-- পেটের উপর চু*মু দিলে কি বাচ্চা হয়ে যায় মামা।
- আরে বোকা মেয়ে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয় তোমাকে কে বলেছে!
- বলতে হবে না আমি জানি। পেটের উপর চুfমু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।
- মামনি তুমি এখনো ও অনেক ছোট এসব বিষয় তুমি বুঝবে না কেমন। আর তোমাকে কি কেউ বলছে যে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।
- বলতে হবে কেন মামা। আমি তো জানি। আর সেইদিন নিজ চোখেও দেখছি।
আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে মাহির কপালে একটা চু*মু দিলাম।
মাহি ছোট ছোট হাত দিয়ে আমার দাঁড়ি গুলো টেনে বলল জানেন মামা।
- হু বল।
- আমি সেইদিন দেখলাম রিফাত ভাইয়া মামির পেটের উপর চুfমু দিয়ে বলছে এই পেটে আমাদের সন্তান। আমি এই বাচ্চার বাবা। আর বলল আমাদের মনে হয় মেয়ে সন্তান হবে।
- বলতেই পারে। ওর বউয়ের হয়তো তোমার মতো একটা বাবু হবে। আর তুমি ওদের বাসায় কবে গেলে।
ঠাস করে মাহি আমার গালে আস্তে করে চ*র দিয়ে বলল আরে গাধা এটা তো হল তোমার বউ। মানে আমার মামি। রিফাত ভাইয়া তোমার বউয়ের পেটে চুfমু দিয়ে বলছিল এটা আমাদের সন্তান।
মাহির কথা শুনে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। কি বলছে এই মেয়ে। আরে না আমিও আবার এসব চিন্তা করছি। ও হয়তো পিচ্চি মেয়ে। আর রিফাত হয়তো আমাদের বাসায় কোন কাজের জন্য আসছিল। রিফাত হল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর ও আমাদের বাসায় প্রায়েই আসে।এতে ঘাবড়ানোর কি আছে।
মাহির কপালে হাত দিয়ে বললাম মামনি রিফাত তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়তো তোমার মামির কাছে কোন দরকারে আসছিল। তুমি হয়তো ভুল কিছু দেখেছ।
' আরে মামা আপনি এসব কি বলছেন আমি ভুল দেখছি মানে। আপনি যখন অফিসে থাকেন তখন রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় আসে। আমি তো প্রায় সময়েই দেখি। আর সেইদিন রিফাত ভাইয়াকে মামির পেটে চুমু খেতে আমি দেখছি। আর মামি যখন আমাকে দেখতে পাই তখন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে তুমি কি দেখছ বল তো?
তখন আমি বলছি রিফাত ভাইয়া আপনার পেটে চুfমু খেলে কেন। আর আপনার পেটের ভিতরে কি বাচ্চা আছে মামি।
তখন মামি বলল তোমার মামার যেমন আমার উপর অধিকার আছে। তোমার রিফাত ভাইয়েও আমার উপর তেমন অধিকার আছে। আর তোমার রিফাত ভাই তোমার মামার বেস্ট ফ্রেন্ড না। এজন্য আমার উপর ওর অধিকার আছে। আর আমরা তো খেলা করছিলাম। এটাকে চুমু খেলা বলে বুঝলে। শেষে আমাকে চকলেট দিয়ে বলল আমি যেন এসব কথা কাউকে না বলি।
আসলে মামা রিফাত ভাই তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই হিসেবে তো ঠিকেই রিফাত ভাইয়ের মামির উপর অধিকার আছে। তাই না মামা।
মাহির কথা গুলো এক নাগাড়ে শুনলাম। পিচ্চি একটা মেয়ে। এই তো বয়স মাত্র আট কি দশ হবে। আমাদের পাশের বাসায় থাকে। ওর বড় বোনকে আমি পড়াই। কিন্তু আজকে মাহির কথা শুনে আমার বুকের এক কোনে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে গেল। নিষ্পাপ একটা মেয়ে। আর যাই বলুন ও কখনোও মিথ্যা বলবে না। নিজ চোখে যা দেখছে তাই তো বলছে ও।
আর মিতুর সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক। ওর ভিতরে কখনোও আমার জন্য ভালবাসা কমতি ছিল না। এই এক বছরে এতটা পরিমানের ভালবাসা ছিল আমার জন্য বলার বাহিরে।
আর আমিও চিন্তা করতাম একটা মেয়ে এতটা পরিমানে কিভাবে ভালবাসতে পারে। আর আজকে মাহি এসব কি কথা বলল। আমার মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে।
আমার জানা মতো রিফাত এই কাজ করবে না। কারন ওর বউ আছে। আর আমার বউকে বড় বোনের মতোই সম্মান করে। আর বিশেষ করে আমার বউ তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। আমার যে সন্তান হবে এতে আমার পরিবার সহ আমি যে কতটা খুশি হয়েছি বলার বাহিরে। শরীরটা এখন আমার তর তর করে কাঁপতে লাগলো। মনের ভিতরে যেন অজানা একটা ভয় ঢুকে গেল।
ঘুরে আসুন আমাদের পেইজ থেকে
' মামা, মামা ও মামা।
মাহির কথায় হুস আসল আবার। হু মাহি বল।
- বললেন না তো মামা পেটে চুমু দিলে কি বাচ্চা হয় নাকি।
- সেসব পরে বলল। আগে বল আমি অফিসে যাওয়ার কতক্ষন পর তোমার রিফাত মামা আসে।
- এই তো মামা কখনোও কখনোও এগারোটা হয়তো। আবার কখনো ও বিকালে। কেন বলুন তো।
' না এমনেই। শুন এসব কথা কাউকে কি বলছ।
- আরে না আপনাকেই শুধু বললাম। আচ্ছা চলেন আপু কি জন্য ডাকছে আপনাকে।
- হু যাব। এখন বল পড়া শেষ করেছ তো তুমি।
' হু মামা সব পড়া শেষ। এখন শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।
- আচ্ছা গিয়ে সমস্ত পড়া আবার রিভিশন দাও। আমি আসছি কেমন। আজকে বলবে রাতে পড়াব না। বাসায় আছি যেহেতু বিকালে তোমাদের দুই বোনকে পড়াব।
- আচ্ছা মামা। আর চকলেট আনতে কিন্তু ভুলবেন না।
' চকলেট খেতে যে টাকা লাগে ভাগ্নি সেই টাকা কে দিবে আমাকে।
মাহি চোখ বড় করে বলল তোমার কত বড় সাহস আমার কাছে টাকা চাও।
আমি তাড়াতাড়ি কান ধরে বললাম সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে।
- হু মনে থাকে যেন।
এই বলে মাহি দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল।
জানলা কাছে গিয়ে বাহিরে আনমনে তাকিয়ে আছি। আচ্ছা মাহি যা বলছে তা যদি সত্যি হয়। এক বছরের সম্পর্ক আমাদের আমি জানি মিতু কতটা ভাল। ওর মতো ভাল কোন মেয়েই হয় না। আর রিফাত এতটা খারাপ না। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি জানি ও আমার বউকে কতটা সম্মান করে। মাহি যেহেতু বলছে এসব কথা একদিন দেখিই না পরিক্ষা করে। আমাদের সংসার জীবনে সন্দেহ জিনিসটা কখনোই ছিল না। কিন্তু আজকে মাহি এসব বলার পর বুকের ভিতরে অজানা একটা ভয় হচ্ছে।
আমি আজকে বাসায় আছি দেখে মিতু আমাকে রেখে বাজারে গেছে কি জানি কিনতে। মেয়ে মানুষ অনেক শখ থাকে না।
টক টক আওয়াজে ধ্যান বাঙ্গল। মনে হয় মিতু এসেছে। দরজা খুলে দেখি সত্যি মিতু এসেছে।
এসেই আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে বলল আমার বাবুটা কি রাগ করছে আমার সাথে।
' মিতুকে ছাড়িয়ে বললাম এতটা দেরি হল যে আসতে।
- আর বল না বাজার থেকে বের হতে অনেক দেরি হয়েছে। আর এই নাও তোমার জন্য আইস্ক্রিম এনেছি। এমনেই যেই গরম পড়ছে না।
মিতুর হাত থেকে আইসক্রিম নিয়ে বিছানায় উপর বসলাম।
মিতুও আমার পাশে বসে আমার মুখের উপর তাকিয়ে বলল ওই বাবুর আব্বু তোমার কি হয়েছে।
- আরে না তেমন কিছু না। এমনেই মন খারাপ।
এটা শুনেই মিতু কান্নার সুরে বলল যেই ভালবাসার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করে তোমার কাছে চলে আসছি। একদিনেও তোমার মন খারাপ হতেই দেই নাই। আজকে কেন তোমার মন খারাপ। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল।
হ্যা এটা সত্যি আমরা পালিয়ে বিয়ে করছি। মিতু আমার জন্য ওর ফ্যামিলি ছেড়ে আমার কাছে চলে আসছি। এটাও সত্যি ও আমার মন খারাপ কখনোও হতে দেই নাই। কিন্তু আজকে যে মাহি বলল। কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না এসব কথা।
- ওই তোমার কি হয়েছে হে। আমাকে বল।
- তেমন কিছু না মিতু। আচ্ছা ডাক্তারের কাছে গেছিলে।
মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল হু ডাক্তার বলছে তোমার বেবি সব আমি অনেক ভালো আছি।
- তাহলে তো ভালোই। আচ্ছা যাও এখন এক কাজ কর গিয়ে তাড়াতাড়ি রান্না কর। মাহিদের বাসায় যেতে হবে। ওদের আজকে একটু আগেই পড়াব।
' বলছি না এত কষ্ট করতে হবে না। আমাদের যা আছে এতেই তো আমাদের চলবে।
- হু। এসব বিষয়ে পরে কথা বলব কেমন। এখন তুমি গিয়ে রান্না বান্না তাড়াতাড়ি কর।
মিতু আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে বলল তুমি অপেক্ষা কর আমি সবকিছু তৈরি করছি।
মিতু বিছানা ছেড়ে চলে গেল। শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছি মিতুকে দেখে তো এমন মনে হয় না। ধুর পিচ্চি একটি মেয়ের কথায় আমি এত চিন্তা করছি কেন। হয়তো কোন ভুল দেখছে। হতেও পারে।
দশ মিনিট শুয়ে থাকার পর আবার মাহির কথা মনে পড়ে গেল।পিচ্চি রা কখনোও মিথ্যা কথা বলে না। আমি এটা খুব ভালো করেই জানি। মাহিকে আমি পড়াই ওর বিষয়ে তো সবচেয়ে বেশি আমি ভাল জানি
মিতু জানে আমি একবার শুয়ে থাকলে আর উঠে না।
আজকে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম। দেখি তো মিতু কিচেনে কি করে।
খুব সাবধানে হেঁটে হেঁটে কিচেনের কাছে গেলাম। যেন শব্দ না হয়।অল্প অল্প করে আওয়াজ আসছে কিচেন থেকে।
উঁকি দিয়ে দেখি মিতু কার সাথে যেন কথা বলছে ফোনে। কথা গুলো ছিল এমন হে আমাদের বেবি ভাল আছে। তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। আর আজকে দিনটা আমাদের অনেক ভাল ছিল না। খুব ইনজয় করলাম দুইজন মিলে।কালকে কিন্তু সময় মতো চলে আসবে কেমন। অপেক্ষায় থাকব।
এগুলো শুনে মিতুর উপর আমার সন্দেহ আরো অনেক বেড়ে গেল। আমি ভাই এক মনের মানুষ। কারো উপর বেশি রাগ করতে পারি না। সবসময় নিজের মতোই চলি। আর এত চিন্তা ভাবনা করি না কখনো ও। তবে আজকে যেন মিতুর বলা কথা গুলো মনে হচ্ছে মাহির বলা কথা গুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে।
তাহলে কি এই সন্তান আমার না। মিতু আমাকে ধোঁকা দিল।
এসব চিন্তা করতে করতে মিতু চলে আসল। আর আমাকে আবার বিছানার উপর শুয়ে থাকতে দেখে বলল তুমি আসলেই অনেক আলসে। একবার বিছানার উপর শুয়ে থাকলে আর মনে বলে না উঠতে হু। এখন তাড়াতাড়ি উঠ আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।
- হু।
গিয়ে টেবিলে বসলাম। অন্য দিনের মতোই মিতু আমাকে খাইয়ে দিল। এটা প্রতিদিনের রুটিন। এক বেলা হলেও ও আমাকে খাইয়ে দিবে।
আজকে মনটা বেশি ভাল না। এজন্য চুপচাপ খেয়ে যেই বের হয়ে যাব তখন মিতু পিছন থেকে বলল একদিন বাসায় আছ। আর আজকে আমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবে তা না। আছে শুধু টাকা ইনকাম করার চিন্তা। ভাল লাগে না এসব আর।
দরজা দিয়ে বের হতে হতে বললাম তুমি তো এখন একাই ঘুরতে যেতে পার। আমাকে আবার কি দরকার।
বাসা থেকে বের হয়ে মাহিদের বাসায় যাচ্ছি। আসলেই মিতু ঠিকেই বলছে আমি শুধু টাকা টাকা করি। আরে ভাই তুই বুঝবি কি টাকা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে মূল দেয় না। সবাই ফক্কিনি বলবে। তবে কি আমি মিতুকে সময় দিতে পারি নাই বলে এসব করছে। হতেও পারে।
দাঁড়া আমাকে একটু সময় দে। আমি আস্তে আস্তে সব ঠিক করে নিব। যদি মাহির কথা সত্যি হয় না। মারবোও না কাটব না। একেবারে জন্মের ঠিক করে ফেলব।
কলিং বেল বাজতেই সেতু এসে দরজা খুলল। সেতু হল মাহির বড় বোন। ও ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
- কি ব্যাপার মনজিল ভাইয়া আজকে যে এত আগে।
' এই তোমরা আমাকে কি পেয়েছ হে। তুমি ডাক ভাইয়া। মাহি ডাকে মামা।
ভিতর থেকে আন্টি বলে উঠল আমি তাহলে তোমাকে আংকেল ডাকি নাকি।
সাথে অংকেলেও বলে উঠল আমি তাহলে কি ডাকব।
আমি ভিতরে গিয়ে ওনাদের সামনের দাঁড়িয়ে বললাম এই বাসার পুরো ফ্যামিলি পাগল হয়ে গেছে। এখন খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি।
- আন্টি হাসি দিয়ে বলল আমাদের সাথে তাহলে তুমি আরো বড় পাগল।
' আচ্ছা ভাই আমি পাগল হয়েছে। এই সেতু গিয়ে পড়া বের কর। আমি আসছি।
আসলেই ওঁদের পরিবারের সাথে আমি অনেক ফ্রি। কথাবার্তা শুনে হয়তো বুঝে গেছেন।
সেতু যেতেই আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল দিন কাল কেমন যাচ্ছে বাবা।
- বেশি একটা ভাল না আন্টি।
' কেন বাবা। তোমার আবার কি হয়েছে।
- পরে একদিন বলল। এখন গিয়ে ওদের পড়াই। নয়লে আবার দুই বোন মারামারি লেগে যাবে।
আংকেল হাসতে হাসতে বলল তুমি পারও ওদের সামলাতে। আচ্ছা যাও গিয়ে দেখ কি করে ওরা। আর যাবার আগে আমার সাথে একবার দেখা করে যাবে কেমন।
আংকেলের কথা শুনে একটু খুশি হলাম। মাসেও শেষ। মনে হয় টাকা দিবে। টাকা পেলেই আমি সব ভুলে যাই। আহা রে টাকা। ও টাকা তর জন্য কত কি করা।
আজকে পড়াতে গিয়ে মন বলছে না। আমার বউয়ের রহস্য যেভাবেই হোক না কেন আমাকে এর সমাধান বের করতেই হবে।
মাহিকে কিছুক্ষণ পড়তেই বলল ওর মাথা ব্যথা করছে এজন্য ছুটি দিয়ে দিয়েছি।
হঠাৎ সেতু বলে উঠল ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।
' হু সেতু বল। কি বলতে চাও।
- আসলে কিভাবে যে বলি। বললে আবার রাগ করবেন না তো আপনি।
- আরে না রাগ করব কেন? আবার তোমার সাথে বল।
- ভাইয়া কয়েকদিন ধরে একটা বিষয় খেয়াল করছি রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় বেশি আসা যাওয়া করে। হয়তো ভাবছিলাম ও আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এজন্য আপনার বাসায় যেতেই পারে। কিন্তু ইদানিং একটু আসা যাওয়াটা বেশি। শুধু আমি না অনেকেই মনে করে ইয়ে মনে। কিভাবে যে বলি আপনাকে। শুধু আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে ওকে কেউ কিছু বলে না। আপনি আবার মন খারাপ করবেন না
' আরে না না। মন খারাপ করার কি আছে। আচ্ছা সেতু তুমি কি কিছু দেখছে কেন আসে রিফাত। আর কিসের জন্য।
- আপনি ছাড়া কখনো ও আপনার যাওয়ার সাহস হয় নাই। আপনি থাকলে যাই। নয়নে না। তবে আমার একটু রিফাত ভাইয়ের উপর সন্দেহ লাগছে। আমি জানি আমার কথা শুনে আপনার মন খারাপ হতে পারে কিন্তু ভাইয়া।
' সেতু থাক আর বলতে হবে না। বিষয়টা আমি দেখছি। এখন এই অংক গুলো কর। বিষয়টাকে আর সামনে এগুলাম না।
আমার মাথা এখন পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে। এতকিছু আমার বাসায় হয়ে যাচ্ছে আমি নিজেও জানি না এসব । হঠাৎ করেই কেমন জানি একটা কষ্টের অনুভূতি হল। মনে হচ্ছে যেন আমি আমার প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলছি।
সবসময় আমি মাসের বেতন হাতে পেলে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু আজকে হাতে এই প্রথম টাকা পাওয়ার পরেও মন খারাপ।sneh0st0ryhub
জানি না কেন এরকম হল। তবে আমার এর একটা সমাধান বের করতেই হবে। মিতুর পেটের বাচ্চা যদিও শুনি আমার না। আর ও যদি পরকিয়ার সাথে জড়িত হয়ে যাই। বেশি কিছু করা যাবে না ওকে। কারন ওর পেটে এখন তিন মাসের বাচ্চা আছে। মারধর করলে সমস্যা হবে।কিন্তু আমার কি কোন দোষ ছিল আমার সাথেই বা কেন বেইমানি করল মিতু।
রাতে কোন রকম রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। মিতু আমার বুকের মাঝে মাথা দিয়ে প্রতিদিনের মতোই ঘুমিয়ে গেল। কি মায়াবী ওর চেহারা। একবার ওকে দেখলেই আমার মন শান্ত হয়ে যাই। এমন একটা মেয়ে এসব কারতেই পারে না। কিন্তু মাহি আর সেতুর বলা কথাও তো আর মিথ্যা হতে পারে না। একজন নাহয় মিথ্যা বলল আরেকজন।
বাসায় কিছু টাকা দিতে হবে। শুনছি আম্মু একটু অসুস্থ। জীবনটাই শেষ করে ফেলছি টাকার পিছনে ছুটে। এই ফ্লাটটা কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। খুব পরিশ্রম করছি জীবনে। যাদের জন্য এতকিছু করলাম তারা যদি দিন শেষে বেইমানি করে কেমন লাগবে তখন বলেন।
এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে রেডি হয়ে অফিসে চলে যাব এই মুহূর্তে মিতু এসে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবা না। চুপচাপ গিয়ে অফিস করে চলে আসবে কেমন। আমি তোমার অপেক্ষায় আছি উম্মা।
আজকে আর মিতুর দিকে বেশি একটা মায়া লাগল না। সরাসরি বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলাম। খুর চিন্তা করছি কিভাবে কি করা যাই।
অফিসে গিয়ে শুনি....
চলবে _______________
গল্প বহুরূপি ভালবাসা
#highlightseveryonefollowers #highlightsシ゚ #everyonefollowers #photo #love #viralpost2025シ #photochallenge #story #viralpost #historylovers
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন