হাদিসে অনেক ইস্তেগফার আছে তার মধ্য আস্তাগফিরুল্লাহ এতটুকু বলা সংক্ষিপ্ত।এতটুকু বললেও হবে।
👉নিচে বিস্তারিত পড়ুন
⬛সহীহ হাদিসের আলোকে" ইস্তেগফার" করার নিয়মঃ
👉(1) ইস্তেগফার দুআঃ
ﺃﺳﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ
উচ্চারণঃ
আস্তাগফিরুল্লাহ
অর্থঃ ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ"
আস্তাগফিরুল্লাহ,
আস্তাগফিরুল্লাহ,
ফরজ নামাজের সালাম পিরানোর পরে এভাবে তিনবার বলতেন। [মুসনাদে আহমাদ : ২২৪০৮]
👉(2)সহীহ হাদিসের আলোকে আরেকটি গুরুত্ব ইস্তেগফারঃ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ
আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়ুম ওয়া আতূবু ইলাহি
।[[অবশ্যই আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে]]
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্তদাস বিলাল ইবনু ইয়াসার ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার আব্বাকে আমার দাদার সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি দু‘আ পাঠ করবে : “আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু ইলাইহি” সে জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করলেও তাকে ক্ষমা করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
[[[দলিলঃআবু দাউদ শরীফঃ১৫১৭]]
👉(3)সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইস্তিগফার হলো ‘সাইয়িদুল
اَللَّهُمَّ أَنْت
َ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আংতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আংতা খলাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্ব‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিং শার্রি মা ছনা‘তু। আবূউলাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আংতা।[[অবশ্যই আরবি দেখে শুদ্ধভাবে পড়তে হবে]]
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দুয়া পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতি হবে’।
[সহিহ বুখারি : ৬৩০৬
আল্লাহ তাআলা যেন সকল মুমিন ভাই বোনদেরকে আমল করার তওফীক দান করেন।আমিন।
কপি
পেস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন