এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোং ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোং ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।


ইতিমধ্যে এমআরটি লাইন -৬ এর দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। 


[১] এম আর টি লাইন-১

----------------------------

দৈর্ঘ্য : ২৬.৬ কি. মি. রুট : হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর - খিলক্ষেত -কুড়িল- যমুনা ফিউচার পার্ক- বাড্ডা -রামপুরা -মালিবাগ- রাজারবাগ- কমলাপুর এবং কুড়িল হতে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত। নগর এলাকাতে বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে যাবে। 


[২] এম আর টি লাইন-২

___________________

ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল (মাস র্যাপিড ট্রানজিট -এমআরটি লাইন- ২) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাপান সরকারের সহযোগিতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেটপার্টনারশিপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় এটি নির্মাণ করা হবে। 


[৩] এমআরটি লাইন -৩ 

-----------------------------

নামে যে প্রকল্প সেটি গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ হবে। এটিকে বলা হচ্ছে মেট্রোরেল বিআরটি। এর নির্মাণ এখন চলছে। মেট্রোরেল নিয়ে সরকারের এই পরিকল্পনার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত জানান বুয়েটের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল ইসলাম।


[৪] এমআরটি লাইন-৪ 

_______________

২০৩০ সালের মধ্যে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


[৫] এম আর টি লাইন-৫

________________

দৈর্ঘ্য : ১৯.৬ কি. মি. রুট : হেমায়েতপুর- গাবতলি-টেকনিক্যাল-মিরপুর ১- মিরপুর ১০- মিরপুর ১৪- কচুক্ষেত- বনানী-গুলশান২- নতুন বাজার-ভাটারা।


[৬] এমআরটি লাইন-৬ 

-------------------------------

ঢাকা মেট্রো লাইন ৬ হল ঢাকা মেট্রো রেলের একটি রেলপথ। উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের এই রুটের দূরত্ব ২০.১ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট। ১৬টি স্থানে স্টেশন থাকবে।



অনু গল্প বাবার ঋণ আজ টুইটার থেকে নেওয়া

 বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো”।বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) “একটা গল্প শুনবি?”ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-“বলো বাবা শুনবো……”তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখোনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর ‘মা কে ‘সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো।

সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়েগেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মা কেও না।
একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি ল্যাপটপ এর জন্য। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে ল্যাপটপ টা কিনে দিয়েছিলাম। আমার তখনকার এক টাকা তোর এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্র্যান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন সুগার মাপাই । জানিস আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে তাঁত মেলায় ঘুরে বেড়াই।
বাবারা নাকি “খাড়ুশ টাইপের” হয় । আমিও আমার বাবাকে তাই ভাবতাম । পুরুষ থেকে পিতা হতে আমার কোনো কষ্ট হয়নি, সব কষ্ট তোর মা সহ্য করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর পিতা থেকে দ্বায়িত্বশীল পিতা হবার কষ্ট একজন পিতাই বোঝে। যুগে যুগে সর্বস্থানে মাতৃবন্দনাহলেও পিতৃবন্দনা কোথাও দেখেছিস ?
পিতৃবন্দনা আমি আশাও করি না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না,তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না। আমি তোর পেছনে আমার যে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যায় করেছি তা হয়তো তুই তিন বছরে শোধ দিতে পারবি…কিন্তু যৌবনে দেখা আমার স্বপ্ন গুলো ?
যে স্বপ্নের কাঠামোতে দাঁড়িয়ে তুই আজ তোর ঋণশোধের কথা বলছিস.সেই স্বপ্ন গুলো কি আর কোনোদিন বাস্তব রুপ পাবে ?আর যদি বলিস বাবা আমি তোমার টাকা না তোমার ভালোবাসা তোমায় ফিরিয়ে দেব, তাহলে বলবো বাবাদের ভালোবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি, ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো….যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই।
কাকে বাঁচাবি ?( ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা! )উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!আমি শুধু আল্লাহর কাছে একটা জিনিস চাই।আমার শেষ যাত্রায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি –তোকে কোলে নেবার ঋণ ।


২০২৩ সালে মহাকাশে মানুষের চমকপ্রদ যত কর্মকাণ্ড,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ***২০২৩ সালে মহাকাশে মানুষের চমকপ্রদ যত কর্মকাণ্ড***


**বিজ্ঞান এবং মহাকাশ ভ্রমণের জগতে ২০২৩ সালে ঘটেছে কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা। ঘটনাগুলো যেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর উপন্যাস থেকে উঠে এসেছে।**


দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ সালের মহাকাশের সবচেয়ে নজরকাড়া কয়েকটি মুহূর্ত।


**মহাকাশে পর্যটন**


শখের তোলা আশি টাকা। তবে আপনার শখ যদি হয় মহাকাশ ভ্রমণ? সামর্থ্য থাকলেও সেটি পূরণ করা কয়েক বছর আগেও ছিল অসম্ভব।


কিন্তু আমরা এখন এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি, যেখানে কারও সামর্থ্য থাকলেই তিনি মহাকাশে ভ্রমণ করতে পারবেন। মূলত ২০২৩ সালের মে থেকে অ্যাক্সিয়ম-২ এর হাত ধরে মহাকাশ পর্যটন শুরু হয়। সেবার নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন এবং তিনজন গ্রাহক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করেন। তবে অনুরূপ ভ্রমণের জন্য প্রতি আসনের জন্য খরচ পড়বে ৫৫ মিলিয়ন ডলার।


অন্যদিকে, ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন মহাকাশ পর্যটনের জন্য ভার্জিন গ্যালাকটিক নামে আরেকটি উদ্যোগ চালু করেছেন। ২০২৩ সালে ভার্জিন গ্যালাকটিক সাব-অরবিটাল রকেট-চালিত মহাকাশ বিমানের মাধ্যমে মহাকাশের প্রান্তে ছয়টি ভ্রমণ করেছে। এখানে প্রতি আসনের জন্য যাত্রীদের খরচ করতে হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।


এদিকে, জেফ বেজোসের মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ব্লু অরিজিনও ২০২৩ সালে তাদের সাব-অরবিটাল রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে।


**মহাকাশে নভোচারীর এক বছর**


নাসার মহাকাশচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও'র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস কাটানোর কথা ছিল। কক্ষপথে যাতায়াতের জন্য তিনি রাশিয়ান সয়ুজ মহাকাশযানে ছিলেন। তবে মহাকাশযানটির একটি কুল্যান্ট ফুটো হয়ে গেলে রাশিয়াকে আরেকটি যান পাঠাতে হয়। যার কারণে রুবিও'র ফিরে আসতে ছয় মাস বিলম্বিত হয়। ৩৭১ দিন মহাকাশে কাটানোর পর অবশেষে সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে পা রাখেন তিনি। যা তাকে এনে দেয় মার্কিন নভোচারীদের মধ্যে মহাকাশে একটানা সর্বোচ্চ সময় কাটানোর রেকর্ড।


তবে রুবিওকে নিয়ে একটি হালকা কেলেঙ্কারির ঘটনাও ঘটে গেছে। কক্ষপথে জন্মানো প্রথম টমেটোগুলোর মধ্যে একটি হারিয়ে গেলে, তিনি সেটি ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেছিলেন বলে অনেকে সন্দেহ করেন। মূল্যবান এই সম্পদটি যদিও পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া গেছে। তখন অবশ্য তাকে এ অভিযোগ অব্যাহতি দেওয়া হয়।


**স্পেসএক্সের মার্স রকেট বিস্ফোরণ**


এ বছর এখন পর্যন্ত নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স। তবে দুই বারের প্রচেষ্টা বিফলে গেছে এবং রকেটগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে।


প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে মানুষ নেওয়ার জন্য স্টারশিপ নামে একটি রকেট এবং মহাকাশযান সিস্টেম চালু করেছে স্পেসএক্স। এপ্রিলে প্রথম প্রচেষ্টায় রকেটটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করলে স্পেসএক্স এটিকে ধ্বংস করতে বাধ্য হয়। নভেম্বরে দ্বিতীয় প্রয়াসে যানটি আরও অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু মহাকাশযান ও রকেট বুস্টার উভয়ই শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়।


তবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের দুর্ঘটনাগুলো যে স্পেসএক্সের জন্য বড় ধরনের কোনো বিপত্তি নিয়ে এসেছে এমনটি নয়। কেননা প্রতিষ্ঠানটি রকেট উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে এরকম ব্যর্থতা আলিঙ্গনের জন্য আগে থেকেই পরিচিত।


২০২৫ সালের মধ্যে স্পেসএক্স নাসার জন্য চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ইলন মাস্ক আশা করছেন ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষকে মঙ্গলে পৌঁছে দেবে স্টারশিপ।


**চাঁদে অবতরণের নতুন প্রতিযোগিতা**


চাঁদে অবতরণ নিয়ে আবার নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে এবারের অংশগ্রহণকারীরা সবাই রোবট।


প্রতিযোগিতাটি এপ্রিলে শুরু হয়, যখন আইস্পেস নামে জাপানের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রথম বাণিজ্যিক যান হাকুটো-আর ল্যান্ডার-কে চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত অবতরণে সময় সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। রাশিয়ার স্পেস এজেন্সিও (রসকসমস) আগস্টে তাদের লুনা-২৫ মিশনটি সফল করতে ব্যর্থ হয়।


তবে এর কিছুদিন পরই ২৩ আগস্ট ভারতের মহাকাশ সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করায়। চাঁদে মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণের ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ দেশ। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণকারী হিসেবে প্রথম দেশ হয়ে উঠে ভারত।


অপরদিকে, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সিও চাঁদে অবতরণের উদ্দেশ্যে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। যা আগামী বছরের শুরুর দিকে অবতরণ করবে।


**নাসা প্রকাশিত প্রথম ইউএফও রিপোর্ট**


অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা অধ্যয়নের জন্য নাসা একটি বিশেষজ্ঞের দল গঠন করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। দলটি মূলত আন-আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) নিয়ে অধ্যয়ন করছে। দলটি সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনে তাদের প্রথম ফলাফল প্রকাশ করেছে।


দলটি জানায়, অনেক বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রায়শই সামরিক পাইলটরা আকাশে এমন সব বস্তু দেখেছেন, যেগুলো তারা চিনতে পারেননি। যদিও বেশিরভাগ ঘটনার রহস্য সমাধান হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা পরিচিত মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা যায়নি।


তবে ঘটনাগুলো কোনো বুদ্ধিমান এলিয়েন ঘটিয়েছে, এরকম কোনো শক্ত প্রমাণও দলটি এখন পর্যন্ত পায়নি।


**আবার চাঁদে পা ফেলবে মানুষ**


পাঁচ দশক পর চার মহাকাশচারী আবার চাঁদের বুকে পা ফেলবে বলে জানিয়েছে নাসা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তারা আর্টেমিস ২ মুন মিশনটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে এবং নভোচারীদের বাছাই করে।


২০২৪ সালের নভেম্বরে এটি টেক-অফের জন্য প্রস্তুত হবে বলে জানানো হয়। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার পরের গন্তব্য হবে মঙ্গল গ্রহ। আর্টেমিস ২ মিশনের একটি লক্ষ্য হচ্ছে, চাঁদে একটি স্থায়ী ফাঁড়ি স্থাপন। যেখানে মহাকাশচারীরা থাকতে এবং কাজ করতে পারবেন। যা একসময় মঙ্গল গ্রহে ক্রু মিশনগুলোর পথ প্রশস্ত করবে।


**অসিরিস-রেক্সের বিশেষ ডেলিভারি**


২০২৩ সালে একটি মহাকাশযান পৃথিবীতে মহাকাশ থেকে গ্রহাণুর টুকরো নিয়ে আসে। যাতে থাকতে পারে সৌরজগতের লুকিয়ে থাকা চমকপ্রদ সব তথ্য।


নাসার অসিরিস-রেক্স ক্যাপসুল মহাকাশের গ্রহাণু থেকে পাথর, ধূলিকণাসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে থাকে। ২০২০ সালে বেন্নু নামক গ্রহাণু থেকে সফলভাবে একটি নমুনা সংগ্রহ করে ক্যাপসুলটি।


গত ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাপসুলটি উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি মহাজাগতিক ধাঁধায় ফেলে দেয়। ক্যাপসুলটির নিয়ে আসা সম্পদগুলো বিজ্ঞানীদের ধারণার বাইরে ছিল।


প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা যায়, ক্যাপসুলটির আনা শিলা এবং ধূলিকণাগুলোতে পানি এবং প্রচুর পরিমাণে কার্বন রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টির পেছনে গ্রহাণুগুলোর অবদান থাকতে পারে। এর বাইরেও নতুন অনেক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছে এই ক্যাপসুলটি। বিজ্ঞানীরা যেগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন।


পরিশেষে, মহাকাশ অনুসন্ধানে নাসা এবং মার্কিন সরকারের বাইরেও ভারত এবং চীনের মতো দেশগুলো থেকেও বিভিন্ন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত খাত থেকেও এই ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে। যার কারণে আমাদের সামনে আসছে আশ্চর্যজনক সব আবিষ্কার।


**তথ্যসূত্র: সিএনএন**


**গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি**

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

জেনে রাখুন বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্যঃ,,,, আজকের টুইটার থেকে নেওয়া

 জেনে রাখুন বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্যঃ

------------------------- প্রথম বার ১০০০ টাকা রিচার্জে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা। কারণঃ ১। মিটার পরীক্ষার সময় আপনাকে প্রথমেই ১০০ টাকা মিটারের সাথে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ১ বার ১০০ টাকা কাটবে। ২। ডিমান্ড চার্জ আগে প্রতি কিলো ওয়াট লোডের জন্য ছিল ২৫ টাকা এখন ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা। (প্রতি মাসে এক বার করে কাটবে) ৩। মিটার ভাড়া ৪০ টাকা। (প্রতি মাসে এক বার) ৪। সরকারি ভ্যাট আগেও ছিল ৫% এখনো ৫%। ৫। সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা। (প্রতি মাসে একবার) বিঃ দ্রঃ এই সব কারণে ডিজিটাল মিটার প্রথম ১০০০ টাকার কার্ড রিচার্জে ১০০০ টাকার স্থানে ৭৯২ টাকা দেখাবে, কিন্তু আপনি ঐ মাসেই যদি আবার ১০০০ টাকা রিচার্জ করেন তাহলে শুধু সরকারি ভ্যাট ৫% টাকা কাটার পর বাকি টাকা মিটারে রিচার্জ হবে। তাই ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নাই। স্থিতি জানতে আরও কিছু বিশেষ তথ্যঃ ১। আপনি কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা জানার জন্য ৮০০ চাপুন। ২। আপনার মিটারে কত টাকা জমা আছে তা জানতে ৮০১ চাপুন। ৩। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জানতে ৮১০ চাপুন। ৪। মিটার টি চালু অথবা বন্ধ করতে ৮৬৮ চাপুন। ৫। আপনার মিটারটি কত কিলোওয়ার্টের তা জানতে ৮৬৯ চাপুন। পোস্টটি প্রয়োজনীয় হলে শেয়ার করে টাইমলাইনে রাখতে পারেন।

Tittro Plus,,,,

 Tittro Plus


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি কি?


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি একটি স্পর্শক, পাকস্থলীয় ও শ্বাসরোধক ক্রিয়াসম্পন্ন অর্গানোফসফরাস এবং সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড কীটনাশকদ্বয়ের মিশ্রণে তৈরি একটি শক্তিশালী তরল কীটনাশক। এর প্রতি লিটারে ৫০০ গ্রাম ‘ক্লোরপাইরিফস’ এবং ৫০ গ্রাম ‘সাইপারমেথ্রিন’ সক্রিয় উপাদান আছে। এই মিশ্রিত উপাদান দু’টির নিজস্ব কার্যকারিতা এখানে সমন্বিতভাবে পাওয়া যায়।


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি কেন ব্যবহার করবেন?


ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি একটি বহুমুখী ক্রিয়াসম্পন্ন তরল কীটনাশক।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসিতে দু’টি কীটনাশক এর কার্যকারিতা এখানে সমন্বিতভাবে পাওয়া যায় বলে অন্যান্য কীটনাশকের তুলনায় ইহা অনেক বেশি প্রজাতির পোকা দমন করে।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি বিভিন্ন ফসলের মাটির উপর ও নিচের ক্ষতিকর পোকা দমন করে।

ট্রিটো প্লাস ৫৫ ইসি খুব অল্প মাত্রায় কার্যকর হতে পারে বিধায় খরচ কম পড়ে।


ফসলঃ আলু, তুলা, চা, বেগুন, শিম, টমেটো, আম


মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪

অনু গল্প এক রাতের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 --১ রাত কাটানো কতো টাকা নিবি। 


--বেশি না বাবু পাচশত টাকা হলেই যথেষ্ট আমার। বলুন কোথায় যেতে হবে আমাকে।


--এতো কম টাকায় দেহ ব‍্যবসা করিশ। আমার বিশ্বাসাসেই হচ্ছে না। 


--এই সব বাদ দিন না সাহেব। বলুন কোথায় যেতে হবে আমাকে। 


--চলে আমার বাসায় চল। আজকে পুরা বাসা ফাকা। 


--ঠিক আছে চলুন? 


--এর পরে মেয়েটি হাসিবের সঙ্গে পিছু পিছু যেতে থাকে। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পরে হাসিব মেয়েটিকে প্রশ্ন করে। 


হাসিব : তা শুনি তোর পরিবারে কে কে আছে। 


--এইতো আমার মা ছোট্ট একটি বোন আর আমি।  


হাসিব : কেনো তোর বাবা নেই। 


--আছে কিন্তু আমাদের সঙ্গে থাকেনা। অন‍্য একটি বিয়ে  করেছে ওখানে থাকে। 


হাসিব : এই পথে আসলি কেনো জানতে পারি কি আমি প্লিজজজ। 


--আগে মানুষের বাসায় কাজ করতাম। কিন্তু এতে যা টাকা আসতো সেটা দিয়ে ভালো করে খাইতে পারতাম না। তাতেই আবার মা অসুস্থ হয়ে গেলো। এর পরে কি আর করার বাদ্ধ হয়েই এই পথে আসা। 


হাসিব : তুই অনেক সুন্দর। 


--কি যে বলেন সাহেব আপনি। 


হাসিব : আচ্ছা যদি তোকে কেউ বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার করবি। 


--এই ব‍্য*শাকে বিয়েটা করবে কে শুনি। তা ছারা বিয়ে করলেও আমার কিছু সর্ত আছে যা মানে পারবেনা কখনো।


হাসিব : কী কী শর্ত। 


--প্রথম সর্ত আমার মায়ের চিকিৎসা করতে হবে। ২য় সর্ত আমার বোনকে পরাশুনা করাতে হবে। ৩য় শর্ত এক সঙ্গে সবাকে থাকার অনুমতি দিতে হবে। যদি কখনো কোন পুরুষ এই সব মেনে আমাকে বিয়ে করে তাহলে আমি রাজি।


হাসিব : তাইইইই। ( আচ্ছা তোর নামটা তো জানা হলোনা)


--আমার নাম ঝুমুর। 


হাসিব : বা খুব সুন্দর নাম দেখি তোর.? তা ঝুমুর আমাকে বিয়ে করবে। 


ঝুমুর : ফাজলামি করিয়েন না সাহেব চলুন তারা তারি আপনার বাসায়। 


হাসিব : ফাজলামি না। আমি সত্যি বলতেছি। 


ঝুমুর : এটা কখনো সম্ভব না। 


হাসিব : জানিস আমি না তোর মতো সুন্দর একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু হঠাৎ সে আমাকে ধোকা দিয়ে চলে যায়। তার পরে নেশা করি, মেয়ে নিয়ে বাসায় আসি। কিন্তু আজ তোর কথা গুলা শুনে মনে কেমন জানি একটা তৃপ্তি পেলাম। কেনো জানি আবার নতুন করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করতেছে। ঝুমুর প্লিজজ আমাকে বিয়ে করো আমি তোমার সব দায়িত্ব নিবো। এই খারাপ পথ থেকেও ফিরে আসবো কথা দিলাম। 


"হাসিবের এমন কথা শুনে ঝুমুর কিছুক্ষন নিস্তব্ধ থাকার পরৈ বলে উঠে "


ঝুমুর : আপনার পরিবারের মানুষ কে আমাকে মানবে।


হাসিব : হুমমম মানবে। ওরা আমাকে বিয়ে দেয়ার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি কখনো রাজি হইনি। 


ঝুমুর : ওহ। এই টুকু পরিচয়ে আমাকে বিয়ে করবেন আপনি। 


হাসিব : হুমমম। 


ঝুমুর : পরবর্তীতে যদি আমাকে কষ্ট দেন বা আমার পরিবারের মানুষ কে না দেখেন তখন। 


হাসিব : তাহলে আমাকে ছেরে দিও। 


"ঝুমুর আবার বেশ কিছুক্ষন ভাবার পরে হাসিবকে বলে"


ঝুমুর : আচ্ছা আমি রাজি। 


হাসিব : আমি তোমাকে এই মুহূর্তে বিয়ে করতে চাই। কাজি অফিসে  চলো। 


ঝুমুর : আচ্ছা চলো? 


"গল্পটি পুরা পুরি কাল্পনিক। কেউ বাস্তবে ভাব্বেন না আশা করি। 


-অনু_গল্প 

এক_রাতের_গল্প 


ইরতিজা_আহমেদ_শ্রাবণ 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




৫০% গ্রীন এগ্রো শেডনেট,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ৫০% গ্রীন এগ্রো শেডনেট

Advanced Agricultre এ পাচ্ছেন সরাসরি ইন্ডিয়া থেকে আমদানিকৃত ৫০% ও ৭৫% গ্রীন এগ্রো শেডনেট

সাইজঃ ৩ মিটার*৫০ মিটার

সবজি ফসল চাষে শেড নেটঃ 

টমেটো, শসা, লেটুস, মরিচ, ক্যাপসিকাম, কপি, ধনেপাতা বা পালং শাক, ফুল ইত্যাদি খোলা মাঠে চাষ করতে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। বর্তমানে নানা উন্নত জাত গরমে চাষ সম্ভব হলেও গুনমানকে ধরে রাখতে ও রোগপোকা ঠেকাতে স্প্রে করতে হয় বেশী। 

সেজন্য বর্তমানে ৫০% সবুজ শেডনেট ফসলের ১০-১৫ ফুট উপরে বাঁশ, সিমেন্টের পিলার বা স্টিল এর কাঠামোর উপর দিয়ে ঢাকার ব্যবস্থা করলে এই সব সবজি চাষ খুব ভালো ভাবে করা সম্ভব যা লাভজনক কৃষি উৎপাদন। 

নার্সারিতে শেড নেটঃ

সবজি চারা, সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চারা তৈরির জন্য উত্তম জায়গা হলো ছায়া যুক্ত স্থান। চারা জন্মানোর জন্য ঠিক যেমন পরিবেশ দরকার হয় শেড নেট ঠিক সেই পরিবেশটা তৈরি করে। রোদের তীব্রতা, তাপমাত্রা, ঠান্ডা, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করে সুস্থ চারা উৎপাদন করতে শেড নেট হাউজ এর বিকল্প নেই। 

পান চাষে শেড নেটঃ

প্রথাগত পান চাষে খরচ প্রচুর। ‘শেড নেট’ ব্যবহারের মাধ্যমে পান চাষ করলে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শেড নেটে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে ৫০ শতাংশ। কিন্তু কুয়াশা প্রবেশ করতে পারে না। বাতাস ও সূর্যালোক প্রবেশের ফলে ছত্রাকের সমস্যা কমে যায়। ফলে হেমচিতি রোগ হয় না। তেমনি গরমের ক্ষেত্রেও তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ছাদবাগানে শেড নেট হাউজঃ

ছাদবাগানের ছোট জায়গায় চারা উৎপাদন ও অর্গানিক সবজি চাষের জন্য শেড নেট হাউজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ছাদে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই সবজি ফসলগুলো ভাল ফলন দেয় না। এই শেড নেট হাউজের ভিতরে টবে বা বেডে সকল ধরনে সবজি ও শাক চাষ করতে পারবেন। রোগবালাই কম হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। 

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে শেড নেট হাউজে চাষাবাদ করে সারা বছরব্যাপী উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে আমাদের দেশের কৃষকগণ ভাল লাভবান হতে পারবে।

সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার মাঠকৃষি ও ছাদকৃষির জন্য আমাদের কৃষি পণ্যসমূহঃ

১) সীডলিং ট্রে - (১২০ গ্রাম-৭২/১০৫/১২৮ সেল)

২) ট্রান্সপ্লান্টিং/জার্মিনেটিং/হাইড্রোপনিক ট্রে – ৫৮ সেঃমিঃ * ২৮ সেঃমি * ৩ সেঃমি, ৪৭৫ গ্রাম

৩) মালচিং ফিল্ম- ২৫ মাইক্রন, ৪ ফুট প্রশস্থ-৫০০মিঃ, ৩ ফুট প্রশস্থ-৬০০ মিটার

৪) কোকোপিট ব্লক-৪.৫ কেজি

৫) লুস কোকোপিট

৬) কোকো গ্রোয়িং স্টিক ২৪/৩২/৩৮ ইঞ্চি 

৭) কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট 

৮) হাড়ের গুড়া/শিংকুচি

৯) ভার্মিকম্পোস্ট 

১০) মাচার জাল (৮ হাত*৫৫ হাত-১২ ইঞ্চি গ্যাপ)

১১) কাটিং এইড রুট হরমোন- শিকড় গজানোর জাদুকরী হরমোন

১২) হিউমিনল গোল্ড অরগানিক পিজিআর (PGR)

১৩) লিবিনল- বৃদ্ধিকারক জৈব নিয়ন্ত্রক

১৪) ফ্ল্যাশ (Flash)-উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অনুখাদ্য সমাহার

১৫) মাইটেন্ড ইমপ্রোভ- মাকড়নাশক

১৬) ট্রাপ- সাদামাছি, থ্রিপস ও শোষক পোকা দমনের জন্য 

১৭) প্রহরী প্লাস- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৮) শিল্ড- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৯) ট্রিগার২-স্প্রে কনসেন্ট্রেটর

২০) নিউবুন (ফ্রুট স্পেশাল)-ফল গাছের জন্য বিশেষ নিউট্রিশন সাপোর্ট

২১) বুস্টার১-লাউ জাতীয় ফসলের স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২২) বুস্টার২-বেগুন, মরিচ, টমেটো সহ ফল গাছে অধিক পরিমানে ফুল আনে

২৩) বুস্টার৩-শসা ও তরমুজে স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২৪) বুস্টার৪-পটল ও কাকরোলের পরাগায়নে সহায়তা করে

২৫) বাম্পার-ফুল ও ফল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

২৬) প্যানথার টিভি-ফসলের ছত্রাকজনিত পচন প্রতিরোধ করে

২৭) প্যানথার পিএফ- ফসলের ব্যাকড়েরিয়াল উইল্টিংজনিত ঢলে পড়া প্রতিরোধ করে

২৮) সুধা জার্মিনেইড- বীজ সতেজীকরণ ও শোধনের জৈব সমাধান

২৯) থান্ডারস- ব্লাস্ট ও অন্যান্য ছত্রাকঘটিত রোগ দমনে কার্যকরী জৈব সমাধান 

৩০) সাফ ছত্রাকনাশক

৩১) ওয়েস্ট ডিকম্পোজার 

৩২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করর

৩৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ

৩৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট

৩৫) কেমাইট-জৈব মাকড়নাশক

৩৬) বায়োক্লিন- সবজি ও ফলের ছাতরা পোকা বা মিলিবাগ ও সাদামাছি পোকা দমন করে

৩৭) বায়োট্রিন-থ্রিপস, জাব পোকা, পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা, ধানের কারেন্ট পোকা দমন করে

৩৮) বায়োশিল্ড-জৈব ছত্রাকনাশক

৩৯) বায়ো-চমক-ধানের মাজরা পোকা ও বাদামী গাছ ফড়িং, বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে কার্যকরী

৪০) বায়ো-এনভির - মোজাইক ভাইরাস, ইয়েলো ভেইন মোজাইক ভাইরাস, লিফ কার্ল ভাইরাস, পিভিওয়াই ভাইরাস দমনে কার্যকরী

৪১) বায়ো-এলিন-জৈব ব্যাকটেরিয়ানাশক

৪২) বায়ো-ভাইরন-জৈব ভাইরাসনাশক

৪৩) বায়োবিটিকে- ছিদ্রকারী পোকা দমনের কীটনাশক

৪৪) বায়োডার্মা পাউডার/সলিড (ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম)

৪৫) কিউ-ফেরো/বিএসএফবি/স্পোডো-লিউর ফেরোমন টোপ

৪৬) বলবান-পিজিআর

৪৭) চিলেটেড জিংক

৪৮) সলবোর বোরন

৪৯) হলুদ/নীল/সাদা স্টিকি ট্র্যাপ

৫০) ম্যাঙ্গো/ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ

৫১) সবজি, তরমুজ ও পেঁপেঁর হাইব্রিড বীজ


সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


সীডলিং ট্রে,রাইস সীডলিং ট্রে,সবজির চারা করার ট্রে,ধানের চারা করার ট্রে,জার্মিনেশন ট্রে,মালচিং ফিল্ম,কোকোপিট ব্লিক,কোকোপোল,কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট,ভার্মিকম্পোস্ট,ট্রাইকোকম্পোস্ট,মাচাং জাল,হাড়ের গুড়া,শিংকুচি,কাটিং এইড রুট হরমোন,হিউমিনল গোল্ড পিজিয়ার,মারগোসা নিমতেল,বাম্পার,বুস্টার১,বুস্টার২,বুস্টার৩,বুস্টার৪,ট্রাপ,লিবিনল,ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি,ট্রাইকোডার্মা পিএফ,অরগাভিতা রোজ,সুধা জার্মিনেইড,ফ্ল্যাশ,ওয়েস্ট ডিকম্পোজার,সাফ ছত্রাকনাশক,বায়োক্লিন,বায়োএনভির,বায়োট্রিন,বায়োশিলদ,কেমাইট,বায়োচমক,বায়োবিটিকে,সলুবোর বোরণ,চিলেটেড জিংক,বলবান পিজিয়ার,হলুদ ফাদ,ফেরোমন ফাদ,কিউ ফেরো ফাদ,ব্যাকট্রোডি ফের,বিএফএসবি ফের,ম্যাংগো ফ্রুট ব্যাগ,ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ,সবজির হাইব্রিড বীজ,শসার হাইব্রিড বীজ,ময়নামতি, গ্রিনবার্ড,হ্যাপি গ্রিন,গ্যালাক্সী ৯৭,গ্রিনলাইন,থাইল্যান্দ,গ্রিনবল,পার্পল কিং,প্রিতম,চৈতি,মালিক ৫৫৩,ললিতা,বিজলি,বিজলি প্লাস,বিজলি প্লাস ২০২০,ফায়ারবক্স,আশা চিচিঙ্গা,সাগর ঝিঙ্গা,আর্তি ধুন্দল,সুমী হাইব্রিড ঢেড়শ,সুপার সুমী হাইব্রিড ঢেড়শ,বাহুবলী হাইব্রিড টমেটো,হাইব্রিড পেপে বীজ,বাসন্তি বেগুন,ওডিসি৩ সজিনা বীজ



ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


বখতিয়ার খিলজির সমাধি,,,, (গঙ্গারামপুর)

 বখতিয়ার খলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর ) 

যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।

বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তুর্কি সেনাপতি ও বীর যোগদ্ধা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। তিনি ছিলেন তুর্কি জাতিভুক্ত খিলজি বংশের সন্তান। বখতিয়ার খিলজির পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গরমশির অঞ্চলে বাস করতেন। অল্প বয়সে তিনি ভাগ্যান্বেষণে বের হন এবং বহু দরবার ঘুরে অযোধ্যার শাসক হুসামুদ্দিনের সেনাবাহিনীতে থিতু হন।


হুসামুদ্দিন তাঁকে ‘ভগবত’ ও ‘ভিউলা’ নামক দুটি পরগনার জায়গির দান করেন। এর পরই তাঁর জীবনধারা বদলে যায় এবং নিজেকে একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান।

একজন যোগ্য শাসক ও সেনাপতি হিসেবে বখতিয়ার খিলজির সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের সুদৃষ্টি লাভ করেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বিনিময়ে বিহার অভিযানের অনুমতি পান। বিহার বিজয়ের পর বখতিয়ার খিলজির ক্ষমতা ও সামর্থ্য আরো সংহত হয়।


তিনি বিশাল এক বাহিনী গঠন করেন এবং ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনাধীন বাংলার নদীয়া জয় করেন। আকস্মিক আক্রমণে রাজা লক্ষ্মণ সেন প্রধান রাজধানী বিক্রমপুর পালিয়ে যান। এভাবেই বাংলার মাটিতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয়।

এরপর তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্মণাবতী, গৌড়সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন।


লক্ষ্মণাবতীর নাম পরিবর্তন করে লখনৌতি করে তাকে রাজধানী ঘোষণা করেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি তিব্বত অভিযানে বের হন। কিন্তু উপজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতা ও কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন। এতে তাঁর সেনাদলের বৃহদাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। তিব্বত বিপর্যয়ের পর ব্যর্থতার গ্লানি ও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবকোটে (বর্তমান দিনাজপুর) ফিরে আসেন।

এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলেন মীর মর্দানের হাতে নিহত হন।

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ইতিহাসের পাতায় যতটা উচ্চারিত, যতটা চর্চিত, যতটা স্মরিত; ঠিক ততটাই অবহেলিত ও অজ্ঞাত  বখতিয়ারের সমাধিস্থল। বখতিয়ার খিলজির কবর যে এখনো চিহ্নিত আছে তা-ও হয়তো বহু মানুষের জানা নেই। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খিলজি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘুমিয়ে আছেন। জেলার গঙ্গারামপুর থানায় পীরপালে এখনো টিকে আছে তাঁর সমাধিসৌধ।


অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে বখতিয়ার খিলজির সমাধিসৌধও। সমাধিস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বারো দুয়ারি ও দীঘির ঘাট এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে গেছে সমাধিসৌধের দেয়ালের একাংশ। ধারণা করা হয়, বারো দুয়ারি নামে চিহ্নিত স্থাপনাটি মূলত একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের মুসল্লি ও কবর জিয়ারতকারীদের অজুর জন্য পাথর বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি ও বারো দুয়ারি পাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। তবে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার স্যার ফ্রান্সিস বুকানন হামিল্টন, যিনি ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গ ও বিহারের জরিপকাজে নিযুক্ত হন। তিনি বখতিয়ার খিলজির সমাধির বিবরণ দেওয়ার সময় বারো দুয়ারির ভেতরে একটি কবর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্যার হামিল্টনের ধারণা বারো দুয়ারির কবরটিই বখতিয়ার খিলজির এবং এখনো টিকে থাকা কবরটি বখতিয়ারের সহচর পীর বাহাউদ্দিনের। অবশ্য সমাধিসৌধের সামনে টানানো বতর্মান নামফলকে স্যার হামিল্টনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং টিকে থাকা সৌধটিকেই বখতিয়ারের বলে দাবি করা হয়েছে।


বর্তমানে কালের নিয়মে বখতিয়ার খিলজির সমাধি অবহেলার পাত্র হলেও স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘দেবতুল্য’। কথিত আছে বখতিয়ার খিলজি মাটিতে শুয়ে আছেন বলে পীরপালের মানুষরা খাট বা চৌকিতে ঘুমায় না। তারা অনেকাংশে শত শত বছর ধরে মাটিতেই ঘুমিয়ে আসছে।


সংগ্রহ।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


30/01/2024 আজ সকালে স্যারের মেসেজ,,,

 30/01/2024 আজ সকালে স্যারের মেসেজ,,,,,,

সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে এতদিন বৈরী আবহাওয়া প্রচন্ড কুয়াশা এবং শীতের কারণে অনেকেই মার্কেটে একটু লেটে গিয়েছেন আমরা সেটা ওভার লুক করেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মনে করে কিন্তু এখন সেই অবস্থাটা অনেকটাই ভালো হয়েছে আমি আশা করব আপনারা সকলেই সঠিক টাইমে মার্কেটে উপস্থিত হবেন নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট রুটে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে মার্কেট থেকে বিকেল ৫ টার পর বের হবেন। এটার ব্যত্যয় ঘটলে সুপারভাইজার গন  জবাবদিহিত  আওতায় নিয়ে আসবে।সুপারভাইজার কোন মুহূর্তে ভিডিও কল দিবেন এবং ভাইয়েরা অবশ্যই ভিডিও কল রিসিভ করে আপনার অবস্থান নিশ্চিত করবেন।অবশ্যই অফিশিয়াল ড্রেস আপ মেনটেন করবেনদোকানদারের সাথে যারা ডিলার বিষয়ে কথা বলবেন তারা গুছিয়ে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আস্থার সহিত কথা বলে তাদের ডিলার দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন যে কোন সমস্যায় সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার কে পাওয়া না গেলে বা ব্যস্ত থাকলে আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন।আর একটা বিষয় সকলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ,,,,


এক পোস্টে বাগানের সব,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এক পোস্টে বাগানের সব 


বিভিন্ন সারের কাজ, অভাবজনিত লক্ষণ,  মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলাফল, কীটনাশকের বিকল্প উৎস্য, কচি ফল ঝরা প্রতিরোধে করণীয়, কোন জায়গায় কোন ফসল ভালো হবে তার তালিকা এবং উপকারী ও অপকারী পোকার চিত্রসহ পরিচিতিঃ----


কোনটা উপকারী পোকা এবং কোনটা অপকারী পোকা তা জানার অভাবে আমরা অনেক সময় উপকারী পোকাদেরও মেরে ফেলি। কীটনাশক ব্যবহার করলে অপকারী পোকার পাশাপাশি উপকারী পোকাও ধ্বংস হয়ে যায়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষসহ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতিসাধন করে থাকে। তাই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প উৎসগুলো ব্যবহার করা উচিত। 


🔴 বাংলাদেশের কৃষিতে মূলত ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড বা বোরন প্রভৃতি সার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সারগুলোর কাজ, ঘাটতি বা অভাবজনিত লক্ষণ, মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো-


🎯🎯 ইউরিয়া সারের কাজঃ-----


ইউরিয়া একটি নাইট্রোজেন সংবলিত রাসায়নিক সার, যা ব্যাপক হারে ফসলের জমিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইউরিয়া সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ থাকে ৪৬%। ইউরিয়া সার নাইট্রোজেন সরবরাহ করে থাকে যা শিকড়ের বৃদ্ধি বিস্তাররে সহায়তা করে থাকে। গাছের ও শাকসবজির পর্যাপ্ত পরিমাণ পাতা, ডালপালা ও কান্ড উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। ইউরিয়া সার ক্লোরোফিল উৎপাদনের মাধ্যমে গাছপালাকে গাঢ় সবুজ বর্ণ প্রদান করে থাকে। কুশি উৎপাদনসহ ফলের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উদ্ভিদের শর্করা ও প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও গাছের অন্যান্য সব আবশ্যক উপাদানের পরিশোষণের হার বাড়িয়ে থাকে।


🧿 নাইট্রোজেনের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে নাইট্রোজেন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি বা অভাব দেখা দিলে ক্লোরোফিল সংশ্লেষণের হার অনেকাংশে কমে যায়। ফলে গাছ তার স্বাভাবিক সবুজ রং হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও পাতার আকার ছোট হয়ে শাখা প্রশাখার বৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে গাছ খাটো হয়ে যায়। পাতার অগ্রভাগ থেকে বিবর্ণতা শুরু হয় এবং বৃন্ত ও শাখা প্রশাখা সরু হয়ে যায়। গোলাপি অথবা হালকা লাল রঙের অস্বাভাবিক বৃন্ত হয়। পুরাতন পাতার মধ্যশিরার শীর্ষভাগ হলুদাভ-বাদামি বর্ণ ধারণ করে পাতা অকালেই ঝরে পড়ে। ফুল ও ফলের আকার কিছুটা ছোট হয়ে ফলন কমে যায়।


🛑 ইউরিয়া বেশি মাত্রায় প্রয়োগের ফলাফলঃ----


ইউরিয়া সারের প্রয়োগ মাত্রা বেশি হলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছে ফুল ও ফল উৎপাদন কিছুটা বিলম্বিত হয়ে যায়। এছাড়াও পোকামাকড় ও রোগ আক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক সময় পাতার অংশ ভারি হয়ে গাছ হেলে যায়। অতিরিক্ত নাইট্রোজেন প্রয়োগের কারণে অনেক ফল পানসে হয়ে যায় এবং গাছ মারা যায়। গাছে ফুলফল আসার সময় নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ করলে ফুলফল না এসে কুশির ও পাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 


🎯🎯 টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের কাজঃ----


🔘টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ও ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট)ঃ-----

এই দুটোই হলো ফসফেট জাতীয় রাসায়নিক সার। এই সার দুটোতে শতকরা ২০ ভাগ ফসফরাস থাকে। টিএসপিতে শতকরা ১৩ ভাগ ক্যালসিয়াম এবং ১.৩ ভাগ গন্ধক রয়েছে। ডিএপিতে ফসফেট ছাড়াও ১৮% নাইট্রোজেন বিদ্যমান থাকে যার কারণে ডিএপি সার প্রয়োগ করলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া সার কম দিতে হয়।


ফসফরাস জাতীয় সার কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে। শর্করা উৎপাদন ও আত্তীকরণে সহায়তা করে। গাছের মূল বা শিকড় গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে গাছকে নেতিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে থাকে। ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে থাকে। ফুল, ফল ও বীজের গুণগত মান বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।


🧿 ফসফরাসের ঘটতিজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি দেখা দিলে কাণ্ড ও মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গাছের শাখা প্রশাখা কুণ্ডলিকৃত বা পাকানো হয়ে যায়। গাছের পুরোনো পাতা অসময়ে ঝরে পড়ে। ফুলের উৎপাদন, পার্শ্বীয় কাণ্ড এবং কুড়ির বৃদ্ধি অনেকাংশে কমে যায়। পাতার গোড়া রক্তবর্ণ বা ব্রোনজ রং ধারণ করে থাকে। পাতার পৃষ্ঠভাগ নীলাভ সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং পাতার কিনারে বাদামি বর্ণ হয়ে শুকিয়ে যায়। এছাড়াও গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।


🛑 ফসফরাসের মাত্রা বেশি হলেঃ-----


ফসফরাস প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে ফলন কমে যায়। গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং অকাল পরিপক্বতা পরিলক্ষিত হয়।


🎯🎯 এমওপি সার বা পটাশ সারের কাজঃ-----


এমওপি বা মিউরেট অব পটাশ সারে শতকরা ৫০ ভাগ পটাশিয়াম থাকে। এমওপি উদ্ভিদ কোষের ভেদ্যতা রক্ষা করে। উদ্ভিদে শর্করা বা শ্বেতসার দ্রব্য পরিবহনে সহায়তা করে। লৌহ ও ম্যাংগানিজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। উদ্ভিদে প্রোটিন বা আমিষ উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। উদ্ভিদে পানি পরিশোষণ, আত্তীকরণ ও চলাচলে অর্থাৎ সার্বিক নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নাইট্রোজেন ও ফসফরাস পরিশোষণে সমতা বজায় রাখে।


বিকল্প উৎস্যঃ পাকা কলার খোসাতে পটাশ থাকে। তাই পাকা কলার খোসা পঁচিয়ে অথবা শুকিয়ে গুড়া করে পটাশের অভাব পূরণ করা যায়। 


🧿 এমওপি সারের ঘাটতিজনিত লক্ষণঃ-----


গাছে পটাশ সারের ঘাটতি দেখা গেলে পুরাতন পাতার কিনারা থেকে বিবর্ণতা শুরু হয়। পরে পাতার আন্তঃশিরায় বাদামি বর্ণের টিস্যু দেখা যায়। এছাড়াও পাতার উপরিভাগে কুঞ্চিত হতে বা ভাঁজ পড়তে থাকে। গাছ বিকৃত আকার ধারণ করে এবং গাছের ছোট আন্তঃপর্বসহ বৃদ্ধি কমে যায়। পরবর্তীতে প্রধান কাণ্ডটি মাটির দিকে হেলে পড়ে। গাছে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ বেড়ে যায়।


🛑 পটাশের পরিমাণ বেশি হলেঃ---


জমিতে বা গাছে পটাশ প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে ক্যালসিয়াম ও বোরনের শোষণ হার কমে যায়। ফলে বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ দেখা যায়। পানি নিঃসরণের হার কমে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়।


🎯🎯 জিপসাম সারের কাজঃ-----


জিপসাম সারে শতকরা ১৭ ভাাগ গন্ধক এবং ২৩ ভাগ ক্যালসিয়াম রয়েছে। জিপসাম বা গন্ধক প্রোটিন বা আমিষ উৎপাদনে সহায়তা করে। তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গন্ধক ক্লোরোফিল গঠনে ভূমিকা রাখে এবং গাছের বর্ণ সবুজ রাখতে সহায়তা করে। বীজ উৎপাদন এবং হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।


🧿 জিপসামের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে গন্ধকের অভাব হলে গাছের সবুজ বর্ণ নষ্ট হয়ে কাণ্ড চিকণ হয়ে যায়। গাছের পাতা ফ্যাকাশে সবুজ বা হলুদ বর্ণ ধারণ করে থাকে।


🛑 জিপসাম প্রয়োগের মাত্রায় বেশি হলেঃ-----


জমিতে জিপসাম প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলে শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। ফলে গাছের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম কমে যায়।


🎯🎯 জিংক সালফেট সারের কাজঃ-----


সালফেট ( মনোহাইড্রেটে ) শতকরা ৩৬.০ ভাগ দস্তা এবং ১৭.৬ ভাগ গন্ধক রয়েছে। অপরদিকে জিংক সালফেট ( হেপটাহাইড্রেটে ) দস্তা ও গন্ধকের যথাক্রমে ২১.০ % এবং ১০.৫% রয়েছে। এছাড়াও চিলেটেড জিংকে ১০ % দস্তা রয়েছে। জিংক সালফেট (মোনোহাইড্রেট), জিংক সালফেট (হেপটাহাইড্রেট) সারের তুলনায় বেশি পরিমাণে মাটিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কোনো ফসলে স্প্রে করেও এটি প্রয়োগ করা যায়।


গাছে বিভিন্ন ধরনের হরমোন তৈরিতে দস্তা বা জিংক অংশগ্রহণ করে থাকে। ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিম জাতীয় সবজির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ফলন বাড়িয়ে থাকে।


🧿 জিংকের অভাবজনিত লক্ষণঃ-----


মাটিতে দস্তার ঘাটতি দেখা গেলে গাছের পাতায় তামাটে বা দাগ আকারে বিবর্ণতা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। পাতা ছোট হয়ে যায় এবং নতুন পাতার গোড়ার দিক হতে বিবর্ণতা দেখা যায়। বিশেষ করে আন্তঃশিরায় বিবর্ণতা বেশি দেখা যায়।


🛑 জিংক প্রয়োগের মাত্রা বেশি হলেঃ-----


জমিতে জিংকের পরিমাণ বেশি হলে গাছে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত দস্তা প্রয়োগে আমিষ উৎপাদন ব্যাহত হয়।


🎯🎯 বোরন সারের কাজঃ-----


বরিক এসিডে ১৭ % এবং সলুবোর বোরণে ২০% বোরণ থাকে। এটি গাছের কোষ বৃদ্ধিতে এবং পাতা ও ফুলের রং আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। পরাগরেণু সবল ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বীজ উৎপাদনে সাহায্য করে এবং চিটা হওয়া রোধ করে থাকে। বোরন গাছে ফুল ও ফল ধারণে সাহায্য করে এবং ফলের বিকৃতি রোধ সহায়তা করে।


🧿 বোরনের ঘাটতিজনিত লক্ষণঃ-----


বোরন সারের অভাবে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং গাছে ফুল সংখ্যায় কম আসে। এছাড়াও গাছের অগ্রভাগ মরে যায়, কাণ্ড কালো বর্ণ ধারণ করে। শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। সবজি বা ফল গাছের ফুল ঝরা বেড়ে যায়। ফল আকারে ছোট হয় এবং ফেটে যায়। পেঁপে, কাঁঠাল, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের আকার বিকৃত হয়ে অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যায়।


🛑 বোরন প্রয়োগের পরিমাণ বেশি হলেঃ-----


বোরণের প্রয়োগ মাত্রা বেশি হলে কচি পাতা এবং ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফলন অনেক কমে যায়।


যতোটা সম্ভব রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প উৎসগুলো ব্যবহার করা। একান্ত প্রয়োজন হলে পরিমাণে কম ব্যবহার করা উচিত। রাসায়নিক সারের বিকল্প উৎসগুলো হলোঃ গোবর সার, জৈবসার, সবুজসার, ভার্মিকম্পোস্ট(কেঁচো সার), খৈল পঁচানো পানি, রান্নাঘর এবং বাগান ও ক্ষেতের উচ্ছিষ্টাংশ পচানো পানি, ডিমের খোসা চূর্ণ, কলার খোসা চূর্ণ, কলার খোসা পচানো পানি, ছাই, শুকনো পাতা চূর্ণ, কোকোডাস্ট(শুকনো নারিকেলের খোসা চূর্ণ) ইত্যাদি। 


🔘 নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে কীটনাশক ব্যবহার করার তেমন একটা প্রয়োজন পড়েনা।


১। মাটি প্রস্তুতের সময় নিম খৈল, নিম পাতা, পেঁয়াজের খোসা ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। 


২। বাগানকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মরা ডাল ও পাতা অপসারণ করতে হবে। 


৩। নিম তেল ও হ্যান্ড ওয়াশ / গুড়ো সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে মাঝেমধ্যে গাছগুলোকে ভালোভাবে গোসল করাতে হবে।


৪। পোকার আক্রমণ দেখা দিলে সাথে সাথে মেরে ফেলতে হবে।


৫। বাগানে হলুদ, সবুজ এবং লাল স্টিকি পেপার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। 


৬। রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষাবাদ করতে হবে। 


৭। বীজ জার্মিনেশনের সময় জীবাণুমুক্ত/শোধন করতে হবে। 


৮। সম্ভব হলে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গাঁদা ফুলের চারা লাগাতে হবে। এতে নেমাটোড অনেকটাই কন্ট্রোল হবে।


৯। সবজি ও ফলের মাছি পোকা দমনের জন্য আলাদা আলাদা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। 


১০। অতিরিক্ত পোকামাকড় দেখা দিলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে।


শেয়ার করে রেখে  দিতে পারেন। পরবর্তীতে দেখে নিতে পারবেন। 


তথ্য ও ছবিঃ সংগৃহীত








সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...