এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে পড়ুন হয়তো কিছু সমস্যার সমাধান পেয়েও যেতে পারেন।

 দুজনে মিলে পড়ুন হয়তো কিছু সমস্যার সমাধান পেয়েও যেতে পারেন।

যদি ভাবেন আপনার দাম্পত্যে সমস্যা একমাত্র আপনার জীবনে—তাহলে আপনি ভুল করছেন। এমন হাজারো পরিবারে প্রতিদিন অসংখ্য ছোটখাটো কথা থেকে বড় বড় কলহ জন্ম নিচ্ছে। শুধু পার্থক্য হলো—কেউ সেটাকে লুকিয়ে রাখছে, কেউ লড়ছে, আর কেউ হাল ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখুন—সম্পর্ক ভাঙার আগে, একবার বোঝার চেষ্টা করা জরুরি, সমস্যাটা কোথা থেকে শুরু হলো?


✴️"একটা গল্প, একটা যুদ্ধ, দুইটা জীবন"

একদিন সকালে ঘুম ভাঙল, পাশে তাকিয়ে দেখলেন একজন ঘুমিয়ে আছে—আপনার গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সে শুধু একজন সঙ্গী নয়, বরং আপনার প্রতিদিনের অসমাপ্ত বাক্যের পরিপূর্ণতা।


✴️✴️ বিয়ে কি শুধু একটা অনুষ্ঠান? নাকি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত?


বিয়েতে সত্যিকারের সৌন্দর্য তখনই আসে, যখন সম্পর্ক বর্ষার মতো ধৈর্যশীল হয়, শীতের মতো উষ্ণতা দেয়, বসন্তের মতো সৌরভ ছড়ায়, আর শরতের মতো প্রশান্তি আনে। এভাবে একসঙ্গে গড়ে ওঠে এক অনন্য বন্ধন।

"সুখী দাম্পত্য মানে ঝামেলা নেই, এমনও নয়—বরং ঝামেলার পরও একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাটাই  প্রধান।"

বিয়ে নিখুঁত নয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার চেয়েও বেশি কিছু লাগে—ধৈর্য, বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ।


✡️✡️✡️বিয়ে মানে ঝামেলা? নাকি মুক্তি?

বিয়ে সেই স্বাধীনতা, যেখানে আপনি নিজের আসল রূপ খুঁজে পাবেন। সেই সম্পর্ক, যেখানে আপনার দুর্বলতা নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, কারণ একজন হয়তো আপনাকে বলবে—"তোমার” অপূর্ণতাগুলো এখন  “আমাদের”।

জীবন একটা গল্প, যেখানে কিছু পথ একা চলা যায়, আর কিছু পথে সঙ্গী দরকার। বিয়ে মানে সেই সঙ্গীকে খুঁজে পাওয়া, যার সঙ্গে পাহাড়ে চড়বেন, সমুদ্র দেখবেন, হেরে যাবেন, জিতবেন—কিন্তু কখনো একা থাকবেন না।


🎇দাম্পত্য কলহ কী?


দাম্পত্য কলহ মানে শুধু ঝগড়া বা উচ্চস্বরে তর্ক নয়। এটি একধরনের মানসিক সংঘাত, যেখানে দম্পতিরা একে অপরের আবেগ, চাহিদা ও প্রত্যাশা বুঝতে ব্যর্থ হন, অথবা বুঝেও তা পূরণ করতে অনিচ্ছুক থাকেন। এটি কখনও সরাসরি প্রকাশিত হয়, আবার কখনও '𝙨𝙞𝙡𝙚𝙣𝙩 𝙬𝙖𝙧' এর মতো ভিতরে ভিতরে পুড়ে যেতে থাকে।


🎇গবেষণালব্ধ তথ্য (𝙍𝙚𝙨𝙚𝙖𝙧𝙘𝙝 𝙃𝙞𝙜𝙝𝙡𝙞𝙜𝙝𝙩𝙨):


✡️১. 𝙃𝙖𝙧𝙫𝙖𝙧𝙙 𝙎𝙩𝙪𝙙𝙮 (2020): ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই গবেষণায় দেখা যায়, একটি ভালো দাম্পত্য সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্যের প্রধান রক্ষাকবচ। অথচ, বিষাক্ত দাম্পত্য সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে শারীরিকভাবেও অসুস্থ করে তোলে।


✡️২. 𝙄𝙣𝙙𝙞𝙖𝙣 𝙅𝙤𝙪𝙧𝙣𝙖𝙡 𝙤𝙛 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙞𝙖𝙩𝙧𝙮 (2019): গবেষণায় প্রকাশ, দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্য কলহে থাকা নারীদের মধ্যে বিষণ্ণতা (𝘿𝙚𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣) এবং আত্মসম্মান হ্রাস (𝙡𝙤𝙬 𝙨𝙚𝙡𝙛-𝙚𝙨𝙩𝙚𝙚𝙢) প্রায় ৬৫% বেশি।


✡️৩. 𝙉𝘾𝙀𝙍𝙏 এবং 𝙉𝙄𝙈𝙃𝘼𝙉𝙎-এর যৌথ সমীক্ষা (2021): দাম্পত্য কলহের কারণে সন্তানদের মধ্যে ৪৫% ক্ষেত্রে আচরণগত সমস্যা (𝙘𝙤𝙣𝙙𝙪𝙘𝙩 𝙙𝙞𝙨𝙤𝙧𝙙𝙚𝙧), ৩৫% ক্ষেত্রে ঘুম বা খাওয়ার সমস্যা এবং ২৮% ক্ষেত্রে স্কুল ফোবিয়া দেখা যায়।


✡️৪. 𝘼𝙋𝘼 (𝘼𝙢𝙚𝙧𝙞𝙘𝙖𝙣 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 𝘼𝙨𝙨𝙤𝙘𝙞𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣): দাম্পত্য দ্বন্দ্বে জড়িত পুরুষদের মধ্যে ৪০% এর বেশি ক্ষেত্রে “𝙚𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡𝙡𝙮 𝙪𝙣𝙖𝙫𝙖𝙞𝙡𝙖𝙗𝙡𝙚” থাকার প্রবণতা দেখা যায়, যা সম্পর্কের বন্ধন নষ্ট করে।


🎇দাম্পত্য কলহের প্রধান কারণসমূহ


✴️✴️স্বামীর দিক থেকে:


✴️১. আবেগ চেপে রাখা (𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣 𝙎𝙪𝙥𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣):

নিজের কষ্ট, হতাশা প্রকাশ করতে না পারা, যা স্ত্রীকে ভুল বুঝতে বাধ্য করে।


✴️২. বিষাক্ত পুরুষত্ববোধ (𝙏𝙤𝙭𝙞𝙘 𝙈𝙖𝙨𝙘𝙪𝙡𝙞𝙣𝙞𝙩𝙮):

স্বামী নিজেকে কর্তৃত্বশালী মনে করে, স্ত্রীর মতামতকে অবহেলা করে।


✴️️৩. অর্থনৈতিক চাপ বা ব্যর্থতা:

আয় কম বা চাকরিহীনতা থেকে জন্ম নেওয়া হীনমন্যতা কলহ সৃষ্টি করে।


✴️️৪. আত্মকেন্দ্রিকতা:

শুধু নিজের সুবিধা দেখার অভ্যাস, স্ত্রীর আবেগিক প্রয়োজনকে অগ্রাহ্য করা।


✴️️৫. ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেখানো:

সংসারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং স্ত্রীকে অমান্য করা।


✴️️৬. আর্থিক দায়িত্ব এড়ানো:

সংসারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব না নেওয়া বা খরচের স্বচ্ছতা না রাখা।


✴️️৭. স্ত্রীর ইচ্ছা অবহেলা করা:

স্ত্রীর অনুভব, ইচ্ছা বা চাওয়া গুরুত্ব না পাওয়ায় সে অভিমানী হয়ে পড়ে।


✴️️৮. অতিরিক্ত পরিবার নির্ভরতা:

স্বামীর সিদ্ধান্তে সবসময় মা বা পরিবারের প্রভাব থাকা।


✴️৯. নিরবতা বা রাগের অভ্যাস:

ঝগড়া না করেও কথা বন্ধ রাখা, যা মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।


✴️️১০. পরকীয়া বা গোপন সম্পর্ক:

বিশ্বাসভঙ্গ থেকে গভীর আঘাত ও সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়।


🔯🔯স্ত্রীর দিক থেকে:


✴️️১১. অতিরিক্ত প্রত্যাশা ও তুলনা:

স্বামীকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা এবং অবাস্তব চাহিদা রাখা।


✴️️১২. সন্দেহ বা দোষারোপের প্রবণতা:

বিষয়-বস্তু যাচাই না করে সন্দেহ করা ও নেতিবাচক মনোভাব।


✴️১৩. আত্মনির্ভরতার অভাব:

অল্প কিছুতেই অসহায় বোধ করে স্বামীর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা।


✴️️১৪. আবেগিক চাপ ও অভিমান:

নিজের কষ্ট, অভিযোগ প্রকাশ না করে মন খুলে কথা না বলা।


✴️️১৫. প্রশংসার অভাব থেকে অসন্তোষ:

নিজের কাজের বা ভূমিকার স্বীকৃতি না পেয়ে রাগ ও বিরক্তি জন্ম নেওয়া।


✴️১৬. দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি অনুভব:

সম্পর্কে রোমান্স বা সংযোগের অভাবে বিষণ্ণতা তৈরি হওয়া।


✴️️১৭. অতিরিক্ত পারিবারিক চাপ (শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রিক):

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে মানসিক অস্থিরতা।


✴️️১৮. যোগাযোগের অভাব:

মনের কথা না বলা বা ভুলভাবে বোঝানো থেকে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া।


✴️১৯. আত্মসম্মান সংক্রান্ত স্পর্শকাতরতা:

স্বামী হালকা করে কিছু বললেই অপমান অনুভব করা এবং প্রতিক্রিয়াশীল হওয়া।


✴️️২০. যৌন ও আবেগিক চাহিদা পূরণ না হওয়া:

সততার সঙ্গে যৌনতা ও ভালোবাসা নিয়ে কথা না বলায় মানসিক দূরত্ব বেড়ে যাওয়া।


🎇দাম্পত্য কলহের পরিণতি (𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 & 𝙎𝙤𝙘𝙞𝙖𝙡 𝙊𝙪𝙩𝙘𝙤𝙢𝙚𝙨):


✡️১. 𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡𝙡𝙮 𝘼𝙗𝙨𝙚𝙣𝙩 𝙍𝙚𝙡𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣𝙨𝙝𝙞𝙥: পাশাপাশি থেকেও একে অপরের জীবন থেকে দূরে থাকা।

✡️২. 𝘾𝙝𝙧𝙤𝙣𝙞𝙘 𝘼𝙣𝙭𝙞𝙚𝙩𝙮 & 𝘿𝙚𝙥𝙧𝙚𝙨𝙨𝙞𝙤𝙣: দীর্ঘদিন ধরে চলা মানসিক টানাপোড়েন উদ্বেগজনিত রোগ সৃষ্টি করে।

✡️৩. 𝘼𝙩𝙩𝙖𝙘𝙝𝙢𝙚𝙣𝙩 𝘿𝙞𝙨𝙤𝙧𝙙𝙚𝙧 𝙞𝙣 𝘾𝙝𝙞𝙡𝙙𝙧𝙚𝙣: সন্তানদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা, কম আত্মবিশ্বাস ও সম্পর্কভীতি তৈরি হয়।

✡️৪. 𝘿𝙞𝙨𝙧𝙪𝙥𝙩𝙚𝙙 𝘾𝙤𝙢𝙢𝙪𝙣𝙞𝙘𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣 𝙋𝙖𝙩𝙩𝙚𝙧𝙣: একসময় কথাই হয় না, বা কথা হলেই ঝগড়া হয়।

✡️৫. শারীরিক অসুস্থতা: স্ট্রেস থেকে হরমোনাল সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা হয়।

✡️৬. বিচ্ছেদ নয়, কিন্তু “𝙀𝙢𝙤𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡 𝘿𝙞𝙫𝙤𝙧𝙘𝙚” ঘটে: যে দাম্পত্যে ভালোবাসা নেই, কেবল টিকে থাকার চেষ্টাই বাকি।

✡️৭. সামাজিক সম্মান ক্ষয় ও পারিবারিক জটিলতা: বিশেষ করে সন্তান ও সমাজের কাছে মানসিক ভার বহন।


🎇দাম্পত্য কলহ প্রতিরোধে ১৫টি প্রয়োজনীয় পরামর্শ (𝘿𝙚𝙚𝙥 𝙋𝙨𝙮𝙘𝙝𝙤𝙡𝙤𝙜𝙞𝙘𝙖𝙡 𝙍𝙚𝙢𝙚𝙙𝙞𝙚𝙨):


1⃣ নিজেদের ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বাড়ান।

শুধু 𝙄𝙌 না, বরং একে অপরের আবেগ, ভাষা, দুঃখ বুঝতে শিখুন।


2⃣ “𝙍𝙚𝙖𝙘𝙩” নয়, “𝙍𝙚𝙨𝙥𝙤𝙣𝙙” করুন।

ঝগড়ার সময় উত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ থেমে নিজের প্রতিক্রিয়া ভেবে নিন।


3⃣ স্মৃতি নয়, মুহূর্ত গড়ুন।

সপ্তাহে অন্তত একদিন একসঙ্গে সময় কাটান – বিনা অভিযোগে।


4⃣ কথার মধ্যে ‘সমালোচনার বিষ’ ঢুকাবেন না।

যেমন: “তুমি কিছুতেই ঠিক করো না” – এই ধরনের বাক্য সম্পর্ক নষ্ট করে।


5⃣ আত্মসম্মান ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখুন।

রাগ বা হতাশায় কাউকে অপমান করা সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ক্ষতি।


6⃣ ভুল মেনে নেওয়ার সাহস রাখুন।

ক্ষমা চাওয়া মানেই ছোট হওয়া নয়; বরং শক্ত সম্পর্কের ভিত।


7⃣ আপনার পার্টনারকে ‘শুনুন’, ‘বুঝুন’ ও ‘বলার সুযোগ দিন’।


8⃣ যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করুন।

মৌন চাহিদা বা অসন্তুষ্টি দাম্পত্যে অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি করে।


9⃣ সামাজিক মিডিয়ার সঙ্গে নিজস্ব জীবনের তুলনা করবেন না।


1⃣0⃣ নিজেকে প্রতিদিন আপডেট করুন।

আর্থিক, মানসিক, সামাজিকভাবে নিজের উন্নয়নে মন দিন।


1⃣1⃣ সন্তানদের সামনে কলহ করবেন না।

তারা বোবা দর্শক হলেও, মনের গভীরে ক্ষত তৈরি হয়।


1⃣2⃣“𝘾𝙤𝙪𝙥𝙡𝙚 𝙏𝙝𝙚𝙧𝙖𝙥𝙮” বা “𝙈𝙖𝙧𝙧𝙞𝙖𝙜𝙚 𝘾𝙤𝙪𝙣𝙨𝙚𝙡𝙡𝙞𝙣𝙜” নিতে দ্বিধা করবেন না।

থেরাপি মানেই পাগল না, বরং সচেতনতার পরিচয়।


1⃣3⃣বাবা-মা বা আত্মীয়দের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলুন।

নিজেদের দ্বন্দ্ব নিজেরাই মেটান।


1⃣4⃣ একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ুন।

দাম্পত্য শুধু বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যতের একসাথে হাঁটা।


1⃣5⃣ ভালোবাসার ছোট ছোট অভিব্যক্তি বজায় রাখুন।

‘ধন্যবাদ’, ‘আমি পাশে আছি’, ‘তুমি ছাড়া চলে না’ – এসব বলুন।


একটি সম্পর্ক ভেঙে পড়ার আগে ধ্বংসের সংকেত দেয়—শুধু আমরা সেটা দেখতে পাই না বা গুরুত্ব দিই না। দাম্পত্য কলহ তখনই ভয়ংকর হয়ে ওঠে, যখন দুইজনের কেউ “শুনতে” চায় না, বুঝতে চায় না।


আপনার জীবনসঙ্গীকে প্রতিপক্ষ নয়, “সহযোদ্ধা” ভাবুন। জীবনের প্রতিটি ধাপে হাতে হাত রেখে হাঁটার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একটি সুন্দর দাম্পত্যের চাবিকাঠি।


#সংগৃহীত

আমি সপ্তাহে অন্তত ২ দিন আমার স্বামীকে একটু স্পেশাল ফিল করাই...,, লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

 আমি সপ্তাহে অন্তত ২ দিন আমার স্বামীকে একটু স্পেশাল ফিল করাই...

এই যেমন....তার হাত,পা,মুখ,চুল সব কিছুর যত্ন নেই....

হাত পা ঘরে পেডিকিউর-মেনিকিউর করে দেই.....(কারণ যেই হাত-পা গুলো রোদ-ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে থেকে আমাদের সুখের জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে যায়...তাদের ও একটু যত্নের প্রয়োজন)

তাই সে বাসায় আসলে খুব যত্ন করে ভালোবেসে হাত-পা পেডিকিউর-মেনিকিউর করে দেই । 

সারাদিন পরিশ্রমে তার মুখের অবস্থাও ১২টা বেজে থাকে..তখন মুখে ফেসিয়াল করে দেই,মুখের লোম তুলে দেই , ব্ল্যাকহেডস-হোয়াইটহেডস তুলে দেই..স্ক্রাব করি,সিরাম,শিট মাস্ক,মাড মাস্ক,ময়েশ্চারাইজার,ফেস প্যাক সব লাগিয়ে দেই...তার আগে ভালোমতো ক্লিন করে নেই..এরপর আমি ঘরে নিজে যে ক্রিম টা বানাই সেটা লাগিয়ে দেই..

ঠোটে স্ক্রাব করি,ঠোটের যে প্যাক আছে ওটা লাগিয়ে দেই..এরপর লিপ বাম বা ওয়েল দেই...

মাথায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হেয়ার প্যাক লাগিয়ে দেই....বাসায় শ্যাম্পু বানিয়ে তার চুলে দেই..

তার পুরো শরীরে অলিভ ওয়েল গরম করে মালিশ করে দেই খুব ভালোভাবে....যাতে সে উৎফুল্ল অনুভব করে এবং সারাদিন এর কষ্ট ভুলে যায়...মাথা ম্যাসাজ করে দেই হট ওয়েল দিয়ে...(এই ২ টা কাজ প্রতিদিন করি)

সারাদিন আমাদের সুখের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে গিয়ে তারা তাদের নিজেদের যত্নটাই ভুলে যায়....

তাই আমাদের ও উচিত আমাদের সেরাটা দিয়ে তাদের যত্ন পরিপূর্ণ ভাবে নেওয়া..

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল স্বামীরা..

অনেকে বলেন বাচ্চা আছে কি? বাচ্চা থাকলে এসব করা সম্ভব না...অনেকে বলেন আজাইরা অনেকে বলে এত সময় কই পান???..অনেকে বলেন তাদের হাজবেন্ড এর ধৈর্য নাই এত কিছু করার...ইত্যাদি 

তখন তাদের কাছে প্রশ্ন ইসলামি লাইফ মেইনটেইন করেন তো????

৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তো ?

যদি এই ইসলামি লাইফ মেইনটেইন করতেন তাহলে এই কথাটা কখনো বলতেন না যে এত সময় কই পান..আজাইরা ইত্যাদি... 

তখন বুঝতেন এত সময় কোথা থেকে পাই!!!

আর আমার একটা মেয়ে বাচ্চা আছে বয়স ১১ মাস...মার্চ এর ১৫ তারিখ ১ বছর হবে.....আর আমার বিয়ের বয়স ২ বছর হবে মে মাসের ২৮ তারিখ...

আমার হাজবেন্ড কাজ শেষ করে রাত ১২/১/২ টা বাজেও আসে ঘরে..তখন আমি তাকে এসব ঘরে দেই...সে ঘুমায় আর আমি তার যত্ন নেই.... পুরো শরীরে হট অয়েল ম্যাসাজ করি...এতে শরীর ও মন অনেক রিল্যাক্সিং হয়। 

মাথা ম্যাসাজ করি...বোল এ গরম পানি নিয়ে হাত পা ধুয়ে দেই..লোশন বা তেল মেখে দেই...মোট কথা তার পুরো যত্ন ও কেয়ার আমি করি

তাকে করতে দেইনা....সে খুব খুশিই হয়

মাথা ম্যাসাজ ও শরীর ম্যাসজ প্রতিদিন করি..এতে তার শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে..

তার পছন্দের খাবার রান্না করি...সে প্রতি শুক্রবার রান্না করে বাসায় নিজের হাতে...

নামাজ পড়ি,কোরআন পড়ি,তালীম করি,ইসলামিক লাইফ মেইনটেইন করি,বাচ্চা সামলাই,সংসার সামলাই,স্বামীর সেবা করি

আলহামদুলিল্লাহ

আর অনেকে বলেছেন যৌথ পরিবারে সম্ভব নয় এসব করা....

কিন্তু আমি যৌথ পরিবারে থেকেই সব করি...কে কি বলল কে কি ভাবল তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই...। 

কারণ তারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগাতে পারবে...মনেমালিন্য ভুল বুঝাবুঝি তৈরি করতে পারবে...সংসার ভাংতে পারবে..কিন্তু তারা কখনো স্বামী স্ত্রীর মোহাব্বত ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারবে না...তাই কে কি ভাবল আর কে কি বলল তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।

-- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

গল্প-  শত হলেও মা। পর্ব ১  জাকিয়া হোসেইন তৃষা

 প্রথম যেদিন দেখলাম বড় মেয়ের বরের সাথে হাতাহাতি করে ছোট মেয়েটা চিপস খাচ্ছে ভালো লাগেনি। সাথে সাথে আমার মিসেস কে ডেকে বললাম - নিশা কে বলবা দিশার বরের সাথে এত মাখামাখি না করতে। 

আমার স্ত্রী তো রেগে আগুন। সে বলল - ছোট মানুষ দুলাভাই এর সাথে একটু দুষ্টামি করে এতেও তোমার সমস্যা?

আমি আর কথা বাড়ালাম না। আমার স্ত্রীর সাথে তর্কে পারবো না। তাও আবার নিশার ব্যাপারে। 

বিয়ের অনেক বছর আমাদের সন্তান হচ্ছিলোনা। এরপর কলিগ ও বন্ধুদের কথায় একজন মেয়ে সন্তান পালক নেই। সবাই বলছিলো পালক বাচ্চা নিলে এরপর আল্লাহ খুশি হয়ে বাচ্চা দেন। সে কথার উপর বিশ্বাস রেখে একদম ছোট মা মরা ১৩ দিনের দিশাকে মাত্র ৫ হাজার টাকায় তার দাদির থেকে কিনে ঘরে আনি। আমার স্ত্রী খুব খুশি ছিলো। একদম পুতুলের মত আদর যত্ন করতো। আমিও তাকে অনেক আদর করতাম। দিশাকে বাসায় আনার পর থেকে আমার রহমত বরকত বেড়ে গেলো।

বছর না ঘুরতেই আল্লাহর রহমতের দুয়ার খুলে গেলো। আমার স্ত্রী ৮ বছর পর সন্তান সম্ভাবা। নিশা হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার স্ত্রী দিশাকে চোখে হারাতো। এত আদর করত যে আমার দেখেই শান্তি লাগতো। 

কিন্তু নিশা হবার পর থেকেই আমার স্ত্রী দিশাকে তেমন যত্ন করত না। কেমন যেন আপন পরের খেলা শুরু হয়ে গেলো। মেয়ে দুইটা বড় হচ্ছিলো পিঠাপিঠি। আমি দুইজনকে সমান আদরই করতাম। কোনদিন আমার আদরের ঘাটতি ছিলো না। 

দিশা ছিলো ভীষন মায়াবি সাথে মেধাবিও। 

নিশার গায়ের রং শ্যামলা। আমার মত দেখতে হয়েছে। এতে তার মায়ের চিন্তার কোন শেষ নাই।

তাই দিশার কলেজে পরা অবস্থাতেই সে আমাকে খুব বুঝিয়ে বাঝিয়ে দিশার জন্য পাত্র দেখতে বলে। আমি রাজি ছিলাম না। তারপর কোন এক হুজুগের মাথায় রাজি হয়ে গেলাম। ভালো ভালো সম্মন্ধ আসা শুরু করলো। এর মধ্যে একজনের সাথে কথায় বনিবানা হয়ে যাওয়ায় সেখানে বিয়ে ঠিক করি। 

দিশা সাহস করে মানা করতে পারে নি। কারন এত বছরে সে জেনে গেছে সে পালিতা সন্তান। আর সেটা আমার স্ত্রী একদিন রাগের মাথায় বলেই ফেলল। আমি দিশাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে - তোমার মা রাগ হয়ে একথা বলেছে। এটা সত্য না। 

কিন্তু মেয়ে আমার ততদিনে জেনেই গিয়েছে মায়ের আচরন ছোট থেকে তার যাথে ভিন্ন হবার কারণ ছিলো সে পালিতা। 

তাই আর মেয়ে মুখ ফুটে বলতে পারেনি সে বিয়েতে এখন রাজি না। সে পড়তে চায়।

আর আমার স্ত্রীর জোরে আমিও আর কিছু বলতে পারিনাই।

এদিকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়ে গেলো।

দিশার এর মধ্যে ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্ট হলো। সব বিষয়ে এ+ পেলো মেয়ে আমার। 

ঠিক অপরদিকে আমার আপন সন্তান পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলো না।

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসলো। 

দিশাকে বিয়ে দিয়ে বরের হাতে তুলে দিলাম। 

ও বাসা ছাড়ার পর খুব হাহাকার লাগত আমার। আমার স্ত্রী বলত - পালক পালকই! দেইখো বিয়ের পর এই মেয়ে তোমার কোন খোঁজ নিবে না।

কিন্তু তাকে মিথ্যা প্রমান করে দিশা আমার অনেক খোঁজ খবর রাখত।

সুযোগ পেলেই বেড়াতে আসতো। 

বিয়ের ৭ মাস পার হয়ে গেলো। মেয়েকে সুখীই মনে হতো। হাসিখুশি দেখলে সবার তাই মনে হওয়া স্বাভাবিক।

সেদিন নিশার সাথে দিশার বরের ওমন মাখা সম্পর্ক আমার একার চোখে ধরা দেয়নি। অনেক আগে থেকেই দিশা তা টের পেয়েছিলো। 

সেদিন বাসা ছাড়ার সময় দিশা বলল - আব্বা আমি এখন মাসে মাসে বেড়াতে আসবো না। আপনি যায়েন আম্মাকে নিয়ে আমার বাসায়।

আমি এর মধ্যে অন্য কিছু নিয়ে ভাবি নি। 

একদিন হুট করে দিশা রাতে এসে বাসায় উঠলো।

চোখ মুখ ফোলা। গালে চড়ের দাগ।

আমি তাড়াহুড়ো করে তাকে হাত ধরে খাটে বসিয়ে পানি খেতে দিলাম। আর জিজ্ঞাসা করলাম - কি হয়েছে তোমার?

সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।

আমার স্ত্রী বলল - কি রে জামাই কোথায়? একা আসছিস কেন এত রাতে? কি হইসে?

দিশা কান্না করে বলল - আপনাদের একটা কথা বলি বলি করে বলা হয়নি। আমার বরের সাথে …

 বলে থেমে গেলো।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম - কি হইসে সাঈফের? ঝগড়া হইসে?

আমার স্ত্রী পাশ থেকে বলল - তোর কি অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে? আমি আগেই টের পাইসিলাম।

আমি ধমক দিয়ে তাকে থামালাম।

দিশা চোখ মুছতে মুছতে বলল

- আব্বা নিশা আর সাঈফ বিয়ের পর থেকেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে।

এই কথা শুনে পায়ের নিচ থেকে মাটি সড়ে গেলো।

আমার স্ত্রী ততক্ষনে দিশার দিকে এগিয়ে আসছে তাকে মারবে। আমি থামালাম। আর দিশাকে বললাম - তুমি কবে থেকে জানো? আর কিভাবে জানো?


সে বলল - আমি আগে থেকে ওদের সম্পর্কের ব্যাপারে আঁচ করেছিলাম। কিন্তু এ নিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। আমার স্বামী বাসায় দেরি করে ফিরতো। বাসায় ফিরে সে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে নিশার সাথে আজেবাজে কথা বলত। যেদিন জানতে পেরেছি সেদিন জিজ্ঞাসা করায় সে বলে শালির সাথে এতটুক দুষ্টামি করা স্বাভাবিক। আমি শেষবারই আপনাদের বলতে চেয়েও আটকে গিয়েছি। এজন্য এবার বাসায় যাওয়ার পর আমাকে সে বারবার বলার পরও আপনাদের বাসায় আসিনি। তারা বাইরে দেখা করত। আবাসিক হোটেলে সময় কাটাতো। কিন্তু আমার কাছে কোন প্রমান ছিলো না। আজ আমি তাকে বলি আমি সকালে আমার এক বান্ধবীর বাসায় যাবো। সারাদিন থাকবোনা। এই বলে বেড়িয়ে যাই। ওর আজ সাপ্তাহিক ছুটি ছিলো তাই সে বাসাতেই ছিলো..

আমি ওত পেতে থাকি বাসার নিচে এক চায়ের দোকানে মুখ লুকিয়ে বসে থাকি। আমার মন বলছিলো আজ নিশা আমার বাসায় আসবেই আসবে।

আমি ভুল ছিলাম না। নিশা আসলো আর আমাদের বিল্ডিং এ উঠে গেলো।

তার ১৫ মিনিট পর আমি বাসায় উঠে গেলাম। গিয়ে দুইজনকে ওমন অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে উঠি। শুরুতে দুইজনই নানান মিথ্যা বলতে থাকলেও নিশা একসময় রেগে বলল - তুই যদি সুখ দিতে পারতি তাহলে আর বিয়ের ১ মাস পর থেকে তোর জামাই আমাকে নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরত না।

ওতটুক মেয়ের কথা শুনে আমি ওকে চড় মারি। 

আর আমার স্বামী সাথে সাথে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকতে। বলতে থাকে - তুই কি ওর যোগ্য? তুই ওর গায়ে হাত তুললি?

আমি লজ্জায় অপমানে একমুহূর্ত না দাড়িয়ে কতক্ষন ট্রেন লাইনে হাটি। যেন ট্রেনে কাটা পরি। কিন্তু সে সাহস শিক্ষা আমি পাই নি। তাই দিনশেষে আপনাদের কাছে আসলাম।

আমার স্ত্রী এই বিষয় একদম মেনে নিতে নারাজ। সে উল্টো দিশাকে দোষী বলছে।

নিশা তখনো বাসায় নেই। সে বাসা থেকে বলে বের হয়েছিলো আজ সে তার বান্ধবীর বাসায় থাকবে। কারণ তার সামনে কলেজে ভর্তি পরীক্ষা। অনেক পড়তে হয়। গ্রুপ স্টাডি।

আমি নিশাকে ফোন দেই। সে ফোন রিসিভও করে।

তাকে বলি সে এখন কোথায়? 

খুব সহজ ভাবে সে বলে - আমি আর বাসায় ফিরবো না। সাঈফ আমাকে ভালোবাসে। আমি ওকে ভালোবাসি। তোমার বড় মেয়েকে ও ছেড়ে দিবে। আর আমরা বিয়ে করে নিবো।

কথাগুলো ফোনের স্পীকারে শুনে আমার স্ত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পরে। সে অনেক বুঝানোর পরও মেয়ে একটু নরম হয়না। বরং ফোন কেটে দেয়। আমি সাঈফকে ফোন দিলে সে আমার ফোন রিসিভই করেনা।

এরপর তার পরিবারকে জানাই। উল্টো দোষ হয় আমাদের। আমরা নাকি মেয়েদের শিক্ষাই দেই নি। এতে তাদের কিছু করার নেই।

নিরূপায় হয়ে সাঈফের বাসায় যাই। সেখানে নিশা আমাকে লুকিং গ্লাসে দেখে দরজাই খুলে নি। আমি জানতাম সে ঘরের ভেতরেই আছে। ফোনের রিং শুনতে পাচ্ছিলাম দরজার বাইরে থেকে।

চলে আসি বাসায়।

বাসায় এসে দেখি দিশা কান্না করছে। কারণ আমার স্ত্রী তাকে মেরেছে এই বলে যে সে ইচ্ছা করে নিশার জীবনটা নষ্ট করেছে। দিশার হাতে তখন ডিভোর্স লেটার। আমি আমার স্ত্রীকে থামিয়ে শান্ত করাই।

পরদিন সেও যায় সাঈফের বাসায়। দারোয়ান বলে তারা কক্সবাজার গিয়েছে। এখানে আমাদের বাসার কেউ আসলে যেন ঢুকতে না দেয়।

অপমানে আমার স্ত্রী বাসায় এসে এক সপ্তাহ রুম থেকে বের হয়নি। দিশা জোর করে তাকে খাইয়েছে।


গল্প-  শত হলেও মা।

পর্ব ১ 

জাকিয়া হোসেইন তৃষা


নেক্সট পার্ট গুলো সবার আগে নতুন পেজে দেয়া হবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে নতুন পেজে ফলো করুন 👉 শুন্য-𝐂𝐡𝐢𝐫𝐤𝐮𝐭

অনেকেই জমি মাপার পদ্ধতি জানি না। 

 অনেকেই জমি মাপার পদ্ধতি জানি না। 

তাই, সাধারণত জমি মাপার সময় আমরা একজন আমিন বা সার্ভেয়া্রের শরণাপন্ন হই। এই ব্যাপারে তখন আমাদের সেই সার্ভেয়ার বা আমিনের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হয়। সেক্ষেত্রে, প্রতারিত হবার কিছুটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। জমি পরিমাপের ব্যাসিক ধারণা পারে এই সমস্যা থেকে সমাধান দিতে।

এ ছাড়া জমি পরিমাপ জানা থাকলে জমি কেনার সময়  জমির পরিমাণ নিজেই মেপে বের করা যায়। এই আর্টিকেলে জমি মাপার বিভিন্ন সূত্র এবং নিয়মগুলো খুব সহজ করে বর্ণনা করা হয়েছে। 

সুত্র এবং নিয়ম গুলো জানা থাকলে আশা করি, জমি মাপার বিষয়টি আপনাদের কাছে খুবই স্বচ্ছ হয়ে উঠবে।

জমির মাপের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন এককঃ

১ শতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক

১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গ ফুট

১ শতাংশ = ১৯৩.৬০ বর্গহাত

১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ

১ শতাংশ = ৪০.৪৭ বর্গ মিটার

জমি কেনার আগে আপনাকে যা যা জানতে হবে

বিভিন্ন পরিমানে জমির হিসাবঃ

১ শতক = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

১ শতক = ৪৮.৪০ বর্গগজ

১ শতক ৪০.৪৬ বর্গমিটার

১ শতক = ১৯৪.৬০ বর্গহাত

১ শতক ১০০০ বর্গলিংক

১ কাঠা = ১.৭৫ শতক (৩৫ এর মাপে)

১ কাঠা = ১.৬৫ শতক (৩৩ এর মাপে)

১ কাঠা = ১.৫০ শতক (৩০ এর মাপে)

১ একর = ৬০.৬০ কাঠা

১ একর = ৩.০৩ বিঘা

১ হেক্টর = ২.৪৭ একর

১ একর = ৪৩৫৬০ বর্গফুট

১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ

১ একর = ৪০৪৬ বর্গমিটার

১ একর = ১৯৪৬০ বর্গহাত

১ একর = ১০০০০০ বর্গলিংক।

উদাহরণঃ একটি জমির দৈর্ঘ্য উত্তর আইল ৫০ ফুট, দক্ষিণ আইল ৫৪ ফুট, প্রস্থ পশ্চিম আইল ৩০ ফুট, ভিতরে এক অংশে ৩৪ ফুট, এক অংশে ৩৮ ফুট এবং পূর্ব আইল ৪০ ফুট জমিটির পরিমাণ কত ?

জমিটির দৈর্ঘ্য ৫০+৫৪ = ১০৪ (দুই দিকের দৈর্ঘ্য যোগ করা হলে) তাই ২ দিয়ে ভাগ করলে দৈর্ঘ্য পাওয়া যায় (১০৪ ভাগ ২) = ৫২ ফুট।

জমিটি প্রস্থে অসম হওয়ায় এর ২ দিকের বাউন্ডারীর প্রস্থ ছাড়াও ভিতরের দিকে অন্তত ২াট প্রস্থ পরিমাপ এবং তা গড় করে মূল প্রস্থ বের করা যায় ৩০+৪০+৩৪+৩৮ = ১৪২ (ফুট) এর গড় (১২৪ ভাগ ৪) ৩৫.৫ ফুট।

ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য x প্রস্থ = ৫২ x ৩৫.৫ = ১৮৪৬ বর্গফুট (জমিটির ক্ষেত্রফল)

সূত্র মতে ৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ।

অতএব উপরের জমিটির পরিমাণ (১৮৪৬ ভাগ ৪৩৫.৬০) = ৪.২৪ শতাংশ।

পরচা, দাখিলনামা, জমাবন্দি, দাখিলা, দাগ নাম্বার, ছুটদাগ কি?

ক্ষেত্রফল আকৃতির জমির মাপঃ

প্রথমেই সুত্রগুলো জেনে নেয়া যাক-

ক্ষেত্রফল = বাহু X বাহু

কর্ন = ১ বাহু X ১.৪১৪

পরীসিমা= ১ বাহু X ৪

এখন যদি প্রশ্ন হয় একটি বর্গক্ষের বাহুগুলির দৈর্ঘ্য ১২০ লিংক করে হলে উহার ক্ষেত্রফল এবং জমির পরিমাণ বের কর।

তাহলে আমরা জেনেছি যে, ক্ষেত্রফল= বাহু X বাহু = ১২০ X ১২০= ১৪৪০০ বর্গলিংক (যদি ক্ষেত্রফলের একেকটি বাহু ১২০ লিংক হয়)।

এখন আমরা আগেই জেনেছি যে, ১ শতাংশ = ১০০০ বর্গ লিংক তাহলে জমির পরিমান,

১০০০ বর্গ লিংক = ১ শতাংশ

১ বর্গ লিংক = ১০০০ ভাগের ১ ভাগ

১৪৪০০০ বর্গ লিংকে কত হবে?

সুতরাং ১৪৪০০০ বর্গ লিংকে ১০০০ দিয়ে ভাগ দিলে যা হবে তাই হচ্ছে তার ফল অর্থাৎ ১৪.৪০ শতাংশ হবে।


জমি মাপের সহজ পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতিঃ

গ্যান্টার জরিপঃ

ইংরেজ বিজ্ঞানী গ্যান্টার জরিপ কাজে ব্যবহৃত চেইন আবিস্কার করেন। তাই তার নামানুসারে এ চেইনের নামকরন করা হয়েছে “গ্যান্টর্র্স চেইন”। এ চেইনের দের্ঘ্য ২২ গজ বা ৬৬ ফুট। এতে ১০০টি লিংক আছে। প্রতি লিংকের দৈর্ঘ্য ৭.৯২ ইঞ্চি এর দু মাথায় দুটো হাতল এবং দশম লিংক একটি করে “পেন্ডিল” বা পুলি আছে।

ইদানিং ফিতা/টেপ ব্যবহার করেও জমি পরিমাপ করা হয়। সার্ভেয়ার বা আমিন সব সময় পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হিসাব ও পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি নিজেই জমি পরিমাপ করতে পারবেন।

হিসাবটি হলোঃ

১০০০ বর্গ লিংক (৩১.৬২x৩১.৬২ লিংক) ১ শতাংশ।

১৯৪.৬ বর্গ হাত (১৩.৯৫x১৩.৯৫ হাত) = ১ শতাংশ।

১০.০০০ বর্গ লিংক (১x১ চেইন) = ১০ শতাংশ।

৩৩.৩ শতাংশ কার্যত ৩৩ শতাংশ = ১ বিঘা। (ষ্টান্ডার্ড বিঘা)

১০০ শতাংশ বা ৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর।

৪৮৪০x৯ (৯ বর্গফুট = ১ বর্গ গজ বলে = ৪৩৫৬০ বর্গফুট।

৪৩৫৬০ ১০০ (১০০ শতাংশ ১ একর বলে)= ৪৩৫.৬ বর্গফুট।

অতএব ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট বা ৪০.৪৬ বর্গমিটার (প্রায়)।


আমাদের দেশে কোথাও ৩৫ শতাংশে ১ বিঘা, কোথাও ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা আবার ইদানিং ৩০ শতাংশে ১ বিঘা বলা হচ্ছে।

যদিও সরকারি বিঘা ৩৩ শতাংশেই করা হয়। অপরদিকে কাঠার পরিমাণ শতাংশের পরিমাণে স্থান বিশেষ পার্থক্য হলেও ২০ কাঠায় ১ বিঘার হিসেবে সর্বত্র প্রচলিত ও স্বীকৃত আছে।


ডায়াগনাল স্কেলঃ

ডায়াগনাল স্কেল একটি চার কোনা বিশিষ্ট তামা ব্রোঞ্জের তৈরি স্কেল। ইহার চার পাশে ১০ টি ঘর বা কক্ষ থাকে প্রতিটি ঘরের মান ১০০ লিংক। ১৬”=১ মাইল স্কেলে ইহা তৈরি করা হয়। এবং গান্টার চেইনের সাথে মিল আছে বলে একে গান্টার স্কেলও বলা হয়।


আভার অফসেটঃ

এটি একটি প্লাষ্টিকের তৈরি স্কেল এই স্কেলের সাথে গান্টার স্কেলের মিল আছে। ইহার দৈর্ঘ্য ২ ” এবং প্রস্ত .৫” (ইঞ্চি) এই স্কেলের সাহায্যে নকশার সংকোচিত দুরত্ব সহজে মাপা যায়। এটা ছাড়া অফনেট নেয়ার ক্ষেত্রে ইহা বিশেষ সুবিধাজনক। গুনে গুনে সংখ্যা হিসাব করা যায় বলে একে গুনিয়া বলা হয়।


ডিভাইডার বা কাটা কম্পাসঃ

ইহা একটি জ্যামিতিক কম্পাস। ইহার সাহায্যে নকশার সংকোচিত দুরত্ব নিয়ে ডাইগোনাল স্কেলে মাপ নেয়া যায় এবং দুরত্ব গুনিয়া গুনিয়া সংখ্যা বুঝা যায়।


জোনাল জরিপঃ 

ভূমি সংস্কার কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রিভিশনাল সেটেলমেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তে ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে স্থায়ী পদ্ধতির জোনাল সেটেলমেন্ট আরম্ভ হয়। ১০ টি বৃহত্তর জেলায় জরিপ কাজ হয় এবং এ জরিপে সৃষ্ট খতিয়ানকে বাংলাদেল সার্ভে বা বি. এস. খতিয়ান বলে। কেউ আবার একে আর. এস. খতিয়ান বলে। 

দিয়ারা জরিপঃ দরিয়া শব্দ থেকে দিয়ারা শব্দের উদ্ভব। যে সকল এলাকায় নদী বা সাগরের কারনে জমির ভাঙ্গাগড়া বেশী হয় সে অঞ্চলে দিয়ারা জরিপ পরিচালিত হয়।

বিঘা থেকে কাঠা ও শতাংশ বের করার পদ্ধতি :

১ কাঠা = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট x৩৫ (৩৫ শতাংশে বিঘা হিসাবে) ২০ (২০ কাঠায় বিঘা বলে)। ১ কাঠা = ১৫২৪৬২০ = ৭৬২.৩ বর্গ ফুট, ১ কাঠা ৭৬২.৩ ৪৩৫.৬ = ১.৭৫ শতাংশ।

কস্টিকাম হ্যানিম্যানের টিঙ্কটুরা অ্যাক্রিস সাইন কালী এটি প্রধানত দীর্ঘস্থায়ী রিউম্যাটিক, আর্থ্রাইটিক এবং প্যারালাইটিক স্নেহের মধ্যে প্রকাশ করে

 #কস্টিকাম

হ্যানিম্যানের টিঙ্কটুরা অ্যাক্রিস সাইন কালী


এটি প্রধানত দীর্ঘস্থায়ী রিউম্যাটিক, আর্থ্রাইটিক এবং প্যারালাইটিক স্নেহের মধ্যে প্রকাশ করে, যা ছিঁড়ে যাওয়ার দ্বারা নির্দেশিত হয়, পেশী এবং তন্তুযুক্ত টিস্যুতে ব্যথা হয়, জয়েন্টগুলির বিকৃতি সহ; পেশী শক্তির প্রগতিশীল ক্ষতি, tendinous contractures. বার্ধক্য ভাঙ্গা। বায়ু প্যাসেজ এর catarrhal স্নেহের মধ্যে, এবং পছন্দ করে অন্ধকার-জটিল এবং অনমনীয়-ফাইবারযুক্ত ব্যক্তিদের পছন্দ করে। রাতে অস্থিরতা, জয়েন্ট এবং হাড় ছিঁড়ে যাওয়া ব্যথা এবং শক্তি কমে যাওয়ার মতো অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। এই দুর্বলতা আমাদের ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত না হওয়া পর্যন্ত অগ্রসর হয়। স্থানীয় পক্ষাঘাত, ভোকাল কর্ড, অবক্ষয়ের পেশী, জিহ্বা, চোখের পাতা, মুখ, মূত্রাশয় এবং প্রান্ত। বাচ্চাদের হাঁটা ধীর। একজন কস্টিকাম ব্যক্তির ত্বক একটি নোংরা সাদা স্যালোর হয়, বিশেষ করে মুখে আঁচিল থাকে। রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদির কারণে এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়া। জ্বলন্ত, কাঁচাভাব এবং ব্যথা বৈশিষ্ট্য।


মন।--শিশু একা বিছানায় যেতে চায় না। সামান্য জিনিস এটা কাঁদায়. দু: খিত, আশাহীন। তীব্র সহানুভূতিশীল। দীর্ঘস্থায়ী শোক থেকে অসুস্থতা, হঠাৎ আবেগ। অভিযোগের কথা চিন্তা করা, আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে হিমরয়েডস।


মাথা।--কপাল এবং মস্তিষ্কের মধ্যে ফাঁকা স্থানের অনুভূতি। ডান ফ্রন্টাল এমিনেন্সে ব্যথা।


মুখ.--ডান দিকের পক্ষাঘাত। ওয়ার্টস। মুখের হাড়ে ব্যথা। ডেন্টাল ফিস্টুলা। চোয়ালে ব্যথা, মুখ খুলতে অসুবিধা।


চোখ।--মোটর ব্যাঘাত সহ ছানি। চোখের পাতার প্রদাহ; আলসারেশন চোখের সামনে স্ফুলিঙ্গ এবং অন্ধকার দাগ Ptosis (জেল)। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, যেন চলচ্চিত্র চোখের সামনে। ঠান্ডার সংস্পর্শে আসার পরে চোখের পেশীগুলির পক্ষাঘাত।


কান। - বাজানো, গর্জন, স্পন্দিত, বধিরতা সহ; শব্দ এবং পদক্ষেপ পুনরায় প্রতিধ্বনি; দীর্ঘস্থায়ী মধ্য-কানের ক্যাটরহ; কানের মোম জমে।


নাক।-- কোরিজা, কর্কশতা সহ। আঁশযুক্ত নাক। নাকের ছিদ্র। Pimples এবং warts.


মুখ.--- চিবানো থেকে গালের ভিতরে কামড়। অস্পষ্ট বক্তৃতা সহ জিহ্বার পক্ষাঘাত। নীচের চোয়ালের আর্টিকেলেশনের বাত। মাড়ি থেকে সহজেই রক্তপাত হয়।


পাকস্থলী।--চর্বিযুক্ত স্বাদ। মিষ্টির প্রতি ঘৃণা। মনে হচ্ছে পেটে চুন পুড়ে গেছে। তাজা মাংস খাওয়ার পরে খারাপ; ধূমপান করা মাংস একমত। গলায় বল উঠার অনুভূতি। অ্যাসিড ডিসপেপসিয়া।


মল।--নরম ও ছোট, হংস-কুইলের আকার (ফোস)। শক্ত, শক্ত, শ্লেষ্মা দ্বারা আবৃত; গ্রীসের মতো জ্বলজ্বল করে; ছোট আকৃতির; অনেক স্ট্রেনিং সহ বহিষ্কৃত, বা শুধুমাত্র দাঁড়ানো উপর. প্রুরিটাস। মলদ্বারের আংশিক পক্ষাঘাত। মলদ্বার ঘা এবং পোড়া। ভগন্দর এবং বড় পাইলস।


প্রস্রাব।--কাশি, হাঁচির সময় অনিচ্ছাকৃত (পালস)। খুব ধীরে ধীরে বহিষ্কৃত, এবং কখনও কখনও ধরে রাখা হয়। রাতে প্রথম ঘুমের সময় অনিচ্ছাকৃত; সামান্য উত্তেজনা থেকেও। অস্ত্রোপচারের পরে ধরে রাখা। প্রস্রাব করার সময় সংবেদনশীলতা হ্রাস।


মহিলা.--- প্রসবের সময় জরায়ুর জড়তা। রাতে মাসিক বন্ধ হয়; শুধুমাত্র দিনের বেলা প্রবাহ (চক্র; স্পন্দন)। রাতে শ্বেতসার, প্রচন্ড দুর্বলতা সহ (নাট মুর)। ঋতুস্রাবের বিলম্ব, দেরী (কন. গ্রাফ; স্পন্দন)।


শ্বাসযন্ত্র।--বুকে ব্যথা সহ কর্কশতা; aphonia স্বরযন্ত্রের ঘা। কাশি, বুকের কাঁচা ব্যথা সহ। প্রত্যাশা কম; গিলে ফেলা আবশ্যক নিতম্বে ব্যথা সহ কাশি, বিশেষ করে সন্ধ্যায় আরও খারাপ; ভাল, ঠান্ডা জল পান করা; খারাপ, বিছানার উষ্ণতা। শ্বাসনালীতে কালশিটে দাগ। স্টার্নামের নীচে শ্লেষ্মা, যা সে পুরোপুরি পৌঁছাতে পারে না। বুকে ব্যথা, ধড়ফড় সহ। রাতে শুয়ে থাকা যায় না। কণ্ঠ আবার প্রতিধ্বনিত হয়। নিজের কন্ঠস্বর কানে গর্জে ওঠে দুঃখে। গায়ক এবং পাবলিক স্পিকার (রয়্যাল) এর ভয়েসের অসুবিধা।


পিছনে.--কাঁধের মধ্যে শক্ত হওয়া। ঘাড়ে নিস্তেজ ব্যথা।


বাম-পার্শ্বস্থ সায়াটিকা, অসাড়তা সহ। একক অংশের পক্ষাঘাত। নিস্তেজ, হাত ও বাহুতে ছিঁড়ে যাওয়া ব্যথা। ভারীতা এবং দুর্বলতা। জয়েন্টগুলোতে ছিঁড়ে যাওয়া। বাহু এবং হাতের পেশীগুলির অস্থিরতা। অসাড়তা; হাতে সংবেদন হারানো। সংকুচিত tendons. দুর্বল গোড়ালি। কষ্ট ছাড়া চলতে পারে না। অঙ্গে রিউম্যাটিক ছিঁড়ে যাওয়া; উষ্ণতা দ্বারা ভাল, বিশেষ করে বিছানার তাপ। জয়েন্টগুলোতে জ্বালাপোড়া। হাঁটা শেখার ক্ষেত্রে ধীর। অস্থির হাঁটা এবং সহজেই পড়ে যাওয়া। রাতে অস্থির পা। হাঁটুতে ক্র্যাকিং এবং টান; হাঁটুর ফাঁপা শক্ত হওয়া। পায়ের পাতায় চুলকানি।


ত্বক।--চামড়ার ভাঁজে, কানের পিছনে, উরুর মাঝখানে ব্যথা। আঙুল ও নাকের ডগায় বড়, ঝাঁঝালো, সহজেই রক্তপাত হয়। পুরানো পোড়া যা ভাল হয় না, এবং পোড়া থেকে খারাপ প্রভাব। পোড়ার যন্ত্রণা। Cicatrices আপ freshen; পুরানো আঘাত আবার খোলা। ডেন্টিশনের সময় ত্বক ইন্টারট্রিগোর প্রবণতা।


ঘুম।--খুব তন্দ্রাচ্ছন্ন; খুব কমই জাগ্রত রাখতে পারেন। নিশাচর নিদ্রাহীনতা, শুষ্ক তাপ সহ, অস্থিরতা।


সম্পর্ক।--ব্যাসেলের ডাঃ ওয়াগনারের সতর্ক তদন্ত অনুসারে, কস্টিকাম অ্যামন কস্টিকাম 4x এর সাথে মিলে যায়। কস্টিকাম ফসফরাসের সাথে একমত নয়; প্রতিকার একে অপরের পরে ব্যবহার করা উচিত নয়. ডিপথেরোটক্সিন অনুসরণ করে, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে কস্টিকাম।


প্রতিষেধক: সীসা-বিষ থেকে পক্ষাঘাত।


পরিপূরক: কার্বো; পেট্রোসেল।


তুলনা করুন: Rhus; আর্সেনিক; আম ফস (মুখের পক্ষাঘাত)।


মোডালিটিস।--- খারাপ, শুষ্ক, ঠান্ডা বাতাস, পরিষ্কার সূক্ষ্ম আবহাওয়ায়, ঠান্ডা বাতাস; গাড়ির গতি থেকে। ভাল, স্যাঁতসেঁতে, আর্দ্র আবহাওয়ায়; উষ্ণতা বিছানার উত্তাপ।

বাবা মা কে ছেড়ে আলাদা হয়ে যাবেন, এই ১০ পরিস্থিতিতেঃ 

 বাবা মা কে ছেড়ে আলাদা হয়ে যাবেন, এই ১০ পরিস্থিতিতেঃ 


এমন অনেক বাবা-মা আছেন, যারা সন্তানের মঙ্গল চান — কিন্তু কিছু অজান্তেই এমন আচরণ করেন, যা সন্তানের ক্যারিয়ার ও আত্মবিশ্বাসের বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যারা স্বাধীনভাবে নিজের স্বপ্ন গড়তে চায়, তাদের জন্য এই নেতিবাচক আচরণগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।


নিচে তুলে ধরা হলো বাবা-মায়ের এমন ১০টি নেতিবাচক আচরণ, যেগুলো কারও ক্যারিয়ার গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব আচরণ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সন্তানদের মেন্টাল পিস ও উন্নয়নের জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া প্রয়োজন হতে পারে।


⚠️ ১. নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন সন্তানের উপর চাপানো

➡️ "তুই ডাক্তার হবি, আমি হতে পারিনি!" — সন্তানের আগ্রহ উপেক্ষা করে জোর করে পেশা চাপিয়ে দেওয়া।


😞 ২. সদা তুলনা করা

➡️ "দেখ পাশের বাড়ির মামুন কত ভালো করছে!" — এই তুলনা আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে, নিজের পরিচয় খুঁজে পেতে বাধা দেয়।


🚫 ৩. ভুলকে ক্ষমা না করা, শিক্ষা হিসেবে না দেখা

➡️ ছোট ভুলে অপমান, চিৎকার বা গালমন্দ করা সন্তানের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ধ্বংস করে।


🙄 ৪. নিরন্তর নেতিবাচক মন্তব্য

➡️ "তোর দ্বারা কিছুই হবে না" বা "তুই শুধু সময় নষ্ট করিস" — এসব কথা সন্তানের মনোজগত ধ্বংস করে দেয়।


🧠 ৫. সৃজনশীল ক্যারিয়ারকে অসম্মান করা

➡️ গায়ক, লেখক, ডিজাইনার বা উদ্যোক্তা হতে চাইলে বলবে, "এসব বাজে কাজ!" — ফলে সৃষ্টিশীলতা মারা যায়।


🕹️ ৬. সন্তানকে চিরশিশু মনে করা

➡️ প্রাপ্তবয়স্ক হলেও সন্তানের প্রতিটি সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা, তাকে স্বাধীনভাবে ভাবতে না দেওয়া।


🏠 ৭. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আটকে রাখা

➡️ নিজের অর্থ, সময়, এবং ক্যারিয়ারে সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দিলে সন্তানের এগিয়ে যাওয়ার গতি থেমে যায়।


😢 ৮. মানসিক চাপে ফেলা বা আবেগিক চাঁট নিয়ে থাকা

➡️ "তুই বাইরে গেলে আমি মরে যাব!" — এভাবে মানসিক দোষ দিয়ে সন্তানের স্বাধীনতা দমন করা।


🎭 ৯. পরিচয়ের ভার চাপানো

➡️ "আমরা সম্মানিত পরিবার, এটা করতে পারবি না" — এমন কথায় সন্তানের ইচ্ছা ও ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়।


📴 ১০. শুনতে না চাওয়া, বোঝার চেষ্টা না করা

➡️ সন্তানের কথা না শোনা, শুধু নিজের মত চাপিয়ে দেওয়া — এতে সন্তানের মনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।


যদি এই আচরণগুলো নিয়মিত এবং বিষাক্ত (toxic) হয়, তাহলে সন্তানদের উচিত:


মানসিকভাবে দূরত্ব তৈরি করা,

সীমারেখা নির্ধারণ করা (Set Boundaries),

প্রয়োজনে আলাদা থাকা — নিজের ক্যারিয়ার, মানসিক স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের জন্য।

একটি_বাসর রাতের স্বামী স্ত্রী  গল্প।।।

 একটি_বাসর রাতের স্বামী স্ত্রী  গল্প।।।

একটি_বাসর_রাত


বাসর ঘরে একলা চুপচাপ বসে আছে হুমায়রা । বিয়ের টেনশনে সারাদিন কিছু খেতেও পারেনি মেয়েটা। প্রচন্ড ক্ষুধায় এখন মাথা ঘুরছে তার। নতুন বউ! কাউকে বলতেও পারছে না যে তার ক্ষুধা লেগেছে, কিছু খেতে দেন! লোকজন ভাববে বিয়ে করে বউ ঘরে তুললো নাকি রাক্ষস; আসার আগেই খাই খাই করছে...

.

ভাবীরা আগেই বলে দিয়েছে, বাসর রাতেই নাকি বিড়ালটা মারতে হয়। অথচ হুমায়রা  এক ঘন্টা হয়েছে এই বাড়িতে এসেছে, বাসর ঘরে তো দুরের কথা, এই বাড়িতেই কোন বিড়াল আছে বলে মনে হচ্ছে না তার...

.

রাত ১২ টার দিকে তার স্বামী আসিফ  ঘরে ঢুকল, ঢুকেই দরজাটা লাগিয়ে দিল। হুমায়রা  চমকে উঠলো, তার হঠাৎ মনে হলো- বাসর রাত নিয়ে বান্ধবীর বলা কথাগুলো কি তাহলে সত্যিই। অজানা আতঙ্কে আবার বুকটা কেঁপে উঠে হুমায়রার । দাদি বার বার বলে দিয়েছে স্বামী ঘরে ঢুকলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে। হুমায়রার ইচ্ছা করছে না তবুও সালাম করতে গেল। পায়ে হাত দেওয়ার আগেই আসিফ  তার হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে দিলো। হুমায়রা মনে মনে ভাবলো, হায়রে! সালাম করার সময়টুকুও কি সহ্য হল না!!

.

নাহ! হুমায়রার সব ভুল ভেঙ্গে দিয়ে আসিফ  বলে উঠল- এই রকম মোটা শাড়ি পরে আর কতক্ষন থাকবে? এইটা খুলে অন্য শাড়ি পরো। এই বলে অন্য রুম থেকে একটা সুতি শাড়ি এনে দিল হুমায়রা কে। হুমায়রাকে শাড়িটা চেঞ্জ করতে বলে আকাশ রুম থেকে বের হয়ে গেল...

.

এরপর যখন রুমে আসলো তখন আসিফর হাতে অনেক ধরণের খাবার। খাবারগুলো টেবিলে রেখে বলতে লাগল, আর বইলো না! তোমাদের বাড়িতে যে খাবার দিয়েছে লজ্জার কারণে সেগুলো কিছুই খেতে পারিনি আমি। আসিফর কথা শুনে হুমায়রা ফিক করে হেসে ফেললো। সে রাতে তারা ২টা পর্যন্ত বারান্দায় বসে গল্প করলো। সেই রাতটা হুমায়রার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর একটা রাত ছিল। বাসর রাত সম্পর্কে হুমায়রার যে ভুল ধারণা ছিল সেটা ভেঙ্গে গেল।

.

ঐদিন আসিফদের সংসার সম্পর্কে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হলো দুজনের। সে রাতে হুমায়রা শুধুই শ্রোতা, যা কিছু বলার সব আসিফই বলেছিল- শোন হুমায়রা ! কালকেও তুমি শুধু একটা মেয়ে ছিলে। আজকে তুমি কারো স্ত্রী, কারো সংসারের বউ। কারো ভাবি, কারো জা, কারো চাঁচি, কারো মামী। যেহেতু বিয়েটা পরিবারিক, তাই আমরা একে অপরকে জানার সময়ও কম পেয়েছি। তবুও যেহেতু আমাকে তোমার বর হিসেবে মেনে নিয়েছো, সুতরাং আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেছ। আর আমাকে যদি তোমার যোগ্য করে কেউ গড়ে তুলে থাকে, তারা হল আমার বাবা-মা। আমি চাই তুমি তাদেরকে সম্মান দিয়ে চলবে। তাদেরকে নিজের বাবা-মা মনে করবে...

.

আজ তাদের বিয়ের অনেক বছর  চলছে, অথচ কোনদিন সামান্য সময়ের জন্যেও সংসারে কোন মনোমালিন্য হয় নি, কোন অশান্তি হয় নি। আর হবেই বা কি করে! এ ব্যাপারে হুমায়রা খুব সতর্ক...

.

যেমন, তরকারি রান্না করার সময় লবণ ঠিকঠাক মতই দিতে পারে হুমায়রা । কিন্তু সে ইচ্ছা করেই তরকারিতে নিজে লবণ দেয় না। তার শাশুড়িকে ডেকে এনে লবণ দিয়ে নেয়। এতে অবশ্য তার শাশুড়ি আম্মা খুব রাগের ভান করে বলে- ‘এত বয়স হইছে এখনও তরকারিতে লবণ দিতে পার না! আমি না থাকলে কি করবা? হুমায়রা  তখন কিছু বলে না, শুধু হাসে। অবশ্য তরকারিতে নিজ থেকে লবণটা না দেওয়ার বুদ্ধিটা তার না, এই বুদ্ধিটা তার স্বামীর মানে আসিফের। হুমায়রা  একদিন জিজ্ঞেস করেছিল- এই হাস্যকর কাজটা করার দরকার কি?

.

আসিফ  উত্তরটা ছিল এই রকম- মনে কর তুমি একটা অফিসে অনেক দিন ধরে কাজ করছ, হুট করে নতুন লোক এসে যদি তোমার সব কাজ করে, তখন এক পর্যায়ে তাকে তোমার প্রতিদ্বন্দি মনে হবে। তুমি তখন নানাভাবে তার পিছনে লাগবে।

.

ঠিক তেমনি, এতদিন সংসারের কাজগুলো মা একাই দেখাশুনা করত। এখন যদি তুমি সব কাজ কর তখন মা মনে মনে ভাববে, সব দায়িত্ব তুমি নিয়েছো; এই সংসারে তার কোন মূল্য নেই। তখন সে নিজেকে বেকার মনে করবে, তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। তাই এই সামান্য তরকারিতে লবণ দেওয়াটাকেই সে মনে করবে এই সংসারে এখনও তাকে দরকার...

.

এই  সংসার জীবনে হুমায়রার কখনোই মনে হয়নি এটা তার শ্বশুড়বাড়ী বরং মনে হয়েছে সে বাবার বাড়ী থেকে এখানেই অনেক ভাল আছে। এর সবের মূলে রয়েছে তার স্বামী। সে শুধু স্বামীই নয়, একই সাথে বন্ধু, পরামর্শদাতা সবকিছুই ।।।।

চলুন, জোঁকের রহস্যময় দুনিয়ায় একটু ঢুঁ মেরে আসি। 

 আপনি কি জানেন? সাধারণ চেহারার এই জোঁক আসলে এক অসাধারণ প্রকৃতির বিস্ময়!

চলুন, জোঁকের রহস্যময় দুনিয়ায় একটু ঢুঁ মেরে আসি। 


🔬 জোঁক: এক অপূর্ব সৃষ্টি

জোঁক—ছোট্ট, নিঃশব্দ এই প্রাণীটিকে অনেকেই ভয় পায় বা ঘৃণা করে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এর শরীরের গঠন ও কার্যপ্রণালি সত্যিই অসাধারণ।


🩸 ১০টি পাকস্থলী!

জোঁকের শরীরে রয়েছে ১০টি পাকস্থলী, যা একবার শোষণ করা রক্ত জমিয়ে রেখে ধীরে ধীরে হজম করতে সাহায্য করে। একবার রক্ত খেলে, তা মাসের পর মাস চলতে পারে!


🧠 ৩২টি মস্তিষ্কের অংশ (গ্যাংলিয়া)

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন! একটি জোঁকের আছে ৩২টি গ্যাংলিয়া, যা মিলে তৈরি করে জটিল একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক। এমন জটিল স্নায়ুব্যবস্থা একে করে তোলে আশ্চর্যজনকভাবে সংবেদনশীল।


👁 ১০টি চোখ, তাও আবার সরল চোখ

অনেক জোঁকেরই থাকে ১০টি পর্যন্ত সরল চোখ, যেগুলো আলো ও গতির উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে।


⚤ উভলিঙ্গ ও ৯ জোড়া অণ্ডকোষ

জোঁক একসাথে নারী ও পুরুষ—অর্থাৎ উভলিঙ্গ। তাদের থাকে ৯ জোড়া অণ্ডকোষ, যা প্রজননের ক্ষেত্রে একে করে তোলে স্বয়ংসম্পূর্ণ।


🦷 তিন চোয়ালে সাজানো শত শত ক্ষুদ্র দাঁত!

জোঁকের মুখে থাকে তিনটি চোয়াল—প্রতিটিতে শত শত ক্ষুদ্র দাঁত। এই দাঁত দিয়েই তারা চামড়া ছিদ্র করে রক্ত শুষে নেয়। কামড়ের পর শরীরে পড়ে Y-আকৃতির একটি চিহ্ন, যা জোঁকের কামড়ের স্বাক্ষর।


💉 চিকিৎসায় জোঁক? হ্যাঁ, আধুনিক সার্জারিতেও ব্যবহৃত হয়!

জোঁক শুধু প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, বরং প্রাচীন ও আধুনিক চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজও মাইক্রোসার্জারিতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জোঁকের ব্যবহার হয়!


একটি সামান্য প্রাণীর মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অসাধারণ পরিকল্পনা ও বিবর্তনের হাজারো গল্প। জোঁক, তুমি সত্যিই অদ্ভুত এক বিস্ময়!


🙏 লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

রসায়নের সাথে থাকুন, জ্ঞানে আলো ছড়ান। 🌿🧪✨

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

অতীত ইতিহাস (Past History): ২ বছর বয়সে খিচুনি জ্বর (Febrile Convulsion) হয়েছিল ৬–৭ বার

 🧑‍⚕️ কেস স্টাডি বিশ্লেষণ (Case Summary - 13 বছর বয়সী ছেলে)


🔍 অতীত ইতিহাস (Past History):


২ বছর বয়সে খিচুনি জ্বর (Febrile Convulsion) হয়েছিল ৬–৭ বার


Neurodevelopmental ঝুঁকি বা মস্তিষ্কে কার্যকারিতা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়


📋 বর্তমান উপসর্গসমূহ:


চোখের দৃষ্টিশক্তি কমেছে, চোখ শুকিয়ে যায়


Growth (দৈহিক বৃদ্ধি) খুব কম


পড়াশোনায় অমনোযোগ


টিভির প্রতি আকর্ষণ বেশি


পিপাসা কম, ঘাম বেশি


মাঝে মাঝে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি-কাশি


শরীরে অ্যালার্জির প্রবণতা


শরীর দুর্বল


ডান হাঁটু থেকে পায়ে ব্যথা


বাবা-মায়ের উপদেশ গ্রহণ করে না → মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা/অবাধ্যতা


---


🧠 সম্ভাব্য রোগ-প্রবণতা (Miasmatic Diagnosis):


#টিউবারকুলার_মিয়াজম:#ধীরে_ধীরে_স্বাস্থ্যহানি,_এলার্জি,_বৃদ্ধি_কম


সাইকোটিক ও সিফিলিটিক মিশ্র প্রকৃতি: চোখ, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবাধ্যতা, অমনোযোগ, জেদ


---


🌿 সম্ভাব্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (Suggested Medicines):


1️⃣ Baryta Carb 200


মস্তিষ্কের বিকাশে বিলম্ব


বৃদ্ধিতে বিলম্ব


বাবা-মায়ের কথা শুনে না


টিভি, মোবাইলে আকর্ষণ, পড়াশোনায় অনীহা


ঠান্ডা লাগার প্রবণতা


2️⃣ Tuberculinum 1M (মিয়াজমেটিক রেমেডি)


জন্মগত দুর্বলতা, দ্রুত ক্লান্ত


ঘন ঘন ঠান্ডা ও অ্যালার্জি


টিবি ইতিহাস বা খিচুনি থাকলে কার্যকর


3️⃣ Calcarea Phosphorica 6X (Biochemic support)


শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের গঠন উন্নত করে


হাঁটুর ব্যথা


দুর্বল শিশুদের জন্য


4️⃣ Euphrasia 30 / Ruta 30 (চোখের উপসর্গ অনুযায়ী)


চোখের শুষ্কতা, জ্বালা, কম দেখার সমস্যা


---


💊 চিকিৎসার পরিকল্পনা (Prescribed Plan):


ওষুধের নাম শক্তি মাত্রা সময়


Baryta Carb 200 ১ ডোজ (৩ ফোঁটা) প্রতি সপ্তাহে ১ বার

Tuberculinum 1M ১ ডোজ মাসে ১ বার, খালি পেটে

Calcarea Phos 6X ২টি বড়ি করে দিনে ৩ বার ১ মাস

Euphrasia / Ruta 30 ৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার ১০ দিন (চোখের জন্য)


---


📅 চিকিৎসা ক্যালেন্ডার উদাহরণ (১৫ দিন):


দিন সকাল দুপুর বিকাল রাত


১ Calc Phos + Tuberculinum Calc Phos Euphrasia / Ruta Calc Phos

২-৬ Calc Phos Calc Phos Euphrasia / Ruta Calc Phos

৭ Calc Phos + Baryta Carb Calc Phos Euphrasia / Ruta Calc Phos

৮-১৪ Calc Phos Calc Phos — Calc Phos

১৫ — — — —


---


⚠️ বিশেষ পরামর্শ:


চিনিযুক্ত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে


প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনার অভ্যাস তৈরি করুন


চোখের যত্নে হালকা গরম পানিতে ধৌত করা ও বিশ্রাম দিন


হাঁটুর ব্যথার জন্য হালকা তেল মালিশ বা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য দিন

গল্প ভাবী মা  পর্ব ১

 ভাবী আমাদের বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার তিন মাসের মাথায় মা মারা যান।

 তখন আমার বয়স আট কী নয়। 

ক্লাস থ্রিতে পড়ি আমি।ঘরে বোন নাই।বাবা তো সেই কবে থেকেই সহ‍্যাশায়ী রোগী।সংসারটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে উঠতে চাইলো হঠাৎ।সবাই বললো, এবার ওদের সংসার ভাঙবেই ভাঙবে।সবাই যখন আমাদের সংসার ভাঙার লীলা দেখার প্রস্তুতি নিলো তখন ভাবী দেখিয়ে দিলেন উল্টো লীলা।মার মৃত্যুর পর যেন নতুন মা হয়ে ফিরে এলেন তিনি। গায়ের সাজসজ্জা,বাহারি নেলপলিশ,চুড়ি,টিপ সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে নিজের হাতে তুলে নিলেন তিনি আলমাড়ির চাবির গোছা, রান্না ঘরের হাড়ি পাতিল, আব্বার সেবা যত্ন,অষুধ খাওয়ানো, আমার পড়া তৈরি করে দেয়া, গোসল করানো,খাইয়ে দেয়া,ঘুম পাড়ানো,সব, সবকিছু।মার শোক কী জিনিস তা আমি আদৌ বুঝতে পারলাম না। অবশ্য প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগতো।মার গায়ের গন্ধ নিয়ে যে পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ আসতে পারে না তাই! কিন্তু ভালোবাসা নিয়ে অনেকেই আসতে পারে।আমরা বলি না যে ইনি আমায় ঠিক ছেলের মতোই দেখেন!

ভাবী ছিলেন এরও বেশি। কতদিন আমি দুষ্টুমি করে ঘরের এটা ওটা ভেঙে দিয়েছি।এর জন্য ভাইয়া রাগ করলেও ভাবী কিন্তু মোটেও রাগ করতেন না। ভাইয়াকে বরং বুঝিয়ে বলতেন, 'ছোট সময় এমন কত কীই তো তুমি আমি করে এসেছি।নয়নও তো তেমনই। ছোট মানুষ। ওর কী এখনও বোঝ এসেছে বলো?

ভাইয়া বলতেন,'লায় দিয়ে দিয়ে তো মাথায় তুলছো বাদরটাকে।'

ভাবী হাসতেন।বলতেন,'দেখো,বাদরটা একদিন অনেক বড় হবে।'

বাবা একটু পর পর ভাবীকে ডাকতেন। একবার অষুধের জন্য, একবার মাথা গরম হয়ে গেছে বলে একটু জল ঢেলে দিতে,একটু শরবতের জন্য আরো কত কী!ভাবী হাসিমুখে সব করে দিতেন। কোনদিন তাকে আমি বিরক্ত হতে দেখিনি। কিন্তু ভাবীর মনে একটা দুঃখ ছিল। অবশ্য এই দুঃখ তিনি কখনো প্রকাশ করতেন না। মানুষ বলতো,'খেয়া, তোমার যে সন্তান সন্ততি নাই তোমার মন খারাপ হয় না এতে?'

ভাবী অবাক হয়ে বলতেন,'কে বলেছে আমার সন্তান নাই?নয়ন কী আমার সন্তান না?'

প্রতিবেশীরা বলতো,'এইসব শুধু মুখের কথাই হয় বাস্তবে হয় না।পরের সন্তান কী আর নিজের সন্তান হয় কোনদিন?'

ভাবী তখন চুপ হয়ে যেতেন। তারপর ঘরে এসে সেদিন আমায় পড়াতে বসে মাথায় বিলি কাটতে কাটতে বলতেন,'নয়ন, তুই আমার কী হস বলতো?'

আমি অনেক্ষণ ভেবে বলতাম,'ভাই।'

ভাবী তখন মুখটা কালো করে ফেলতেন। বলতেন,'আর কখনো ভাই বলবি না।বলবি সন্তান। তুই আমার সন্তান।'

আমি ডান দিকে মাথা নুইয়ে হ‍্যা বলতাম।

'

দীর্ঘদিন রোগে ভোগে বাবা মারা গেলেন। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি।ভাবীও এ বাড়িতে অনেকটা পুরনো হয়ে গেছেন। এতদিনে তার শরীরে সত‍্যিকারের মা মা একটা গন্ধ এসেছে। চেহারা থেকে বৌ বৌ রুফটা একেবারেই মিলিয়ে গেছে।এই বৌ বৌ রুফ মিলিয়ে যাওয়ায় বোধহয় ভাবীর জন্য কাল হলো। ওদিকে বাবাও নাই। আমি ছোট। এই সুযোগে ভাইয়া যেন কেমন হয়ে উঠলেন। ভাবীকে আজকাল তিনি একদম সহ্য করতে পারেন না।বন্ধ‍্যা বলে দূরে সরিয়ে রাখেন।এক খাটে শুতে পর্যন্ত যান না।ভাবী কাছে আসলে বলেন,'তুই আমার কাছে আসবি না।তোরে দেখলে আমার মাথায় আগুন ধরে।'

ভাবী অসহায়ের মতো বলতেন,'কই যাবো বলো আমি। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে?'

'ভণিতা ছাড়।দূরে যাইয়া ভাব দেখা। আমার কাছে তোর জায়গা নাই।'

ভাবী বলতেন,'মাইয়া মাইনষের বিয়ের পর ঠিকানা একটাই।তার স্বামীর বাড়ি। এই বাড়ি ছাইড়া আমি কোথাও যাবো না।'

ভাইয়া রাগে গজগজ করতে করতে বলতেন,'যাইবি যাইবি।একশো একবার যাইবি। যাওয়ার জিনিস আনতেছি।'

ভাবী ভেবেছিলেন ভাইয়া বুঝি ওইদিন এমনিতেই এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কদিন পরেই দেখা গেলো এমনি এমনি নয়। ভাইয়া সত‍্যিকারেই একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছেন।সেই বউ বাড়িতেই তুলে এনেছেন। এবার শুরু হলো বাড়িতে অন‍্য লীলা।যারা আমাদের বাড়ির সংসার ভাঙার লীলা দেখতে চেয়ে আশাহত হয়েছিল আগে এখন যেন তারা নতুন দৃশ্য দেখার জন্য একটু আড়মোড়া ভেঙেই বসলো। 

'

নতুন ভাবী সাধারণ মেয়েদের মতো অত হাসিখুশির মানুষ নন। তিনি সব সময় চুপচাপ থাকেন। বাড়িতে তার যা কথা হয় ভাইয়ার সাথেই।খেয়া ভাবী হয়ে গেলেন এ বাড়ির আসবাবপত্রের মতো।তার সাথে কেউ কখনো কথাও বলে না, তার কোন প্রয়োজনের কথাও কেউ কখনো ভাবে না। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তার অপমানিত হতে হয়।মার খেতেও হয়েছে কতবার। কোন কারণ ছাড়াই ভাইয়া হাত উঠাতে পারেন ভাবীর উপর। স্বামীর অধিকার। স্বামীর অধিকারটা ছিল শুধু তার মারের বেলায়।অন‍্য বেলায় নয়।ভাবী ইচ্ছে করলে বাড়িতে সালিশ ডাকতে পারতেন। প্রতিবেশীরা বলতো,'সালিশ ডাকো বউ।তোমারে না জানাইয়া বিয়া করছে এর জন্য ওর কঠিন শাস্তি হওন দরকার।'

কিন্তু ভাবী মানলেন না। তিনি বললেন,'জোর খাটাইয়া আর যায় হোক ভালোবাসা আদায় হয়না।যে মানুষ আমারে দূরে সড়াইয়া দিবো তারে জোর করে কাছে রাখা যাইবো না।রাখলেও থাকবো না। একদিন দূরেই যাইবো।'

'

হঠাৎ একদিন বাড়িতে আনন্দের সংবাদ এলো। নতুন ভাবীর সন্তান হবে। ভাইয়া এতে কী যে খুশি!খেয়া ভাবীও খুশি।ঘরে সন্তান আসবে।তাকে না হোক ভাইয়াকে তো বাবা বাবা বলে ডাকার কেউ আসবে পৃথিবীতে।খেয়া ভাবী আনন্দে বাড়িতে হুজুর দাওয়াত করলেন। নানান পদের ভালো ভালো খাবার রান্না করে নিজের হাতে তাদের খাওয়ালেন। কিন্তু আনন্দে এইসব খাওয়ানো আরও কাল হলো তার জন্য। নতুন ভাবী ভাইয়ার কানে বললেন,খেয়া ভাবী নাকি তাদের অমঙ্গলের জন্য দোয়া করিয়েছেন। শুনে সাত পাঁচ না ভেবেই ভাইয়া ভাবীর উপর হাত তুললেন। ভাবীকে সে রাতে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন,'আমি তোরে তালাক দিবো।'

ভাবী কেঁদে কেটে ভাইয়ার পা ধরলেন। বললেন,'বিশ্বাস করো,আমি মঙ্গলের জন্য দোয়া করাইছি।'

ভাইয়া বিশ্বাস করলেন না।সে রাতেই,এক তালাক, দুই তালাক,তিন তালাক বলে ভাবীর সাথে তার সমস্ত সম্পর্কের অবসান ঘটালেন ।

'

সে রাতে আমি ছিলাম প্রচন্ড ঘুমে।সেই ঘুম ভাঙিয়ে ভাবী আমার কপালে চুমু খেলেন, তারপর কান্না ভেজা গলায় বললেন,'নয়ন, আমার সব শেষ হয়ে গেল রে! আমি কোনদিন ভাবিনি তোদের ছেড়ে চলে যেতে হবে এভাবে!এই বাড়ি থেকে যে মৃত্যুর আগে বেরিয়ে যাবো তা আমার কল্পনাতেও আসেনি।'

কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না ভাবী।কান্নায় ভেঙে পড়লেন। অনেক্ষণ পর কান্না থামিয়ে ভাবী বললেন,'তোর ভাইয়ার সাথে তো আর এখন আমার কোন সম্পর্ক নাই।সব ভেঙে গেছে। তুই কী এখন একবার আমায় মা বলে ডাকতে পারবি না নয়ন?'

আমার চোখ কেমন ছলছল করে উঠছে হঠাৎ। মুখ ভেঙে কেমন কান্না এসে যাচ্ছে। অনেক অনেক দিন পর আমার মনে হলো মায়ের কথা। স্পষ্ট মনে হলো, আমার আপন মা আমায় মা ডাক শেখাচ্ছেন। বলছেন,'খোকা, বলো তো,মা।'

আমি উচ্চারণ করতাম,'ম ম মা ম্মা।'

সেই দিনের মতো আমি ফের উচ্চারণ করলাম ভাঙা ভাঙা শব্দে‌ ,'ম ম মা ম্মা।'

'

ভাবী চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ভাইয়া আর নতুন ভাবী তাদের মতো করে জীবন যাপন করতে লাগলেন। শুধু উল্টে গেল আমার জীবন।মা বাবার মৃত্যুর এই এতদিন পর আমার মনে হলো অনেক অনেক দিন পর আমি এতিম হয়েছি। মনে হলো এই বাড়িতে এখন আর আমার আপন কেউ নাই। আমি অপেক্ষা করতে থাকি শুধু বড় হওয়ার জন্য। আমার প্রবল বিশ্বাস,আমি একদিন বড় হবো। সেদিন ভাবীকে খুঁজে কোথাও না কোথাও পাবো। তাকে ফিরিয়ে আনবো আমার ঘরে। সেদিন অবশ্য তার আর আমার পরিচয় দেবর-ভাবীর থাকবে না।পরিচয়টা থাকবে মা -ছেলের। সেদিন আর ভাঙা শব্দে নয়, তাকে স্পষ্ট করে ডাকবো 'মা মা মা ' বলে। 


চলবে....


গল্প ভাবী মা 

পর্ব ১

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...