আপনার কন্যা সন্তানকে রক্ষা করতে নিচের নীতিগুলো মেনে চলুন!
১। ২ বছরের বেশি বয়সের সন্তানের সামনে পোশাক পরিবর্তন করবেন না।
২। প্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তি যখন আপনার সন্তানকে মজা করে বলে, তুমি আমার বউ হবে? এটা কখনোই প্রস্রয় দিবেন না
৩। আপনার কন্যাকে কখনোই কোন ব্যক্তির কোলে বসতে দিবেন না, সে যেই হোকনা কেন।
৪। কখনো কারো বাড়িতে একা যেতে দিবেন না।
৫। যখনই আপনার সন্তান নিজের বন্ধুদের সাথে বাইরে যায়, আপনি লখ্য রাখবেন তারা কি ধরনের খেলা খেলছে।
৬। সময় সময় আপনার বাচ্চার মোবাইলের ব্রাউজিং হিস্টোরি চেক করুণ, যে সে গুগলে কি সার্চ করছে।
৭। নিজের সন্তানকে সর্বনিন্ম ২ টি ফোন নাম্বার মনে রাখতে বলবেন, এবং আপনি নিজেও মনে রাখবেন।
৮। পরিবারের সবার সাথে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুণ এবং সেই সময় মোবাইল এবং টিভি বন্ধ রাখুন।
৯। কোন খারাপ ধরনের চলচিত্র দেখতে না দিয়ে সব সময় প্রেরনাদায়ক ছবি দেখার জন্য, সন্তানকে উৎসাহিত করুণ।
১০। কোন রকম জাংকফুড বা ফাষ্টফুড খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন না। স্কুলে পাঠালে বাড়িতে বানানো খাবার টিফিন বক্সে দিয়ে পাঠান।
১১। কোন প্রকার নেশার প্রতি যাতে আসক্ত না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখুন।
১২। আপনি নিজেও বাচ্চাদের সামনে যে কোন ধরনের নেশা করা থেকে বিরত থাকুন, এমনকি ধুমপান!
১৩। সাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সাথে যেতে আপনার কন্য সন্তানকে জোড় করবেন না।
১৪। একটি বিষয় লক্ষ্য রাখুন। আপনার সন্তান বিশেষ কোন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের ভক্ত হয়ে উঠছে কি না।
১৫। আপনার মেয়েকে পুরষ আছে এমন কোন বাড়িতে খেলতে যেতে দিবেন না।
১৬। নিজের সন্তানের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন করে, ফ্রি হবার চেষ্টা করবেন।
১৭। নিজের বাড়িতে লাঠি জাতীয় কোন বস্তু অবশ্যই রাখুন, এবং আপনার সন্তানকে কোন ফাকা যায়গায় বা ছাদে সেই লাঠি চালনা করতে বলুন, যাতে বিপদের সময় প্রয়োগ করতে পারে।
১৮। পারিবারিক কোন অনুষ্টানে গেলে আপনার সন্তানকেও সাথে নিয়ে যান, এতে তার মানুষিক বিকাশ ঘটবে।
১৯। মেয়েদের উপযুক্ত বিয়ের বয়স 15-18। এই বয়সের মধ্যেই মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য নিজে মানুষিক এবং আর্থিকভাবে প্রস্তুত করুণ।
২০। আপনার কন্যা সন্তানের বয়স কত? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
পোষ্টটি বেশি করে শেয়ার করে দিন!
,,,,,,,,,,,,
❤️ কিছু পদক্ষেপের তালিকা দেওয়া হলো আপনার শিশুকে শিক্ষা দিতে পারেনঃ
১. আপনার শিশুকে কারো কোলে বসতে দিবেন না।
২. সন্তানের বয়স দু’বছরের বেশী হলেই তার সামনে আর আপনি কাপড়চোপড় পাল্টাবেন না।
৩. প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ আপনার শিশুকে উদ্দেশ্য করে বলছে: ‘আমার বৌ’, ‘আমার স্বামী’- এটা অ্যালাউ করবেন না।
৪. আপনার শিশু যখন বলছে সে খেলতে যাচ্ছে, কোন্ ধরণের খেলা সে খেলছে,কি খেলছে,কার সাথে খেলছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন, উঠতি বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাবিউজিং প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে।
৫. স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সাথে কোথাও যেতে আপনার শিশুকে জোরাজুরি করবেন না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন, আপনার শিশু বিশেষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কের ভক্ত হয়ে উঠেছে কিনা।
৬. দারুণ প্রাণচ্ছল কোন শিশু হঠাৎ নির্জিব হয়ে গেলে, তাকে প্রশ্ন করুণ। তার মনের অবস্থাটা পড়তে চেষ্টা করুণ।
৭. বয়:সন্ধি পেরোচ্ছে এমন বাচ্চাকে যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিন। আপনি যদি এ কাজ না করেন, তবে সমাজ তাকে ভুল টা শিখিয়ে দেবে।
৮. কোন ছবি, কার্টুন ইত্যাদি বাচ্চাদের জন্য আনলে আগে তা নিজে দেখুন। কোন বই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কোমলমতি সন্তানের হাতে দিন।
৯. আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন কেবল নেটওয়ার্কে, বিশেষ করে সেই সমস্ত নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু প্রায়শই ভিজিট করে।
১০. তিন বছর বয়স হয়েছে এমন সন্তানকে তাদের ব্যক্তিগত গোপন স্থানসমূহ কিভাবে পরিস্কারপরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা শেখান। সতর্ক করে দিন যেন সেসব এলাকা কেউ স্পর্শ করতে না পারে- নিষিদ্ধদের মধ্যে আপনিও আছেন সন্তানের বাবাও আছে। (মনে রাখবেন চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম এ্যান্ড উইথ ইউ)।
১১. কালো তালিকাভুক্ত করুণ সেই সব বই, গান, মুভি, পরিবার বা ব্যক্তিকে- আপনি মনে করেন যে বা যা আপনার শিশুর মনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।
১২. আপনার শিশুকে ভিড়ের বাইরে গিয়ে দাড়ানোর মূল্যবোধ শেখান।
১৩. আপনার শিশু যদি কারো সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে দয়া করে বিষয়টি নিয়ে মুখ বুজে থাকবেন না।
১৪.আপনার সন্তান কে দ্বীনি ও নৈতিক শিক্ষা দিন।
আপনার সচেতনতা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন