এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

ফেইসবুক মাসুম গাজী

 এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেলো। খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম অভাব। 

স্বর্ণকারের বিধবা স্ত্রী তার বড় ছেলেকে একটা হীরের হার দিয়ে বললো--এটা তোমার কাকার দোকানে নিয়ে যাও সে যেন এটা বেচে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দেয়

ছেলেটা হারটি নিয়ে কাকার কাছে গেল। কাকা হারটা ভালো করে পরীক্ষা করে বললো- বেটা, তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজার খুবই মন্দা, কয়েকদিন পর বিক্রি করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে। কাকা কিছু টাকা ছেলেটিকে দিয়ে বললেন--আপাতত এটা নিয়ে যাও আর কাল থেকে তুমি প্রতিদিন দোকানে আসবে আমি কোন ১দিন ভাল খদ্দোর পেলেই যেন তুমি দৌড়ে হার নিয়ে আসতে পার তাই সারাদিন থাকবে।

পরের দিন থেকে ছেলেটা রোজ দোকানে যেতে লাগলো।সময়ের সাথে সাথে সেখানে সোনা-রুপা-হীরে কাজ শিখতে আরম্ভ করলো।

ভাল শিক্ষার ফলে অল্প দিনেই খুব নামি জহুরত বনে গেল। দূর দূরান্ত থেকে লোক তার কাছে সোনাদানা বানাতে ও পরীক্ষা করাতে আসত। খুবই প্রসংশীত হচ্ছিল তার কাজ।

একদিন ছেলেটির কাকা বললো-- তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজারের অবস্থা বেশ ভালো, তাই সেই হারটা যেন তোমার হাতে দিয়ে দেন। এখন এটা বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।

ছেলেটি ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে হারটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলো যে এটা একটা নকল হীরের হার। তাই সে হারটা আর কাকার কাছে না নিয়ে বাড়িতেই. রেখে দিলো। 

কাকা জিজ্ঞেস করলো-- হারটি এনেছো ?ছেলেটি বললো-- না কাকা পরীক্ষা করে দেখলাম এটা একটা নকল হার।

তখন কাকা বললো- তুমি যেদিন আমার কাছে হারটি প্রথম নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম যে এটা নকল, কিন্তু তখন যদি আমি তোমাকে এই কথাটা বলে দিতাম, তাহলে তোমরা হয়তো ভাবতে যে আজ আমাদের মন্দা সময় বলেই কাকা আমাদের আসল জিনিষকে নকল বলছে। 

আজ যখন এ ব্যাপারে তোমার পুরো জ্ঞান হয়ে গেছে, তখন তুমি নিজেই বলছো এটা নকল হার।

এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছো যা কিছু ভাবছো সবটাই এই হারের মতই নকল, মিথ্যে। 

জ্ঞান ছাড়া কোন জিনিসের বিচার সম্ভব নয়। আর এই ভ্রমের শিকার হয়েই অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। তোমাদের সাথে আমার সেই সম্পর্কটা নষ্ট হোক আমি তা চাইনি।

#সংগৃহিত

ফেসবুকের শিক্ষা

 কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ 👌


১.  মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।


২।  মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।


৩.  মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।


৪.  ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না?  ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।


৫.  আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।


৬.  মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।


৭.  বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।


৮.  মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি।  দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।


৯.  বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।


১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি।  সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!


*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া। 

সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি * 

সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!!!

ফেইসবুক গল্প

মনটা বিষন্ন,ভীষণ বিষন্ন।

ঘটনাটা হলো-

বয়স ২৭, ৮ বছরের বিবাহিত জীবন।বিয়ের পর সাড়ে ছয় বছরের চেষ্টায় প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন।৩৬+ সপ্তাহের গর্ভবতী। বারবার চেয়েছিলেন শুরু থেকেই ডাক্তার দেখাতেন।কিন্তু,শ্বাশুড়ি-ননদ-ননাস-খালাশ্বাশুড়ি মানা করেছেন।এজন্য স্বামীও উনাদের অমতে ডাক্তার দেখান নি।কোনো টেস্টও করাননি।বউ বারবার অনুরোধ করেছে, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছিল,"বুড়া বেডির বাচ্চা হইবো,কত্ত ঢং করে।আমাদের তো তোমার বয়সে ৩-৪ টা বড় বাচ্চা ছিল।আমরা ডাক্তার দেখাইনি।তাতে কি আমাদের বাচ্চা হয়নাই!"শেষপর্যন্ত মেয়ে ঘরেই উনাদের কথামতো চলতে থাকলো।আজ আসলো আমার কাছে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে।সাথে শ্বশুরবাড়ির মুরুব্বীরা। কারন,সবাই জানতে চায় "ছেলে নাকি মেয়ে হবে"?

প্রোব পেটে দিয়েই আঁতকে উঠলাম।বারবার দেখছিলাম  আর রোগীর কাছে হিস্ট্রি নিচ্ছিলাম যে কোনো ডাক্তার দেখিয়েছেন কিনা,এর আগে আল্ট্রা করেছেন কিনা,আয়রন,ক্যালসিয়াম খাচ্ছেন কিনা।

সবগুলো উত্তর আমাকে হতাশ করে দিলো।উত্তর ছিলো " না"।সাথে সাথে ননাস বলে উঠলো,"বুড়াবেডির বাচ্চা হইবো,এমনেই ভালা হইবো। আর আমরা তো খাওয়াই।আলগা ক্যালসিয়াম লাগতো না।"

আমি মোটেও অবাক হয়নি।বাড়ির বউদের প্রায় ৯০% শ্বশুরবাড়ির লোক এলিয়েন ভাবে।তাদের সাথে অন্যরকম ব্যবহার করে।সে নিয়ে আরেকদিন লিখবো।

তো,যা ঘটলো প্রায় নয়মাসের বাচ্চার মাথার হাড় তৈরি হয়নি।শুধু মগজ,চোখ,নাক,মুখ আছে।যেটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলি "#ANENCEPHALY"

তারপর উনাদের সব বুঝিয়ে বললাম।এবং আবারও কনফার্মেশনের জন্য অন্য রেডিওলজিস্টের কাছে রেফার করলাম।মায়ের চোখ-মুখ ভুলার মতো নয়।ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা ততক্ষণে বলা শুরু করেছে,"বুইড়া বয়সে বাইচ্চা হইলে এমনই তো হইবো"

মেয়েটা আমাকে কান্না করে বলে উঠলো, "ম্যাডাম, যে ওষুধ দিবেন অইটাই খাব।আমারে সবাই না করলেও খাব।ম্যাডাম জানেন,আমারে পেটে বাচ্চা আসার পর একদিনও পেট ভইরা কেউ খাইতে দেয় নাই।বাচ্চা নাকি বেশি বড় হইয়া যাইবো।আমার ক্ষুধা লাগলেও আমাকে বলে,পানি খাইতে।" আমি নির্বাক হয়ে বসে রইলাম। যাইহোক,বুঝিয়ে পাঠালাম। কিন্তু সারাটাদিন মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে।এখনো এত মধ্যযুগীয় টর্চার চলে ভেবে খারাপ লাগছে।বাচ্চাটাকে নিয়ে মা-বাবা সহ সবাই অনেক স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু এই বাচ্চা জন্ম নিলে কিছুক্ষণ পরই মারা যাবে।কয়েকমাস আগে ধরা পড়লেও মায়ের জন্য কমব্যথার হতো।এখন তো পুরো ডেলিভারি ব্যথা সহ্য করে জন্ম দিবে।কিন্তু ফলাফল!! 

মেয়েদের বলছি,দয়া করে আপনাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন ননদ,ননাস,মাসি-পিসিশ্বাশুড়ি,পাশের বাসার ভাবী সহ যারা অনুচিত কথা বলে তাদের কথা শুনে পরিবর্তন করবেন না।যদি আপনি মনে করেন যে আপনি আপনার জায়গায় ঠিক আছেন, আপনি সেটাই করবেন।নিজের বাচ্চা,নিজের স্বাস্থ্য সবার আগে।এসব টক্সিক মানুষকে প্রয়োজনে জানাবেন না যে,আপনি গর্ভবতী। এরা জীবন কঠিন করে দেয়।এজন্য আমার বাবা সবসময় বলেন, "মেয়েদের নিজের পায়ের নিচে মাটি শক্ত করে বিয়ে করা উচিত।খুটি শক্ত থাকলে, মেয়েদের জীবনের ভোগান্তি কমে।"

সবাই ভালো থাকুন,সচেতন থাকুন।

ধন্যবাদ।


ডাঃঅনামিকা চ্যাটার্জি

ফেইসবুক থেকে কপি করা গল্প

 রাগ করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়লাম। এতটাই রেগে ছিলাম যে বাবার জুতোটা পড়েই বেরিয়ে এসেছি। বাইক ই যদি কিনে দিতে পারবেনা, তাহলে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবার সখ কেন.? হঠাৎ মনে হল পায়ে খুব লাগছে। জুতোটা খুলে দেখি একটা পিন উঠে আছে। পা দিয়ে একটু রক্তও বেরিয়েছে। তাও চলতে থাকলাম। এবার পাটা ভিজে ভিজে লাগল। দেখি পুরো রাস্তাটায় জল।


পা তুলে দেখি জুতোর নিচটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম একঘন্টা পর বাস। অগত্যা বসে রইলাম। হঠাৎ বাবার মানি ব্যাগটার কথা মনে পড়ল, যেটা বেরোবার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। বাবা এটায় কাউকে হাত দিতে দেয় না। মাকেও না। এখন দেখি কত সাইড করেছে। খুলতেই তিনটে কাগজের টুকরো বেরল। প্রথমটায় লেখা "ল্যাপটপের জন্য চল্লিশ হাজার লোন"। কিন্তু আমার তো ল্যাপটপ আছে, পুরনো বটে। দ্বিতীয়টা একটা ডা: প্রেসক্রিপশন। লেখা "নতুন জুতো ব্যাবহার করবেন"। নতুন জুতো।


মা যখনই বাবাকে জুতো কেনার কথা বলত বাবার উত্তর ছিল "আরে এটা এখনও ছ'মাস চলবে"। তাড়াতাড়ি শেষ কাগজটা খুললাম। "পুরানো স্কুটার বদলে নতুন বাইক নিন" লেখা শোরুমের কাগজ। বাবার স্কুটার!! বুঝতে পেরেই বাড়ির দিকে এক দৌড় লাগালাম। এখন আর জুতোটা পায়ে লাগছে না। বাড়ি গিয়ে দেখলাম বাবা নেই। জানি কোথায়। একদৌড়ে সেই শোরুমটায়। দেখলাম স্কুটার নিয়ে বাবা দাঁড়িয়ে।


আমি ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাঁধটা ভিজিয়ে ফেললাম। বললাম "বাবা আমার বাইক চাইনা। তুমি তোমার নতুন জুতো আগে কেন বাবা। আমি ইঞ্জিনিয়ার হব, তবে তোমার মতো করে।" "মা" হল এমন একটা ব্যাঙ্ক, যেখানে আমরা আমাদের সব রাগ, অভিমান, কষ্ট জমা রাখতে পারি। আর "বাবা" হল এমন একটা ক্রেডিট কার্ড, যেটা দিয়ে আমরা পৃথিবীর সমস্ত সুখ কিনতে পারি।


লিখা: দিব্যেন্দু ব্যানার্জীর ওয়াল থেকে।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

শিক্ষা গুরুর মর্জাদা

 বাদশাহ আলমগীর-

কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।

একদা প্রভাতে গিয়া

দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া

ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে

পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,

শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি

ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।

শিক্ষক মৌলভী

ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।

দিল্লীপতির পুত্রের করে

লইয়াছে পানি চরণের পরে,

স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!

ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।

হঠাৎ কি ভাবি উঠি

কহিলেন, আমি ভয় করি না’ক, যায় যাবে শির টুটি,

শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার

দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,

ভয় করি না’ক, ধারি না’ক ধার, মনে আছে মোর বল,

বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।

যায় যাবে প্রাণ তাহে,

প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।


তার পরদিন প্রাতে

বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।

খাস কামরাতে যবে

শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,

পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?

বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,

নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”

শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,

কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”

বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে

নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,

পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।

নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে

ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”

 

উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে

কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-

”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,

সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”

.

শিক্ষাগুরুর মর্যাদা – কাজী কাদের নেওয়াজ

ফেইসবুকের গল্প

 এভাবে হুঠ হাঠ করে একটা মেয়ের রুমে ঢুকতে তোর লজ্জা করে না?

তোর রুমে ঢুকতে আবার কীসের লজ্জা?আর তুই তো জানিস এই লজ্জা শরম বরাবরই আমার কম।আর যেখানে তুই মানুষটাই আমার সম্পত্তি।সেখানে তো লজ্জা শরম দেখানোর কোনো রিজন'ই নেই।


" কে তোর সম্পত্তি?কী সব আবলতাবল বলছিস?


ইমরান,সিনহার কোমড়ে হাত দিয়ে একটান দিয়ে সিনহাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।


"না জানার ভান করছিস কেনো?তুই জানিস না তুই আমার কী?


" কী করছিস কী ভাইয়া?প্লিজ ছাড়,কেউ এসে যাবে।


সিনহা,ইমরানের কাছ থেকে ছুটার জন্য ছটপট করছে।

(২ পর্ব আজব প্রাণী পেজে পাবেন,, গল্প না পেলে মেসেজ দিলে লিংক পেয়ে যাবেন)


"কেউ আসবে না,আর আসলেও তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।


" তোর না যায় আসতে পারে কিন্তু আমার অনেক কিছু আসে যায় ভাইয়া।প্লিজ ছাড়।


"তোকে মানা করছি না,আমাকে ভাইয়া না ঢাকতে।


" তুই তো আমার ভাইয়াই।তোকে ভাইয়া ডাকবো না তো কী ডাকবো?


"কীসের ভাইয়া আমি?তোর কোন মায়ের পেটের ভাই আমি(সিনহার গাল চেপে ধরে,কথাগুলো রেগে বলল )


" ভাইয়া আমি ব্যাথা পাচ্ছি(চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়)


সিনহার চোখের পানি দেখে,ইমরান সরে আসে।দুই হাত দিয়ে সিনহার চোখের জল মুছে দেয়।


"সরি রে,আমি সরি।আমি তোকে ব্যাথা দিতে চাইনি।মাফ করে দে আমাকে।


ইমরানের এমন আদরমাখা কথা শুনে সিনহা আরো জোরে কেঁদে উঠে।


" কাঁদিস না প্লিজ।


ইমরান,সিনহাকে বুকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে।


"তুই খুব পচাঁ।তুই শুধু আমাকে কষ্ট দিস।(ফুপিয়ে কেঁদে)


সিনহার কথা শুনে ইমরানের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।সিনহাকে বুক থেকে সরিয়ে ইমরান রুম থেকে বের হয়ে যায়।


সিনহা ইমরানের মামাতো বোন।সিনহার বয়স যখন দশ,তখন একটা দূর্ঘটনায় তার বাবা মারা যায়,এর কিছুদিন পর,তার আম্মাও ওপারে চলে যায়।সিনহা তখন পুরোপুরি ভেংগে পড়ছিল,তখন ইমরানের আম্মা, মিসেস জাহান,নিজের ভাইয়ের বোনকে নিজের বাসায় নিয়ে আসে,তখন থেকেই সিনহা এই বাসায় থাকে।


ডিনার টাইম,


সিনহা ডিনার করার জন্য ডাইনিংটেবিলে আসে।ডাইনিং টেবিলে সিনহা সবাইকে দেখতে পায়,শুধু ইমরান ছাড়া।


"ফুফি,ইমরান ভাইয়া কোথায়?ও ডিনার করবে না।


" মহারাজার মতিগতি কিছুই বুঝতেছিনা।দিয়াকে(ইমরানের ছোট বোন) পাঠালাম,বলল নাকি খাবে না।তুই বস,ওর কথা বাদ দে।


"আমি ভাইয়ার জন্য খাবার নিয়ে যাই।


" মনে হয়না গিয়ে লাভ হবে।আচ্ছা নিয়ে দেখ।খায় কিনা?


সিনহা খাবার নিয়ে ইমরানের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করছে,ভিতরে ইমরান কী করছে?


"চোরের মতো উঁকি মারছিস কেনো?

ইমরান দরজার কাছে চলে আসে।


সিনহা,ইমরানকে দেখে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।


" ভাইয়া,তোর খাবার।


"খাবো না,নিয়ে যা।


ইমরান রুমের ভিতর গিয়ে বিছানায় বসে পড়ে।সিনহাও পিছন পিছন এসে ইমরানের সামনে এসে দাঁড়ায়।


" হাতে সাদা ব্যান্ডেজ কেনো?কী হয়েছে হাতে?


"তোকে কেনো বলবো?


" আমাকে কেনো,কাউকেই বলতে পারবি না।হাতে কিছু হলেই তো বলবি,ঢং।


সিনহার কথা শুনে ইমরানের রাগ উঠে যায়।বিছানা থেকে উঠে দেওয়ালে গিয়ে একটা ঘুষি মারে।সাথে সাথে সাদা ব্যান্ডেজের উপর দিয়ে রক্তের লাল রঙের ধারা বইতে লাগল।


"ভাইয়ায়া..


সিনহা এটা দেখে,প্লেট টা টেবিলের উপর রেখে ইমরানের কাছে দৌড় দেয়।দৌড়ে এসে ইমরানের হাত টা ধরে,কেঁদে দেয়।


" ভাইয়া,আমি মজা করছিলাম।তুই এমন করলি কেনো?(কান্না করে)


"ছাড় আমার হাত।


ইমরান,সিনহার কাছ থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়।টেবিলের উপর থেকে খাবারের প্লেট টা নিয়ে সিনহার এক হাতে ধরিয়ে দেয়।তারপর সিনহার বাহু ধরে টেনে,সিনহাকে নিজের রুম থেকে বের করে,দরজা বন্ধ করে দেয়।


সিনহা দরজার বাইরে থেকে আওয়াজ করছে,


"ভাইয়া,তোর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।দরজা খোল।তোর হাতে নতুন করে ব্যান্ডেজ করতে হবে।(কান্না করতে করতে)

ফেইসবুক থেকে কপি করে দিলাম

সূচনা পর্ব ছোট করে দিলাম।আপনাদের সাড়া পেলে নেক্সট বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব,ইনশাআল্লাহ ।♥

ফেইসবুকের গল্প

 সত্য_ঘটনা_অবলম্বনে


আমি প্রথম প্রেগনেন্ট হই বিয়ের আগে,, বৈধ  বাচ্চা যেমন পেটে আসলে প্রতিটা মায়ের জন্য সুখ নিয়ে আসে। ঠিক তেমনি অবৈধ ভাবে বাচ্চা পেটে আসলে  যন্ত্রণা,, লজ্জা আর ভয় নিয়ে আসে। সেই সময়টা আমার মাথা কাজ করছিলো না,, কিভাবে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না,,


যখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হই তখনই প্রেমটা হয়েছিলো,, সবে মাত্র ১৬ তে পা দিয়েছিলাম,, চোখে ছিলো হাজারো স্বপ্ন,, হাজারো অনুভূতি,, বুক ভর্তি আবেগ,, ভুল সঠিক এসব কিছুই বুঝতাম না,, মনের গভীর প্রেম বাসা বেধেছিল,, যা অবুঝ মন থেকে কারো সরানোর ক্ষমতা ছিলো না,, 

প্রথম দেখাতেই আমি তার ওপরে ক্রাশ খেয়েছিলাম,, সেদিন কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস ছিলো তাই বড় আপু আমাকে দিয়ে এসেছিল,, 

মুহুর্তটা এমন ছিলো,,

আমি আর বড় আপু রিক্সায় ছিলাম,, সে তখন বাড়ির গেইটে দাঁড়িয়ে একটা ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলো,, সেদিনই তার সাথে চোখাচোখি হয়,,আর তার চোখ গুলো দেখেই আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম একপ্রকার,,  একটা ছেলের চোখের চাহনি এত মায়াবী হতে পারে সেটা তাকে না দেখলে বুঝতামই না,, এক পলক দেখেই লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলাম,, এরপর থেকে প্রতিদিনই তার সাথে দেখা হত,, সকালে একবার কলেজ যাওয়ার সময়, আর বিকেলে একবার,,

কলেজের পাশেই ছিলো তার বাসা,, এবং তার ব্যাবসা ও সেদিকেই ছিলো,,

 ছুটির পরে বিকেলে তাকে দেখতাম,, চায়ের দোকানে বসে সে আড্ডা দিতো,, সে ও যে আমাকে দেখতো সেটা আমাদের বন্ধু-বান্ধবীরাও বুঝতে পারতো,, এভাবে একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে সে নিজে থেকেই আমার সাথে এসে পরিচিত হয়,, এর ঠিক ২১ দিনের মাথায় প্রেমের প্রস্তাবটা সেই দিয়েছিলো,, আমিও মানা করতে পারিনি,, তাকে যত দেখতাম আর মুগ্ধ হতাম,, আমার প্রতি তার আচরণ খুব আহামরি কিছু ছিলোনা,, আর দশ জন প্রেমিক যেমন হয় তার ঠিক তেমনি ছিল কিন্তু তাই আমার ভালো লাগতো,, একটু বেশিই,, কারণ হয়তো অসম্ভব আবেগ,,

 আস্তে আস্তে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ বাড়লো,, কলেজ গেইট পর্যন্ত যা সীমাবদ্ধ ছিলো,, তা আস্তে আস্তে ক্লাস পালিয়ে পার্ক পর্যন্ত গড়ালো,, বাসায় প্রায় কথায় কথায় মিথ্যা বলা শুরু করে দিলাম,, লুকিয়ে ফোনে কথা বলা বান্ধুবীদের নাম ব্যবহার করে,, এক্সট্রা ক্লাস আছে বলে,, আসল সময়টুকুতেও কোচিং ক্লাস করা বাদ দিয়ে প্রেম করতে ব্যাস্ত হয়ে পরলাম,, দিন যত গরাতে লাগলো তাকে কাছে পাওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা বাড়তে লাগলো,, তার দিক থেকেও একই রকম সাড়া পেলাম,, কিন্তু তার চাহিদা যে অন্য কিছু,,তা বুঝতে সময় লেগে গেলো একটু,, প্রেমের এক বছর পুর্তিতে তার আবদার হলো তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে,, নানা অজুহাত দিয়ে আরও তিন মাস পার করলাম,, নিজের বিবেক আর মন দুটো মিলে একে অপরের সাথে যুদ্ধ করতে শুরু করলো ,,

এই তিনটা মাসে একটা রাত ও ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারিনি,, প্রতিদিন একই কথা,, রাগ করতো আমার সাথে কথায় কথায়,, কেমন যেন চিরচিরা স্বভাবের হয়ে গিয়েছিলো,, তার থেকে কষ্ট আমি নিতে পারছিলাম না,, কারণ আমি তার থেকে ভালোবাসা পাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম,, তার অবহেলা,, রাগ,, আমি নিতেই পারছিলাম না,, আমার ভালোবাসাটাও তার কাছে মিথ্যে হতে শুরু করে দিলো,, কত শত চেষ্টা করতাম তাকে বুঝানোর কিন্তু সে বুঝতেই চাইতো না,, যদি তার সাথে সেসব করি তাহলে সে হয়তো থাকবে না করলে আমাকে রেখে চলে যাবে বুঝতে পারছিলাম,,

আর বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করা কতটা খারাপ তাও জানতাম,, এখন  যে কোনো একটা পথ বেছে নেওয়া লাগবে আমার,,

সেদিন রাতে সে যখন বললো,, আজ শেষবার এর মত সে বলছে,, তখন তার এভাবে আবদার করাতে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি,, 

মনের মধ্যে অনেক জড়তা,, ভয়-ভীতি, তাকে নিজের সাথে রাখার অদম্য ইচ্ছা সব নিয়ে তার কাছে ছুটে গেলাম,, 

সে প্ল্যান করলো  

আমার কলেজের কাছের বান্ধবী একটা হোস্টেলে থাকতো তাকে আমার বাবা মা ও চিনতো,,সেই মেয়ের গ্রামে যাওয়ার কথা বলে যেন ২দিনের জন্য বাসা থেকে বেড় হই তার সাথে,, 

রিলেশনের পর থেকে ছোটো খাটো অনেক মিথ্যাই বাসায় বলতাম,, কিন্তু এই মিথ্যাটা বলতে কেন যেন বিবেকে অনেক বাধা দিচ্ছিল,, আমাকে আমার পরিবারের সবাই খুব বিশ্বাস করতেন,, বাবা একটু অমত করলেও ঠিকি রাজি হয়ে গেলেন প্রানপ্রিয় বান্ধবীর সাথে তার গ্রামে যেতে দিতে,, এদিকে বান্ধবীকে আগেই সব জানিয়ে রেখেছিলাম,, সেও সাহায্য করতে রাজি হয়ে গেলো,, আমরা চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এর বাসিন্দা,, সে আমাকে নিয়ে ঢাকা আসলো,, এই প্রথম বাবা মা থেকে এত দূরে কোথাও এসেছি,, পাশে সে আছে একটা ভরসা আছে তারপরেও একটা ভীতি কাজ করছে,, কারণ আমি যেই কাজের জন্য এখানে এসেছি তা নেহাৎ খারাপ কাজ,, তবুও তার মুখের হাসিটা দেখলে সব ভুলে যাই,, শুধু মাত্র একটা কবুল বলা ছাড়া আর তো কিছু বাদ পরে নি আমাদের সম্পর্কে। ভালো সে যে আমাকে অনেক বাসে তাও বুঝতে পারি আমার প্রতি তার যত্নে। পুরো একটা বছর ধরে আমাকে যেভাবে আগলে রেখেছে এই ছেলেটা তাতে তার ভালোবাসা আলাদা করে প্রমাণ করার লাগবেনা আমার চোখে অন্তত পক্ষে।


 সেদিন আমরা ঢাকা এসে ওর এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম বাসায় কেউই ছিলোনা যদিও,,

আমরা সারাদিন ঘুরাঘুরি করলাম,, তার হাতেহাত রেখে হাটতে একটা শান্তি লাগছিলো,, বুঝতে বাকি রইলো না এই হাত আমি ছেড়ে দিয়ে থাকতে পারবোনা,,

রাতে বাইরে থেকেই খেয়ে আসলাম আমরা,,

এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম,, 

আমি আর ও পাশাপাশি বসে আছি,,

কেমন যেন একটা লজ্জা কাজ করছে,,

আর ভাবছি,,

আজ প্রথম ও আর আমি একসাথে থাকবো, মনে হচ্ছিলো এখন আমরা বিয়ে করে নিলেই তো পারতাম,, ওর হাত ধরে বললাম,,

- চলো না আমরা বিয়ে করে নিই?

- করবো,, আর কিছু দিন পরে। তুমি ইন্টারটা শেষ করো,, আমার ব্যাবসা টা একটু ভালো হলেই তোমার বাসায় প্রস্তাব পাঠাবো,, তোমার বড় আপু এখনো পড়াশোনা করছে,, আমার মনে হয়না তোমাকে তার আগে বিয়ে দিবে। নাহলে আমি এখনই তাই করতাম।

ওর কথার যুক্তি বুঝতে পেরেছিলাম,, সত্যিই তো বিয়ে দিবেনা আমাকে এত আগে,, মা বাবা কে বলতে গেলে হয়তো তার থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দিবে।

রাতের গভীরতা বাড়ছিলো সেই সাথে তার আদরে ডুবে যাচ্ছিলাম,, বিবাহ ছাড়া বাসর হচ্ছিলো আমাদের। বৈধতা ছিলো না,, তবুও তার প্রতিটি স্পর্শ আমাকে মাতাল করে দিচ্ছিলো সে রাতে। হয়তো ভালোবাসা এত ছিলো বলেই নিজেকে বিলিয়ে দিতে গিয়ে আর দ্বিতীয় বার ভাবতে হয়নি আমার।


পরদিন সকালে যখন চোখ খুলে তখন আমি তার বুকে মুখ গুজে শুয়ে ছিলাম,, এত শান্তি লাগছিলো এই বুকে,, তাকিয়ে দেখি সে আমার আগেই উঠে গেছে,, আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো

- ঠিক মত ঘুম হয়েছে ম্যাডামের?

-হুম,, 

আমি লজ্জায় তার দিকে তাকাতেই পারছিলাম না।

সকালে আমার প্রতি যেন তার ভালোবাসা আরও কয়েক গুন বেড়ে গেছে,,

সে আমাকে একটা মেডিসিন দিলো খেতে আমিও খেয়ে নিলাম,,

কিছুক্ষণ পরে আমার কপালে একটা ছোট্ট চুমু দিয়ে বলেছিলো,, আজ আমাদের ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে গেছে,, অনেক ভালোবাসি তোমাকে,, আজীবন পাশে থাকবে??

-হুম থাকবো সবসময়। 

সেদিন আমরা সারাদিন ঘুরে ফিরে বাড়ি চলে আসলাম,,

তারপর থেকে আবার প্রতিদিনের জীবন শুরু হয়ে গেলো,, কিন্তু কিছুদিন ধরে দেখি সে আগের মত আমার জন্য সকাল বিকেলে দেখা করতে ছুটে আসেনা,, কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছে,,

আগের মত খোঁজ নেয় না,,

জিজ্ঞেস করলেই বলে 

"আমাদের ভবিষ্যত ভালো করার জন্য এখন দিন রাত খাটতে হয় আমার। ভালো ভাবে টাকা উপার্জন করতে না পারলে তোমাকে খাওয়াবো কি বিয়ের পরে??"

তার এরূপ ব্যাবহার আমাকে অনেক কষ্ট দিতে শুরু করে,,

কিছুই বলতাম না,,

এভাবে ২ মাস কেটে যায় ,, 

আজ ১৭ দিন সে আমার সাথে না দেখা করেছে না ফোন করেছে,,

আমার শরীর একটু একটু খারাপ লাগতে শুরু করে,, আর মন আরো খারাপ

মাঝে দিয়ে পিরিয়ড ও হলো না,, আমার রক্তশূন্যতার সমস্যা আছে বলে মাঝে মাঝে পিরিয়ড ডেট মিস হতো কিন্তু এবার যখন দুই মাসে একবার ও হলো না তখন আমি ভয় পেয়ে গেলাম,, 

কলেজের সেই বান্ধুবীর সাথে শেয়ার করার পরে ও আমাকে বললো, কিট দিয়ে টেস্ট করে দেখতে,,

করে দেখলাম পজিটিভ এসেছে,, ভয়ে আমি পুরো শেষ,, ভাবলাম এটা ভুল ও হতে পারে তাই আবার করি।

পরপর ৩বার করলাম রেজাল্ট পজিটিভ আসলো,,

এবার আমার বয়ফ্রেন্ড কে কল দিলাম,, 

টানা ২১টা ফোন করার পরেও সে রিসিভ করলো না,,

তাই বাধ্য হয়ে তাকে মেসেজ পাঠালাম,,

- আমি প্রেগন্যান্ট। তুমি কি ফোন টাও রিসিভ করবেনা?

 ১০ মিনিট পরে আবার কল দিলাম দেখি এবার তার মোবাইল বন্ধ।

মনে হতে শুরু করলো সে কি আমাকে আর চায় না?

সেও কি অন্য ছেলেদের মত?

আমি কি তার শুধু শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য একটা পুতুল ছিলাম?

আমার প্রতি কি তার কোনো মায়া কাজ করেনা?

সে কি আমাকে আর ভালোবাসে না?

নাকি ভালোবাসা কোনো দিনই ছিলো না?

আমার যে অনেক ভয় লাগছে আর কষ্ট হচ্ছে,,

আমার সামনে কি কোনো পথ আছে??

যা ধরে আমি এই ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে পারি?

নাকি নেই?

আমার কি উচিত হবে আত্নহত্যা করা?

আমার জন্য এইটাই উচিত হবে নাহলে যে মা বাবা আপু আমার জন্য কেউ মুখ দেখাতে পারবেনা সমাজে৷ 


আমি এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছি। 

হঠাৎ মনে পরবো আমার এই ব্যাপারটা জানাজানি হবে কিছুদিন পরেই তখন মা বাবাকে কিভাবে মুখ দেখাবো? আমার কারণে তারা সমাজে কিভাবে টিকে থাকবে? আপুর কি হবে? এলাকার লোক জন আমাদের কি বলবে? এই বাচ্চাটা এখন কেন পেটে আসলো?

তাকে তো আমি চাইনা,, এ যেন একটা গলার কাটা হয়ে গেছে,, তার প্রতি আমার কোনো অনুভুতি কাজ করছেনা একদম,, মা হলে নাকি মায়া লাগে,, আমার যে অসহ্য লাগছে,, পারছিনা একে আমি মেনে নিতে,,


এসব ভাবতে ভাবতেই আমি মাথা ঘুরে পরে যাই,, অনেক কষ্টে বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে ঘুমিয়ে পরি কান্না করতে করতে।

রাতে ১১টার দিকে সে আমাকে ফোনে একটা মেসেজ পাঠায়,,

-কাল সকালে কলেজের সামনে এসে দেখা করবে,, 

মনের এত বড় বোঝা আর বইতে পারছিনা,, তার মেসেজ পেয়ে অনেক ভালো লাগলো,

সাথে সাথে তাকে কল ব্যাক করলাম,,

সে ফোনটা বন্ধ করে দিলো,, 

ফোনটা বুকে জড়িয়ে ধরে আকাশ পানে তাকিয়ে ভাবছি আমি কি ভুল মানুষকে ভালোবাসলাম?

সে কি আমার জীবনটা শেষ করে দিবে??

আমার ভুলের জন্য কি আমার জীবন দিয়ে দিতেই হবে?

এই সমস্যা থেকে কি আমি মুক্তি পাবো না?

আমার এই ভুলের খেসারত কি আমার মরেই দিতে হবে? নাকি অন্যভাবে?? কি করবো আমি??


সারা রাত কোনো মতে পার হলো,,

সকাল সকাল কলেজ টাইম না হতেই আমি চলে গেলাম,, গিয়ে দেখি সে আসেনি,, এভাবে ১ ঘন্টা,, ২ঘন্টা  ৩ঘন্টা পার হয়ে গেলো,, 

কলের ওপরে কল দিচ্ছি তাকে কিন্তু সে ধরছেনা,,

প্রায় সকাল শেষ হয়ে আসতে চললো,, কিন্তু তার আসার নাম নেই,,

এবার আমি রাস্তায় ধারে বড় বট গাছটার সাথে দাঁড়িয়েই শব্দবিহীন কান্না করতে শুরু করলাম,,

মাথাটা খুব বেশি পরিমাণে ঘুরাতে শুরু করেছে,,

পেছন থেকে কে যেন এসে আমার কাধে হাত রেখেছে কিন্তু ঘুরে দেখার আগেই আমি অচেতন হয়ে পরি,,

ফেইসবুক থেকে কপি করলাম।

অভিমানী ভালোবাসা

 আমার বিবাহিত স্ত্রীর কাছে তার প্রাক্তন প্রেমিক যেদিন পুনরায় ফোন দেয়, সেদিন আমার বাচ্চাটার বয়স ছিল মাত্র দু দিন।

ছোট বাচ্চার যত্ন করতে গিয়ে রাতের ঘুম একেবারেই হারাম হয়ে যায় বাবা মায়ের। উক্ত রাতেও আমরা দুজন জেগে ছিলাম।

বাচ্চার নাম কি রাখবো এটা নিয়ে রিতীমত  ঝগড়া চলছিলো আমাদের দুজনার মাঝে। এ ধরণের ঝগড়ার ভেতরে অন্যরকম এক আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু ঐ আনন্দটুকু মাটি করে দিলো

হুট করে আসা একটা ফোন কল। কিছুক্ষন মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে, আমার সাথে ঝগড়া বন্ধ করে উঠে বারান্দায় চলে গেলো সাবিহা। ফিরলো ঠিক আধাঘন্টা পরে। 

ফিরে এসে আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর চাহনি দিয়ে জানালো, সে তার কন্যা সন্তানের নাম রাখতে চায় সাফা।

 বেশ অবাক হলাম।কিন্তু কথা বাড়ানোর শক্তিটুকু আমার মাঝে ছিলো না৷ আমি জানতাম সাবিহার প্রাক্তনের নাম  ফারহান। 

চোখে মুখে একগাদা অভিমান নিয়ে  বেডের একপাশে শুয়ে পড়লাম। দেয়ালের দিকে ফিরে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম এই একটু পর হয়ত পেছন থেকে সাবিহা আমাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করবে "জান,  তুমি কি আমার সাথে রাগ করেছ?"

তখন আমার অভিযোগের ঝাঁপি খুলে ওকে বলবো "প্রাক্তনের নামের সাথে মিলিয়ে তুমি আমার রাজকন্যার নাম কেন রাখলে? "

আরো দু একটা শক্ত কথা শুনাবো৷ আরো বেশি অভিমান করে উঠে বারান্দায় চলে যাব।আমার রাগ ভাংগাতে আমার পেছন পেছন যাবে সাবিহাও।

শুয়ে শুয়ে কত কিছু ভেবে ফেলছি, কিন্তু সব সময়ের মত সাবিহা আর আমাকে সেদিন জড়িয়ে ধরেনি। জানতে চায়নি আমার অভিমানের কারণ। বন্ধ করা চোখ দিয়ে দু-ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো নিচে। নিজেকে অনেক একা লাগছে। অপেক্ষা করতে করতে কিছুক্ষন পরে নিজেই নিজেকে বুঝ দিলাম, হয়ত মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে  বা ও আমাকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। আমি বেশি রেগে আছি বুঝতে পেরে হয়ত ভয়ে কাছে আসতে পারছে না। আমার এত বেশি একা লাগছিলো যে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি নিজেই ওকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে অনুনয়ের সুরে বলবো, তুমি কিভাবে পারলে তোমার প্রাক্তনের সাথে মিলিয়ে আমার রাজকন্যার নাম রাখার কথা বলতে? আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি? বলো আরো কত ভালোবাসা লাগবে তোমার! এটা বলে ওকে অনেক অনেক আদর দিব। আমার ভালোবাসার পুরুটুকু উজাড় করে দিয়ে ওকে বলবো তুমি শুধু আমার। 

মনে মনে এসব প্লান করে আমি উলটো দিক থেকে ঘুরে ওর দিকে ফিরি। দেখতে পাই সাবিহা কার সাথে যেন  চ্যাটিং এ ব্যস্ত। টপাটপ কী-বোর্ড প্রেস করে মেসেজ লিখে যাচ্ছে৷ আমি যে ওর দিকে ঘুরলাম এই মাত্র, সেটাও ও খেয়াল করেনি।  আমার মনের ভিতরে ওর কার্যক্রম  নিয়ে যে  অসম্ভব তোলপাড় হচ্ছে তাতে ওর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই৷

 দুমড়ে মুচড়ে গোল হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা ফেলনা কাগজের মতই অবহেলিত  মনে হচ্ছিল নিজেকে।দীর্ঘ এক বছর অসীম ভালোবাসা ছাড়া সাবিহার কাছ থেকে আমি এমন অদ্ভুত আচরণ পাইনি। 

বুকভরা চাপা দুঃখ নিয়ে নিরবে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে বালিশ ভেজাই৷ কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি নিজের ই খেয়াল নেই। 

যখন ঘুম ভাংগে, টের পাই সাবিহার হাত আমার কোমর জড়িয়ে আছে। সকালের মিষ্টি রোদ এসে আলতো করে ছুঁয়ে দিয়েছে সাবিহার গাল। বড্ড নিষ্পাপ একটা ফুলের মত লাগছে ওকে। ওর ফর্সা গালটা অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে মুহুর্তেই আমার কালকের সব রাগ অভিমান নিঃশ্বেস করে দিলো। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে তুমুল চুমু খেতে শুরু করলাম। কপাল ঠোট নাক গাল  কিংবা গলা, কোথাও বাদ রাখলাম না৷ ও ঘুমের মাঝেই আমার মাথা শক্ত করে ওর বুকের মাঝে চেপে ধরলো। স্পষ্ট ওর বুকের হার্ট বিট শুনতে পাচ্ছি। ওর সরু নরম হাতের বাঁধনে আমি স্বর্গীয় ভালোবাসায় ডুবে রইলাম কিছুক্ষন।

পাশে আমার রাজকন্যাটাও ঘুমাচ্ছে। পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে এখন। ভালোবাসা আসোলেই যত বড় কষ্ট রাগ অভিমান বা ক্ষোভ থাকুক না কেন মুহুর্তের মাঝেই সব ভুলিয়ে দিতে সক্ষম৷ কাল রাতের সবকিছু আমি বেমালুম ভুলে গেছি। আর মনেও করতে চাইনা। 

সাবিহার ঠোঁটে লম্বা একটা চুমু খেয়ে উঠে পরলাম। ও শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় সকালের নাস্তাটা আমাকেই বানাতে হয়। 

ওঠার সময়ে হঠাৎ সাবিহার ফোনের দিকে আমার চোখ গেলো। 

কি মনে করে যেন মোবাইল টা হাতে নিলাম। 

প্যাটার্ন জানা থাকায় লক খুলে ওর ফোন ঘাটতে শুরু করি। 

একটা সিম থেকে আসা আনরিড মেসেজ চোখে পড়লো। নম্বরটা F লিখে সেভ করা।

মেসেজটা ওপেন করতেই চোখ কপালে উঠলো আমার৷ শুধুমাত্র একটা মেসেজ ই এসেছে ওদিক থেকে, সেখানে লেখা ছিলো " ummmmaaaahhhh" বাকি সব মেসেজগুলো সাবিহা রাতেই ডিলেট দিয়ে রেখেছে।

হয়ত সাবিহা গুড নাইট লিখে ফোন রেখে দেয়ার পরে ঐ প্রান্ত থেকে এমন একটা মেসেজ সেন্ড করেছে ওর প্রাক্তন।

সাবিহার দিকে তাকালাম। ও আগের মতই ঘুমাচ্ছে। অপরূপ লাগছে ওকে। কিন্তু একটু আগে ওকে দেখে ঠিক যতটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো আমার মধ্যে,  তার থেকেও বেশি ঘৃণা জেগে উঠছে৷ ইচ্ছে করছে গলা টিপে মেরে ফেলি। ও পুরোপুরিভাবে শুধু আমার। আমার নয় তো আর কারোই হতে পারবে না৷ একটা ধারালো ব্লেড এনে ওর গালে অনেকগুলো রেখা টেনে দিতে ইচ্ছে করছে।  যাতে ওর সব সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়, সবার কাছে ওর গ্রহনযোগ্যতা হারিয়ে যায়। তখন আমি ছাড়া ওর আর দ্বিতীয় কোন পথ থাকবেনা।

অনেক কিছু উল্টাপাল্টা ভেবে ফেললাম। পর মুহুর্তেই আবার নিজেকে শান্ত করে ফেলি। একটা বিষয় ছোটবেলা থেকে আমার ভেতরে পরিলক্ষিত।  তা হলো কেউ আমাকে কখনো রাগতে দেখেনি৷ আমার যত রাগ সব নিজের ভেতরে রেখে কন্ট্রোল করেছি, বাইরে হাসিমুখে থেকেছি।

 কিন্তু এবার মনে হয়না আর নিজেকে শান্ত রাখা সম্ভব হবে। 

তাও যতটা পারা যায় নিজেকে নিজে বুঝাই৷ 

অনেক ভেবে সিদ্ধান্তে আসি, 

আমি সাবিহাকে কিছুই বলব না৷ ও ওর প্রাক্তন এর সাথে কথা চালিয়ে যাক। দেখি কথা বলা থেকে শুরু হয়ে দেখা সাক্ষাৎ সহ আরো কতদূর এ পানি গড়ায়৷ এমন একটা ভান করে থাকবো, যেন আমি কিছুই বুঝিনা। 

বাসায় নাস্তা বানিয়ে রেখে এসে অফিসের জন্য বের হলাম।

এই সকালে অফিস টাইমে রিকশা পাওয়া ভার। যেখানে অফিস সেখানে বাস ও যায়না। 

হাঁটতেও ভাল লাগছেনা। মন মেজাজ বিগড়ে আছে। দু একটা রিকশা খালি যাচ্ছে, তবে চালকদের দেখে মনে হচ্ছে এরা রিকশা না চালিয়ে মহাকাশযান চালাচ্ছে,  "মামা যাবেন?" বলে ডাক দেয়ার আগেই সামনে থেকে রিকশা নিয়ে চলে যাচ্ছে। একেকজন যেন নাসার অফিসের কর্মকর্তা, তাদের গিয়ে জরুরি মিটিং এ এটেন্ড করতে হবে নাইলে দুনিয়া অচল হয়ে যাবে। 

রিকশাওয়ালার ফোরটিন জেনারেশন উদ্ধার করে গালি ঝাড়লাম কিছুক্ষন।

এর মাঝে বৃদ্ধ এক লোক রিকশা নিয়ে আসলো আমার সামনে। বললো স্যার চলেন।

আমি একটা ছোট খাট লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম রিকশায়। ভাড়া কত, কোথায় যাব এসব আলাপ পরে করলেও হবে।

 আগে উঠে নেই৷ 

ওঠা মাত্রই রিকশা চলতে শুরু করলো।আংকেল জিজ্ঞেস করলো কই যাবেন? বললাম ধানমন্ডি ১৫। 

উনি রিকশা এনে একটা চায়ের দোকানের সামনে থামালো। 

রিকশা থেকে নেমে একটা সিগারেট ধরালো, দুই কাপ চা নিল। এক কাপ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, বাবা চা খাও। একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। উনি মুখ থেকে সিগারেটের ধোঁয়া ফুস করে বের করে দিয়ে বললেন, দেখে মনে হইতাছে আমার সামনে কোন লাশ বইয়া রইছে। তোমারে অনেক চিন্তিত দেখাইতাছে। তুমি বাসায় চইলা যাও। মাথায় টেনশন নিয়া রাস্তাঘাটে চলা ঠিক না। 

তুমি ধানমন্ডি ১৫ থেকেই তো রিকশায় উঠলা। কই যাইবা হেইডাও ঠিকমতো কইতে পারোনাই৷ রাস্তাঘাটে চলবা কিভাবে?

তার কথা শুনে লজ্জা পেলাম, দুনিয়ার সব রিকশাওয়ালা এক হয়না। একটু আগে যে সবাইকে একসাথে গালি দিলাম সে গালি আমি আবার ফিরিয়ে নিয়েছি।গালি ফিরিয়ে নিলে কি হয়? নিজের গায়ে এসে পড়ে? এটা নিয়া মহা চিন্তায় পরে গেলাম।

 ওনাকে বললাম, মামা সামনে দুই মোড় ঘুরলেই " সীমান্ত স্কয়ার।" ওখানে আমাকে নামিয়ে দিন। 

চা শেষ করে উনি আমাকে নিয়ে সীমান্তের সামনে নামিয়ে দিলেন। চেহারা থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ মুছতে একটা সার্জিকাল মাস্ক পরে নিলাম। 

.

.

.

অফিসে আমার সামনের ডেস্কে যে তরুণী  মেয়েটি বসে, সে আজ কলাপাতা রঙ এর একটা শাড়ি পরে এসেছে। প্রায় ছ'মাস এখানে চাকরি করেছি, ওর দিকে কখনো তেমন ভাবে তাকাইনি৷ তবে আজ আমার চোখে ওকে কেন যেন বেশ সুন্দর লাগছে।

শুধুমাত্র সুন্দর লাগছে বলেই যে ওর দিকে আমি বেশ কিছুক্ষন ধরে তাকিয়ে আছি, তেমনটা নয়৷ ওর চেহারায় লাল একটা থাপ্পড়ের দাগ স্পষ্ট। 

ঠোটের কোনায় ও ফাঁটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু ওর মনে একদম ফুরফুরে প্রফুল্লতা বিরাজমান। কথাবার্তায় কোন জড়তা নেই চেহারায়  চিন্তার ছাপ নেই।

আড়চোখে ওকে দেখছিলাম আমি।

 মাঝে চেয়ার টেনে একবার উঠে ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় স্পষ্ট খেয়াল করলাম ও পা টেনে টেনে  হাঁটছে। মনে হচ্ছে পায়ের উপরিভাগের কোন একটা অংশে ব্যাথা পেয়েছে অনেক। 

গত ছ' মাসে ওর দিকে তেমন ভাল করে খেয়াল করিনি৷ হুট করেই ওকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি এ ব্যপারটা মেয়েটি কোনভাবেই  টের পায়নি। 

অফিসে ঢোকার পরে কেন যেন আমার মেজাজ খিটখিটে হয়ে আছে। আজ অফিসের কাজে একটু এদিক সেদিক হলেই সবার সাথে গলা উচু করে ধমক দিয়ে কথা বলছি।

এমনিতে সাধারণ দিনে কাজ-কর্ম করার সময়ে এ রুমটায় চাপা স্বরে কথাবার্তা বলার আওয়াজ শোনা যায়। কিন্তু আজ আমার ধমকা ধমকি, র‍্যুড বিহেভিয়ারের কারণে চারদিকে পিন পতন নিরবতা বিরাজ করছে। ঠান্ডা একটা মানুষ যখন  রেগে যায় তখন চারদিকের সবাই কেমন অদ্ভুত ভাবে বদলে যায়। হাহাহা।

একটু পর অফিসের বস আমাকে কল দিয়ে ডাকলেন। এই বস লোকটাকে দেখলে আমার খাদক কত প্রকার কি কি তা মনে পরে যায়।মনে হয় আমার চিল্লাচিল্লিতে অতিষ্ঠ হয়ে কোন মাইনর পানিশমেন্ট দেয়ার জন্য ডাকলেন।

ওনাকে দেখলে আমার বিরক্ত লাগে।

 হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে চেয়ারে বসলে শুধু পেটটাই দেখা যায়। টাক মাথাটা পেটের আড়ালে পরে থাকে। এই ব্যাটা রোমান্স করে কিভাবে সেটা নিয়ে আমি মাঝে মাঝে হিসেব নিকেশ করি। ফলাফল পাই মিশন - ইম্পসিবল।  এজন্যই হয়ত এর বাচ্চাকাচ্চা হয়নি এখনো। 

 তার কামরায় গিয়ে বসতেই আমাকে বললো, 

আ্যই একটু এদিকে আসো,  আমার হাতের কাছে আসো।আমি উঠে  তার কাছে যাওয়ার পর  সে আমার পেটে হাত চাপড়ে দিয়ে বললেন সাবাশ, অফিসটা এভাবেই নিরিবিলি রাখবা সব সময়।দরকার হলে সবাইকে আরো বেশি বকা দিবা। গুড জব গুড জব। যাও গিয়ে বসো।

ওনার সামনের চেয়ারে এসে বসার পরে নিজেই আবার বললো,

তোমার পেটে হাত দিয়েছি তাই কিছু মনে করোনা৷ পিঠে চাপড় দিতে গেলে তো আমাকে চেয়ার থেকে উঠতে হতো। হেহেহে।

- আলসেমির একটা সীমা থাকে।

আমার মনে হচ্ছে এই লোক আলসেমি করার জন্যই বেতন পায়। উপর থেকে বলা আছে যত বেশি আলসেমি করবেন তত বেশি বেতন পাবেন। আর আমরা সারাদিন খাটাখাটুনি করে এর অর্ধেক বেতন ও পাইনা। 

এই মোটা টাকলা লোকের নাম  রামিম হয় কিভাবে তা আমি ভেবে পাইনা। এই নাম তো ওনাকে স্যুট করেনা। ওনার নাম থাকবে মোসাদ্দেক বা বাবলু। মনে মনে ভোটকা মোসাদ্দেক বলে গালি দিলে একটা অন্যরকম শান্তি পাওয়া যেত। 

ওনার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে কাজে মন দেই আমি। 

কাজের ফাঁকেই সাবিহাকে দুবার কল করেছিলাম, দুবার ই ফোন ওয়েটিং এ পেয়েছি।

.

.

বাসায় ফেরার পরে দেখলাম স্ত্রী মফস্বল থেকে তার ছোট ফুফাত বোনকে বাসায় নিয়ে এসেছে,আমার মেয়ের দেখাশোনা করার তাগিদে। ফোন ওয়েটিং এ পাওয়া নিয়ে আমার স্ত্রীকে কোন প্রশ্ন করলাম না। আমার মনে কষ্ট পাওয়া থেকেও আস্তে আস্তে দানা বেঁধেছে কৌতূহল।  একটা মানুষ পরিপূর্ণ ভালোবাসা পাওয়ার পরেও, কোনো ধরণের অভাবে না ভোগার পরেও কোন সুখের জন্য সে অন্য নীড়ে ডানা মেলে এ প্রশ্নের উত্তর জানাটা আমার জন্য খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। 

বাসার নতুন মেম্বারের নাম মনিকা। সারাদিন ফেসবুক ব্রাউজিং আর ফোনে কথা বলে সময় কাটিয়ে দেয়৷ ওর থাকার জায়গা হয়েছে আমাদের গেস্টরুমে।একটু বেশি কথা বলার অভ্যেস, তবে কাজ কর্মে পটু। আমার মেয়েটার দেখভাল করায় কোন কমতি রাখেনা সে। বরং সাবিহা মনিকার সহযোগিতার জন্য বাড়তি সময় পাচ্ছে তার প্রাক্তনের সাথে কথা বলার।

সবকিছু আমার চোখের সামনে ঘটতে দেখলেও আমি সাবিহার সাথে এমন ভাবে মিশছি, যাতে ও কিছু বুঝতে না পারে৷ হুটহাট জড়িয়ে ধরা,চুমু খাওয়া,অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময়ে ওর জন্য হাতে করে চকলেট নিয়ে আসা, কিংবা ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে ভালোবাসি বলা। সবকিছুই আগের মতই আছে। শুধু মনটা আমার বিষিয়ে আছে ওর প্রতি। প্রচন্ড ঘৃণা নিয়ে কাউকে ভালোবাসার অভিনয় করা খুব কঠিন। আমি বুঝতে পারছি ওর উপর থেকে আমার ভালোবাসা উঠে গিয়েছে তবুও আমি শেষ দেখতে চাই।

এদিকে  ও নিজেও আগের মত আমাকে রিসপন্স করছে। আমি ভালোবাসি বললে ও নিজেও পরম মমতায় চুমু খেয়ে আমাকে ভালোবাসি বলে।মাঝে মাঝে পেছন থেকে এসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷ কিন্তু আমার অনুপস্থিতিতে সে আবার তার প্রাক্তন এর সাথে যোগাযোগ করে। তাদের কথাবার্তা চালিয়ে যায়। মন কে বুঝ দিলাম,

ও হয়ত আমার উপস্থিতির অভাবে এমনটা করছে।আমি সারাক্ষন ওর কাছে উপস্থিত থাকলে ও হয়ত এমনটা করতো না। এটা ভেবে

অফিস থেকে সাতদিন ছুটি নিলাম। 

সারাক্ষন ওর পাশে পাশে থাকি। 

ফোন ধরার মত সময় খুব কম পায়। তবুও খেয়াল করতাম ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে ও পাচ সাত মিনিট ফোন নিয়ে বাথরুমেই কাটিয়ে দিত।

ফোন নিয়েই গোসলে যেত। 

প্রথম দু'দিন প্রফুল্ল থাকলেও তৃতীয় দিন থেকে আমার উপর ওর বিরক্তিভাজন দৃষ্টি ফুটে উঠতে দেখি।

মনের ভিতর সাবিহার কাজকর্ম নিয়ে হাজারো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব খেলা করছে।একটা বাচ্চার ভবিষ্যৎ ও ওর সাথে জড়ানো।

বিষণ্ণ মন নিয়ে গেস্ট রুমের কম্পিউটারে গিয়ে বসি গান শোনার জন্য। 

পিসি অন করতেই দেখতে পাই পিসিতে ভিপিএন ইন্সটল করা। অথচ  আগে কখনোই এটায় ভিপিএন ইন্সটল করা হয়নি।

মনে কিঞ্চিৎ সন্দেহ নিয়ে ব্রাউজিং স্টোরিতে ঢুকি।

যা দেখি তাতে আমার চোখ চড়কগাছ হয়ে যায়৷ 

মনে শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরছিলো.. কাজটা কার, আমার স্ত্রী সাবিহার নাকি তার বোন মণিকার!!

চলবে......


আনটোল্ড_ডিজায়ার

পর্ব_১ 

ফেইসবুক থেকে কপি করলাম,,,,,

চলবে......

ফেইসবুকের থেকে নেওয়া গল্প

 টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন,


__জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে? 

"মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল"

__হ্যাঁ স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলে

আছে।

.

টিচার চট করে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন, "আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো। এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন,

.

__মা আজকে তুমিই টিচার। এই নাও চক, ডাস্টার।

যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো। মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখলো। টিচার বললেন,

.

এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা এদের পরিচয় লেখলো।

.

সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার এবার বললেন,

.

–লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও। মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো।


টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, আরো তিন জনের নাম মুছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে। খুব মনযোগ

দিয়ে দেখছে মেয়েটার সাইকোলজি কিভাবে কাজ

করছে। মেয়েটার হাত কাঁপছে।

.

সে ধীরে ধীরে তার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছলো।

এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রিতিমত

কাঁদছে।

.

যে মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো, সেই মজা আর

নেই। ক্লাশের অন্যদের মাঝেও টানটান উত্তেজন।

লিষ্টে আর বাকী আছে দুইজন। মেয়েটার হাজবেন্ড আর

সন্তান। টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছো।

কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারো নাম মুছতে সে

আর পারছেনা। টিচার বললেন 

.

–মা গো, এইটা একটা খেলা।

সাইকোলজিক্যাল খেলা। জাষ্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছে দিতে

বলেছি, মেরে ফেলতে তো বলিনি!!!

.

মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে ছেলের নামটা মুছে দিলো।

টিচার এবার মেয়েটার কাছে গেলেন, পকেট থেকে একটা

গিফ্ট বের করে বললেন– তোমার মনের উপর দিয়ে যে

ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত। আর এই গিফ্ট বক্সে

দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য।

.

এবার বলো, কেন তুমি অন্য নামগুলো মুছলে। মেয়েটা

বলল- প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম।

.

কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট ফ্রেন্ড আর পরিবারের সবাই

রইলো। পরে যখন আরো তিন জনের নাম মুছতে

বললেন, তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড আর বাবা মায়ের নাম মুছে

দিলাম। ভাবলাম, বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না। আর বেষ্ট

ফ্রেন্ড না থাকলে কি হয়েছে?

.

আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু

সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে

বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।

.

পরে ভেবে দেখলাম, ছেলেতো বড় হয়ে একদিন

আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু

ছেলের বাবাতো কোন দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।

এটাই একটা মেয়ের তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা।


কালেক্টেড

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

ঢাকা জেলার উপজেলা সমূহ

 ঢাকা জেলার উপজেলা সমূহ,,,,,,, 

১.ধামরায়,,,,,,,,

২.দোহার,,,,,,,,

৩.কেরানিগঞ্জ,,,,,,,

৪.সাভার,,,,,,,,

৫.নবাবগঞ্জ,,,,,,,,,

আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন,,,,৷৷৷ 

সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২

মোবাইলের দরকারী কোড সমূহ

GrGrameenphone 


>টাকা দেখা *566#


> নিজের নম্বর চেক *2#


> প্যাকেজ  দেখা *111*7*2#


> মিনিট দেখা*566*24#  

অথবা *566*20# 

অথবা *121*1*2# 

অথবা*1000*2#


> MMS   *566*14# 


অথবা*121*1*2#




আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

গাজীপুর জেলার উপজেলা সমূহ

গাজীপুর জেলার উপজেলা সমূহ,,,,, 

০১,গাজীপুর সদর উপজেলা,,,,,,,,,, 

০২, · কালিয়াকৈর উপজেলা,,,,,,,,,,, 

০৩, · কালীগঞ্জ উপজেলা,,,,,,,,,,,

০৪,· কাপাসিয়াউপজেলা,,,,,,,,

০৫, · শ্রীপুর উপজেলা,,,,,,,,,,,,,,,

আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সমূহ

 খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সমূহ

০১. সদর উপজেলা,,,,,

০২. দীঘিনালা উপজেলা,,৷  

০৩. মহালছড়ি উপজেলা,,,,

০৪. পানছড়ি উপজেলা,,,,,

০৫. মাটিরাঙ্গা উপজেলা,,,,

০৬. মানিকছড়ি উপজেলা,,,,

০৭. লক্ষীছড়ি উপজেলা৷,,, 

০৮. রামগড় উপজেলা,,,,,

০৯. গু্ইমারা উপজেলা,,,,,,

আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

সিরাজগন্জ জেলার উপজেলা সমূহ

 সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলাসমূহঃ

১,বেলকুচি উপজেলা,,,,,,

২,কামারখন্দ উপজেলা,,,,,,

৩,চৌহালি উপজেলা,,,,,,,,,

৪,কাজীপুর উপজেলা,,,,,,,,

৫,রায়গঞ্জ উপজেলা,,,,,,,,,,

৬,শাহজাদপুর উপজেলা,,,,,,,,,

৭,সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা,,,,,,,

৮,তাড়াশ উপজেলা,,,,,,,

৯,উল্লাপাড়া উপজেলা,,,,,,,,,



আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

লক্ষীপুর জেলার উপজেলা সমূহ (চট্টগ্রাম)

 লক্ষীপুর জেলার উপজেলা সমূহ,,,, 

১,লক্ষ্মীপুর সদর,,,,,,,

২, রায়পুর,,,,,,,,,,

৩, রামগতি,,,,,,,,

৪, রামগঞ্জ,,,,,,,,,,

৫, কমলনগর,,,,,,,,

আশাকরি আপনি উপকৃত হবেন,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...