এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম 09/10/2022

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।  

(০৯-১০-২০২২) 

আজকের শিরোনাম-


* মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। 


* আগামীকাল নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও দেশে রাজনৈতিক নিপীড়নে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে বিএনপি - আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য। 


* ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনার মতো আর কেউই কাজ করেননি - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। 


* নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত। 


* ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় নগরী জাপরিঝিয়ায় রুশদের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত। 


* এবং ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। 

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২

লিজ বা ইজারা দলিল

💥 লিজ বা ইজারা দলিল


আমাদের টাকা প্রয়োজনে বা যেকোনো প্রয়োজনে অনেক সময় নিজেদের জমি অন্যের কাছে বন্ধক বা মর্গেজ দিতে হয়। আমরা যখন কোনো জমি বন্ধক দিতে যায় তখন কিভাবে জমি বন্ধক দেওয়ার চুক্তিপত্র তৈরি করতে হয় বা জমি বন্ধক রাখার নিয়ম ও জমি বন্ধক রাখার দলিল লেখার নিয়ম কি এবং কি কি শর্ত থাকে এই চুক্তিপত্র দলিলে তা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। 


নিম্নে জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম এর একটি নমুনা ফরমেট দেওয়া হলো যে ফরমেটটি দেখে ও তথ্যগুলো পরিবর্তন করে জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র (Rules for land mortgage agreement) করা সম্ভব হবে।


💥 নিচে জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র


নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশি, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।


—-প্রথম পক্ষ / জমির মালিক/ বন্ধক দাতা॥


নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশি, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।


—-২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহীতা।


পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিতেছি। যেহেতু প্রথম পক্ষ নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। প্রথম পক্ষের নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ২ দাগে ১১.৫ (সাড়ে এগার) কাঠা জমি বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া নিম্নে তফসিল বর্ণিত ১১.৫ (সাড়ে এগার) কাঠা জমি বন্ধক নিতে রাজী ও সম্মত হইয়াছেন। যেহেতু উভয়পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইলাম।


💥 শর্তাবলী


০১। প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা দ্বিতীয় পক্ষ /বন্ধক গ্রহিতার নিকট হইতে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ফসলি খালি জমিখানা বন্ধক রাখিয়া এককালীন নগদ ৩৫,০০০.০০ (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় বুঝিয়া নিয়াছেন।

০২। যেহেতু, অত্র বন্ধকী জমিখানা ফসলি জমি, দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহিতা নিজেই ফসলাদি রোপন করিয়া তাহা ভোগ করিবেন অথবা অন্য কাহারো মাধ্যমে ফসলাদি লাগাইয়া ভোগ করিতে পারিবেন।


চলমান পাতা- ২


(পাতা-২)


০৩। যতদিন পর্যন্ত ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে টাকা ফেরত না দিতে পারিবে ততদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ ভোগ দখল করিবে। ইহাতে ১ম পক্ষ কোনো ওজর আপত্তি করিতে পারিবেন না।

০৪। ১ম পক্ষ যখন জমি বন্ধক বাবদ ৩৫,০০০.০০ (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা দ্বিতীয় পক্ষের নিকট ফেরত দিবে, ২য় পক্ষ বন্ধকী জমির দখল প্রথম পক্ষের নিকট ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।

০৫। প্রথম পক্ষ জমি বন্ধক থাকাবস্থায় কোনও কাহারও কাছে বন্ধকী জমি হস্তান্তর করিতে পরিবেন না। যদি হস্তান্ত করে দ্বিতীয় পক্ষ আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারিবে।

০৪। আল্লাহ না করুন অত্র চুক্তিপত্র সম্পাদনের পর প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা মৃত্যু বরণ করিলে তাহার স্থলবর্তী ও পরবর্তী বৈধ ওয়ারিশান প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা বলিয়া গণ্য হইয়া উক্ত বন্ধকের সম্পূর্ণ টাকা ওয়ারিশগণই দ্বিতীয় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতাকে ফেরত প্রদান করিতে বাধ্য দিবেন।

০৫। তদরূপ ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতার মৃত্যু হইলে তাহার ওয়ারিশ উক্ত টাকা বুঝিয়া পাইয়া উক্ত জমিটি প্রথম পক্ষ/বন্ধক দাতাকে ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।

০৬। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অত্র জমিটি বন্ধকীর বিষয়ে প্রথম পক্ষ /বন্ধক দাতার পরিবার বা তাহার ওয়ারিশগণ কোনো প্রকার ওজর আপত্তি করিতে পারিবে না। করিলে তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।


চলমান পাতা- ৩


(পাতা-৩)


এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফসলি জমির বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম। ইতি, তাং-


বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ


জেলা- ঝালকাঠী, থানা- ঝালকাঠী, জমির দাগ নংঃ


জমির দাগ নং জমির পরিমাণ

১।

২।


অত্র বন্ধকী দলিল ৩ (তিন) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত বটে।


স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর


১।


২।


৩।


প্রথম পক্ষ/ দলিল দাতার স্বাক্ষর


দ্বিতীয় পক্ষ দলিল গ্রহিতার স্বাক্ষর


💥 যে লিজ দলিল দ্বারা লিজগ্রহীতার বরাবরে তাৎক্ষণিকভাবে লিজভুক্ত সম্পত্তির দখল অর্পণ করা হয় সেই লিজ দলিল, যদি এক বৎসরের উর্ধ্বে মেয়াদী লিজ হয় কিংবা বাৎসরিক খাজনার শর্তে লিজ হয়, রেজিস্ট্রি করতে হবে।


অন্যভাবে লিজ করিবার চুক্তি দলিল রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক নয়। এক বৎসরের কম সময়ের জন্য লিজ হলে রেজিস্ট্রি দলিল দরকার নেই। যদি লিজ এক বৎসরের উর্ধ্বকালের জন্য হয় এবং দলিল রেজিস্ট্রি করা না হয়, তা হলে ঐ লিজ বেআইনী হবে না। সেই ক্ষেত্রে মনে করা হবে যে, লিজ এক বৎসরের জন্য বা এক মাসের জন্য করা হয়েছে।


আদালতের ডিক্রি বা হুকুমনামা যদি কোনো স্বত্ব সৃষ্টি বা বিলোপ করে তা হস্তান্তর করতে হলে রেজিস্ট্রি করতে হবে।


দলিলের মধ্যে কাটা-ছেঁড়া বা পরিবর্তন থাকলে তা দলিল সম্পাদনকারী স্বাক্ষর করে প্রত্যয়ন করবেন; তা না হলে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার ঐ দলিল রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকার করবেন। 

বই পড়া জি এম মাসুম ভায়ের ফেইসবুক

 ১. "বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকিয়ে রাখবার জন্য জ্ঞান দান করে । অতএব, বই হল সভ্যতার রক্ষাকবচ ।" - ভিক্টর হুগো (বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকারকর্মী)


২. "ভালো বইয়ের সাহচর্য আছে এমন কোন মানুষকে বন্ধুহীন বলা যায় না ।" - এলিজাবেথ ব্যারেট (ভিক্টোরিয় যুগের বিখ্যাত ইংরেজ কবি)


৩. "আপনি একবার পড়তে শিখলে, আপনি চিরতরে মুক্ত হবেন ।" - ফ্রেডরিক ডগলাস (আমেরিকার বিখ্যাত সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও লেখক)


৪. "যারা সাধারণের ঊর্ধ্বে উঠতে চায় তাদের জন্য পড়া অপরিহার্য ।" - জিম রোহন (আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক ও প্রেরণাদায়ক বক্তা)


৫. "ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভর্তি করে, কিন্ত ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে ।" – স্পিনোজা (সপ্তদশ শতকের বিখ্যাত ইউরোপীয় দার্শনিক)


৬. "ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা ।" - দেকার্তে (বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক গণিতবিদ ও বৈজ্ঞানিক)


৭. "পড়ার অভ্যাস অর্জন করা মানে জীবনের প্রায় সমস্ত দুঃখ-কষ্ট থেকে নিজের জন্য আশ্রয় তৈরি করা ।" - ডব্লিউ সমারসেট (বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং ছোটগল্প লেখক)


৮. "আপনি যতো বেশী পড়বেন, ততো বেশি জিনিস আপনি জানতে পারবেন । আপনি যতো বেশি শিখবেন, ততো বেশী জায়গায় যাবেন ।" - ডাঃ সেউস (আমেরিকার বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক)


৯. "আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, একটি বই পড়ার সময় অপরাধ করা অসম্ভব ।" - জন ওয়াটার্স (আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার, লেখক ও শিল্পী)


১০. "শুধুমাত্র পাঠকদের একটি প্রজন্ম লেখকদের একটি প্রজন্মের জন্ম দেবে ।" - স্টিভেন স্পিলবার্গ (আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার)


১১. "পড়ুন । পড়ুন । পড়ুন । শুধু এক ধরনের বই পড়বেন না । বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন বই পড়ুন, যাতে আপনি বিভিন্ন শৈলীর বিকাশ করেন ।" – আর এল স্টাইন (আমেরিকার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার)


১২. "বই হল সবচেয়ে শান্ত এবং সবচেয়ে ধ্রুবক বন্ধু; তারা পরামর্শ দাতাদের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং জ্ঞানী এবং শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে ধৈর্যশীল ।" - চার্লস ডব্লিউ এলিয়ট (বিখ্যাত আমেরিকান লেখক)


১৩. "পৃথিবী তাদেরই যারা পড়ে ।" - রিক হল্যান্ড (বিখ্যাত ইংরেজ কবি ও শিল্পী)


১৪. "বই পড়তে যে ভালোবাসে, তার শত্রু কম ।" - চার্লস ল্যাম্ব (অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক)


১৫. "আইনের মৃত্যু হয়, কিন্তু বইয়ের মৃত্যু হয় না ।" - এনড্রিউ ল্যাঙ (স্কটিস কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সমালোচক)


১৬. "যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্ম নেয় না ।" - পিয়ারসন স্মিথ (বিখ্যাত আমেরিকান কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ)


১৭. "বইয়ের মত এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই ।" - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সাংবাদিক)


১৮. "বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো । - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারত তথা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিক)


১৯. "জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই ।" - ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (বিখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক, দার্শনিক ও বহুভাষাবিদ)


২০. "পড়তে শেখা মানে আগুন জ্বালানো; বানান করা প্রতিটি শব্দাংশ একটি স্ফুলিঙ্গ ।" - ভিক্টর হুগো (বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকারকর্মী) কপি

মুসলমানদের ঈদ দুই টা আর সব বিদ আত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 


ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত ( নব উদ্ভাবিত আমল)।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

“কোনো ব্যক্তি যদি আমাদের এই দ্বীনের ভেতর এমন কিছু সৃষ্টি করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত।”

[বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সলিহীন, বই ১,হাদিস ১৬৯, বিদ’আত বা দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়ের প্রচলন নিষিদ্ধ অধ্যায় ]

তিনি আরো বলেন,

‘তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হ’তে সাবধান থাক। নিশ্চয়ই প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদ‘আত ও প্রত্যেক বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা’।

[আবু দাউদ ৪৬০৭; মিশকাত ১৬৫, সনদ সহীহ] জাবির(রা) হতে অন্য বর্ণনায় এসেছে, ﻭَﻛُﻞَّ ﺿَﻼَﻟَﺔٍ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺭ

‘এবং প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম’।

[আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ১৫৭৯; দুই ঈদ-এর খুৎবা’ অধ্যায়]

মুহাম্মদ (সা: ) কখনো তার জন্মদিন পালন করেননি

আবু বক্কর (রা: ) দুই বছর ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

উমর (রা: ) দশ বছর ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

উসমান (রা: ) তের বছর ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

আলী (রা: ) চার বছর ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

আল-হাসান (রা: ) ছয় মাস ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

মুয়াবিয়া (রা: ) ঊনিশ বছর ধরে শাসন করেছিলেন এবং সে মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

তারপর বিভিন্ন তাবে-তাবেঈনরা এসেছেন তারাও পালন করেননি এমনকি ইমাম আবু হানিফা (রহ: ) ও পালন করেননি

ইসলামের মহান ও হক্কানি স্কলাররা এবং মুহাম্মদ (সা: ) এর সত্যিকারের ওয়ারিশরা তার জন্মদিন পালন করেনি

ইসলামের স্বর্ণযুগের তিন প্রজন্ম চলে গেছে কিন্তু তাদের কেউ মুহাম্মদ (সা: ) এর জন্মদিন পালন করেনি

যদি সত্যিই এইটা ইসলামে থাকত তাহলে তারা তা অবশ্যই পালন করত!!!

রাসুল্লাহ (সা: ) বলেছেন,

“তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামি (আবূ দাঊদ, তিরমিযী) 

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব মহিউদ্দিন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

পুরুষের জন্য ৪ বিয়ে বৈধ এইটা তো সবাই জানেন কিন্তু একজন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর জন্য আরোপিত সুন্নাহসম্মত বাকি দায়িত্বগুলি কিকি তা কি জানেন..?


১. বয়স্ক মহিলাকে বিবাহ করা সুন্নাত।

২. ডিভোর্সী নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।

৩. বিধবা নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।

৪. স্ত্রীর সাথে রান্না করার কাজে, পরিস্কারের কাজে, ধোয়া-মোছার কাজে সহায়তা করা সুন্নাত।

৫. ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ত্রীকে মুখে খাবার তুলে খাওয়ানো সুন্নাত।

৬. স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সুন্নাত।

৭. স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করা সুন্নাত।

৮. স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নাত।

৯. স্ত্রীর অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করা এবং তাকে যখন প্রয়োজন হয় শান্তনা দেওয়া সুন্নাত।

১০. স্ত্রীর সাথে খেলা করা, গল্প করা, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সুন্নাত।

১১. স্ত্রীর কোলে আবদ্ধ হওয়া এবং শিথিল করা সুন্নাত।

১২. স্ত্রীকে সুন্দর নাম নিয়ে ডাকা সুন্নাত।

১৩. পরিবারের ব্যক্তিগত সদস্য এবং বন্ধুদের কাছে তার ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ না করা সুন্নাত।

১৪. স্ত্রীর পিতা-মাতাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সুন্নাত।

১৫. স্ত্রীর এটো খাবার খাওয়া সুন্নাত।

১৬. স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গানো সুন্নাত।

১৭. স্ত্রীর কোলে শুয়ে কুর'আন তিলাওয়াত করা সুন্নাত।

১৮. স্ত্রীকে সালাম দেওয়া সুন্নাত।

১৯. স্ত্রীর হক আদায় করা ফরয।

২০. সংসারের সকল খরচ স্বামীর আদায় করা ওয়াজিব।


অনেক পুরুষই আছেন, যারা এগুলো সুন্নাত তার ১ম স্ত্রীর জন্যই পালন করতে রাজি হন না বা সামর্থ্য রাখেন না কিন্ত ৪ বিয়ের সুন্নাতটা পালন করতে তারা সদা প্রস্তুত।


সুতরাং বাকিগুলা জেনে তারপরে ৪টা বিয়া করবেন, সব স্ত্রীকে আলাদা বাসস্থান, সমান অধিকার, সমান ভালবাসা, সমান বাজার ও খরচ না দিলে কেয়ামতের ময়দানে শুয়ে শুয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যেতে হবে রবের সামনে, পারবেন তো? আবেগের সামনে পিছে জেনে আগানো ভালো, বিয়ে কনো ইয়ার্কির নাম নয়!


যে স্ত্রী আছেন তার অধিকারগুলা ভালোভাবে আদায় করেন,

দুনিয়াটা জান্নাত হবে পরকালটাতেও রবের সান্নিধ্য পাবেন ইনশাআল্লাহ.....❤️❤️ 

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম SKF FACEBOOK

বলুন_তো_শেষ_কবে আপনি_

কৃমির_ওষুধ_খেয়েছিলেন?


✓জেনে অবাক হবেন যে

 একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে ০.২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়।


হাজারো-লক্ষ কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে আমরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকি, ছোট-বড় সবাই।


এছাড়াও কৃমির কারণে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি,শ্বাসকষ্ট হতে পারে,কারো আবার কৃমির জন্য রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না।


কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালীতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়।

কৃমির সংক্রমণে হতে পারে বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা এবং অপারেশনের কারন।


কৃমি দূর করতে হলে প্রথমেই জানা দরকার এটি কেন হয়?

নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী।


কৃমি ঔষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। কিন্তু অনেকে নানা ভুল ধারণার জন্য ভয়ে কৃমির ঔষুধ খান না।শিশুদেরকেও খাওয়াতে চান না। কিন্তু ঔষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর সহজ কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই কৃমি দূর করা যায়।


জেনে নেওয়া যাক সহজ কিছু উপায়:


১. প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল (আলবেন) টেবলেট সেবন করতে পারেন। 

সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। বয়স ১বছরের কম হলে ক্রিমির ঔষধ খাওয়াতে হয়না।


২. চিনি খেলে বা মিষ্টি খেলে কৃমি হবে বলে যে ধারণা প্রচলিত, তা ঠিক নয়। মিষ্টি বা চিনি খাওয়ার সঙ্গে কৃমির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং নোংরা হাতে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কৃমি হবে।


৩. কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে সেখানে হাত দেয়।পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়।এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। যেমন: ওজন না বাড়া, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো, আমাশয়, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।


৪. গরমকালে কৃমিনাশক খাওয়া যাবে না—এমন ধারণারও কোনো ভিত্তি নেই। গরম, শীত, বর্ষা যেকোনো সময়ই কৃমিনাশক খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে খাওয়া ভালো।


৫. কৃমিনাশক নিরাপদ ঔষুধ। এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারও কারও পেট ফাঁপা বা বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় কৃমিনাশক খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার যে খবর পাওয়া যায়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারজনিত।


৬. পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধ করে পান করবেন। শাকসবজি ও মাংস খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে। শিশুদের খাওয়ার আগে ও শৌচাগার ব্যবহারের পর হাত ও পানিরটেব সাবান দিয়ে কীভাবে ভালো করে হাত কচলে ধুতে হয়, তা শেখানো জরুরি।


৭. বাইরের খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়াই ভালো। মাঠঘাটে শিশুদের খালি পায়ে খেলতে দেবেন না।


৮. কেবল গ্রামে বা রাস্তায় থাকা শিশুদের কৃমি হয়—এই ধারণাও ভুল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে-কারও কৃমি সংক্রমণ হতে পারে। কুকুর,গরু,ছাগল ভেড়া, পাখি,হাঁস,মুরগি,ফলমুল, বিভিন্ন খাবার,ইত্যাদির মাধ্যমে কৃমি ছড়িয়ে পড়ে।

তাই অপুষ্টি এড়াতে নিয়মিত কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াই ভালো।


কৃমির ঔষধ একা খেলে হবেনা,একা খেলে আবারো হবে তাই ৩মাস পরপর পরিবারের সবাইকে একসাথে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

(সংগৃহীত)  

FACEBOOK
SKF 

কিছু অবাক করা তথ্য মানব শরীর

 কিছু অবাক করা  তথ্যঃ


১. আপনার পাকস্থলী ভীত👉 যখন আপনি সকালে ব্রেকফাস্ট করছেন না।


২. আপনার কিডনি আতঙ্কিত

👉 যখন আপনি ২৪ ঘন্টায় ১০ গ্লাস পানি পান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।


৩. আপনার গলব্লাডার ভীত 

👉 যখন আপনি রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিছানা ছাড়তে ব্যর্থ হচ্ছেন।


৪. আপনার ক্ষুদ্রান্ত্র আতঙ্কিত 

👉 যখন আপনি ঠান্ডা এবং বাসী খাবার খাচ্ছেন।


৫. বৃহদান্ত্র আতঙ্কিত 

👉 যখন আপনি ভাজাপোড়া এবং ঝাল মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাচ্ছেন।


৬. ফুসফুস তখন ভীত 

👉 যখন আপনি ধোঁয়া, ধুলা এবং বিড়ি ও সিগারেটের বিষাক্ত আবহাওয়ায় থাকছেন।


৭. লিভার ভীত

 👉 যখন আপনি অতিরিক্ত ভাজা, জাঙ্কফুড এবং ফাস্টফুড খাচ্ছেন।


৮. হৃদপিন্ড ভীত 

👉 যখন আপনি বেশি লবন এবং কোলেস্টরলযুক্ত খাবার খাচ্ছেন।


৯. প্যানক্রিয়াস আতঙ্কিত

 👉 যখন আপনি সহজলভ্য এবং সুস্বাদু বলে প্রচুর মিষ্টিজাত খাবার খাচ্ছেন।


১০. আপনার চোখ আতঙ্কিত 

👉 যখন আপনি অন্ধকারে মোবাইলের আলো এবং কম্পিউটার স্ক্রীনের আলোয় কাজ করছেন। এবং


১১. আপনার মস্তিষ্ক ভীত 

👉 যখন আপনি নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়া শুরু করেছেন।


আপনার শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গসমূহের যত্ন নিন এবং তাদের আতঙ্কিত করবেন না। 

কারণ এই সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। 

অতএব, নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গসমূহকে সুস্থ রাখুন।

Collected

সকাল সাতটার বাংলা সংবাদ ০৮/১০/২০২২ বাংলাদেশ বেতার

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(০৮-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


* মধুমতী নদীর ওপর দেশের প্রথম ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন সেতু চালু হচ্ছে আগামী সোমবার - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিন্ন প্লাটফর্ম - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


* নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশন। 


* এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন ইউক্রেন, রাশিয়া ও বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন। 


* এবং ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে ভুটানকে দুই-শূণ্য গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

কাজী নির্জনের ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মাঝরাতে ছেলেটা আমাকে মেসেজ দিয়ে বললো " ২৫ ডজন চুড়ি, ০৫ টা শাড়ি, ০৫ টা থ্রি পিছ, ০৫ জোড়া জুতা আরো অনেক কিছু অর্ডার করতে চাই। আপনি কি ঠিকমতো পৌঁছে দিতে পারবেন? "


আমি অবাক হয়ে গেলাম। সবেমাত্র কিছুদিন আগে থেকে শুরু করেছি আমার অনলাইনের এই ছোট্ট বিজনেস। কিছু কিছু গ্রুপের মধ্যে টুকটাক পোস্ট করি। কিন্তু এই লোকটা যে পরিমাণ লিস্ট দিয়েছে তাতে কমপক্ষে ত্রিশ হাজার টাকার শপিং হবে। 


আমি বললাম " ভাইয়া সবটাই যোগাড় করে দিতে পারবো, আপনার কবে নাগাদ লাগবে? " 


" আমার হাতে বারো দিন সময় আছে, আপনি সেই বারো দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবেন। সবকিছু হিসাব করে দামটা বলেন। আমি আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দেবো। " 


এবার আরেকটু ভাবনা বেড়ে গেল। এতগুলো টাকা তিনি অগ্রিম দিতে চাইছেন। একদিকে যেমন ভাবছি, অন্যদিকে তেমন আনন্দ হচ্ছে। চোখ ভর্তি ঘুম ছিল, সব ঘুম হারিয়ে গেছে। আবার হঠাৎ করে মনে হলো কেউ ফাজলামো করে না তো। এমনও হতে পারে যে সবকিছু বলে তারপর আর নিবে না। 


বললাম " ঠিক আছে ভাইয়া, আমি আপনাকে সম্পুর্ন খরচের লিস্ট দিচ্ছি। " 


" ঠিক আছে তাড়াতাড়ি করবেন, গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন উপলক্ষে গিফট করবো। " 


আমি সবকিছুর হিসাব করলাম। কিছু কিছুর দাম জানা নেই সেগুলোও জেনে ও আনুমানিক ভাবে হিসাব দিলাম। সবমিলিয়ে মোট তেত্রিশ হাজার সাতশো সত্তুর টাকা হলো। 


লোকটা আমার বিকাশ নাম্বার নিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলেন। তারপর মেসেজ দিয়ে বললেন " বাকিটা আগামীকাল দেবো, আজকে আর পাঠানো যাবে না। আপনি সবগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন। " 


" ঠিক আছে ভাইয়া, কিন্তু ঠিকানা? "


" ঠিকানা দেবো, আগে সংগ্রহ করেন। তাছাড়া লিস্টে আরো কিছু এড হতে পারে। আপনি সব সংগ্রহ করে আমাকে বলবেন। আর আমি পঁচিশটা চিরকুট দেবো, আপনি সেগুলো আলাদা আলাদা কাগজে লিখবেন। " 


" ঠিক আছে। " 


" আরেকটা কথা, আমার পরিচিত একজনের কাছ থেকে আপনার কথা জেনেছি। তাই আপনার কাছে সব অর্ডার দিলাম। তাছাড়া আমিও খুলনার মানুষ, আপনি আমি একই শহরের মানুষ। " 


" কে সে? " 


" তেমন কেউ না, বাদ দেন। " 


" আচ্ছা। " 


লোকটা শুভরাত্রি বলে অফলাইন হয়ে গেল। আমি আমার আইডি দিয়ে তার আইডির ভিতর গেলাম। অনেকটা কৌতূহল নিয়েই গেলাম। যিনি তার প্রিয়জনের জন্মদিনে এতকিছু দিচ্ছেন তার প্রতি কৌতূহল হতেই পারে। 


অনেক পোস্ট আর পিকচার আপলোড দেখলাম। একটা মেয়ের হাতে হাত রেখে, পিছন থেকে ও মেয়েটা হিজাব পরিধান করা অবস্থায় কিছু ছবি আছে। বুঝতে পারলাম এটাই সেই মেয়ে। সম্ভব বারো দিন পরে তার তার পঁচিশতম জন্মদিন। 

এদিকে আমি তেইশ বছরের হয়েও আজ পর্যন্ত কোনো মনের মতো কাউকে পেলাম না। অনেক ছেলে প্রপোজ করেছে কিন্তু তাদের কারো প্রতি নিজের দিক থেকে অনুভূতি আসেনি। 


পরদিন সকালে দুটো বান্ধবীকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম। প্রায় চার ঘন্টা ঘোরাঘুরি করে ৮০℅ কেনাকাটা হয়ে গেল। কিছু কসমেটিকস বাকি আছে সেগুলো বসুন্ধরা অথবা যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে নিতে হবে। 


সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আরো দশ হাজার টাকা বিকাশে এলো৷ ১২৩০ টাকা বেশি এসেছে। একটু পরে সেই লোকটা মেসেজ দিয়ে বললো, 


" আপনি সবকিছু কিনে ফেলুন। পরশু আমার অফিস বন্ধ, সেদিন আমি চিরকুট লিখে দেবো। আপনি এরমধ্যে কিনে নিয়ে সবকিছু আলাদা আলাদা প্যাকেট করবেন। " 


" ভাইয়া, যেগুলো প্রিন্ট ডিজাইন করার জন্য দিয়েছেন সেগুলো তিনদিন পরে পাবো! " 


" সমস্যা নেই হাতে তো সময় আছে। " 


" আপনি কিছু টাকা বেশি দিয়েছেন। " 


" ওটা আপনার আলাদা প্যাকেট করার জন্য। " 


" ওকে, তাহলে আপনি দ্রুত চিরকুটের জন্য লেখা পাঠিয়ে দেন। আমি আজকে রঙিন কাগজ নিয়ে এসেছি। " 


" খুব ভালো, খুব ভালো। " 


ছেলেটা অতিরিক্ত কোনো কথা বলে নাই। আমার নামটাও জিজ্ঞেস করেনি। অবশ্য সে নাকি আমার পরিচিত কাউকে চিনে, তাই হয়তো নাম জানে। আমি সবকিছু সামনে নিয়ে আমার কতো টাকা লাভ হবে সেই হিসাব করতে লাগলাম। 


শুক্রবার রাতে তিনি পঁচিশটা চিরকুটে লেখার জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লিখে দিলেন। আমি সবগুলো পড়ার পরে মুগ্ধ হয়ে রইলাম। মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে সেটা আবারও চোখের সামনে জীবন্ত মনে হলো। 


রাত দুইটা পর্যন্ত বসে বসে সবগুলো চিরকুট লেখা শেষ করলাম। মাঝে মাঝে পাতা ছিঁড়তে হয়েছে। কাটাকাটি হয়েছে, বা দু একটা লাইন বাঁকা হয়ে গেছে এরকম কিছু দেইনি। এতো সুন্দর মানের লেখার মধ্যে কাটাকুটি আর বাঁকা লাইন মানায় না। 


তিনদিনের মধ্যে তার সবকিছু আমি সংগ্রহ করে ফেললাম। প্যাকিং কমপ্লিট করে তাকে মেসেজ দিয়ে কনফার্ম জানিয়ে দিলাম। কিন্তু লোকটা অনলাইনে ছিল না। 

পরদিন সারাদিন পেরিয়ে গেল তবুও তাকে অনলাইনে দেখতে পেলাম না। ভাবলাম হয়তো কাজের চাপে ব্যস্ত আছে। আমি সবকিছু রেডি করে রাখলাম যেন সে ঠিকানা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দিতে পারি। 


আমরা চার বান্ধবী মিলে একসঙ্গে থাকতাম। তিনজন একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি আর বাকি আরেকজন অন্য ডিপার্টমেন্টে কিন্তু একই কলেজে। পরদিন কলেজ থেকে ফেরার সময় আমার রুমমেট ইরা বললো 


" কিরে নওশিন, তোর সেই কেয়ারিং বয়ফ্রেন্ডের কোনো খোঁজ পেলি? মেসেজ করেনি আর? " 


" নাহ করেনি, গতকাল থেকে তার কোনো পাত্তা নেই। কি হয়েছে কে জানে? যে নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠিয়েছে সেই নাম্বারে আজকে কল দেবো ভাবছি। " 


" বিকাশ নাম্বার? " 


" হ্যাঁ। " 


" কিন্তু সেটা যদি কোনো দোকানের নাম্বার হয়? " 


" মনে হয় তার পারসোনাল নাম্বার, কারণ প্রথম রাতে সে প্রায় রাত দুইটার দিকে টাকা পাঠিয়েছে। তখন তো শহরের মধ্যে দোকান খোলা থাকার কথা নয়! "


" হতেও তো পারে তাই না? "


" তবুও চেষ্টা তো করবো যোগাযোগ করার। সম্ভবত সাতদিন পরে তার গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন। প্রথম রাতে বারো দিন বলেছিল, অলরেডি পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। " 


বাসায় ফিরে ওই নাম্বারে কল দিলাম কিন্তু নাম্বার বন্ধ। এরপর থেকে যখনই মোবাইল হাতে নিতাম কিংবা তার কথা মনে পড়তো তখনই কল দিতাম। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলাম না। অনলাইনেও আর পেলাম না কয়েকদিন। 


আরো চারদিন পরে রাতে তার আইডির পাশে সবুজ বাতি দেখতে পেলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে মেসেজ দিলাম কিন্তু সিন করলো না। তারপর কিছু না ভেবেই মেসেঞ্জারে কল দিলাম, এবং রিসিভ করলো। 


আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে বললাম, 


" আপনি কেমন আছেন? এতদিন কোথায় ছিলেন? " 


লোকটার কণ্ঠ শুনে আমি অবাক হলাম। খুব সান্ত কণ্ঠে তিনি বললেন, 


" আমি ভালো আছি, আপনি? "


" আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনার কোনো খোঁজ নেই। আমি সবকিছু রেডি করে বসে আছি। "


" আপনার জন্মদিন কবে? " 


" আরো প্রায় দু’মাস পরে, কেন? "


" সবগুলো জিনিস আপনি রেখে দিন। আসলে আমি যার জন্য অর্ডার করেছিলাম সে মা!রা গেছে। সেদিন আপনার সঙ্গে শেষ যেদিন কথা হয়েছে তার পরদিন সকালে ওর এক্সিডেন্ট হয়। তিনদিন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে তারপর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। "


তিনি কলটা কেটে দিলেন, আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। শুধু চোখের সামনে আবছায়া হয়ে ভেসে আসে একটা প্রতিচ্ছবি। জীবন ও মরনের মাঝখানে যার বসবাস। 


সমাপ্ত।।। 

Copy
Pest

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

অডিও সিডি ও ক্যাসেটের মূল্য এখন বেশি কেন?


২০০০ সালে ১ ভরি সোনার দাম ছিল ৬৫০০ টাকা, আজ প্রায় ৭০/৭২ হাজার।

গরুর মাংস ছিল ৪০-৬০ টাকা। একটা লাক্স সাবানের দাম ছিল ১২/১৪ টাকা, টুথপেষ্ট ছিল ৩০-৪০ টাকার ভিতর। একটা সিগারেটের দাম ছিল ২/৪ টাকা। এসব জিনিসের বর্তমান দাম কি উল্লেখ করতে হবে?


ক্যাসেটের দাম ছিল ৩৫ টাকা। আপনি কি জানেন বাংলাদেশের শেষ অডিও ক্যাসেট কোনটা? 

জানেন না। আমিও জানিনা। কোন কোম্পানিও জানেনা। ২০০৯ সালে চুপিসারেই হয়তো কোন একটা এলবাম কোন একটা কোম্পানি থেকে বের হয় যা আর কেউ সেইসময়ে খোঁজ রাখেনি। 


কেন খোঁজ রাখেনি? শৈশব, কৈশোর ক্যাসেটের ফিতায় গান শুনে যার দিন কাটতো, তার দিন তখন কেটেছে মেমোরি কার্ডে কিংবা ভিসিডি প্লেয়ারে ৩০ টাকায় "বেস্ট অফ আসিফ" এর সারাজীবনের গান নিয়ে একটা এমপিথ্রি কিনে। 


২০০৯ সালে ক্যাসেট বন্ধ হলেও ২০০২/০৩ সালের পর থেকেই কিন্তু মূলত ভালো এলবাম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৬/০৭ সালের দিকে চলে আসে মেশিন দিয়ে বানানো গান। অনেক নামীদামী শিল্পীও গান থেকে সরে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছে। সেইসময়ে বিভিন্ন সিডি ক্যাসেট কোম্পানিতে হাজার হাজার কপি থরে থরে পড়ে ছিল। 


এসব কোম্পানিগুলো ক্যাসেট কেজি দরে বিক্রি করে সিডি উঠিয়েছে। যখন এমপিথ্রি ও মেমোরি কার্ডের আগ্রাসনে সিডিও শেষ, তখন সেইসব কোম্পানিগুলিও ধীরে ধীরে ব্যবসা পরিবর্তন করেছে। অনেক বড় কোম্পানিটিও মোবাইলের যন্ত্রপাতি বিক্রি করা শুরু করে। 


ক্যাসেট বন্ধ হয়ে গেলেও নতুন যে এলবামই বাজারে আসছিল, সেই এলবামই সিডি আকারেই আসছিল। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে আমি যখন "আবার" এলবাম বের করি। তখনই আমি সিলভার ডিস্ক করতে পারিনি। তার ২ মাস আগেই বাংলাদেশের সর্বশেষ মেশিনটিই নষ্ট হয়ে যায়। 


এখন আমরা যে সিডি হাতে পাই তা কিন্তু ২০১০ সালের আগের। অডিও বাজারের অস্থিরতায় কোন কোম্পানি পুরাতন কোন এলবামের সিডি নতুন করে বের করেনি। 


বেশিরভাগ হিট অডিও ক্যাসেট বের হয়েছে ২০০০ সালের আগে। এর পরে একাধিক হিট এলবাম বের হলেও তার যতটা না ক্যাসেট বের হয়েছে, তার চেয়ে সিডি বের হয়েছে বেশি। সিডির ক্রেতা বেশি না হলেও দরিদ্র.কম কিংবা ১০০ টাকায় মেমোরি কার্ডে গান ভরাটাই ছিল সবচেয়ে বেশি।


সেইসময়কার কিছু দোকানি ২/৪ বছর আগেও বেঁচে যাওয়া কিছু সিডি ক্যাসেট রেখে দিয়েছিল। অধিক দামের আশায় কিন্তু রাখেনি, বিক্রি হয়নি বলেই রেখেছে। 


আমি আমার সংগ্রহ বাড়াতে নিজের পেশার খাতিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় যখনই গিয়েছি, সেসব জেলার সিডি ক্যাসেটের দোকান খুঁজে বের করেছি। দোকান না পেলেও কারা ব্যবসা করতেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। আমার আগ্রহ দেখে কেউ কেউ তখনই ৩৫ টাকার ক্যাসেট ১০০ টাকাতেও বিক্রি করেছে আমার কাছে। ২০১৬ সালে এলিফ্যান্ট রোডের এক দোকানির কাছ থেকে ২৬টা ক্যাসেট কিনেছিলাম ১৩ হাজার টাকা দিয়ে। 


এগুলো আসলে নেশা। সামর্থ্যেরও ব্যাপার। তবে সবাই যে আমার মতো বেশি দামে কিনেছে তা নয়। কেউ সম্পূর্ণ দোকানের সব ক্যাসেট নামমাত্র মূল্যে কিনেছে। আমি গড়ে কিনিনি। সবসময় বাছাই করেই কিনেছি। আমি খুলনাতে থাকি। ঢাকার সাথে খুলনার পার্থক্য অনেক। ঢাকার সব জিনিস খুলনাতে আসেনা।


আমি ক্যাসেট থেকে গান রেকর্ড করার উদ্দেশ্যেই বেশিরভাগ ক্যাসেট কিনেছি। নিজের জন্য ১/২ কপি রেখে অতিরিক্ত কপি বিক্রি করে দেই। অনেকে ২০২২ সালে এসেও ইন্টেক ক্যাসেট ও সিডি খোঁজেন। এখনো যেসব ক্যাসেট ইন্টেক থাকে, তা মূলত একেবারে শেষদিকের অবিক্রীত ক্যাসেট। এসব ক্যাসেটের কভার, প্লাস্টিক থেকে শুরু করে রেকর্ডিং কোয়ালিটি হয় জঘন্য। একটা এলবাম যত বেশি কপি হবে, শেষ দিকে তার সাউন্ড ততই খারাপ হবে। এর কারণ, কোম্পানিগুলো ১/২ লক্ষ কপির পরে আর মাস্টার ক্যাসেট ব্যবহার করেনি ক্যাসেট রেকর্ডিং এর জন্য। তাহলে ভাবুন, প্রথমদিকের বের হওয়া ক্যাসেট নিশ্চয়ই কোন দোকানি এখনো ইন্টেক অবস্থায় রাখেনি! আমি দোকানিদের ব্যবহৃত কপি ম্যানেজ করার চেষ্টা করতাম।


ক্যাসেট সিডি কিনে আনলে তা সাথে সাথে বিক্রি হয়না। বছরের পর পর বছর এসবের পিছনে টাকা লগ্নি করে রাখতে হয়, এর জন্য ঘরে বড় একটা জায়গা নষ্ট হয়। কিছু ক্যাসেট আছে যার ২য় কপিই পাওয়া কপালের ব্যাপার। 


এখন আপনি যদি সেইসব কপি এখনো ৩৫ টাকাতে কেনার আশা করেন, সেটা কতটা বাস্তবসম্মত? হ্যাঁ, আপনার সামর্থ্য নেই, তার জন্য কি করার আছে? আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জিনিস সেই আমলের দামে কিনতে চাইবেন, সেটা একপ্রকার হাস্যকর ব্যাপার। 


তবে সবাই একই দামে কিনেনা এসব। আমার জানামতে ২ জন ব্যবসায়ী ৫ টাকা করেও ক্যাসেট কিনেছে কিছুদিন আগে। এটাই কপাল। 


অনেকেই বলে হ্যাঁ ভাই, আমারও অনেক ছিল। মা ফেলে দিয়েছে, কোথায় রেখেছি জানিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলেই আপনার যদি কলিজার টুকরো হতো এগুলো, তাহলে কি ফেলে দিতে পারতেন? আসল কথা হলো, আপনার সাথে তখন ক্যাসেটের গ্যাপ হয়েছিল অনেক। আপনি ভেবেছিলেন সব জিনিস সিডিতেই পাবো নয়তো ইউটিউবে পাবো। এতোসহজ নয়। ইউটিউবে সব থাকেনা। ইউটিউবে যারা অডিও গান শোনে, তারা গানের সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়ে ভাবেনা। 


বাংলাদেশের ৯৫% শিল্পীর কাছে তাদের নিজেদেরই এলবামের ক্যাসেট বা সিডির কপি পাবেন না। 


বাংলাদেশের কোন ক্যাসেট কোম্পানির কাছে তাদের প্রকাশিত সব এলবামের স্যাম্পল কপিও পাবেন না। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানি আমাকে ডেকে বলেছিল "আপনার কাছে আমাদের অনেক এলবাম দেখেছি যা আমাদের কাছে নেই। যদি সেগুলো দিতেন???"


বাংলাদেশে ৯০ সালে একটা কনসার্টের টিকিটের দাম ছিল ১০০/২০০ টাকা। এখনো কিন্তু তাই। বাংলাদেশে গানের জিনিস ও গানের মানুষের দাম বাড়েনা! 

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...