ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই কীভাবে কাজ করে
কম্পিউটার চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলির একটি হল পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU)। পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়া কম্পিউটার শুধুই ধাতু ও প্লাস্টিকের বাক্স।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করে। বাসাবাড়িতে সরবরাহকৃত এসি (Alternating Current) বিদ্যুৎ সরাসরি কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না, কারণ কম্পিউটার চালানোর জন্য ডিসি (Direct Current) বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়।
পিএসইউ এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ সরবরাহ করে।
.
# বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পাওয়ার সাপ্লাই
১. ইনপুট পর্যায়: পিএসইউ প্রথমে বাসাবাড়ির এসি বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। এটি সাধারণত ১০০-২৪০ ভোল্ট এসি, যা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।
২. রেক্টিফিকেশন এবং ফিল্টারিং: ইনপুট এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়। এই রূপান্তর প্রক্রিয়াকে রেক্টিফিকেশন বলা হয়। রেক্টিফিকেশনের পর, ডিসি ভোল্টেজ স্থিতিশীল করতে ফিল্টারিং করা হয়।
৩. ভোল্টেজ রেগুলেশন: ফিল্টারিংয়ের পরে, ডিসি ভোল্টেজকে আরও নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা নিশ্চিত করে যে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে সঠিক ভোল্টেজ সরবরাহ হচ্ছে।
৪. আউটপুট পর্যায়: পিএসইউ থেকে ভিন্ন ভোল্টেজ আউটপুট থাকে, যেমন ৩.৩ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট, এবং ১২ ভোল্ট ডিসি। এই আউটপুটগুলি কম্পিউটারের মাদারবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশে সরবরাহ করা হয়।
কম্পিউটারের ডিজিটাল সার্কিট ৩.৩ ভোল্ট এবং ৫ ভোল্ট ডিসি ব্যবহার করে, আর ডিস্ক ড্রাইভ ও ফ্যানের জন্য ১২ ভোল্ট ডিসি প্রয়োজন হয়। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ক্ষমতা ওয়াটে মাপা হয়, যা ভোল্টেজ (বৈদ্যুতিক বিভবের একক) এবং অ্যাম্পিয়ার (বৈদ্যুতিক প্রবাহের একক) এর গুণফল।
পাওয়ার সাপ্লাইকে অনেক সময় সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাইও বলা হয়, কারণ এটি সুইচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসি বিদ্যুৎকে কম শক্তির ডিসি ভোল্টে রূপান্তর করে।
.
# ওয়াটেজ রেটিং
পিএসইউ-এর কার্যক্ষমতা নির্ধারণের জন্য ওয়াটেজ রেটিং গুরুত্বপূর্ণ। এটি নির্দেশ করে যে ইউনিটটি কতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, ৪৫০ ওয়াটের একটি পিএসইউ মানে এটি সর্বোচ্চ ৪৫০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
পিএসইউ-এর অনেকগুলি কানেক্টর একসাথে কাজ করে মাদারবোর্ড, মাইক্রোপ্রসেসর, এবং সাটা বা হার্ডডিস্কে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। ল্যাপটপ এবং মিনি পিসিতে পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের মূল অংশের বাইরে থাকে, যাতে স্থান বাঁচানো যায়।
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের শক্তি চাহিদার উপর ভিত্তি করে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট নির্বাচন করা হয়। যদি পিএসইউ প্রয়োজনের চেয়ে কম ক্ষমতার হয়, তাহলে কম্পিউটার সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না, এবং অতিরিক্ত ক্ষমতার হলে এটি বিদ্যুৎ খরচ বাড়াতে পারে। সর্বোপরি, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে সঠিক ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যাতে সব অংশ নিরবিচ্ছিন্নভাবে এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।
.
# ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই
পার্সোনাল কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত সিপিইউ কেসিংয়ের এক কোণে ধাতব বাক্সের মধ্যে থাকে। অনেক কম্পিউটারে সিপিইউর পেছন থেকে পাওয়ার সাপ্লাই দেখা যায়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে পাওয়ার কর্ড বা বিদ্যুতের তার ঢোকানোর জায়গা বা রিসেপ্টেকল এবং যন্ত্রপাতি ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি কুলিং ফ্যান থাকে।
আপনি যদি অনেক বছর ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে মনে থাকতে পারে যে প্রথম দিকের কম্পিউটারগুলিতে বড় লাল রঙের টগল সুইচ থাকত, যেগুলি অন করতে শক্তি প্রয়োগ করতে হত। এই সুইচগুলি আসলে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ১২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করত।
কিন্তু এখনকার কম্পিউটারগুলিতে অন করার জন্য মৃদু চাপ দিলেই চলে। কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য আমরা সাধারণত স্ক্রিনের মেনু অপশন থেকে "শাটডাউন" কমান্ড দিই। এই সময় অপারেটিং সিস্টেম থেকে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হওয়ার সিগন্যাল পাঠানো হয়।
কম্পিউটার চালু করতে সিপিইউর পুশ বাটনে চাপ দিলে, পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ৫ ভোল্টের সিগন্যাল পাঠানো হয়। পাওয়ার সাপ্লাইয়ে একটি বিশেষ সার্কিট থাকে, যা ৫ ভোল্টের স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার দিয়ে চলে। একে ভিএসবি (VSB) বা "স্ট্যান্ডবাই ভোল্টেজ" বলা হয়, যা কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও সক্রিয় থাকে। তাই কম্পিউটার বন্ধ থাকা অবস্থাতেও পুশ বাটন কাজ করে, কারণ এই স্ট্যান্ডবাই ভোল্টেজ সবসময় পাওয়ার সাপ্লাইকে প্রস্তুত রাখে।
.
# সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই
১৯৮০ সালের আগে পাওয়ার সাপ্লাই বেশ ভারি ও বড় আকারের ছিল। সেই সময় ১২০ ভোল্ট এবং ৬০ হার্টজ এসি বিদ্যুৎকে ৫ ভোল্ট এবং ১২ ভোল্ট ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করতে বড় ট্রান্সফর্মার এবং ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হত, যেগুলির কোনো কোনোটি সোডা ক্যানের মত বড় আকারের ছিল। সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তির আগমনের ফলে বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটগুলি অনেক ছোট এবং হালকা হয়েছে।
সুইচার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরিকৃত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটগুলি বেশি দক্ষ, কম্প্যাক্ট এবং কম তাপ উৎপাদন করে। এগুলি কম শক্তি খরচ করে ও ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। ফলে, সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তি পুরনো ভারি এবং বড়সড় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং আধুনিক।
.
• কীভাবে সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করে
১. উচ্চ কম্পাংকের বিদ্যুৎ: সুইচার প্রযুক্তি এসি বিদ্যুৎকে ৬০ হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আরও বেশি কম্পাংকে রূপান্তর করে। এতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ট্রান্সফর্মারগুলি ছোট হওয়া সত্ত্বেও ১২০ ভোল্ট বিদ্যুৎকে কম ভোল্টেজে রূপান্তর করতে পারে।
২. রেক্টিফিকেশন এবং ফিল্টারিং: উচ্চ কম্পাংকের এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করা সহজ। ফলে পাওয়ার সাপ্লাইতে ভোল্টেজের তারতম্য কম হয়, যা কম্পিউটারের ক্ষুদ্র ও সংবেদনশীল যন্ত্রাংশগুলিকে সুরক্ষা দেয়।
৩. বিদ্যুৎ গ্রহণের দক্ষতা: সুইচার পাওয়ার সাপ্লাই এসি লাইনের থেকে যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন ঠিক ততটুকু গ্রহণ করে, ফলে অপচয় কম হয়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কতটুকু ভোল্টেজ এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে, তা সাধারণত ইউনিটের গায়ে লেবেলে লেখা থাকে।
.
# পাওয়ার সাপ্লাই স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন
এক সময় ব্যক্তিগত কম্পিউটারের জন্য অন্তত ছয় ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যেত। তবে ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে, এটিএক্স ভিত্তিক পাওয়ার সাপ্লাই স্ট্যান্ডার্ডটি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়। এর সর্বশেষ সংস্করণ হল এটিএক্স 12V 2.0। এটিএক্স স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পাওয়ার সাপ্লাইগুলি এটিএক্স কেসের সাথে মানানসই এবং এটিএক্স মাদারবোর্ডের সাথে বৈদ্যুতিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের তারগুলিতে মানসম্পন্ন এবং চাবিযুক্ত কানেক্টর ব্যবহার করা হয়, যা ভুল সংযোগের ঝুঁকি কমায়। ডিস্ক ড্রাইভের জন্যও একই ধরনের কানেক্টর ব্যবহৃত হয়, যা কুলিং ফ্যানগুলিতে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজ করে তোলে। কালার কোডেড তার এবং মানসম্পন্ন কানেক্টর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মধ্যে পছন্দের সুযোগ দেয়। যারা কম্পিউটারের পাওয়ার কেবল নিয়ে ঝামেলা এড়াতে চান, তাদের জন্য নন-মডুলার পিএসইউ একটি ভাল বিকল্প, কারণ এতে সবকিছুই আগে থেকেই সংযুক্ত থাকে।
উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স সিস্টেমগুলি অ্যাডভান্সড কনফিগারেশন অ্যান্ড পাওয়ার ইন্টারফেস (এসিপিআই) নামক একটি কোড ব্যবহার করে কম্পিউটারের ভেতরের যন্ত্রাংশে শক্তি খরচ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করে। এসিপিআই নির্ধারণ করে কম্পিউটার স্লিপ মোডে থাকাকালীন কোথায় পূর্ণ, কোথায় আংশিক এবং কোথায় শূন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।
.
# পাওয়ার সাপ্লাই ওয়াটেজ
একটি কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওয়াট নির্ধারণ করতে হলে ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রাংশের (যেমন CPU, GPU, RAM, হার্ড ড্রাইভ ইত্যাদি) সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ খরচ যোগ করতে হয়। তবে মনে রাখবেন, পাওয়ার সাপ্লাই কখনোই তার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চালানো উচিত নয়। তাই ২০-৩০% অতিরিক্ত ক্ষমতা সহ PSU কেনা বাঞ্ছনীয়।
যেমন, একটি ৪০০ ওয়াটের সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত ২৫০ ওয়াটের বেশি শক্তি ব্যবহার করে না। তবে আপনি যদি মাদারবোর্ডের সবকটি স্লট ব্যবহার করেন বা কম্পিউটারের কেইসে সবকটি হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে একটি উচ্চ ক্ষমতার PSU প্রয়োজন হবে।
উচ্চ-লোডের কাজের জন্য (যেমন গেমিং, ভিডিও এডিটিং) ২০০০ ওয়াট বা তার বেশি ক্ষমতার PSU প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণ ব্যবহারের জন্য ২০০-৩০০ ওয়াটের PSU যথেষ্ট। ল্যাপটপ এবং মিনি পিসির জন্য, ৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতার PSU ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষমতা সহ PSU কেনা ভাল, কারণ PSU কে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। এটি অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে, যা যন্ত্রাংশের ক্ষতি করতে পারে।
নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের সময় বা কম্পিউটার আপগ্রেড করার সময় পাওয়ার সাপ্লাই আপগ্রেড করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
.
# ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার সমাধান
ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই অংশেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, পিসি চালু করার পর যতবার এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যায়, ততবার এটি গরম এবং ঠাণ্ডা হয়।
সাধারণত, কুলিং ফ্যান থেমে থাকলে বোঝা যায় যে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। এ সময় কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। উল্লেখ্য, কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশই পাওয়ার সাপ্লাই থেকে ডিসি বিদ্যুৎ গ্রহণ করে।
পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা বোঝার আরেকটি উপায় হচ্ছে, কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে পোড়া গন্ধ পাওয়া। আবার, কুলিং ফ্যানেরও সমস্যা হতে পারে। এই সময় পাওয়ার সাপ্লাই অংশের যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। যখন কোনো কারণ ছাড়াই কম্পিউটার রিবুট করে অথবা উইন্ডোজ ফেইলিওর (Failure) দেখায়, তখন এটি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা হতে পারে।
পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হলে, প্রথমে কম্পিউটারের সাথে দেওয়া ম্যানুয়ালগুলি পরীক্ষা করুন। সিপিইউ কেস খুলে অ্যাডাপ্টার কার্ড অথবা মেমোরি লাগানোর অভিজ্ঞতা থাকলে, সতর্কতার সাথে পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করতে পারেন। তবে অবশ্যই আগে পাওয়ার কর্ড বা বিদ্যুতের তার খুলে নিন, কারণ কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও তারের মধ্যে বিদ্যুৎ থাকতে পারে।
পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া সবচেয়ে ভাল। নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার করে ধুলোবালি অপসারণ করলে পাওয়ার সাপ্লাই ভাল অবস্থায় থাকে। ভাল মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করলে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা কম থাকে।
.
# পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তির অগ্রগতি
সাম্প্রতিক সময়ে মাদারবোর্ড এবং চিপসেটের উন্নতির ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেরাই পাওয়ার সাপ্লাই ফ্যানের প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন (RPM) দেখতে পারেন। এজন্য বায়োস এবং মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়। নতুন ডিজাইনের পাওয়ার সাপ্লাই ফ্যানগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। প্রয়োজনমত ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ফলে শীতল করার জন্য যতটুকু গতি প্রয়োজন, ফ্যান সেই গতিতেই চলতে পারে।
ওয়েব সার্ভারগুলিতে আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই থাকে। যখন একটি পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করছে, তখন অন্যটি ব্যাকআপ হিসেবে থাকে। আজকাল সার্ভারের জন্য তৈরি নতুন কম্পিউটারগুলিতে অতিরিক্ত পাওয়ার সাপ্লাই যুক্ত থাকে, যার ফলে সিস্টেমে দুই বা তার বেশি পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করে। একটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, আর অন্যটি ব্যাকআপ হিসাবে থাকে। মূল পাওয়ার সাপ্লাই কোনো কারণে নষ্ট হলে, দ্বিতীয় পাওয়ার সাপ্লাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। এই ব্যাকআপ পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারণে মূল পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তা সহজেই করা যায়।
ফেইসবুক থেকে নেওয়া