এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

নোংরামির চূড়ান্তে || ডা: ফাহমিদা নীলা

 ইদানীং একটা নতুন পেশা সৃষ্টি হয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর। কেউ আবার বলে,ইনফ্লুয়েন্সার।


যদিও এই দুইটার বিশেষ পার্থক্য আছে কি না, আমি জানিনা। সে যাই হোক, নতুন পেশা হয়েছে, ভাল কথা। বেকারত্ব কমছে। এই পেশায় নাকি লাখ লাখ ইনকাম। আরো ভাল কথা। দেশের মানুষ সলভেন্ট হচ্ছে।


কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, তারা যে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করছে, সেটা কি আদৌ মানসম্মত? সেটা কি সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য? সেটা থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয়ে নেটিজেনরা কি ভালো কিছুতে উজ্জীবিত হচ্ছে? 


এমন অনেক প্রশ্ন আমার মাথায় কিলবিল করে। কারণটা একটু পরিষ্কার করি।


ফেসবুকে স্ক্রল করলেই এক মধ্যবয়সী মহিলার ভিডিও সামনে আসে। মহিলা সম্ভবত পেডোফিলিক। সে তার সন্তানের বয়সী ছেলেদের সাথে লিভ টুগেদার করে। তাদের নাচানাচি, ঢলাঢলি থেকে শুরু করে হাতাহাতি, মারামারি সবই দেখানো হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। কিছুদিন আগে এক ছেলের সাথে দেখতাম। এখন দেখি আরেকজনের সাথে।


এই কনটেন্ট ক্রিয়েটারের কনটেন্ট সমাজের কী কাজে আসছে? কাকে কী ইনফ্লুয়েন্স করছেন উনি? আমার বোধে আসে না।


এবার আসি, আরেকজনের কথায়। তিনি একসাথে দু’জন করে স্ত্রী রাখেন। দুই স্ত্রীকে দু’পাশে নিয়ে ঢলাঢলি করেন। কিছুদিন পর পর একজন করে স্ত্রী রিপ্লেস হয়। একজন বাদ পড়ে, আরেকজন ঢোকে। 


দুই সতীনের মহব্বত থেকে চুলাচুলি সবই দেখানো হয়। সূচিকার্যের অংশটুকু ছাড়া বাকী সমস্তকিছু সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আকারে প্রচার করেন। এতে লাখ লাখ ইনকাম হয়তো তাদের হচ্ছে। এইসব ইনফ্লুয়েন্সে সমাজের কী উপকার করছেন, আল্লাহ্ মালুম! 


কোনো কোনো ইনফ্লুয়েন্সার তো ক্যামেরার সামনেই লাইভে ড্রেস পরিবর্তন করছেন। হাফপ্যান্টের উপর ল্যাহেঙ্গা পরছেন। কেউবা সবার সামনেই শাড়ী পরছেন,খুলছেন। একটা খুলে আরেকটা পোষাক পরছেন। কিছু ড্রেসআপ দেখলে মনে হয় খোদ ইউরোপ থেকে ব্রডকাস্ট চলছে। তারা আবার কেউ কেউ খুবই অহমিকা ভরে বলছে, লাখ টাকার শাড়ী, গাউন, গহনা, এক্সেসরিজ পরেন তিনি। আর সেসবের সবটাই নাকি স্পন্সার করা।


আবার কেউ কেউ তো লাইভে এসে মুখে যা আসে তাই বলে গালাগালি করেন। একে অন্যের সাথে অনলাইন ঝগড়া চলে দিনের পর দিন। নোংরামির একেবারে চূড়ান্ত। কে কিভাবে ইনফ্লুয়েন্সড হচ্ছে এদের দ্বারা কে জানে! 


এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। দেখুন, আমাদের সাথে সাথে ফেসবুকে আমাদের সন্তানেরাও এসব দেখছে, শিখছে। এমনকি কেউ কেউ তো নিজেদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলছে যে, তারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবে। পড়ালেখার দরকার নাই। সেজেগুজে স্পন্সর করা কাপড়চোপড় পরবে। লাইভে আসবে। টিকটক করবে। ব্যস,ভাইরাল হয়ে যাবে। সেলিব্রেটি হয়ে লাখ লাখ টাকা কামাবে। 


দেখলেনই তো কিছুদিন আগে, একটা বাচ্চা মেয়ে কিভাবে সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য বাবা-মায়ের নামে মামলা ঠুকে দিল!  


আপনাদের কি মনে হয় না, আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে? এখনই এইসব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কনটেন্ট ও ক্রিয়েশন কিংবা ইনফ্লুয়েন্সারদের ইনফ্লুয়েন্সের রাশ টেনে না ধরলে অদূর ভবিষ্যতে ঐ মেহরীনের বাবা-মায়ের মতো আমাদেরও যে আদালতে দাঁড়াতে হবে না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে? 


আমি জানিনা, কী করলে এসবের সুরাহা হবে? তবে নির্দিষ্ট একটা নিয়ম বা বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ তৈরী করা এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। সবার সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। আশা করি সুশীল সমাজ বিষয়টা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন ।

___________

|| নোংরামির চূড়ান্তে ||

ডা: ফাহমিদা নীলা


কোন মন্তব্য নেই:

পৃথিবীর প্রথম পার'মা'ণবিক বোমা। নাম দেওয়া হয়েছিল 'ট্রিনিটি টেস্ট'। যা বদলে দিয়েছিল যু'দ্ধে'র ধরন, বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র।

 আজ থেকে ঠিক ৮০ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ভোর ৫ টা ২৯ মিনিটে আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে এক ভয়াবহ ইতিহাস লেখা হয়েছিল। সেই শান্ত ভোরটাকে চুরমা...