এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
ফেইসবুকের শিক্ষানিয় গল্প
ফেইসবুকে থেকে কপি করা,,,,,,,
দয়াকরে ২ মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন। চরম লেভেলের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে👇
আমার এক বন্ধু বিশাল শিল্পপতি। ১০ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক লোন। এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত দুনিয়ার পেছনে। একদিন তাঁর অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তাঁর এক কর্মচারী আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলল, সে অত্যন্ত অভাবি ব্যক্তি, তাঁকে সাহায্য করার জন্য।
আমার বন্ধু হেসে বলল ''যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। আমি বললাম 'আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে তোর একারই তার বেশি আছে।'
সে বলল তোদের একটা গল্প শুনাই। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবি।
এক বিশাল ব্যবসায়ি, তাঁর সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল একটাও বাকি নেই। সে একদিন দেখল তাঁর অফিসের পিয়ন টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে।
সে পিয়নকে দেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?।
পিয়ন বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তাদিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমার ভালই চলে যায়। আল্লাহর রহমতে কোন অভাব নেই।
ব্যবসাইতো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা বেতন দেই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি?
ম্যানেজার বলল , রহস্য বললে বুঝবেননা। সত্যই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই পিয়নকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন।
ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি, পেয়ে পিয়ন আনন্দে আত্মহারা। বাসায়ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায়না। কলিগরা কি মনে করবে।
প্রথমেই বাসা পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও চেঞ্জ করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো সবার বাসায় কত দামি আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, আর আমাদের বাসায় কিচ্ছু নেই। ওগুলোও কিনতে হোল। এরপর শুরু হোল বাচ্চার প্রাইভেট টিউশান, নানা রকম দাবি দাবা। আগে ঈদে একজোড়া জুতা পেয়েই সবাই কত খুশি হত, আর এখন প্রতি মাসে একজোড়া দিলেও তৃপ্তি নেই।
যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু গন তাঁকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।
এদিকে অফিসের সবাই ফলটা/ প্লট এ বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাসায় খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। ছেলেমেয়র ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে একটা দুইটা টিউশানি করা শুরু করলো। তাতেও কিছু হয়না। নানাবিধ টেনশান আর দুশ্চিন্তায় তারো মাথার চুল আসতে আসতে কমতে লাগলো।
ব্যবসায়ি লক্ষ করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম, এতো টাকা দিলাম, আর এখন দেখি তুমি আগের মত আর প্রাণবন্ত নেই। ঘটনা কি?
সে বলল স্যার , কিছু দুনিয়াবি সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার।
ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ। একটাকার সম্পদের সাথে ২ টাকার অভাব আসে। যতই দুনিয়ার পিছনে ছুটি কবরের মাটি ছাড়া এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।
---------------------------------------------------
আদম সন্তানের যদি স্বর্ণে পরিপূর্ণ একটি উপত্যকা থাকে, তবে সে (তাতে সন্তুষ্ট হবে না, বরং) আরেকটি উপত্যকা কামনা করবে । তার মুখ তো (কবরের) মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা ভর্তি করা সম্ভব নয় । যে আল্লাহর দিকে রুজু করে আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন - [বুখারী]
জাতির ভবিষ্যত
আজ মোবাইলের কারণে পরিবারের মধ্যে একে অপরের সাথে, ভালো সুসম্পর্ক নেই।
মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়না, কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলার সময় নেই। ফলে সবার উপর থেকে সম্মান, স্নেহ, ভালবাসা, গুরুত্ব সবই কমে যাচ্ছে। তাই বলছি আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। পরিবারকে ভালোবাসবো, ভালো রাখবো। ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
ফেসবুক থেকে নেওয়া গল্প যশোহর
আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফেল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশাওয়ালার সাথে।
সব বাবাই যদিও এরকম কথা রা-গ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার মানুষ। বলেছেন এবং দিয়েছেন।
আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম না। আব্বু একদিন ওনার রিকশায় বাজার করে ফিরছিলেন তখন উনি আব্বুর সব বাজার নিজে হাতে করে বাসায় পৌছে দিয়ে গেছেন দেখে আব্বু মুগ্ধ হয়েছেন। যার ফলস্বরূপ ওনার সাথে আমার বোনের বিয়ে। কিন্তু ওনার ফ্যামিলির সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি। দুলাভাই সারাদিন রিকশা চালিয়ে বাসায় এসে ঘাম মুছতে মুছতে ডাকেন,"ও বউ,ও শালী!পানি দেও।''
মনের দুঃখে আমার বোন কয়েকবার আত**** ত্যা করতে গেছে। প্রতিবারই আব্বুর কাছে জোরসে থা - প্প ড় খেয়েছে।
দুলাভাইকে আমার বোন দেখতে পারে না। রাতে আমার ঘরে এসে থাকে আর সারারাত কাঁদে, "লাবণ্য এ আমার কি হয়ে গেল রে!! আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল সরকারি অফিসার আর আমার বিয়ে হয়ে গেল একটা রিকশাওয়ালার সাথে রে!!!"
আপুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সামনে আমারো রেজাল্ট আমি খুবই আ-তংকে আছি। হয়তো আমার বর হবে এক অটোওয়ালা। তারপর দুই ভায়রা-ভাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকালে একজন অটো নিয়ে বের হবে একজন রিকশা। এদিকে আমরা দুই বোন প্রাইভেট কার ছাড়া কোথাও যাই না। কি একটা অবস্থা!
দুঃশ্চিন্তায় শিউরে উঠে আমার আর সেই রাতে ঘুম হয় না।
আমার বিদেশ থাকা ফুপী বাসায় এসেই চিল্লাচিল্লি শুরু করেছেন! আব্বুকে বলছেন,এইটা তুমি কি করলা? এতবড় ক্ষতি কেউ নিজের মেয়ের করে? এরচেয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতা, আমি কি ম -রে গেছিলাম?
এসব বলতে বলতে আমার দুলাভাইয়ের কাছে গিয়ে রাগী গলায় বললেন,"you scoundrel, How dare you? I will see you!!"
দুলাভাই বললেন, "You can't,bcz she is my legal wife. And whatever, I have no mistakes actually.."
আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে দুলাভাই আবার বললেন, "আমিও ভালো ঘরের সন্তান।আমিও ইন্টার ফেইল। ইংরেজিতে ভালোই ছিলাম অংকে ধরা খাইছি। এজন্য আমার আব্বুও আমাকে রিকশা কিনে দিছে!"
~সংগৃহীত
বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
ভ্রমণ সতর্কতা
⚠️ ঢাকা-চিটাগং হাইওয়েতে রাতে ভ্রমণে অধিক সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে রাত এড়িয়ে দিনে ভ্রমণ করুন। ⚠️
ঢাকা - চিটাগাং হাইওয়ের রাতের পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক!
(কোচের গাইডের মুখেই শুনুন লোমহর্সক সেই কাহিনী)
গাইড Musabbir Haque Fahim এর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করা।
খুলনা গাড়িকে পলাশ স্যার সেদিন ঘুরতে পাঠিয়েছিল ১২ আউলিয়ার পুণ্যভূমিতে।সেদিন সব শিডিউল এলোমেলো!খুলনার কোচগুলো চট্টগ্রামে,চট্টর কোচগুলো বেনাপোলে,সিলেটের কোচগুলো খুলনায়।পাইলট সব চেইঞ্জ,একজনের হাতের গাড়ি আরেকজনের কাছে,অন্যদিকে এক এক করে হেলপার ছাটাই।এক কথায় বিদঘুটে পরিস্থিতি।পরপর চারদিন দুই রুটে এসপির কোচে ডাকাতি তাও আগাম ফোনকল করে জানান দিয়ে !
পলাশ সাহেব নিরুপায়,কোনোকিছু করেও ডাকাতী ঠেকাতে পারছেন না।রাস্তায় বলে কয়ে কোচগুলোকে দাড় করিয়ে দিচ্ছে ডাকাতদল।ডাকাতির কবলে পড়া গাইডরা সাথে অন্য গাইডগুলোও ভয়ে একদিনেই সব চাকরী ছেড়ে চলে গেছে ফলে তীব্র গাইড সংকট।এদিকে আমরা হাতে গোনা কয়েকজন গাইড প্রচন্ড ভয়েও শিডিউল ঠিক রেখে ডিউটি করে যাচ্ছি।কাওকেই রেস্টে পাঠানো হচ্ছে না।ঢাকাতে এন্ট্রি করা মাত্রই কানেক্টিং ট্রিপে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে সবাইকে অন্যত্র। হেডঅফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হল সবার বেতন ডাবল।
এদিকে সেদিন সিলেট থেকে ঢাকা এসেই আমাকে তুলে দেয়া হল খুলনা থেকে সবে আসা ৬৮২২ এ পাইলট মুকুল ভাইয়ের সাথে।যাবো কোথায়? চট্টগ্রাম... আবার কোনো হেল্পার নাই! নাইট শিফটের রোমিং আর আমি মিলে পুরো কোচ ঝেড়ে মুছে ঠিক করে ব্লাঙ্কেট গুনে নিয়ে গাড়িসহ পার্কিং এ আসলাম। মালিবাগ থেকেই যাত্রীফুল !
৫ মিনিটের মাথায় সমস্ত যাত্রী তুলে রউনা দিতে যাব ঠিক এমন সময় পলাশ স্যার হাত নেড়ে সামনে থেকে নির্দেশ দিলেন গাড়ি থামাতে। ঘটনা কি তা বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরী হল না।আমার আধাঘন্টা পেছনের শিডিউল ৬১৩১ এর গাইড এবং আমাকে পলাশ স্যার কাছে টেনে দাতে দাত চিপে যা বলার দরকার বলে দিলেন।আগাম সতর্কবার্তা! থরথর করে হাত পা কাপা কাপছিল।চুপ করে উঠে দরজা লক করে মুকুল ভাইকে বললাম মোবাইল মানিব্যাগ দেন। আমার আর মুকুল ভাইয়ের মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গিয়ে রাখলাম ড্যাশবোর্ডের চিপায়। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে যাত্রী সবাইকে সতর্ক করতে যাবো এমনসময় মনে হল ওয়াইডলি এটা স্প্রেড করলে অবস্থা ভয়াবহ হবে।ধীরে সুস্থে ব্রিফিং শেষ করে পানির বোতল হাতে হাতে দিয়ে টিকিট পার্ট কাটতে শুরু করলাম।একজন একজন করে শেষ করছি আর আস্তে করে জানিয়ে দিচ্ছি হাতের কাছে রাখা মূল্যবান জিনিস সাবধানে রাখুন।গাড়ি তখন হানিফ ফ্লাইওভারের টোল বুথে,সব শেষ করে সামনে এসে বসে আছি।
টেনশনে চোখের পলকই পড়তে চাচ্ছে না তারউপর আবার টানা ৪ দিন গাড়িতে।পেছনে ৬১৩১ এর পাইলট বক্কর ভাই ওভারটেক করে এসে মুকুল ভাইকে বাম্পারে বাম্পারে আসতে বললেন।বলেই বক্কর ভাই সে কি টান!! দেখাদেখি মুকুল ভাইও শুরু করে দিলেন টান।কোনো লক টক ছিল না সেদিন,মাইল মিটারে তাকিয়ে দেখি ১২০!!,পুরো সাসটেইন।বক্কর ভাইয়ের ৬১৩২ এর সাথে টেনে কুলিয়ে উঠতে পারছিলোনা ৬৮২২।ডানে বামে কোনো কথা নেই,টেনেই চলছে দুজন।কোনো এক অজানা কারনে পুরো রোড সেদিন অদ্ভুত রকমের ফাকা। মালিবাগ থেকে হাইওয়ে ইনে এসে আমাদের পৌছুতে সময় লেগেছিল মাত্র পৌনে দুই ঘন্টা। হোটেলে ঢুকে বসে আছি সবাই।
সত্য কথা সেদিন বক্কর ভাই,মুকুল ভাই,আমি,সেই গাইড কেউই একটা দানাপানি মুখে তুলতে পারিনি।হোটেল থেকে চেকআউট করে এসে বেরিয়ে দুটো সিগারেট ধরিয়ে সমানে টেনে যাচ্ছি।মুকুল ভাই হোটেল থেকে বেরুবার সাহস পাচ্ছিলো না,বক্কর ভাই এসে এক ধমক দিতেই সিটে গিয়ে বসে বললেন ফাহিমরে ওঠ! ,যা আছে কপালে। বলেই শুরু করলেন আবার টান! সেদিন আমার কোচে ছিল সৌদি থেকে আসা ১১ জন প্রবাসী আর তাদের পরিবার।আমার চিন্তাটা বেশী ছিল সেদিন তাদেরকে নিয়ে । কিছুক্ষন পরপরই ঢাকা অফিস থেকে কল আসছিলো। সাবধানে বুঝে শুনে যেতে বলা হছিলো বারবার। কিন্তু যা ভেবেছিলাম তা ঘটে যেতে খুব বেশী সময় লাগেনি।আমাদের দুটোগাড়ি তখন জোরারগঞ্জ পার হচ্ছিলো। দেখতে পেলাম জোরারগঞ্জ বাইপাস থেকে দুটো কাভার্ডভ্যান ফুলপিকআপে এসে একটা আমাদের সামনে আর আরেকটা পিছন পেছনে আসতে লাগল।
পিকআপ ভর্তি মানুষ,বারবার গাড়ি থামাতে বলছে। মুকুল ভাই বললেন ফাহিম ভিতরে সামলা,আমি এদিকে দেখতেছি।কোচের সমস্ত লাইট জ্বেলে দিলাম। কোচের সবাই সেদিন এতজোরে দোয়াদুরুদ জিকির আজগার করছিলো যে ৪ হাত দূরে বসা মুকুলভাইয়ের সাথে কথা বলতেই আমাকে বেশ জোরে চিল্লাতে হচ্ছিলো। এদিকে দেখতে পেলাম বক্করভাই ফুলপিকআপ নিয়ে সামনের কাভার্ডভ্যানের বাম্পারে আস্তে করে টোকা মারলেন, ডাকাতদল এবার সোজা ৬১৩১ কে সাইড দিয়ে চাপ দিতে আসল আমাদেরকে।
মুকুল ভাই চট করে স্টিয়ারিং সোজা ডানে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি গাইড সিট থেকে সরে এসে মাঝখানে এসে পড়লাম। এবার কিছুদূর যেতেই রাস্তার সাইড থেকে এসে সোজা ফ্রন্ট গ্লাসের ফ্রেমে বিঁধল লম্বা এক সাবল। মুকুল ভাই এবার খিচ টান টানতে লাগলেন। মাইলমিটারের দিকে তাকানোর ফুসরত সেসময় ছিল না। শুধু পেছনে তাকিয়ে দেখি যাত্রীরা একদিকে কাত হয়ে আরেকদিকে যাচ্ছে আবার আসছে।বক্কর ভাই তার গাড়ি টেনে কোথায় নিয়ে চলে গেছিলেন আর দেখিনি।
কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই খুব দক্ষতার সাথেই ডাকাতের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম সেদিন। চট্টগ্রাম আসার পর দেখি কাউন্টারে শ খানেক লোক দাঁড়িয়ে। সবার মুখে হাসি।
আমি দুঃখিত! আমি আর কিছু লিখতে পারছিনা এই মুহূর্তে......
©collected
সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
ফেইসবুক থেকে নেওয়া জীবনের গল্প
নীচে যার ছবি দেখছেন আগামীকাল ওঁর বিয়ে৷ প্রতিদিনের মতোই আজও সকালে সব্জী নিয়ে বাজারে বসেছে আকাশ। আকাশ আমার বন্ধু, আকাশ আমার ভাই৷ জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামের মফঃস্বল শিলদা বাজারে ওঁর দোকান৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেছে আকাশ। এমএ-তে ফার্স্টক্লাস রয়েছে আকাশের। এমএ-র পর বিএডও সম্পূর্ণ করেছে ও৷ ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপার প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিল আকাশ৷ তারপর মাঝে ৭ বছর কেটে গিয়েছে৷ এর মাঝে বার কয়েক কলকাতা এসে এ উকিল সে উকিলের দরজায় দৌড়াদৌড়িও করে গিয়েছে আকাশ৷ জঙ্গলমহলের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে কলকাতা এখনও অচেনা পৃথিবী। শিলদা, বেলপাহাড়ি, লালগড় সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে 'কলকাতা যাবো' বললে, এখনও উদ্বিগ্ন হয়ে বাড়ির মা-রা বলেন
- হ্যাঁ রে কলকাতা যাবি, একা পারবি তো?
আকাশের পক্ষেও একা কলকাতা আসা সত্যি চাপের। প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে পাইকারি বাজার থেকে সব্জি কিনে নিয়ে আসা। তারপর ৬ টা থেকে ৮ পর্যন্ত একটা কোচিংয়ে পড়ানো৷ তারপর আবার দোকানে এসে ১১ টা ১২ কখনও আরও দুপুর পর্যন্ত সব্জি বিক্রি৷ বিকেলে আবার টিউশানি পড়ানো৷ কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরলে আমার বেশিরভাগ সময় শিলদাতেই কাটে৷ অনেকটা সময়ই আকাশের সঙ্গেও৷ যখনই ওর দোকানে গিয়েছি আড্ডা দিতে কিংবা ও চায়ের আড্ডায় এসেছে, ওর মুখে এই হাসিটা সবসময় অমলিন থেকেছে৷
গত ৩০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম৷ শুক্রবার সন্ধ্যেবেলায় যখন এই খবরটা প্রথম ব্রেক হল তখন আমি আমার নিউজ হাউসে। এই খবরটা দেখে প্রথম যার কথা মনে পড়েছিল সেই ছেলেটির নাম আকাশ বিদ। আকাশ বিদ, সংস্কৃতে এমএ ফার্স্টক্লাস, আপার প্রাইমারি টেট কোয়ালিফায়েড৷ আজ গ্রামবাংলার কিংবা কলকাতারই কোনও স্কুলে শিক্ষকতা করার কথা ছিল আকাশের। ওটাই ও করতে চেয়েছিল৷ শুক্রবার সারা গ্রামবাংলার এরকম অগনিত শিক্ষিত শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা আকাশরা দেখল তাদের স্বপ্নগুলো বিক্রি করে টাকা জমা করা হয়েছে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটের বদ্ধ ঘরে৷
২১ কোটি টাকায় কত কেজি পটল, ঝিঙে, টমেটো, আলু হয়? ঠিক ক'তজনের স্বপ্ন ঠোঙা হয়ে বিক্রি হয়ে যায় রক্ষিতাদের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে, তা আমার জানা নেই, আমাদের জানা নেই।
এরকম কত আকাশের গল্প অজানা থেকে যায়।
আচ্ছা আকাশের মা-বাবা কিংবা ও নিজে অসুস্থ হলে এসএসকেএম-এ এসি কেবিন পাবে? কার্ডিও, মেডিসিন, অর্থোর তিনজন ডাক্তার? কিংবা একটা গোটা মেডিক্যাল বোর্ড?
বাংলার যুব সমাজের স্বপ্ন-পাচার করছে যারা তাদের জন্য অভিশাপ বরাদ্দ থাকবে না?
শে --- ভা র তী য়।।
#collected
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
ফেইসবুক মাসুম গাজী
এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেলো। খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম অভাব।
স্বর্ণকারের বিধবা স্ত্রী তার বড় ছেলেকে একটা হীরের হার দিয়ে বললো--এটা তোমার কাকার দোকানে নিয়ে যাও সে যেন এটা বেচে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দেয়
ছেলেটা হারটি নিয়ে কাকার কাছে গেল। কাকা হারটা ভালো করে পরীক্ষা করে বললো- বেটা, তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজার খুবই মন্দা, কয়েকদিন পর বিক্রি করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে। কাকা কিছু টাকা ছেলেটিকে দিয়ে বললেন--আপাতত এটা নিয়ে যাও আর কাল থেকে তুমি প্রতিদিন দোকানে আসবে আমি কোন ১দিন ভাল খদ্দোর পেলেই যেন তুমি দৌড়ে হার নিয়ে আসতে পার তাই সারাদিন থাকবে।
পরের দিন থেকে ছেলেটা রোজ দোকানে যেতে লাগলো।সময়ের সাথে সাথে সেখানে সোনা-রুপা-হীরে কাজ শিখতে আরম্ভ করলো।
ভাল শিক্ষার ফলে অল্প দিনেই খুব নামি জহুরত বনে গেল। দূর দূরান্ত থেকে লোক তার কাছে সোনাদানা বানাতে ও পরীক্ষা করাতে আসত। খুবই প্রসংশীত হচ্ছিল তার কাজ।
একদিন ছেলেটির কাকা বললো-- তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজারের অবস্থা বেশ ভালো, তাই সেই হারটা যেন তোমার হাতে দিয়ে দেন। এখন এটা বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
ছেলেটি ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে হারটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলো যে এটা একটা নকল হীরের হার। তাই সে হারটা আর কাকার কাছে না নিয়ে বাড়িতেই. রেখে দিলো।
কাকা জিজ্ঞেস করলো-- হারটি এনেছো ?ছেলেটি বললো-- না কাকা পরীক্ষা করে দেখলাম এটা একটা নকল হার।
তখন কাকা বললো- তুমি যেদিন আমার কাছে হারটি প্রথম নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম যে এটা নকল, কিন্তু তখন যদি আমি তোমাকে এই কথাটা বলে দিতাম, তাহলে তোমরা হয়তো ভাবতে যে আজ আমাদের মন্দা সময় বলেই কাকা আমাদের আসল জিনিষকে নকল বলছে।
আজ যখন এ ব্যাপারে তোমার পুরো জ্ঞান হয়ে গেছে, তখন তুমি নিজেই বলছো এটা নকল হার।
এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছো যা কিছু ভাবছো সবটাই এই হারের মতই নকল, মিথ্যে।
জ্ঞান ছাড়া কোন জিনিসের বিচার সম্ভব নয়। আর এই ভ্রমের শিকার হয়েই অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। তোমাদের সাথে আমার সেই সম্পর্কটা নষ্ট হোক আমি তা চাইনি।
#সংগৃহিত
ফেসবুকের শিক্ষা
কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ 👌
১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।
৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।
৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।
৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।
৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।
৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।
১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!
*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া।
সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি *
সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!!!
ফেইসবুক গল্প
মনটা বিষন্ন,ভীষণ বিষন্ন।
ঘটনাটা হলো-
বয়স ২৭, ৮ বছরের বিবাহিত জীবন।বিয়ের পর সাড়ে ছয় বছরের চেষ্টায় প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন।৩৬+ সপ্তাহের গর্ভবতী। বারবার চেয়েছিলেন শুরু থেকেই ডাক্তার দেখাতেন।কিন্তু,শ্বাশুড়ি-ননদ-ননাস-খালাশ্বাশুড়ি মানা করেছেন।এজন্য স্বামীও উনাদের অমতে ডাক্তার দেখান নি।কোনো টেস্টও করাননি।বউ বারবার অনুরোধ করেছে, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছিল,"বুড়া বেডির বাচ্চা হইবো,কত্ত ঢং করে।আমাদের তো তোমার বয়সে ৩-৪ টা বড় বাচ্চা ছিল।আমরা ডাক্তার দেখাইনি।তাতে কি আমাদের বাচ্চা হয়নাই!"শেষপর্যন্ত মেয়ে ঘরেই উনাদের কথামতো চলতে থাকলো।আজ আসলো আমার কাছে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে।সাথে শ্বশুরবাড়ির মুরুব্বীরা। কারন,সবাই জানতে চায় "ছেলে নাকি মেয়ে হবে"?
প্রোব পেটে দিয়েই আঁতকে উঠলাম।বারবার দেখছিলাম আর রোগীর কাছে হিস্ট্রি নিচ্ছিলাম যে কোনো ডাক্তার দেখিয়েছেন কিনা,এর আগে আল্ট্রা করেছেন কিনা,আয়রন,ক্যালসিয়াম খাচ্ছেন কিনা।
সবগুলো উত্তর আমাকে হতাশ করে দিলো।উত্তর ছিলো " না"।সাথে সাথে ননাস বলে উঠলো,"বুড়াবেডির বাচ্চা হইবো,এমনেই ভালা হইবো। আর আমরা তো খাওয়াই।আলগা ক্যালসিয়াম লাগতো না।"
আমি মোটেও অবাক হয়নি।বাড়ির বউদের প্রায় ৯০% শ্বশুরবাড়ির লোক এলিয়েন ভাবে।তাদের সাথে অন্যরকম ব্যবহার করে।সে নিয়ে আরেকদিন লিখবো।
তো,যা ঘটলো প্রায় নয়মাসের বাচ্চার মাথার হাড় তৈরি হয়নি।শুধু মগজ,চোখ,নাক,মুখ আছে।যেটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলি "#ANENCEPHALY"
তারপর উনাদের সব বুঝিয়ে বললাম।এবং আবারও কনফার্মেশনের জন্য অন্য রেডিওলজিস্টের কাছে রেফার করলাম।মায়ের চোখ-মুখ ভুলার মতো নয়।ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা ততক্ষণে বলা শুরু করেছে,"বুইড়া বয়সে বাইচ্চা হইলে এমনই তো হইবো"
মেয়েটা আমাকে কান্না করে বলে উঠলো, "ম্যাডাম, যে ওষুধ দিবেন অইটাই খাব।আমারে সবাই না করলেও খাব।ম্যাডাম জানেন,আমারে পেটে বাচ্চা আসার পর একদিনও পেট ভইরা কেউ খাইতে দেয় নাই।বাচ্চা নাকি বেশি বড় হইয়া যাইবো।আমার ক্ষুধা লাগলেও আমাকে বলে,পানি খাইতে।" আমি নির্বাক হয়ে বসে রইলাম। যাইহোক,বুঝিয়ে পাঠালাম। কিন্তু সারাটাদিন মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে।এখনো এত মধ্যযুগীয় টর্চার চলে ভেবে খারাপ লাগছে।বাচ্চাটাকে নিয়ে মা-বাবা সহ সবাই অনেক স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু এই বাচ্চা জন্ম নিলে কিছুক্ষণ পরই মারা যাবে।কয়েকমাস আগে ধরা পড়লেও মায়ের জন্য কমব্যথার হতো।এখন তো পুরো ডেলিভারি ব্যথা সহ্য করে জন্ম দিবে।কিন্তু ফলাফল!!
মেয়েদের বলছি,দয়া করে আপনাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন ননদ,ননাস,মাসি-পিসিশ্বাশুড়ি,পাশের বাসার ভাবী সহ যারা অনুচিত কথা বলে তাদের কথা শুনে পরিবর্তন করবেন না।যদি আপনি মনে করেন যে আপনি আপনার জায়গায় ঠিক আছেন, আপনি সেটাই করবেন।নিজের বাচ্চা,নিজের স্বাস্থ্য সবার আগে।এসব টক্সিক মানুষকে প্রয়োজনে জানাবেন না যে,আপনি গর্ভবতী। এরা জীবন কঠিন করে দেয়।এজন্য আমার বাবা সবসময় বলেন, "মেয়েদের নিজের পায়ের নিচে মাটি শক্ত করে বিয়ে করা উচিত।খুটি শক্ত থাকলে, মেয়েদের জীবনের ভোগান্তি কমে।"
সবাই ভালো থাকুন,সচেতন থাকুন।
ধন্যবাদ।
ডাঃঅনামিকা চ্যাটার্জি
ফেইসবুক থেকে কপি করা গল্প
রাগ করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়লাম। এতটাই রেগে ছিলাম যে বাবার জুতোটা পড়েই বেরিয়ে এসেছি। বাইক ই যদি কিনে দিতে পারবেনা, তাহলে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবার সখ কেন.? হঠাৎ মনে হল পায়ে খুব লাগছে। জুতোটা খুলে দেখি একটা পিন উঠে আছে। পা দিয়ে একটু রক্তও বেরিয়েছে। তাও চলতে থাকলাম। এবার পাটা ভিজে ভিজে লাগল। দেখি পুরো রাস্তাটায় জল।
পা তুলে দেখি জুতোর নিচটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম একঘন্টা পর বাস। অগত্যা বসে রইলাম। হঠাৎ বাবার মানি ব্যাগটার কথা মনে পড়ল, যেটা বেরোবার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। বাবা এটায় কাউকে হাত দিতে দেয় না। মাকেও না। এখন দেখি কত সাইড করেছে। খুলতেই তিনটে কাগজের টুকরো বেরল। প্রথমটায় লেখা "ল্যাপটপের জন্য চল্লিশ হাজার লোন"। কিন্তু আমার তো ল্যাপটপ আছে, পুরনো বটে। দ্বিতীয়টা একটা ডা: প্রেসক্রিপশন। লেখা "নতুন জুতো ব্যাবহার করবেন"। নতুন জুতো।
মা যখনই বাবাকে জুতো কেনার কথা বলত বাবার উত্তর ছিল "আরে এটা এখনও ছ'মাস চলবে"। তাড়াতাড়ি শেষ কাগজটা খুললাম। "পুরানো স্কুটার বদলে নতুন বাইক নিন" লেখা শোরুমের কাগজ। বাবার স্কুটার!! বুঝতে পেরেই বাড়ির দিকে এক দৌড় লাগালাম। এখন আর জুতোটা পায়ে লাগছে না। বাড়ি গিয়ে দেখলাম বাবা নেই। জানি কোথায়। একদৌড়ে সেই শোরুমটায়। দেখলাম স্কুটার নিয়ে বাবা দাঁড়িয়ে।
আমি ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাঁধটা ভিজিয়ে ফেললাম। বললাম "বাবা আমার বাইক চাইনা। তুমি তোমার নতুন জুতো আগে কেন বাবা। আমি ইঞ্জিনিয়ার হব, তবে তোমার মতো করে।" "মা" হল এমন একটা ব্যাঙ্ক, যেখানে আমরা আমাদের সব রাগ, অভিমান, কষ্ট জমা রাখতে পারি। আর "বাবা" হল এমন একটা ক্রেডিট কার্ড, যেটা দিয়ে আমরা পৃথিবীর সমস্ত সুখ কিনতে পারি।
লিখা: দিব্যেন্দু ব্যানার্জীর ওয়াল থেকে।
বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২
শিক্ষা গুরুর মর্জাদা
বাদশাহ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।
শিক্ষক মৌলভী
ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!
ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।
হঠাৎ কি ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি না’ক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,
ভয় করি না’ক, ধারি না’ক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।
যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।
তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
খাস কামরাতে যবে
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”
শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”
বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”
.
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা – কাজী কাদের নেওয়াজ
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...