মোবাইল নেটওয়ার্ক জেনারেশন (২জি থেকে ৫জি)
🟢 ২জি (2G)
পরিচিতি: ২জি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর ভিত্তিক দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। analogue সিগন্যালের পরিবর্তে এটি ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহার করে। প্রথম বাণিজ্যিক ২জি সেবা চালু হয় ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের Radiolinja-এর মাধ্যমে।
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য: ভয়েস কল ও SMS-সহ সীমিত মাত্রার ডেটা সেবা (যেমন ই-মেইল, ব্রাউজিং) চালানো যায়। পরবর্তীতে GPRS (২.৫জি) এবং EDGE (২.৭৫জি) দ্বারা ডেটা স্পিড বৃদ্ধি পায় (নিয়ত ২জি-র সর্বোচ্চ গতি ৩৮৪ কিবি/সে পর্যন্ত)।
ব্যবহার: মূলত ভয়েস ফোন কল ও টেক্সট ম্যাসেজের জন্য ব্যবহৃত, নিরাপত্তার জন্য এনক্রিপশন, স্পেক্ট্রামের আরও কার্যকর ব্যবহার সুবিধা দেয়।
বর্তমানে অবস্থা: বিশ্বজুড়ে ১ম জেনারেশন (১জি) বন্ধ করে ২জি চালু হয়। যদিও এখন অনেক দেশে নতুন নেটওয়ার্ক এসেছে, ২জি এখনও অনেক জায়গায় ফিচার ফোন এবং IoT ডিভাইসে ব্যাকআপ হিসেবে চালু আছে।
বাংলাদেশে: বাংলাদেশের মোবাইল যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে, যখন গ্রামীনফোন ও রবি GSM (২জি) সেবা চালু করে। এতে ভয়েস কল ও SMS ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। গ্রামীনফোন বাংলাদেশে প্রথম ২জি (GSM) চালু করার কোম্পানি।
২.৫জি (2.5G) – GPRS
পরিচিতি: ২.৫জি একটি মধ্যবর্তী জেনারেশন, যেখানে ২জির নেটওয়ার্কে প্যাকেট-ভিত্তিক ডেটা সেবা যোগ করা হয়। সাধারণত GPRS নামে পরিচিত।
প্রবর্তন: এটি মূলত ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে চালু হয়। ২.৫জি-তে ডাটা প্যাকেট-ভিত্তিতে ট্রান্সমিট হয়, ফলে সর্বদা অন সংযোগ (always-on) ইন্টারনেট সম্ভব হয়।
গতি: তাত্ত্বিক সর্বোচ্চ ~৪০ কিলোবিট/সেকেন্ড (৪ kB/s)।
ব্যবহার: মোবাইল ই-মেইল, সাধারণ ওয়েব ব্রাউজিং ইত্যাদি চালু করতে সহায়তা করে। ২জি তুলনায় গতি অনেক বেড়ে যায়, তবে আধুনিক মানের ব্রডব্যান্ড নয়।
বর্তমানে অবস্থা: প্রাথমিক ২জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ২.৫জি-ও ব্যবহার করা হয়। অনেক উন্নত দেশে এখন ২.৫জি-ও ধীরে ধীরে বাদ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে এখনও বিদ্যমান।
বাংলাদেশে: রবি (একটেল) বাংলাদেশের প্রথম অপারেটর যারা দেশেই GPRS (২.৫জি) সেবা চালু করে। গ্রামীনফোন ও অন্যান্য অপারেটরও পরবর্তীতে ২.৫জি সেবা দিয়েছে।
২.৭৫জি (2.75G) – EDGE
পরিচিতি: ২.৭৫জি হল ২.৫জির আরও উন্নত ভার্সন, যাকে EDGE (Enhanced Data rates for GSM Evolution) বা EGPRS বলে। এতে ৮PSK মডুলেশন ব্যবহার করে ডেটা ক্যাপাসিটি অনেক বেড়ে যায়।
প্রবর্তন: প্রথম deploy হয় ২০০৩ সালে (AT&T, USA)।
গতি: তাত্ত্বিক সর্বোচ্চ ~৩৮৪ কিলোবিট/সেকেন্ড (৪৮ কিলোবাইট/সে)।
ব্যবহার: মূলত ২জির ডেটা গতি দ্বিগুণ করার জন্য এবং ব্রডব্যান্ডের পূর্বসূরির মতো সেবা প্রদানের জন্য। যদিও এখনকার 3G/4G-এর তুলনায় অনেক ধীর, তখনকার দিনে মোবাইল ব্রাউজিং ও ই-মেইল ইত্যাদি চালানোর জন্য কাজে লাগত।
বর্তমানে অবস্থা: উন্নত দেশে 3G-এর আগমনের পর EDGE সেবা কমে এসেছে; তবে অনেক দেশে এখনও 2G/3G নেটওয়ার্কে ব্যাকআপ হিসেবে চালু।
বাংলাদেশে: বাংলাদেশে শুরু থেকেই রবি ও গ্রামীনফোনের নেটওয়ার্কে EDGE সেবা চালু আছে। (উল্লেখযোগ্য যে, রবি তাদের নেটওয়ার্কে ২.৭৫জি পর্যন্ত উন্নয়ন করেছিলো আর টেলিটক 2.9G পর্যন্ত চালু করেছিলো যা অনেকের অজানা)
২.৮৭৫জি (Evolved EDGE / EDGE Evolution) — এটা EDGE-এর উন্নত সংস্করণ, সাধারণত অনানুষ্ঠানিকভাবে 2.875G বলা হয়। Evolved EDGE ল্যাটেন্সি কমায় (Transmission Time Interval 20 ms → 10 ms), ডুয়াল-ক্যারিয়ার ও উচ্চ-অর্ডার মডুলেশন (16QAM/32QAM) এবং টার্বো-কোড ব্যবহার করে; তাত্ত্বিক শীর্ষগতিই ~1 Mbit/s পর্যন্ত উঠতে পারে (বাস্তবে সাধারণত ~৬০০ kbps পর্যন্ত দেখা গেছে)। এটি মূলত 2G/EDGE নেটওয়ার্কগুলোর late-stage আপগ্রেড ছিল, কিন্তু 3G/4G দ্রুত প্রচলিত হওয়ায় ব্যাপকভাবে ডিপ্লয় হয়নি। একমাত্র টেলিটক এটা ডিপ্লয় করেছিলো৷
🟢 ৩.৫জি (3.5G) – HSPA/HSPA+
পরিচিতি: ৩জি (টিডিএমএ/উএমটিএস) পরবর্তী উন্নত পর্যায়ের ব্যবস্থা, সাধারণত HSPA (High Speed Packet Access) নামে পরিচিত। ৩.৫জি বলতে HSDPA/HSPA+ প্রভৃতি নিয়ে বোঝানো হয়।
প্রবর্তন: ৩জি চালুর পর (২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি) HSPA এসেছে; HSPA+ পরবর্তী। ৩জি নেটওয়ার্কে আপগ্রেড হয়ে ৩.৫জি তৈরি হয়েছে।
গতি: সাধারণত কয়েক মেগাবিট/সেকেন্ড থেকে HSPA+ তে ~৪২ মেগাবিট/সেকেন্ড পর্যন্ত (তাত্ত্বিক)। বাস্তব স্পিড নির্ভর করে নেটওয়ার্ক ও পরিবেশের উপর।
ব্যবহার: গতিশীল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট (ভিডিও কল, ফেসবুক, ব্রাউজিং) এবং মোবাইল টেলিভিশন পরিষেবায় ব্যবহৃত। ৩জি’র তুলনায় ডাউনলোড আপলোড দ্বিগুণ বা অনেকগুণ বাড়ায়।
বর্তমানে অবস্থা: অনেক দেশে ৪জি চলে আসায় ৩.৫জি পিছিয়ে এসেছে, তবে এখনো বহু জায়গায় কাজ করছে। ৩জি নেটওয়ার্ক বহু দেশে 99%-এর অধিক কভারেজ দেয়।
বাংলাদেশে: ২০১৩ সালে পথমে Teletalk ৩জি সেবা দেয়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে গ্রামীনফোন ও রবি ৩জি সেবা চালু করে। একই সময় রবি ঢাকায় ৩.৫জি (HSPA) পর্যন্ত নেটওয়ার্ক চালু করে। পরবর্তীতে Banglalink ও Airtel 3G সেবা দেয়৷ এর ফলে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। রবি নিজস্বভাবে ৩.৫জি প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশেই প্রথম HSPA সেবা দেয়।
🟢 ৪.৫জি (4.5G) – LTE-এডভান্সড
পরিচিতি: সাধারণভাবে ৪জি বলতে LTE-নেটওয়ার্ককেই বোঝায়। আর ৪.৫জি হল LTE-এর উন্নত সংস্করণ (LTE Advanced/Pro), যেখানে ক্যারিয়ার অ্যাগ্রিগেশন, মাল্টি-অ্যান্টেনা (MIMO), আরও বেশি ব্যান্ডউইডথ ইত্যাদি থাকায় গতি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রবর্তন: বিশ্বব্যাপী প্রথম LTE (4G) চালু হয় প্রায় ২০১০ সালের কাছাকাছি। ITU-এর IMT-Advanced স্পেসিফিকেশনে ৪জির জন্য ১০০ মেগাবিট/সে (গাড়ি গতিতে) থেকে ১ গিগাবিট/সে (স্থির অবস্থায়) পর্যন্ত ডেটা রেট ডিফাইন করা ছিল। পরবর্তীতে উন্নত ৪জি (4.5G) বাজারে আসে, যার মাধ্যমে তাত্ত্বিক স্পিড ১ Gbps পেরিয়ে যায়।
গতি: ITU অনুযায়ী ১০০ মেগাবিট/সে (গাড়ি/ট্রেনে) ও ১ গিগাবিট/সে (চলমান বা ভিন্ন)। বাস্তবে LTE-A-তে একাধিক ব্যান্ড একত্রিত করে ১ গিগাবিট/সে-র বেশি স্পিড পাওয়া যায়।
ব্যবহার: উচ্চ-গতি মোবাইল ব্রডব্যান্ড, এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, IoT ডিভাইস কানেকশন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত। ৪জির তুলনায় আরও কম ল্যাটেন্সি ও বেশি ডিভাইস সংযোগের সুবিধা দেয়।
বর্তমানে কোথায়: এখন বিশ্বজুড়ে ৪জির অনেক ফ্রিকোয়েন্সি LTE-A পর্যন্ত উন্নত হয়েছে। উদাহরণ: দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে LTE-A (4.5G) পাওয়া যায়। বেশিরভাগ উন্নত মোবাইল অপারেটর এখন VoLTE (Voice over LTE) সেবা দিয়ে থাকে, যা 4.5G নেটওয়ার্কের সুবিধার একটি দিক।
বাংলাদেশে: বাংলাদেশে ৪জি সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-এ চালু হয়। এরপর থেকে দেশজুড়ে দ্রুত বিস্তার পায়; ২০২৫ নাগাদ প্রায় পুরো দেশে ৪জি কাভারেজ নিশ্চিত হয়েছে। রবি এই সময়ে শুরু থেকেই তাদের নেটওয়ার্কে 4.5G সক্ষমতা নিয়ে কাজ করেছে। বিশেষ করে রবি তাদের 4.5G নেটওয়ার্কে ভয়েস ওভার LTE (VoLTE) সেবা চালু করেছে সবার আগে। সাথে এয়ারটেলও সেই বেনিফিট পেয়েছে 4G+ নামেই শুরু থেকে এডভান্সড নেটওয়ার্ক (4.5G) দিতে পেরে।
🟢 ৫জি (5G)
পরিচিতি: ৫জি হল মোবাইল নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রজন্ম। ৪জির তুলনায় ৫জি অনেক বেশি গতি, অতি-নিম্ন ল্যাটেন্সি এবং একযোগে হাজার হাজার ডিভাইস সংযোগের ক্ষমতা দেয়। এটি মূলত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি (মিলিমিটার-ওয়েভ) ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারে।
প্রবর্তন: প্রথম বাণিজ্যিক ৫জি সেবা চালু হয় আনুমানিক ২০১৯-২০২০ সালের দিকে (দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু)। ভারতে ১ অক্টোবর ২০২২-এ প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ৫জি চালু হয়।
গতি: তাত্ত্বিক পীক স্পিড ~১০ গিগাবিট/সেকেন্ড, বাস্তবে অনেক শত মেগাবিট থেকে গিগাবিট পাওয়া যাচ্ছে। ল্যাটেন্সি ~১ মিলিসেকেন্ড পর্যন্ত, প্রায় রিয়েল-টাইম যোগাযোগ সম্ভব করে।
ব্যবহার: IoT (ইন্টারনেট অফ থিংস), স্মার্ট সিটি, স্বয়ংচালিত গাড়ি, রিমোট সার্জারি, ভার্চুয়াল/অগমেন্টেড রিয়ালিটি, শিল্প-অটোমেশন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। সহজভাবে বলা যায়, যেখানে প্রচুর ডিভাইস একসঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বা অত্যন্ত দ্রুত ডেটা দরকার সেখানে ৫জি প্রয়োজন।
বর্তমানে কোথায়: বিশ্বজুড়ে ৫০টিরও বেশি দেশে ৫জি চালু হয়েছে বা চালু হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতসহ অনেক এশীয় দেশ ২০২২-২৩ থেকে ৫জি দিচ্ছে। গ্লোবালি Q1 2025-এ ৫জি সাবস্ক্রিপশন ২.৪ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে শহরে ৫জি সুবিধা দেয়া হচ্ছে; গ্রামীণ এলাকায় ৪জি-ই এখনও প্রবল।
বাংলাদেশে: বাংলাদেশ সরকার ও অপারেটররা ৫জি’র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সীমিতভাবে সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে রবি ও গ্রামীনফোন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বিভাগীয় শহরে ৫জি সেবা চালু করে। রবি প্রথম দফায় সাতটি এলাকায় ৫জি চালু করে, এর পর গ্রামীনফোন সকল বিভাগীয় শহরেই সেবা চালু করার ঘোষণা দেয়। বর্তমানে ৫জি সেবার আওয়াশিদ্রণ্য এলাকায় সীমাবদ্ধ, ধাপে ধাপে বাড়ছে।
৫.৫জি (5G-অ্যাডভান্সড / 5.5G)
পরিচিতি: ৫জি-অ্যাডভান্সড বা ৫.৫জি হচ্ছে ৫জি প্রযুক্তির আপগ্রেড সংস্করণ। ৩জিপিপি রিলিজ-১৮ (জানুয়ারি ২০২৩) এ ৫জি-অ্যাডভান্সডের ধারনা প্রবর্তিত হয়। এটিকে “৫.৫জি” নামেও ডাকা হয়।
উন্নয়ন: এই সিস্টেমে ৫জি ভিত্তিক প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় – যেমন উন্নত মাল্টি-অ্যান্টেনা (Massive MIMO), AI-ভিত্তিক অপ্টিমাইজেশন, আরও বেশি ব্যান্ডউইডথ ইত্যাদি। Nokia মহল অনুসারে ৫.৫জি দেড় গুণ বেশি ডেটা রেট দিতে পারবে।
গতি: Nokia’র প্রত্যাশা ৫জি-র তুলনায় ~২০% বেশি ডেটা গতি। উদাহরণস্বরূপ, ৫জি-তে যদি ১০ গিগাবিট/সে পাওয়া যায়, তাহলে ৫.৫জি ~১২–১৩ গিগাবিট/সে করতে পারে।
ব্যবহার: মবাইল-এআই, উন্নত ভিড়-সম্পন্ন এলাকায় উচ্চ-গতি, আরও বড় IoT সাপোর্ট, এআর/ভিআর ইত্যাদির পরবর্তী ধাপ। উদাহরণস্বরূপ, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম ও রিয়েল-টাইম ক্লাউড কনটেন্টের জন্য প্রয়োজন হবে ৫.৫জি মতো উচ্চ বান্ডউইডথ।
বর্তমানে কোথায়: এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়ে; পরবর্তী কয়েক বছরে বাণিজ্যিকভাবে আনতে কাজ চলছে। ৩জিপিপি পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬জি গবেষণায় যাওয়ার আগে ৫.৫জি (রিলিজ ১৮) সময় মত স্ট্যান্ডার্ড পাবে। বাংলাদেশে এখনো এই পর্যায়ের সেবা চালু হয়নি।
সূত্র: উক্ত তথ্যগুলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন স্বীকৃত উৎস থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
#TelecomEnthusiastsBangladesh #MobileNetworkGenerations #2gto5g
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন