এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গল্প: “আলিফ আর অসমাপ্ত স্বপ্ন” zakia ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গল্প: “আলিফ আর অসমাপ্ত স্বপ্ন”


একটা গ্রামের ছেলে ছিল নাম আলিফ। বয়স তার মাত্র আট বছর। আলিফ দুষ্টুমি করতে ভালোবাসতো, খেলতে ভালোবাসতো, কিন্তু স্কুলে যাওয়া তার একদমই ভালো লাগতো না।


প্রতিদিন মা বলতেন—

—“আলিফ, স্কুলে না গেলে তুমি কিছুই শিখতে পারবে না।”

কিন্তু আলিফ বলতো—

—“কেন মা? আমি তো খেলতে পারি, হাসতে পারি, বন্ধুদের সাথে মজা করতে পারি। এই তো জীবন!”


মা শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন।


---


ঘটনা এক: চিঠি লিখতে না পারা


একদিন গ্রামের ডাকপিয়ন একটি চিঠি নিয়ে এলো। চিঠিটি আলিফের বাবার এক বন্ধুর কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু বাবা তখন শহরে কাজে ব্যস্ত, মা পড়তে জানেন না। তাই তারা আলিফকে বললেন—

—“বাবা, তুমি তো স্কুলে যাও, চিঠিটা পড়ে শোনাও।”


কিন্তু আলিফ তো পড়তে শেখেনি! সে তো স্কুলেই যায় না। চিঠিটা তার হাতে কাঁপতে লাগলো, অথচ কিছুই বুঝতে পারলো না। মা–বাবা হতাশ হয়ে চিঠিটা অন্যের কাছে নিয়ে গেলেন।


আলিফ তখন খুব লজ্জা পেলো। মনে হলো, “আহা, যদি আমি পড়তে জানতাম, তাহলে মা–বাবার উপকার করতে পারতাম।”


---


ঘটনা দুই: বাজারে হিসাব


কয়েকদিন পর মা তাকে বাজারে পাঠালেন। মা বললেন—

—“এখানে একশো টাকা, এর মধ্যে দশ টাকার আলু আর বিশ টাকার ডাল কিনে আনবে।”


আলিফ টাকা নিলো, বাজারে গেলো। কিন্তু বিক্রেতা যখন জিনিস দিলো আর টাকা ফেরত দিলো, তখন সে গুনে বুঝতেই পারলো না কত টাকা ফেরত আসার কথা! সে কম টাকা পেলো, কিন্তু কিছুই বলতে পারলো না।


পরে বাসায় ফিরে মা হিসাব কষে দেখলেন, আলিফকে ঠকানো হয়েছে।


আলিফ আবারও লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।


---


ঘটনা তিন: বন্ধুর স্বপ্ন


একদিন আলিফ দেখলো তার বন্ধু মেহেদী খুব খুশি। মেহেদী বললো—

—“আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো। আমাদের গ্রামে তো ভালো ডাক্তার নেই। আমি সবাইকে চিকিৎসা দেবো।”


আরেক বন্ধু নুসরাত বললো—

—“আমি শিক্ষক হবো। সবাইকে পড়াবো।”


তখন আলিফ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। সে কিছু বলতে পারলো না। কারণ সে জানতো— স্কুলে না গেলে স্বপ্ন পূরণ করা যায় না।


---


আলিফের উপলব্ধি


সেদিন রাতে আলিফ অনেক ভাবলো। সে বুঝলো,


পড়তে না জানলে বাবা–মাকে সাহায্য করা যায় না।


হিসাব না জানলে মানুষ সহজেই ঠকিয়ে দেয়।


স্কুলে না গেলে নিজের কোনো বড়ো স্বপ্ন পূরণ হয় না।


সে বিছানায় শুয়ে মাকে বললো—

—“মা, আমি ভুল করেছি। কাল থেকে আমি স্কুলে যাবো। আমি চাই, একদিন তোমার মুখ উজ্জ্বল হোক আমার কারণে।”


মা আনন্দে চোখের পানি মুছে দিলেন।


---


পরিণতি


এরপর থেকে আলিফ নিয়মিত স্কুলে যেতে লাগলো। ধীরে ধীরে সে পড়াশোনায় ভালো হলো। কয়েক বছর পর সে গ্রামের সেরা ছাত্রদের একজন হয়ে উঠলো।


যখনই কেউ জিজ্ঞেস করতো—

—“আলিফ, তুমি কেন পড়াশোনাকে এত গুরুত্ব দাও?”


আলিফ হাসি দিয়ে বলতো—

—“কারণ আমি জানি, স্কুল মানে কেবল বই পড়া নয়; স্কুল মানেই নিজের জীবন আর স্বপ্ন গড়ার জায়গা।”


---


শিক্ষা:


এই গল্প থেকে বাচ্চা বুঝবে যে স্কুলে না গেলে—


নিজের পরিবারকে সাহায্য করা যায় না,


সমাজে পিছিয়ে পড়তে হয়,


আর বড়ো কোনো স্বপ্নও পূরণ হয় না।


কিন্তু স্কুলে গেলে ধীরে ধীরে সবকিছু শেখা যায়, যা তাকে শক্তিশালী আর সম্মানিত মানুষ বানাবে। 


( Collected)

কোন মন্তব্য নেই:

কাজী নজরুল ইসলাম যখন বেঁচে ছিলেন, তখন বেচারার সমস্যা ছিল এই যে মোল্লারা তাঁকে ডাকতেন কাফের, এবং হিন্দুরা বলতো যবন। যেহেতু তিনি বিলেত ফেরত ছিলেন না, তাই বিদ্বানরা তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার দৌড় নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। 

 কাজী নজরুল ইসলাম যখন বেঁচে ছিলেন, তখন বেচারার সমস্যা ছিল এই যে মোল্লারা তাঁকে ডাকতেন কাফের, এবং হিন্দুরা বলতো যবন। যেহেতু তিনি বিলেত ফেরত ছ...