এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
হাসতে চাইলে পড়ুন
হাসতে চান ....?? তয় পড়ুন আর হাসুন প্রাণ খুলে ....
আম্মু একজনের বাসায় মাংস দিতে পাঠাইছিলো। অন্য এলাকায়। আমি মাংস দিয়ে খালি ব্যাগ হাতে নিয়ে ফিরছিলাম। রাস্তার পাশে এক বাড়ির গেট খুলে এক আঙ্কেল হাত ইশারায় আমাকে ডাক দিলো। আমি উনার কাছে যেতেই দুই টুকরো মাংস আমার ব্যাগের মধ্যে ছুড়ে দিয়ে গেট আটকায়া দিলো। আমি কিছু বলারও সুযোগ পাইলাম না। আশেপাশে ভালোভাবে খেয়াল করে শিওর হলাম, আল্লাহ বাঁচাইছে। কেউ দেখেনাই। ব্যাগের মধ্যে আড়চোখে তাকায়া দেখি দুইটাই হাড্ডি। শালা খচ্চর আর কারে কয়। নিজেরা যা খাইতে পারবে না সেইগুলা দিচ্ছে।
যাই হোক, এখন আমার অবস্থা শাকিব খানের বউ অপু বিশ্বাসের মত। আব্রাম খান জয় হলো আমার মাংসের টুকরা। এই টুকরা দুইটা নিয়ে এখন আমি কি করবো!
.
বাসায় নিয়ে গেলে তো মানসম্মান পুরাই শেষ। আইডিয়া আসলো। মাংস কুড়াচ্ছে এরকম একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দেখে দান করে দিলেই তো হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য সওয়াব আমার হবে নাকি যে আঙ্কেলের মাংস তার হবে, এইটা শিওর না। আমি আশেপাশে ভালোভাবে চেয়ে দান করার মতো কাউকে খোজার ট্রাই করলাম। ইয়েস, পেয়েছি। এক মহিলা আসতেছে ব্যাগ হাতে। আধাকেজি মত মাংস অলরেডি তুলে ফেলেছে। আমি তার কাছে গিয়ে ব্যাগটা খুলে ধরে বললাম, এই দুইটা মাংসও উঠায় নেন। আর দ্রুত ঐ লাল গেটওয়ালা বাসায় যান আরো দিবে।
আমাকে অবাক করে দিয়ে মহিলা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।
"ঐ ছেলে ঐ, সমস্যা কি তোমার? চিন আমারে? জানো আমি কে? আমার বর এক লাখ তের হাজার টাকার গরু কুরবানি দিছে একা আর তুমি আমারে দিতে আসছো দুই টুকরো মাংস। তোমার সাহস তো কম না। বাসা কই তোমার, হ্যা? আমি তোমাকে পুলিশে দেব। আমি তোমাকে জেলের ভাত খাওয়ায়ে ছাড়বো। এতো বড় অপমান! আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন!"
.
মানুষজন জড় হয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। আল্লাহ এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম। কাহিনী যেদিকে যাচ্ছে পাবলিক আমারে ইভটিজার বলে মাইর না দেয়।
পাশ থেকে এক আঙ্কেল বললো, 'ছি ছি ছি, আজকালকার ছেলেপেলের হইছে টা কি? স্কুল কলেজের মেয়ে হইলে তাও একটা কথা ছিলো, তুমি তো বয়স্ক মহিলারেও ছাড় দাও না। রাস্তার মধ্যে তোমার মায়ের বয়সী একজন মহিলারে দিনে দুপুরে খারাপ প্রস্তাব দিতে একটুও বাধলো না তোমার? কেয়ামতের আর বেশি দেরি নাই। ছি ছি ছি!'
.
'হোয়াট দ্যা ফাক, কি প্রস্তাব দিছি আমি? এ তো বিশাল ঝামেলায় পড়া গেল!'
.
এদিকে ঐ মহিলা থেমে নেই, 'আমার আপন চাচাতো ভাই পুলিশের এসআই। আমার মামার শালা আর্মি অফিসার। আমার বাপ এই মাগুরা শহরে প্রথম উট কুরবানি দেয় সেই উনিশশো একানব্বই সালে। তখন তোমার জন্মও হয়নাই। আমার ছোট ছেলে বুয়েটে পড়ে, মেজটা আইএলটসে আটের উপর স্কোর করছে..!'
.
'ওহ গড, এর সাথে বুয়েটের কি সম্পর্ক। আইএলটিএস এর কি সম্পর্ক। প্লিজ হেল্প মি।'
.
মহিলার গলার তেজ বাড়তেছে, 'আপনারা কি দাঁড়ায় দাঁড়ায় দেখবেন খালি? কিছু করবেন না? এই দেশে কি বিচার নাই? আমি কি ফোন দেব কাউরে? আমার আপন ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের উপ আপ্যায়ন সম্পাদক...'
.
'খাইছে আমারে। আমি ডিসিশন নিয়ে ফেললাম। ব্যাগটা শক্ত করে ধরে দিলাম ঝেড়ে দৌড়। পাবলিক কিছু না বুঝেই আমার পেছনে দৌড়াচ্ছে। তবে তারা দৌড় শুরু করেছে একটু দেরিতে। তার উপরে আমি দৌড়াচ্ছি আমার জান হাতে নিয়ে। সুতরাং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ধরা পড়লাম না। এক গলির মধ্যে ঢুকে আরেক গলি দিয়ে বের হয়ে মোটামুটি সেফ জায়গায় চলে আসলাম। ঘেমে নেয়ে অস্থির। মাংস দান করার শখ মিটে গেছে আমার। একটা দোকানের সামনে বেঞ্চিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি এমন সময় একজন এসে পাশে বসলো।
- বস কি মাংস টোকাইতেছেন?
- না।
- কুরবানি দিছেন?
- হুম।
- আমারে কিছু দেন।
- আমি ব্যাগ উনার হাতে দিয়ে বললাম, ধরেন নেন।
- লোকটা খুশি হয়ে ব্যাগ খুলেই মুখ গোমড়া করে ফেললো, 'ঐ ভাই হাড্ডি দেন ক্যান? হাড্ডি মাইনসে খায়? আপনারা বড়লোক হইছেন ঠিকই কিন্তু মানুষ হইতে পারেন নাই। ভালো গোশত সব ফ্রিজ ভইরা রাখছেন। ভাবছেন আপনাগো কুরবানি হইবো? বালডা হইবো। আপনি রাখেন আপনার হাড্ডি। আপনের মতো বড়লোকরে আমি থু দেই, থু!'
পাশ থেকে আরেকজন বললো, 'আপনি মাংস কবরে নিয়া যাইয়েন। ঠিক আছে?'
যে দোকানে বসছি সেই দোকানদার চাচা আরো এক কাঠি সরেস, 'গরীবের হক মাইরা খাওয়া মাংস আল্লাহ যেন আপনের গলা দিয়ে না নামায়। মানুষ গলায় হাড্ডি ফুইটা মরে আর আপনের মরন যেন হয় মাংস বাইধা!'
.
আমি কিছুই বললাম না। বলার ভাষা হারায় ফেলছি। দোকান থেকে উঠে চুপচাপ ঘোরাপথে এক মাঠের মধ্যে দিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। মাঝপথে এক আন্টি এসে আরো দুই টুকরা মাংস আমার ব্যাগের মধ্যে দিয়ে গেল।
.
যাক এই দুইটাতে হাড় নাই। দুইটাই সলিড মাংস। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ...!
.
.
পরিশিষ্ট: ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে ব্যাগটা টেবিলের উপর রেখে খাটে শুয়ে পড়লাম ফ্যান ছেড়ে দিয়ে। আম্মু ব্যাগ খুলে আমার দিকে চোখ গরম করে তাকালেন।
'তোরে এই অল্প একটু মাংস দিয়ে পাঠাইলাইম তার মধ্যে আবার চার পিস ফেরত আনছিস? সমস্যা কি তোর? জীবনে মাংস খেয়ে থাকিস না? আমরা তোরে খাওয়াই না? আমাদের ফ্যামিলিতে তো কেউ এরকম কিপ্টে না। তুই কার মত হইছিস! তোরে তো আমার ছেলে বলে পরিচয় দিতেই লজ্জা হচ্ছে। ছিহ!'
.
.
হে পিতিবি, বিদায়...! #collected
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সন্তানের জন্য পিতার উপদেশ
সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি।ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন❤
প্রিয় সন্তান,,
আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...
১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো:
১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা। ♦
২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা। ♦
3. জীবন সংক্ষিপ্ত।
আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। ♦
৪. ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।♦
৫. অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা- এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।♦
৬. আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। ♦
৭. তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। ♦
৮. আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। ♦
৯. তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি। ♦
——————
ভালোবাসা সহ,
তোমার বাবা......
বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী। তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুন, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য। 🌹
#Collected
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কিছু ট্রান্সলেশন
১) সাতদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে।- It has been raining for seven days.
২) সে সাতদিন যাবৎ বাসায় একা। He is alone at home for seven days.
৩) সাতদিন যাবৎ আকাশ মেঘলা।- The sky is cloudy for seven days.
৪) সে সাতদিন যাবৎ ঢাকায় ।- He has been in Dhaka for seven days.
৫) সে সাতদিন যাবৎ খুবই অসুস্থ্য।- He has been very ill for seven days.
৬) সে সাতদিন যাবৎ ঘুমাইতেছে।- He has been sleeping for seven days.
৭) সে সাতদিন যাবৎ রাস্তায়।- He has been on the road for seven days.
৮) সে সাতদিন যাবৎ বেড়াইতেছে।- He has been traveling for seven days.
৯) সে সাতদিন যাবৎ রান্না করতেছে।- He has been cooking for seven days.
১০) সে সাতদিন যাবৎ কান্না করতেছে।- She has been crying for seven days.
১১) সে সাতদিন যাবৎ হাসপাতালে।- He has been in the hospital for seven days.
১২) সে সাতদিন যাবৎ বইটি পড়ছে।- He has been reading the book for seven days.
১৩) সে সাতদিন যাবৎ বইটি লিখছে।- He has been writing the book for seven days.
১৪) সে সাতদিন যাবৎ কাজটি করছে।- He has been doing the work for seven days.
১৫) সে সাতদিন যাবৎ এই বাড়িতে আছে।- He has been in t ১) সাতদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে।- It has been raining for seven days.
২) সে সাতদিন যাবৎ বাসায় একা। He is alone at home for seven days.
৩) সাতদিন যাবৎ আকাশ মেঘলা।- The sky is cloudy for seven days.
৪) সে সাতদিন যাবৎ ঢাকায় ।- He has been in Dhaka for seven days.
৫) সে সাতদিন যাবৎ খুবই অসুস্থ্য।- He has been very ill for seven days.
৬) সে সাতদিন যাবৎ ঘুমাইতেছে।- He has been sleeping for seven days.
৭) সে সাতদিন যাবৎ রাস্তায়।- He has been on the road for seven days.
৮) সে সাতদিন যাবৎ বেড়াইতেছে।- He has been traveling for seven days.
৯) সে সাতদিন যাবৎ রান্না করতেছে।- He has been cooking for seven days.
১০) সে সাতদিন যাবৎ কান্না করতেছে।- She has been crying for seven days.
১১) সে সাতদিন যাবৎ হাসপাতালে।- He has been in the hospital for seven days.
১২) সে সাতদিন যাবৎ বইটি পড়ছে।- He has been reading the book for seven days.
১৩) সে সাতদিন যাবৎ বইটি লিখছে।- He has been writing the book for seven days.
১৪) সে সাতদিন যাবৎ কাজটি করছে।- He has been doing the work for seven days.
১৫) সে সাতদিন যাবৎ এই বাড়িতে আছে।- He has been in t
বার্মিজ থেকে বাংলা
আমি যে স্ত্রীকে নিয়েছি, তার চেয়েও আমার সন্তান আছে
আরও যত্নশীল এবং প্রেমময় পিতামাতা
লোকচক্ষুর একটি ছেলে
তারা মনে করে সে একজন চালাক ছেলে।
আসলে. . .প্রেমিক তার বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল
তার স্ত্রীর কাছে যিনি ভেবেছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ
স্বামীর কর্তব্য অনুযায়ী ভালবাসা এবং যত্ন করা প্রয়োজন।
কিছু অভিভাবক, বিশেষ করে আমার মা
নিজে কন্যা সন্তানের জন্ম দিন
কেউ কেউ আছেন যারা একে অপরের প্রতি সংবেদনশীল নয়।
আমার মেয়ের স্বামী (জামাই)।
শুধুমাত্র পিতামাতা এবং আত্মীয় যারা তাদের মেয়েকে পাত্তা দেয় না
আপনি যদি জরুরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, স্টেকহোল্ডাররা
আমি মনে করি না তারা সন্তুষ্ট হবে।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিয়ে করে ক্লান্ত
মা-বাবা ভাই যারা চাকরি করছেন তাদের ছেলেকে পাত্তা দেন না
আপনার ভাইবোনদের সমস্যার বোঝার দায়িত্ব নিন
আপনার বিবেচনা করা উচিত যে এটি একটি সমাধান জিজ্ঞাসা করা উপযুক্ত কিনা।
বিশেষ করে যখন একজন ভাই গরম এবং ঠান্ডা উভয় আবহাওয়ায় একজন বোনকে বহন করে
আসুন একসাথে গরম কনজি পান করি, এমনকি যদি আমরা সোনার রাজ্যে পৌঁছাতে না চাই
সহবাসকারী স্ত্রীর চেয়ে
আমার বাবা-মা, আমার ভাই, আমার ভাই এবং যারা আমাকে পাত্তা দেয় না
আমি ভেবেছিলাম যে ছেলের জন্ম দিয়েছি তার বেতন আমাদের পাওয়া উচিত
পরিবারের মধ্যে বিবাহিত মহিলারা করুণ।
কিছু ছেলেরা ব্যভিচারের কারণে সামাজিকভাবে বিশ্রী হয়
বিবাহবিচ্ছেদ এবং পারিবারিক ভাঙ্গন রয়েছে
স্বামী-স্ত্রীও আছে।
একজন ভালো নারী ফুলের মতো ফুটে
কোনো নারীই তার স্বামীকে তার বিয়ে থেকে আলাদা করতে চায় না।
বিভিন্ন কারণে, এটি ঘটে কারণ আপনি হতে চান না
গৃহিণীরা, সাবধানে থাকবেন যেন আপনার সংসার ভেঙে না যায়।
পুরুষ হিসাবে, আপনার স্ত্রীর আবেগ পূরণ করুন
আপনার বোঝা উচিত। দাম্পত্য জীবন বাবা-মায়ের বাড়িতে
জীবনযাপন এবং মন এবং শরীর খুব আলাদা, ক্লান্ত এবং দরিদ্র
কারণ তাদের করতে হবে, তার স্বামী এবং উভয় পরিবারই সহানুভূতিশীল এবং বুঝতে পারে
তা পূরণ করতে পারলেই গৃহিণী তার পারিবারিক দায়িত্ব সুখে শান্তিতে পালন করতে পারবে।
প্রতিটি গৃহিণী সুস্থ ও সুখী
সুখী দাম্পত্য জীবন হোক। . .
শুধু আপনার নিজস্ব ধারণা এবং মতামত উপস্থাপন.
কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়।
#ღღღოლი_სა_მარარარა
বিদায় এলিজাবেথ
১৭৫৭ সালে অপরিনামদর্শী সিরাজউদ্দৌলার পতনের আগ পর্যন্ত সুবা বাংলা ছিল গোটা দুনিয়ার মধ্যে ঐশ্বর্যশালী একটি দেশ। তখনকার অনেক ইউরোপিয়রা বলেছেন, বাংলার মানুষের প্লেটে কম করেও তিন ধরনের পদ বা খাবার থাকত। ঘি, মাখন খাওয়া তাদের জন্য সাধারণ বিষয় ছিল। তাদের গায়ে যে পোষাক ছিল তা ইউরোপিয়ানদের কাছে ভাবনারও অতীত। বাংলার পন্য নিয়ে বাংলার বণিকরা তখন পূর্বদেশ মানে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত পৌছে যেতো।
নবাবের পতনের পর তিন দফা নতুন নবাব প্রতিস্থাপনের পর মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও ওড়িশার খাজনা উঠানোর বিষয়টি মাত্র লাখ দেড়েক রূপিতে কিনে নেন রবার্ট ক্লাইভ। এরপর রবার্ট ক্লাইভ হিসাব করে দেখান, দেড় লাখ রূপি দেবার পরও কোম্পানির প্রায় ১৬ লাখ রূপি। বাস্তবে সেটি কোটি রূপিতে ছাড়িয়ে যায়।
তো, এরপর থেকে ফসলে, পন্য উদ্বৃত্ত একটি জনপদ স্রেফ শশ্মান হয়ে যায়। সব থেকে বেশি সংকটে পড়ে ঢাকা। একটা বাণিজ্যিক শহর গোরস্তানে পরিণত হয় ব্রিটিশ অত্যাচারে। কোম্পানির হাতে রাজস্ব উত্তোলনের দায়িত্ব থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত রাজস্ব উত্তোলন শুরু হয়। বাংলা ১১৭৬ সাল আর ১৭৭০ ইংরেজি। সিরাজের পতনের মাত্র ১৩ বছরের মাথায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা যায়। সোনার বাংলা গোরস্থানে পরিণত হয়। এই দুর্ভিক্ষে ১ কোটি লোক মারা যায়। এটা দুনিয়ার নিকৃষ্টতম দুর্ভিক্ষ। দুর্ভিক্ষের কারণ ফসল উৎপাদন কম নয়, দুর্ভিক্ষের কারণ সে বছর মাত্রাতিরিক্ত খাজনা আদায়। যে বছর দুর্ভিক্ষ হলো তার আগের বছর আদায়কৃত রাজস্ব ছিল দেড় কোটি রূপি। আর যে বছর দুর্ভিক্ষ হলো সে বছর আগের বছরের তুলনায় ৫ লাখ ২২ হাজার রূপি বেশি আদায় হয়েছিল।
ঢাকার মসলিনের কদর ছিল আকাশ ছোঁয়া। ব্রিটেন থেকে কোম্পানি কলের তৈরি কাপড় আনলেও সেটা এখানে চলত না। তারপর তারা আমাদের তাঁতীতের হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত কেটে দেয় যাতে তারা মসলিন বুনতে না পারে।
গোটা মুঘল আমলে সুবা বাংলা ১৯টি, পরে ৩৪টি ছোট ছোট নবাব ও রাজাদের অধীনে শাসন হয়েছে। সেই শাসনের বেশিরভাগ সময় মুঘল শাসনের বিষয়টি অনেক আলগা ছিল। বাংলা মুঘল শাসনের অধীনে ছিল ২৩০ বছর। এই ২৩০ বছরে বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়নি। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে মীর কাশিম হেরে যাবার পর দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার দেওয়ানী কিনে নেয় কোম্পানি। এরপর মাত্র ৬ বছরের মাথায় ১৭৭০ সালে বা বাংলা ১১৭৬ সনে দুর্ভিক্ষ হয় যাতে মারা যায় ১ কোটি মানুষ। এটা নির্মম, ভয়াবহ উপনিবেশিক শোষনের ফল।
কোম্পানির শাসন ও ব্রিটেনের শাসনের মধ্যে কত লোককে তারা জোরপূর্ব দাস বানিয়েছে সেই হিসাব নতুন করে আমাদের নেয়া দরকার।
১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ের দিকে যে দুর্ভিক্ষ হয় তাতে বাংলার ৩০ লক্ষ লোক না খেয়ে মারা যায়। এই দুর্ভিক্ষ কিন্তু ফসল উৎপাদন কম হয়েছিল সে কারণে না,বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলা থেকে সব খাদ্য শস্য ব্রিটেনে নিয়ে মজুদ করা হচ্ছিল। যুদ্ধে যেখানে মাত্র ৪০ হাজার ব্রিটিশ সৈন্য লড়ছিল সেখানে ভারতীয় সৈন্য ছিল প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার। ভারতীয়রা মরেছেও যুদ্ধের ময়দানে অকাতরে।
দুর্ভিক্ষের অশনি সংকেত বেজে উঠার আগে বিষয়টি তৎকালীন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে জানানো হয়েছিল, তখন রাজা ছিলেন ষষ্ট জর্জ, মানে দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা। চার্চিল নিকৃষ্ট উত্তর দিয়েছিল।
একটা সোনার দেশকে মৃতপুরি বানালো যে ব্রিটেন, ব্রিটেন উপনিবেশবাদ, তারই প্রতিকী চিহ্ন বহন করতেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন। পরিণত বয়সেই মারা গেছেন। যে কোনো মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কিন্তু রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে পূর্ববঙ্গের মানুষের শোকটা তার রক্তের সাথে বেঈমানি। বাহাদুর শাহ পার্ক নামে ঢাকায় একটা পার্ক আছে। ওখানে ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতাকার্মী বিপ্লবীদের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।সিরাজউদ্দৌলার লাশ শহরে টেনে হিঁচড়ে নেয়া হয়েছিল।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ডকুমেন্ট নাড়াচাড়া করলে অপ্রকৃস্থ হয়ে যাই। ব্রিটিশ শোষণ থেকে মুক্তির জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছেন তরুন যুব শ্রমিক কৃষক। সেই বিপ্লবীদের বড় অংশ বাংলাদেশের। আমাদের পূর্বপুরুষ তাদের জীবন বাজি রেখে,ভয়াবহ ইন্টারোগেশনের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। আর আমরা আজ সেই ঔপনিবেশিক শোষনের চিহ্নের জন্য কাঁদছি। কী ভয়াবহ! কি বিশ্বাসঘাতকতা।
আন্দামানের জেলগুলোতে থাকা আমাদের বিপ্লবীদের দীর্ঘশ্বাস বাংলাদেশের আকাশে মেঘ হয়ে আসুক। এই কেতাদুরস্ত ফ্যাশনাবেল প্রজন্ম তার রক্ত দিয়ে পান করুক স্কচ।
বিদায় ★★★ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কিছু কথা কিছু হাসি ১ পর্ব
আমার ছাত্রী অবনিকে পড়াতে গিয়ে দেখলাম তাঁর আম্মু একটা ছেলের সাথে খুব অন্তরঙ্গ হয়ে বসে আছে। আমি তাদের দুজনকে দেখে লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। আমাকে দেখে তারা নিজেরাও নিজেদেরকে গুছিয়ে নিলো। আসলে মানুষের আসল চেহারাটা বুঝা যায় না। অবনির মা যে এরকম একটা খারাপ কাজ করতে পারে এটা কখনো আমার ভাবনায় আসেনি। তবে চাহিদার প্রয়োজনে মানুষ অনেক জঘন্য কাজও করে থাকে। নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট ছেলের সাথেও মানুষ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে সেটা আমি আজ বুঝলাম। আমি কিছু বলার আগেই অবনির মা আমাকে বলল,অবনি তো এখনো স্কুল থেকে ফেরেনি। আর আজ তুমি এতো আগেই পড়াতে আসবে সেটা বলবে না?
তখন আমি বললাম আজ মাসের শেষ তারিখ। তাই একটু আগেই পড়াতে এসেছি,টাকাটাও দরকার ছিলো।"
তখন অবনিরা মা বলল,
আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি বসো আমি টাকা নিয়ে আসছি।"
কিছুক্ষণ পর অবনির মা এসে আমার হাতে দশ হাজার টাকা দিয়ে বলল,
"ও হচ্ছে আমার খালাতো ভাই সুজন। অবনিকে ওর কথা বলার দরকার নেই। তোমাকে অগ্রিম মাসের টাকাটাও দিয়ে দিলাম। তোমার নাকি টাকার সমস্যা বলেছিলে। আজকে পড়াতে হবে না তুমি বরং কালকে এসো।"
টাকাটা নিয়ে আমি চলে আসি। অবনিকে পড়াই আজ ছয়মাস হতে চলল। সত্যি বলতে অবনিকে আমি টাকার জন্যই পড়াই। অবনির বাবার টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। তাঁর বাবা বিদেশ থাকেন তাই আমাকে মাস শেষে পাঁচ হাজার টাকা দিতে কোনো সমস্যা হয় না। দশ হাজার টাকা পেয়ে সেখান থেকে মাকে চার হাজার টাকা দিলাম। আর বোনকে এক হাজার টাকা। বাকিগুলো আমার প্রয়োজনে কাজে লাগাবো রেখে দিলাম। মাকে দেওয়া এটা আমার প্রথম কোনো উপহার। আমি এর আগে কখনো মাকে টাকা দেইনি। টাকা দেওয়ার পর মায়ের চোখে যে আনন্দটা দেখেছিলাম সেটার কাছে পৃথিবীর সব আনন্দ তুচ্ছ। এক হাজার টাকা পেয়ে আমার বোন এতোটা খুশি হবে ভাবিনি। কিন্তু যখন টাকা পেয়ে সে আমাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে ভাইয়া বলল। তখন মনে হলো এমন বোনের জন্য জীবনে কিছু করতে না পারলে জীবনের কাছে ঋণী থেকে যাবো।
পরের দিন অবনিকে পড়াতে গিয়ে দেখলাম অবনি খুব সুন্দর করে সেজেছে। আকাশী রঙের শাড়িতে মেয়েটাকে অন্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। তাই পড়ানোর সময় তাঁর দিক থেকে কেনো জানি চোখ সরাতে পারছিলাম না। আমার এমন অবস্থা দেখে অবনি বলল,
"স্যার আপনার কি কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে?"
নিজের ছাত্রীর মুখে এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা আনইজি ফিল করলাম। তারপরেও ধমকের শুরু বললাম।
"এসব কি প্রশ্ন? আমার গার্লফ্রেন্ড দিয়ে তুমি কি করবে? বাচ্চাদের এসব জানতে হয় না। তুমি পড়াশোনায় মনোযোগ দাও।"
তখন অবনি বলল,
"কে পিচ্চি? দেখেন আমি কতো বড় হয়ে গিয়েছি। আর ক্লাস নাইনে পড়া একটা মেয়েকে বাচ্চা বলা মোটেও উচিত না। আমার এক বান্ধবির বিয়ে হয়েছে,বাচ্চার মাও হয়ে গেছে। আর আপনি আমাকে বাচ্চা বলছেন।"
অবনির কথায় ঠিক। অবনিকে আজ মোটেও বাচ্চা বাচ্চা লাগছে না। বড়ই মনে হচ্ছে। শাড়ি পড়লে ছোট মেয়েদেরকেও অনেক বড় মনে হয়। অবনিকেও আজ বড়দের মতোই মনে হচ্ছে। আমি অবনির কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পারলাম না। অবনি আবার জিগ্যেস করলো।
"স্যার আপনি কিন্তু বললেন না,আপনার কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?"
তখন বাঁধ্য হয়ে বললাম।
"ছিলো একসময় তবে এখন নেই। এবার খুশি তুমি? তোমার প্রশ্নের উত্তর খুুঁজে পেয়েছো।"
তখন অবনির চোখেমুখে অনেক আনন্দ দেখতে পেলাম। আমার গার্লফ্রেন্ড নেই শুনে অবনি এতোটা খুশি হলো কেনো বুঝতে পারলাম না।
প্রায় ছয় মাস পর হঠাৎ করেই জানতে পারলাম অবনির মা প্রেগন্যান্ট। এমন অবস্থায় সব জায়গায় জানাজানি হয়ে গেলো। যেহেতু অবনিদের বাসায় আমি বাদে আর কোনো ছেলে যাওয়া আসা করতো না তাই সবাই আমার দিকে আঙুল তুলতে লাগলো,আমাকে সন্দেহ করতে লাগলো। অবনির মা যখন আমাকেই দোষ দিলো তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো। অবনির মা নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার নামে যে এতো বড় একটা মিথ্যা কথা বলবে আমি কখনো কল্পনা করিনি। অবনির সামনে সেদিন কি লজ্জাটাই না পেয়েছিলাম। কোনো অপরাধ না করেও আমি অবনির চোখের দিকে তাকাতে পারিনি। অবনি অনেক ঘৃণা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সে কাঁদতে কাঁদতে যখন বলল।
"স্যার আপনি চাইলে তো আমিই আপনাকে এই সুখটা দিতাম। আপনাকে আমি ভালোবাসতাম। আর আপনি কিনা আমার মায়ের সাথেই এটা করলেন? আপনার প্রতি যে রেসপেক্ট ছিলো সেটা আপনি রাখেননি। আপনি কখনোই একজন শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।"
কথা গুলোই বলেই অবনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমিও চলে আসি। এলাকার সবাই জেনে গিয়েছে বিষয়টা। তাই লজ্জায় কারো সামনে যেতে পারতাম না। বাসায়ও চুপচাপ থাকতাম,মা বাবা বোন কেউ আমার সাথে আগের মতো কথা বলে না। আমার জীবনটা যেনো একাকিত্বের এক নরকে পরিণত হলো। ঠিক এমন সময় আমার নরকীয় জীবনটাকে আরও বিষাক্ত করে তুলতে ফোন দিলো আমার প্রাক্তন।
মিলির সাথে আমার দুই বছরের সম্পর্ক ছিলো। হঠাৎ করেই একদিন প্রচণ্ড রাগারাগি হলো দুজনের মাঝে। সেদিনই ব্রেকআপ করলাম আমরা। তারপরে আমি আর তাকে কোনোদিন ফোন দেইনি। কারণ আমি আমার ইগোর সাথে কখনো আপোষ করতে চাইনি। সেও কখনো ফোন দেয়নি। আজ এতোদিন পর কেনো ফোন দিলো সেটার কারণ খুঁজতে গেলাম না। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো চির পরিচিত সেই কণ্ঠস্বর।
"তোমার সাথে বিচ্ছেদ হয়ে ভালোই হয়েছে। এমন একটা কাজ করবে কখনো ভাবিনি।"
"আমি ভেবেছিলাম এতোদিন পর ফোন দিয়ে তুমি জানতে চাইবে আমি কেমন আছি? কিন্তু তা না করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছো? এটা বলার জন্যই কি ফোন দিয়েছো?"
"সেটা বলার প্রয়োজন মনে হয়নি কারণ তুমি ভালোই আছো। সেজন্যই হয়তো নিজের থেকে বয়সে অনেক বড় একটা মেয়ের সাথেও অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে পেরেছো। ভালো না থাকলে মানুষ এমন কাজ করতে পারে? বল।"
"আর সবাই না হয় আমার সম্পর্কে জানে না তাই এমনটা বলছে। কিন্তু তুমি তো আমার সম্পর্কে সব জানো,আমাকে চেনো আমি কেমন মানুষ। তারপরেও এমনটা বললে? তোমার সাথে তো দুইটা বছর রিলেশন করেছি কখনো তো একটা চুমুও খেতে চাইনি তোমাকে। তুমিই বল,তোমার সাথে যদি আমি ফিজিক্যাল রিলেশন করতে চাইতাম তাহলে কি তুমি না করতে? আমার তো মনে হয় না তুমি না করতে। যেখানে তোমার মতো মেয়ের সাথে এমনটা করিনি সেখানে আমার থেকে বয়সে বড় একটা মহিলার সাথে এটা করবো কি করে ভাবলে তুমি?"
ঠিক এমন সময় বাবা আমার রুমে এসে পড়ায় আমি ফোনটা কেটে দিলাম। দীর্ঘ দুইমাস পর আমার রুমে কেউ আসলো,আমার সাথে কেউ কথা বলল। আমার তো ভালো লাগার কথা,খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না বরং বাবার কথাগুলো শুনে চোখের পানিটাকে অনেক চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারলাম না।
বাবা যখন বললেন,
"কয়েকদিন পর তোর বোনকে দেখতে আসবে। আমি চাই না তোর কারণে আমার মেয়ের বিয়েটা ভেঙে যাক। তুই এক বছরের জন্য এই বাড়ি থেকে চলে যা। সবাই জানবে তোকে আমরা ত্যাজ্যপুত্র করেছি। তোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। একবছরে যদি কিছু করতে না পারিস,নিজের বেঁচে থাকার মতো অবস্থা তৈরি করতে না পারিস তাহলে চলে আসিস। তখন তোর বোনের বিয়ে হয়ে যাবে। তাই আর কোনো সমস্যা হবে না। তবে আমি চাইবো না তুই আর কখনো এই বাড়িতে ফিরে আস। তোর কারণে আমি আমার মান সম্মান সব হারিয়েছি। কাজটা করার আগে তোর ভাবা উচিত ছিলো তোর সাথে তোর পরিবারের মানসম্মানটাও মিশে আসে। যাইহোক তোর মাকে আমি এখনো কথাটা বলিনি। তুই চলে যাওয়ার পরেই বলবো। আজ রাতেই চলে যাবি। তোর মা কিংবা বোনের সাথে দেখার করার দরকার নেই। টাকা লাগলে বল,দিয়ে দিবো।"
আমি কিছু বলতে পারলাম না। আমি জীবনে কোনোদিনও চিন্তা করিনি আমার বাবা আমার প্রতি এতো কঠোর হবেন কখনো। কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললাম।
"না কোনো টাকা লাগবে না।"
আমি লক্ষ্য করলাম আমার কান্না ভেজা কণ্ঠটাও বাবার ভিতরটাকে নাড়া দিতে পারলো না। বাবা আমার রুম থেকে চলে গেলেন।
ফোনের দিকে তাকাতেই দেখলাম একুশবার ফোন দিয়েছে মিলি। এখনো দিয়েই যাচ্ছে। তাঁর ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করছিলো না। কারণ সবকিছু গোছগাছ করতে হবে,আজকেই বাবা আমাকে চলে যেতে বলেছেন। জানি না কোথায় যাবো,যাওয়ার মতো তেমন কোনো জায়গাও নেই। তবে যেতো তো হবে। পৃথিবীটা তো অনেক বড়,কোথাও না কোথাও তো জায়গা হবে?
চলবে..........
#মেঘে ঢাকা আকাশ
#পর্ব-১
ইংরেজি শেখা
⭕ যেতে থাক ---keep going
⭕ খেতে থাক ---keep eating
⭕ পড়তে থাক ---keep reading
★ লিখতে থাক---keep writing
★ শিখতে থাক ---keep learning
★ করতে থাকো - keep doing
★ কাজ করতে থাক - keep working
★ কথা বলতে থাকো - keep talking
★ খুজঁতে থাকো - keep finding
★ সাহায্য করতে থাকো - keep helping
★ অর্জন করতে থাক ---keep acquiring
★ খেলতে থাক - keep playing
★ বলতে থাকো - keep saying
★ দৌড়াতে থাকো - keep running
★ তৈরী করতে থাকো - keep making
★ চেষ্টা করতে থাক--keep trying
" আপনার উপকার হবে আশা করি"
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ফেইসবুকের গল্প
চট্টগ্রামের রাউজানে বাজারের একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। লোভে পড়ে খাই।
আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।
গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।
একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"
ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।"
তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।
দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"
খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!
এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"
ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"
এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"
হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"
তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"
আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।
ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"
- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।
- বাড়িতে কে কে আছে ওর?
- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।
আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।
ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?
- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।
আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!
মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "
আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"
মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।
কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।
রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।
আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়।
আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।
- [সংগৃহীত]
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বিলাতের স্মৃতি,,,শাহ আবদুল করিম ফেইসবুকে
বিলাতের স্মৃতি শাহ্ আব্দুল করিম ফেইসবুকের থেকে নেওয়া,,,,,
#বিলাতের_স্মৃতি
স্বচক্ষে দেখিলাম যাহা বিলাতে তারা সবাই বাস করে এক ভালোবাসার জগতে ॥
বিলাতে পুলিশ যারা মানুষ নয় দেবতা তারা দিনরাত ঘোরাফেরা করতেছে পথে পথে । খায় না ঘুষ নাই দুর্নীতি সরল শান্ত শুদ্ধমতি জানে শুধু প্রেম প্রীতি মানুষকে ভালোবাসতে ॥
বাস করতেছে বহু জাতি নিরপেক্ষ ধর্মনীতি হিংসা নাই কারো প্রতি ধর্ম কর্ম করিতে । কী সুন্দর নীতি বিধান সবার অধিকার সমান যার তার ভাবে গায় গুণগান মসজিদ মন্দির গীর্জাতে ॥
সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার আলো সবাই যে পায় আনন্দে মন ভরে যায় এই সব কথা ভাবিতে । গড়ে তুলতে শিশুসন্তান তারা যে কত যত্নবান চায় তাদের ভবিষ্যৎ কল্যাণ উত্তম সমাজ গড়িতে ॥
কোনো সময় কেউ ব্যারাম হলে ডাক্তার আসে খবর দিলে হাসপাতালে রোগী গেলে রাখে পরম শান্তিতে । লাগে না টাকা পয়সা সবাই পায় সুচিকিৎসা সেবা যত্ন ভালোবাসা ভুল নাই কোনো জায়গাতে ॥
অন্যায় কিছু করতে চায় না অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। করে না প্রতারণা কোনো মানুষের সাথে । দেশের মূল বাসিন্দা যারা মিথ্যা বলে না তারা মানুষের উপকার ছাড়া চায় না ক্ষতি করিতে
সভ্য-ভদ্র তারা সবাই এতে কোনো সন্দেহ নাই বাস্তবে যা দেখিতে পাই আচার আচরণেতে চলাফেরা কথাবার্তায় যদি কোনো ভুল হয়ে যায় অমনি তারা ক্ষমা চায় অহংকার নাই মনেতে ॥
আস্তে আস্তে কথা বলে সদা মন কৌতূহলে একাত্ম হয়ে চলে নারী পুরুষ এক সাথে । নিরাপত্তা আছে সবার নাই কোনো জুলুম অত্যাচার কী সুন্দর আচার ব্যবহার চমৎকার সব দেখিতে ॥
চায় সদা সৎ আনন্দ ভালো বৈ করে না মন্দ গড় যাহা করেন পছন্দ তাই করে এ ধরাতে। জীব সমষ্টি শান্তির আশায় আজীবন চেষ্টা করে যায় ওরা সবাই তাই তো চায় ইসলাম যা চায় জগতে ॥
আছে জাতীয় একতা আছে তাদের মানবতা নাই পরশ্রীকাতরতা চায় সাহায্য করিতে । দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আদান-প্রদান চলাফেরায় পরম শান্তিশৃঙ্খলায় আছে সবাই শান্তিতে ॥
কাঁদে না কেউ পেটের ক্ষুধায় দেশের সমাজব্যবস্থায় কুকুর বিড়াল রেশন পায় সরকার দেয় হিসাব মতে । দেশে কেউ পাখি মারে না আইনত আছে মানা পাখিরা ভয় করে না ডাকলে আসে কাছেতে ॥
উন্নত ধনে জ্ঞানে দেশ গঠন জাতি গঠনে তারা কিন্তু সবাই জানে সময়ের মূল্য দিতে । কী করেছে দেশের ভিতর কে জানে তার আসল খবর করেছে সর্বাঙ্গীন সুন্দর বাহির ও ভিতরেতে ॥
অজস্র রাস্তা করেছে মাটির উপরে-নিচে ইঙ্গিতে লিখা আছে কে যাইবে কোন পথে । উন্নত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় দিন হতে রাত ভালো বুঝায় যে দিকে চাই মন ভুলে যায় ইচ্ছা হয় চেয়ে থাকতে ॥
মাদাম তোসা এক জায়গায় নাম একদিন মাত্র গিয়েছিলাম। কী যে আশ্চর্য দেখিলাম পারি না আর ভুলিতে। মরা মানুষ খাড়া সেথায় অবিকল জিন্দা দেখা যায় পলক মারে চোখের পাতায় চায় যেন কথা বলতে
পৃথিবীর গণ্যমান্য যারা ছিলেন স্বনামধন্য অনেকেরে স্মৃতির জন্য গড়ে রাখছে নিজ হাতে। এক ঘরের ভিতরে ভরা চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা আকাশমণ্ডল তৈয়ার করা বৈজ্ঞানিক কৌশলেতে
একদিন গেলাম মাটির তলে, তারা আণ্ডারগ্রাউন্ড বলে লাইন আছে ট্রেন চলে, চলে সহস্র পথে করেছে কী আজব লীলা – একতলা নয় সপ্ততলা হাট-বাজার খেলাধুলা শান্তি শৃঙ্খলাতে ॥
টেমস্ নদীর নিচ দিয়া দিয়াছে রাস্তা করিয়া গাড়ি ট্রেন এ রাস্তা দিয়া চলতেছে শতে শতে। উপরে চলে স্টিমার কী অপরূপ দৃশ্য তাহার আছে কত রঙের বাজার আমোদ প্রমোদ করিতে
রয়েছে উন্নত স্থান আসেন সেথায় আরবিয়ান দুনিয়ায় বেহেশতের বাগান বুঝিলাম ভাব-ভঙ্গিতে। আছে শরাবনতহুরা আছে সুন্দরী জহুরা এসব জায়গায় ধনী ছাড়া গরিব পারে না যাইতে
দেখিয়াছি রানির বাড়ি যেন এক স্বর্গপুরী
বাহির থেকে আফসোস করি, দেয় না ভিতরে যাইতে দিল্লির ময়ূর সিংহাসন কোহিনুর পরশরতন রেখেছে করিয়া যতন এই বাড়ির ভেতরেতে
রাজনীতির নাই সহস্র দল নাই ক্ষমতালোভী পাগল ছাত্ররা নহে চঞ্চল মারামারি করিতে । নেতারাও তাই করে না স্বজনপ্রীতির ধার ধারে না। অরা ক্ষমতায় যায় না ধনের পাহাড় জমাইতে
বাঙালি যারা আছেন বিলাতে বাস করিতেছেন স্কুল-কলেজ গড়িতেছেন বাংলার প্রসার ঘটাইতে । ছেলে-মেয়ে আছে যারা বুঝে না ইংরেজি ছাড়া বাংলা বলে না তারা একে অন্যের সাথে ।
সমষ্টির স্বার্থে কেহ নাই ব্যক্তিস্বার্থে পাগল সবাই আস্থাভাজন মানুষ চাই জাতির নেতৃত্ব দিতে । চাইলে জাতির উন্নতি ঠিক করতে হয় নীতি-গতি নইলে কেবল দুর্গতি ফল হয় না ভবিষ্যতে ॥
মুসলমান আলেম যারা ধর্ম-কর্মে ব্যস্ত তারা তাদের মধ্যে দুটি ধারা চলিতেছে দ্বিমতে । কেউ দুয়াল্লিন কেউ জুয়াল্লিন পড়েন ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ করেন আসলে কেউ কি পারেন নিজকে সামাল দিতে ॥
মসজিদ মাদ্রাসা হয়েছে জানি না কী হবে পাছে ধর্মীয় অধিকার আছে মাইকযোগে আজান দিতে। হয়তো কেউ দিবেন গালি আসল কথা যদি বলি চলিতেছে দলাদলি মসজিদ-মাদ্রাসাতে ॥
উনিশশো পঁচাশি সনে বিলাত থেকে কয়েকজনে হঠাৎ ভাবিলেন মনে সিলেটের শিল্পী আনতে । শিষ্য মোর রুহি ঠাকুর, কাজি আয়েশা, শফিকুন নুর হাফিজ উদ্দিন বড় চতুর যোগ দিবে সে তবলাতে ॥
তারা আমায় বলিল, দেশ দেখতে চাও তবে চলো আমারও ইচ্ছা ছিল, চলিলাম তাদের সাথে । বিলাতে যখন পৌছিলাম সর্বমোট আষ্টজন ছিলাম দেশ এবং মানুষ দেখিলাম – পড়িলাম ভাবনাতে ॥
দেখলাম যত বলব কত দেখে হলেম মর্মাহত আমি কেন নীতিগত পারলাম না সেবক হতে । মানুষের সঙ্গে চলি সুখ দুঃখের কথা বলি মানবরূপী দানবগুলি, মিল নাই ওদের সাথে ॥
বাউল আবদুল করিম বলে সৎ এবং সরল হলে ভবিষ্যতে শান্তি মিলে পরশ মিলে লোহাতে । জ্ঞানের কমল যদি ফোটে আলো আসে আঁধার টুটে বিরাজ করে প্রতি ঘটে যারে খোঁজে জগতে।।★★★
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************
★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...