত্তিক বিভিন্নরূপ। যেমন- লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও এর আঞ্চলিক ভাষা একই ভাষার কিছুটা পরিবর্তিত রূপ।বোড়ো/রাভা ভাষার এখনো কিছু প্রচলিত শব্দ চ্যাংরা, বোকা, শাগাই ইত্যাদি।
নওদাবাস:
'নওদা' অর্থ নতুন বসবাসযোগ্য জমি।
'বাস' অর্থ বসবাস করা।
এই ইউনিয়নের অনেকাংশ একসময় জনমানবহীন ও জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। যা বিভিন্ন সময় দলবদ্ধ settlers পরিষ্কার করে ছোট ছোট গ্রাম/পাড়া তৈরি করে বসবাস শুরু করে। এভাবেই, বর্তমান 'নওদাবাস'।
ভোটমারী/ভুটিয়ামঙ্গল: এই স্থানগুলিতে 'ভুটিয়া' আদিবাসীদের বসবাস ছিল। ভুটিয়া আদিবাসিরা এখনো পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পাড়াভিত্তিক বসবাস করে।
References: I got no direct references, rather I have infarred from different sources.
Source 1: 'বৃহত্তর রংপুরের ইতিহাস' - মোস্তফা তোফায়েল হোসেন
Source 2 : ' বাংলাদেশের রাজবংশী সমাজ ও সংস্কৃতি' -অশোক বিশ্বাস
Chatgpt, Wikipedia and so on...
ছবি: 'ভুটিয়া' উপজাতি নারী, Wikipedia
২৩.৫.২০২৫
© জনাব জাকির হোসেন Zakir Hossain 🙂
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন