এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪

এই বাংলার শিক্ষক মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা,,,,,, ফেইসবুক মুহিন রায় থেকে নেওয়া

 ⭕ এই বাংলার শিক্ষক

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা। 


হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে  বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, স্যার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?


তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন  তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি। 


সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহা, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?" 


হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।


বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে  শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে 

বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের  ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো;


ম‌নে আছে স্যার,

একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে  আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি।  সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার  চাই। অতপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি  চুরি করি।

কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে  আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।

হ‌্যাঁ আপনার বার্তা শু‌নেও  আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লে‌াভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি  সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।

আমরা সবাই  আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।

আপনি  এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে  আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তুু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ। 

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে  তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য  আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ  আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে  চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন। 

সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি।  তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে  সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও  মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে। 

সা‌বেক ছা‌ত্রের  কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তুু  আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও  বন্ধ ছিল।


সংগৃহীত।

ফেইসবুক মুহিন রায় থেকে নেওয়া 



স্ট্রবেরি চাষের সতর্কতা,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

❏ স্ট্রবেরি চাষের সতর্কতা

☞ শিকড়

৯৯% লোক সবথেকে একটা বড় ভুল করে বসে, যেটা হল – গাছের ক্রাউন অংশটি মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে স্ট্রবেরি গাছের শিকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না। ৭০% শিকড়, মাটির উপরিভাগ থেকে মাত্র তিন ইঞ্চির মধ্যেই থাকে। তাই বেশি নজর দিতে হবে টবের এই অংশেই।


লক্ষ রাখবেন- টবের উপরিভাগ অতিরিক্ত শুকনো বা বসে না যায়, মাটি যেনো ঝুরঝুরে থাকে। আবার বেশি জল দিলেই শিকড় পচে যাবে, তাই টবের জল নিকাশি ব্যাবস্থা ঠিক রাখতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে জল দিলেই হবে। এই গাছের শিকড় আলো বাতাস খেতে ভালোবাসে, তাই টবের উপরিভাগে জল জমতে দেওয়া যাবে না।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 



 ছিলে না তুমি ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 জানো নিরু তুমি কিন্তু বিয়ের আগেই আমার আমানত অন্য কাউকে দিয়েছিলে,

এটার জানার পর ও আমি তোমার সাথে আজ ২০বছর একই ছাদের নিচে কাটিয়েছি...!


নিরুপমা অবাক হয়নাহ, সে জানে তার স্বামী জানতো,  জেনেও তার কাছে কোনোদিন জানতে চায়নি কিছুই..!


তোমার মনে প্রশ্ন আসেনাহ নিরু? আমি কেনো এটা জেনেও তোমার সাথে এতো বছর সংসার করলাম..!

এমনকি এমন কোনোদিন কাটেনি আমি তোমায় ভালোবাসা অনুভব করাইনি! তোমার অভিযোগ এর স্বীকার ও হলাম না।


স্বামীর কথায় নিরুপমা চায়ের কাপে আরেকটা চুমুক বসালো,


ওদিকে, সাহিল অধির আগ্রহে প্রিয়তমা স্ত্রীর পানে চেয়ে আছে, তার আগ্রহ নিয়ে...!


অর্ধেক চা পান করে নিরুপমা এবার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,


আমি যখন বাবাকে জানাই আমি একজনকে ভালোবাসি,.!

ওইদিন বাবা আমায় কিছু না বললেন না, কেননা জানতেন আমি কোনোকিছু বললে ওটা পাওয়ার জন্য কতোটা জেদ নিজের মাঝে আমি জমিয়ে রাখি।


বাবা ভেবেছিলো আমাকে কিছু না জানিয়ে হয়তো বিয়ে দিয়ে দিলে আর ৫টা মেয়ের মতোন আমিও মেনে নিবো সব।


তাই আমাকে কোনো কিছু না বলেই আপনার সাথে বিয়ে টা ঠিক করে নিলো,


বিয়ের ২ঘন্টা আগেও জানতাম না আজ আমার বিয়ে, জানলে হয়তো বাড়ি থেকে কবেই পালিয়ে যেতাম।

নিজের মন নয় শুধু দেহ টাও যে তার নামে করে ফেলেছি সে খবর বাবাকে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা।


বাবা তো.! কি করে বলি? 


অন্ধকার নেমে এলো যেন, আপনার সাথে বলার সুযোগ হলোনা একটি বার যে আমি একজনকে ভালোবাসি..!


বিয়ের পর রাতেই আমাকে আপনার সাথে পাঠানো হলো চিটাগাং ..!


কে জানতো এই আশা আমায় এমনভাবে আনবে আমি আর কোনোদিন কুমিল্লাতে ফিরতে পারবোনা!


জানেন আমি আপনাকে মেনে নিতে পারিনি! হয়তো আজ ও কোনোদিন যদি সুযোগ হয় আমি এই সংসার ধর্ম ছেড়ে পালাবো..!


যাকে ভালোবেসেছিলাম এতো, তাকে মুছতে হয়তো আজ ও পারিনি..!

শুধু ইচ্ছে জাগে তার আমাকে মনে পড়ে?

নাকি স্বার্থবাদী পুরুষের খাতায় নাম লিখে সেও আমায় মুছে নিয়েছিলো?


যদি তা না হয়, কই খোজ করতে এলোনা তো? অথচ আমায় ছাড়া তার দিন কাটতোনা।

আর আজ ২০বছর কেটে গেলো?


নিরুপমা হাসে, এই হাসি হয়তো জীবনের প্রতি তার পাওয়া তাচ্ছিল্যের হাসি....!!


সাহিল নিরুপমার চশমা পড়া চোখের কোণের পানি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে,


আর মনে মনে বলে,

তোমার প্রেমিক তোমায় খুঁজেনি কে বলল নিরু?

সে তোমায় খুজতে আসেনি!

বরং তোমার সাথে তার করা কিছু বাজে ছবি আমায় আর তোমার বাবাকে দেখিয়ে তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো।


যার আচঁ যেন তোমার গায়ে না পড়ে তাইতো আজ ২০টা বছর এই বুকে আগলে রেখে দিয়েছি।

কুমিল্লার গন্ধ তোমার নাকে আসতে দিয়নি।


আমি চাইনা আমার প্রিয়তমার ক>লংক তার হৃদয়ে দাগ কাটুক।

আমি বরং তাকে অন্ধকারে রেখেই আমার আলো দিয়ে যাবো ভালোবেসে....!

ছিলে না তুমি ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী- পর্ব- ৩০ পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী- পর্ব- ৩০
পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল-
বাংলা সাহিত্যে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর সাহিত্যে এককভাবে কোনো বিশেষ ধর্মের প্রভাব ছিল না। ব্যক্তিজীবনেও নজরুলের মধ্যে ধর্মীয় উদারতা লক্ষণীয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগে তাঁকে কোনো বিশেষ ধর্ম-গোষ্ঠীর কবি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। ‘তিনি বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের কবি’—নজরুলকে নিয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গি এসেছে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠারও বেশ পরে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপর শাসকগোষ্ঠীর কাছে বিদ্রোহী কবির মূল্যায়ন ছিল ভিন্ন রকম।
১৯৪৭-এর আগস্টে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়, কাজী নজরুল ইসলাম সে সময় অসুস্থ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী ভারতে অবস্থান করছিলেন। বেশ কিছু উন্নতমানের ইসলামি কবিতা ও গান রচনা করলেও ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের বিষয়ে খুব একটা যত্নবান ছিলেন নজরুল—এমন প্রমাণ মেলে না। তিনি বিয়ে করেছিলেন হিন্দু নারীকে, ফলে তাঁর পরিবারে খুব নিষ্ঠভাবে ধর্মের চর্চা ছিল—এটা বলা কঠিন। অন্যদিকে, কবি প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে কমিউনিস্ট রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯২৬ সালে পূর্ববঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চ পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন-প্রত্যাশী হয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। স্বভাবত, এ দুই কারণে স্বাধীনতার পরপর পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকেরা নজরুলকে খুব একটা পছন্দ করেননি। উল্লেখ করা যেতে পারে, এ সময়ের প্রায় সব জ্যেষ্ঠ আমলা ছিলেন অবাঙালি। ফলে নজরুল এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তাঁদের সম্যক ধারণা না থাকা অসম্ভব নয়।
কিন্তু পরবর্তীকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছে। রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ও জনপ্রিয়তাকে খাটো বা প্রতিহত করার জন্য পাকিস্তানিদের কাছে এ সময় আদরণীয় হয়ে ওঠেন নজরুল। বলা ভালো, এ সময় নজরুলের ইসলামি গান-কবিতাসহ তাঁর বিচিত্র রকম সৃষ্টির চর্চাও শুরু হয় জোরেশোরে। একই সঙ্গে আরম্ভ হয় নজরুলকে ‘সাচ্চা মুসলমান’ হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস।
তবে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম দিকে কীভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছিল নজরুলকে, অবাঙালি পাকিস্তানি আমলাদের কাছে কেমনভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন তিনি, সেটি বোঝা যাবে নিচের সরকারি নথিতে থাকা দুই ঘটনা থেকে। ইংরেজি ভাষায় দুটি ঘটনাই লেখা রয়েছে সরকারি নথিতে। বর্তমানে নথিগুলো জাতীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষিত আছে।
প্রথম ঘটনা
১৯৫০ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগ ‘ফুলার রোড’-এর নাম ‘কবি নজরুল অ্যাভিনিউ’-এ পরিবর্তন করার একটি প্রস্তাব নোটশিটের মাধ্যমে উত্থাপন করে। নোটশিট থেকে বোঝা যায়, প্রস্তাবটি সিবি অ্যান্ড আই (কনস্ট্রাকশন, বিল্ডিং অ্যান্ড ইরিগেশন) বিভাগ থেকে ১৯৫০-এর জুলাই বা তারও আগে উত্থাপন করা হয়। সিবি অ্যান্ড আই বিভাগের কোনো নথি নোটশিটে সংযুক্ত না থাকায় বোঝা যায় না যে কেন এবং কখন এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নোটশিটের প্রথমেই স্বরাষ্ট্র বিভাগের সূত্রপাতকারী কর্মকর্তা নিচের কারণগুলো উল্লেখ করে ফুলার রোডের নাম নজরুল অ্যাভিনিউ হিসেবে পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন:
১. কবি এখনো বেঁচে আছেন।
২. তিনি কখনো পাকিস্তানে আসা এবং এখানে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। এখনো তিনি আধা হিন্দু (গুজবে জানা যায়) জীবনযাপন-পদ্ধতি অব্যাহত রেখেছেন।
৩. যদি প্রস্তাবটি কার্যকর করা হয়, তবে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টির সুযোগ বা যুক্তি সৃষ্টি হবে এই কারণে যে, একটি ইসলামিক রাষ্ট্র এমন একজন মানুষকে সম্মানিত করেছে, যে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছায় অ-ইসলামিক জীবনযাপন বেছে নিয়েছে।’
এরপর স্বরাষ্ট্র বিভাগের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ১৯৫০-এর ৩ সেপ্টেম্বর নিচের মতামত দেন:
‘যদি ফুলার রোডের নাম পরিবর্তন করা হয়, তবে তা হওয়া উচিত এমন একজনের নামে, যিনি মুসলমান ও পাকিস্তানের প্রীতি ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। কবি হিসেবে তিনি [নজরুল] যাঁদের প্রীতি অর্জন করেছেন, তাঁরা ব্যতীত এই প্রদেশের সাধারণ মানুষ তাঁর [নজরুল] প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তাই প্রস্তাবটিতে স্বরাষ্ট্র বিভাগ সম্মতি দিতে পারে না। যদি তাঁর নাম এই প্রদেশের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হয়, তবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম বিবেচনায় আনার পর তা করা উচিত।’
নোটশিটের শেষে ৩ অক্টোবর পূর্ব বাংলা সরকারের উপসচিব ডি কে পাওয়ার নিম্নোক্ত মতামত দেন:
‘সড়কের নাম পরিবর্তন অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগ যোগ্য কর্তৃপক্ষ নয়। যত দূর জানি, এই ক্ষমতা যে সড়কের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের ওপর এককভাবে ন্যস্ত—সাধারণভাবে পৌরসভা। কিন্তু এইচ অ্যান্ড এলএসজি বিভাগের পাতা ৩-এ প্রদত্ত নোট দেখে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে এই বিষয়টি সিবি অ্যান্ড আই বিভাগের আওতাধীন। যাহোক, যেহেতু সিবি অ্যান্ড আই বিভাগ আমাদের মতামত চেয়েছে, তাই তাদের বিবেচনার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সুপারিশ দাখিল করলাম।
‘অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কাজী নজরুল ইসলাম এ সময়ের সবচেয়ে খ্যাতিমান মুসলিম কবি, যিনি বাংলায় [সাহিত্য] রচনা করেছেন। তাঁর জীবনের কিছু সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাঁর নামে সড়ক নামকরণের বিরুদ্ধে হাজির করা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর কোনো অন্তরঙ্গ সম্পৃক্ততা নেই। উপরন্তু তিনি বসবাস করছেন ভারতে। তথাপি সম্ভবত এই সরকার তাঁর জন্য কিছু ভাতা বরাদ্দ করেছে। আমি অনুমান করি, কিছু বছর ধরে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন। আমার ধারণা, মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে তিনি এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছেন এবং আংশিক হলেও ইসলামি জীবনযাপন পরিত্যাগ করেছেন। তাই তাঁর নামে সড়কের নামকরণ হলে, কোনো বিশেষ গোষ্ঠী থেকে এই অজুহাতে বাধা আসতে পারে যে তিনি পাকিস্তান নামের ইসলামি রাষ্ট্র থেকে এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন, যেহেতু পাকিস্তানের কীর্তিমান সন্তানদের এখনো স্মরণীয় করা হয়নি। তাই এই পরিকল্পনাটি পরিত্যাগ করাই হবে অধিক নিরাপদ—এটাই আমাদের সুপারিশ।
‘যাহোক, যদি সম্মিলিত মতামত প্রস্তাবের পক্ষে যায়, তবে রাজনৈতিক নয়, বরং ভাষাতত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি নিচের মন্তব্যটি পেশ করব। “নজরুল ইসলাম” নামটির একটি অর্থ (অন্যান্য মুসলমান নামের মতো) ও ধর্মীয় তাৎপর্য আছে। তাই এর অংশ মাত্র—যেভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে—ব্যবহার করা আপত্তিকর মনে হবে। আমি আরবি-বিশারদ নই, তবে মনে হয়, আমি সঠিক যদি বলি “নজরুল” অর্থ “দৃষ্টিশক্তি”, “দৃষ্টিগোচরতা” এবং এর সঙ্গে সামান্য ব্যাপ্তি ঘটালে মানে দাঁড়ায় “ইসলামের শোভাময় দৃষ্টিগোচরতা” বা “মহিমা”। “উল” শব্দের পরপরই থেমে যাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক হবে এবং অ্যাভিনিউয়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটালে তা আরও উদ্ভট মনে হবে, যদি না কেউ ভুলে যায় যে এই নামের একটি স্বকীয় অর্থ আছে।
‘শেষে আমি এই কথাই বলব, যদি সড়ক নামকরণের মাধ্যমে আমরা জাতীয় বীরদের স্মরণীয় করতে চাই, তবে আমাদের সেসব সড়ক নির্বাচিত করতে হবে, যেগুলোর ইতিমধ্যে নামকরণ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের নামে, যাঁদের পাকিস্তানে স্মরণীয় করা উচিত হবে না।
‘আমি ঢাকা শহরে “সুভাষ অ্যাভিনিউ”-এর চিন্তা করছি এবং সম্ভবত অন্যান্য পৌরসভায়ও এ ধরনের আরও অনেকে আছেন, বিশেষ করে দেশভাগের আগে যে এলাকাগুলোতে অমুসলিমদের সংখ্যাধিক্য ছিল।’
এরপর নথিটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ১৯৫০ সালের ৮ নভেম্বর মহাফেজখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ঘটনা
১৯৫১ সালের প্রথমার্ধে নজরুল ইসলামের সাহায্যার্থে দিনাজপুরে ‘নজরুল এইড কমিটি’ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৮৯ টাকা ৮ আনা সংগ্রহ হয়। কমিটি সংগৃহীত টাকা কলকাতায় বসবাসরত কবিকে পাঠানোর কোনো বৈধ পথ না পেয়ে দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিএম) শরণাপন্ন হয়। ১৯৫১ সালের ২৭ জুন ডিএম পত্র মারফত পূর্ব বাংলা সরকারের স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেন। ডিএম পত্রে উল্লেখ করেন যে বর্ণিত অর্থ কমিটির সভাপতির নিকট গচ্ছিত রয়েছে। মুদ্রা বিনিময়ের জটিলতার কারণে তা কবির কাছে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র বিভাগকে যত দ্রুত সম্ভব কবির কাছে অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র বিভাগ ১১ জুলাই একটি নোটশিটের সূত্রপাত করে। সূত্রপাতকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন:
‘এটি বোঝা গেল না যে হিন্দুস্থানের একজন বিশেষ ব্যক্তির ত্রাণের জন্য কেন পাকিস্তানিরা অর্থ প্রেরণ করবে, যখন শত শত মুসলিম পিয়ন এর চেয়েও অত্যধিক দুর্বিষহ অবস্থায় তাদের দিন কাটাচ্ছে। ডিএমের পত্রটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য অর্থনৈতিক বিভাগে প্রেরণ করা যেতে পারে এবং ডিএমকে অবহিত করা যেতে পারে।’
এরপর প্রায় পাঁচ মাস গত হয়ে গেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর আসেনি। ইতিমধ্যে কমিটি বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিনাজপুরে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার স্থানীয় সাব-এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, কবির কলকাতার ঠিকানা দিলে তাদের ঢাকা অফিসের মাধ্যমে এই টাকা কবিকে পৌঁছে দেওয়া যাবে। ২৭ নভেম্বর ডিএম আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে কবির ঠিকানা জানতে চান। ঠিকানা না পাওয়া গেলে অগত্যা এই টাকা কী করা হবে, চিঠিতে সেই পরামর্শও চাওয়া হয়।
আগের নোটশিট ও দিনাজপুরের ডিএমের দ্বিতীয় চিঠিতে প্রদত্ত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র বিভাগ ৮ ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি চিঠি দেয়। ডেপুটি হাইকমিশনার কবির ঠিকানা (১৬ রাজেন্দ্র লাল স্ট্রিট, টপ ফ্লোর, কলকাতা-৬) সংগ্রহ করে ২৮ ডিসেম্বর জানিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র বিভাগকে। তারপর ১৯৫২-এর জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র বিভাগ দিনাজপুরের ডিএমকে কবির ঠিকানা দেয়। এরপর কী ঘটেছিল, তার কোনো উল্লেখ নথিতে আর পাওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র- : পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল
লিখক-  মুহম্মদ লুৎফুল হক
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা ২০শে মে ২০১৬, প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণ

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ -১১-০১-২০২৪ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ -১১-০১-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ ——— পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা। 


নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা ——— বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণের আগে সাংবাদিকদের বললেন ওবায়দুল কাদের।


প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও ব্রুনেই এর সুলতান।


 জাতিসংঘের তিন সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। 


গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দায়ের করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার শুনানি করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত । 


জাম্বিয়ায় কলেরায় প্রায় তিনশো মানুষের মৃত্যু ——— ১০ লাখ ডোজ টিকা পাঠাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । 


এবং মোহালিতে তিন ম্যাচ টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটিতে এখন স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে খেলছে আফগানিস্তান।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদতারিখ - ১০-০১-২০২৪ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ - ১০-০১-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদান করলেন রাষ্ট্রপতি ——— আগামীকাল শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সংসদ নেতা পুনর্নির্বাচিত।


বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত ——— দিবসটি উপলক্ষে এক মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না।

 

১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দেশের বিজয় পূর্ণতা পায় ——— মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নি সন্ত্রাস নির্মূল করে ’স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ে তোলা ——— বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ।

 

ফিলিস্তিনি সরকারের সংস্কার নিয়ে আলোচনার জন্য রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


এবং আগামীকাল মোহালিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি—টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ:০৯-০১-২০২৪ খ্রি: ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০৯-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ - নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪১ দশমিক আট শতাংশ - জানালেন সিইসি।


আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর দলের বিজয়কে জনগণের বিজয় অভিহিত করে বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য এ নির্বাচন যুগান্তকারী ঘটনা।


নির্বাচনে জয়লাভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার অভিনন্দন।


জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ পরিচালনা করবে আওয়ামী লীগ - বললেন দলের সাধারণ সম্পাদক।


ব্রাজিলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত।


কলম্বোয় দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দুই উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ:০৮-০১-২০২৪ খ্রি: ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০৮-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-…


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল  আওয়ামী লীগ। 


যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনের স্বচ্ছতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ ।


নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় অবাধ  নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে - মন্তব্য সিইসির।


সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বিকেলে সৌজন্য বিনিময় করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।


কাবুলে বাসে বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত ।


আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে বাংলাদেশ দল ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ:০৬-০১-২০২৪ খ্রি: ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০৬-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-…


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল - আজ মধ্যরাত থেকে কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা।


শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আইন-শৃংখলা বাহিনী - নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সন্তোষ প্রকাশ।


কমনওয়েলথ এবং ওআইসির পর্যবেক্ষকরা অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সঠিক চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন - আশা প্রকাশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ।


নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নৈরাজ্যের পরিকল্পনা আগের মতো এবারও ভেস্তে যাবে - বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।


রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জন নিহত - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক ।


চলতি বছর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশগ্রহণের বিষয়ে শুনানি করবে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।


আজ কলম্বোতে প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি জিম্বাবুয়ে।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

অথচ বর্তমানে অধিকাংশই এই নাপাক প্রাণীটাকে গৃহপালিত বানিয়ে ফেলছে। 

 অথচ বর্তমানে অধিকাংশই এই নাপাক প্রাণীটাকে গৃহপালিত বানিয়ে ফেলছে। 


ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম।ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচড় টা নরমাল ছিলো তাই তিনি এতোটা পাত্তা দেয় নাই বিষয় টা।রেবিস হওয়ার পর ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন।তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু।রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়।।সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেখলাম নার্স রা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে,আর রুম কে তালা মেরে দিয়েছে,কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় সামনে যাকে পাবে তাকে কামড় বা আঁচড় দিবে,এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও মৃত্যু ১০০০% নিশ্চিত হয়ে যাবে।।দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর বাঁচার জন্য কি করলো,কত চাইলো রুম থেকে বের হতে,রুমের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে,এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খাই।কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলো না,তারা বললো তিনি আর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে অপেক্ষা করুন,ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না।একটা দেশি মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে চটপট চটপট করে মৃত্যু হয় জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম সেম ভাবে হয়।।।

১৪০০শ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী।।১৪০০ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন করা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক,কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাকের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে সে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের,রেবিস ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না,রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়,প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইনজুরি করে দেয়,পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে,আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়,গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারবে না,গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না,তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়।।তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন।আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে,আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়,মেডিকেল সায়েন্স বলছে,কুকুরের লালা তে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে,কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে,এই চাটার কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীল পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুরুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে ১৫ মিনিট ওয়াশ করবেন।।তাই সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন।কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে ১৫ মিনিট কাপড়কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপর বেরিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন,আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায়  দিবেন না,যে কোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায়  দিবেন না,আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত না,একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না,ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা লাগে না হয় সেই ভেকসিন কাজ করবে না  ,।মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর।।বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।তাই বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে।একবার আপনার শরীলে রেবিস ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নাই।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।।। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে।।২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।।

আমার পোষ্টটা সবাই শেয়ার করবেন যাথে সবাই একটু সতর্ক হয়।রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়।কেউ যদি কখনো কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন,ইনশাআল্লাহ আমি আমৃত্যু সবাইকে সাহায্য করবো,আমি চাইনা এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।।কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ।আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই দি না সবাই দয়া করে একটু সচেতন হয়।।


Cltd


জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...