হোমিওপ্যাথিতে জ্বর চিকিৎসা
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
* অ্যাকোনাইট নেপিলাস:
১। হঠাৎ আক্রমণ (বিশেষত: প্রচন্ড গরম, প্রচন্ড শীত বা শুষ্ক বাতাসে রোগের আক্রমণ)
২। একটানা প্রকৃতির জ্বর (ওঠানামা করে না)
৩। প্রচুর পিপাসা, অস্থিরতা, মৃত্যু ভয়, ঘর্মহীন।
* পালসেটিলা: তৃষ্ণাহীনতা, মুখ তিতা, মাথায় পানি চায়, বাতাস চায়, পরিবর্তনশীলতা, হাত- পায়ে জ্বালা, শিশু বুকের দুধ খেতে চায় না।
* রাসটক্সঃ শরীর ব্যথা বেদনা করে, শীত করে, পানি খায়, বাতাস চায় না, অস্থিরতা বেশী, রাত্রে বৃদ্ধি, জিহ্বা ত্রিকোনাকার লাল।
* ব্রাইওনিয়া: চুপ-চাপ থাকে, পায়খানা কষা, অনেকক্ষণ পরে বেশী পানি খায়, রাত ৯টায় বৃদ্ধি।
* জেলসিমিয়াম: মাথা ভার বোধ, ঘুম ঘুম ভাব, পিপাসাহীন (যখন দক্ষিণের বাতাস বায় তখন জেলসের সময়)।
* বেলেডোনা: চোখ মুখ লাল হয়ে যায়, হঠাৎ যায় হঠাৎ আসে, জ্বর অবস্থায় শরীর হঠাৎ কাপ দিয়ে উঠে।
* আর্সেনিকাম অ্যালবাম: মধ্য দিবা, মধ্য রাত্রে বৃদ্ধি। মাথায় ঠান্ডা চায় শরীরে গরম চায়। প্রচুর পানি পিপাসা একটু-একটু করে পান করে ও পানি পান মাত্রই বমি। মৃত্যুভয়।
* নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম: সকাল ১০টা থেকে ১১টায় জ্বর আসে, কোষ্টবদ্ধতা, লবন প্রিয়, তীব্র পিপাসা, জনসম্মুখে প্রস্রাব করতে পারে না।
* ইউপেটোরিয়াম পার্ফোলিয়েটাম: হাড়ে প্রচন্ড ব্যথা,, পিত্ত বমি, সকাল ৭-৯ টার মাঝে জ্বর আসে।
বিঃদ্রঃ শুধু উপরের ঔষধ গুলো জ্বরের জন্য এমনটা নয়, লক্ষণ অনুসারে যে কোন ঔষধ আসতে পারে। সঠিক ঔষধ নির্বাচনে সাহায্য করবেঃ
* জ্বরের শীত অবস্থায় পিপাসা আর পিপাসার জন্য পানি খাইলে বমি- আসোনিক/ স্যানিকুলা।
* জ্বরের শীত অবস্থায় পিপাসা আর পিপাসার জন্য পানি খাইলে শীত বাড়ে ও বমি হয়- ইউপেটোরিয়াম।
* জ্বরের শীত অবস্থায় পিপাসা আর পিপাসার জন্য পানি খাওয়া মাত্র কম্পন-ক্যাপসিকাম।
* জ্বরের শীত অবস্থায় পিপাসা কিন্তু উত্তাপ বা অন্য কোন অবস্থায় পিপাসার লেশমাত্র থাকে না- ইগ্নেশিয়া।
=ভালো লাগলে শেয়ার করুন=
Dr. Md Nurul Afsar
Follow and stay with me
#homeopathy
#homeopathytreatment
#homeopathicmedicine
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন