এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আদুভাই – আবুল মনসুর আহমদ,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আদুভাই

– আবুল মনসুর আহমদ


এক


আদুভাই ক্লাস সেভেনে পড়তেন। ঠিক পড়তেন না বলে পড়ে থাকতেন বলাই ভালো। কারণ ঐ বিশেষ শ্রেণী ব্যতীত আর কোনো শ্রেণীতে তিনি কখনো পড়েছেন কিনা, পড়ে থাকলে ঠিক কবে পড়েছেন, সে-কথা ছাত্ররা কেউ জানত না। শিক্ষকরাও অনেকে জানতেন না বলেই বোধ হত। শিক্ষকরাও অনেকে তাঁকে ‘আদুভাই’ বলে ডাকতেন। কারণ নাকি এই যে, তারাও এককালে আদুভাইয়ের সহপাঠী ছিলেন এবং সবাই নাকি ক্লাস-সেভেনেই আদুভাইয়ের সঙ্গে পড়েছেন। আমি যখন ক্লাস সেভেনে আদুভাইয়ের সহপাঠী হলাম ততদিনে আদুভাই ঐ শ্রেণীর পুরাতন টেবিল ব্ল্যাকবোর্ডের মতোই নিতান্ত অবিচ্ছেদ্য এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক অঙ্গে পরিণত হয়ে গিয়েছেন। 


আদুভাইয়ের এই অসাফল্য আর যে-ই যত হতাশ হোক, আদুভাইকে কেউ কখনো বিষণ দেখেনি। কিম্বা নম্বর বাড়িয়ে দেবার জন্য তিনি কখনো কোনো শিক্ষক বা পরীক্ষককে অনুরোধ করেননি। যদি কখনো কোনো বন্ধু বলেছে : যান না আদুভাই, যে কয় সাবজেক্টে শর্ট আছে, শিক্ষকদের বলে কয়ে নম্বরটা নিন-না বাড়িয়ে। তখন গভীরভাবে আদুভাই জবাব দিয়েছেন : সব সাবজেক্টে পাকা হয়ে ওঠাই ভালো।


কোন কোন সাবজেক্টে শর্ট, সুতরাং পাকা হওয়ার প্রয়োজন আছে, তা কেউ জানত না। আদুভাইও জানতেন না; জানবার কোনো চেষ্টাও করেননি; জানবার আগ্রহও যে তাঁর আছে, তাও বোঝবার উপায় ছিল না। বরং তিনি যেন মনে করতেন, ওরকম আগ্রহ প্রকাশ করাই অন্যায় ও অসঙ্গত। তিনি বলতেন : যেদিন তিনি সব সাবজেক্টে পাকা হবেন, প্রমোশন সেদিন তার কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সে-শুভদিন যে একদিন আসবেই সে-বিষয়ে আদুভাইয়ের এতটুকু সন্দেহ কেউ কখনো দেখেনি।


কত খারাপ ছাত্র প্রশ্নপত্র চুরি করে অপরের খাতা নকল করে আদুভাইয়ের ঘাড়ের উপর দিয়ে প্রমোশন নিয়ে চলে গিয়েছে, এ-ধরনের ইঙ্গিত আদুভাইয়ের কাছে কেউ করলে, তিনি গর্জে উঠে বলতেন : জ্ঞান লাভের জন্যই আমরা স্কুলে পড়ি, প্রমোশন লাভের জন্য পড়ি না। সেজন্য অনেক সন্দেহবাদী বন্ধু আদুভাইকে জিজ্ঞেস করেছে : আদুভাই, আপনার কি সত্যিই প্রমোশনের আশা আছে? নিশ্চিত বিজয় গৌরবে আদুভাইয়ের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তিনি তাচ্ছিল্যভরে বলেছেন : আজ হোক, কাল হোক, প্রমোশন আমাকে দিতেই হবে। তবে হ্যা, উন্নতি আস্তে-আস্তে হওয়াই ভালো। যে গাছ লকলক করে বেড়েছে, সামান্য বাতাসেই তার ডগা ভেঙেছে। 


সেজন্য আদুভাইকে কেউ কখনো পিছনের বেঞ্চিতে বসতে দেখেনি। সামনের বেঞ্চিতে বসে তিনি শিক্ষকদের প্রত্যেকটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন, হা করে গিলতেন, মাথা নাড়তেন ও প্রয়োজনমতো নোট করতেন। খাতার সংখ্যা ও সাইজে আদুভাই ছিলেন ক্লাসের একজন অন্যতম ভালো ছাত্র।  শুধু ক্লাসের নয়, স্কুলের মধ্যে তিনি সবার আগে পৌঁছুতেন। এ ব্যাপারে শিক্ষক কি ছাত্র–কেউ তাঁকে কোনোদিন হারাতে পেরেছে বলে শোনা যায়নি। 


স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভায় আদুভাইকে আমরা বরাবর দুটো পুরস্কার পেতে দেখেছি। আমরা শুনেছি, আদুভাই কোন অনাদিকাল থেকে ঐ দুটো পুরস্কার পেয়ে আসছেন। তার একটি, স্কুল কামাই না করার জন্য; অপরটি সচ্চরিত্রতার জন্য। শহরতলির পাড়া-গাঁ থেকে রোজ রোজ পাঁচ মাইল রাস্তা তিনি হেঁটে আসতেন বটে; কিন্তু ঝড়-তুফান, অসুখ-বিসুখ কিছুই তার এ কাজের অসুবিধে সৃষ্টি করে উঠতে পারেনি। চৈত্রের কালবোশেখী বা শ্রাবণের ঝড়ঝঞায় যেদিন পশুপক্ষীও ঘর থেকে বেরােয়নি, সেদিনও ছাতার নিচে নুড়িমুড়ি হয়ে, বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আদুভাইকে স্কুলের পথে এগোতে দেখা গিয়েছে। মাইনের মমতায় শিক্ষকরা অবশ্য স্কুলে আসতেন। তেমন দুর্যোগে ছাত্ররা কেউ আসেনি নিশ্চিত জেনেও নিয়ম রক্ষার জন্য তারা ক্লাসে একটি উঁকি মারতেন। কিন্তু তেমন দিনেও অন্ধকার কোণ থেকে ‘আদাব, স্যার’ বলে যে একটি ছাত্র শিক্ষকদের চমকিয়ে দিতেন তিনি ছিলেন আদুভাই। আর চরিত্র? আদুভাইকে কেউ কখনো রাগ কিম্বা অভদ্রতা করতে কিম্বা মিছে কথা বলতে দেখেনি। 


স্কুলে ভর্তি হবার পর প্রথম পরীক্ষাতেই আমি ফার্স্ট হলাম। সুতরাং আইনত আমি ক্লাসের মধ্যে সবচাইতে ভালো ছাত্র এবং আদুভাই সবার চাইতে খারাপ ছাত্র ছিলেন। কিন্তু কী জানি কেন, আমাদের দুজনার মধ্যে একটা বন্ধন সৃষ্টি হল। আদুভাই প্রথম থেকেই আমাকে যেন নিতান্ত আপনার লোক বলে ধরে নিলেন। আমার ওপর যেন তার কতকালের দাবি।


আদুভাই মনে করতেন, তিনি কবি ও বক্তা। স্কুলের সাপ্তাহিক সভায় তিনি বক্তৃতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করতেন। তাঁর কবিতা শুনে সবাই হাসত। সে হাসিতে আদুভাই লজ্জাবোধ করতেন না, নিরুৎসাহও হতেন না।। বরঞ্চ তাকে তিনি প্রশংসাসূচক হাসিই মনে করতেন। তার উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে যেত।


অন্যসব ব্যাপারে আদুভাইকে বুদ্ধিমান বলেই মনে হত। কিন্তু এই একটি ব্যাপারে তাঁর নির্বুদ্ধিতা দেখে আমি দুঃখিত হতাম। তাঁর নির্বুদ্ধিতা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক সবাই তামাশা করছেন, অথচ তিনি তা বুঝতে পারছেন না, দেখে আমার মন আদুভাইয়ের পক্ষপাতী হয়ে উঠত।


গেল এইভাবে চার বছর। আমি ম্যাট্রিকের জন্য টেস্ট পরীক্ষা দিলাম। আদুভাই কিন্তু সেবারও যথারীতি ক্লাস সেভেনেই অবস্থান করছিলেন।


দুই


ডিসেম্বর মাস। 


সব ক্লাসের পরীক্ষা ও প্রমোশন হয়ে গিয়েছ। প্রথম বিবেচনা, দ্বিতীয় বিবেচনা, তৃতীয় বিবেচনা ও বিশেষ বিবেচনা ইত্যাদি সকল প্রকারের বিবেচনা হয়ে গিয়েছে। বিবেচিত প্রমোশন-প্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য বারের ন্যায় সেবারও পাস-করা প্রমোশন-প্রান্তের সংখ্যার দ্বিগুণেরও ঊর্ধ্বে উঠেছে।


কিন্তু আদুভাই এসব বিবেচনার বাইরে। কাজেই তার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে আমরা টিউটরিয়েল ক্লাস করছিলাম। ছাত্ররা শুধু শুধু কুলপ্রাঙ্গণে জটলা করছিল-প্রমোশন পাওয়া ছেলেরা নিজেদের কীর্তি-উজ্জ্বল চেহারা দেখাবার জন্য, আর না-পাওয়া ছেলেরা প্রমোশনের কোনো প্রকার অতিরিক্ত বিশেষ বিবেচনার দাবি জানাবার জন্য।


এমন দিনে একটু নিরালা জায়গায় পেয়ে হঠাৎ আদুভাই আমার পা জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন। আমি চমকে উঠলাম। আদুভাইকে আমরা সবাই মুরুব্বি মানতাম। তাই তাকে ক্ষিপ্রহতে টেনে তুলে প্রতিদানে তার পা ছুঁয়ে বললাম : কী হয়েছে আদুভাই, অমন পাগলামি করলেন কেন?


আদুভাই কম্পিত কণ্ঠে বললেন : প্রমোশন।


আমি বিস্মিত হলাম; বললাম ; প্রমোশন? প্রমোশন কী? আপনি প্রমোশন পেয়েছেন? 


: না, আমি প্রমোশন পেতে চাই।। 


: ও, পেতে চান? সে তো সবাই চায়।


আদুভাই অপরাধীর ন্যায় উদ্বেগ-কম্পিত ও সংকোচ-জড়িত প্যাঁচ-মোচড় দিয়ে যা বললেন, তার মর্ম এই যে : প্রমোশনের জন্য এতদিন তিনি কারো কাছে কিছু বলেননি; কারণ, প্রমোশন জিনিসটাকে যথাসময়ের পূর্বে এগিয়ে আনাটা তিনি পছন্দ করেন না। কিন্তু একটা বিশেষ কারণে এবার তাঁকে প্রমোশন পেতেই হবে। সে নির্জনতায়ও তিনি আমার কানের কাছে মুখ এনে সেই কারণটি বললেন। তা এই যে, আদুভাইর ছেলে সেবার ক্লাস সেভেনে প্রমোশন পেয়েছে। নিজের ছেলের প্রতি আদুভাইয়ের কোনো ঈর্ষা নেই। কাজেই ছেলের সঙ্গে এক শ্রেণীতে পড়ার তার আপত্তি ছিল না। কিন্তু আদুভাইয়ের স্ত্রীর তাতে ঘোরতর আপত্তি আছে। ফলে, হয় আদুভাইকে এবার প্রমোশন পেতে হবে, নয়তো পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হবে। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে আদুভাই। বাঁচবেন কী নিয়ে?


আমি আদুভাইয়ের বিপদের গুরুত্ব বুঝতে পারলাম। তার অনুরোধে আমি শিক্ষকদের কাছে সুপারিশ করতে যেতে রাজি হলাম। 


প্রথমে ফারসি-শিক্ষকের কাছে যাওয়া স্থির করলাম। কারণ, তিনি একদা আমাকে মোট একশত নম্বরের মধ্যে একশত পাঁচ নম্বর দিয়েছিলেন। বিস্মিত হেডমাস্টার তার কারণ জিজ্ঞেস করায় মৌলবি সাব বলেছিলেন : ‘ছেলে সমস্ত প্রশ্নের শুদ্ধ উত্তর দেওয়ায় সে পূর্ণ নম্বর পেয়েছে। পূর্ণ নম্বর পাওয়ার পুরস্কার স্বরূপ আমি খুশি হয়ে তাকে পাঁচ নম্বর বখশিশ দিয়েছি। অনেক তর্ক করেও হেডমাস্টার মৌলবি সাবকে এই কাজের অসঙ্গতি বুঝতে পারেননি।


মৌলবি সাব আদুভাইয়ের নাম শুনে জ্বলে উঠলেন। অমন বেতমিজ ও খোদার না-ফরমান বান্দা তিনি কখনো দেখেননি বলে আস্ফালন করলেন এবং অবশেষে টিনের বাক্স থেকে অনেক খুঁজে আদুভাইয়ের খাতা বের করে আমার সামনে ফেলে দিয়ে বললেন : দেখ। 


আমি দেখলাম, আদুভাই মোটে তিন নম্বর পেয়েছে। তবু হতাশ হলাম না। পাসের নম্বর দেওয়ার জন্য তাকে চেপে ধরলাম। 


বড় দেরি হয়ে গিয়েছে, নম্বর সাবমিট করে ফেলেছেন, বিবেচনার তর পার হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি সমস্ত যুক্তির আমি সন্তোষজনক জবাব দিলাম। তিনি বললেন : তুমি কার জন্য, কী অন্যায় অনুরোধ করছ; খাতাটা খুলেই একবার দেখ না ।


আমি মৌলবি সাবকে খুশি করবার জন্য অনিচ্ছাসত্ত্বেও এবং অনাবশ্যক বোধেও খাতাটা খুললাম। দেখলাম : ফারসি পরীক্ষা বটে, কিন্তু খাতার কোথাও একটি ফারসি হরফ নেই। তার বদলে ঠাস-বুনানো বাংলা হরফে অনেক কিছু লেখা আছে। কৌতূহলবশে পড়ে দেখলাম : এই বঙ্গদেশে ফারসিভাষা আমদানির অনাবশ্যকতা ও ছেলেদের তা শিখবার চেষ্টার মূখতা সম্বন্ধে আদুভাই যুক্তিপূর্ণ একটি থিসিস’ লিখে ফেলেছেন।


পড়া শেষ করে মৌলবি সাবের মুখের দিকে চাইতেই বিজয়ের ভঙ্গিতে বললেন : দেখেছ বাবা বেতমিজের কাজ? আমি নিতান্ত ভালো মানুষ বলেই তিনটে নম্বর দিয়েছি, অন্য কেউ হলে রাসটিকেটের সুপারিশ করত। যাহোক, শেষ পর্যন্ত মৌলবি সাব আমার অনুরোধ এড়াতে পারলেন না। খাতার উপর ৩-এর পৃষ্ঠে ৩ বসিয়ে ৩৩ করে দিলেন।


আমি বিপুল আনন্দে অঙ্কের পরীক্ষকের বাড়ি ছুটলাম।


সেখানে আদুভাইয়ের খাতার উপর লাল পেন্সিলের একটি প্রকাণ্ড ভূমণ্ডল আঁকা রয়েছে। ব্যাপারের গুরুত্ব বুঝেও আমার উদ্দেশ্য বললাম। অঙ্কের মাস্টার তো হেসেই খুন। হাসতে-হাসতে তিনি আদুভাইয়ের খাতা বের করে আমাকে অংশবিশেষ পড়ে শোনালেন। তাতে আদুভাই লিখেছেন যে, প্রশ্নকর্তা ভালো-ভালো অঙ্কের প্রশ্ন ফেলে কতকগুলো বাজে ও অনাবশ্যক প্রশ্ন করেছেন। সেজন্য এবং প্রশ্নকর্তার ত্রুটি সংশোধনের উদ্দেশ্যে আদুভাই নিজেই কতিপয় উৎকৃষ্ট প্রশ্ন লিখে তার বিশুদ্ধ উত্তর দিচ্ছে-এইরূপ ভূমিকা করে আদুভাই যে-সমত অঙ্ক করেছেন, শিক্ষক মহাশয় প্রশ্নপত্র ও খাতা মিলিয়ে আমাকে দেখালেন যে, প্রশ্নের সঙ্গে আদুভাইর উত্তরের সত্যিই কোনো সংস্রব নেই।


প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল থাক, খাতায় লেখা অঙ্ক শুদ্ধ হলেই নম্বর পাওয়া উচিত বলে আমি শিক্ষকের সঙ্গে অনেক ধস্তাধস্তি করলাম। শিক্ষক মশায়, যাহোক, প্রমাণ করে দিলেন যে, তাও শুদ্ধ হয়নি।


সুতরাং পাসের নম্বর দিতে তিনি রাজি হলেন না। তবে তিনি আমাকে এই আশ্বাস দিলেন যে, অন্য সব সাবজেক্টের শিক্ষকদের রাজি করাতে পারলে তিনি আদুভাইয়ের প্রমোশনে সুপারিশ করতে প্রস্তুত আছেন।


নিতান্ত বিষপ্নমনে অন্যান্য পরীক্ষকদের নিকটে গেলাম। সর্বত্র অবস্থা প্রায় একরুপ। ভূগোলের খাতায় তিনি লিখেছেন যে, পৃথিবী গোলাকার এবং সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে, এমন গাঁজাখুরি গল্প তিনি বিশ্বাস করেন না। ইতিহাসের খাতায় লিখেছেন যে, কোন রাজা কোন সম্রাটের পুত্র এসব কথার কোনো প্রমাণ নেই। ইংরেজির খাতায় তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও লর্ড ক্লাইভের ছবি পাশাপাশি আঁকবার চেষ্টা করেছেন – অবশ্য কে যে সিরাজ, কে যে ক্লাইভ, নিচে লেখা না থাকলে তা বোঝা যেত না।


হতাশ হয়ে হোস্টেলে ফিরে এলাম। আদুভাই আগ্রহ-ব্যাকুল চোখে আমার পথপানে চেয়ে অপেক্ষা করছিলেন।


আমি ফিরে এসে নিষ্ফলতার খবর দিতেই তার মুখটি ফ্যাকাশে হয়ে গেল।


তবে আমার কী হবে ভাই? বলে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন।


কিছু একটা করবার জন্য আমার প্রাণও ব্যাকুল হয়ে উঠল। বললাম : তবে কি আদুভাই, আমি হেডমাস্টারের কাছে যাব?


আদুভাই ক্ষণিক আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ বললেন : তুমি আমার জন্য যা করেছ, সেজন্য ধন্যবাদ। হেডমাস্টারের কাছে তোমার গিয়ে কাজ নেই। সেখানে যেতে হয় আমিই যাব। হেডমাস্টারের কাছে। জীবনে আমি কিছু চাইনি। এই প্রার্থনা তিনি আমার ফেলতে পারবেন না।


বলেই তিনি হনহন করে বেরিয়ে গেলেন।


আমি একদৃষ্টে দ্রুতগমনশীল আদুভাইয়ের দিকে চেয়ে রইলাম। তিনি দৃষ্টির আড়াল হলে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে নিজের কাজে মন দিলাম। 

চলবে


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


উমর ফারুক    ----কাজী নজরুল ইসলাম,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 উমর ফারুক

   ----কাজী নজরুল ইসলাম


তিমির রাত্রি - 'এশা'র আযান শুনি দূর মসজিদে। 

প্রিয়-হারা কার কান্নার মতো এ-বুকে আসিয়ে বিঁধে! 


                     আমির-উল-মুমেনিন, 

তোমার স্মৃতি যে আযানের ধ্বনি জানে না মুয়াজ্জিন। 

তকবির শুনি, শয্যা ছাড়িয়া চকিতে উঠিয়া বসি, 

বাতায়নে চাই-উঠিয়াছে কি-রে গগনে মরুর শশী? 

ও-আযান, ও কি পাপিয়ার ডাক, ও কি চকোরীর গান? 

মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ও কি ও তোমারি সে আহ্ববান? 


                     আবার লুটায়ে পড়ি। 

'সেদিন গিয়াছে' - শিয়রের কাছে কহিছে কালের ঘড়ি। 

উমর! ফারুক! আখেরি নবীর ওগো দক্ষিণ-বাহু! 

আহ্বান নয় - রূপ ধরে এস - গ্রাসে অন্ধতা-রাহু! 

ইসলাম-রবি, জ্যোতি তার আজ দিনে দিনে বিমলিন! 

সত্যের আলো  নিভিয়া-জ্বলিছে জোনাকির আলো ক্ষীণ। 

শুধু অঙ্গুলি-হেলনে শাসন করিতে এ জগতের 

দিয়াছিলে ফেলি মুহম্মদের চরণে যে-শমশের 

ফিরদৌস ছাড়ি নেমে এস তুমি সেই শমশের ধরি 

আর একবার লোহিত-সাগরে লালে-লাল হয়ে মরি! 


ইসলাম - সে তো পরশ-মানিক তাকে কে পেয়েছে খুঁজি? 

পরশে তাহার সোনা হল যারা তাদেরেই মোরা বুঝি। 

আজ বুঝি - কেন বলিয়াছিলেন শেষ পয়গম্বর- 

'মোরপরে যদি নবী হত কেউ, হত সে এক উমর।' 

*  *  *  *  *  *  *  *  *  * 

অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলার তখতে বসি 

খেজুরপাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি 

সাইমুম-ঝড়ে। পড়েছে কুটির, তুমি পড়নি ক' নুয়ে, 

ঊর্ধ্বের যারা - পড়ছে তাহারা, তুমি ছিলে খাড়া ভূঁয়ে। 

শত প্রলোভন বিলাস বাসনা ঐশ্বর্যের মদ 

করেছে সালাম দূর হতে সব ছুঁইতে পারেনি পদ। 

সবারে ঊর্ধ্বে তুলিয়া ধরিয়া তুমি ছিলে সব নিচে, 

বুকে করে সবে বেড়া করি পার, আপনি রহিলে পিছে। 


                     হেরি পশ্চাতে চাহি- 

তুমি চলিয়াছ রৌদ্রদগ্ধ দূর মরুপথ বাহি 

জেরুজালেমের কিল্লা যথায় আছে অবরোধ করি 

বীর মুসলিম সেনাদল তব বহু দিন মাস ধরি। 

দুর্গের দ্বার খুলিবে তাহারা বলেছে শত্রু শেষে- 

উমর যদি গো সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করে এসে! 

হায় রে, আধেক ধরার মালিক আমির-উল-মুমেনিন 

শুনে সে খবর একাকী উষ্ট্রে চলেছে বিরামহীন 

সাহারা পারায়ে! ঝুলিতে দু খানা শুকনো 'খবুজ' রুটি 

একটি  মশকে একটুকু পানি খোর্মা দু তিন মুঠি। 

প্রহরীবিহীন সম্রাট চলে একা পথে উটে চড়ি 

চলেছে একটি মাত্র ভৃত্য উষ্ট্রের রশি ধরি! 

মরুর সূর্য ঊর্ধ্ব আকাশে আগুন বৃষ্টি করে, 

সে আগুন-তাতে খই সম ফোটে বালুকা মরুর পরে। 

কিছুদূর যেতে উঠ হতে নামি কহিলে ভৃত্যে, 'ভাই 

পেরেশান বড় হয়েছ চলিয়া! এইবার আমি যাই 

উষ্ট্রের রশি ধরিয়া অগ্রে, তুমি উঠে বস উটে, 

তপ্ত বালুতে চলি যে চরণে রক্ত উঠেছে ফুটে।' 


                     ...ভৃত্য দস্ত চুমি 

কাঁদিয়া কহিল, 'উমর! কেমনে এ আদেশ কর তুমি? 

উষ্ট্রের পিঠে আরাম করিয়া গোলাম রহিবে বসি 

আর হেঁটে যাবে খলিফা উমর ধরি সে উটের রশি?' 


                     খলিফা হাসিয়া বলে, 

'তুমি জিতে গিয়ে বড় হতে চাও, ভাই রে, এমনি ছলে। 

রোজ-কিয়ামতে আল্লাহ যে দিন কহিবে, 'উমর! ওরে 

করেনি খলিফা, মুসলিম-জাঁহা তোর সুখ তরে তোরে।' 

কি দিব জওয়াব, কি করিয়া মুখ দেখাব রসুলে ভাই। 

আমি তোমাদের প্রতিনিধি শুধু, মোর অধিকার নাই। 

আরাম সুখের, -মানুষ হইয়া নিতে মানুষের সেবা। 

ইসলাম বলে, সকলে সমান, কে বড় ক্ষুদ্র কেবা। 


ভৃত্য চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি, 

মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী। 

জানি না, সেদিন আকাশে পুষ্প বৃষ্টি হইল কিনা, 

কি গান গাহিল মানুষে সেদিন বন্দী' বিশ্ববীণা। 

জানি না, সেদিন ফেরেশতা তব করেছে কি না স্তব- 

অনাগত কাল গেয়েছিল শুধু, 'জয় জয়  হে মানব।' 

*  *  *  *  *  *  *  *  *  * 

তুমি নির্ভীক, এক খোদা ছাড়া করনি ক' কারে ভয়, 

সত্যব্রত তোমায় তাইতে সবে উদ্ধত কয়। 

মানুষ হইয়া মানুষের পূজা মানুষেরি অপমান, 

তাই মহাবীর খালদেরে তুমি পাঠাইলে ফরমান, 

সিপাহ-সালারে ইঙ্গিতে তব করিলে মামুলি সেনা, 

বিশ্ব-বিজয়ী বীরেরে শাসিতে এতটুকু টলিলে না। 

*  *  *  *  *  *  *  *  *  * 

মানব-প্রেমিক! আজিকে তোমারে স্মরি, 

মনে পড়ে তব মহত্ত্ব-কথা - সেদিন সে বিভাবরী 

নগর-ভ্রমণে বাহিরিয়া তুমি দেখিতে পাইলে দূরে 

মায়েরে ঘিরিয়া ক্ষুদাতুর দুটি শিশু সকরুণ সুরে 


কাঁদিতেছে আর দুখিনী মাতা ছেলেরে ভুলাতে হায়, 

উনানে শূন্য হাঁড়ি চড়াইয়া কাঁদিয়া অকুলে চায়। 

শুনিয়া সকল - কাঁদিতে কাঁদিতে ছুটে গেলে মদিনাতে 

বায়তুল-মাল হইতে লইয়া ঘৃত আটা নিজ হাতে, 

বলিলে, 'এসব চাপাইয়া দাও আমার পিঠের 'পরে, 

আমি লয়ে যাব বহিয়া এ-সব দুখিনী মায়ের ঘরে'। 

কত লোক আসি আপনি চাহিল বহিতে তোমার বোঝা, 

বলিলে, 'বন্ধু, আমার এ ভার আমিই বহিব সোজা! 

রোজ-কিয়ামতে কে বহিবে বল আমার পাপের ভার? 

মম অপরাধে ক্ষুধায় শিশুরা কাঁদিয়াছে, আজি তার 

প্রায়শ্চিত্ত করিব আপনি' - চলিলে নিশীথ রাতে 

পৃষ্ঠে বহিয়া খাদ্যের বোঝা দুখিনীর আঙিনাতে! 


                     এত যে কোমল প্রাণ, 

করুণার বশে তবু গো ন্যায়ের করনি ক' অপমান! 

মদ্যপানের অপরাধে প্রিয় পুত্রেরে নিজ করে 

মেরেছ দোররা, মরেছে পুত্রে তোমার চোখের পরে! 

ক্ষমা চাহিয়াছে পুত্র, বলেছ পাষাণে বক্ষ বাঁধি- 

'অপরাধ করে তোরি মতো স্বরে কাঁদিয়াছে অপরাধী।' 


                     আবু শাহমার গোরে 

কাঁদিতে যাইয়া ফিরিয়া আসি গো তোমারে সালাম করে। 


খাস দরবার ভরিয়া গিয়াছে হাজার দেশের লোকে, 

'কোথায় খলিফা' কেবলি প্রশ্ন ভাসে উৎসুক চোখে, 

একটি মাত্র পিরান কাচিয়া শুকায়নি তাহা বলে, 

রৌদ্রে ধরিয়া বসিয়া আছে গো খলিফা আঙিনা-তলে। 

হে খলিফাতুল-মুসলেমিন! হে চীরধারী সম্রাট! 

অপমান তব করিব না আজ করিয়া  নান্দী পাঠ, 

মানুষেরে তুমি বলেছ বন্ধু, বলিয়াছ ভাই, তাই 

তোমারে এমন চোখের পানিতে স্মরি গো সর্বদাই।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ : ১১-০২-২০২৪,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ : ১১-০২-২০২৪


আজকের  শিরোনাম:


গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সকলকে ভেদাভেদ ভুলে জনকল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে - নিউইয়র্কে বিজ্ঞান সমাবেশে ভিডিও বার্তায় বললেন প্রধানমন্ত্রী।


শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য কাজ করছে সরকার - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আজ আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ।


গাজার উত্তরাঞ্চলে তরুণদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দেখা দিয়েছে বলে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারী।


গতরাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে এএফসি কাপ ফুটবলের ফাইনালে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছে স্বাগতিক কাতার ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

আপনার বাগানের গাছের পাতা কুকড়ে যায়,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🌿🌿 আপনার বাগানের গাছের পাতা কুকড়ে যায়??🍃🍃


অনেকেই মরিচ,টমেটো, শিম, বরবটি পেপে বা অন্যান্য গাছের পাতা কোকড়ানো এর

জন্য কাংখিত ফলন পান না তাদের জন্য কার্যকরী কীটনাশক। ১০০% পরীক্ষিত।


মূলত মাছি পোকা ও মাকড়ের আক্রমণ হলে এমন হয়।


👉👉 যেভাবে দমন করবেনঃ-


আক্রমণ রোধে রিপকর্ড বা ইমিডাক্লোপিড গ্রুপের কীটনাশক ইমিটাফ

এবামেক্টিন গ্রুপের কীটনাশক ভারটিমেক ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় ।


✅ ব্যবহারবিধিঃ ১ লিটার পানিতে ইমিটাফ. ০.৫ মিলি ও ভারটিমেক ১ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন পাতার উপর,নিচ সব গাছে বিকালে ।


👉 ৭ দিন পর আরেকবার স্প্রে করে দিবেন।

এর পর প্রতি ১৫ দিন পর পর নিয়মিত স্প্রে করে দিবেন। তাইলে আর কোকড়াবে না।


✅ তবে খেয়াল রাখতে হবে যে যদি গাছের গোড়ায় পানি থাকে অথবা গোঁড়া যদি ভিজা থাকে তাহলে অবশ্যই গাছের গোড়া খোঁচা অথবা আলগা করে দিয়ে মাটির রোদে শুকায় নিতে হবে। টপের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আশা করি ভালো ফলন পাবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই অবস্থায় গাছে বেশি নাইট্রোজেন ব্যবহার করা যাবে না তাহলে গাছের ফুল এবং ফল দুইটাই ঝরে যাবে।



ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


রঙ্গন গাছের মাটি তৈরি যত্ন ও পরিচর্যা : (Ixora plant),,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রঙ্গন গাছের মাটি তৈরি যত্ন ও পরিচর্যা : (Ixora plant)


🌿  টব নির্বাচন :

এই গাছটির জন্য ৮" টব সব থেকে উপযুক্ত।


🌿 পানি নিষ্কাশন :

টবের পানি নিষ্কাশনের জন্য অবশ্যই টবের নিচে ছিদ্র থাকতে হবে। ছিদ্র না থাকলে পানি জমে যাবে এবং গাছের গোড়া পঁ*চতে শুরু করবে এবং গাছ মা**রা যাবে।


🌿 মাটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ :

এই গাছের জন্য ১ ভাগ মাটি , ১ ভাগ সাদা বালি, ১ ভাগ কোকোপিট, ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা ১ বছরের পুরোনো গোবর সার এবং হাফ চা চামুচ ফাঙ্গিসাইড ভালোভাবে মিশিয়ে মাটি তৈরী করতে হবে।  গাছ প্রতিস্থাপনের পর ভালো ভাবে পানি দিতে হবে। 

পেজ: মৌসুমিস ব্যালকনি


🌿 পানি :

রঙ্গন গাছ ১ম প্রতিস্থাপনের পর (ছোট অবস্থায়) ২দিন পরপর পানি দিতে হবে। গাছ বড় হওয়ার পর (৩/৪ মাস) টবের মাটি শুকানোর পর পানি দিতে হবে। এই গাছ হালকা ময়েশ্চার মাটি পছন্দ করে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় কখনোই পানি না জমে।


🌿 সূর্যালোক :

কাঠগোলাপ গাছ সম্পূর্ণ সূর্যালোকে (full Sunlight) সবথেকে বেশি ভালো ফুল হয়। এছাড়া ব্যালকনিতেও এই গাছ করা যায়। অনন্ত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সূর্যের আলো আসে এমন জায়গায়ও করা যাবে এই রঙ্গন ফুল গাছ।


🌿 সার: 

রঙ্গন গাছ জৈব সার বেশি পছন্দ করে। মাসে ১ বার, ৫০ গ্রাম (এক মুঠ) সরিষার খৈল গুঁড়া, ১ চা চামুচ হাড়ের গুঁড়া, ১ চা চামুচ শিং কুচি ভালো ভাবে মিশিয়ে সেটা থেকে ২ চামুচ নিয়ে গাছে দিতে হবে এবং ভালোভাবে পানি দিয়ে দিতে হবে। 

পেজ: মৌসুমিস ব্যালকনি


🌿 রোগ:

এই গাছে তেমন রোগ হয় না বললেই চলে। ১লিটার পানিতে ১চামুচ ফাঙ্গিসাইড ভালোভাবে মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করতে হবে ৭দিন পরপর। তাহলে গাছের পাতা সবুজ থাকবে এবং পাতার রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।


🌼 ছবিতে রঙ্গন ফুল গাছ (ঢাকার কোনো এক রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মুঠোফনে তোলা ছবি) 🌼


Mousumi's Balcony 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



টবে বেগুন চাষ পদ্ধতি। --------------------------------- বেগুন সাধারনত একটি শীতকালিন সবজি, তবে সারা বছর এ চাষ করা যায়। বেগুন বাংলাদেশে অতি পরিচিত একটি সবজি। টবেও এটি ভাল ফলন হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই কিভাবে টবে বেগুন চারা রোপন করব। প্রথমেই জেনে নিতে হবে বেগুনের ভালো ফলন কোন ধরনের মাটিতে হয়। সাধারণত দেখা যায়, পলি দোআঁশ মাটি ও এটেঁল দোআঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। ১০-১২ ইঞ্চি ব্যাসের মাটির টব, প্লাস্টিকের গামলা অথবা অর্ধেক করে কেটে নেওয়া প্লাস্টিকের ড্রামও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাটি প্রস্তুতকরণ টবে বেগুন রোপনের জন্য ২ ভাগ এঁটেল দোআঁশ বা পলি-দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ কোকোপিট বা গাছের গুড়া এবং ১ ভাগ জৈব সার ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাটি তৈরি হয়ে গেলে তা ১০-১২ দিন ধরে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর আবার মাটি খুঁচিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। চারা সংগ্রহ: দেশের বিভিন্ন হাটে-বাজারে বা শহরের নার্সারিতে বেগুনের চারা কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে সুন্দর ও বলিষ্ঠ বেগুন চারা সংগ্রহ করতে পারেন। এ ছাড়া ভালো জাতের বীজ কিনে এনে চারা করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বীজ কিনে এনে ভালো করে শোধন করার পর ছয় ঘণ্টার মতো ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। বালি, কমপোস্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজ বপনের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হয়। বীজ বপনের পর মাসখানেকের মধ্যেই চারা টবে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যায়। চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শিকড়ের ক্ষতি না হয়। শিকড়ের সঙ্গে কিছুটা মাটি রেখে চারা স্থানান্তর করতে হবে। বেগুনে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে বেগুন চাষে কিছুটা সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হয়। লক্ষণ দেখা দিলেই কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। বেগুনের রোগ দমন ব্যবস্থাপনা : গোড়া পচা, ঢলেপড়া ও ক্ষুদে পাতা রোগ : গোড়া পচা দমনের জন্য অটোস্টিন ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ঢলেপড়া রোগ ও খাটো আকৃতির পাতা রোগ দমনে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক এবং ভাইরাস বাহক সাদামাছি ( ইমিটাফ/নাইট্রো প্রয়োগ) দমন করতে হবে। ফমপসিস রোগ (Phomopsis) : ফমপসিস রোগ দমনে বীজ শোধন করার জন্য গরম পানিতে ( ৫১ডিগ্রি সে) ১৫ মিনিট রাখা, অটোস্টিন ০.১ গ্রাম/৫০ গ্রাম বীজ, মূূল জমিতে অটোস্টিন ১০ গ্রাম/৫লিটার পানি স্প্রে করতে হবে। ডেম্পিং অফ বা চারা ধ্বসা/ঢলে পড়া রোগ : বীজতলায় ‘ডেম্পিং অফ’ ছত্রাক রোগের আক্রমণ হয়। চারার কাণ্ড ও শিকড়ে রোগ ছড়িয়ে চারা মারা যায়। রোভরাল (২ গ্রাম/লি) বা কম্প্যানিয়ন (২ গ্রাম/লি) ৮ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। অটোস্টিন দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে । বেগুনের পোকা ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, মেলিবাগ, বিটল, সাদা মাছি ও জেসিড। এসব পোকা দেখা গেলে যথানিয়মে ট্রেসার ২টি স্প্রে তারপর মারশাল এই চক্র অনুসরণ করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। বেগুনের ডগা ও ফলের মাজরা পোকা : এই পোকার আক্রমণ অধিক হলে এই পোকা দ্বারা সর্বাধিক ৬৩% পর্যন্ত ফলন ক্ষতি হতে দেখা গেছে। বেগুন ছাড়াও এ পোকা টমেটো, আলু, মটরশুটি ইত্যাদি সবজিকেও আক্রমণ করতে পারে (বারি)। ফল বিস্বাদ, খাওয়ার অনুপোযুক্ত হয়ে যায়। বেগুনের ডগা ও ফল মাজরা পোকা গাছে মাটি থেকে নেয়া পানি চলাচল ব্যহত হয় এবং ডগা, পাতা ঢলে পড়ে মারা যায়। ছিদ্রের মুখে কীড়ার মল দেখা যায়। গাছে ফুল ধরতে বিলম্ব হয়। ক্রীড়া ফুলের কুঁড়ি এবং পরে বৃতির মাধ্যমে বর্ধনরত ফলের মধ্যে প্রবেশ করে। বর্ধনরত ফল আক্রান্ত হলে তাতে ছিদ্র দেখা যায়। বেগুনের এই একটি পোকা দমন করতে ১-২টি ফসল মৌসুমে গড় দৈনিক হিসাবে শতাধিক বার অতি বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করার উদাহরণ রয়েছে। অথচ বায়োলজিক্যালি অতি কম বিষাক্ত ট্রেসার প্রয়োগ করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তা দমন করা সম্ভব। ট্রেসার মার্শাল প্রয়োগ : চারা রোপণের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে জমিতে মথ দেখার সাথে সাথে ট্রেসার ১০ লিটার পানিতে ৪ মিলি হারে স্প্রে করতে হবে। জমিতে লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ডগা অপসারণ করে একই হারে পুনরায় ট্রেসার প্রয়োগ করতে হবে। এর ৭-১০ দিন পর মার্শাল ২০ ইসি ১০ লিটার পানিতে ৩০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। রোপণের কয়েক দিন পর থেকেই এ পোকার আক্রমণ হয় এবং শেষ ফলটি সংগ্রহ করার আগ পর্যন্ত এর আক্রমণ চলতে থাকে। গ্রীষ্মকালে জীবনচক্র সম্পন্ন করতে ২০-৩০ দিন এবং শীতকালে ৩৪-৪৫ দিন লাগে। বছরে এরা ৫ বা বেশি বংশবিস্তার করতে পারে। মে-অক্টোবর ৩টি বংশ এবং নভেম্বর-এপ্রিল মাসের মধ্যে ২টি বংশবিস্তার হয়। স্ত্রী মথ পাতার উল্টো দিকে, কুঁড়িতে, বোঁটায় ও ডগায় ডিম পাড়ে। গ্রীষ্মকালে ৩-৫ দিন এবং শীতকালে ৭-৮ দিনে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়। সমম্বিত বালাই দমন বেগুন ক্ষেতে প্রতি সপ্তাহে পোকার উপস্থিতি যাচাই করতে হবে। আক্রান্ত ডগা ও ফল কীড়াসহ ছিঁড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। নিরাপদ বেগুন উৎপাদনে ব্যাগিং ও অর্গানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেগুনের জমি গভীরভাবে চাষ-মই দিয়ে সমান করে আগাছামুক্ত করতে হবে। বেগুনের জমি স্বল্প ব্যয়ে আগাছামুক্ত রাখতে চাইলে চারা রোপণের ২-৩ দিনের মধ্যে মাটিতে পানিডা ৩৩ ইসি বিঘাতে ৩০০ মিলি প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির শেষ চাষে কার্বোটাফ ৫জি ১.৫ কেজি/বিঘা দিতে হবে। সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া অতিরিক্ত দেয়া যাবে না। রোপণের ১৫ দিন থেকে সপ্তাহে একদিন ক্ষেতে জরিপ করতে হবে। ক্ষেত আগাছানাশক (পানিডা) দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল আসার আগে ডগা বা পাতায় পোকা দেখলে পোকা ধ্বংস করাসহ বালাইনাশক দিতে হবে। অন্যন্য পরিচর্যা: বেগুন গাছ রোদ পছন্দ করে তাই এটিকে রোদে রাখতে হবে, তবে হালকা রোদেও এটি হয়। পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই টবের মাটি শুকিয়ে যাবার আগেই টবে পানি দিতে হবে। চারা রোপনের ১ সপ্তাহ পরে ১ চামচ ইউরিয়া, ১ চামচ ফসফেট,১ চামচ পটাশ এবং আধা চামচ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট একসাথে মিশিয়ে আড়াই চামচ করে প্রত্যেক ২০ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে করলে বেগুন গাছ প্রায় ২ বছর গাছটি ফল দিতে থাকবে। বেগুন গাছের বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে হয়। গাছ সোজা রাখার জন্য কাঠি বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সার প্রয়োগের পাশাপাশি মাঝে মাঝে গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়। গাছের বয়স বাড়লে গোড়ার দিক থেকে ২০ সেন্টিমিটার রেখে উপরের অংশ ছেঁটে দিলে কেটে দেওয়া অংশ থেকে নতুন শাখা-প্রশাখা বের হয়। সেখানেও বেগুন আগের মতো বেগুন ধরবে।,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টবে বেগুন চাষ পদ্ধতি।

---------------------------------

বেগুন সাধারনত একটি শীতকালিন সবজি, তবে সারা বছর এ চাষ করা যায়। বেগুন বাংলাদেশে অতি পরিচিত একটি সবজি। টবেও এটি ভাল ফলন হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই কিভাবে টবে বেগুন চারা রোপন করব।


প্রথমেই জেনে নিতে হবে বেগুনের ভালো ফলন কোন ধরনের মাটিতে হয়। সাধারণত দেখা যায়, পলি দোআঁশ মাটি ও এটেঁল দোআঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। ১০-১২ ইঞ্চি ব্যাসের মাটির টব, প্লাস্টিকের গামলা অথবা অর্ধেক করে কেটে নেওয়া প্লাস্টিকের ড্রামও ব্যবহার করা যেতে পারে। 


মাটি প্রস্তুতকরণ


টবে বেগুন রোপনের জন্য ২ ভাগ এঁটেল দোআঁশ বা পলি-দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ কোকোপিট বা গাছের গুড়া এবং ১ ভাগ জৈব সার ভাল করে মিশিয়ে নিন। 


মাটি তৈরি হয়ে গেলে তা ১০-১২ দিন ধরে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর আবার মাটি খুঁচিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। 


চারা সংগ্রহ:


দেশের বিভিন্ন হাটে-বাজারে বা শহরের নার্সারিতে বেগুনের চারা কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে সুন্দর ও বলিষ্ঠ বেগুন চারা সংগ্রহ করতে পারেন।


এ ছাড়া ভালো জাতের বীজ কিনে এনে চারা করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বীজ কিনে এনে ভালো করে শোধন করার পর ছয় ঘণ্টার মতো ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। বালি, কমপোস্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজ বপনের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হয়। বীজ বপনের পর মাসখানেকের মধ্যেই চারা টবে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যায়।


চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শিকড়ের ক্ষতি না হয়। শিকড়ের সঙ্গে কিছুটা মাটি রেখে চারা স্থানান্তর করতে হবে। বেগুনে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে বেগুন চাষে কিছুটা সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হয়। লক্ষণ দেখা দিলেই কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়।


বেগুনের রোগ  দমন ব্যবস্থাপনা :


গোড়া পচা, ঢলেপড়া ও ক্ষুদে পাতা রোগ : গোড়া পচা দমনের জন্য অটোস্টিন ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ঢলেপড়া রোগ ও খাটো আকৃতির পাতা রোগ দমনে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক এবং ভাইরাস বাহক সাদামাছি ( ইমিটাফ/নাইট্রো প্রয়োগ) দমন করতে হবে।    


ফমপসিস রোগ (Phomopsis) : ফমপসিস রোগ দমনে বীজ শোধন করার জন্য গরম পানিতে ( ৫১ডিগ্রি সে) ১৫ মিনিট রাখা, অটোস্টিন ০.১ গ্রাম/৫০ গ্রাম বীজ, মূূল জমিতে অটোস্টিন ১০ গ্রাম/৫লিটার পানি স্প্রে করতে হবে।


ডেম্পিং অফ বা চারা ধ্বসা/ঢলে পড়া রোগ : বীজতলায় ‘ডেম্পিং অফ’ ছত্রাক রোগের আক্রমণ হয়। চারার কাণ্ড ও শিকড়ে  রোগ ছড়িয়ে চারা  মারা যায়। রোভরাল (২ গ্রাম/লি) বা কম্প্যানিয়ন (২ গ্রাম/লি) ৮ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। অটোস্টিন  দিয়ে  বীজ শোধন করতে হবে ।    


বেগুনের পোকা


ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, মেলিবাগ, বিটল, সাদা মাছি ও জেসিড। এসব পোকা দেখা গেলে যথানিয়মে ট্রেসার ২টি স্প্রে তারপর  মারশাল এই চক্র অনুসরণ করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।     


বেগুনের ডগা ও ফলের মাজরা পোকা : এই পোকার আক্রমণ অধিক হলে এই পোকা দ্বারা সর্বাধিক ৬৩% পর্যন্ত ফলন ক্ষতি হতে দেখা গেছে। বেগুন ছাড়াও এ পোকা টমেটো, আলু, মটরশুটি ইত্যাদি সবজিকেও আক্রমণ করতে পারে (বারি)। ফল বিস্বাদ, খাওয়ার অনুপোযুক্ত হয়ে যায়। বেগুনের ডগা ও ফল মাজরা পোকা গাছে মাটি থেকে নেয়া পানি চলাচল ব্যহত হয় এবং ডগা, পাতা ঢলে পড়ে মারা যায়। ছিদ্রের মুখে কীড়ার মল দেখা যায়।  গাছে ফুল ধরতে বিলম্ব হয়। ক্রীড়া ফুলের কুঁড়ি এবং পরে বৃতির মাধ্যমে বর্ধনরত ফলের মধ্যে প্রবেশ করে। বর্ধনরত ফল আক্রান্ত হলে তাতে ছিদ্র দেখা যায়। বেগুনের এই একটি পোকা দমন করতে ১-২টি ফসল মৌসুমে গড় দৈনিক হিসাবে শতাধিক বার অতি বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করার উদাহরণ রয়েছে। অথচ বায়োলজিক্যালি অতি কম বিষাক্ত ট্রেসার প্রয়োগ করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তা দমন করা সম্ভব।


ট্রেসার মার্শাল প্রয়োগ : চারা রোপণের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে জমিতে মথ দেখার সাথে সাথে ট্রেসার ১০ লিটার পানিতে ৪ মিলি হারে স্প্রে করতে হবে। জমিতে লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ডগা অপসারণ করে একই হারে পুনরায় ট্রেসার প্রয়োগ করতে হবে। এর ৭-১০ দিন পর মার্শাল ২০ ইসি ১০ লিটার পানিতে ৩০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। রোপণের কয়েক দিন পর থেকেই এ পোকার আক্রমণ হয় এবং শেষ ফলটি সংগ্রহ করার আগ পর্যন্ত এর আক্রমণ চলতে থাকে। গ্রীষ্মকালে জীবনচক্র সম্পন্ন করতে ২০-৩০ দিন এবং শীতকালে ৩৪-৪৫ দিন লাগে। বছরে এরা ৫ বা বেশি বংশবিস্তার করতে পারে। মে-অক্টোবর ৩টি বংশ এবং নভেম্বর-এপ্রিল মাসের মধ্যে ২টি বংশবিস্তার হয়। স্ত্রী মথ পাতার উল্টো দিকে, কুঁড়িতে, বোঁটায় ও ডগায় ডিম পাড়ে। গ্রীষ্মকালে ৩-৫ দিন এবং শীতকালে ৭-৮ দিনে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়।    


সমম্বিত বালাই দমন  


বেগুন ক্ষেতে প্রতি সপ্তাহে পোকার উপস্থিতি যাচাই করতে হবে। আক্রান্ত ডগা ও  ফল কীড়াসহ ছিঁড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। নিরাপদ বেগুন উৎপাদনে ব্যাগিং ও অর্গানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেগুনের জমি গভীরভাবে চাষ-মই দিয়ে সমান করে আগাছামুক্ত করতে হবে। বেগুনের জমি স্বল্প ব্যয়ে আগাছামুক্ত রাখতে চাইলে চারা রোপণের ২-৩ দিনের মধ্যে মাটিতে পানিডা ৩৩ ইসি বিঘাতে ৩০০ মিলি প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির শেষ চাষে কার্বোটাফ ৫জি ১.৫ কেজি/বিঘা দিতে হবে। সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া অতিরিক্ত দেয়া যাবে না। রোপণের ১৫ দিন থেকে সপ্তাহে একদিন ক্ষেতে জরিপ করতে হবে। ক্ষেত আগাছানাশক (পানিডা) দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল আসার আগে ডগা বা পাতায় পোকা দেখলে পোকা ধ্বংস করাসহ বালাইনাশক দিতে হবে।


অন্যন্য পরিচর্যা:


বেগুন গাছ রোদ পছন্দ করে তাই এটিকে রোদে রাখতে হবে, তবে হালকা রোদেও এটি হয়। পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই টবের মাটি শুকিয়ে যাবার আগেই টবে পানি দিতে হবে। চারা রোপনের ১ সপ্তাহ পরে ১ চামচ ইউরিয়া, ১ চামচ ফসফেট,১ চামচ পটাশ এবং আধা চামচ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট একসাথে মিশিয়ে আড়াই চামচ করে প্রত্যেক ২০ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে করলে বেগুন গাছ প্রায় ২ বছর গাছটি ফল দিতে থাকবে।


বেগুন গাছের বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে হয়। গাছ সোজা রাখার জন্য কাঠি বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সার প্রয়োগের পাশাপাশি মাঝে মাঝে গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়।


গাছের বয়স বাড়লে গোড়ার দিক থেকে ২০ সেন্টিমিটার রেখে উপরের অংশ ছেঁটে দিলে কেটে দেওয়া অংশ থেকে নতুন শাখা-প্রশাখা বের হয়। সেখানেও বেগুন আগের মতো বেগুন ধরবে।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


ন্যানো ফসফরাস   ন্যানো গোল্ড,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

  ন্যানো ফসফরাস   ন্যানো গোল্ড 


এই যে বস্তুটি দেখছেন এটা হচ্ছে উই পোকার বসতবাড়ি। জানিনা আপনারা কখনো দেখেছেন কিনা, মাটির ঢিবিতে এইরকম ভাবে বাড়ি বানিয়ে উইপোকারা মহানন্দে থাকে। উদ্ভিদের যেকোনো শুকনো অংশ কে প্রাকৃতিক ভাবে ডিকম্পোজ করার প্রানী হলো উইপোকা। এই যে ঘরটা ওরা বানায় থাকার জন্য এটায় প্রাকৃতিক ফসফরাসের ভান্ডার, এর সাথে এটায় খুবই সামান্য মাত্রায় সোনার কম্পোনেন্টও থাকে।


এখন কথা হচ্ছে এটাকে আপনার গাছের জন্য ব্যবহার করবেন কি ভাবে! এরকম উইপোকার ঘর যোগাড় করুন এক কেজির মতো, একটু কম হলেও অসুবিধা নেই। দশ - পনের কেজি দেশি গরুর গোবরে এক কেজি আখ/তাল/খেজুর গুড় মেশান, তারপর এই উই পোকার বসতবাড়ি কে ভেঙে টুকরো টুকরো করে ঐ গোবরের সাথে মিশিয়ে একটা মাটির কলসিতে ভরে কলসির মুখে একটা নারকেল খোলা বা মাটির সরা বসিয়ে ভালো করে কাদা লাগিয়ে বায়ুরুদ্ধ করে রোদ না লাগা জায়গায় রেখে দিন কমপক্ষে তিন মাস। এর পর এটাকে বের করে প্রতি একশো গ্রাম একশো লিটার জলে মিশিয়ে রাখুন একদিন, তারপর ছেঁকে নিয়ে গাছে স্প্রে করুন, ন্যানো ফসফরাস গাছের বডি বানাবে আর ন্যানো গোল্ড গাছ কে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তুলবে। এই টোটাল গোবর আর উইএর বাড়ি মেশানো সার টা চাইলে এক একরে ছড়িয়েও দিতে পারেন। তাতেও অসুবিধা কিছু নেই। 


ধন্যবাদ ❤️

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আজ দুপুরে স্যারের ম্যাসেজ,,,,,,,অফিসের হটস এ্যাপ গ্রুপ থেকে কপি করা,,,,,

 আজ দুপুরে স্যারের ম্যাসেজ,,,,,,,,

আসসালামু আলাইকুম সকল ভাই দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

ভাই আপনাদের কে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি যে সকল ভাই নিজেরিয়া থেকে ভালোমতো সেলস করতে পারছেন না আপনারা সেলস নিয়ে একটু চিন্তাভাবনা করুন এবং কিভাবে সেলস করা যায় কোন প্রোডাক্ট কোন জায়গায় সেলস করা যায় সেসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন।

এবং যে সকল এরিয়ায় কৃষি কাজ বেশি হয় সে এরিয়া গুলোতে বেশি বেশি যাওয়ার চেষ্টা করুন।,,,,,,,,,,,,,

আপনাদের সকলকে জানাতে চাচ্ছি আমাদের মাগুরা দিনাজপুর নীলফামারী ভোলা নেত্রকোনা নোয়াখালী এ সকল জায়গা ফাকা আছে আপনাদের যাদের মনে হচ্ছে আপনাদের এরিয়ায় সেলস করা সম্ভব হচ্ছে না কে কোন এরিয়ায় যাবেন মানসিকভাবে প্রিপারেশন নিয়েন।

যদি কারো এরিয়ায় সেলস না হয় সে সকল পেস্টিংম্যান ভাইদের কে উক্ত খালি জায়গাগুলোতে ট্রান্সফার দেওয়া হবে।,,,,,,,,,,,,

সুতরাং ভাই কাজের কথা বলেন তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন আমরাও ভালো থাকবো অযথা কথা বললে যে সব কথার ভেলোনায় সে সকল কথা বললে আমাদের কাছেও কি করলে ভালো হবে সেরকম ব্যবস্থা আছে আশা করি বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে আপনারা কাজ করবেন।,,,,,,,,,,,

অফিসের হটস এ্যাপ গ্রুপ থেকে কপি করা,,,,,


একটি রাতের গল্প,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ----আমায় একটা বাচ্চা দিবি পল্লব?তোর কাছে আর কিছু চাইবো না জীবনে?


শিমুল আপুর কথা শুনে মাথায় যেনো আসমান ভেঙ্গে পড়লো আমার।শিমুল আপু আমার থেকে পাঁচ বছরের বড়ো।ওর সাতাশ,আর আমার সবে বাইশ।আমাদের ভেতরে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই।বয়সের ব্যবধান থাকলো একে অপরের বন্ধুর মতো মেলামেশা ছিলো দুজনের।ওর বিয়ে হয়েছে চার বছর হয়ে গেছে।স্বামী কোনো একটা ব্যাংকে চাকরি করে।আমি যতোদূর জানি সবকিছু ঠিকঠাক আছে ওদের ভেতরে তাহলে এই কথাটা বললো কেনো হঠাৎ বুঝতে পারছি না।


----আপু তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে,কি বলছিস এগুলা!ভেবে চিন্তে বলছিস তো?


---হ্যাঁ,ভেবে চিন্তেই বলছি।দেখ এই ব্যপারটা তোর আর আমার ভেতরেই থাকবে কেউ কিচ্ছু জানবে না।


---কোন ব্যপারের কথা বলছো তুমি?


---বাচ্চার ব্যপারের!বল তুই আমায় এই শেষ সাহায্যটুকু করবি।


(18+ alert,সবাই নিজ দ্বায়িত্বে পড়বেন!কারো খারাপ লাগলে ইগনোর করুন।অযথা বাজে মন্তব্য করবেন না।)


ওর কথা শুনে লজ্জায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না আমি‌।জানি না শিমুল আপু কিভাবে বলছে কথাগুলো।নিজের কানকে যেনো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না এই মূহুর্তে।


---কি হলো চুপ করে আছিস কেনো কিছু বল?


---কি বলবো আমি জানি না কিছু।


---তোর কিছু জানতে হবে না।শুধু বল আমার কথায় রাজি কিনা।তুই রাজি না হলে আমার মরা ছাড়া উপায় থাকবে না।


---দুলাভাই কোথায়,তুই তাকে কিছু বলেছিস?


---মাথা খারাপ,আমি এগুলো তাকে বলবো!


---তাহলে আমি তোর সাথে কেনো এমন একটা বাজে কাজ করবো।আর তুই তো একদম সুবিধার মানুষ না।আমি যথেষ্ট সম্মান করতাম তোকে,কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেই সম্মানের জায়গাটা আর থাকবে না‌।


বেশ রেগে গিয়েই কথাগুলো বললাম।আমি জানি এই কথাগুলো আমার বয়সের সাথে যায় না।শিমুল আপু আমার কথা শুনে কান্না শুরু করে দিলো।আমি লক্ষ্য করলাম ওর চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল গড়িয়ে পড়ছে।হয়তো আমার কথায় মনে কষ্ট পেয়েছে।ওর সত্যিই হয়তো আমার সাহায্যের প্রয়োজন সেটা না হলে এইরকম একটা প্রস্তাব কেনো দেবে আমাকে শুধু শুধু।কোনো সাংঘাতিক কারণ তো নিশ্চয়ই আছে।সেটা না হলে ও কিছুতেই নিজের সমস্ত লাজ লজ্জা বিসর্জন দিয়ে আমার কাছে ছুটে আসতো না‌।একদিকে ওর চোখের জল সহ্য করতে পারছি না আমি,অন্যদিকে বিবেকের দংশনে মরে যাচ্ছি।কি করবো বুঝতে পারছি না।একটু ভেবে আমি শিমুল আপুর দিকে এগিয়ে গেলাম।ওর কাঁধের হাতটা রাখলাম।


----বল কবে আর কোথায় যেতে হবে আমায়?


আমায় রাজি হতে দেখে শিমুল আপুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো।আমাকে বললো-


---কোথায় যেতে হবে না,আমি আজ রাতেই তোর ঘরে আসবো।তুই রেডি থাকিস!


---কিন্তু আমি তো এসব করিনি কখনো।


---সমস্যা নেই,আমি বুঝিয়ে দেবো।তুই শুধু নিজেকে তৈরী রাখিস।


---আচ্ছা আর একটা কথা বলি,


---হ্যাঁ,বল।


---যদি প্রথমবারেই কাজ না হয় তখন কি হবে?মানে তুই যেটা চাইছিস আমার থেকে?যদি বাচ্চা না আসে?


---তাহলে বুঝবি এই দুনিয়ায় আমার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে।


এটা বলে শিমুল আপু হনহন করে আমার ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।আমি ওর পথের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম‌।ওর কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারলাম না।কি চলছে ওর ভেতরে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন।

শিমুল আপুকে কথা তো দিয়েই দিলাম কিন্তু রাতে কি ঘটবে সেটা ভেবে হাত পা কাঁপছে আমার।এতো বড়ো একটা পাপ করতে চলেছি না জানি লোকজানাজানি হলে আমার আর ওর কি হবে তখন?শারিরীক সম্পর্কের বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই আমার।কোনোদিন মাথা ঘামাই নি এই নিয়ে।জানার বা বোঝার চেষ্টাও করিনি।পড়াশুনার মাঝে ডুবিয়ে রেখেছি নিজেকে।তবে আশ্চর্য ব্যপার হলো এতো অনিচ্ছা ভয় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভূতি হচ্ছে নিজের ভেতর।যা আগে কখনো হয়নি।শিমুল আপু রাতে আমার কাছে আসবে এটা ভেবে আমার ভালো কেনো লাগছে বুঝতে পারছি না‌।আমি তো ওর সাথে করতে চাই না এসব।তারপরেও এই ভালোলাগার উৎপত্তি কোথায়?নিজেও জানি না আমি‌।

শিমুল আপুর সত্যিই আমার সাহায্যের প্রয়োজন?যা না পেলে নিজেকে শেষ করে দেবে ও!কি এমন কারণ আছে এর পেছনে?কোনো বিবাহিত নারী কেনো ইচ্ছে করে নিজের সতীত্ব নিজের হাতে নষ্ট করতে চাইবে?

কি হতে চলেছে আজ রাতে আমার সাথে?

চলবে......

     একটি_রাতের_গল্প

পর্ব ১ 

লেখা : প্রদীপ চন্দ্র তিয়াশ

(পর্যাপ্ত সাড়া পেলেই তবে নতুন পর্ব আসবে আর গল্পটা কাউকে ছোটো করার জন্য নয়,পুরো না পড়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না আশা করি।)

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বসন্ত ঋতুর ফুলের নান,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বসন্ত আসন্ন: 


প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে এই ফুল গুলো। এগুলোর মধ্যে কিছু গাছের উপস্থিতি অনেক কম প্রকৃতিতে বা বিভিন্ন কারণে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। 

তাই, নতুন প্রজন্মকে এই ফুল গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য, আপনার বাড়িতে এর যেকোনো একটি গাছ রোপণ করুন- 

শিমুল 

পলাশ

মহুয়া

কাঞ্চন

গামারি

পারিজাত

কৃষ্ণচূড়া 



ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...