এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ছাদবাগানে পেঁপে চাষ পদ্ধতি,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছাদবাগানে পেঁপে চাষ পদ্ধতি

---------------------------------------

পেঁপে গাছ লম্বা হয়। এটি লম্বায় প্রায় তিন থেকে সাত ফুট লম্বা হয়ে থাকে। কম-বেশি সারা বছর ফল হয়। এর কাঁচা ফল দেখতে সবুজ, পাকলে হলুদ বা পীত বর্ণের হয়। ফলটি কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।


সারা বছর এ ফল চাষ করা গেলেও উত্তম সময় হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। জমি কিংবা বাড়ির আশেপাশে খালি জায়গায় লাগানো যেতে পারে গাছটি।


আমাদের দেশে এর অনেক জাত রয়েছে। জাতগুলো হলো: ব্লুস্টেম, কাশিমপুরী, যশোরী, রাচি, নউন ইউ, হানি ডিউ, ছোট পেঁপে, শাহি পেঁপে ও সংকর জাত। এর যে কোনো একটি জাত বেছে নিয়ে চাষ করতে পারেন। পেঁপে চাষের জন্য দোঁআশ ও বেলে-দোঁআশ মাটি বেশি উপযোগী। তবে এটি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর সূর্যের আলো। তাই চাষের জমি হতে হবে জলাবদ্ধতামুক্ত ও সেচ সুবিধাযুক্ত।


চারা রোপণের সময়: কার্তিক থেকে ফাল্গুন অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পেঁপের বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। আর চারা রোপণের সময় চৈত্র থেকে বৈশাখ অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল উপযুক্ত সময়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এর চারা রোপণ করা যায়। যদিও উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর দোআঁশ মাটি চাষের জন্য ভালো। তবে পরিচর্যা করলে সব ধরনের মাটিতেই চাষ করা যায়।


চারা তৈরি: এর বীজগুলো সংগ্রহ করে প্রায় এক ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এরপর একদিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। একদিন হয়ে গেলে পানি ফেলে বীজগুলো ছাই মেখে দুই ভাগ মাটি ও এক ভাগ শুকনো গোবর মিশিয়ে মাটিতে বীজগুলো বুনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বীজগুলো যাতে মাটির বেশি নিচে না যায়। এরপর খড় অথবা ধানের কুঁড়া দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে। এর ওপরে পানির ঝরনা দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পর চারা বের হওয়া শুরু করবে। এ সময় ঢেকে দেওয়া খড় অথবা কুঁড়া সরিয়ে দিতে হবে। শীতের সময় চারা বের হতে সময় লাগে বেশি। তবে পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।


রোগবালাই দমন ও সাবধানতা


চারা-ধসা রোগ

আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে এক ধরনের দাগ দেখা যায়। শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে, গাছ মারা যায়। স্যাঁতসেঁতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রান্ত চারা বীজতলা থেকে অপসারণ করতে হবে। ঔষধ স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই পেঁপে খাবেন না বা বিক্রি করবেন না। এ রোগ ঠেকাতে চারা রোপণের আগে ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বীজ শোধন করে নিতে হবে। রৌদ্রযুক্ত উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরি করে নিলে ভালো হয়।


গোড়ায় পচা রোগ

গোড়ায় পচা রোগে আক্রান্ত হলে গাছের পাতা হলুদ হতে থাকে। চারার গোড়া ও শিকড় পচে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছ অপসারণ করতে হবে। এ রোগ ঠেকাতে কৃষি অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকনাশক ওষুধ পানিতে মিশিয়ে গোড়ার মাটিসহ ভিজিয়ে দিতে হবে। তবে সাবধান, আক্রান্ত গাছের বীজ সংগ্রহ করা যাবে না।


ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ

এ রোগে আক্রান্ত হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে পাতা কুঁচকে যায়। ফল ধরার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। এ রোগ দেখা দিলে ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। ভাইরাসমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করতে হবে। জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।


পাতা কুঁচকানো রোগ

এক ধরনের ভাইরাসের কারণে পাতা কুঁচকানো রোগ দেখা দেয়। এ রোগ হলে গাছে কুঁচকানো ও কোঁকড়ানো পাতা দেখা দেয়। এতে গাছের বৃদ্ধি থেমে যায়। এক সময় বাগানে এ গাছ জঙ্গল হিসেবে পরিগণিত হয়। এক্ষেত্রে বাগান থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলাই ভালো। প্রথম অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব কৃষি অধিদফতরের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দিতে হবে।


মিলিবাগ বা ছাতরা পোকা

এ ধরনের পোকা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়; ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মতো দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়াও দেখা যায়। এতে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় ও ডাল মরে যায়। এতে ফল ধরার সম্ভাবনা তো থাকেই না, বরং পুরো গাছ মরেও যেতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। গাছের গোড়ার মাটির ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার ওপরে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে, যাতে মিলিবাগ গাছে উঠতে না পারে। সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম বা বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে পানিতে কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।


ঢলে পড়া রোগ

যে কোনো বয়সের গাছে এ রোগ হতে পারে। রোগাক্রান্ত গাছের পাতা প্রথমে হলদে ও পরে বাদামি রঙ ধারণ করে। গাছের শাখা-প্রশাখা আগা থেকে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গাছটি সম্পূর্ণ মরে যায়। বাগান থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা উচিত। আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে জিপসাম অথবা চুন দিতে হবে। বাগানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।


সুটি মোল্ড রোগ

এ রোগের আক্রমণে পাতা, ফল ও কাণ্ডে কালো ময়লা জমে। মিলিবাগের আক্রমণ এ রোগের কারণ। মিলিবাগ দমনের জন্য আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। গাছের গোড়ায় পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব মিলিবাগ পোকা দূর করতে হবে। সুটি মোল্ড রোগের আক্রমণ খুব বেশি হলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।


সাবধানতা

আগাম বীজ বপন করা উত্তম। সুষম সার ব্যবহার করতে হবে। রোগমুক্ত জাত যেমন- বারি জাত বেছে নিয়ে রোপণ করতে হবে।


পরিচর্যা ও ফল সংগ্রহ

চারা রোপণের পর ঠিকমতো পরিচর্যা না করলে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সঠিক পরিচর্যায় পাওয়া যায় উন্নত মানের ফল।



রুহু কবজ ও কবরের ঘোষণা : ৩য় পর্ব -,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রুহ কবজ ও কবরের ঘোষণা: ৩য় পর্ব-

------------------------------------------------------


হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তখন আসমান  হইতে ঘোষণা করা হয়, হে আদম সন্তান! তুমি দুনিয়া ত্যাগ করেছ, না দুনিয়া তোমাকে ত্যাগ করেছে? কোথায় তোমার সেই বাকপটু জিহ্বা? কে - তোমার জবান শক্তি হরণ করে নিয়েছে? কোথায় তোমার শ্রবণকারী কান? - কে তোমাকে বধির করেছে? কোথায় তোমার বন্ধু-বান্ধব? কে তোমাকে একাকী করে রেখেছে? যখন গোসল দেওয়ার জন্য তক্তার উপর রাখা হয়, - তখন আসমান হতে চিৎকার দিয়ে বলা হয়: হে আদম সন্তান! তোমার সেই > বলবান শরীর কোথায়? কে তোমাকে এত দুর্বল করে দিয়েছে? তোমাকে -ধন্যবাদ, যদি তুমি জান্নাতবাসী হয়ে থাক, আর তোমার প্রতি আক্ষেপ যদি তোমার স্থান দোযখে হয়ে থাকে যখন কাফন পরানো হয়, তখন তিনবার উচ্চস্বরে ডেকে বলা হয়, হে আদম সন্তান, তোমাকে ধন্যবাদ যদি আল্লাহ - পাককে তুমি সন্তুষ্ট করে থাক, আর তোমার প্রতি আক্ষেপ যদি আল্লাহ্ পাক তোমার প্রতি নারাজ হয়ে থাকেন। পথ খরচ ছাড়া তুমি দীর্ঘ দিনের সফরে চলেছ। এই যে, নিজের ঘর-বাড়ী হইতে বের হয়ে যাইতেছ, আর কোন দিন এই বাড়ীতে কখনও ফিরে আসতে পারবে না। তুমি কোন ভয়াবহ - স্থানের দিকে রওয়ানা করেছ যখন খাটের উপর রেখে জানাজার দিকে চারি জনে কাধে লয়ে অগ্রসর হয়। তখন সন্তানেরা হায় আমার মা! হায় আমার বাবা! বলে পিছনে পিছনে দৌড়ায়ে ছুটে। আর মা-বাপে হায় ছেলে হায় মেয়ে বলে রোদন করতে থাকে। এই হৃদয় বিদারক সময় মুর্দার এমন জোরে চিৎকার মারে, যাহা জ্বিন আর মানুষ ব্যতীত সকল প্রাণী শোনে। মুর্দার বলে ভাইগণ! আল্লাহর কসম একটু থাম। আমি চির বিদায় হয়ে যাইতেছি। হায়রে মা-বাপ! হায়রে সন্তানেরা। হায়রে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনেরা আজ বুঝি দিলা আমায় জনমের বিদায়। আমাকে আজ ঘর। হইতে বের করে দিয়েছ। আর বুঝি কোন দিন এই ঘরে আসতে পারবো না? রং বে-রংয়ের দামি শাড়ি তোমার বাক্সে থাকবে, তাহা না দিয়ে সাদা কাপড় পরায়ে তোমায় কবরে নামাবে? আমার ঘরে আমি থাকব, কেন তোমরা বের করো? কেহ তাহা শোনবে না গো! যতই তুমি কান্দো কাটো। ভাইগণ! একটু থাম এত তাড়াতাড়ি করিওনা। আমার সন্তানেরা আজ এতীম তোমরা

তাদেরকে কষ্ট দিও না। আর কোন দিন তাদের কথা শুনতে পারবে না। হে আমার সন্তানেরা দুনিয়া আমাকে যেভাবে ঠকায়েছে, সাবধান তোমাদেরকে যেন তেমন ঠকাইতে না পারে, দুনিয়া আমাকে নিয়ে যেভাবে খেলা করেছে, সাবধান তোমাদের সাথে তেমন যেন না করতে পারে। দেখ আমি যাহা জমা করেছিলাম সবই ছেড়ে যাইতেছি, তোমরা তাহা দিয়া শান্তি করবে, কিন্তু আমার পাপের ভাগ তোমরা নিবা না। হিসাব গ্রহণকারী আমার নিকট হইতে হিসাব নিবে। কিন্তু তোমরা আমাকে ভুলে যাইবে, তোমরা আমাকে চির বিদায় দিতেছ, আর কোন দিন সন্ধান লইবে না। তখন আসমান হইতে ঘোষণা করা হয়, হে আদম সন্তান! তোমার প্রতি ধন্যবাদ যদি তোমার আমল নেক হয়ে থাকে এবং তোমাকে ধিক্কার যদি তোমার আমল বদ হয়ে থাকে। তোমাকে ধন্যবাদ যদি তুমি তওবাকারী হয়ে থাক। তোমাকে ধিক্কার যদি আল্লাহ পাক তোমার উপর না রাজ হয়ে থাকেন। যখন জানাযার নামাজের জন্য সামনে রাখা হয়, তখন আসমান হইতে তিনবার চিৎকার দিয়ে বলা হয়, হে আদম সন্তান! তুমি যে যে আমল করেছ তাহা এখনই তুমি দেখতে পাবে, যদি নেক আমল করে থাক, তবে ভাল পুরস্কার পাবে, আর যদি বদ আমল করে থাক, তবে এর প্রতিফল এখনই ভোগ করতে হবে। তোমাকে ধন্যবাদ যদি তুমি তোমার জীবনটাকে নেককাজে ব্যয় করে থাক, আর তোমার প্রতি আক্ষেপ যদি তুমি তোমার মূল্যবান জীবনটা বদ আমলে বরবাদ করে থাক, যখন খাট বহন করে কবরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন মুর্দার রোদন করে বলে, হে ভাই বন্ধুগণ! আমার ওয়ারিশগণ, আল্লাহর কসম তোমরা আমাকে এত তাড়াতাড়ি ভুলে যেও না, আমি অনেক মাল-দৌলত দালান কোঠা তোমাদের জন্য জমা করে রেখে গেলাম, তোমরা আমার জন্য দান করতে ভুলে যেও না, তোমাদেরকে আমি এলেম, আদব শিখায়ে গেলাম তোমরা আমার জন্য দোয়া করতে, কবর যিয়ারত করতে ভুলে যেও না যখন কবরে রেখে লোকেরা মাটি দিয়ে চল্লিশ কদম দূরে চলে যায়, তার আমলসহ একাকী তাকে আল্লাহর হাওলা করে বাড়ী ফিরে যায়। তখন আল্লাহ্ পাক ডেকে বলেন, ওহে আমার বান্দা! তুমি যাদের জন্য আমার এত নাফরমানী করেছ তারা এখন কোথায়? তখন কবরের মাটি বিকট আওয়াজে বলে, হে মানুষ! তুমি আমার উপর থাকিয়া আল্লাহর নাফরমানী করেছিলে, এখন আমার পেটের ভিতরে ইহার প্রতিফল ভোগ করতে হবে। তুমি আমার উপর দিয়ে হাঁটিয়া বেড়ায়েছিলে, এখন - আমার পেটের ভিতরে তোমার কাঁদিয়া কাল কাটাইতে হবে। আমার উপর থাকিয়া তোমার কতই না অহংকার ছিল। এখন আমার পেটের ভিতরে তুমি অপমানিত লাঞ্ছিত হবে। আমার উপর তুমি আলো বাতাসের মধ্যে চলিয়াছিলে, এখন আমার পেটের ভিতরে তোমাকে অন্ধকারে থাকতে হবে। - আমার উপর তোমার অনেক সঙ্গীসাথী ছিল, এখন আমার পেটের ভিতরে তোমার একা থাকতে হবে।


• হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কবর প্রত্যহ পাঁচ বার উচু আওয়াজে বলে, আমি নির্জনতা ও একা থাকার ঘর, তুমি কোন সাথী নিয়ে আস। সেই সাথী হলো প্রতিদিন কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা। আমি অন্ধকার ঘর তুমি সাথে বাতি নিয়ে আসিও। তাহা হলো রাত্রের এবাদত বা রাত্রের নামাজ। আমি মাটির ঘর তুমি বিছানা সঙ্গে নিয়ে আসিও, তাহা হলো -অন্যান্য নেক আমল। আমি সাপ বিচ্ছুর ঘর তুমি সাপের ঔষুধ সাথে নিয়ে আসিও। তাহা হলো বেশি বেশি করে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়িও এবং নির্জনে বসে পাপের কথা স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলিও। আমি মুনকার নাকীরের সওয়ালের ঘর তুমি জবাব দানের জন্য বেশি বেশি করে (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) এর যিকির সাথে নিয়ে আসিও।


-সমাপ্ত-


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সারাদিন আল্লাহর নাফরমানিতে কাটিয়ে সেই চোখ আজ মরুভূমি! কাঁদলেও চোখে পানি আসে না,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একসময় ছোট বড় সবকিছু আল্লাহর কাছে চাইতাম। মসজিদে গেলে মনে হতো আল্লাহর কাছে অনেক কিছু বলার আছে, চাইবার আছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন যেন কমন পড়ে, এজন্য কত কাকুতিমিনতি করে আল্লাহর কাছে চেয়েছি। হয়তো খুব সিলি মনে হবে, কিন্তু সেইসময় আমাদের ছোট্ট হৃদয়গুলো জানতো, এমন একজন আছেন, যার কাছে সবকিছু চাওয়া যায়,  যিনি সবকিছু দিতে পারেন,  ওনার কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

.

...


এখন আমরা শিখছি- ইউ ক্যান ডু ইট, স্বপ্ন যেন তোমাকে ঘুমাতে না দেয়, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে কেউ আটকাতে পারবে না, তুমি চাইলে সব পারবে- এরকম নানান 'আমিময়' মোটিভেশন।


এই দুনিয়ার মোটিভেশন রবের সাথে সেই নিষ্পাপ সম্পর্কটা নষ্ট করে দিয়েছে।  আল্লাহর কাছে নাছোড়বান্দার মতো কিছু চাইবার সেই সহজ সরল জীবনটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। অতি সাধারণ কিছু চাইতে গেলেও যে চোখে পানি চলে আসত, সারাদিন আল্লাহর নাফরমানিতে কাটিয়ে সেই চোখ আজ মরুভূমি! কাঁদলেও চোখে পানি আসে না। কী এক জিল্লতির জীবন!


যে মোটিভেশনাল স্পীচ মহান রবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমিময় জীবনের দিকে ধাবিত করে সেটা আসলে সফলতার মোটিভেশনাল স্পীচ নয় সেটা ধ্বংসের।


This Duniya is nothing but a beautiful lie - Quran 3.:185



সাজিদ ইসলাম

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

অনুগল্প বাবা,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমার বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে আসার ঠিক এক মাসের মাথায় আমার শাশুড়ি মারা যান! মরণ ব্যাধি ক্যান্সার তাঁকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছিল। তিনি মারা যাওয়ার সময় আমরা সবাই তাঁর পাশেই ছিলাম। ছিলো না কেবল আমার নতুন বাবা। ভালোবাসা মানুষটাকে চোখের সামনে হারাতে দেখতে পারছিলেন না হয়তো।


শাশুড়ি মা আমার হাত ধরে বলেছিল,

- 'মানুষ টা একা হয়ে গেলো রে মা। একটু দেখে রাখিস। নতুন একটা বাপের মতো আগলে রাখিস। পারবি না?'


সেই মুহূর্তে কি বলা উচিত ছিলো, আমার জানা নেই। আমি কেবল অশ্রুসিক্ত নয়নে মাথা নাড়িয়ে ছিলাম। আমি কখনও কোনো ছেলে মানুষকে কাঁদতে দেখিনি। কিন্তু সেদিন আমার নতুন বাবাটাকে দেখেছিলাম। উঁহু সবার সামনে না। কিংবা হাউমাউ করেও না। কেবল গোপনে অশ্রু ফেলেছিলো।


.


আমার বর সোহান তাঁদের একমাত্র ছেলে হওয়ার সুবাদে শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর পুরো বাড়িটাই প্রায় ফাঁকা হয়ে গেলো। আমাদের বাসাটার সামনে যেই পুকুরটা আছে রোজ বিকেলে সেইখানটায় গিয়ে বসে থাকতো। যেই বয়সটায় উনার একজন সঙ্গী বেশি দরকার ছিলো সেই সময়টায় লোকটা একদম একা হয়ে গেলো।


জড়তা ভেঙে আমি একদিন তাঁর পাশে গিয়ে বসলাম। আমার আলাপ পেয়ে উনি আমার দিকে তাকিয়ে চমৎকার করে হাসলেন। উনার পাশে থাকা গাছ পাকা আম টা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,


- 'আমাদের এই গাছের আমগুলো খুবই মজার। তোমার শাশুড়ি মা অনেক পছন্দ করতো। খেয়ে দেখো।'


আমার অসম্ভব ভালো লাগলো। আমার আব্বুর প্রতি যেই ভালোবাসাটা অনুভব করতাম উনার প্রতিও ঠিক সেই ভালোবাসাটা অনুভব করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম এই মানুষটার একাকিত্ব যতটুকু পারি দূর করবো। আমার নিজের বাবা করবো, করবো। শাশুড়ির বলা, 'নতুন বাবা' বানাবো। আম টা নিতে নিতে বললাম,


- 'বাবা? আমি তো এই বাড়িটা ঘুরে দেখিনি এখনও। মা থাকলে হয়তো উনিই দেখাতেন। আপনি দেখাবেন ঘুরিয়ে?'


মানুষটার চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো। উচ্ছাস নিয়ে বললো,


- 'অবশ্যই দেখাবো মা। এখন দেখবা? অনেক বড় আমাদের বাড়িটা। তোমার ভিষণ ভালো লাগবে।'


ছোট একটা বাচ্চাকে তার পছন্দের কাজ করতে বললে যেমন খুশি হয়, আগ্রহ নিয়ে করতে চায় উনিও ঠিক তেমনটাই খুশি হয়েছিল, আগ্রহ প্রকাশ করলেন। এতদিন চুপ হয়ে থাকা মানুষটা হঠাৎ-ই চঞ্চল হয়ে উঠলেন। নিশ্চুপ বাড়িটা যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছিল।


মাঝে মাঝে আমাকে তিনি উনার আর শাশুড়ির গল্প শুনাতেন। মজার জায়গা গুলোতে হেসে লুটিয়ে পড়তেন। মধুর জায়গায় গুলোতে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ অব্দি নানান কর্মকাণ্ডে মেতে থাকতাম। কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কটা হয়ে উঠলো বাপ-মেয়ের সম্পর্ক।


সময় কাটানোর জন্য আমাদের বাসার সামনে একটা বাগান বানালাম। নানান ধরনের শাক-সবজিতে ভরে উঠলো বাগানটা। কোনো গাছে নতুন কোনো সবজি হলে বাবার সেকি উল্লাস। রান্না করার পর যখন খেতে বসতো তখন সোহানকে গর্ব করে বলতো,


- 'খেয়ে দেখ কতো মজা হয়েছে। আমার আর আমার মেয়ের পরিচর্যার ফল এগুলা। তৃপ্তি করে খা। তাজা জিনিস। একদম নির্ভেজাল।'


সোহান মুখ টিপে হাসতে হাসতে বলতো,

- 'হুম, বাপ-বেটি মিলে একটা বিজনেস দাঁড় করিয়ে ফেলো। ভালোই চলবে মনে হচ্ছে।'


বাবা কপট রাগ দেখিয়ে বলতো,

- 'আমার আর আমার মেয়ের কষ্ট টা তোর চোখে লাগলো না, না? টিটকারি মারলি? আমাদের বাগানের শাক-সবজি তোর জন্য নিষিদ্ধ যাহ।'


আমার দিকে তাকিয়ে বলতো,

- 'মা? ওর জন্য আমাদের বাগানে নির্ভেজাল সবজি গুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। ভালো করেছি না?'


আমি হেসে দিয়ে বলতাম,

- 'একদম ঠিক করেছেন। ওর জন্য বাজারের দুই নাম্বার খাবারই পারফেক্ট।'


সোহান অসহায় মুখ করে বলতো,

- 'লে! আমি এখন ‘থার্ড পারসোন সিঙ্গুলার নাম্বার’ হয়ে গেলাম?'


ঠিক তখন ছোট্ট সংসারটা খিলখিল হাসির ধ্বনিতে মেতে উঠতো। 


.


বিয়ের আগে আব্বু বাজার থেকে আসার সময় আমার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতো। বিয়ের পর আমার নতুন বাবাটা আব্বুর জায়গায়টা নিয়ে নিলো। রোজ কিছু না কিছু নিয়ে আসতো। বাজার থেকে এসেই 'মা' বলে একটা ডাক দিতো। ভালোবাসা মেশানো ডাকটা শুনলেই আমি সব কাজ ফেলে ছুটে চলে আসতাম।


সোহান মুখ বাঁকিয়ে বলতো,

- 'ইশশশ! বুড়ি একটা মহিলার জন্য দরদ দেখলে আর বাঁচি না। আর কয়েকদিন পর চুল পেকে যাবে তার জন্য আবার হাবিজাবি নিয়ে আসা হচ্ছে।'


বাবা বিরক্তি নিয়ে বলতেন,

- 'তুই তো খুব হিংসুক রে! শোন? আমার মেয়েকে আমি যা ইচ্ছে খাওয়াবো। দরকার পড়লে পুরো বাজার সুদ্ধ উঠিয়ে নিয়ে আসবো। তোর কি রে? এমন লক্ষিমন্তর একটা মেয়েকে যে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিস সেটা তোর বাপের ভাগ্য বুঝছিস?'


সোহান হেসে দিয়ে বলতো,

- 'হ্যাঁ। বাপের-ই ভাগ্য। আমার আর কি? থাকো তোমরা বাপ-মেয়ে।'


ইউটিউব দেখে দেখে নতুন কোনো রেসিপি করে দিলে সেটা খেতে যতই বিদঘুটে হোক না কেন, তৃপ্তি নিয়ে খেত আর বলতো,


- 'আহ! আহ! কি যে সুস্বাদু হয়েছে! পৃথিবীর সেরা খাবার! সোহান ঠিকই বলছে রে মা, তোরে নিয়ে একটা বিজনেস দাঁড় করানো লাগবে। উরাধুরা চলবে। হা হা হা।'


সেবার সিঁড়ি থেকে পা পিছলে পরে হাত পা ভেঙে টানা দুই মাস হসপিটালে ছিলাম। তখন বাবার সেই পাগলের মতো আহাজারি আর বাচ্চামি গুলো মনে পড়লে আজও অবাক হই ভিষণ। আমার শাশুড়ির মৃত্যুর সময়টাতেও যেই মানুষটা আড়ালে কেঁদেছিলো সেই মানুষটা সেদিন হাউমাউ করে হসপিটাল ভর্তি মানুষের সামনে কেঁদেছিলো।


হয়তোবা দ্বিতীয়বার কাউকে হারানো ভয়ে গ্রাস হয়ে গিয়েছিলো। কতটা আপন হলে মানুষ এতটা ভয় পেতে পারে আমার জানা নেই। আমার হাত ধরে বলেছিলো, ‘তোর নিষ্ঠুর মা-টা তো সেই কবেই তোর এই বাপটারে একা করে দিয়ে চলে গিয়েছে। এখন তুইও চলে যেতে চেয়েছিলি মা? এই বাপটা যে তোরে অনেক ভালোবাসে। আমার মেয়ে তুই, আমার মা তুই! আর সেই সাথে আমার একাকিত্বের সঙ্গিটাও যে তুই রে মা!’


মা-বাবাদেরকে আপন করে নেওয়া খুবই সহজ আসলে। অবশ্য মা-বাবারা কখনও আপন-পর হয় না। তাঁরা সবাই এক। সবাই আপন। পৃথিবীর সব মা-বাবা গুলোই তার সবটা দিয়ে সন্তানদের ভালোবাসে। তাঁদেরে একটু ভালোবাসা দিলে বিনিময়ে তাঁরা এক পৃথিবী ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়। শুধু একটু আপন করে নিতে হবে। তাঁদের সুখের-দুঃখের সঙ্গী হয়ে উঠতে হবে।


অণুুগল্প

নতুন_বাবা

কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


শৈশব স্মৃতি,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কইরে আমার ছোট্ট বেলার

    হারিয়ে যাওয়া সুখ,

আয়রে তোরে জ*ড়িয়ে ধ*রে

        ঠান্ডা করি বুক।


কইরে আমার রঙিন সুতা

    কাটের নাটাই কই!

কইরে ঘুড়ি আয়রে তোদের

      একটু হাতে লই।


ছোট্ট বেলার সাধের লাটিম

     কোথায় গেলি বল!

আয়রে কাছে দে মুছে দে

    স্মৃতির নোনাজল।


পুতুল খেলার সঙ্গীরা সব

    কোথায় গেলি ভাই!

চড়ুইভাতি রান্না করে 

 আয়রে সবাই খাই।


কোথায় আমার ঝড়ের দিনের

       কুড়িয়ে খাওয়া আম

আয়না তোদের একটু কুড়াই

       বৃষ্টিরা কই নাম।


কোথায় আমার বাঁশের ধনুক

    পাটের শোলার তীর,

আয়রে তোদের একটু ছুড়ে 

     মনটা করি স্থির।


আমার শখের ছাগল ছানা

       সুন্দরী তুই কই,

আয়রে তোরে চরাই মাঠে

     একটু রাখাল হই।


কাঁঠাল খেজুর সিমের বিচি

  কোথায় তোরা গেলি

আয়না কাছে তোদের দিয়ে

জোড় না বেজোড় খেলি।


কোথায় আমার খড়কুটাতে

      পুটলি বাঁধা বল

আয়রে তোরে একটু খেলি

     চলরে মাঠে চল।


ছোট্ট বেলার বড়শি সুতা

   কোথায় গেলি ভাই

চল না স্মৃতির পানান বিলে

      মাছ ধরিতে যাই।


কোথায় আমার ছোট্ট সোনা

       ময়না পাখির ছা

ফড়িং ধরতে আয় না রে যাই

        দুরের কোন গাঁ।


কইরে আমার আমন ক্ষেতের

      পোকায় কাটা ধান

আয়রে তোরে আঁচল ভরে

     কুড়িয়ে জুরাই প্রাণ।


তিন বেয়ারিং এর কাঠের গাড়ি

        কোথায় গেলি তুই

আয়না তোরে একটুখানি

      হৃদয় দিয়ে ছুঁই।


ছোট্ট বেলার নাটাই ঘুড়ি 

     লাটিম পুতুল বল

দেখনা চেয়ে কেমনে আমার

     ঝরছে আঁখি জল।


যেদিন তোদের ছেড়ে এলাম 

         শূন্য করে বুক

সেদিন থেকে আর কোনদিন

    শুকায়নি দুই চোখ।


উঠতে কাঁদি বসতে কাঁদি 

        কাঁদছি অনর্গল

তোদের মত আসে না কেউ

      মুছতে আঁখি জল।


এ সংসারের সবাই পাষাণ

      পাষান এ সংসার

এদের দহন এদের পিড়ন 

     সয়না প্রাণে আর।


ছোট্ট বেলার দিনগুলি মোর

      ধরছি তোদের পা

আবার তোরা তোদের কাছে

        আমায় নিয়ে যা।


ছেড়ে দে সেই নাটাই ঘুড়ি

      বল পুতুলের ভিড়ে

বাকি জীবন থাকব সেথায়

    আসব না আর ফিরে।


শিরোনাম :-শৈশব স্মৃতি

লেখায়:- আমি ফেরদৌস আহমেদ।

বই :-কালের চিত্র

ছবি-সংগৃহীত


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


কিভাবে শিমের জন্য মাটি তৈরি করবেন,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছাদে বা টবে শিম চাষ পদ্ধতি


কিভাবে শিমের জন্য মাটি তৈরি করবেন ?


শিম চাষের জন্য খুব ভালো হচ্ছে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি।। অন্য মাটিতেও করা যাবে, কিন্তু মাটি যদি এটেল হয় তাহলে তাতে শিমের ফলন হয় না।


টব কেমন হবে


টবের আকার মাঝারি হতে হবে। কিংবা চাইলে ড্রামও ব্যবহার করা যেতে পারে। হাফ সাইজের ড্রাম এর মধ্যে এর চাষ ও ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও যথাযথ ভাবে করা যায়।


কোন জাতের শিমের বীজ ভাল হবে


বারি-১,২,৫,৬, ঘৃত কাঞ্চন, ইপসা শিম, বাইনতারা,  হাতিকান, পুঁটি,  সীতাকুন্ডু, নলডক –এরকম বিভিন্ন প্রজাতির শিম রয়েছে। এদের যেকোন টাই  ছাদ কৃষির জন্য ভালো হবে।


কখন বীজ বপন করতে হয়


যদি ভালো ও সঠিক সময়ে ফলন পেতে হয় তাহলে শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি থেকে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়  পর্যন্ত শিম লাগাতে হবে। তবে আগাম চাষও করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে  

আষাঢ় থেকে পুরো ভাদ্র মাস পর্যন্ত শিম গাছ লাগাতে পারবেন


কিভাবে বীজ বপন করা হয় ? পানি সেচ কিভাবে দিব


একটি টবে ৫-৬ টি করে বীজ বপন করে দিতে হয়। অঙ্কুর গজিয়ে চারা হলে  চারা বাছাই করে নিতে হয়। টবে যেগুলো সুস্থ চারা থাকে তাদের বাদ দিয়ে দুর্বল চারা তুলে ফেলে দিতে হয়। 

চারা গজালে  প্রথম দিকে নিয়মিত পানি দিতে হয়। গরম পড়লে পানির সেচ বাড়াতে হবে, আবার আর্দ্রতা বাড়লে কিছুটা কমিয়ে নিতে হয়। তবে গাছের গোড়ায় পানি থাকা চলবে না।


কিভাবে শিম গাছের পরিচর্যা করব?


শিম গাছের চারা খুব নরম হয় বিধায় একটু বড় হলে একটা ছোট লাঠি দিয়ে গাছকে বেঁধে দিতে হবে্। একটি মাচা  তৈরি করে নিতে হয় । শিম গাছের গোড়াতে সবসময় অল্প করে মাটি 

দিতে হয়, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা ছাইও ব্যবহার করতে পারেন। গাছ ঝোপালো এবং ফুল ফল বেশি চাইলে মাঝে মধ্যে ছেটে দিতে হয়। শিম গাছের ক্ষেত্রে নিয়মিত যত্ন করতে হয়, নিয়মিতভাবে 

আগাছা পরিষ্কার করতে হয়, অতিরিক্ত আগা ও লতাপাতা ছাটাই করে দিতে হয় মাঝে মাঝে।গাছের গোড়ায় বেশি বেশি মাটি দিতে হয়, লতিয়ে গেলে বেধে দিতে হয়। সার হিসেবে ইউরিয়া, 

টিএসপি, মিউরেট অব পটাশ, জিপসাম, জিংক অক্সাইড দিতে হয় আবার জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন।


কিভাবে শিমের পোকামাকড় ও রোগ দমন করব?


শিমে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ হয় যেমন জাব পোকা, লাল মাকড়, থ্রিপস পোকা, গান্ধি পোকা।এছাড়া মোজাইক ভাইরাস ও অ্যানথ্রাকনোজ হচ্ছে এর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতিকারক রোগ।


তাই মোজাইক ভাইরাসের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক  ব্যাবহার করা যায়। এটা প্রতি ২ লিটার পানির অনুপাতে মিশ্রণ করে শিম গাছে ১০ দিন অন্তর অন্তর  ২থেকে ৩ 

বার করে স্প্রেয়ার দিয়ে স্প্রে করতে হয়। অ্যানথ্রাকনোজ হলে মেক্সজিল ৭২ WP জাতীয় ওষুধ ব্যাবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৬-০২-২০২৪,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৬-০২-২০২৪ 


আজকের শিরোনাম:


সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী।


মহান আল্লাহর নৈকট্য ও ক্ষমালাভে গতরাতে পালিত হলো পবিত্র শবেবরাত।


কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আকস্মিক পরিদর্শন—মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী ও জরুরি পণ্য অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লিখিত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ।


সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী।


গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা প্রকাশ করা যাবে না-হাইকোর্টের রায়।


ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রায় ৩১ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি দেশটির প্রেসিডেন্টের।


আজ মিরপুরে বিপিএল ক্রিকেটে একমাত্র এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বোরো ধানের পাতাব্লাষ্ট রোগ দমনে কৃষক ভাইদের করণীয়ঃ,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ★★বোরো ধানের পাতাব্লাষ্ট রোগ দমনে কৃষক ভাইদের করণীয়ঃ


#বোরো ধান আবাদি কৃষক ভাইয়েরা 

ধান গাছের পাতায় ছোট ছোট কালচে বাদামী দাগ দেখা যায়। আস্তে আস্তে দাগগুলো বড় হয়ে দাগের মাঝখানটা ধুসর বা সাদা হয়ে কিনারা বাদামি রঙ ধারন করে। 

এবং

দাগগুলো একটু লম্বাটে হয়। দেখতে চোখের মত দেখায়। দাগগুলো পুরো পাতায় ছড়িয়ে পরে। এটাকে পাতা ব্লাষ্ট রোগ বলে। 


#রোগের অনুকূল পরিবেশঃ

দিনের বেলায় গরম (২৫°-২৮° সেন্টিগ্রেড) তাপমাত্রা।

রাতে ঠান্ডা ২০°-২২° সেন্টিগ্রেড) 

শিশির ভেজা দীর্ঘ সকাল, 

অধিক আর্দ্রতা (৮৫% এর অধিক), 

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ঝড়ো আবহাওয়া, ও 

গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এ রোগ আক্রমণের জন্য উপযুক্ত। 


#ধানের বৃদ্ধি পর্যায়ে এ রোগ দেখা দিলে 


বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে ৫-৭ কেজি পটাশ সার গাছ শুকনো অবস্থায় উপরি প্রয়োগ করবেন।

#জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখবেন।


পাতাব্লাষ্ট আক্রান্ত হয়ে গেলে বা আক্রান্ত হলে

#ট্রাইসাইকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক 

#ট্রুপার ৭৫ ডাব্লিউ পি 

#জিল ৭৫ ডাব্লিউ পি 

#দিফা ৭৫ ডাব্লিউ পি

#স্ট্যানজা ৭৫ ডাব্লিউ পি  প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। #অথবা


#যে সব ধানের জমিতে এখনো ব্লাষ্ট রোগ আক্রামন করে নাই। সেসব জমিতে

#টেবুকোনাজল৫০%+#ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন ২৫%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-

#নাটিভো৭৫ডাব্লিউজি

#স্ট্রমিন৭৫ডাব্লিডিজি

#ব্লাষ্টিন৭৫ডাব্লিউজি

#অপোনেন্ট৭৫ডাব্লিউজি

#সানটিবো৭৫ডাব্লিউজি

প্রতি লিটার পানিতে ০.৬ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। #অথবা


#এজক্সিস্ট্রবিন২০%+#ডাইফেনোকোনাজল১২.৫%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-

#এমিস্টার_টপ 

#রাই_৩২.৫ এসসি 

#এমিস্কোর৩২.৫ ইসি

#স্যালভেশন ৩২.৫ এসসি যে কোন একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করতে পারেন 

(#এজক্সিস্ট্রোবিন২০%+#সিপ্রোকোনাজল ৮%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-

#কারিশমা ২৮ এসসি

#তারেদ ২৮ এসসি

#নাভারা ২৮ এসসি

#টিপঅফ ২৮ এসসি যে কোন একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১.৫০ মিলি হারে মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করতে পারেন।


মোঃ রমিজ রাজা 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা 

উপজেলা কৃষি অফিস 

খোকসা, কুষ্টিয়া।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

অরজিনাল জাতের এলাচ কখনোই আগায় ফুল বা আগায় হবে না-,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এলাচ আসলে কোথায় ধরে গোড়ায় না আগাই, এটা নিয়ে আমাদের অনেকের প্রশ্ন, সঠিক উত্তর, অরজিনাল জাতের এলাচ কখনোই আগায় ফুল বা আগায় হবে না-

 এটা অবশ্যই গোড়া থেকে ফুল বের হবে এবং গোঁড়া থেকেই এলাচ উৎপাদন হবে। এ পর্যন্ত যত মানুষই এই এলাচি গাছ কিনেছেন গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ৯৯% মানুষ প্রতারিত হয়েছেন সবগুলা জংলি গাছ দিয়েছে -আপনাদের এই জংলি গাছের বিশেষ আরেকটি বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হচ্ছে এর পাতা ঘ্রাণ দেখে সুখে মনে হবে এলাচ মনে গাছে ধরেই আছে -কিন্তু এটাই হচ্ছে ডুবলিকেট এলাস বা জংলি এলাচ, তাই সঠীক জাতের এলাচ সঠিক যাতের এলাচ চারাকিনতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে-

 গ্যারান্টি দিচ্ছি শতভাগ অরিজিনাল চারা পাবেন দাম একটু বেশি হতে পারে তবে অত্যন্ত দামি এই মসলা সঠিক  জাতের চারা গাছ ক্রয় করলে কখনোই আপনি নিরাশ হবেন না অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন দ্রুত আমাদের সাথে-01786-438068-01724517307-ফোন করে না পেলে হোয়াটসঅ্যাপ ইমুতে নক দিয়ে রাখবেন


 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


শসার স্প্রে শিডিউল,,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ★★শসার স্প্রে শিডিউল :

জাত: গুডলাক,চমক,জনতা,মেসি


২য় স্প্রে: চারার বয়স ১২-১৪ দিন হলে,

রিডোমিল গোল্ড (২ গ্রাম)+অটোমিডা(১ গ্রাম)+নুট্রাফস এন(২ গ্রাম)


নিয়মিত সকল ধরনের ফসলের স্প্রে শিডিউল সহ সকল ধরনের পরামর্শ পেতে পেজে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে একটিভ থাকুন......


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...