এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ,,, দৈনিক হালচাল সমাচার ফেইসবুকের কোনো এক ফারহানার লেখা থেকে নেওয়া

 নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ 


পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?


জানেন, সেই স্বাদ যখন শিরা-উপশিরা বেয়ে আপনার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কেমন নেশা হয়? এটা এমন এক নেশা, যার কাছে পৃথিবীর দামী ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলও ফিকে হয়ে যায়। এই নেশা আপনাকে মুহূর্তে মেঘের উপরে ভাসাতে পারে, আবার পরমুহূর্তেই টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারে বাস্তবতার কঠিন মাটিতে, যেখানে আপনার সাজানো সংসার, বিশ্বাস আর ভালোবাসা টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকে।


কি? চমকে গেলেন? ভাবছেন, আমি ফারহানা, এসব কী বলছি! ভাবছেন, একটা নির্দোষ প্রশংসা নিয়ে এত নোংরা কথা বলার কী আছে?


আসুন, আজ সেই নোংরামির গভীরতাটাই একটু মেপে দেখি। আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেই, আপাতদৃষ্টিতে "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" মনে হওয়া কথাগুলোর আড়ালে কতটা ভয়ংকর লাম্পট্য আর calculado শিকারের ছক লুকিয়ে থাকে।


 প্রশংসার মিষ্টি টোপ


নিচের কথাগুলো আপনার জীবনে কি কখনো শুনেছেন? বা আপনার আশেপাশের কেউ কি প্রায়ই শোনে?


১. "ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!"


বিশ্লেষণ: এটা শুধু আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা নয়। এটা একটা সূক্ষ্ম চাল। এই কথার মাধ্যমে আপনাকে আপনার বর্তমান পরিচয়—একজন স্ত্রী এবং মা—থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আপনি এখনো একজন কাঙ্ক্ষিত নারী, যাকে দেখলে সদ্য তরুণী বলে ভ্রম হয়। আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে "বাচ্চার মা" হিসেবেই দেখে, কিন্তু এই 'অন্য' পুরুষটি আপনার ভেতরের সেই হারিয়ে যাওয়া 'আমি'-কে খুঁজে বের করেছে। কী অসাধারণ অনুভূতি, তাই না? ফাঁদটা এখানেই।


২. "ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? ... নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!"


বিশ্লেষণ: আপনার স্বামী হয়তো আপনার পুরো মুখটাকেই ভালোবাসে। কিন্তু এই পুরুষটি আপনার সৌন্দর্যের এমন এক ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত অংশকে বিশেষভাবে প্রশংসা করছে, যা হয়তো আপনার স্বামী গত পাঁচ বছরেও খেয়াল করেনি। এই নির্দিষ্ট প্রশংসা আপনার মনে স্বামীর বিরুদ্ধে একটা চাপা অভিমান তৈরি করবে। মনে হবে, "এই মানুষটা আমাকে কতটা গভীরভাবে দেখে! আর আমার নিজের মানুষটা তো..."। এই 'গভীরভাবে দেখা'র বিভ্রমই হলো ধ্বংসের প্রথম ধাপ।


৩. "মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!"


বিশ্লেষণ: নিখুঁত চাল! আপনার এবং আপনার স্বামীর মধ্যকার সামান্য মনোমালিন্যের মুহূর্তে তৃতীয় কেউ এসে যখন আপনাকে 'নির্দোষ' এবং 'ফেরেস্তা'র সার্টিফিকেট দেয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর প্রতি আপনার ক্ষোভ বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনি ভাবতে শুরু করেন, "আমি তো আসলেই ভালো, সমস্যাটা তাহলে ওরই"। এই পুরুষটি তখন আপনার কাছে সহানুভূতিশীল বন্ধু বা 'soulmate' হয়ে ওঠে, যে আপনাকে 'বোঝে'। অথচ এর আড়ালে সে আপনার দাম্পত্যের ফাটলটাকে আরও বড় করার কাজেই ব্যস্ত।


৪. "একটা কথা বলি আপু! ... আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! ... টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!"


বিশ্লেষণ: শারীরিক সৌন্দর্যের বাইরে গিয়ে যখন কেউ আপনার কণ্ঠ বা ব্যক্তিত্বের এমন প্রশংসা করে, তখন সেটা আরও গভীরে গিয়ে আঘাত করে। আপনার মনে হতে পারে, এই মানুষটা কেবল আমার শরীর নয়, আমার আত্মাকেও সম্মান করছে। কিন্তু সত্য হলো, এটাও ফাঁদে ফেলার একটি অত্যাধুনিক কৌশল। সে আপনাকে বোঝাতে চাইছে, সে আপনার সবকিছুরই পূজারী। এই পূজা পাওয়ার লোভ সামলানো খুব কঠিন, তাই না? আমি ফারহানা, একজন নারী হিসেবে জানি, এই শব্দগুলোর টান কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।


৫. "আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না... দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!"


বিশ্লেষণ: মারাত্মক অস্ত্র! আপনাকে 'আন্টি' বা বয়স্কের খোলস থেকে বের করে এনে সরাসরি 'বিয়ের যোগ্য' তরুণীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হলো। আপনার অবচেতন মন মুহূর্তেই দশ বছর পেছনে চলে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন করে দেখবেন। আর যে পুরুষটি এই भ्रम তৈরি করলো, তাকে আপনার জীবনের 'মূল্যায়নকারী' বলে মনে হবে।


এই তালিকা আরও লম্বা হতে পারতো। "নীল শাড়ীতে আপনাকে কোয়েল মল্লিকের মতো লাগছে", "আমি আপনার মতো বউ পেলে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম" – এ সবই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।


এবার আসল কথায় আসি। যে পুরুষেরা বিবাহিত নারীদের এভাবে প্রশংসার জালে জড়াতে চায়, তাদের ৯৯.৯৯% এর উদ্দেশ্য কী? আপনাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করা?


না। একদমই না।


তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, আপনার শরীর ও সঙ্গ ভোগ করা। তারা কুকুরের মতোই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা জানে, একজন বিবাহিত নারী মানসিক বা শারীরিকভাবে অতৃপ্ত থাকলে, কিংবা স্বামীর কাছে সামান্য অবহেলিত বোধ করলেই প্রশংসার কাঙাল হয়ে ওঠে। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ।


তারা আপনাকে বিয়ে করবে না, কারণ তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের লক্ষ্য হলো 'রেডিমেড' ফল খাওয়া। আপনার সাজানো সংসার আছে, আপনার সামাজিক পরিচয় আছে। আপনার সাথে একটা গোপন সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই সবটুকু নিংড়ে নেওয়া যায়। যতদিন ভালো লাগবে, ততদিন চলবে। তারপর? তারপর আপনি আপনার ভাঙা সংসার আর কলঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকবেন, আর সে নতুন কোনো 'ভাবী' বা 'ম্যাডাম'-এর নাকের তিলের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সোজা কথায়, যতদিন 'খাওয়া' যায়, ততদিনই আপনার কদর।


যে নারী তার স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো, যার জীবনে স্বামীর বিকল্প কেউ ছিলো না, সেই নারীও যখন দিনের পর দিন বাইরের কোনো পুরুষের মুখে নিজের এমন খুঁটিনাটি প্রশংসা শোনে, তখন তার ভাবনার জগতে ঝড় ওঠে।


সে ভাবতে শুরু করে:

"আমার স্বামী তো আমাকে এত্ত ভালোবাসে, কিন্তু ও তো কোনোদিন আমার কপালের টিপটা নিয়ে এমন করে কিছু বলেনি!"

"আমি সংসারে সবার জন্য খেটে মরছি, আর ও আমাকে শুধু 'দরকার' হিসেবেই দেখে। অথচ বাইরের ওই লোকটি আমার ভেতরের সৌন্দর্যকে সম্মান করে।"

"আমার স্বামী হয়তো আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে আমাকে 'desire' করে না। এই লোকটি আমাকে বুঝিয়ে দিলো, আমি এখনো কতটা আকর্ষণীয়।"


এই ভাবনাগুলোই হলো বিষ। এই বিষাক্ত ভাবনা থেকে জন্ম নেয় দাম্পত্য কলহ। স্বামীর ছোটখাটো ভুলও তখন অসহ্য মনে হয়। আপনি অকারণে খিটখিট করবেন, সামান্য কথায় ঝগড়া করবেন। কারণ আপনার মনে তখন একটা তুলনামূলক বিচার চলছে, যেখানে আপনার স্বামী প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে সেই 'প্রশংসাকারী' পুরুষের কাছে।


সুখের সংসারে থাকা একজন নারীও তখন নিজের মধ্যে 'অভাব' খুঁজে পায়। যে অভাবটা আসলে ছিলোই না, সেটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বাইরে থেকে। এরপর শুরু হয় গোপন চ্যাটিং, লুকিয়ে দেখা করা, এবং অবশেষে পরকীয়া—যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।


একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা" আপনার আত্মসম্মানকে এমনভাবে বাড়িয়ে দেবে যে আপনি আপনার বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে শুরু করবেন। আর এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষকে মানসিক এবং সামাজিকভাবে খুন করে ফেলা হয়।


আমি জানি, প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা নির্দোষ প্রশংসা আর কোনটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত 'টোপ'। যে পুরুষ আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়, আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সহানুভূতি দেখানোর নামে নাক গলায়, আপনার দাম্পত্যের খুঁটিনাটি জানতে চায়—সে কখনোই আপনার বন্ধু হতে পারে না। সে একজন শিকারি।


এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই, অবশ্যই, এবং অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!


একই কথা পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিছু নারীও সুদর্শন পুরুষ বা অফিসের বসকে ফ্লার্ট করে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে চায়। ফাঁদ দুই দিক থেকেই হতে পারে।


তাই, যদি জীবনে সুখী হতে চান, নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন, তাহলে এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারো মিষ্টি কথায় গলে যাবেন না। যে আপনার রূপের বা গুণের প্রশংসা করে আপনাকে আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়, তাকে সরাসরি ব্লক করুন। কারণ, এই প্রশংসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত সাপটি ছোবল দেওয়ার আগেই তাকে চিনে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।


মনে রাখবেন, আপনার স্বামী হয়তো কবি নয়, সে হয়তো প্রতিদিন আপনার নাকের তিলের প্রশংসা করে না। কিন্তু দিনশেষে অসুস্থ হলে মানুষটা সেই-ই আপনার পাশে নির্ঘুম রাত কাটায়। আপনার সন্তানের দায়িত্ব নেয়। আপনার সংসারের ভার বয়। ক্ষণিকের নেশার জন্য এই চিরস্থায়ী আশ্রয়টাকে নষ্ট করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ,,, দৈনিক হালচাল সমাচার ফেইসবুকের কোনো এক ফারহানার লেখা থেকে নেওয়া

 নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ  পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন? জানেন, সেই স্বাদ যখন শিরা-উপশি...