এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১৯-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ ১৯-০৬-২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি ‍উপলক্ষে ৫ই আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত।


আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন করলো নির্বাচন কমিশন --- পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ।


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধনে একমত সকল রাজনৈতিক দল --- জানালেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।


এক হাজার আটশো পঞ্চাশটি গুমের অভিযোগের মধ্যে দুশো ৫৩টির অকাট্য প্রমাণ পেয়েছে কমিশন --- বাকিগুলোর তদন্ত চলছে --- জানালেন কমিশনের সভাপতি।


ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানির জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আইসিটির।


‘‘দেশি ফল বেশি খাই; আসুন, ফলের গাছ লাগাই’’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু।


ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা অব্যাহত --- চলমান যুদ্ধ নিয়ে আগামীকাল বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।


এবং গল-এ প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -১৯-০৬-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -১৯-০৬-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


এসএসএফকে রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে

পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


 উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষার আহ্বান

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের।


রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ অব্যাহত ---

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে

সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রয়োজন বলে অধিকাংশ দলের মত।


 রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আজ শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয়

ফল মেলা।


১৫ বছরের শাসনামলে দেশজুড়ে দুঃশাসন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ,

সেইসঙ্গে ধ্বংস করেছে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান --- মন্তব্য বিএনপি

মহাসচিবের।


ইরান ও ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত --- সংঘাত নিয়ে

আলোচনার জন্য আগামীকাল জরুরী বৈঠক করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা

পরিষদ।


 এবং আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনাল।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১৮-০৬-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৮-০৬-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


এসএসএফকে রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত --- সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রয়োজন বলে অধিকাংশ দলের মতামত।  


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ।


রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আগামীকাল শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা।


১৫ বছরের শাসনামলে দেশজুড়ে দুঃশাসন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেইসঙ্গে ধ্বংস করেছে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান --- মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের।


ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে --- ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।


গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে অন্তত ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত।


এবং গল-এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান।০

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ - ১৮-০৬- ২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ - ১৮-০৬- ২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম


রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয়

পর্যায় শুরু --- জুলাই মাসের মধ্যে 'জাতীয় সনদ' চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে

--- মন্তব্য ডক্টর আলী রিয়াজের।


 জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন

অধ্যাদেশ-এর গেজেট প্রকাশ।


 জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ

ট্রাইব্যুনাল-২ এর যাত্রা শুরু --- গণহত্যার বিচার হবে আন্তর্জাতিক

মানদণ্ডে, বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল।


 বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে এখনই জ্বালানির দাম

বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের --- জানালেন অর্থ উপদেষ্টা।


 যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেহরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে

উদ্বেগ প্রকাশ সরকারের --- নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর শুরু হয়েছে ---

জানালেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।


 ইরান-ইসরাইল পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত --- ইসরাইলী গোয়েন্দা

সংস্থার সদরদপ্তরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।


 এবং গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনের খেলা শেষে শান্ত এবং

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২।

অদৃশ্যকরণ প্রযুক্তি: আলো, তাপ আর শব্দ লুকানোর বিজ্ঞান

 অদৃশ্যকরণ প্রযুক্তি: আলো, তাপ আর শব্দ লুকানোর বিজ্ঞান


বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এমন প্রযুক্তি বানানোর চেষ্টা করছেন যা আমাদের দৃষ্টির আড়ালে রাখবে। কিন্তু আসলেই কি আমরা অদৃশ্য হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছি?


অদৃশ্য হওয়ার ইচ্ছা অনেক পুরোনো। শিকারি আর সৈনিকরা শত শত বছর ধরে নিজেদের লুকাতে নানা রকম কৌশল ব্যবহার করে আসছেন, কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা সত্যিকার অর্থে কিছু জিনিস অদৃশ্য করার কাছাকাছি চলে এসেছেন। আজকের আধুনিক স্টেলথ টেকনোলজি শুধু প্লেনকে রাডার থেকে আড়াল করতেই পারে না, বরং ইনফ্রারেড ক্যামেরায় দেখা যাওয়া তাপের চিহ্নও লুকিয়ে ফেলতে পারে, এমনকি শব্দও গোপন করতে পারে। তাহলে অদৃশ্য হওয়ার প্রযুক্তি কতটা কাছাকাছি?

.


অদৃশ্য করার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি


আমরা কোনো বস্তু দেখি, কারণ আলো যখন ওই বস্তুতে পড়ে, তখন সেটা কিছুটা শোষিত হয় আর কিছুটা প্রতিফলিত হয়। কিন্তু কাচের মত স্বচ্ছ জিনিস আলোকে প্রায় বিনা বাধায় পার হতে দেয়। কিন্তু যদি কোনো অস্বচ্ছ বস্তুকে লুকাতে হয়, তাহলে আলোকে ওই বস্তু ঘিরে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যেন মনে হয় ওখানে কিছু নেই!


২০০৬ সালে ডিউক ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম এক ধরনের ক্লোকিং ডিভাইস (Cloaking Device) তৈরি করেন। এটি এক ধরনের তামার সিলিন্ডার, যেটিকে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যাতে তা মাইক্রোওয়েভ ডিটেক্টরের কাছে অদৃশ্য মনে হয়। এই ডিভাইসটি বানানো হয়েছিল মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে—এটি এমন এক ধরনের বিশেষ কাঠামো যেটা ত্রিমাত্রিক ভাবে বার বার এক রকম প্যাটার্নে সাজানো হয়। এর ফলে এটি কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য পায়।


তবে এই ক্লোক শুধু মাইক্রোওয়েভে কাজ করত—যেটা তুলনামূলকভাবে অনেক বড় তরঙ্গ। কিন্তু দৃশ্যমান আলোতে (যেটার তরঙ্গ অনেক ছোট) অদৃশ্য হওয়া অনেক কঠিন। কারণ একদিকে ন্যানো-স্কেলে কোয়ান্টাম ইফেক্ট চলে আসে, অন্যদিকে সব রঙের আলোকে একসাথে ঘুরিয়ে দেওয়া ভীষণ কঠিন কাজ। আর একটি বড় সমস্যাও ছিল—এই ক্লোকটি কেবল ছোট একটি বস্তুর জন্য কাজ করত, মানুষের মত বড় কিছুর জন্য নয়।

.


মেটালেন্স: আলোকে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ


২০১৮ সালে হার্ভার্ড ও কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু’র গবেষকরা একটি অত্যাধুনিক ডিভাইস তৈরি করেন, যেটি মেটালেন্স (metalens) নামে পরিচিত। মেটালেন্স মূলত একধরনের অতি পাতলা ও চ্যাপ্টা লেন্স, যা দেখতে প্রায় কাচের পাতলা চাকতির মত, কিন্তু তার কাজ অনেক বেশি জটিল।


এই লেন্সের পৃষ্ঠে বসানো থাকে ন্যানোফিন (nanofin)—মানে, অতিক্ষুদ্র "পাখার মত" গঠন। প্রতিটি ন্যানোফিনের আকার এতটাই ছোট যে একটির প্রস্থ একটি চুলের প্রস্থের হাজার ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। এই ন্যানোফিনগুলি বিশেষভাবে সাজানো থাকে, যেন তারা আলোকে নির্দিষ্টভাবে বাঁকাতে পারে।


আমরা জানি, কোনো বস্তু দেখতে হলে আলো সেই বস্তু থেকে আমাদের চোখে পৌঁছায়। আর আলো এক ধরনের তরঙ্গ, যার বিভিন্ন রঙের জন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন হয়। কিন্তু সাধারণ লেন্স সব রঙের আলোকে সমানভাবে বাঁকাতে সক্ষম না, ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয় (যেমন, রঙ বিকৃতি বা ফোকাসের সমস্যা)।


মেটালেন্সের ন্যানোফিনগুলি এই সমস্যার সমাধান করে। এগুলি এমনভাবে কাজ করে যে, একাধিক রঙ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোও সঠিকভাবে বাঁকানো যায়—একই পয়েন্টে ফোকাস করা যায়। ফলে, এটি অনেক বেশি নিখুঁতভাবে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


এই কারণে, মেটালেন্স স্টেলথ প্রযুক্তিতে আলোকে ঘুরিয়ে দিয়ে বস্তুকে "অদৃশ্য" করার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।


তবে এই প্রযুক্তি এখনও উন্নয়নের পর্যায়ে। মেটালেন্স দিয়ে দৃশ্যমান আলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, এখনও এমন একটি ক্লোক তৈরি হয়নি, যেটা পরে মানুষ হেঁটে বেড়াতে পারে—কারণ এটি এখনও ছোট আকারের বস্তুর জন্যই কার্যকর।


ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাইমন হর্সলি বলেন, “সবাই চায় এমন একটা ক্লোক যা গায়ে পরা যাবে… কিন্তু ওগুলিকে নরম ও নমনীয় করা এখনও সম্ভব হয়নি।”


তিনি আরো বলেন, “এখনকার ক্লোক বলতে আপনি যা বুঝবেন, সেটা অনেকটা একটা সিলিন্ডার যেটা নিজের চারপাশে পরতে হয়। কিন্তু আপনি যদি এমন কিছু চান যেটা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবেন, সেটা একদম ভিন্ন ডিজাইনের ব্যাপার।”

.


রাডার থেকে লুকাতে স্টেলথ বিমানের কৌশল


যদিও আমরা এখনও এমন কোনো জিনিস বানাতে পারিনি যা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়, তবুও কিছু প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে জিনিসগুলি অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কার্যত অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। যেমন—স্টেলথ জেট। এসব জেট এমনভাবে বানানো হয় যেন রাডারে ধরা না পড়ে।


রাডার আসলে একটা রেডিও তরঙ্গ পাঠায়, তারপর দেখে সেটি কোনো কিছুর গায়ে লেগে ফেরত আসে কিনা। যদি ফেরে, তাহলে সেই সময় আর দিক দেখে বোঝা যায় ওই বস্তুটা কোথায় আছে। বিমান সাধারণত ধাতবে তৈরি, তাই এগুলি রাডার তরঙ্গ খুব ভালভাবে প্রতিফলিত করে—যার মানে হল, রাডার সহজেই এগুলিকে ধরতে পারে।


তবে দুটি জিনিস আছে যা প্লেনকে রাডার থেকে লুকাতে সাহায্য করে: প্রথমত, প্লেনের গঠন বা আকার। বিমানগুলি যদি গোল-গোল হয় (যেমন যাত্রীবাহী প্লেন), তাহলে যে দিকেই রাডার তরঙ্গ আসুক, তা কিছুটা ফেরত যাবেই। কিন্তু স্টেলথ প্লেনগুলি একদম বিপরীত—এসবের পৃষ্ঠ একেবারে চ্যাপ্টা, ধারালো কোণযুক্ত। এতে রাডার তরঙ্গগুলি এমনভাবে প্রতিফলিত হয় যে, তারা রাডারের উৎসে আর ফিরে যায় না—ফলে রাডারে ধরা পড়ে না।


দ্বিতীয়ত, বিমান তৈরির উপাদান। বিমান যদি ধাতব বা কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে সেটি রাডার তরঙ্গ খুব সহজে প্রতিফলিত করবে। তাই রাডার-প্রুফ করতে গেলে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হয় যেগুলি বিদ্যুৎ পরিবাহক না। আর যদি ধাতব ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে বিমানের গায়ে এমন এক ধরনের পেইন্ট ব্যবহার করা হয়, যা রাডার তরঙ্গ শোষণ করে।


এরকম একটি রাডার শোষণকারী পেইন্টের নাম ‘iron ball paint’। এতে থাকে ছোট ছোট আয়রন বল, যেগুলির তরঙ্গ কম্পন রাডারের মতই। রাডার সিগনাল প্লেনের গায়ে লাগলেই, এই ছোট ছোট বলগুলি কম্পিত হয়ে সেই শক্তিকে তাপে রূপান্তর করে চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। ফলে, রাডার যখন ফিরে আসা তরঙ্গ খুঁজছে, তখন কিছুই খুঁজে পায় না—প্লেন কার্যত অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক সময় এমন হয় যে, প্লেনকে দেখে মনে হয় কোনো পাখি উড়ছে!


তবে এসব প্রযুক্তি নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্যই কাজ করে। আর আজকের আধুনিক রাডার কম্পিউটারগুলি এতটাই শক্তিশালী হয়ে গেছে যে, বিমান লুকিয়ে থাকলেও তারা সেগুলি চিনে ফেলতে পারে।


শুধু রাডার নয়, স্টেলথ বিমানগুলিকে দৃশ্যমান আলো থেকেও লুকাতে হয়। এ জন্য এসব বিমান সাধারণত কালো রঙে রঙ করা হয় এবং রাতের বেলায় ওড়ানো হয়। এমনকি প্লেনগুলি এমন উচ্চতায় চালানো হয়, যেখানে কনডেনসেশন ট্রেইল (বিমানের  পেছনে সাদা রেখা) কম তৈরি হয়। কারণ এটাও অনেক দূর থেকে দেখা যায়।


আরেকটি সমস্যা হল তাপ। বিমানের ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড উত্তাপ বের হয়, যেটা ইনফ্রারেড ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়ে। তাপ গোপন করতে কিছু বিমান ঠাণ্ডা বাইরের বাতাস ইঞ্জিনের গরম এক্সহস্টে মিশিয়ে দেয়। কেউ কেউ সরু-আকৃতির পাইপ ব্যবহার করে, যাতে গরম বাতাস বেশি ছড়িয়ে যায়। আবার কিছু বিমান এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে এক্সহস্ট উপরের দিকে বের হয়—নিচ থেকে কেউ দেখতে না পায়।


নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক মেটাসারফেস নামের প্রযুক্তি এসেছে, যা আরও ভালভাবে রাডার বা আলোকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হল—সব রকম তরঙ্গদৈর্ঘ্যে একসাথে লুকানো এখনও সম্ভব হয়নি।

.


তাপ গোপন করার কৌশল


যুদ্ধে বা গোপন মিশনে সৈনিকদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হল ইনফ্রারেড (IR) ক্যামেরা থেকে লুকানো। কারণ মানুষের শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ২০০ ওয়াট তাপ বিকিরণ করে, যা প্রায় তিনটা ঘরের লাইটবাল্বের সমান। আর এই তাপ সহজেই ইনফ্রারেড ক্যামেরায় ধরা পড়ে।


একটা সহজ, সস্তা উপায় হল অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কম্বল ব্যবহার করা। এই ধরনের কম্বলকে "ইমারজেন্সি ব্ল্যাঙ্কেট" বা "স্পেস কম্বল"ও বলা হয়। এর চকচকে ধাতব পৃষ্ঠ তাপ বের হতে দেয় না।


এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা—ইমিসিভিটি (emissivity)। সহজভাবে বললে, ইমিসিভিটি হল কোনো বস্তু কতটা সহজে তাপ বিকিরণ করে সেটা মাপার একটি মান। একে ০ থেকে ১ পর্যন্ত স্কেলে মাপা হয়। যেখানে ১ মানে সেই বস্তু খুব সহজেই তাপ বিকিরণ করে (যেমন মানুষের ত্বক বা কাপড়), আর ০ মানে তাপ প্রায় বের হয় না (যেমন চকচকে ধাতু)।


অ্যালুমিনিয়ামের ইমিসিভিটি প্রায় ০.০৩ থেকে ০.০৫—মানে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তাই এই ফয়েল কম্বল শরীরের তাপ বাইরে বের হতে দেয় না। এর ফলে ইনফ্রারেড (IR) ক্যামেরা বুঝতেই পারে না যে ভেতরে কেউ আছে—কারণ তাপের চিহ্ন দেখা যায় না।


কিন্তু সমস্যা হল, শরীরের তাপ যেহেতু বাইরে বের হতে পারছে না, সেটা ভেতরেই জমা হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর এই অতিরিক্ত তাপ পুরো কম্বল গরম করে ফেলে। তখন পুরো কম্বলটাই ইনফ্রারেড ক্যামেরায় গরম বস্তু হিসেবে দেখা যায়।


আর আশেপাশের পরিবেশ যদি অনেক ঠাণ্ডা বা অনেক গরম হয়, তাহলে কম্বলটা চারপাশের তুলনায় আলাদা দেখায়—যেটা ইনফ্রারেড ক্যামেরার জন্য একটি পরিষ্কার সংকেত হিসাবে ধরা পড়ে।


ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার-এর প্রফেসর কসকুন কোকাবাস আর তার টিম এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যেটা আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে নিজেকে বদলে ফেলতে পারে—একেবারে গিরগিটির মত! “প্রথমে ভাবনা ছিল, গিরগিটির মত স্মার্ট সারফেস বানানো যায় কি?”—বলেন কোকাবাস। উত্তর হল: হ্যাঁ, যায়! আর সেটা সম্ভব গ্রাফিন দিয়ে।


গ্রাফিন একধরনের ২D ম্যাটেরিয়াল (মাত্র এক পরমাণু পুরুত্বের) যেখানে অসংখ্য চলমান ইলেকট্রন থাকে। আর এই ইলেকট্রনগুলিই আলো আর তাপের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। এই ইলেকট্রনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করলেই আপনি বস্তুটির আলোক প্রতিফলন, শোষণ আর তাপ বিকিরণ—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। গ্রাফিনের স্তরগুলির মধ্যে আয়ন গুঁজে দেওয়া হয়—যাকে বলে ইন্টারক্যালেশন। এতে ইলেকট্রনের চলাফেরা বদলে যায়, ফলে আপনি পুরো সারফেসের অপটিক্যাল প্রপার্টি বদলে ফেলতে পারেন—মানে, আলো বা তাপ কেমনভাবে প্রতিফলিত হবে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


২০২২ সালে কোকাবাসের টিম ৪২টি গ্রাফিন প্যাচ দিয়ে একটা জ্যাকেট বানায়, যেটা একেকটা পিক্সেলের মত কাজ করে। এই জ্যাকেট এমনভাবে আশেপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা অনুকরণ করতে পারে, যে ইনফ্রারেড ক্যামেরায় লোকটিকে দেখা যায় না! যদিও গ্রাফিন মাত্র ২০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে, আর এখনও এটি বড় থ্রিডি ম্যাটেরিয়ালের সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে কাজ করানো কঠিন। কিন্তু একবার এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারলে, অদৃশ্য জ্যাকেট বা ক্লোক বাস্তবে পরা সম্ভব হবে—যা দৃশ্যমান আলো এবং ইনফ্রারেড দুই থেকেই মানুষকে লুকিয়ে রাখতে পারবে।

.


শব্দ গোপন করার কৌশল


এই জায়গায় আমাদের চেয়ে প্রকৃতির কিছু প্রাণী অনেক বেশি এগিয়ে। এর একটা দুর্দান্ত উদাহরণ হল আফ্রিকান ক্যাবেজ ট্রি এম্পেরর মথ (African cabbage tree emperor moth)। এটি আফ্রিকার নির্জন বনাঞ্চলে পাওয়া যায়, এবং সাধারণত রাতে সক্রিয় থাকে। এর ডানার রঙ ধূসর আর বাদামির মিশেল, দেখতে সুন্দর হলেও সহজেই গাছের গায়ে মিশে যেতে পারে।


তবে এর আসল স্টেলথ গুণ লুকানো আছে তার ডানার গঠনে। এর ডানায় রয়েছে সূক্ষ্ম আঁশ ও লোম, যা শুধু দেখতেই হালকা নয়—এটি আসলে আশ্চর্য প্রাকৃতিক সাউন্ড ক্লোক (sound cloak) হিসাবে কাজ করে।


এই মথের শত্রু হল বাদুড়, যারা দেখতে পায় না, কিন্তু "ইকোলোকেশন" (echolocation) ব্যবহার করে শিকার করে। ইকোলোকেশন এক ধরনের জৈবিক সোনার প্রযুক্তি—বাদুড় নিজের মুখ দিয়ে উচ্চ-তরঙ্গ (আল্ট্রাসোনিক) শব্দ পাঠায়, আর সেই শব্দ কোনো কিছুর গায়ে লেগে ফিরে এলে বুঝে নেয় আশেপাশে কী আছে, কোথায় আছে।


কিন্তু ক্যাবেজ ট্রি এম্পেরর মথের ডানার আঁশ সেই শব্দ শুষে নেয়—ফলে কোনো প্রতিফলন হয় না, এবং শব্দ ফিরে না যাওয়ায় বাদুড় বুঝতেই পারে না যে সামনে তার প্রিয় শিকারটি উড়ছে!


ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল-এর প্রফেসর মার্ক হোল্ডারিড এই দারুণ ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন। এটিই প্রথম প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া অ্যাকোস্টিক মেটাম্যাটেরিয়াল। এগুলি এমন ধরনের কাঠামো যা শব্দের তরঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন আলো নিয়ন্ত্রণে মেটাম্যাটেরিয়াল কাজ করে ইলেকট্রনের মাধ্যমে, তেমনি শব্দে এগুলি কাজ করে পিরিয়ডিক স্ট্রাকচার দিয়ে—মানে, ছোট ছোট একরকম গঠন বার বার সাজানো।


ইউনিভার্সিটি অব সাউথ্যাম্পটন-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ফেলিক্স ল্যাংফেল্ড বলছেন—“এগুলি এমনভাবে বানানো যায়, যেখানে গঠন, জ্যামিতি আর উপাদান সব নিয়ন্ত্রণ করে শব্দতরঙ্গ কীভাবে চলবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শব্দকে প্রতিফলিত, মোড়ানো বা শোষণ—সবই সম্ভব।” এই গঠনগুলি এতই দক্ষ যে খুবই পাতলা স্তরেও অনেক শব্দ শোষণ করা যায়, যা আগে করতে হলে পুরু ফোম দরকার হতো। “ভাবুন তো, একটা কাগজের মত পাতলা কিছু, যেটা কংক্রিটের দেয়ালের মত শব্দ আটকায়।”


এই স্ট্রাকচারগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে বড় দালানে শব্দ কমাতে, বা বিমানগুলিকে নিঃশব্দ করতে—আর সেটাই এখন ল্যাংফেল্ডের গবেষণার বিষয়। শব্দ বা ভাইব্রেশন শুধু কানে বাজে না, এগুলি শক্তি। যদি মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে এগুলির দিক ঠিকমত ঘুরানো যায়, তাহলে সেই শক্তিকে ধরে রাখা সম্ভব।


ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর ড. গ্রেগরি চ্যাপলেইন এখন এই টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “গাড়ির মধ্যে অনেক শব্দ বা কম্পন হয়, যা আসলে অপচয় হওয়া শক্তি। আপনি যদি মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে সেই শক্তির দিক ঘুরিয়ে দেন, আর সেখানে একটা যন্ত্র রাখেন যা শক্তি শুষে নেয়—তাহলে ওই অপচয় কাজে লাগানো যায়।” এই টেকনোলজি দিয়ে এমন ছোট ডিভাইস বানানো যাবে যেগুলি ভাইব্রেশন থেকে শক্তি নিয়ে চলবে—যেমন ব্রিজ, পারমাণবিক চুল্লি বা বিমানের ভেতরের নানা সেন্সর।


তাহলে ভাবুন, ভবিষ্যতের শহরগুলি এমন হতে পারে: একদম শব্দহীন, পরিবেশ থেকে শক্তি সংগ্রহে সক্ষম, ভূমিকম্প প্রতিরোধী, এমনকি হয়ত চোখে দেখা যায় না এমন—পুরোটাই মেটাম্যাটেরিয়ালের কল্যাণে!


সব দিক মিলিয়ে—আলো, তাপ আর শব্দ—এই তিন জায়গায় আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। যদিও এখনও ইনভিজিবিলিটি ক্লোক পরে হেঁটে বেড়ানো সম্ভব হয়নি, তবুও এটা নিশ্চিত যে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছে পৌঁছে গেছি। মেটাম্যাটেরিয়াল, গ্রাফিন, আর স্মার্ট ডিজাইন আমাদের এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে অদৃশ্য হওয়া আর শুধু গল্পের বিষয় নয়—বরং একেবারে বাস্তবের প্রযুক্তি।


#অদৃশ্যকরণ #প্রযুক্তি #বিজ্ঞান

সত্তর ভাসায় ভালবাসি

 বাংলা= আমি তোমাকে ভালবাসি 

২.ইংরেজি = আই লাভ ইউ। 

৩.ইতালিয়ান = তি আমো

 ৪.রাশিয়ান = ইয়া তেবয়া লিউব্লিউ 

৫.কোরিয়ান = তাঙশিনুল সারাঙ হাইয়ো। 

৬.কানাডা = নান্নু নিনান্নু প্রীতিসুথিন। 

৭.জার্মান = ইস লিবে দিস। 

৮.রাখাইন =অ্যাঁই সাঁইতে। 

৯.ক্যাম্বোডিয়ান=বোন স্রো লানহ্উন। 

১০.ফার্সি = দুস্তাত দারাম। 

১১.তিউনিশিয়া = হাহে বাক। 

১২.ফিলিপিনো = ইনবিগ কিটা 

১৩.লাতিন = তে আমো। 

১৪.আইরিশ = তাইম ইনগ্রা লিত। 

১৫.ফ্রেঞ্চ = ইয়ে তাইমে।

 ১৬.ডাচ = ইক হু ভ্যান ইউ। 

১৭.অসমিয়া = মুই তোমাকে ভাল্ পাও।

 ১৮.জুলু = মেনা তান্দা উইনা। 

১৯.তুর্কি = সেনি সেভিউর ম। 

২০.মহেলি = মহে পেন্দা। 

২১.তামিল = নান উন্নাই কাদালিকিরেন।

 ২২.সহেলি = নাকু পেন্দা। 

২৩.ইরানি = মাহ্ন দুস্তাহ্ত দোহ্রাহম।

 ২৪.হিব্রু = আনি ওহেব ওটচে 

২৫.গুজরাটি = হুঁ তানে পেয়ার কার ছু। 

২৬.চেক = মিলুই তে। 

২৭.পোলিশ = কোচাম গিয়ে। 

২৮.পর্তুগিজ = ইউ আমু তে। 

২৯.বসনিয়ান = ভলিম তে। 

৩০.তিউনেশিয়ান = হা এহ বাদ। 

৩১.হাওয়াই = আলোহা ওয়াউ লা ওই। 

৩২.আলবেনিয়া = তে দুয়া 

৩৩.লিথুনিয়ান = তাভ মায়লিউ। 

৩৪.চাইনিজ = ওউ আই নি। 

৩৫.তাইওয়ান = গাউয়া আই লি। 

৩৬.পার্শিয়ান = তোরা ডোস্ট ডারাম।

 ৩৭.মালয়শিয়ান =সায়া চিনতা কামু। 

৩৮.মায়ানমার = মিন কো চিত তাই। 

৩৯.ভিয়েতনামিস = আনাহ ইউই এম 

৪০.থাইল্যান্ড = চান রাক খুন 

৪১.গ্রিক = সাইয়াগাপো। 

৪২.চেক = মিলুই তে। 

৪৩.বর্মিজ = চিত পা দে। 

৪৪.পোলিশ = কোচাম গিয়ে।

 ৪৫.মালয়ি = আকু চিন্তা কামু। 

৪৬.ব্রাজিল = চিতপাদে। 

৪৭.হিন্দি = ম্যায় তুমছে পেয়ার করতাহুঁ।

 ৪৮.জাপানি = কিমিও আইশিতের। 

৪৯.পাকিস্তান = মুঝে তুমছে মহব্বত হায় 

৫০.ফার্সি = ইয়ে তাইমে। 

৫১.সিংহলিজ = মামা ও বাটা আছরেই। 

৫২.পাঞ্জাবী = মেয় তাতনু পেয়ার কারতা। 

৫৩.আফ্রিকান = এক ইজ লফি ভির ইউ 

৫৪.তামিল = নান উন্নাহ কাদা লিকিরেণ।

৫৫.রোমানিয়া = তে ইউবেস্ক। 

৫৬.স্লোভাক = লু বিমতা। 

৫৭.নরওয়ে = ইয়েগ এলস্কার দাই। 

৫৮.স্প্যানিশ = তে কুইয়েবু। 

৫৯.ফিলিপাইন = ইনি বিগকিটা। 

৬০.বুলগেরিয়া = অবি চামতে। 

৬১.আলবেনিয়া = তে দাসরোজ।

 ৬২.গ্রিক = সাইয়াগাফু। 

৬৩.এস্তোনিয়ান = মিনা আর মাস্তান সিন্দ। 

৬৪.ইরান = সাহান দুস্তাহত দোহরাম

৬৫.লেবানিজ = বহিবাক।

 ৬৬.ক্যান্টনিজ = মোই ওইয়া নেয়া। 

৬৭.ফিনিশ = মিন্যা রাকাস্তান সিনোয়া। 

৬৮.গ্রিনল্যান্ড= এগো ফিলো সু। 

৬৯.আরবি = আনা বেহিবাক 

৭০.ইরিত্রয়ান = আনা ফাতওকি।🥺☹️

প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য

 যৌ*ন মিল-নে সুখি হতে চাইলে সব দায়ভার কখনোই স্বামীর উপর ছেড়ে দিবেন না যদিও স্বভাবজাতভাবে স্বামী মুখ্যভূমিকা পালন করে থাকে আর স্ত্রীর ভূমিকা গৌন। কিন্তু স্ত্রী যখন স্বামীর আবেগকে বুঝবে, নিজেকে শুধুমাত্র নিজের স্বামীর কাছেই যৌ*ন আবেদনময়ী করে উপস্থাপন করবে, স্বামীকে উত্তেজিত করে তুলবে, চুপচাপ বিছানার এককোণে পরে থাকবে না আশা করা যায় যৌ*নমিলন  ভরপুর একসুখের সীমানায় নিয়ে যাবে। 


# স্বামীর জন্য সাজুন, স্বামীকে ভালবাসুন, স্বামীর মেজাজকে বুঝতে চেষ্টা করুন।


# স্বামীকে সারপ্রাইজ দিতে মাঝে মাঝে খোলামেলা পোশাক পড়ুন, স্বামীর সামনে নিজের সৌন্দর্য কে ফুটিয়ে তুলুন।


# লাজুকতা থাকবে, এটা নারীর সৌন্দর্য। তবে বিছানায় ঝেড়ে ফেলুন। উগ্রতা মাঝে মাঝে কামনীয়, রোমান্টিক কথা, স্ত্রীর চিৎকার স্বামীকে পাগল করে দেয়, স্বামীর যৌ*ন অক্ষমতা থেকে হিফাজত করে, সেক্স হরমোন রিলিজ করে, লি*ঙ্গকে  দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দৃঢ়, মজবুত করে রাখে।


# স্বামীকে দিয়েই আদর শুরু করুন, তার বিশেষ বিশেষ জায়গায় বিদ্যুৎ চমকায় দিন, তাকে গরম করে ছেড়ে দিন, যখন আপনার পালা আসবে তখন স্বামীর উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়ে যাবে যা দ্রুত বীর্য*পাত কমিয়ে দিবে।


# স্বামীর যৌ*ন পার্ফমেন্স কে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিন।স্পেশাল জিনিসটি নিজের প্রিয় জিনিস বানিয়ে নিন, আর স্বামীর কানে কানে সেটা জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।


# স্বামীর পোশাক খু*লতে সহায়তা করুন, প্রয়োজনে আপনি নিজে খুলে দিন, আর আপনারটা যেন আপনার স্বামী খুলে দেয়, তাকে যৌ*নতার শুরে অনুরোধ করুন। 


# বডি মেসেজ এটা করতে ভূলবেন না, প্রচুর পরিমানে করুন, পরস্পরের সে*ক্সের আনন্দ বাড়িয়ে দিবে বহুগুন, স্বামীর সেনসেটিভ জায়গায় ভালোমত মেসেজ দিলে আশা করি দ্রুত বী*র্যপাতের সমস্যাটা আস্তে আস্তে কমে যাবে।


#  হঠাৎ হঠাৎ স্বামীকে ঘুমের মধ্যে নিজে থেকে আদর করুন, উত্তেজিত করে, তার যৌ*নক্ষুধা বাড়িয়ে দিন।


# মাঝে মাঝে উঠতে বসতে হালকা যৌ*নালাপ করুন, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকবে, সারাদিনের একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে, যৌ*নতাকে পরস্পরের মধ্যে মনখুলে ভালোবাসুন। নিজেদের মধ্যে গোপন রাখুন, মাঝে মাঝে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করুন, যা শুধু আপনারা ছাড়া দুনিয়ার কেউই যেন না বুঝে।

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

কাঁঠালের বিচি  বছরজুড়ে সংরক্ষণের কার্যকরী ঘরোয়া টিপস,,,,,,

 🍀কাঁঠালের বিচি  বছরজুড়ে সংরক্ষণের কার্যকরী ঘরোয়া টিপস 🍀


▪️গ্রীষ্ম মানেই কাঁঠাল।  আর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে সারা বছর এর স্বাদ উপভোগ করতে চান না কে?  


▪️তাহলে আপনাদের জন্য রইলো কাঁঠালের বিচি সঠিকভাবে সংরক্ষণের কিছু দারুণ কার্যকরী ঘরোয়া টিপস👇


▪️কাঁঠালের বিচি শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কিন্তু সঠিক সংরক্ষণের অভাবে অনেকে এটি নষ্ট করে ফেলেন। জেনে নিন কিছু সহজ কৌশল, যা আপনার কাঁঠালের বিচি রাখবে টাটকা ও সতেজ:


▪️১. ভালোভাবে পরিষ্কার করুন: প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কোনো আঠালো অংশ বা খোসা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর একটি পরিষ্কার কাপড়ে বিছিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন, যেন কোনো আর্দ্রতা না থাকে।


▪️২. রোদে শুকানো পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং কার্যকর পদ্ধতি। বিচিগুলো পরিষ্কার করে কড়া রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে নিন। বিচিগুলো মচমচে হয়ে গেলে বুঝবেন এটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রস্তুত। রোদে শুকানো বিচি একটি বায়ু-নিরোধক পাত্রে রেখে দিলে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

▪️

৩. ফ্রিজে সংরক্ষণ: যারা দ্রুত সংরক্ষণ করতে চান, তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি জিপলক ব্যাগে বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজের সাধারণ চেম্বারে রাখুন। এভাবে প্রায় ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। রান্নার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে যাবে।


▪️৪. ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ: দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজ ব্যবহার করুন। বিচিগুলো পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এরপর ছোট ছোট অংশে ভাগ করে জিপলক ব্যাগ বা ফ্রিজার-সেফ কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। ব্যবহারের আগে নরমাল চেম্বারে রেখে ডিফ্রস্ট করে নিন।


▪️৫. বালিতে সংরক্ষণ (গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয়): এটি একটি পুরনো এবং কার্যকর পদ্ধতি, যা গ্রামের দিকে বেশি প্রচলিত। বিচিগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে শুকনো বালি নিয়ে তার মধ্যে বিচিগুলো ডুবিয়ে রাখুন। বালি বিচির আর্দ্রতা শোষণ করে এটিকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখে।


▪️৬. হিমায়িত করার আগে হালকা সেদ্ধ করা: বিচিগুলোকে পরিষ্কার করে হালকা সেদ্ধ করে নিন। এতে বিচিগুলোর এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ে। সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে বিচিগুলো আরও বেশি দিন ভালো থাকে এবং রান্নার সময় নরম হতেও কম সময় লাগে।


▪️৭. তেলে ভেজে সংরক্ষণ: এই পদ্ধতিটি কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও কার্যকরী। বিচিগুলোকে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এরপর সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি ভাজা না হয়, শুধু একটা হালকা আবরণ তৈরি হয়। এরপর ঠান্ডা করে বায়ু-নিরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করুন। তেল বিচিগুলোকে বাইরের আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে এবং এর শেল্ফ-লাইফ বাড়ায়। এই বিচিগুলো পরে ভেজে স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।


▪️৮. এয়ার-টাইট জার বা কন্টেইনারে সংরক্ষণ: আপনি যদি রোদে শুকানো বা হালকা সেদ্ধ করে বিচি সংরক্ষণ করেন, তবে সেগুলো অবশ্যই ভালো মানের এয়ার-টাইট জার বা কন্টেইনারে রাখুন। কাঁচের জার এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করে, কারণ এটি কোনো গন্ধ শোষণ করে না এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। প্লাস্টিকের কন্টেইনার ব্যবহার করলে খেয়াল রাখুন যেন তা ফুড-গ্রেড হয়।


▪️৯. লবণ দিয়ে সংরক্ষণ (ঐচ্ছিক): কিছু এলাকায় বিচি রোদে শুকানোর সময় সামান্য লবণ ব্যবহার করা হয়। লবণ প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে এবং বিচির পচন রোধে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করবেন না, এতে রান্নার সময় সমস্যা হতে পারে।


▪️গুরুত্বপূর্ণ টিপস:


▪️• সংরক্ষণের আগে অবশ্যই বিচিগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। আর্দ্রতা থাকলে পচন ধরতে পারে।

▪️• বায়ু-নিরোধক পাত্র ব্যবহার করুন, যাতে বাতাস বা আর্দ্রতা প্রবেশ করতে না পারে।

▪️• সংরক্ষণের তারিখ লিখে রাখতে পারেন, এতে মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে সুবিধা হবে।

▪️• •  বিচি সংরক্ষণ করার আগে নিশ্চিত করুন যে সেগুলোতে কোনো পোকা বা পচা অংশ নেই। 

▪️• •  মাঝে মাঝে সংরক্ষিত বিচিগুলো পরীক্ষা করুন, যাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন। 

▪️• •  শুকানোর সময় বিচিগুলো যদি বেশি পরিমাণে থাকে, তবে মাঝে মাঝে উল্টে পাল্টে দিন যাতে সবদিক সমানভাবে শুকায়।

▪️• সঠিক আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণে আর্দ্রতা সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই নিশ্চিত করুন যেন বিচিগুলো সম্পূর্ণ শুকনো হয় এবং সংরক্ষণের পাত্রে কোনো আর্দ্রতা প্রবেশ না করে।

▪️• শীতল ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ: ফ্রিজ বাদে অন্যান্য পদ্ধতিতে সংরক্ষিত বিচিগুলো শীতল, শুষ্ক এবং অন্ধকার স্থানে রাখুন। এতে আলো ও তাপের কারণে বিচির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

▪️• এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনিও সারা বছর কাঁঠালের বিচির পুষ্টি ও স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন! আপনার পছন্দের পদ্ধতি কোনটি? কমেন্ট করে জানান।


Online collected

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-9528881935270668"

     crossorigin="anonymous"></script>


প্রয়োজনীয় কিছু টিপস,,,,,,,,,,,,,,,,, 👇 

 প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 👇 

১। ভাত রান্না করার আগে কিছুক্ষণ চাল ভিজিয়ে রাখুন এতে ভাত অনেক ঝরঝরা হবে। 


২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।


৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।


৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।


৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।


৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।


৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।


৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।


৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।


১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।


১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।


১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।


১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।


১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।


১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।


১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।


১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।


২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।


২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।


২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।


২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।


২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।


২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।


২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।


২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।


৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

এমডি আল আমিন পেজ থেকে সংগৃহীত

গল্প বহুরূপি ভালবাসা প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য

 -- পেটের উপর চু*মু দিলে কি বাচ্চা হয়ে যায় মামা।

- আরে বোকা মেয়ে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয় তোমাকে কে বলেছে!

- বলতে হবে না আমি জানি। পেটের উপর চুfমু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।

- মামনি তুমি এখনো ও অনেক ছোট এসব বিষয় তুমি বুঝবে না কেমন। আর তোমাকে কি কেউ বলছে যে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।


- বলতে হবে কেন মামা। আমি তো জানি। আর সেইদিন নিজ চোখেও দেখছি।


আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে মাহির কপালে একটা চু*মু দিলাম।


মাহি ছোট ছোট হাত দিয়ে আমার দাঁড়ি গুলো টেনে বলল জানেন মামা।


- হু বল।


- আমি সেইদিন দেখলাম রিফাত ভাইয়া মামির পেটের উপর চুfমু দিয়ে বলছে এই পেটে আমাদের সন্তান। আমি এই বাচ্চার বাবা। আর বলল আমাদের মনে হয় মেয়ে সন্তান হবে।


- বলতেই পারে। ওর বউয়ের হয়তো তোমার মতো একটা বাবু হবে। আর তুমি ওদের বাসায় কবে গেলে।


ঠাস করে মাহি আমার গালে আস্তে করে চ*র দিয়ে বলল আরে গাধা এটা তো হল তোমার বউ। মানে আমার মামি। রিফাত ভাইয়া তোমার বউয়ের পেটে চুfমু দিয়ে বলছিল এটা আমাদের সন্তান।


মাহির কথা শুনে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। কি বলছে এই মেয়ে। আরে না আমিও আবার এসব চিন্তা করছি। ও হয়তো পিচ্চি মেয়ে। আর রিফাত হয়তো আমাদের বাসায় কোন কাজের জন্য আসছিল। রিফাত হল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর ও আমাদের বাসায় প্রায়েই আসে।‌এতে ঘাবড়ানোর কি আছে।


মাহির কপালে হাত দিয়ে বললাম মামনি রিফাত তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়তো তোমার মামির কাছে কোন দরকারে আসছিল। তুমি হয়তো ভুল কিছু দেখেছ।


' আরে মামা আপনি এসব কি বলছেন আমি ভুল দেখছি মানে। আপনি যখন অফিসে থাকেন তখন রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় আসে। আমি তো প্রায় সময়েই দেখি। আর সেইদিন রিফাত ভাইয়াকে মামির পেটে চুমু খেতে আমি দেখছি। আর মামি যখন আমাকে দেখতে পাই তখন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে তুমি কি দেখছ বল তো?

তখন আমি বলছি রিফাত ভাইয়া আপনার পেটে চুfমু খেলে কেন। আর আপনার পেটের ভিতরে কি বাচ্চা আছে মামি।

তখন মামি বলল তোমার মামার যেমন আমার উপর অধিকার আছে। তোমার রিফাত ভাইয়েও আমার উপর তেমন অধিকার আছে। আর তোমার রিফাত ভাই তোমার মামার বেস্ট ফ্রেন্ড না। এজন্য আমার উপর ওর অধিকার আছে। আর আমরা তো খেলা করছিলাম। এটাকে চুমু খেলা বলে বুঝলে। শেষে আমাকে চকলেট দিয়ে বলল আমি যেন এসব কথা কাউকে না বলি।


আসলে মামা রিফাত ভাই তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই হিসেবে তো ঠিকেই রিফাত ভাইয়ের মামির উপর অধিকার আছে। তাই না মামা।


মাহির কথা গুলো এক নাগাড়ে শুনলাম। পিচ্চি একটা মেয়ে। এই তো বয়স মাত্র আট কি দশ হবে। আমাদের পাশের বাসায় থাকে। ওর বড় বোনকে আমি পড়াই। কিন্তু আজকে মাহির কথা শুনে আমার বুকের এক কোনে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে গেল। নিষ্পাপ একটা মেয়ে। আর যাই বলুন ও কখনোও মিথ্যা বলবে না। নিজ চোখে যা দেখছে তাই তো বলছে ও। 

আর মিতুর সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক। ওর ভিতরে কখনোও আমার জন্য ভালবাসা কমতি ছিল না। এই এক বছরে এতটা পরিমানের ভালবাসা ছিল আমার জন্য বলার বাহিরে।

আর আমিও চিন্তা করতাম একটা মেয়ে এতটা পরিমানে কিভাবে ভালবাসতে পারে। আর আজকে মাহি এসব কি কথা বলল। আমার মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে।

আমার জানা মতো রিফাত এই কাজ করবে না। কারন ওর বউ আছে। আর আমার বউকে বড় বোনের মতোই সম্মান করে। আর বিশেষ করে আমার বউ তিন মাসের প্রেগন্যান্ট‌। আমার যে সন্তান হবে এতে আমার পরিবার সহ আমি যে কতটা খুশি হয়েছি বলার বাহিরে। শরীরটা  এখন আমার তর তর করে কাঁপতে লাগলো। মনের ভিতরে যেন অজানা একটা ভয় ঢুকে গেল।


ঘুরে আসুন আমাদের পেইজ থেকে 


' মামা, মামা ও মামা।


মাহির কথায় হুস আসল আবার। হু মাহি বল।


- বললেন না তো মামা পেটে চুমু দিলে কি বাচ্চা হয় নাকি।


- সেসব পরে বলল। আগে বল আমি অফিসে যাওয়ার কতক্ষন পর তোমার রিফাত মামা আসে।


- এই তো মামা কখনোও কখনোও এগারোটা হয়তো। আবার কখনো ও বিকালে। কেন বলুন তো।


' না এমনেই। শুন এসব কথা কাউকে কি বলছ।


- আরে না আপনাকেই শুধু বললাম। আচ্ছা চলেন আপু কি জন্য ডাকছে আপনাকে।


- হু যাব। এখন বল পড়া শেষ করেছ তো তুমি।


' হু মামা সব পড়া শেষ। এখন শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।


- আচ্ছা গিয়ে সমস্ত পড়া আবার রিভিশন দাও। আমি আসছি কেমন। আজকে বলবে রাতে পড়াব না। বাসায় আছি যেহেতু বিকালে তোমাদের দুই বোনকে পড়াব।


- আচ্ছা মামা। আর চকলেট আনতে কিন্তু ভুলবেন না।


' চকলেট খেতে যে টাকা লাগে ভাগ্নি সেই টাকা কে দিবে আমাকে।


মাহি চোখ বড় করে বলল তোমার কত বড় সাহস আমার কাছে টাকা চাও।


আমি তাড়াতাড়ি কান ধরে বললাম সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। 


- হু মনে থাকে যেন।


এই বলে মাহি দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল।


জানলা কাছে গিয়ে বাহিরে আনমনে তাকিয়ে আছি। আচ্ছা মাহি যা বলছে তা যদি সত্যি হয়। এক বছরের সম্পর্ক আমাদের আমি জানি মিতু কতটা ভাল। ওর মতো ভাল কোন মেয়েই হয় না। আর রিফাত এতটা খারাপ না। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি জানি ও আমার বউকে কতটা সম্মান করে। মাহি যেহেতু বলছে এসব কথা একদিন দেখিই না পরিক্ষা করে। আমাদের সংসার জীবনে সন্দেহ জিনিসটা কখনোই ছিল না। কিন্তু আজকে মাহি এসব বলার পর বুকের ভিতরে অজানা একটা ভয় হচ্ছে। 

আমি আজকে বাসায় আছি দেখে মিতু আমাকে রেখে বাজারে গেছে কি জানি কিনতে। মেয়ে মানুষ অনেক শখ থাকে না।


টক টক আওয়াজে ধ্যান বাঙ্গল। মনে হয় মিতু এসেছে। দরজা খুলে দেখি সত্যি মিতু এসেছে।


এসেই আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে বলল আমার বাবুটা কি রাগ করছে আমার সাথে।


' মিতুকে ছাড়িয়ে বললাম এতটা দেরি হল যে আসতে।


- আর বল না বাজার থেকে বের হতে অনেক দেরি হয়েছে। আর এই নাও তোমার জন্য আইস্ক্রিম এনেছি। এমনেই যেই গরম পড়ছে না।


মিতুর হাত থেকে আইসক্রিম নিয়ে বিছানায় উপর বসলাম।


মিতুও আমার পাশে বসে আমার মুখের উপর তাকিয়ে বলল ওই বাবুর আব্বু তোমার কি হয়েছে।


- আরে না তেমন কিছু না। এমনেই মন খারাপ।


এটা শুনেই মিতু কান্নার সুরে বলল যেই ভালবাসার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করে তোমার কাছে চলে আসছি। একদিনেও তোমার মন খারাপ হতেই দেই নাই। আজকে কেন তোমার মন খারাপ। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল।


হ্যা এটা সত্যি আমরা পালিয়ে বিয়ে করছি। মিতু আমার জন্য ওর ফ্যামিলি ছেড়ে আমার কাছে চলে আসছি। এটাও সত্যি ও আমার মন খারাপ কখনোও হতে দেই নাই। কিন্তু আজকে যে মাহি বলল। কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না এসব কথা।


- ওই তোমার কি হয়েছে হে। আমাকে বল।


- তেমন কিছু না মিতু। আচ্ছা ডাক্তারের কাছে গেছিলে।


মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল হু ডাক্তার বলছে তোমার বেবি সব আমি অনেক ভালো আছি।


- তাহলে তো ভালোই। আচ্ছা যাও এখন এক কাজ কর গিয়ে তাড়াতাড়ি রান্না কর। মাহিদের বাসায় যেতে হবে। ওদের আজকে একটু আগেই পড়াব।


' বলছি না এত কষ্ট করতে হবে না। আমাদের যা আছে এতেই তো আমাদের চলবে।


- হু। এসব বিষয়ে পরে কথা বলব কেমন। এখন তুমি গিয়ে রান্না বান্না তাড়াতাড়ি কর।


মিতু আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে বলল তুমি অপেক্ষা কর আমি সবকিছু তৈরি করছি।


মিতু বিছানা ছেড়ে চলে গেল। শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছি মিতুকে দেখে তো এমন মনে হয় না। ধুর পিচ্চি একটি মেয়ের কথায় আমি এত চিন্তা করছি কেন। হয়তো কোন ভুল দেখছে। হতেও পারে।


দশ মিনিট শুয়ে থাকার পর আবার মাহির কথা মনে পড়ে গেল।পিচ্চি রা কখনোও মিথ্যা কথা বলে না। আমি এটা খুব ভালো করেই জানি। মাহিকে আমি পড়াই ওর বিষয়ে তো সবচেয়ে বেশি আমি ভাল জানি

মিতু জানে আমি একবার শুয়ে থাকলে আর উঠে না।

আজকে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম। দেখি তো মিতু কিচেনে কি করে।


খুব সাবধানে হেঁটে হেঁটে কিচেনের কাছে গেলাম। যেন শব্দ না হয়।অল্প অল্প করে আওয়াজ আসছে কিচেন থেকে।


উঁকি দিয়ে দেখি মিতু কার সাথে যেন কথা বলছে ফোনে। কথা গুলো ছিল এমন হে আমাদের বেবি ভাল আছে। তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। আর আজকে দিনটা আমাদের অনেক ভাল ছিল না। খুব ইনজয় করলাম দুইজন মিলে।কালকে কিন্তু সময় মতো চলে আসবে কেমন। অপেক্ষায় থাকব।


এগুলো শুনে মিতুর উপর আমার সন্দেহ আরো অনেক বেড়ে গেল। আমি ভাই এক মনের মানুষ। কারো উপর বেশি রাগ করতে পারি না। সবসময় নিজের মতোই চলি। আর এত চিন্তা ভাবনা করি না কখনো ও।  তবে আজকে যেন মিতুর বলা কথা গুলো মনে হচ্ছে মাহির বলা কথা গুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে।

তাহলে কি এই সন্তান আমার না। মিতু আমাকে ধোঁকা দিল।


এসব চিন্তা করতে করতে মিতু চলে আসল। আর আমাকে আবার বিছানার উপর শুয়ে থাকতে দেখে বলল তুমি আসলেই অনেক আলসে। একবার বিছানার উপর শুয়ে থাকলে আর মনে বলে না উঠতে হু। এখন তাড়াতাড়ি উঠ আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।


- হু।

গিয়ে টেবিলে বসলাম। অন্য দিনের মতোই মিতু আমাকে খাইয়ে দিল। এটা প্রতিদিনের রুটিন। এক বেলা হলেও ও আমাকে খাইয়ে দিবে।


আজকে মনটা বেশি ভাল না। এজন্য চুপচাপ খেয়ে যেই বের হয়ে যাব তখন মিতু পিছন থেকে বলল একদিন বাসায় আছ। আর আজকে আমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবে তা না। আছে শুধু টাকা ইনকাম করার চিন্তা। ভাল লাগে না এসব আর।


দরজা দিয়ে বের হতে হতে বললাম তুমি তো এখন একাই ঘুরতে যেতে পার। আমাকে আবার কি দরকার।


বাসা থেকে বের হয়ে মাহিদের বাসায় যাচ্ছি। আসলেই মিতু ঠিকেই বলছে আমি শুধু টাকা টাকা করি। আরে ভাই তুই বুঝবি কি টাকা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে মূল দেয় না। সবাই ফক্কিনি বলবে। তবে কি আমি মিতুকে সময় দিতে পারি নাই বলে এসব করছে। হতেও পারে।


দাঁড়া আমাকে একটু সময় দে। আমি আস্তে আস্তে সব ঠিক করে নিব। যদি মাহির কথা সত্যি হয় না। মারবোও না কাটব না। একেবারে জন্মের ঠিক করে ফেলব। 


কলিং বেল বাজতেই সেতু এসে দরজা খুলল। সেতু হল মাহির বড় বোন। ও ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।


- কি ব্যাপার মনজিল ভাইয়া আজকে যে এত আগে।


' এই তোমরা আমাকে কি পেয়েছ হে। তুমি ডাক ভাইয়া। মাহি ডাকে মামা।


ভিতর থেকে আন্টি বলে উঠল আমি তাহলে তোমাকে আংকেল ডাকি নাকি।


সাথে অংকেলেও বলে উঠল আমি তাহলে কি ডাকব।


আমি ভিতরে গিয়ে ওনাদের সামনের দাঁড়িয়ে বললাম এই বাসার পুরো ফ্যামিলি পাগল হয়ে গেছে। এখন খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি।


- আন্টি হাসি দিয়ে বলল আমাদের সাথে তাহলে তুমি আরো বড় পাগল।


' আচ্ছা ভাই আমি পাগল হয়েছে। এই সেতু গিয়ে পড়া বের কর। আমি আসছি।


আসলেই ওঁদের পরিবারের সাথে আমি অনেক ফ্রি। কথাবার্তা শুনে হয়তো বুঝে গেছেন।


সেতু যেতেই আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল দিন কাল কেমন যাচ্ছে বাবা।


- বেশি একটা ভাল না আন্টি।


' কেন বাবা। তোমার আবার কি হয়েছে।


- পরে একদিন বলল। এখন গিয়ে ওদের পড়াই। নয়লে আবার দুই বোন মারামারি লেগে যাবে।


আংকেল হাসতে হাসতে বলল তুমি পারও ওদের সামলাতে। আচ্ছা যাও গিয়ে দেখ কি করে ওরা। আর যাবার আগে আমার সাথে একবার দেখা করে যাবে কেমন।


আংকেলের কথা শুনে একটু খুশি হলাম। মাসেও শেষ। মনে হয় টাকা দিবে। টাকা পেলেই আমি সব ভুলে যাই। আহা রে টাকা। ও টাকা তর জন্য কত কি করা।


আজকে পড়াতে গিয়ে মন বলছে না। আমার বউয়ের রহস্য যেভাবেই হোক না কেন আমাকে এর সমাধান বের করতেই হবে।


মাহিকে কিছুক্ষণ পড়তেই বলল ওর মাথা ব্যথা করছে এজন্য ছুটি দিয়ে দিয়েছি।


হঠাৎ সেতু বলে উঠল ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।


' হু সেতু বল। কি বলতে চাও।


- আসলে কিভাবে যে বলি। বললে আবার রাগ করবেন না তো আপনি।


- আরে না রাগ করব কেন? আবার তোমার সাথে বল। 


- ভাইয়া কয়েকদিন ধরে একটা বিষয় খেয়াল করছি রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় বেশি আসা যাওয়া করে। হয়তো ভাবছিলাম ও আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এজন্য আপনার বাসায় যেতেই পারে। কিন্তু ইদানিং একটু আসা যাওয়াটা বেশি। শুধু আমি না অনেকেই মনে করে ইয়ে মনে। কিভাবে যে বলি আপনাকে। শুধু আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে ওকে কেউ কিছু বলে না। আপনি আবার মন খারাপ করবেন না


' আরে না না। মন খারাপ করার কি আছে। আচ্ছা সেতু তুমি কি কিছু দেখছে কেন আসে রিফাত। আর কিসের জন্য।


- আপনি ছাড়া কখনো ও আপনার যাওয়ার সাহস হয় নাই। আপনি থাকলে যাই। নয়নে না। তবে আমার একটু রিফাত ভাইয়ের উপর সন্দেহ লাগছে। আমি জানি আমার কথা শুনে আপনার মন খারাপ হতে পারে কিন্তু ভাইয়া।


' সেতু থাক আর বলতে হবে না। বিষয়টা আমি দেখছি। এখন এই অংক গুলো কর। বিষয়টাকে আর সামনে এগুলাম না।


আমার মাথা এখন পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে। এতকিছু আমার বাসায় হয়ে যাচ্ছে আমি নিজেও জানি না এসব । হঠাৎ করেই কেমন জানি একটা কষ্টের অনুভূতি হল। মনে হচ্ছে যেন আমি আমার প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলছি।


সবসময় আমি মাসের বেতন হাতে পেলে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু আজকে হাতে এই প্রথম টাকা পাওয়ার পরেও মন খারাপ।sneh0st0ryhub


জানি না কেন এরকম হল। তবে আমার এর একটা সমাধান বের করতেই হবে। মিতুর পেটের বাচ্চা যদিও শুনি আমার না। আর ও যদি পরকিয়ার সাথে জড়িত হয়ে যাই। বেশি কিছু করা যাবে না ওকে। কারন ওর পেটে এখন তিন মাসের বাচ্চা আছে। মারধর করলে সমস্যা হবে।কিন্তু আমার কি কোন দোষ ছিল আমার সাথেই বা কেন বেইমানি করল মিতু।


রাতে কোন রকম রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। মিতু আমার বুকের মাঝে মাথা দিয়ে প্রতিদিনের মতোই ঘুমিয়ে গেল। কি মায়াবী ওর চেহারা। একবার ওকে দেখলেই আমার মন শান্ত হয়ে যাই। এমন একটা মেয়ে এসব কারতেই পারে না। কিন্তু মাহি আর সেতুর বলা কথাও তো আর মিথ্যা হতে পারে না। একজন নাহয় মিথ্যা বলল আরেকজন। 


বাসায় কিছু টাকা দিতে হবে। শুনছি আম্মু একটু অসুস্থ। জীবনটাই শেষ করে ফেলছি টাকার পিছনে ছুটে। এই ফ্লাটটা কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। খুব পরিশ্রম করছি জীবনে। যাদের জন্য এতকিছু করলাম তারা যদি দিন শেষে বেইমানি করে কেমন লাগবে তখন বলেন।


এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।


সকালে রেডি হয়ে অফিসে চলে যাব এই মুহূর্তে মিতু এসে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবা না। চুপচাপ গিয়ে অফিস করে চলে আসবে কেমন। আমি তোমার অপেক্ষায় আছি উম্মা।

আজকে আর মিতুর দিকে বেশি একটা মায়া লাগল না। সরাসরি বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলাম। খুর চিন্তা করছি কিভাবে কি করা যাই।

অফিসে গিয়ে শুনি....


চলবে  _______________


গল্প বহুরূপি ভালবাসা


#highlightseveryonefollowers #highlightsシ゚ #everyonefollowers #photo #love #viralpost2025シ #photochallenge #story #viralpost #historylovers

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...