এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

লেখালেখির দক্ষতা বাড়ানোর ৫টি প্রমাণিত উপায়

 লেখালেখির দক্ষতা বাড়ানোর ৫টি প্রমাণিত উপায়


লেখালেখি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমানে রিমোট (দূরবর্তী) কাজের চল বেড়ে যাওয়ার পর, লেখালেখির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। আগে যেসব কথাবার্তা আমরা সামনাসামনি বলতাম, এখন সেগুলিও আমরা ইমেইল বা চ্যাট অ্যাপে বলি।


তাই লেখার ভঙ্গি ভাল না হলে, সেটি অফিসের কাজের প্রডাক্টিভিটি কমিয়ে দিতে পারে। তখন সহকর্মীদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সমস্যা হতে পারে, এমনকি কাজের রুটিনও বিঘ্নিত হতে পারে।


লেখার গুরুত্ব শুধু একজনকে বোঝানোর জন্য নয়। আপনি কীভাবে লিখছেন সেটা সরাসরি প্রভাব ফেলে মানুষ আপনার লেখা কীভাবে গ্রহণ করছে এবং আপনার বার্তাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তার উপর। অফিসের কাজ হোক বা বাইরের কাজ—আপনার লেখার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে নিচে ৫টি সহজ ও কার্যকর উপায় দেওয়া হল।


১. পড়ুন


আপনি যখন পড়েন, তখন আপনি দেখেন কীভাবে অন্য মানুষ ভাষা, গল্প বলার কৌশল, বাক্য গঠনের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আপনি যত বেশি পড়বেন, তত বেশি এগুলি নিজের মধ্যে গ্রহণ করতে পারবেন।


তবে পড়ার কাজ শুধু এই কৌশলগুলি শেখা নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পড়লে সেটা আমাদের সহানুভূতিশীল করে তোলে, যেটা অন্য মানুষের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে। আর ভাল লেখার অন্যতম মূল দিকই হলো, আপনি কাদের জন্য লিখছেন এবং কীভাবে আপনি তাদের প্রভাবিত করতে চান—এই বিষয়গুলি বোঝা।


বিশেষ করে গল্প লেখকদের জন্য এটা খুব দরকার, যাতে তারা চরিত্র তৈরি করতে পারে এবং সেই চরিত্রের ভেতরে ঢুকে ভাবতে পারে।


কিন্তু আপনি যদি শুধু একটা ইমেইলও লিখেন, সেই ক্ষেত্রেও পড়া আপনাকে চিন্তা করতে শেখাবে যে কোন শব্দ বা ভাবনা পাঠকের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিলবে।


তাহলে কী পড়বেন?


অনেকে বলেন, "যা পারেন, তার সবই পড়ুন!" ক্লাসিক সাহিত্য হোক বা নিউজ লেটারে আসা বিজ্ঞাপন—সব কিছু থেকে আপনি কিছু না কিছু শিখতে পারবেন।


তবে এমনভাবে পড়া সবসময় সম্ভব নয়, বিশেষ করে আপনার যদি সময় কম থাকে। তাই পড়ার ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখুন: যেসব বই পড়ে আপনি আনন্দ পান, সেগুলি পড়ুন; আপনার পেশা বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ুন।


মাঝে মাঝে এমন কিছু পড়ুন যেটা আপনি সাধারণত পড়েন না। এতে করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশল শিখতে পারবেন। এইভাবে পড়া আপনাকে শুধু লেখায় নয়, চিন্তাতেও আরও শক্তিশালী করে তুলবে।


পড়ার সময় ভাল বাক্য, ভাল শব্দচয়ন বা লেখার ব্যতিক্রমী ধরন চোখে পড়লে নোট করে রাখুন। 


২. বিশ্লেষণ করুন 


আপনি অনেক কিছুই শিখবেন কেবল নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে। তবে আরও ভাল ফল পেতে হলে আপনি যা পড়ছেন তা নিয়ে সচেতনভাবে ভাবতেও হবে।


তবে দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনাকে স্কুলের বইয়ের রিপোর্টের মত লেখার প্রতিটি রূপক বা প্রতীকের বিশ্লেষণ করতে হবে না। বিষয়টা বেশ সহজেই করা যায়, তবে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে।


যেমন ধরুন—লেখক কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছে? আনুষ্ঠানিক নাকি সহজ-সাধারণ? বাক্যগুলি ছোট না বড়?


লেখাটা কি সহজে বুঝতে পেরেছেন, নাকি কোথাও কোথাও গুলিয়ে ফেলেছেন? কোনো একটি বাক্য বা অনুচ্ছেদ কি খুব ভাল লেগেছে? কেন লেগেছে?


এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার সময় লেখাটির প্রভাব সম্পর্কে ভাবুন।


ধরুন, একটা ব্লগ পোস্ট পড়ে আপনার মনে হল অনেক জ্ঞানলাভ করেছেন, আর নিজের কাজেও উৎসাহ অনুভব করলেন। ভাবুন, ঠিক কী কারণে এমনটা হল? লেখক কি কোনো নির্দিষ্ট ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন নাকি বিষয়গুলি খুব পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?


এর বিপরীতে, এমন কোনো লেখা কি আপনি পড়েছেন যেটা আপনার মধ্যে বিরক্তি এনেছে বা বিভ্রান্ত করেছে? তাহলে দুইটি লেখার মধ্যে তুলনা করুন, এখানে একজন লেখক কী করেছেন, যা অন্যজন করেননি?


এমন বিশ্লেষণ শুধু গল্প বা প্রবন্ধে সীমাবদ্ধ না, ইমেইলের মত অফিসিয়াল লেখার ক্ষেত্রেও করা যায়।


ধরুন, অফিসে কারো পাঠানো ইমেইল পড়তে আপনার সব সময় ভাল লাগে। আবার এমন কারও ইমেইল আছে, যেটা পড়তে আপনার বিরক্ত লাগে। তাদের লেখার ধরন খেয়াল করুন—কোনো নির্দিষ্ট শব্দ, বাক্যগঠন বা ভঙ্গি কি আছে যা আপনাকে এই অনুভূতি দিচ্ছে?


এইভাবে নিয়মিত বিশ্লেষণ করলে আপনি লেখার সূক্ষ্ম দিকগুলি আরও ভালভাবে ধরতে পারবেন, যা আপনি নিজের লেখায় কাজে লাগাতে পারবেন।


মাঝে মাঝে নিজের লেখা পড়েও একই প্রশ্ন করুন, যেমন লেখার কোন অংশটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কোনটা দুর্বল? এভাবে লেখা বিশ্লেষণ করার অভ্যাস গড়ে তুললে আরও দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব।


৩. অনুকরণ করুন 


কেউ যদি কোনো দক্ষতা ভালভাবে শিখতে চায়, তাহলে সে প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞকে দেখে। তারপর তার কাজ বিশ্লেষণ করে। এরপর সেই কাজকে অনুকরণ করে নিজের মধ্যে গ্রহণ করে। কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে অনেকেই এই ধাপটি এড়িয়ে যান। কারণ লেখকেরা সাধারণত ভয় পায় যে পাছে অন্যের লেখার নকল বলে মনে হয়। কিংবা এতে যদি নিজের লেখার স্টাইল হারিয়ে যায়।


একটু ভাবুন, সবাই যখন বাদ্যযন্ত্র শেখে, তখন তো অন্যের সুরই বাজায়। নিজের তৈরি করা সুর তো বাজায় না। তাহলে লেখার ক্ষেত্রেও এই কৌশল কেন নয়?


শেক্সপিয়ার বা ভনেগাটের মত লেখকদের অনুকরণ করা কঠিন মনে হলেও চেষ্টা করাটাই হল শেখার চাবিকাঠি। চাইলে আপনি "কপিওয়ার্ক" অনুশীলন করতে পারেন। প্রথমে পছন্দের লেখার কিছু অংশ হুবহু কাগজে লিখে ফেলুন। এতে লেখার ছন্দ, গঠন ও শব্দ বাছাইয়ের বিষয়গুলি আপনার মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে যাবে।


কারো লেখার ধরন হুবহু নকল করে লেখার সময়, আপনি কেবল বইয়ে পড়া তত্ত্ব নয়, বরং কীভাবে লেখক বিষয়গুলিকে বাস্তবে প্রয়োগ করেছে, সেটা বুঝতে পারেন। এতে আপনি তাদের কৌশলের এমন কিছু দিক খুঁজে পাবেন, যা হয়ত আগে আপনার চোখে পড়েনি।


তবে হ্যাঁ, অনুকরণ করার অভ্যাস ব্যক্তিগত অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ভাল। আপনার বস বা সহকর্মীর লেখার স্টাইল হুবহু অনুকরণ করে তাদের ইমেইলে পাঠালে সেটা স্বাভাবিক লাগবে না। এর বদলে প্রথমে একজন লেখকের মত হুবহু লেখার চেষ্টা করুন। 


এরপর আরেকটা ভার্সন লিখুন, যেখানে আপনি নিজের মত করে ওই স্টাইল ব্যবহার করছেন। এইভাবে ধীরে ধীরে আপনি অন্যের টেকনিক নিজের মত করে মিশিয়ে ফেলবেন। আর আপনি যদি একাধিক লেখক বা লেখার ধরন অনুকরণ করেন, তাহলে আপনার নিজস্ব লেখার স্টাইল গড়ে উঠবে, কাউকে বেশি বেশি নকল করার ভয় থাকবে না, আপনি বিভিন্ন কৌশল ও ভাল অভ্যাস শিখতে পারবেন।


লেখায় অনুকরণ মানেই নকল নয়। এটি শেখার একটি চমৎকার ধাপ, যা আপনার লেখার গুণগত মান অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।


৪. সচেতন হোন  


লেখার সময় কিছু মৌলিক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। লেখার পরই ভুল খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে। তাই একবার লেখা শেষ হলে কিছুক্ষণ বিরতি দিন, তারপর আবার পড়ে দেখুন। এ সময় আপনার নিজের চোখেই অনেক দুর্বল জায়গা ধরা পড়বে।


আপনি যখন লিখতে বসেন (এমনকি যখন আপনি নিজের লেখা সম্পাদনা করেন), তখন নিচের বিষয়গুলি মাথায় রাখলে আপনার লেখা আরও পরিষ্কার ও কার্যকর হবে:


• আপনি কার উদ্দেশ্য লিখছেন, আর কেনইবা লিখছেন: এই প্রশ্নের উত্তর জানলে আপনি ঠিক করতে পারবেন, আপনার লেখার বিষয়বস্তু কী হবে, লেখা কীভাবে সাজাবেন এবং লেখার ভাষা ও টোন কেমন হবে?


• খেয়াল করুন বাক্যের দৈর্ঘ্য ও গঠন কেমন হচ্ছে: সব সময় একই ধরনের বাক্য ব্যবহার করলে পাঠক বিরক্ত হয়ে যেতে পারে। বড় বাক্য আর ছোট বাক্য মিশিয়ে লিখুন, যাতে লেখাটি পড়তে আরও প্রাণবন্ত লাগে এবং পাঠক যাতে সহজে আপনার বক্তব্য বুঝতে পারে।


• অপ্রয়োজনীয় শব্দ এড়িয়ে চলুন: যেমন: “সত্যি বলতে,” “আমার মতে,” “খুব,” “আসলে”—এই ধরনের শব্দ যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। এতে আপনার বক্তব্য আরও জোরালো হবে।


• অতিরিক্ত বাজওয়ার্ড (চলতি শব্দ), জার্গন বা ক্লিশে ব্যবহার করবেন না: যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে বুঝে-শুনে করুন। আপনি কী বলতে চাইছেন, পাঠক সেটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছে কিনা, সেখানে গুরুত্ব দিন।


৫. অনুশীলন করুন  


অন্য যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা আনতে হলে আপনাকে যেমন নিয়মিত চর্চা করতে হয়, লেখালেখির ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে।


নিয়মিত অনুশীলনের ফলে আপনি কেবল উন্নতি করবেন না, লেখার কিছু কৌশল এমনভাবে শিখবেন যে, সেটা আপনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসবে।


অনেকেই বলেন, লেখার উন্নতির জন্য “লেখার অভ্যাস” গড়ে তুলতে। এর মানে হল, নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় লেখালেখির জন্য আলাদা রাখা।


আপনি চাইলে “ফ্রি রাইটিং” করতে পারেন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় (যেমন ১০ মিনিট) ধরে মনে যা আসে তাই লিখে যাবেন, ভুল করা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাববেন না। এছাড়া ৩০ দিনের রাইটিং চ্যালেঞ্জ বা প্রতিদিনের চিন্তা নিয়ে জার্নাল লেখার মত অনুশীলনও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।


এই ৫টি পরামর্শ ব্যবহার করে লেখালিখি চর্চার জন্য একটা চমৎকার শুরু করতে পারেন।

.


বাড়তি কিছু পরামর্শ


১. আপনি চাইলে প্রতিদিন নতুন ৫টি শব্দ শিখে সেগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করতে পারেন। পাশাপাশি থিসেরাস/শব্দকোষ ব্যবহার করে একই অর্থের বিকল্প শব্দগুলি শিখতে পারেন। এটা আপনার লেখাকে আরও প্রাণবন্ত ও মসৃণ করবে।


২. লেখালেখিতে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা যায় ফিডব্যাক নেওয়ার মাধ্যমে। লেখার পর বন্ধু বা সহকর্মীদের দেখান এবং তাদের মতামত নিন। কোথায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে, কোন অংশ কীভাবে আরও ভাল করা যেত, এসব জানার চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে সেই পরামর্শগুলি কাজে লাগান।


৩. ইমেইল, প্রতিবেদন, ব্লগ পোস্ট কিংবা সামাজিক মাধ্যমের লেখা—প্রতিটি মাধ্যমের বার্তাই ভিন্ন হতে পারে। তাই মাধ্যম অনুযায়ী আপনার লেখার টোন, ভাষা ও গঠন আলাদা করে নিতে হবে। যেমন, অফিসিয়াল ইমেইল হবে আনুষ্ঠানিক ও সংক্ষিপ্ত;  ব্লগ পোস্ট হতে পারে বেশি ব্যক্তিগত ও বর্ণনামূলক; সামাজিক মাধ্যম পোস্ট সাধারণত হয় সংক্ষিপ্ত, বন্ধুসুলভ ও সহজবোধ্য।


৪. লেখা শুরু করার আগে কয়েক মিনিট ধ্যান করে মনোযোগ বাড়াতে পারেন। এছাড়া লেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারেন। এ সময় অবশ্যই মোবাইল বা এ ধরনের যে কোন বিঘ্নকারী জিনিস দূরে রাখতে হবে। লেখার মাঝখানে বিরতি নিতে পারেন, এতে মন সতেজ থাকে।


৫. আপনি যেই মাধ্যমে লিখুন না কেন, সেখানকার উপযুক্ত স্টাইল বজায় রাখা হলে সেই মাধ্যমের পাঠকদের প্রতি সম্মান দেখানো হয়। আরে এটা আপনার বার্তা স্পষ্ট করার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

.


ভাল লেখক হতে হলে আগে ভাল পাঠক ও চিন্তাশীল মানুষ হতে হবে। ভাল-মন্দ সব রকম লেখা পড়ুন, বিশ্লেষণ করুন, অনুকরণ করুন, সচেতনভাবে লিখুন আর নিয়মিত অনুশীলন করুন।


ধৈর্য ধরে এগোলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন যে সামান্য কিছু শব্দ দিয়ে আপনি কত অসাধারণ কিছু গড়ে তুলতে পারছেন। 


#লেখা #দক্ষতা #অনুশীলন

কোন মন্তব্য নেই:

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"

 এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু...