এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন:,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন: 


জীবনচক্রটি খেয়াল করুন। এখানে মোট চারটি অবস্থা রয়েছে, এর যেকোন একটি অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পোকা দমন সহজ হয়ে যায়। 


১. ডিম- পূর্ণ বয়স্ক পোকা পাতা-ডগার ছালের মধ্যে কিছুটা ছিদ্র করে ডিম পারে । অর্থাৎ খালি চোখে ডিম খোঁজে পাওয়া কঠিন। জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। 

২. লার্ভা- এই দশাটি কৃষকের কাছে দৃষ্টি গোচর হয় এবং এটিই মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লার্ভা যেহেতু বেগুন বা ডগার ভিতরে থাকে তাই , এটি দমন করা কঠিন হয়ে পরে । এজন্য  লার্ভা দমনে দরকার স্থানীয়ভাবে অনুপ্রবেশ ক্ষমতা অথবা প্রবাহমান ক্ষমতা সম্পন্ন কীটনাশক। 

৩. পিউপা- এই অবস্থা শুকনো পাতা, গাছের গোড়ার মাটি,আগাছার মধ্যে থাকে। তাই এটি ধ্বংস করতে ক্ষেত সব সময় আগাছা মুক্ত, শুকনো ডালপালা মুক্ত রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে গোড়ার মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে ।

৪. পূর্ণ বয়স্ক পোকা বা মথ- এই অবস্থা ধ্বংস করার জন্য জৈব প্রক্রিয়া- ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার জন্য আলাদা ফেরোমন ফাঁদ পাওয়া যায় বাজারে। 


ধন্যবাদ, 




Advanced Agriculture 

 Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার মাঠকৃষি ও ছাদকৃষির বিভিন্ন ফসলের রোগ-পোকার আক্রমণ প্রতিকার ও প্রতিরোধের জৈব উপকরণসমুহঃ

১) কাটিং এইড রুট হরমোন- শিকড় গজানোর জাদুকরী হরমোন

২) হিউমিনল গোল্ড অরগানিক পিজিআর (PGR)

৩) লিবিনল- বৃদ্ধিকারক জৈব নিয়ন্ত্রক

৪) ফ্ল্যাশ (Flash)-উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অনুখাদ্য সমাহার

৫) মাইটেন্ড ইমপ্রোভ- মাকড়নাশক

৬) ট্রাপ- সাদামাছি, থ্রিপস ও শোষক পোকা দমনের জন্য 

৭) প্রহরী প্লাস- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

৮) শিল্ড- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

৯) ট্রিগার২-স্প্রে কনসেন্ট্রেটর

১০) নিউবুন (ফ্রুট স্পেশাল)-ফল গাছের জন্য বিশেষ নিউট্রিশন সাপোর্ট

১১) বুস্টার১-লাউ জাতীয় ফসলের স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

১২) বুস্টার২-বেগুন, মরিচ, টমেটো সহ ফল গাছে অধিক পরিমানে ফুল আনে

১৩) বুস্টার৩-শসা ও তরমুজে স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

১৪) বুস্টার৪-পটল ও কাকরোলের পরাগায়নে সহায়তা করে

১৫) বাম্পার-ফুল ও ফল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

১৬) প্যানথার টিভি-ফসলের ছত্রাকজনিত পচন প্রতিরোধ করে

১৭) প্যানথার পিএফ- ফসলের ব্যাকড়েরিয়াল উইল্টিংজনিত ঢলে পড়া প্রতিরোধ করে

১৮) সুধা জার্মিনেইড- বীজ সতেজীকরণ ও শোধনের জৈব সমাধান

১৯) থান্ডারস- ব্লাস্ট ও অন্যান্য ছত্রাকঘটিত রোগ দমনে কার্যকরী জৈব সমাধান 

২০) সাফ ছত্রাকনাশক

২১) ওয়েস্ট ডিকম্পোজার 

২২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করর

২৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ

২৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট

সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)

কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার মাঠকৃষি ও ছাদকৃষির জন্য আমাদের কৃষি পণ্যসমূহঃ

১) সীডলিং ট্রে - (১২০ গ্রাম-৭২/১০৫/১২৮ সেল)

২) ট্রান্সপ্লান্টিং/জার্মিনেটিং/হাইড্রোপনিক ট্রে – ৫৮ সেঃমিঃ * ২৮ সেঃমি * ৩ সেঃমি, ৪৭৫ গ্রাম

৩) মালচিং ফিল্ম- ২৫ মাইক্রন, ৪ ফুট প্রশস্থ-৫০০মিঃ, ৩ ফুট প্রশস্থ-৬০০ মিটার

৪) কোকোপিট ব্লক-৪.৫ কেজি

৫) লুস কোকোপিট

৬) কোকো গ্রোয়িং স্টিক ২৪/৩২/৩৮ ইঞ্চি 

৭) কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট 

৮) হাড়ের গুড়া/শিংকুচি

৯) ভার্মিকম্পোস্ট 

১০) মাচার জাল (৮ হাত*৫৫ হাত-১২ ইঞ্চি গ্যাপ)

১১) কাটিং এইড রুট হরমোন- শিকড় গজানোর জাদুকরী হরমোন

১২) হিউমিনল গোল্ড অরগানিক পিজিআর (PGR)

১৩) লিবিনল- বৃদ্ধিকারক জৈব নিয়ন্ত্রক

১৪) ফ্ল্যাশ (Flash)-উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অনুখাদ্য সমাহার

১৫) মাইটেন্ড ইমপ্রোভ- মাকড়নাশক

১৬) ট্রাপ- সাদামাছি, থ্রিপস ও শোষক পোকা দমনের জন্য 

১৭) প্রহরী প্লাস- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৮) শিল্ড- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৯) ট্রিগার২-স্প্রে কনসেন্ট্রেটর

২০) নিউবুন (ফ্রুট স্পেশাল)-ফল গাছের জন্য বিশেষ নিউট্রিশন সাপোর্ট

২১) বুস্টার১-লাউ জাতীয় ফসলের স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২২) বুস্টার২-বেগুন, মরিচ, টমেটো সহ ফল গাছে অধিক পরিমানে ফুল আনে

২৩) বুস্টার৩-শসা ও তরমুজে স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২৪) বুস্টার৪-পটল ও কাকরোলের পরাগায়নে সহায়তা করে

২৫) বাম্পার-ফুল ও ফল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

২৬) প্যানথার টিভি-ফসলের ছত্রাকজনিত পচন প্রতিরোধ করে

২৭) প্যানথার পিএফ- ফসলের ব্যাকড়েরিয়াল উইল্টিংজনিত ঢলে পড়া প্রতিরোধ করে

২৮) সুধা জার্মিনেইড- বীজ সতেজীকরণ ও শোধনের জৈব সমাধান

২৯) থান্ডারস- ব্লাস্ট ও অন্যান্য ছত্রাকঘটিত রোগ দমনে কার্যকরী জৈব সমাধান 

৩০) সাফ ছত্রাকনাশক

৩১) ওয়েস্ট ডিকম্পোজার 

৩২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করর

৩৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ

৩৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট

৩৫) কেমাইট-জৈব মাকড়নাশক

৩৬) বায়োক্লিন- সবজি ও ফলের ছাতরা পোকা বা মিলিবাগ ও সাদামাছি পোকা দমন করে

৩৭) বায়োট্রিন-থ্রিপস, জাব পোকা, পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা, ধানের কারেন্ট পোকা দমন করে

৩৮) বায়োশিল্ড-জৈব ছত্রাকনাশক

৩৯) বায়ো-চমক-ধানের মাজরা পোকা ও বাদামী গাছ ফড়িং, বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে কার্যকরী

৪০) বায়ো-এনভির - মোজাইক ভাইরাস, ইয়েলো ভেইন মোজাইক ভাইরাস, লিফ কার্ল ভাইরাস, পিভিওয়াই ভাইরাস দমনে কার্যকরী

৪১) বায়ো-এলিন-জৈব ব্যাকটেরিয়ানাশক

৪২) বায়ো-ভাইরন-জৈব ভাইরাসনাশক

৪৩) বায়োবিটিকে- ছিদ্রকারী পোকা দমনের কীটনাশক

৪৪) বায়োডার্মা পাউডার/সলিড (ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম)

৪৫) কিউ-ফেরো/বিএসএফবি/স্পোডো-লিউর ফেরোমন টোপ

৪৬) বলবান-পিজিআর

৪৭) চিলেটেড জিংক

৪৮) সলবোর বোরন

৪৯) হলুদ/নীল/সাদা স্টিকি ট্র্যাপ

৫০) ম্যাঙ্গো/ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ

৫১) সবজি, তরমুজ ও পেঁপেঁর হাইব্রিড বীজ


সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 
















শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চলার পথে উপদেশ গুলো কাজে লাগবে।,,,,,,,

 চলার পথে উপদেশ গুলো কাজে লাগবে।


১। কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। 

কখন নিয়ে যাবে, বুঝতে পাবেন না।


২। রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।


৩। রাস্তায় কিছু খাবেন না, অর্থাৎ কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাবেন অথবা প্যাকেটজাত কিছু কিনো খান।

পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না।

হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা

অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।


৪। ট্রেন ভ্রমনে দরজার পাশে বা দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। 

অনেক যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। 

বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন কর্ হয়।


৫। কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ।

আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।


৬। বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। 

এরা কিন্তু একটা গ্যাং।

দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা

ঝামেলায় বাধাতে।

এতে ওদের লাভ, সেটা কিরকম ?

ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ডাকে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে।

অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপ রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো

মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। 

আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।


৭। ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।

নতুবা ছিনতাইকারী কবলে পড়তে পারোন।

খামোখা কেনো ঝুঁকি নিবেন।


৮। ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছে দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো

৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। 

তাই সাবধানে থাকুন।

প্রয়োজনে দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।


৯। নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।


১০। বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না।

দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে বুজতেও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।


১১। বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে।


১২। রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী) পুলিশ (সক‌লেই নয়) ধরলেও বিপদ। 

যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায়

আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।


১৩  বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে হলেতো অবশ্যই না।


১৪। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো।

বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।


১৫। চলাচলের সময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।


১৬। নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও

পারবেন না।

 সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন।

মনে রাখবেন, দোয়া পড়ে বাহির হবেন।


আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে।

এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।


নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।


 শিক্ষা ও তথ্য কেন্দ্র।


👉 সংগৃহীত। 

কপি পেষ্ট করে, 

সংশোধিত পরিমার্জিত ও সংশোধিত আকারে পোষ্ট করা। 

👉 ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে।



প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো

 প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো। চীনারা ভেবেছিল এটার উচ্চতার জন্য কেউ টপকে তাদের আক্রমণ করতে পারবে না।

গ্রেট ওয়াল নির্মাণের প্রথম একশো বছরের মধ্যেই চীনারা তিন বার আক্রান্ত হয়। আশ্চর্যের বিষয় কোনোবারই আক্রমণকারীদের দেওয়াল টপকানোর বা ভাঙার প্রয়োজন হয় নাই। কারণ প্রত্যেকবারই আক্রমণকারীরা দেওয়াল পাহারারত রক্ষীদের উৎকোচ দিয়ে সামনের গেট দিয়ে ঢুকে গেছে। চীনারা অনেক পরিশ্রম করে মজবুত দেওয়াল তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা দেওয়াল পাহারা দেওয়া রক্ষীদের চরিত্র মজবুত করার জন্য কোন পরিশ্রমই করেনি। 


তাহলে দেখা যাচ্ছে দেওয়াল মজবুত করার থেকে চরিত্র মজবুত করার প্রশ্নটিই আগে আসে। শুধু দেওয়াল মজবুত করার ফলাফল শূন্য।


তাই অনেক আগেই একজন প্রাচ‍্যদেশীয় দার্শনিক বলে গেছেন তুমি যদি কোন সভ্যতা ধ্বংস করতে চাও তাহলে তিনটি কাজ কর-


(ক) যে জাতিকে পদানত করতে চাও তার পারিবারিক গঠন আগে ধ্বংস করো। পারিবারিক গঠন ধ্বংস করতে হলে সংসারে মায়ের ভূমিকাকে খাটো করে দেখাও যাতে সে গৃহবধূ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে।


(খ) শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দাও। এটা করতে হলে শিক্ষককে প্রাধান্য দিও না। সমাজে তার অবস্থান নিচু করে দেখাও যাতে তার ছাত্ররাই তাকে উপহাস করে।


(গ) তরুণ সমাজ যেন অনুসরণ করার মত কোন রোল মডেল না পায়। তাই তাদের জ্ঞানীদের নানাভাবে অপমান কর। রোল মডেলদের নামে অসংখ্য মিথ্যা কুৎসা রটাও যাতে তরুণ সমাজ তাদের অনুসরণ করতে দ্বিধাবোধ করে।


 (প্রাথমিক শিক্ষা সংবাদের ওয়াল থেকে নেয়া)



টেস্টিং সল্টের ক্ষতিকর দিক গুলো,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ঘটনা ১) ভাতিজার বিয়েতে দায়িত্ব পড়েছে মুদি সদাই করার।বাবুর্চির লিস্ট অনুযায়ী শুধু টেস্টিং সল্ট ছাড়া বাজার করে আনলাম।সেকি ঝগড়া বাবুর্চির।পরে ভাই আরেকজনকে দিয়ে বাজার থেকে আনিয়ে দিল।

ঘটনা ২) মাওজির কুলখানি।সেখানেও দায়িত্ব পড়লো বাজার সদাই করার।টেস্টিং সল্ট বাদ দিয়ে সব আনলাম।এবার আর বাবুর্চি কিছু বলে না কিন্তু রান্নার সময় টেবিলের উপর দেখি ৪ পেকেট টেস্টিং সল্ট।কে এনে দিছে জানিনা।

ঘটনা ৩)প্রত্যন্ত গ্রাম,শিক্ষার হার নিন্ম,আমাদের চান্দিনার ফার্মের পাশে ছোট্ট মুদি দোকান।ঘুড়ির লেজের মত ঝুলে আছে টেস্টিং সল্টের পেকেট।জিজ্ঞেস করলাম,কারা নেয়? বললো,গ্রামের সব বাড়িতেই তো ব্যবহার করে।কেন? খানা মজা হয় এজন্য।

ফুচকা,চটপটি,হালিমওয়ালা,গাছতলা,ছালাদিয়া,ফুটপাত,৩ তারা,৫ তারা,চাইনিজ,বাংলা,থাই,হোটেল,রেস্টুরেন্ট সবাই দেদারসে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করছে।এ পর্যন্ত এই "স্নায়ুবিষ" এর বিরুদ্ধে কোন আইন নেই দেশে।এর ক্ষতিকর দিকগুলো  দেখুন...

"চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা টেস্টিং সল্টকে স্নায়ুবিষ বলে আখ্যায়িত করেছেন।বিশেষজ্ঞরা জানান,টেস্টিং সল্ট মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে মনে হয়, খাবারটি খুবই সুস্বাদু। ওই খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। শিশুরা পছন্দ করে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টেস্টিং সল্টমিশ্রিত খাবার সরবরাহ নিষিদ্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক সমকালকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক বছর আগে স্নায়বিক অসুস্থতার লক্ষণযুক্ত নতুন রোগের কথা জানায়, যার নাম দেওয়া হয় 'চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম'। টেস্টিং সল্ট মানবদেহে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিষিয়ে তোলে। ফলে স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ঘুম কম হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে স্বাভাবিক খাবার অরুচিকর লাগে। কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।


অধ্যাপক ফারুক আরও বলেন, টেস্টিং সল্টকে বিজ্ঞানীরা উদ্দীপক বিষ নামে অভিহিত করেছেন। নিয়মিত টেস্টিং সল্ট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, হরমোন নিঃসরণে গোলযোগ, মনোবৈকল্য, শিশুদের ক্ষেত্রে লেখাপড়ায় কম মনোযোগ. অতিরিক্ত ছটফটানি ভাব, হাঠ7ৎ ক্ষেপে যাওয়া, মুটিয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা টেস্টিং সল্ট খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া এটি মস্তিস্কে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে টেস্টিং সল্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও এটি নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।"

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক সমকাল


সবজির বীজ গজানোর ধাপ সমূহ।,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সবজির বীজ গজানোর ধাপ সমূহ। 


অনেক সময়েই শাক সবজির বীজ বপন করলে সঠিক ভাবে গজায় না। এ জন্য কম মানসম্পন্ন বীজ , মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ, পিপড়ার আক্রমণ, ছত্রাকের আক্রমণ সহ বিভিন্ন কারন হতে  পারে। তাই চারার জন্য সঠিক নিয়মে বীজ গজানোর পক্রিয়ার ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।


🌲🌲মিষ্টিকুমড়া, শিম, বরবটি, লাউ, শশা ,তরমুজ, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা জাতীয় বীজ


১) প্রথমে রোদে ৩০-৪৫ মিনিট ধরে রাখতে হবে, কারন বীজ গুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে,রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙবে।


২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।


৩) গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।


৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷


৫) পানি ছেকে বীজ গুলি ভেজা কাপড়ের পুটলি বা পাটের ছালা বা টিস্যু পেপার এ মুড়িয়ে হালকা(খুবই অল্প) পানি স্প্রে করে লেপ/তোষক বা পরা লুঙ্গির গিঁটে বা বক্সে (যেন বাতাস না ঢুকে এমন বক্স বা বয়ামে) রেখে দুই থেকে চার দিন পর চেক করুন। অনেক বীজে বেশী সময় লাগতে পারে।


৬) দেখবেন বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছে। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার সাথে সাথে অঙ্কুর বড় না করে অঙ্কুরিত বীজ প্লাস্টিকের ট্রে, আইস্ক্রীমের কাপ বা টবে আস্তে করে লাগাবেন যেন বীজ এর অঙ্কুর না ভাঙ্গে৷ বীজের উপরে কোকোডাস্ট বা হালকা মাটি দিবেন। হালকা পানি দিয়ে দিন।


৭) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন।


৮) ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি মিশিয়ে গাছসহ মাটিতে স্প্রে করতে হবে৷


৯) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷


🌲🌲ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, টমেটো, মরিচ, ক্যাপসিকাম, বেগুন(ছোট বীজ) জাতীয় বীজ


১) প্রথমে কড়া রোদে ৩০-৪৫ মিনিট রাখতে হবে৷ কারন বীজ গুলি সুপ্তাবস্হায় থাকে, রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙ্গে৷


২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।


৩)  গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৪-৫ ঘণ্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।


৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷


৫) বীজ লাগানো টবে বা প্লাস্টিকের ট্রে বা পাত্রের মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ঝুরঝুরে কিছু মাটি বা কোকোডাস্ট আলাদা করে রাখতে হবে যেটা বীজ বপনের পর দিতে হবে। মাটির সাথে সম্ভব হলে বালু, জৈব সার, ভার্মি কম্পোস্ট, হাড়ের গুড়া অথবা শুধুমাত্র রেডি কোকোপিট ব্যবহার করলে হয়। তাহলে মাটি জমাট বাধে না ঝুরঝুরে থাকে।


৬) পানি ছেকে বীজ গুলি প্লাস্টিকের ট্রে বা পলিব্যাগ বা টবে বিছিয়ে দিন। তার উপরে হালকা করে কোকোডাস্ট বা ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে দিন এমনভাবে যেন বীজ দেখা না যায়।


৭) পাত্রে পানি স্প্রে করে দিন।


৮) প্লাস্টিক ট্রে বা টব বা পাত্রের উপরে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, যেন ভাপ উৎপন্ন হয়৷ তিন থেকে সাত দিন পর চেক করুন। বীজ অঙ্কুরিত করার জন্য অন্ধকার ও ভাপ উৎপন্ন হলে দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। ৭-১০ দিন এর মধ্যে বীজ অংকুরিত হয়ে যায়৷


৯) দেখবেন বীজ অংকুরিত হচ্ছে। তারপর ভেজা কাপড় খুলে পানি স্প্রে করে রেখে দিন৷


১০) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন

ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি আকারে স্প্রে করতে হবে৷


১১) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


ফেব্রুয়ারী মাসের কৃষি




 

জয়মালা প্রান কৃষি

 জয়মালা ২০ এস পি (অ্যাসিটামিপ্রিড ২০%)

জয়মালা ২০ এসপি কি?

জয়মালা ২০ এসপি একটি স্পর্শক ও পাকস্থলীয় ক্রিয়াসম্পন্ন নিয়োনিকোটিনয়েড শ্রেণীর অন্তর্বাহী কীটনাশক যার মধ্যে ট্রান্সল্যামিনার ক্রিয়া বিদ্যমান। এর প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম সক্রিয় উপাদান ‘অ্যাসিটামিপ্রিড’ আছে।


জয়মালা ২০ এসপি পি কেন ব্যবহার করবেন?

- এটি সিস্টেমিক কীটনাশক এবং এতে ট্রান্সল্যামিনার ক্রিয়া থাকার ফলে পাতার উপরের কোষ ভেদ করে সহজে পাতার নিচে থাকা ডিম এবং নিম্ফ মেরে ফেলতে পারে।

- ধানের বাদামী গাছ ফড়িং দমন করে।

- সব্জির বিভিন্ন চোষক পোকা (Sucking Pest) যেমন- সাদা মাছি, এফিড, জেসিড ও মশা দমনে খুবই কার্যকরী।

- সাদা মাছির (White Fly) ডিম, নিম্ফ এবং পূর্ণ বয়স্ক পোকা দমনে খুবই কার্যকরী কারণ এর মধ্যে ডিম্বাণুনাশক (Ovicidal) ক্রিয়া বিদ্যমান।

- ট্রান্সলেমিনার গুণসম্পন্ন তাই পাতার উভয় পাশেই কার্যকরী।

- অন্যান্য কীটনাশাকের তুলনায় কম পরিমাণে প্রয়োগ করলেই কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।


ফসলঃ শিম, পাট, তুলা, আলু, আম, চা, ধান



রূপাই – জসীম উদ্‌দীন,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রূপাই

– জসীম উদ্‌দীন


এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল,

কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল!

কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া,

তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের ছায়া |

জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু,

গা-খানি তার শাওন মাসের যেমন তমাল তরু |

বাদল-ধোয়া মেঘে কে গো মাখিয়ে দেছে তেল,

বিজলী মেয়ে পিছলে পড়ে ছড়িয়ে আলোর খেল |

কচি ধানের তুলতে চারা হয়ত কোনো চাষি,

মুখে তাহার জড়িয়ে গেছে কতকটা তার হাসি।


কালো চোখের তারা দিয়েই সকল ধরা দেখি,

কালো দাতের কালি দিয়েই কেতাব কোরান লেখি

জনম কালো, মরণ কালো, কালো ভূবনময়;

চাষীদের ওই কালো ছেলে সব করেছে জয়।

সোনায় যে-জন সোনা বানায়, কিসের গরব তার’

রং পেলে ভাই গড়তে পারি রামধনুকের হার |

কালোয় যে-জন আলো বানায়, ভুলায় সবার মন,

তারির পদ-রজের লাগি লুটায় বৃন্দাবন |

সোনা নহে, পিতল নহে, নহে সোনার মুখ,

কালো-বরণ চাষির ছেলে জুড়ায় যেন বুক |


যে কালো তার মাঠেরি ধান, যে কালো তার গাঁও!

সেই কালোতে সিনান করি উজল তাহার গাও।

আখড়াতে তার বাঁশের লাঠি অনেক মানে মানি,

খেলার দলে তারে নিয়েই সবার টানাটানি

রজারির গানে তাহার গলা উঠে সবার আগে,

‘শাল-সুন্দি-বেত’ যেন ও, সকল কাজেই লাগে

বুড়োরা কয়, ছেলে নয় ও, পাগাল লোহা যেন,

রূপাই যেমন বাপের বেটা, কেউ দেখেছ হেন?

যদিও রূপা-নয়কো রূপাই, রূপার চেয়ে দামি,

এক কালেতে ওরই নামে সব গাঁ হবে নামি।




 পল্লী জননী - জসীম উদ্‌দীন-

 পল্লী জননী

- জসীম উদ্‌দীন-

রাত থম থম স্তব্ধ নিঝুম, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,

নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।

রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা,

করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা।

শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া জ্বলে,

তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে।


ভন্ ভন্ ভন্ জমাট বেঁধেছে বুনো মশকের গান,

এঁদো ডোবা হতে বহিছে কঠোর পচান পাতার ঘ্রাণ?

ছোট কুঁড়ে ঘর, বেড়ার ফাঁকেতে আসিছে শীতের বায়ু,

শিয়রে বসিয়া মনে মনে মাতা গণিছে ছেলের আয়ু।


ছেলে কয়, “মারে, কত রাত আছে? কখন সকাল হবে,

ভাল যে লাগে না, এমনি করিয়া কেবা শুয়ে থাকে কবে?”

মা কয়“বাছারে ! চুপটি করিয়া ঘুমা ত একটি বার, ”

ছেলে রেগে কয় “ঘুম যেআসে না কি করিব আমি তার ?”

পান্ডুর গালে চুমো খায় মাতা, সারা গায়ে দেয় হাত,

পারে যদি বুকে যত স্নেহ আছে ঢেলে দেয় তারি সাথ।

নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান,

ছেলেরে তাহার ভাল কোরেদাও, কাঁদে জননীর প্রাণ।

ভাল করে দাও আল্লা রছুল। ভাল কোরে দাও পীর।

কহিতে কহিতে মুখখানি ভাসে বহিয়া নয়ন নীর।


বাঁশবনে বসি ডাকে কানা কুয়ো,রাতের আঁধার ঠেলি,

বাদুড় পাখার বাতাসেতে পড়ে সুপারীর বন হেলি।

চলে বুনোপথে জোনাকী মেয়েরা কুয়াশা কাফন ধরি,

দুর ছাই। কিবা শঙ্কায় মার পরাণ উঠিছে ভরি।

যে কথা ভাবিতে পরাণ শিহরে তাই ভাসে হিয়া কোণে,

বালাই, বালাই, ভালো হবে যাদু মনে মনে জালবোনে।

ছেলে কয়, “মাগো! পায়ে পড়ি বলো ভাল যদি হই কাল,

করিমের সাথে খেলিবারে গেলে দিবে না ত তুমি গাল?

আচ্ছা মা বলো, এমন হয় না রহিম চাচার ঝাড়া

এখনি আমারে এত রোগ হোতে করিতে পারি ত খাড়া ?”

মা কেবল বসি রুগ্ন ছেলের মুখ পানে আঁখি মেলে,

ভাসাভাসা তার যত কথা যেন সারা প্রাণ দিয়ে গেলে।


“শোন মা! আমার লাটাই কিন্তু রাখিও যতন করে,

রাখিও ঢ্যাঁপের মোয়া বেঁধে তুমি সাত-নরি শিকা পরে।

খেজুরে-গুড়ের নয়া পাটালিতে হুড়ুমের কোলা ভরে,

ফুলঝুরি সিকা সাজাইয়া রেখো আমার সমুখ পরে।”

ছেলে চুপ করে, মাও ধীরে ধীরে মাথায় বুলায় হাত,

বাহিরেতে নাচে জোনাকী আলোয় থম থম কাল রাত।


রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া কত কথা পড়ে মনে,

কোন দিন সে যে মায়েরে না বলে গিয়াছিল দুর বনে।

সাঁঝ হোয়ে গেল আসেনাকো আই-ঢাই মার প্রাণ,

হঠাৎ শুনিল আসিতেছে ছেলেহর্ষে করিয়া গান।

এক কোঁচ ভরা বেথুল তাহার ঝামুর ঝুমুর বাজে,

ওরে মুখপোড়া কোথা গিয়াছিলি এমনি এ কালি-সাঁঝে?


কত কথা আজ মনে পড়ে মার, গরীবের ঘর তার,

ছোট খাট কত বায়না ছেলের পারে নাই মিটাবার।

আড়ঙের দিনে পুতুল কিনিতে পয়সা জোটেনি তাই,

বলেছে আমরা মুসলমানের আড়ঙ দেখিতে নাই।

করিম যে গেল? রহিম চলিল? এমনি প্রশ্ন-মালা;

উত্তর দিতে দুখিনী মায়ের দ্বিগুণ বাড়িত জ্বালা।

আজও রোগে তার পথ্য জোটেনি, ওষুধ হয়নি আনা,

ঝড়ে কাঁপে যেন নীড়ের পাখিটি জড়ায়ে মায়ের ডানা।


ঘরের চালেতে ভুতুম ডাকিছে, অকল্যাণ এ সুর,

মরণের দুত এল বুঝি হায়। হাঁকে মায়, দুর-দুর।

পচা ডোবা হতে বিরহিনী ডা’ক ডাকিতেছে ঝুরি ঝুরি,

কৃষাণ ছেলেরা কালকে তাহার বাচ্চা করেছে চুরি।

ফেরে ভন্ ভন্ মশা দলে দলে বুড়ো পাতা ঝরে বনে,

ফোঁটায় ফোঁটায় পাতা-চোঁয়াজল গড়াইছে তার সনে।

রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা।

সম্মুখে তার ঘোর কুজঝটি মহা-কাল-রাত পাতা।

পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল,

আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...