এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪

ভেষজগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি গাছ স্টেভিয়া সৃষ্টিকর্তার এক অলৌকিক সৃষ্টি,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ভেষজগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি গাছ স্টেভিয়া সৃষ্টিকর্তার এক অলৌকিক সৃষ্টি। এ গাছ শত শত বছর ধরে প্যারাগুয়ের পাহাড়ি অঞ্চল রিওমন্ডে এলাকায় চাষাবাদ হয়ে এসেছে। প্যারাগুয়ের গুরানী ইন্ডিয়ান নামক উপজাতীয়রা একে বলে কাহিহি অর্থাৎ মধু গাছ। ১৮৮৭ সালে সুইজ উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড. এমএস বার্টনি প্রথম স্টেভিয়াকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। পৃথিবীতে স্টেভিয়ার প্রায় ৯০টি জাত এবং ২৪০টি প্রজাতি আছে। এদের মধ্যে স্টিভিয়া রিবাউডিয়ানা প্রজাতির পাতায় সবচেয়ে মিষ্টি উপাদান রিবাউডিওসাইড যৌগটি রয়েছে।


স্টেভিয়া গাছের সবুজ পাতাই মিষ্টি উপাদানের উৎস।  চিনির চেয়ে স্টেভিয়ার পাতা ৩০-৪০ গুণ বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়া পাতা সংগ্রহের পর সূর্যালোকে বা ড্রায়ারের মাধ্যমে শুকান হয়। তারপর ক্রাশ করে পাউডারে পরিণত করা হয়। এক কেজি পাতা শুকিয়ে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম পাউডার পাওয়া যায়। স্টেভিয়া পাতার ১০০ গ্রাম নির্যাস থেকে ৪০ কেজি চিনির সমপরিমাণ মিষ্টি পাওয়া যায়। প্রসেস করলে মিষ্টির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। পাতা থেকে রিফাইন করা স্টিভিওসাইডের স্বাদ সাদা চিনির মতো এবং সাদা চিনির চেয়ে প্রায় ৪০০ গুণ বেশি মিষ্টি! 

স্টেভিয়ার কাঁচা বা শুকনো পাতা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায়। প্রতি ১ কেজি খাবার মিষ্টিকরণের জন্য মাত্র ৭.৯ মিলিগ্রাম স্টেভিয়াই যথেষ্ট! এক গ্লাস পানিতে একটি কাঁচাপাতার রস মিশালেই অনেক মিষ্টি হয়ে যায়। খাবার এবং পানীয় দ্রব্যে ব্যবহার করা যায় স্টেভিয়া পাউডার, ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ। চা-কফিতে স্টেভিয়ার ব্যবহার বিশ্বব্যাপী। ১ কাপ চায়ে চা চামচের মাত্র ৪ ভাগের ১ ভাগ স্টেভিয়া পাউডারই যথেষ্ট! 


ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি(EFSA) মানুষের ব্যবহারের জন্য স্টেভিওল গ্লাইকোসাইড ৪ মিলিগ্রাম/কেজি অ্যাডভাইজড ডেইলি ইনটেক(ADI) রেকমেন্ড করে। অর্থাৎ একজন মানুষের দিনে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ৪ মিলিগ্রাম পরিমাণ স্টেভিয়া(প্রসেসড) কনজিউম করা নিরাপদ। উদাহরণস্বরূপ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৭০×৪= ২৮০ মিলিগ্রামের বেশি স্টেভিয়া খাওয়া উচিত নয়।

মাত্রাতিরিক্ত স্টেভিয়া খেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (সুয়েলিং, বমি বমি ভাব, ব্যথা, পেশী দুর্বল হওয়া, মাথা ঘোরা, অ্যালার্জি ইত্যাদি) সৃষ্টি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে স্টেভিয়ার মূত্রবর্ধক ক্রিয়া(Diuretic) আছে। স্টেভিয়া কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে- 'স্টেভিয়া প্রাকৃতিক সুইটনার তাই মানবশরীরের জন্য নিরাপদ।' স্টেভিয়া পাতায় থাকে খনিজ, বিটা ক্যারোটিন, এন্টিওক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। চিনির পরিবর্তে নির্ভয়ে স্টেভিয়া ব্যবহার করতে বলেন চিকিৎসকেরা। ইউকে গভর্নমেন্টের পুষ্টি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মার্গারেট অ্যাশওয়েল গবেষণা করে দেখেছেন- 'স্টেভিয়া কনজিউম করলে স্থূলতা কমে।' স্টেভিয়া পাউডার দিয়ে বানানো মিষ্টান্ন ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।


১৯৬৪ সালে প্যারাগুয়েতে স্টেভিয়ার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়। জাপানে শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। অল্পদিনের মধ্যেই ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইসরাইল, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া প্রভৃতি দেশে বাণিজ্যিকভাবে স্টেভিয়ার চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চীনে স্টেভিয়ার ব্যাপক চাষ হলেও বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিক দিয়ে জাপান বেশি এগিয়ে গেছে। জাপানে প্রায় ৪০ শতাংশ চিনির চাহিদা মেটানো হয় স্টেভিয়া দিয়ে।

ক্যান্সার সৃষ্টিকারক হওয়ার কারণে ১৯৭০ এর দশকে জাপান সরকার আর্টিফিশিয়াল সুইটনার নিষিদ্ধ করে। জাপানে ১৯৭৩ সালের দিকে ৪৩ টি রিসার্চ সেন্টারে স্টেভিয়ার চাষ ও প্রাকৃতিক সুইটনার বানানো নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই জাপানি সিজনিং, কোমল পানীয় এবং আইসক্রিমে স্টেভিয়ার ব্যবহার শুরু হয়। জাপানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই নিশ্চিত করা হয়েছে যে মানুষের জন্য স্টেভিয়ার ব্যবহার নিরাপদ। বর্তমানে সেখানে কৃত্রিম চিনি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেমিক্যাল সুইটনারের বদলে তারা স্টেভিয়া ব্যবহার করে। 

ভারতে ২০১১ সালে স্টেভিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

 

কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রি, চিনি কোম্পানি, আর্টিফিশিয়াল সুইটনার কোম্পানি এবং চিনি রপ্তানি নির্ভর কিছু দেশ স্টেভিয়াতে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে বহুদিন অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্বয়ং USFDA (Food and Drug Administration) এর গবেষণায়ই প্রমাণিত হয়েছে- 'স্টেভিয়াতে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ নেই।' আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি স্টেভিয়াকে নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বেলজিয়ামের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইয়ান গ্যোন্স বলেন, "শুধু সুগার লবিই নয় কেমিক্যাল সুইটনার্স কর্পোরেশন গুলোও স্টেভিয়ার অগ্রযাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ অথচ ভোক্তারা চায় ন্যাচারাল সুইটনার্স৷ ইউরোপীয় আইন প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য বাজারে আসতে বাধা দিচ্ছে ফুড সেফটির ছুতোয়৷ টোবাকো লবির মত সুগার লবিও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছে৷''


১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টেভিয়া ব্যান করা হয়। স্টেভিয়াকে USFDA নিষিদ্ধ করেছিল একটি ডামি গবেষণার ভিত্তিতে। যেখানে দাবি করা হয়েছিল স্টেভিয়া ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। মনসান্টো এটিকে বাজার থেকে সরিরে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্টেভিয়া যেন অনুমোদন না পায় সেজন্য সুগার ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক লবিং করেছিল। পরবর্তীতে সত্যিকারের গবেষণা প্রকাশিত হলে FDA স্টেভিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাধ্য হয়। একটি ফলো-আপ রিসার্চ আগের ডামি গবেষণাকে ভুল প্রমাণ করে। ১৯৯৫ সালে ইউএসএফডিএ স্টেভিয়াকে সুইটনার হিসাবে নয় শুধু নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্টারি হিসাবে আমদানি এবং বিক্রি করার অনুমতি দেয়।  

২০০৮ সালে স্টেভিয়াকে এফডিএ থেকে GRAS (সর্বসাধারণের জন্য নিরাপদ) স্বীকৃতি এবং মেইনস্ট্রিম মার্কিন ফুড প্রোডাকশনে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে স্টেভিয়া দিয়ে সব ধরনের খাবার এবং পানীয় তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাটোরেড ফিট, ভিটামিন ওয়াটার জিরো, সোবি লাইফওয়াটার, কোকা-কোলা লাইফ এবং ক্রিস্টাল লাইট সহ আরো অনেক ফুড ও বেভারেজ প্রোডাক্টের উপাদান হিসেবে স্টেভিয়া ব্যবহার হয়। 


বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি মানুষ চিনির বিকল্প হিসাবে স্টেভিয়া ব্যবহার করে৷ তবে স্টেভিয়া এখনো চিনির স্থান দখল করতে পারেনি৷ ২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বীকার করে যে স্টেভিয়ার উপাদান স্টিভিওল গ্লাইকোসাইড মানুষের জন্য নিরাপদ এবং ২০১১ সালে স্টেভিয়া ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্টেভিয়াকে পুরোপুরি ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করছে৷ কমার্শিয়াল ইউজের জন্য এখনো আনপ্রসেসড স্টেভিয়া অনুমোদিত নয়। 

WHO এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন৷ বিশ্বে চিনি কনজিউম হয় প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মেট্রিক টন৷ মিষ্টি জাতীয় খাদ্য বিক্রি হয় ৬০ বিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ৷ বাজারে স্টেভিয়া সহজলভ্য হলে ইউরোপীয় চিনি উৎপাদনকারীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে!


স্টেভিয়া পাতায় থাকা স্টেভিওল গ্লাইকোসাইড, রেবাউডিওসাইড-এ, স্টেভিওসাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং টেরপেন যৌগগুলো স্টেভিয়ার মিষ্টতা ও ঔষধি গুণের জন্য দায়ী। স্টেভিয়াতে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণ এবং স্থূলতা থেকে রক্ষা করে। ইনফ্লামেশন ও টিউমারের বৃদ্ধি থামাতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

স্টেভিয়ার উপাদান ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করতে পারে, যা রক্তনালীকে শিথিল করে এবং প্রশস্ত করে দেয়। এইভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে স্টেভিয়া। স্টেভিয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ব্যাড এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা। 

ইতিহাসবিদ ব্রিজেট মারিয়া চেস্টারটন বলেছেন, "ডায়াবেটিস আধুনিক রোগে পরিণত হওয়ার আগে স্টেভিয়া ডায়াবেটিসের একটি ওষুধ ছিল" 


স্টেভিয়া পাতা—

• ডায়াবেটিস ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে

• উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে

• যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও প্লীহায় পুষ্টি সরবরাহ করে

• অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে

• ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে

• ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বাড়ায়

• দাঁতের ক্ষয় রোধ করে

• ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দমন করে

• খাদ্য হজমে সহায়তা করে

• শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে


• অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক: এটি অগ্ন্যাশয় কোষের কার্যকলাপ, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং ইনসুলিন উৎপাদন ইমপ্রুভ করতে পারে। যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় সহায়ক।

• অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ: স্টিভিওসাইড যৌগ রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়াল কোষে ক্যালসিয়াম আয়নকে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে রক্তচাপ কমায় এবং হাইপারটেনসিভ রোগীদের রক্তনালী সংকোচন হ্রাস করে।  

• অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার মধ্যে রয়েছে ওপিজেনিন, কেমফেরল এবং কুয়েরিট্রিন। এগুলো ডিএনএ স্ট্র্যান্ডের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

• অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক: স্টিভিওল গ্লাইকোসাইড চারটি উপাদান নিয়ে গঠিত। যথা- স্টিভিওসাইড, রিবাউডিওসাইড-এ, রিবাউডিওসাইড-সি এবং ডুক্লোসাইড-এ। এগুলো অ্যান্টি-কারসিনোজেন হিসেবে ১২-০-টেট্রাডেকানয়লফোরবোল-১২-অ্যাসিটেট (TPA) দ্বারা প্রদাহ সৃষ্টিকে দৃঢ়ভাবে বাধা দেয়।

• অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল: স্টেভিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি ঠেকায়।

• অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: স্টেভিয়া প্রদাহ এবং ইমিউনো-মডুলেশন কমাতে সহায়ক। এটা কোষে প্রদাহ সৃষ্টিকারক এজেন্টগুলোর সংশ্লেষণ হ্রাস করে।

• কার্ডিওভাসকুলার অ্যাক্টিভিটি: স্টেভিয়ার কার্ডিওটোনিক অ্যাকশন মানুষের সংবহনতন্ত্রের ক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।

• ডাইজেস্টিভ টনিক এক্টিভিটি: স্টেভিয়া ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের উন্নতি ঘটায় এবং ক্ষুধা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

• ডার্মাটোলজিকাল অ্যাক্টিভিটি: স্টেভিয়াকে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার(যেমন- ব্রণ) একটি কার্যকর ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্টেভিয়ার নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের গঠন উন্নত করে এবং ত্বক ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।


বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি স্টেভিয়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এদেশে সারা বছরই লাভজনকভাবে স্টেভিয়া চাষ করা সম্ভব। বৃষ্টির পানি জমে না এরকম জৈব পদার্থযুক্ত লাল ক্ষারীয় মাটিতে স্টেভিয়া ভালো জন্মে। হেক্টরপ্রতি ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার কেজি শুকনো পাতা উৎপাদন হয়। ভারতে বিভিন্ন কোম্পানি চাষীদের চুক্তিভিত্তিক চারা সরবরাহ করে এবং তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে স্টেভিয়া পাতা কিনে নেয়। আমাদের দেশে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে একই পদ্ধতিতে তামাক চাষ করা হয়। ক্ষতিকর তামাক চাষের পরিবর্তে ঐ অঞ্চলে স্টেভিয়া চাষ হতে পারে। 

বাসাবাড়িতে সহজেই স্টেভিয়া চাষ করা যায়। সারা বছরই বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে টবে স্টেভিয়া চাষ করা সম্ভব। বাংলাদেশে বিএসআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন ২০০১ সালে। বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কুয়াশা মাহমুদ জানান, "ঔষধি উদ্ভিদ স্টেভিয়া সহজে চাষ করা যায়। টবেও চাষ করা যায়। বাংলাদেশের যেকোনো এলাকায় এর চাষ সম্ভব। একবার লাগালে তিন থেকে চার বছর নতুন করে চারা লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। স্বল্প শ্রম ও খরচে স্টেভিয়া উৎপাদন হয়।"

Red Pill 

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


তথ্যসূত্র: 

১। https://daily.jstor.org/

২। www.acefitness.org/

৩। https://livingratio.com/

৪। www.usatoday.com/

৫। www.verywellhealth.com/

৬। Ingredion.com

৭। সায়েন্স ডাইরেক্ট

৮। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেক ইনফরমেশন

৯। globalsteviainstitute.com 

১০। cancer.gov

১১। www.jagonews24.com/

১২। www.ittefaq.com.bd/

১৩। http://krishi.gov.bd/content

১৪। https://yua.sheerherb-bio.com/

১৫। www.jugantor.com




রুটি  ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!',,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!' 


রাজার রাজ্যে ১ লোক রুটি বিক্রি করতো। সে একমাত্র রুটি বিক্রেতা। 

সে একদিন রাজার কাছে গিয়ে বললঃ 'হুজুর, অনেক বৎসর ৫ টাকা করে রুটি বিক্রি করি। এখন দাম বাড়িয়ে ১০ টাকা করতে চাই। আপনি যদি অনুমতি দেন!' 


রাজা বললেন, 'যা কাল থেকে ৩০  টাকা রুটির দাম!' 

দোকানী বলল, 'না হুজুর, আমার ১০ টাকা হলেই চলবে!' 


রাজা বললেন, 'চুপ করে থাক! আর আমি যে দাম বাড়াতে বলেছি, কাউকে বলবিনা!' 


রুটি ওয়ালা খুশিমনে ফিরে গেল। 

পরদিন থেকে তার রুটির দাম ৩০ টাকা!


সারা রাজ্যে প্রতিবাদ! জনগণ ক্ষেপে গিয়ে রাজার কাছে বিচার দিল, 'হুজুর, আমাদের বাঁচান! এ কি অন্যায়! ৫ টাকার রুটি ৩০ টাকা হলে আমরা বাচবো কি খেয়ে!'


রাজা হুংকার দিলেন, 'রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!' 


তারপর ঘোষণা দিলেন কাল থেকে রুটির দাম অর্ধেক (মানে ১৫ টাকা!) 


সারা রাজ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেল! শুধু এমন একজন রাজা ছিলো বলে! না হলে জনগণের কি হতো!


রুটি ওয়ালা খুশি! 

জনগণও খুশি!

রাজাও খুশি! 

এরপর রাজা গোপনে রুটিওয়ালাকে ডেকে আনলো ও বলল তুমি রুটির দাম ১০ টাকা রেখে বাকি ৫ টাকা আমাকে দিবে কেউ যেন না জানে।


(সংগৃহীত)



সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:৩০-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:৩০-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আজ - ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি।


আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।


দেশের স্বার্থে কোনো অপশক্তিকে সহ্য করা হবে না - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীকে হস্তান্তরের জন্য কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে - বললেন প্রতিমন্ত্রী।


চিরশত্রু ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে চার ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান।


সিলেটে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজ নিজ খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের জয়লাভ।


সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৯-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৯-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:…


সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর।


রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানালেন শেখ হাসিনা।


জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তাগিদ দিলেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা এবং দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি।


নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ - বললেন ওবায়দুল কাদের। 


মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


জর্ডানের সিরীয় সীমান্তের কাছে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সৈন্য নিহত।


বিপিএল ক্রিকেটে আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স- চট্টগ্রাম চ্যালঞ্জার্সের এবং দুর্দান্ত ঢাকা- খুলনা টাইগার্সের মোকাবেলা করবে।


সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৮-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৮-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


সরকারের নানা উদ্যোগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে – আশাবাদ ওবায়দুল কাদেরের।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ’র শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হলো ৫০ - প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ।


গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে আই সি জে’র রায়ের পর আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।


টানা দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিসে নারী এককের শিরোপা জিতলেন বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কা।


মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি! মাননীয় হুইপ!  আজ দুটি কথা আপনাকে নিয়ে লিখবো।,,,,,, Nazmul h khan ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি! মাননীয় হুইপ! 


আজ দুটি কথা আপনাকে নিয়ে লিখবো। 

ছোট্ট বেলায় পড়েছিলাম "অসি অপেক্ষা মসী অধিক শক্তিশালী " তাই আমার অসি না থাকলেও যেটুকু মসী শক্তি আছে আমি চালিয়ে যাবো। কেউ আমার লেখা পড়ুক আর না পড়ুক আমি লিখেই যাবো।এটাই আমার প্রত্যয়।এটাই আমার ইচ্ছা, এটাই আমার ভিতরের দাবি। 

এবার আসি মূল কথায়..... 

 ২০০১ সাল হবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক আগুন ঝরা বোলার যুক্ত হয়েছে নাম তার মাশরাফি বিন মর্তুজা! নামের প্রতি সুবিচার করার আগেই শুনতে পেলাম তিনি ইনজুরি আক্রান্ত। ইংল্যান্ড গেছেন চিকিৎসা হতে। চার বা ছয় সপ্তাহের রেস্ট, এর মধ্যে খেলতে পারবেন না। দুমড়ে মুচড়ে গেল মনটা। 

ইনজুরি থেকে ভালো হয়ে বাংলাদেশ দলে আবার আগুন ঝরা বল করা শুরু করলেন।ভক্ত হয়ে গেলাম মাশরাফির। বাংলাদেশ তখন হাঁটাহাঁটি পা পা করে দুই একটা ম্যাচ জেতা শুরু করছে।তাও আবার কেনিয়ার বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের নিকট হারে। শ্রীলংকার নিকট পাত্তাই পেত না। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কে তো বাঘের মতো ভয় পেত বাংলাদেশ।

বলার ছিল শান্ত, তাপস বৈশ্য,স্পিনে মোহাম্মদ রফিক। তাছাড়া ভালো মানের কেউ ছিল না। স্পিন যায় হতো ফাস্ট বোলে তুলা ধুনা ধুনে দিতো। মাশরাফি যখন নিয়মিত খেলা শুরু করলো বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিলো,পাকিস্তান কে সামান্যের  জন্য জেতা ম্যাচ হেরে গেলো, কেঁদে ফেলতাম খেলা দেখে। প্রায়ই এমন হতো। তীরে এসে তরী ডুবে যেত। মন খারাপ হতো। তারপরও আমরা মাশরাফি, রফিক, এনামুল হক মনিদের জন্য আশায় বুক বেঁধে থাকতাম, এবার জিতবো। 

বাংলাদেশ শিবিরে মোহাম্মদ আশরাফুল যখন আসলো আমরা অস্ট্রেলিয়া কে হারিয়ে দিলাম, তাদের মাঠে।আমাদের বোলার ভালো, ব্যাটসম্যান ভালো, ম্যাচ জেতা শুরু হলো। ২০০৭ বিশ্বকাপে আমারা দূর্দান্ত খেললাম।বাঘা বাঘা তিনটি দলকে হারিয়ে সেকেন্ড রাউন্ডে উঠলাম। 

এই ভাবে অনেক ধারাভাষ্য দেওয়া যাবে অসংখ্য অসংখ্য ভালো প্লেয়ার আমাদের বাংলাদেশ টিমে আসা যাওয়া করছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 

মাশরাফি আমাদের দল নেতা, কান্ডারী, নাবিক। তিনি সঠিকভাবে দল পরিচালনা করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে নিয়ে গেছেন। 

আজ, মাশরাফি কে নিয়ে আশরাফুল যে কথা বলছে, আমি মনে করি মাশরাফির আর খেলা উচিৎ না। তার মতো প্লেয়ার দুই তিন পা দৌড়ে বল করে??  তার বলে ব্যাটসম্যান চার ছয় মারার জন্য মুখিয়ে থাকে, ভাবলেন কেমন যেন মনে হয়। 

মাশরাফি, বস, ক্যাপেটন আপনি আর খেলেন না। আপনার জন্য নাকি বিপিএলের মান কমে যাচ্ছে। আপনার জন্য নাকি একজন তরুণ বলার দলে চান্স পাচ্ছে না, আপনি আর খেলেন না। আপনি কিছু মনে না করলেও আমার মন হাউমাউ করে কেঁদে উঠছে।আপনি অবসর নেন। আপনি বিসিবির সভাপতি হোন,আপনি ক্রিকেট খেলা নিয়ে থাকেন, কোন সমস্যা নেই। বাংলার লক্ষ কোটি জনতা আপনাকে কোন দিন ভুলবে না। সবারই তো একদিন ছাড়তে হয়। আপনি ছেড়ে দেন। আমরা আপনার নিয়ে কেউ কথা বলুক সহ্য করতে পারছিনা। নক্ষত্রেরও পতন হয়।সেই ভাবেই না হলো আপনার পতন হোক, তাও চাই আপনি আর খেলেন না। সিলেট টিমের মালিক আপনাকে যতো চাপই দিক না কেন?? শান্তর নিকট দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আপনি বসে যান। আপনার জন্য নাকি বিপিএল খেলার মেরিট কমে যাচ্ছে!! দেশে বিদেশে এই খেলা প্রচার হচ্ছে। আপনার নামে এই কলংক আর শুনতে মন চাচ্ছে না। এবার বসে যান। আপনার অবদান আমরা যারা আপনার সমসাময়িক বয়সের মানুষ কোন দিন ভুলবো না। আপনি মাশরাফি, আপনি ক্যাপ্টেন,আপনি বাংলাদেশ। স্যালুট মাশরাফি, স্যালুট ক্যাপ্টেন।



সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:২৭-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:২৭-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পুননির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের অভিনন্দন অব্যাহত - শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তানের।


বিএনপি নির্বাচনে না এসে কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই টের পাবে - মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


সংসদের আগামী অধিবেশনেই শ্রম আইন পাস করা হবে - জানালেন আইনমন্ত্রী ।


ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হলেন দেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। 


গাজার হাসপাতালগুলোকে সামরিক কাজে ব্যবহারের ইসরাইলের দেওয়া প্রমাণ উপেক্ষা করে হামাসের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ।


ব্লুমফন্টেইনে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রকে ১২১ রানে হারিয়ে সুপার সিক্স পর্বে উঠেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪,,,,,,

 রাজধানীর ঢাকার উপকণ্ঠে তুরাগ নদীর তীরে প্রায় 160 একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে,যে বিশাল ভূমির উপর বিশ্ব ইজতেমাকে উছিলা করে  লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগম ঘটেছে, তা হঠাৎ করেই হয়ে যায়নি। যতটুকু জানা যায়, তাবলীগ জামাতের সর্বপ্রথম ইজতেমা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর পূর্বে ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদের পাশে রমনা পার্কে।

* এরপর ১৯৪৭ সালে তাবলীগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইল মসজিদে।

* এরপর ১৯৪৮ সালে তৎকালীন চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে।

* এরপর ১৯৫৮ সালে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।

তারপর থেকে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর খোলা মাঠে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব  ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়,যা অদ্যবদি পর্যন্ত চলে আসছে।

এই বিশ্ব এজতেমায় প্রায় 40 থেকে 50 লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

 প্রায় ১৩০টি দেশ থেকে অর্ধালক্ষের উপরে মেহমান এতে অংশগ্রহণ করেন।

*তাবলীগ জামাতের প্রাণপুরুষ হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রা:) সর্ব প্রথম এই তাবলীগের কাজ শুরু করেন দিল্লির মেওয়া থেকে।(জন্ম ১৩০৩ হি:১৮৮৪ইং

২| দ্বিতীয় আমির ছিলেন হযরত মাওলানা ইউসুফ (র:)

৩|তৃতীয় আমীর ছিলেন মাওলানা এনামুল হাসান কান্ধলভী (রা:)

*বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাবলীগ জামাতের আমীর ছিলেন, খুলনা জেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের প্রাণপুরুষ মাওলানা আব্দুল আজিজ

 (রা:) যা বর্তমানে মজলিসে শুরার ভিত্তিতে পরিচালিত।

মজলিসের শুরার সদস্য গনের মধ্য থেকে অন্যতম হলেন,

১|মাওলানা জুবায়ের সাহেব (দা:বা:)

২|মাওলানা রবিউল হক সাহেব ( দা:বা:)

৩|মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব (দা:বা:)

৪|মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব(দা:বা:)

সবচেয়ে খুশির সংবাদ হল, এত বড় বিশাল এন্তেজামের কোন কেন্দ্রীয় তহবিল বা ফান্ড নেই। এবং বয়ানের জন্য কোন পোস্টারিং, লিফলেট করা হয় না, পূর্ব ঘোষিত কোন নামও প্রকাশ করা হয় না।

আল্লাহ তাআলা মুরুব্বিদের এই মেহনত এবং বিশ্ব ইজতেমা কে কবুল আর মঞ্জুর ফরমান আমীন।

আগামী ২,৩,৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ইজতেমাকে আল্লাহ তায়ালা ভরপুর কামিয়াব করুন আমীন।




সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪

আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়।,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়।


 বাংলাদেশের অর্থকরী ফল। বাংলাদেশের ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে আমকে। আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধারণত মার্চ মাসের দিকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু করে। মুকুলে অনেক পরিমাণে ফুল থাকে। আসুন জেনে নিই আমের মুকুল ও কুড়ি ঝরা রোধে করণীয়:-


আমরা অনেক সময় ভাবি আমদের গাছে অনেক মুকুল আসছে কিন্ত তবুও কেন ফুলগুলো ঝরে পরে যাচ্ছে, এই সমস্ত কথা অনেক আম চাষিই বলে থাকে। আম গাছের একটা ডালে অনেকগুলা ফুল থাকে, যদি ওই একটা ডাল থেকে একটা ফল ও হয় তাহলে একে বাম্পার ফলন বলা হবে। কিন্তু এই বাম্পার ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।


তারপরও অনেক সময় পত্রিকার পাতায় দেখা যায় বৃষ্টি বা ঝড়ের জন্য আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। যেখানে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার কথা সেখানে আম ঝড়ে পরছে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির জন্য অথবা পরিচর্যার অভাবে। তাহলে এই মুকুল ঝড়া প্রতিরোধ করা কতটা জরুরী। এর জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। তার আগে জেনে নিই আমের মুকুল কি এবং মুকুল ঝড়ে পরার কারন কি?


আমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ:


মূলত আমের ফুলগুলোকে একত্রে আমের মুকুল বলা হয়ে থাকে। আমের মুকুলের মধ্যে হাজার হাজার ফুল থাকে। পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল একসাথেই থাকে। এই মুকুল থেকেই আমের গুটি আসা শুরু করে। এই মুকুল থেকে আমের গুঁটি জন্মায়।


(১) হপার পোকার আক্রমণ মুকুল ঝড়ে পরার একটি অন্যতম কারন। একটা হপার পোকা প্রায় ১৫০টা ডিম পাড়তে পারে। এই ডিম গুলা পরে ৫-৭ দিনের মাথায় ডিম ফুটে নিম্ফ হয় এবং এই ডিম গুলো পরে আম গাছের পাতা, ফুল, ফলের রস শুষে খায় তখন এক ধরণের রস নিঃসরণ করে যাকে ”হানি ডিউ” বলে। এই আঠালো একটা পদার্থের জন্য আম গাছে শুটি মোল্ড নামে এক ধরণের ছত্রাক জন্মায় ফলে সম্পূর্ণ গাছের পাতা, মুকুল কালো হয়ে যায়। তখন বলা হয় মহালাগা।


(২) অ্যানথ্রাকনোজ রোগ আমের মুকুলে হয়ে থাকে। এটি কোলিটোট্রিকাম গোলেসপোরিওডিস (Colletotrichum gloeosporioides) নামক এক প্রকার ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এই রোগের ফলেও আমের মুকুল ঝড়ে পড়ে।


(৩) পাউডারী মিলডিউ ওডিয়াম মেংগিফেরা (Oidium mangiferae) নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের কারণে আক্রান্ত অংশে সাদা পাউডারে আমের মুকুল ঢেকে যায় ও আমের মুকুল ঝড়ে যায়। এখন আমাদের যেই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


(৪) প্রাকৃতিক কারণ যেমন বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, শিলা বৃষ্টির জন্য মুকুল ঝড়ে পরে।


(৫) মাটিতে রসের অভাব হলে আমের মুকুল ঝড়ে পরে যায়।


আমের মুকুল ঝড়ে পরা রোধে করণীয়:


(১) আমবাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আগাছামুক্ত ও খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে । মরা ডালপালা ছেঁটে ফেলতে হবে। রোগাক্রান্ত ডাল, পাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।


(২) শীতের পর গরম শুরু হয়।এই সময়টাতে আম গাছের প্রচুর পানির প্রয়োজন পরে। তাই গাছের গোড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।


(৩) ফুল থেকে যখন ফল মটর দানার মতো হবে তখন একটা স্প্রে করতে হবে হপার পোকা দমনের জন্য। সাধারণত মুকুল আসার আগে হপার পোকার জন্য স্প্রে করতে হয়।হপার পোকার জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লেবাসিড ৫০ ইসি চা চামচের ৪ চামচ ৮.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করতে হবে। অথবা ম্যালাথিয়ন বা এমএসটি ৫৭ ইসি উপরোক্ত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।এছাড়া সাইপারমেথ্রিন১০ ইসি(সিমবাস বা রিপকর্ড)@ ২মিলি./১লি. স্প্রে করা যেতে পারে।


(৪) আমটা যখন গুটি আকার ধারণ করবে তখন ১০-২০ দিন পর পর বোরিক এসিড@৬ গ্রাম/১০ লি. পানি স্প্রে করলে আমের গুটির পরিমাণ বেড়ে যাবে।


(৫) সালফার জাতীয় কীটনাশক আমের গুটিতে স্প্রে করতে হবে যাতে ছত্রাক আক্রান্ত না করতে পারে।অথবা ম্যানক্রোজেন ২ গ্রাম/লি. নামক ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। ব্যাভিসটিন WP ০.২ % হারে অথবা ডাইথেন-এম ০.৩ % হারে দুই বার ফুল ধরার আগে ও পরে স্প্রে করতে হবে।


(৬) পাউডারী মিলডিউ রোগ দমনে থিয়োভিট ০.৩ % হারে ফুল ফোটার পূর্বে এক বার ও পরে দুই বার স্প্রে করতে হবে। ম্যালাথিয়ন ০.২ % হারে ফুল ফোটার পর একবার ও গুটি আসার পর ১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করতে হবে।


৭) আম যখন মারবেলের মতো ছোট ফল হবে তখন ইউরিয়া সার @২০ গ্রাম/লি. স্প্রে করতে হবে।


(৮) আম গাছের পাশে মৌমাছি পালন করতে হবে প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য। এছাড়া আম বাগানে বিভিন্ন জাতের আম গাছ লাগানোর করতে হবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ফুল গাছ লাগাতে হবে যাতে বিভিন্ন পোকামাকড় পরপরাগায়নে সহযোগিতা করে।

লক্ষ্য রাখতে হবে গাছে যখন ফুল ফুটে যাবে তখন কোনো প্রকার স্প্রে করা যাবে না। আম গাছে মুকুল আসার আগে স্প্রে করা যেমন জরুরি না, তেমনি মুকুল ফোটার পর স্প্রে করার জরুরি নয়। কেননা এই সময় অনেক উপকারী পোকারা পরাগায়নের জন্য আসে।


কৃষিবিদ সমীরন বিশ্বাস

এগ্রিকেয়ার ২৪.কম:


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম সেরা পাঁচ গান:  *সাবিনা ইয়াসমিন:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম সেরা পাঁচ গান: 

*সাবিনা ইয়াসমিন: 

১.সব কটা জানালা খুলে দাও না(দেশাত্মবোধক)

২.সেই রেললাইনের পাশে মেঠো(দেশাত্মবোধক)

৩.মাঝি নাও ছাইড়া দে(দেশাত্মবোধক)

৪. মাগো আর তোমাকে ঘুমপাড়ানি মাসি হতে দিব না(দেশাত্মবোধক)

৫.পৃথিবী তো দুইদিনের ই বাসা(মরনের পরে) 


*রুনা লায়লা: 

১.একাত্তরের মা জননী(বিক্ষোভ)

২.বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়(বিক্ষোভ)

৩.তুমি আমার জীবন(অবুঝ হৃদয়)

৪.ও বন্ধুরে প্রাণ বন্ধুরে(মেঘ বৃষ্টি বাদল)

৫. ও কি কাজল ভ্রমরা( রঙিন রাখাল বন্ধু) 


*সৈয়দ আব্দুল হাদী: 

১.আমি তোমারি প্রেম ভিখারি(চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা)

২.কথা বলবো না বলেছি(আঁখি মিলন)

৩.পৃথিবীকে সাক্ষী রেখে(মহামিলন)

৪.পৃথিবী তো দুইদিনের ই বাসা(মরনের পরে)


*সুবীর নন্দী: 

১.তুমি সুঁতোয় বেঁধেছো শাপলার ফুল(হাজার বছর ধরে)

২.আশা ছিল মনে মনে(হাজার বছর ধরে)

৩.আমায় বড় ডিগ্রি দিছে মা(বিক্ষোভ)

৪.পিঁপড়া খাইলো বড়লোকের ধন(মায়ের অধিকার)

৫.কোন ডালে রে পাখি তুই(আনন্দ অশ্রু)


*এন্ড্রু কিশোর: 

১.আমার বুকের মধ্যিখানে(নয়নের আলো)

২.আমার সারা দেহ(নয়নের আলো)

৩.ভালো আছি ভালো থেকো(তোমাকে চাই)

৪.পড়েনা চোখের পলক(প্রানের চেয়ে প্রিয়)

৫.ঘুমিয়ে থাকোগো স্বজনী(নারীর মন) 


*খালিদ হাসান মিলু: 

১.যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে(প্রানের চেয়ে প্রিয়)

২.অনেক সাধনার পরে(ভালোবাসি তোমাকে)

৩.জীবনে বসন্ত এসেছে(নারীর মন)

৪.প্রেম কখনো মধুর(মহৎ)

৫.সাথী তুমি আমার জীবনে(চাওয়া থেকে পাওয়া)


*কনকচাঁপা: 

১.তুমি আমার এমনই একজন(আনন্দ অশ্রু)

২.কত মানুষ ভবের বাজারে(লাভ স্টোরি)

৩.আমার হৃদয় একটা আয়না(ফুল নেবো না অশ্রু নেবো)

৪.একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাকো(ভুলনায় আমায়)

৫.তোমায় দেখলে মনে হয়(বিয়ের ফুল)


*সামিনা চৌধুরী: 

১.আমার গরুর গাড়িতে(আঁখি মিলন)

২.আমি তোমার দুটি চোখে(নয়নের আলো)

৩.না বোল না(না বোল না)

৪.আমি জায়গা কিনব কিনব বলে(আধুনিক)

৫.নদী চায় চলতে(না বোল না)


*আইয়ুব বাচ্চু: 

১.আম্মাজান আম্মাজান(আম্মাজান)

২.অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে(লুটতরাজ)

৩.এই জগত সংসারে(তেজী)

৪.তোমার আমার প্রেম(আম্মাজান)

৫.স্বামী আর স্ত্রী(আম্মাজান)


*মনির খান: 

১.এই বুকে বইছে যমুনা(প্রেমের তাজমহল)

২.তুমি খুব সাধারন একটি মেয়ে(দুই নয়নের আলো)

৩.ঈশ্বর আল্লাহ বিধাতা জানে(আব্বাজান)

৪.চিঠি লিখেছে বউ আমার(আধুনিক)

৫.ভাড়া করি আনবি মানুষ(আধুনিক)

হৃদয় সাহা


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...