এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

জৈন্তা রাজবাড়ী  জৈন্তাপুর, সিলেট 

 ▪️জৈন্তা রাজবাড়ী 

জৈন্তাপুর, সিলেট 


সিলেটের ইতিহাসে প্রাচীনতম ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহ্য হলো “জৈন্তা রাজবাড়ী”। কোনো ঐতিহাসিকই জৈন্তারাজদের রাজত্ব কবে শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে এ রাজ্যের অস্তিত্ব প্রাচীন মহাকাব্য ও পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, সপ্তম থেকে অষ্টম শতকে কামরুপ রাজ্যের অধীনে ছিল জৈন্তাপুর। চন্দ্র ও বর্মণ রাজাদের পতনের পর দেব বংশের রাজত্ব শুরু হয় এ অঞ্চলে। এই বংশের সর্বশেষ রাজা ছিলেন জয়ন্ত রায়। তার এক মেয়ের নাম ছিল জয়ন্তি। ঐতিহাসিকগণের ধারণা, রাজকুমারী জয়ন্তির নামানুসারেই এই রাজ্যের নামকরণ করা হয় জৈন্তাপুর।

জৈন্তা রাজ্য বিস্তৃত ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের শিলং মালভূমির (বর্তমান মেঘালয় ) পূর্ব প্রান্ত থেকে আসামের বরাক নদীর উপত্যকার দক্ষিণ ও উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত। ১৮৩৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই রাজ্যের দখল নেয়। বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই রাজ্যের রাজধানী জৈন্তিয়াপুরের অবস্থান ছিল জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে। ধারণা করা হয়, জৈন্তা পাহাড়ের নারটিয়াংয়ে ছিল এই রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। বর্তমানে মধ্যযুগীয় কিছু স্থাপনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই সেখানে। বর্তমান সিলেট অঞ্চলের বেশির ভাগই জৈন্তা রাজ্যের অধীনে ছিল।


জৈন্তা রাজ্যের উৎপত্তির সঠিক ইতিহাস না পেলেও এখানকার মানুষেরা শিলং মালভূমির খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যযুগীয় সংস্কৃতি লালন করত। খাসিয়া রাজ বংশের ২৩ জন রাজা ১৫০০ সাল থেকে ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। খাসিয়াদের পূর্বপুরুষেরা চীনের তিব্বত থেকে জৈন্তা রাজ্যে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তবে ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, এই অঞ্চলের মানুষেরা অনেক আগে এখানে বসতি স্থাপন করেছিল। সতেরো শতকের পর কাছাড়ের রাজা শত্রু দমনের অভিযানের পর জৈন্তা রাজ্যের কাছারি ও অহমিয়াদের রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট হয়।


১৭৬৫ সালে বাংলার শাসনভার গ্রহণের পর ইংরেজরা জৈন্তা রাজ্যের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং জৈন্তিয়াপুরকে এ রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এখানকার খনিগুলো থেকে চুনাপাথর উত্তোলন করে সারা বাংলায় পাঠানো হতো। প্রথম ইঙ্গো-বর্মিজ যুদ্ধের সমাপ্তির পর ইংরেজরা জৈন্তা রাজাকে সুরমা নদীর উত্তর প্রান্ত শাসনের অনুমতি দেয়। ১৮৩৫ সালের ১৫ মার্চ ইংরেজরা এই রাজ্যটি পুরোপুরি দখল করে নেয়। কারণ হিসেবে জানা যায়, তিন ব্রিটিশ বণিককে বলি দিয়েছিল তৎকালীন জৈন্তা রাজা। ফলে ব্রিটিশরা ক্ষেপে গিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা শেষে রাজ্যটি আক্রমণ করে। একপর্যায়ে রাজ্যটির স্বাধীন সূর্য অস্তমিত হয়। জৈন্তা রাজাকে সিলেটে তাঁর সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে সামান্য একজন জমিদার হিসেবে মাসিক ৫০০ রুপি বেতন ধার্য করা হয়।


এখানকার সহজ-সরল অধিবাসীরা জৈন্তাপুরী হিসেবে অনেকের কাছে তাচ্ছিল্যের শিকার হয়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সারা ভারতীয় উপমহাদেশ যখন ইংরেজদের কাছে পদানত, তখন সম্রাট নিজামের এলাহাবাদ বাদে একমাত্র জৈন্তা রাজ্যই ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত সিংহখচিত স্বাধীনতার পতাকা উড্ডিন রাখতে পেরেছিল। রাজ্যের অধিবাসীরা গর্ব করে বলতে পারত আমরা স্বাধীন।

তথ্য: গুগল/পত্রিকা

কোন মন্তব্য নেই:

ভালোবাসা_নাকি_মোহ  লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি  পর্ব ১

 মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা যেন এই ...