এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

নওগা জেলা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

  নওগাঁ জেলা

প্রতিষ্ঠাকালঃ ১লা মার্চ, ১৯৮৪

আয়তনঃ ৩৪৩৫.৬৭ বর্গ কি.মি (রাজশাহী বিভাগে ১ম ও বাংলাদেশের ১২তম বৃহত্তম)

জনসংখ্যাঃ ২৭লক্ষ প্রায়  (২০২১ এর হিসেব অনুসারে)

উপজেলাঃ ১১ টি 

পৌরসভাঃ ৩ টি ( নওগাঁ, নজিপুর, ধামইরহাট )

ইউনিয়ন পরিষদঃ ৯৯ টি

গ্রামঃ ২৫৮৪ টি

ডাক বাংলোঃ ১৩ টি

রেলপথঃ ২৭ কি.মি

রেলওয়ে স্টেশনঃ ০৩ টি (আহসানগঞ্জ,রাণীনগর,শাহাগোলা)

[ সান্তাহার জংশন বগুড়া জেলার অন্তর্গত। নওগাঁর সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন আহসনগঞ্জ (আত্রাই নামে আগে রেলওয়ে স্টেশন ছিলো, তবে বর্তমান নাম আহসানগঞ্জ) এবং সবচেয়ে ছোট রেলওয়ে স্টেশন শাহাগোলা ]

আয়তন অনুসারে উপজেলাসমূহের তথ্যঃ

১। নিয়ামতপুর

আয়তনঃ            ৪৪৯.১০ বর্গকিলোমিটার ।

জনসংখ্যাঃ           ২,৪৮,৩৫১ জন । (২০১১ সালের আদমশুমারী  অনুযায়ী)

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৮টি ।

গ্রাম সংখ্যাঃ         ৩৪১ টি ।

২। মান্দা

 আয়তনঃ          ৪১৩.৯৭ বর্গকিলোমিটার      

জনসংখ্যাঃ         ৪,০০,৭৮৬ জন   

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ  ১৪ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ        ২৯৯ টি

৩। মহাদেবপুর

 আয়তনঃ          ৩৯৭.৬৭ বর্গ কিঃ মিঃ  

জনসংখ্যাঃ           ২৯২৮৫৯ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ১০ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২৯৮টি

৪। পত্নীতলা

 আয়তনঃ           ৩৭৯.৪৩ বর্গ কিলোমিটার।     

জনসংখ্যাঃ           ২,২৯,৮৮০ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ১১ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২৯৫ টি

৫। ধামইরহাট

 আয়তনঃ           ৩০০.৮০ বর্গ কিঃমিঃ        

জনসংখ্যাঃ           ১৬৯৬৯৩ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৮টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২৪৫টি

৬। আত্রাই

 আয়তনঃ            ২৮৪.১৮ বর্গ কিঃমিঃ 

জনসংখ্যাঃ           ২০০৬৩৪ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৮ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২০৭ টি 

৭। নওগাঁ সদর

 আয়তনঃ            ২৭৫.৭৩ বর্গ কিলোমিটার     

জনসংখ্যাঃ           ৪,০৫,১৪৮ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ১২টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২১৫ টি

৮। পোরশা

 আয়তনঃ             ২৭২ বর্গ কি: মি: 

জনসংখ্যাঃ            ১,৪২,৫৩৫ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৬ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ         ২৫৩টি

৯। রাণীনগর

 আয়তনঃ            ২৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার  

জনসংখ্যাঃ           ১,৮৪,৯০০ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৮ টি

গ্রাম সংখ্যাঃ          ১৭৮ টি

১০। সাপাহার

 আয়তনঃ           ২৪৪.৪৯ বর্গ কিঃমিঃ        

জনসংখ্যাঃ          ১,৪৩,৮৫৩ জন     

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৬টি

গ্রাম সংখ্যাঃ         ১৫১ টি

১১। বদলগাছী

 আয়তনঃ             ২১৩.৯৮ বর্গ কিলোমিটার

জনসংখ্যাঃ            ২,০১,৩৪২ জন

ইউনিয়ন সংখ্যাঃ    ০৮ টি 

গ্রাম সংখ্যাঃ          ২৩৭ টি



1980-এর দশকে 60 ইঞ্চি নির্মিত সর্ববৃহৎ সাবউফার।,,,,, এটি হল Mitsubishi Dialtone D160,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এটি হল Mitsubishi Dialtone D160, 1980-এর দশকে 60 ইঞ্চি নির্মিত সর্ববৃহৎ সাবউফার। 

800 কেজি ওজনের, এটি সহজেই জানালা ভেঙে দিতে পারে এবং ছোট ভূমিকম্প তৈরি করে যা 2-কিলোমিটার পরিসরের মধ্যে স্থল কম্পনের মতো অনুভূত হতে পারে। 

কোরিয়ামা কারখানায়, পরীক্ষাটি প্রথমে পরিমাপকক্ষে পরিচালিত হয়েছিল, কিন্তু কম্পনের কারণে সিলিং ল্যাম্প পড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করা হয়েছিল। বহিরঙ্গন পরীক্ষা আশেপাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্পিকার থেকে প্রায় 100 মিটার দূরত্বে, শব্দটি অনুভূত হয়েছিল, তবে আরও বেশি দূরত্বে, এটি একটি শ্রবণযোগ্য শব্দের পরিবর্তে পৃথিবীতে কম্পন এবং শব্দ হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছিল। কারখানার 2-কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে, কম্পন, ছোট ভূমিকম্প, সেইসাথে দেয়াল এবং জানালা থেকে শব্দের মতো ক্ষতি হয়েছিল



সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৪-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৪-০৭-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও বাজেট অধিবেশন সমাপ্ত।


 বাজেট যথাযথভাবে কার্যকর এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্ম-পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে জাতীয় সংসদে সমাপনী ভাষণে  সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানালেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।


সরকার স্বাস্থ্যসেবা সারা দেশে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে — বললেন প্রধানমন্ত্রী।


জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আগামী অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী — জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক – মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


রাজধানীতে প্রথমবারের মতো চালু হলো স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস।


কোয়ালিশন শরীক সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

কলকাতার কিছু সংগ্রহশালা।,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কলকাতার কিছু সংগ্রহশালা।এর মধ্যে কিছু আছে যেগুলোকে অনেকেই সংগ্রহশালার তকমা দিতে চান না। তবে আশা করি প্রতিটা জায়গা কলকাতার মানুষ হিসেবে আপনারা ঘুরেছেন। আমার বেশ কিছু জায়গায় এখনো যাওয়া হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি যাবো। আপনাদের








অভিজ্ঞতা জানাবেন। 


১. কলকাতা জাদুঘর - সব থেকে পুরোনো এবং এক বৃহৎ সংগ্রহশালা। যেখানে মমি দেখতে যাওয়ার জন্য বেশ ভিড় হয়। এছাড়াও আরো বহু পুরোনো এবং ঐতিহ্য লুকিয়ে এই জাদুঘরে। এটি ধর্মতলায় অবস্থিত 


২. ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল - অনেকের কাছে প্রেমের মুক্তাঙ্গন হলেও এর ভেতরে আছে একটি খুব সুন্দর সংগ্রহশালা যেখানে বহু মূর্তি ছবি সংরক্ষিত। এটি রবীন্দ্রসদন এর কাছে অবস্থিত।


৩. আরবিআই মিউজিয়াম - কিভাবে টাকা আমাদের কাছে এলো। তার একটি ইতিহাস এখানে রয়েছে। কোথা থেকে কি ভাবে টাকা এলো তার ইতিহাস জানতে পারবেন। এটি বিবাদী বাগে অবস্থিত।


৪. স্টেট আর্কিওলজিকাল মিউজিয়াম - আমাদের বাংলার মাটির নীচে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস। সেই ইতিহাস জানতে ঘুরে আসতে পারেন এইখানে। এটি বেহালাতে অবস্থিত।


৫. আলিপুর জেল মিউজিয়াম - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক খোলা বই। আগে জেল ছিলো এখন তা এক সংগ্রহশালা। ফাঁসির মঞ্চ থেকে শুরু করে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কারাগার সমস্তাই এখানে দেখতে পাবেন। এটি আলিপুরে অবস্থিত।


৬. নেতাজী ভবন - স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সন্তান সুভাষ বসুর বাড়ি। এক কথায় প্রণম্য স্থান। এটি এলগিন রোড রবীন্দ্রসদনের কাছে অবস্থিত 


৭. জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি - বাংলার ইতিহাসে ঠাকুরবাড়ির নাম কে না জানে। সেখানে রয়েছে এক বিরাট সংগ্রহশালা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঘর। এটি জোড়াসাঁকো। গিরিশ পার্ক এর কাছে অবস্থিত।


৮. বিবেকানন্দর বাড়ি - যুগপুরুষের জন্মস্থান এখন একটি সংগ্রহশালা। এখানে এলে ভক্তি এবং ইতিহাস মিলে মিশে এক হয়ে যায়। এটি বিধান সরনীর ওপর হেদুয়ার কাছে অবস্থিত 


৯. কলকাতা পুলিশ মিউজিয়াম - কলকাতা শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা বোমা ফেললো সেই বোমের খোল এখনো আছে। কিভাবে এলো কলকাতা পুলিশ এবং তার সঙ্গে বিপ্লবীদের ইতিহাস সব কিছু জানাই যাবে এখানে এসে। এটি মানিকতলায় অবস্থিত।


১০. রাজা রামমোহনের বাড়ি - বাংলার রেনেসাঁর অগ্রদূত। যার হাত ধরে এসেছিলো ব্রাহ্ম সমাজ। বন্ধ করেছিলেন সতীদাহ তার বাড়ি এখন এক সংগ্রহশালা। এটি আমহার্স্ট স্ট্রিটে অবস্থিত।


১১. নিবেদিতার বাড়ি - বাগবাজারে যেখান থেকে শুরু হয়েছিল নারীশিক্ষার বীজবপন এবং শুরু করেছিলেন সিস্টার নিবেদিতা তার স্মৃতি ধন্য বাড়ি চাইলে দেখে আসতে পারেন। এটি বাগবাজার বোসপাড়া লেনে অবস্থিত।


১২. শ্রী চৈতন্য মিউজিয়াম - চৈতন্যদেব কিভাবে বদলে দিয়েছিলেন এই সমাজকে। কৃষ্ণপ্রেমে মাতিয়ে ছিলেন সারা বিশ্বকে। তার সম্পূর্ণ জীবনগাঁথা দেখতে পাবেন এখানে। এটি বাগবাজারে অবস্থিত।


১৩. বিড়লা সাইন্স মিউজিয়াম - বিজ্ঞান কিভাবে এগিয়েছে। কিভাবে মাটির নীচে কয়লা তোলা হয় সচক্ষে দেখতে পাবেন এখানে এলে। এটি বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে অবস্থিত।


১৪. সাইন্স সিটি - আমরা সবটাই বিজ্ঞান নির্ভর। জলের গতিবেগ হোক বা বায়ুর উর্দ্ধচাপ চাইলে বিজ্ঞান সব সম্ভব করতেই পারে। এরজন্য আসতে হবে এখানে। এটি ইএম বাইপাসে ওপর অবস্থিত। 


১৫. নেহেরু চিলড্রেন মিউজিয়াম - নামে শিশু হলেও। বড়োদের ভালো লাগবে। হরেকরকমের পুতুলের মেলা এই জাদুঘরে। এটি রবীন্দ্রসদনে অবস্থিত।


১৬. ট্রাম মিউজিয়াম - ছোট্ট কাঠের বগির ভেতর কলকাতার ট্রামের ইতিহাস। কিছুক্ষন পুরোনো কলকাতার আভাস চাইলে নিতেই পারেন। এটি ধর্মতলায় অবস্থিত।


১৭. রেল মিউসিয়াম হাওড়া - কলকাতার থেকে একটু দূরে রেলের ইতিহাস। পুরোনো স্টিম ইঞ্জিন থেকে শুরু করে এখনকার মেট্রো সবকিছুই আছে। চাইলে দেখতেই পারেন। হাওড়া নতুন কমপ্লেক্স এর কাছে অবস্থিত।


১৮. মেটক্যাফে হল - পুরোনো কলকাতার একটু ছোয়া। বেশ কিছু পুরোনো নতুনের মিলমিশে এক মায়াবী বিল্ডিং। দেখতে পারেন। এটি বিবাদী বাগ অঞ্চলে অবস্থিত।


১৯. টাউন হল - এখন ঢুকতে দেয়না। তবে এর ভেতর একটি সংগ্রহশালা আছে। একবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। জানিনা পড়ে আবার হবে কিনা। 


পোস্ট অফিস মিউজিয়াম - রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘন্টা বাজচ্ছে রাতে সেখান থেকে আজকের স্পিড পোস্ট। কিভাবে এলো এই বিবর্তন। দেখতে পারেন এখানে। এটি জেনারেল পোস্ট অফিস বিবাদী বাগে অবস্থিত।


Collected


প্রাচীন কালের সময় মাপকঃ,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

প্রাচীন কালের সময় মাপকঃ
 প্রাচীন কালের সময় মাপকঃ

প্রায় 5,000 বছর আগে, সুমেরীয়রা, যারা প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় (আধুনিক ইরাক) বসবাস করত, আমরা কীভাবে সময়কে উপলব্ধি করি এবং পরিমাপ করি তা বিপ্লব করে। তারা 60 নম্বরের উপর ভিত্তি করে একটি অত্যাধুনিক সংখ্যাসূচক সিস্টেম তৈরি করেছে, যা সেক্সেসিমাল সিস্টেম হিসাবে পরিচিত। এই অনন্য সিস্টেমটি এক ঘন্টাকে 60 মিনিটে এবং এক মিনিটকে 60 সেকেন্ডে বিভক্ত করার দিকে পরিচালিত করেছিল, ধারণাগুলি আজও ব্যবহার করা হচ্ছে। সুমেরীয়দের সুনির্দিষ্ট সময় রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তাদের কৃষি সমাজ দ্বারা চালিত হয়েছিল। ফসল রোপণ এবং ফসল কাটার জন্য সঠিক ক্যালেন্ডার অপরিহার্য ছিল। তাদের জটিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সমন্বয় করাও দরকার ছিল। তাদের টাইমকিপিংয়ে সাহায্য করার জন্য, সুমেরীয়রা জ্যোতির্বিদ্যায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিল। তারা স্বর্গীয় বস্তুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং এই জ্ঞান ব্যবহার করে 12 মাস সহ একটি চন্দ্র ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে, যা কৃষি ঋতুগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। দিনটিকে 24 ঘন্টা, প্রতিটি ঘন্টা 60 মিনিটে এবং প্রতিটি মিনিট 60 সেকেন্ডে বিভক্ত করা ছিল একটি বিশাল কৃতিত্ব। এই বিভাগগুলি নির্বিচারে ছিল না তবে ব্যবহারিক এবং সহজে বিভাজ্য হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যা গণিত সম্পর্কে সুমেরীয়দের উন্নত বোঝার প্রতিফলন করে। সময়ের প্রতি এই উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি ব্যাবিলনীয়, গ্রীক এবং রোমান সহ পরবর্তী সভ্যতার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যারা সুমেরীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবং আরও উন্নত করেছিল। সুমেরীয়দের টাইমকিপিং সিস্টেমের উত্তরাধিকার আমাদের আধুনিক ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডারে স্পষ্ট, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাদের চাতুর্যের স্থায়ী প্রভাব প্রদর্শন করে।



সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৩-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৩-০৭-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


পাঁচ হাজার চারশো ৫৯ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের ১১টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন — দেশে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।


জাতীয় সংসদে পাস হলো পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল—২০২৪ ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল—২০২৪।


বাংলাদেশ থেকে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করবে দু’দেশের টাস্কফোর্স — জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


সিলেট ও সুনামগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি — ত্রাণ  তৎপরতা অব্যাহত।


ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬।


ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে শেষ দুই দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডস।

মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

বাংলাদেশে উৎপাদিত আমের উল্লেখযোগ্য জাতগুলো:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 দেশে উৎপাদিত আমের উল্লেখযোগ্য জাতগুলো:

১. নাগ ফজলী

২. ল্যাংড়া

৩. ক্ষিরসাপাত

৪. গোপালভোগ

৫. ফজলি

৬. আশ্বিনা

৭. বোম্বাই

৮. অগ্নি

৯. অমৃত ভোগ

১০. আলফাজ বোম্বাই

১১. আতাউল আতা

১২. আরিয়াজল

১৩. আরাজনমা

১৪. আলম শাহী

১৫. গিলা

১৬. গোলাপবাস

১৭. আনারস

১৮. ইলশাপেটি

১৮. কলাচিনি

১৯. কাঁচামিঠা

২০.কালিয়া

২১.কৃষ্ণচূড়া

২২. টিক্কাফারাশ

২৩. টিয়াকাঠি

২৪. হাড়িভাঙ্গা

২৫.কালাপাহাড়ী

২৬. কালিভোগ

২৭. বারি ৩

২৮. কাঞ্চন খোসাল

২৯. কাজলা সিন্দুরি

৩০. কিষাণ ভোগ

৩১. কোহিনুর

৩২. কোহিতুর

৩৩. কুয়া পাহাড়ি

৩৪. টোফা

৩৫. কাজল ফজলি

৩৬. কাইয়া ডিপি

৩৭. কাটাসি

৩৮. গোলাপ খাস

৩৯. গোলাপ বাস

৪০. গোল্লা

৪১. গুল্লি

৪২. গৌরজিত

৪৩. গুলগুল্লি

৪৪. চেপি

৪৫. চরবসা

৪৬. চম্পা

৪৭. চন্দন খোস

৪৮. চিনি কালাম

৪৯. চিনি বড়ই

৫০. চিনি পাতা

৫১. ছাবিয়া

৫২. ছানাজুর

৫৩. ছফেদা

৫৪. জালী বান্ধা

৫৫. ভাঙা

৫৬. জিলাপির ক্যাড়া

৫৭. জোয়ালা

৫৮. জিতুভোগ

৫৯. গোবিন্দভোগ

৬০. জর্দা

৬১. জর্দালু

৬২. ত্রিফলা

৬৩. বাওয়ানী

৬৪.বাউনি লতা

৬৫. তাল পানি

৬৬. দার ভাঙা

৬৭. দর্শন

৬৮. দাদভোগ

৬৯. দেউরি

৭০. দিলসাদ

৭১. দোফলা

৭২. দিল্লির লাডুয়া

৭৩. দুধিয়া

৭৪. দেওভোগ

৭৫. দুধসর

৭৬. বড়বাবু

৭৭. নারিকেলি

৭৮. নারকেল পাথী

৭৯. নয়ন ভোগ

৮০. প্রসাদ ভোগ

৮১. জিতুভোগ

৮২. সীতাভোগ

৮৩. বোগলাগুটি

৮৪. পাথুরিয়া

৮৫. ফজলি কালান

৮৬. ফনিয়া

৮৭. বারমাসি

৮৮. বোতল বেকি

৮৯. বোতলা

৯০. বড়শাহী

৯১. বাতাসা

৯২. বাউই ঝুলি

৯৩. বিড়া

৯৪. বেগম পছন্দ

৯৫. কমল পছন্দ

৯৬. বেল খাস

৯৭. বিমলা

৯৮. বিশ্বনাথ

৯৯. বোম্বাই কেতুল্লা

১০০.বদরুদ্দোজা

১০১. বোম্বাই গোপাল ভোগ

১০২. বোম্বাই খিরসা

১০৩. বউ ভুলানী

১০৪. বৃন্দাবনী

১০৫. সাহা পছন্দ

১০৬. বাদশা ভোগ

১০৭. ভাদুরি

১০৮. ভবানী

১০৯. ভবানী চৌরাস

১১০. ভারতী

১১১. মাল ভোগ

১১২. মাংগুড়া পাকা

১১৩. মিসরীদাগী

১১৪. মিসরী ভোগ

১১৫. মিসরী দানা

১১৬. মিসরী কান্ত

১১৭. ভূত বোম্বাই

১১৮. মতিচুর

১১৯. মোহন ভোগ

১২০. মোহন পছন্দ

১২১. রাজরানী

১২১. রাম প্রসাদ

১২৩. রানি পছন্দ

১২৪. কাজী পছন্দ

১২৫. বিলুপছন্দ

১২৬. রানি ভোগ

১২৭. রাজ ভোগ

১২৮. কালিভোগ

১২৯. জিবাভোগ

১৩০. লাক্ষৌ

১৩১. লাদুয়া

১৩৩. লাডুয়া

১৩৪. লোরাল

১৩৫. লালমুন

১৩৬. লক্ষণ ভোগ

১৩৭. হীরালাল বোম্বাই

১৩৮. লতা বোম্বাই

১৩৯. নাবী বোম্বাই

১৪০. লোহাচুর

১৪১. শ্যাম লতা

১৪২. রসবতী

১৪৩. সাটিয়ার ক্যাড়া

১৪৪. সাদাপাড়া

১৪৫. সবজা

১৪৬. সুবা পছন্দ

১৪৭. শাহী পছন্দ

১৪৮. সরিখাস

১৪৯.শরিফ খাস

১৫০. সিন্দুরি

১৫১. সারাবাবু

১৫২. শোভা পছন্দ

১৫৩. সুলতান পছন্দ

১৫৪. সফদর পছন্দ

১৫৫. সূর্যপুরী

১৫৬. সুরমাই ফজলি

১৫৭. হায়াতী

১৫৮. হিমসাগর

১৫৯. শীতলপাটি 

১৬০. ক্ষিরপুরি

১৬১. ক্ষিরমন

১৬২. ক্ষির টাটটি

১৬৩. ক্ষির বোম্বাই

১৬৪. বেলতা

১৬৫. বৈশাখী

১৬৬. গৌড় মতি

১৬৭. হুক্কা

১৬৮. লাড়ুয়ালী

১৬৯. ডালভাঙা

১৭০. মণ্ডা

১৭১. মিছরী দমদম

১৭২. নীলাম্বরী

১৭৩. খান বিলাস

১৭৪.বাতাসা

১৭৫. মনাহারা

১৭৬. পাথুরিয়া

১৭৭. তোহ্ফা

১৭৮. ফোনিয়া

১৭৯. মধুচুষকি

১৮০. মধুমামি

১৮১. নকলা

১৮২. মোহিনিসিন্দুরী

১৮৩. ভুজাহাড়ি

১৮৪. সন্ধ্যাভারুতি

১৮৫. পদ্মমধু

১৮৬. অমৃতভোগ

১৮৭. লতারাজ

১৮৮. বৃন্দাবনি

১৮০. বউ ভুলানি

১৯০. বৃন্দাবনি

১৯১. গোলাপবাস

১৯২. টিক্কাফারাশ

১৯৩.মতিচুর

১৯৪. সূর্যডিম

১৯৫. দাদভোগ

১৯৬. গোড়ভোগ

১৯৭. ব্যানানা

১৯৮. দিলশাদ

১৯৯. কাঞ্চন খোসাল

২০০. সিন্দুরি

২০১. খুদি ক্ষিরসাপাত

২০২. গোলাপ খাস

২০৩. কাটিমন

২০৪. দেওভোগ

২০৫. সিডলেস 

২০৬. থ্রিটেস্ট

২০৭. শ্রাবণী

২০৮. তাইওয়ান রেড

২০৯. লখনা

২১০. কিং অব চাকাপাত

২১১. বারি ১৬

২১২. বারি ১৪

২১৩. থাইগ্রিন

২১৪. চিয়াং মাই

২১৫. পালমার

২১৬. বারি ১১

২১৭. চোষা

২১৮. কুমরাজালী

২১৯. মল্লিকা

২২০. বারি ৪

২২১. আম্রপালি

২২২. সেপ ২

২২৩. নাস ৩

২২৪. অস্টিন

২২৫. বারি ১৩

২২৬. বারি ৭

২২৭. মিয়াজাকি

২২৮. কিউজাই

২২৯. বারি ১৭

২৩০. ঢাকাইয়া গুটি

২৩১. বাবুই ঝাকি

২৩২. ছাঁতাপড়া

২৩৩. বারি ৮ 

২৩৪. রত্না

২৩৫. ডকমাই ইত্যাদি

অশেষ কৃতজ্ঞতা দেওয়ান মাবুদ আহমেদ  ভাই। আপনার মাধ্যমে প্রায় সবগুলো আমের জাত সম্পর্কে জানতে পারলাম।


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০২-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০২-০৭-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:…


নিপুণতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।


জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একত্রে বাংলাদেশে বসবাস করবে - বললেন শেখ হাসিনা।


স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস।


চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এক নয়, বিএনপি নেতারা কূটনীতির ভাষা বোঝেন না - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক নিয়ে  অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে বিএনপি - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। 


 দেশে গতকাল থেকে চালু হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিম, প্রত্যয়।


 কেনিয়ায় করবৃদ্ধি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জন নিহত। 


ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স ও পর্তুগাল।

সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০১-০৭-২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০১-০৭-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আজ থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস।


উন্নয়ন বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে - বাজেট পাস হওয়ার পর সাংবাদিকদের বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


সিলেট বিভাগ ছাড়া সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু।


খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে - অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের।


ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টির বড় ধরনের জয়।


ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে স্লোভাকিয়াকে হারিয়ে ইংল্যান্ড এবং জর্জিয়াকে হারিয়ে স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে।

ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে সমৃদ্ধ হলাম।,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে সমৃদ্ধ হলাম।

“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,

চামের কাঁটা মজুমদার,

ধেয়ে এল দামোদর।

দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি,

দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি।

চাল কাঁড়তে হল বেলা,

ভাত খাওগে দুপুরবেলা।

ভাতে পড়ল মাছি,

কোদাল দিয়ে চাঁছি।

কোদাল হল ভোঁতা,

খা কামারের মাথা।”


ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ছড়াটি পড়েছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি নান্দনিক ছন্দের এই ছড়াটির অর্থ কি? এই ছড়া কোন ইতিহাস বয়ে বেড়ায় কিনা?


এই প্রশ্ন করলে হয়তো এই উত্তরই আসবে যে শিশুদের নির্ভেজাল আনন্দের জন্য এই ছড়ার রচনা হয়েছে। কিন্তু সত্যটা বেশ করুণ। আদতে আনন্দের ছিঁটেফোঁটাও নেই এই ছড়ায়, শিশুদের জন্য তো না বটেই।


মূলত এই ছড়ায় ছড়াকার অসাধারণ দক্ষতার সাথে চিরন্তন বাংলার সাধারণ মানুষের দুঃসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। চলুন এবার ছড়াটির প্রতিটি শব্দ ও পংক্তি ধরে বিশ্লেষণ করে দেখি।


'ইকড়ি' অর্থ সংসার পরিপালনের জন্য সারাদিন খেটেখুটে কঠোর পরিশ্রম করা। কিন্তু তাতেও যখন সংসার চলে না, তখন প্রয়োজন হয় 'মিকড়ি', অর্থাৎ আরও কিছু অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করা। 'চাম' অর্থ রুজি-রোজগারের এলাকা। আর 'চিকড়ি' অর্থ সেই রোজগারের এলাকায় ঘুরে ঘুরে কিছু (অর্থ বা ফসল) উপার্জন করে তা ঘরে নিয়ে আসা।


কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এই "চামের কাঁটা মজুমদার"। 'মজুমদার' মূলত এক প্রকার রাজকর্মচারীর পদবী যার কাজ ছিল খাজনা বা রাজস্ব আদায় ও হিসেব রাখা। আর তাই অনেক সময় খাজনা আদায়ের নামে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেত বলে তাকে পথের কাঁটা বলা হয়েছে।


আর অতঃপর "ধেয়ে এল দামোদর"। এই 'দামোদর' হলো মূলত ফড়ে-পাইকারের দল, যারা সাধারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল অথবা কুমারের বানানো তৈজসপত্র স্বল্প দামে কিনে নিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতো।


কিন্তু এই দামোদর শুধু এসেই ক্ষান্ত হয় না। এখানে বলা হয়েছে "দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি"। এর অর্থ হলো, তারা যখন আসে তখন সাথে করে হাঁড়ি কুঁড়ি নিয়ে আসে। অর্থাৎ খেটে খাওয়া মানুষের উৎপাদিত সব দ্রব্য সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসে।


এরপর বলা হয়েছে "দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি", অর্থাৎ মজুমদার আর ফড়ে পাইকারের থেকে লুকিয়ে যেটুকু চাল বাঁচানো গিয়েছে, এবার সেটা দিয়েই ঘরের দরজায় বসে ভাত রাঁধার প্রস্তুতি শুরু।


কিন্তু "চাল কাঁড়তে হল বেলা", অর্থাৎ এতসব ঝামেলা ঝক্কি সামলাতে সামলাতে ভাত রাঁধায় দেরী হয়ে যায়। তাই "ভাত খাওগে দুপুরবেলা", অর্থাৎ প্রথম প্রহরে বা সকালে খাওয়া আর সম্ভব হয় না। একেবারে দ্বিপ্রহরে বা দুপুরে খেতে হয়।


কিন্তু খাবে কী করে! কারণ "ভাতে পড়ল মাছি"। এখানে 'মাছি' বলতে আসলে চোরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ গরীবের যে যৎসামান্য খাদ্য, তারও শেষ রক্ষা হয় না। ছিঁচকে চোর সেটাও চুরি করে নিয়ে যায়। তাই "কোদাল দিয়ে চাঁছি"। এই 'কোদাল'ও আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। বরং কোদাল বলতে এখানে কোতোয়াল বা পুলিশের কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশের কাছে গিয়ে চোরের ব্যাপারে নালিশ করা হয়েছে।


তবে তাতেও যে গরীব মানুষের হয়রানি কম হয়, তা কিন্তু নয়। কারণ "কোদাল হল ভোঁতা"। অর্থাৎ পুলিশ বা কোতোয়াল কোন কাজই করে না। আর তাই "খা কামারের মাথা"। অর্থাৎ এই কোদাল যে কামার বানিয়েছে, মানে পুলিশ কোতোয়াল সৃষ্টিকারী গ্রামের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা, শেষমেশ তাদের কাছে গিয়েই এই হতদরিদ্র মানুষ গুলোর মাথা কুটে কাঁদতে হয়।


সুতরাং এক কথা বললে, এই ছড়ায় ছড়াকার গ্রাম বাংলার সেই খেটে খাওয়া মানুষের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন যে কিনা কঠোর পরিশ্রম করেও জমিদার, খাজনা আদায়কারী, অসাধু ব্যবসায়ী, চোর, পুলিশ এদের উপদ্রবে নিজের পরিবারের জন্য দু' বেলার খাবারও জোটাতে পারে না।


তথ্যসূত্রঃ

১। কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী, "বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ", ভাষাবিন্যাস

২। ড. মোহাম্মদ আমিন, "ইকড়ি মিকড়ি : অসাধারণ অর্থপূর্ণ একটি ছড়া", ব্লগ পোস্ট-সংগৃহিত



সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...