এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।

 দুঃখ কাকে বলে এর প্রায় সবই কবিগুরু পেয়েছিলেন এক জীবনে। স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।


স্ত্রী'র পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলো ছোট ছেলে শমী। পুত্রশোকে কবি লেখলেন-


"আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।"


কবি'র মনে হলো এই জোৎস্নায় কবি বনে গেলে হবে না। বরং তাঁকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমী'র! যদি এসে কবিকে না পায়? তিনি লেখলেন-


"আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে

যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।'


রাণীর জামাইকে পাঠিয়েছিলেন কবি বিলেতে ডাক্তারী পড়তে, না পড়েই ফেরত আসলো। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারী পড়তে, না পড়েই ফেরেত আসলো। ছোট মেয়ে অতশীর জামাইকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার উপর পড়াশোনা করতে। লোভী এই লোক কবিকে বার বার টাকা চেয়ে চিঠি দিতো। কবি লেখলেন-


"জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।"


দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেলো।


সবচাইতে কষ্টের মৃত্যু হয় বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইর সাথে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। মেয়ে বেলা হয়ে পড়েন অসুস্থ। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ী করে মেয়ের বাড়ী যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে আসলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির মেয়েরই গল্প!


শোক কতটা গভীর হলে কবির কলম দিয়ে বের হলো -


"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।

তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥"


কবির মৃত্যু হলো অতিমাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রশ্রাবের প্রদাহে। কী কারনে যেন কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি। দূর সম্পর্কের এক নাতনি ছিলো কবির শেষ বিদায়ের ক্ষণে।


কবি জমিদার ছিলেন এইসব গল্প সবাই জানে। কবি'র দুঃখের এই জীবনের কথা ক'জন জানেন?


প্রথম যৌবনে যে গান লেখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেলো-


"আমিই শুধু রইনু বাকি।

যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি॥"

collect from Facebook 

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



টুইটার থেকে নেওয়া, বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমানের চিঠি,,,,,

 বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমানের চিঠি | হয়ত

আপনি এর আগেও পড়েছেন ! বিশ্বাস করেন চিঠিটা যতবারই পড়া হোক না কেন,এক অন্যরকম শিহরণ কাজ করে, তাই শেয়ার করলাম...... ------- প্রিয়তমা মিলি, একটা চুম্বন তোমার পাওনা রয়ে গেলো...সকালে প্যারেডে যাবার আগে তোমাকে চুমু খেয়ে বের না হলে আমার দিন ভালো যায় না | আজ তোমাকে চুমু খাওয়া হয় নি | আজকের দিনটা কেমন যাবে জানি না... এই চিঠি যখন তুমি পড়ছো, আমি তখন তোমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে | ঠিক কতোটা দূরে আমি জানি না | মিলি, তোমার কি আমাদের বাসর রাতের কথা মনে আছে? কিছুই বুঝে উঠার আগে বিয়েটা হয়ে গেলো | বাসর রাতে তুমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে যখন কাঁদছিলে,আমি তখন তোমার হাতে একটা কাঠের বাক্স ধরিয়ে দিলাম | তুমি বাক্সটা খুললে... সাথে সাথে বাক্স থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকী বের হয়ে সারা ঘরময় ছড়িয়ে গেলো | মনে হচ্ছিলো আমাদের ঘরটা একটা আকাশ... আর জোনাকীরা তারার ফুল ফুটিয়েছে! কান্না থামিয়ে তুমি অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে,"আপনি এতো পাগল কেনো!?" মিলি,আমি আসলেই পাগল...নইলে তোমাদের এভাবে রেখে যেতে পারতাম না | মিলি, আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন প্রিয় কন্যা মাহিনের জন্মের দিনটা | তুমি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলে | বাইয়ে আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি... আমি বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কষ্টে পুড়ে যাচ্ছি | অনেকক্ষণ পরে প্রিয় কন্যার আরাধ্য কান্নার শব্দ... আমার হাতের মুঠোয় প্রিয় কন্যার হাত! এরপর আমাদের সংসারে এলো আরেকটি ছোট্ট পরী তুহিন.... মিলি, তুমি কি জানো...আমি যখন আমার প্রিয় কলিজার টুকরো দুই কন্যাকে এক সাথে দোলনায় দোল খেতে দেখি, আমার সমস্ত কষ্ট - সমস্ত যন্ত্রণা উবে যায় | তুমি কি কখনো খেয়াল করেছো, আমার কন্যাদের শরীরে আমার শরীরের সূক্ষ একটা ঘ্রাণ পাওয়া যায়?মিলি... আমাকে ক্ষমা করে দিও | আমার কন্যারা যদি কখনো জিজ্ঞেস করে,"বাবা কেনো আমাদের ফেলে চলে গেছে?" তুমি তাঁদের বলবে, "তোমাদের বাবা তোমাদের অন্য এক মা'র টানে চলে গেছে...যে মা'কে তোমরা কখনো দেখো নি।সে মা'র নাম 'বাংলাদেশ' | মিলি...আমি দেশের ডাককে উপেক্ষা করতে পারি নি |আমি দেশের জন্যে ছুটে না গেলে আমার মানব জন্মের নামে সত্যিই কলঙ্ক হবে | আমি তোমাদের যেমন ভালোবাসি,তেমনি ভালোবাসি আমাকে জন্ম দেওয়া দেশটাকে | যে দেশের প্রতিটা ধূলোকণা আমার চেনা | আমি জানি... সে দেশের নদীর স্রোত কেমন... একটি পুটি মাছের হৃৎপিন্ড কতটা লাল, ধানক্ষেতে বাতাস কিভাবে দোল খেয়ে যায়....! এই দেশটাকে হানাদারের গিলে খাবে,এটা আমি কি করে মেনে নিই? আমার মায়ের আচল শত্রুরা ছিড়ে নেবে... এটা আমি সহ্য করি কিভাবে মিলি? আমি আবার ফিরবো মিলি... আমাদের স্বাধীনদেশের পতাকা বুক পকেটে নিয়ে ফিরবো | আমি, তুমি, মাহিন ও তুহিন... বিজয়ের দিনে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়াবো সবাই | তোমাদের ছেড়ে যেতে বুকের বামপাশে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে... আমার মানিব্যাগে আমাদের পরিবারের ছবিটা উজ্জ্বল আছে... বেশি কষ্ট হলে খুলে দেখবো বারবার ভালো থেকো মিলি... ফের দেখা হবে | আমার দুই নয়ণের মণিকে অনেক অনেক আদর | ইতি, মতিউর | ২০ আগস্ট, রোজ শুক্রবার, ১৯৭১
টুইটার থেকে নেওয়া

ঘর” ___রুদ্র গোস্বামী,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 “ঘর”

___রুদ্র গোস্বামী

মেয়েটা পাখি হতে চাইল

আমি বুকের বাঁদিকে আকাশ পেতে দিলাম।

দু-চার দিন ইচ্ছে মতো ওড়াওড়ি করে বলল,

তার একটা গাছ চাই।🌳

মাটিতে পা পুঁতে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম।

এ ডাল সে ডাল ঘুরে ঘুরে,

সে আমাকে শোনালো অরণ্য বিষাদ।

তারপর টানতে টানতে

একটা পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে নিয়ে এসে

বলল,

তারও এমন একটা পাহাড় ছিল।

সেও কখনো পাহাড়ের জন্য নদী হোতো।

আমি ঝর্ণার দিকে তাকিয়ে মেয়েটিকে

বললাম,

নদী আর নারীর বয়ে যাওয়ায় কোনও পাপ

থাকে না।

সে কিছু ফুটে থাকা ফুলের দিকে দেখিয়ে

জানতে চাইল,

কি নাম?

বললাম গোলাপ।🌹

দুটি তরুণ তরুণীকে দেখিয়ে বলল,

কি নাম?

বললাম প্রেম।👭

তারপর একটা ছাউনির দিকে দেখিয়ে

জিজ্ঞেস করলো,

কি নাম?

বললাম ঘর।🏡

এবার সে আমাকে বলল,

তুমি সকাল হতে জানো?🌄

আমি বুকের বাঁদিকে তাকে সূর্য দেখালাম।🌅

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

ঘাসেটি বেগম,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "ঘষেটি বেগম" 

বাংলার বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নাম।তার বিশ্বাসঘাতকতা,চক্রান্তর শেষ পরিনতি হয়েছিলো  ভয়াবহ।নিদারুন কষ্টে বুড়িগঙ্গাায় নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারান ঘষেটি বেগম।জ্বী,আজকে আপনাদের শোনাবো ঘষেটি বেগমের কাহিনি। 

 নবাব আলীবর্দী খাঁর বড় মেয়ে মেহের উন নিসা বেগম, ঘসেটি বেগম নামেই বেশি পরিচিত। তিনি ছিলেন বাংলা, বিহার ও ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় খালা। ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা নিঃসন্তান হওয়ায় ঘসেটি বেগমের ছোট বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে ইকরামউদ্দৌলা (সিরাজউদ্দৌলার ছোট ভাই)-কে দত্তক নেন; কিন্তু ইকরামউদ্দৌলা তরুণ বয়সে গুটিবসন্তে মারা যান।

ছেলের শোকে নওয়াজিস মারা গেলে ঘসেটি বেগম উত্তরাধিকার সূত্রে স্বামীর কাছ থেকে প্রচুর সম্পদ পান।

ঘসেটি বেগম চেয়েছিলেন আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দ্বিতীয় বোনের পুত্র শওকত জংকে সিংহাসনে বসাতে; কিন্তু নবাব আলীবর্দী খাঁর ইচ্ছায় সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় আরোহণ করেন। ঘসেটি বেগম তা মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি সেনাপতি মীরজাফর, ব্যবসায়ী জগৎ শেঠ ও উমিচাঁদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করেন।

ইংরেজরা মীরজাফরকে নবাব বানান; কিন্তু মীরজাফর ইংরেজদের পুতুল হওয়ায় ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন ঘসেটি বেগমের পূরণ হয় না। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুত টাকা না দেওয়াসহ নানা কারণে মীরজাফর এবং তার পুত্র মিরনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে ভেবে ঘসেটি বেগমকে মিরন বন্দি করেন এবং তাঁর নির্দেশে নৌকাযোগে মুর্শিদাবাদে নেওয়ার সময় নৌকাডুবি ঘটিয়ে ঘসেটি বেগমের সলিল সমাধি ঘটান।



আদা চাষ,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ✅ ফসলের নাম: আদা

✅ জাত এর নামঃ বারি আদা-২


✅ জাত এর বৈশিষ্টঃ


১। এ জাতের জীবনকাল ৩০০-৩১৫ দিন।

২। গাছের গড় উচ্চতা ৯০.৪৯-৮৮.৪০ সে.মি ।

৩। গড় পাতার সংখ্যা ৫০২.৮৪-৪৯৫টি ।

৪। গড় কুশির সংখ্যা ৩০.৮৪-২৯ট...

৫। গড় প্রাইমারী রাইজোমের ওজন ৬৯.৯০-৬৬.৫০ গ্রাম ।

৬। গড় সেকেন্ডারী রাইজোমের ওজন ৫৫৬.৫৪-৫৫০.২০ গ্রাম ।

৭। জাতটির হেক্টর প্রতি ৩৭.৯৯ টন পর্যন্ত ফলন হয় ।

৮। জাতটি কান্ড পঁচা রোগ সহনশীল ।


✅ চাষাবাদ পদ্ধতিঃ


১ । বপনের সময় : মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য মে

২ । মাড়াইয়ের সময় : জানুয়ারী - ফেব্রুয়ারী

৩ । সার ব্যবস্থাপনা : জমি চাষের সময় গোবর, টিএসপি, অর্ধেক এমপি, জিপসাম এবং জিংক মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া আদা রোপনের ৫০ দিন পর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া ও এমপি সমানভাগে দুই কিস্তিতে রোপনের যথাক্রমে ৮০ ও ১১০ দিন পর জমিতে পার্শ্ব প্রয়োগ করতে হবে। এই সময় গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।


আদা বীজ পাওয়া যাচ্ছে সানাফ হাইটেক এগ্রো নার্সারিতে। 


সার্বিক যোগাযোগ:

সানাফ হাইটেক এগ্রো 

কাঠালবাড়ি বাজার 

কুড়িগ্রাম। 

01797-791443

01733-297882


রাসায়নিক_সার এবং কীটনাশক কতটা ক্ষতিকর?,,,,,

 জানেন কি??#রাসায়নিক_সার এবং #কীটনাশক কতটা ক্ষতিকর?


#কীটনাশক 

কীটনাশক মূলত বিষ। সময়ের অভাবে কৃষক বেশিরভাগ সময় কৃষি কর্মকর্তার কাছে যেতে পারেন না।।। কৃষকের অজ্ঞতার কারণে আর মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে । 


 ১. #কীটনাশক উদ্ভিদের মূল ও পাতার সাহায্যে উদ্ভিদের ভেতর প্রবেশ করে খাদ্যদ্রব্যকে বিষাক্ত করে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ওই শাক-সবজি কৃষক বাজারে বিক্রি করছে। এতে মানুষের লিভার আক্রান্ত হওয়াসহ স্নায়ুরোগ, রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, গর্ভপাত, পঙ্গু সন্তান জন্ম ইত্যাদি হচ্ছে।


২. #প্রবাহমান (সিস্টেমিক) রাসায়নিক কীটনাশক এক গাছে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে নির্দিষ্ট পোকা ঐ কীটনাশকের বিরুদ্ধে সহনশীল হয়ে যায়। ফলে কীটনাশকের কার্যকারিতা লোপ পায়। তখন ঐ কীটনাশক আর কাজ করে না।


>>#বর্তমানে বেশিরভাগ কৃষকের প্রশ্ন -গত বছর যে  কীটনাশক ব্যবহারে ফল পেয়েছে, এবার পোকা দমন হচ্ছে না। কারণ কি?কারণ হলো- পোকা প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। 


৩. #প্রকৃতিতে বেশ কিছু উপকারী পোকা আছে, যারা পরাগায়নে সাহায্য করে। ফলন বাড়ায়।  কীটনাশক ব্যবহারের ফলে শস্যের উপকারী পোকা-মাকড় শেষ হওয়ার পথে। ফলে কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাচ্ছে না।


৪.#কীটনাশক স্প্রে করার সময় ৭৫ ভাগ কৃষকের ওপর সরাসরি ছিটকে পড়েছে এবং জমি থেকে এক কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্বে বসবাস করেন ৮৭ ভাগ কৃষক। ৫৪ ভাগ কৃষক কখনোই কীটনাশক ছিটানোর সময় প্রতিরোধমূলক পোশাক পরেন না। তাঁদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৫৩ ভাগ কৃষক ক্যান্সার, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া, কানে শোনার সমস্যা, কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত।


৫.#কীটনাশক ব্যবহারের যন্ত্র বা কৃষক তাঁর হাত-পা বা শরীর ধৌত করেন চাপকল, সেচনালা, পুকুর, ডোবা কিংবা নদীতে। এর মাধ্যমেও বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে জলজ মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।


৬.কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ না করলে অতিরিক্ত বিষক্রিয়ায় গাছ মারা যেতে পারে।এতে সম্পূর্ণ ফসলী জমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।


কৃষি বিভাগের নিয়মানুযায়ী সহনীয় পর্যায়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত। সরকারিভাবে কৃষকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও অনেক কৃষক নির্দেশনা মেনে প্রয়োগ করেন না। 


#করণীয়

 বিকল্প হিসেবে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে উপকারী পোকা রক্ষা পাবে। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করে ও নির্দেশনা মেনে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। 


#রাসায়নিক_সার 

 রাসায়নিক সার (যেমন- ইউরিয়া, টিএসপি পটাশ)  সহজলভ্য, গাছের জন্য সহজে গ্রহণ উপযোগী এবং প্রয়োগে তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যায় বলে কৃষকদের কাছে এর চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। সাময়িক ভাবে উপকৃত হলেও দীর্ঘদিন রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতিকর দিক।


১. মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়,উর্বরতা হারায়। অতিরিক্ত ব্যবহারে এক সময় সার ঐ মাটিতে কাজ করে না। ফলে জমি চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পরে।


২.গাছপালা কার্যত ইউরিয়া সারের মাত্র অর্ধেক বা তার কম নাইট্রোজেন ব্যবহার করে থাকে আর বাকি অর্ধেক নানা ধরনের বিক্রিয়ায় নাইট্রোজেন অণুতে রূপান্তরিত হয়ে মাটি, পানি ও বাতাসে মিশে যায়। এভাবে বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন দিন দিন বাড়তে থাকে আর শুরু হয় পরিবেশ দূষণের নতুন মাত্রার নাইট্রোজেন দূষণ।


৩. গাছের জন্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদান ১৭ টি৷ রাসায়নিক সারে মাত্র ২-৩ টি পুষ্টি উপাদান থাকে।  জৈব সার ব্যবহার করলে উদ্ভিদ ৮-১০ টি পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে।

১৯৫০ সালের পর থেকে মাটিতে মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মাটির ৬-৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। নতুন গবেষণায় এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। আগামী ২০-৩০ বছর পর আরও  পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


৪.অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়  মাটিতে বসবাসকারী অনুজীব ও কেচো মারা যায়। অথচ এসকল উপকারী অণুজীব মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


৫.রাসায়নিক সার মাটিতে কম স্থায়ী হয় এবং বেশি অপচয় হয়। ফলে মাটি,পানি,বাতাস, আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হয়।


#সমাধান_কি_তাহলে?

জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। জৈব সার মাটি ও গাছের জন্য উপকারী। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, উর্বরতা বাড়ে। কৃষকরা অল্প খরচে বাড়িতেই জৈব সার তৈরি করতে পারে।

✔️ মাটি পরীক্ষা করে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে।


তাই নিজেরা সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি। বলি সবাই -"অযথা #রাসায়নিক সার ও #কীটনাশক নয়

জৈব বালাইনাশক ও জৈব সারে নেই কোন ভয়।"


সঠিক পরামর্শ নিন, নিরাপদ ফসল চাষ করুন

আপনাদের সেবায় আমরা আছি সবসময়। 





বাংলা ভাষার উৎপত্তি,      ইতিহাস ও বিবর্তন ",,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 " বাংলা ভাষার উৎপত্তি, 

    ইতিহাস ও বিবর্তন "


আমরা প্রতিদিন যে ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে চলেছি, তার উৎপত্তি আর ইতিহাস নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছি কি! কয়েক হাজার বছর আগে কেমন ছিলো এই ‘বাংলা ভাষা’? কিভাবে জন্ম হলো এই ভাষার? কিভাবেই বা হাজার বছর ধরে বেড়ে উঠেছে আমাদের প্রাণের ভাষা? 


         যতদূর জানা যায়, বাংলা ভাষা হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাবংশের সদস্য। যার উৎপত্তি আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে! খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে এই ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাবংশ থেকে জন্ম নেয় ‘শতম’। এর প্রায় এক হাজার বছর পর খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে ‘শতম’ ভাষাটি রুপান্তরিত হয় ‘আর্য’ ভাষায়। তবে তখন পর্যন্ত উপমহাদেশে আর্য ভাষার চল হয়ে ওঠেনি। ভারত উপমহাদেশে আর্য ভাষার চল শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দে আর্য জাতি আগমনের পর।


         আর্যদের শাসন করা কালীন, ভারতীয় আর্য ভাষা শিখে নিল। তখন ভাষাটি হয়ে গেল "ভারতীয় আর্য" ভাষা। ভারতীয় আর্যভাষা টি ভারতে ভাষার একটি রূপ। তখন সবাই "ভারতীয় আর্য" ভাষার কথা বলতে শুরু করে দিল।

পরবর্তীতে কথা বলা এবং লেখা দুটো আলাদা হয়ে গেল। অঞ্চল ভিত্তিতে যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে তাকে মুখের ভাষা বলা হয়, বইয়ের ভাষায় যাকে বলে "প্রাকৃত" ভাষা। 


           তৎকালীন লিখিত ভাষার নাম ছিল "সংস্কৃত"। ভাষাবিজ্ঞানের বিচারে বলা চলে যে সংস্কৃত তথা প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা প্রাকৃতের তথা মধ্যভারতীয় আর্যভাষার অন্ততঃ তিনটি স্তরের মধ্য দিয়ে ক্রমবিবর্তিত হতে হতে আনুমানিক খ্রীঃ দশম শতকের দিকে বাঙলা এবং অপরাপর আঞ্চলিক নব্য ভারতীয় আর্যভাষায় রূপান্তরিত হয়। কাজেই 'বাঙলা ভাষার জননী' বলতে মধ্যভারতীয় আর্যভাষা বা 'প্রাকৃ ভাষা'কেই বুঝিয়ে থাকে, কারণ এই ভাষা থেকেই সরাসরি বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটেছে। 


           বাঙলা ভাষা হাজার বছরে অনেকখানি পরিবর্তিত হওয়ায় ভাষায় পরিবর্তন অনুযায়ী তাকে আদিযুগ, আদিমধ্যযুগ, অন্ত্যমধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ এই চারটি পর্বে বিভক্ত করা হয়। প্রতি পর্বেই ভাষাগত পরিবর্তন লক্ষণীয়।


           বাঙলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন 'চর্যাপদ'- আনুমানিক খ্রীঃ দশম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে রচিত হয়। এই কালটিকে বলা হয় বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের 'আদিযুগ'। বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ সদ্য-উদ্ভূত বাঙলা তাঁদের সাধন-ভজন-বিষয়ক তদ্বাদি এই গ্রন্থে বিভিন্ন পদের আকারে রচনা করেছিলেন। চর্যাপদ ধর্মীয় সাহিত্য। খ্রীঃ ত্রয়ােদশ থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর অর্ধাংশ পর্যন্ত ছিল ক্রান্তিকাল। একালে রচিত কোন রচনার নিদর্শন সুলভ নয়। এরপর ১৩৫০ খ্রীঃ থেকে ১৪০০ খ্রীঃ পর্যন্ত বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যযুগ। এর মধ্যে আবার ১৫০০ খ্রীঃ পর্যন্ত আদিমধ্যযুগ বা চৈতন্য-পূর্ব যুগ। এই যুগের উল্লেখযােগ্য সাহিত্য বড়ু চণ্ডীদাস রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন', বিদ্যাপতির বৈষ্ণব পদাবলী কিছু অনুবাদ সাহিত্য এবং কয়টি প্রধান মনসামঙ্গল কাব্য। চৈতন্যদেবের আবির্ভাব বাঙলার সাহিত্যে ও সমাজে প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করে। ফলে, বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের গুণগত এবং পরিমাণগত পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল অনেকখানি। অন্ত্যমধ্যযুগে তথা চৈতন্যোত্তর যুগে জীবনী সাহিত্য, পদাবলী সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, বিভিন্ন ধারার মঙ্গলকাব্য ও নানাজাতীয় লােক সাহিত্যের সৃষ্টি হয় (১৮০০ খ্রীঃ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে গদ্য-সাহিত্যের উদ্ভব এবং তার পরই পাশ্চাত্ত্য জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাঙলা সাহিত্যে যে বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়, তাকেই বলা হয় 'আধুনিক যুগ'। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের যুগ বিভক্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষাও যুগােপযােগীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।


           মুখের ভাষা অর্থ প্রাকৃত ভাষা কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো গৌড় অঞ্চলের যে ভাষায় কথা বলা হত তাকে বলা হল "গৌড়ীয় প্রাকৃত" এবং মগধ নামে যে এলাকা ছিল তারা যে ভাষায় কথা বলতো সেটির নাম ছিল "মাগধী প্রাকৃত"।

 

           সুনীতিকুমারের মতে বাংলা ভাষা এসেছে "মাগধী প্রাকৃত" থেকে দশম শতাব্দীতে। "গৌড়ীয় প্রাকৃত" থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে সপ্তম শতাব্দীতে, এটি বলেছেন ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ব্যাকরণে সুনীতিকুমারের কথাকে কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।


            সুনীতিকুমারের মতে "মাগধী প্রাকৃত" হোক বা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে "গৌড়ীয় প্রাকৃত" একসময় এই ভাষাটি বিকৃতি হয়ে যায়। ভাষা যখন ব্যর্থ হয় তখন সেটাকে বলা হয় "অপভ্রংশ"। এই বিকৃতি ভাষা থেকে সরাসরি একটি ভাষার উৎপন্ন হয় "বঙ্গকামরূপী"। "বঙ্গকামরূপী" যেটি "অপভ্রংশের" একটি রূপ। এখান থেকে সরাসরি কিছু ভাষা তৈরি হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলা, এরমধ্যে আবার আছে অসমীয়া যেটা বর্তমানে আসামের ভাষা, আরো আছে উড়িয়া ভাষা যেটা উড়িষ্যাতে কথা বলা হয়।


          উপমহাদেশে আর্য ভাষা চালু হবার পরবর্তী তিনশো বছরে পরিবর্তনের উপমহাদেশীয় হাওয়া লাগে আর্য ভাষায়। প্রচুর পরিমাণ সংস্কৃত ভাষার শব্দ যোগ হয়ে আর্য ভাষা রুপ নেয় ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য’ ভাষায় (খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ)। আর্য জাতির পাশাপাশি ধীরে ধীরে উপমহাদেশর সাধারণ মানুষও আপন করে নেয় এই প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা। তখন আরো কিছুটা রুপান্তরিত হয়ে এ ভাষা হয়ে ওঠে ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য কথ্য’ ভাষায় (খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দ) যা ‘আদিম প্রাকৃত’ নামেও পরিচিত। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ হতে ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে আদিম প্রাকৃতের রুপান্তর ঘটে প্রথমে ‘প্রাচীন প্রাচ্য প্রাকৃত’ এবং পরবর্তীতে ‘গৌড়ি প্রাকৃত’ ভাষা দুটির উৎপত্তি হয়। আর এই গৌড়ি প্রাকৃত থেকে ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জন্ম হয় ‘গৌড়ি অপভ্রংশ’ ভাষার।


          এই গৌড়ি অপভ্রংশ থেকেই ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে উৎপত্তি হয় ‘বাংলা’ ভাষার । শুরুর দিকে অবশ্য বাংলা ভাষা ঠিক শতভাগ এমন ছিল না। ভাষাবিদগণের ভাষায় সে সময়ের বাংলা কে বলা হয় ‘প্রাচীন বাংলা’। এরপর ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আসে ‘মধ্য বাংলা’ এবং ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে সেটা রুপ নেয় ‘আধুনিক বাংলা’ ভাষায়। অর্থাৎ, যে ভাষায় আমরা এখন কথা বলি।            


           এই আধুনিক বাংলা ভাষার জন্যেই ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলার সূর্য-সন্তান রফিক, বরকত, আব্দুস সালাম, আব্দুল জব্বারেরা। যা আমাদের সবারই জানা। তবে অনেকেই যেটা জানেন না তা হলো, বাংলা ভাষার জন্য শুধু বাংলাদেশিরা নয় আন্দোলন করেছেন দেশের বাইরের অনেক মানুষই। পঞ্চাশ এর দশকে ভারতের বিহার রাজ্যের (এরাও বাঙালি) মানভূম জেলায়ও হয় বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন। ১৯৬১ সালে আমাদের দেশে হয়ে যাওয়া ভাষা আন্দোলনের জের ধরে ভারতের শিলচরে বাংলা ভাষার আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হন।


           পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ১৭ মে ইউনেস্কো আমাদের ভাষা এবং ভাষা শহীদদের সম্মানে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ কে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয়।  শুধু তাই নয় আফ্রিকা মহাদেশের সিয়েরা লিওন নামের দেশটিও সম্প্রতি বাংলা কে তাদের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়ে। পুরো পৃথিবীজুড়ে প্রায় বিশ কোটির বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলে। ভাষাভাষী লোকসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর সপ্তম এবং একই সাথে তিনটি দেশের রাষ্ট্রভাষা ‘‘আমাদের প্রাণের বাংলা’’ !

- হারুন-অর-রশীদ খান। 

newskotha, Wikipedia  millioncontent, Charpoka Mag: Zaik Ahmed)

Syed Marufuzzaman Russell

collect from Facebook 
ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



আমের হপার পোকা কিভাবে ক্ষতি করে,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 প্রিয় আম বাগানী ভাই ও বোনেরা।


আসুন

আমের হপার পোকা কিভাবে ক্ষতি করে তা জেনে নেই , ফুল আসার সময় এই পোকাটি বেশি ক্ষতি করে, একটা হপার পোকা প্রায় ১৫০টা ডিম পাড়তে পারে। এই ডিমগুলা পরে পাঁচ-সাত দিনের মাথায় ডিম ফুটে নিম্ফ হয় এবং এই ডিমগুলো পরে আমগাছের পাতা, ফুল, ফলের রস শুষে খায়, এর ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে যায়।


তখন একধরনের রস নিঃসরণ করে, যাকে ‘হানি ডিউ’ বলে। এই আঠালো একটা পদার্থের জন্য আমগাছে শুটি মোল্ড নামে একধরনের ছত্রাক জন্মায়। ফলে সম্পূর্ণ গাছের পাতা, মুকুল কালো হয়ে যায় মরে যায়। তখন বলা হয় মহালাগা। 


এদের থেকে বাঁচাতে হলে মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে

সাইপামেথ্রিন গ্রুপের অথবা কার্বারিল গ্রুপের কিটনাশক

সাথে ম্যানকোজেব অথবা সালফার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।


একই প্রক্রিয়ায় 

আম মটর দানা হলে একবার।

মার্বেল আকার হলে আরেকবার।


গুটি যাতে ঝরে না যায় এজন্য প্লানোফিক্স বা বায়োগ্রীন বা বায়োফার্টি নামক ভিটামিন মটর দানা হলে একবার স্প্রে করতে পারেন। 

অথবা 

১০-২০ দিন পর পর বোরিক এসিড ৬ গ্রাম/১০ লি. পানি স্প্রে করলে আমের গুটির পরিমাণ বেড়ে যাবে।


মার্বেল আকার হলে বাড়ন্ত অথবা গ্রীনলিপ বা ইউরিয়া সার ২০ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে দিলে ফল সুন্দর হবে।


মাটিতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।


গাছের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে অবশ্যই।।

ধন্যবাদ।।




এই সেই মীর জাফর!,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এই সেই মীর জাফর!


সম্পূর্ণ নাম সৈয়দ মীর জাফর আলী খান। জন্ম,১৬৯১ – ৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫ মৃত্যু। তিনি ছিলেন ইংরেজ প্রভাবিত বাংলার একজন নবাব। তার শাসনামল ভারতে কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার শুরু এবং সমগ্র উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।


 নবাব সিরাজউদ্দৌলা নদীয়ার পলাশীর কাছে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন। মীর জাফর ছিলেন পলাশী যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এবং প্রধান বিশ্বাসঘাতক। তার অধীনের সৈন্যবাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা ও তার বাংলা-বিরোধী পদক্ষেপের জন্য বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা-কে পরাজয় বরণ করতে হয়। ইংরেজদের সাথে মীর জাফরের পূর্বেই এই মর্মে একটি চুক্তি ছিল যে, যুদ্ধে ইংরেজরা জয়ী হলে মীর জাফর বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হবেন। বিনিময়ে মীর জাফর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে পাঁচ লক্ষ পাউন্ড ও কলকাতায় বসবাসকারী ইউরোপীয়দের আড়াই লক্ষ পাউন্ড প্রদান করবেন। ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত, সিংহাসনচ্যুত ও নিহত হলে মীর জাফর বাংলার নবাব হন। কিন্তু ব্রিটিশদের দাবিকৃত বিপুল অর্থের যোগান দিতে তিনি সমর্থ হননি।


 ১৭৫৮ সালে রবার্ট ক্লাইভ তার প্রতিনিধি খোজা ওয়াজিদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, মীর জাফর চিনশুরায় ওলন্দাজদের সাথে একটি চুক্তি করেছেন। হুগলি নদীতে ওলন্দাজ জাহাজের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। এসব কিছু চুঁচুড়া যুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি করে।ব্রিটিশ কর্মকর্তা হেনরী ভেন্সিটার্ট মীর জাফরের কাজে সহায়তা করার জন্য তার জামাতা মীর কাশিমকে বাংলার সহকারী সুবেদার নিয়োগ করার জন্য প্রস্তাব করেন। ১৭৬০ সালে কোম্পানি মীর জাফরকে মীর কাশিমের নিকট ক্ষমতা অর্পণ করতে বাধ্য করে। মীর কাশিম ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা ব্যক্তি এবং তিনি বাংলাকে স্বাধীনভাবে শাসন করার ইচ্ছা পোষণ করতেন। ফলশ্রুতিতে ইংরেজদের সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং ১৭৬৩ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে পুনরায় মীর জাফরকে নবাব করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত নবাব এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। বরং তিনি কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। মীর জাফর ১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।


 ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জাফরগঞ্জ কবরস্থানে তার সমাধি আছে।বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে মীর জাফর নামটি বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুর্শিদাবাদের তার বাড়িটি নিমক হারাম দেউরি (বিশ্বাসঘাতকের ঘর) নামে পরিচিত। মীরজাফর এতটাই বিশ্বাসঘাতক ছিল যে এখনও কেউ অবিশ্বাসী হলে তাকে মীরজাফরের সাথে তুলনা করা হয়।

অনলাইন থেকে নেয়া

collect from Facebook 
ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



আবাবিল ফেরেস্তা থেকে ইবলিশ

 ❝ইবলিশ শয়তান ৬ লক্ষ বছর আল্লাহর ইবাদত করেছিল আর তাকে যখন শয়তান বলে আরশ থেকে নিক্ষিপ্ত করা হচ্ছিল তখন সে বলেছিল আমি যত বছর আপনার ইবাদত করেছি এর পরিবর্তে আমি যা চাই তাই দিতে হবে❞.........


❝আল্লাহ বলেন,, কি চাও❞??


❝উওরে শয়তান বলল,, হে আল্লাহ আপনি আমাকে পৃথিবীতে মারদুদ হিসেবে নিক্ষেপ করেছেন আমার জন্য একটি ঘর বানিয়ে দিন❞,,,,,,,, 


❝আল্লাহ পাক বলেনঃ তোমার ঘর হাম্মাম খানা❞,,,,,


 ❝শয়তানঃ একটি বসার জায়গা দিন❞..


❝আল্লাহ পাক বলেন,, তোমার বসার জায়গা বাজার ও রাস্তা❞,,,,,,,


 ❝শয়তানঃ আমার খাওয়ার প্রয়োজন❞


❝আল্লাহ পাক বলেন,, তোমার খাওয়া ঐ সব জিনিস যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয় না❞,,,,,,


❝শয়তানঃ আমার পানীয় প্রয়োজন❞


❝আল্লাহ পাক বলেন,, নেশাদ্রব তোমার পানি❞


 ❝শয়তানঃ আমার দিকে আহবান করার কোন মাধ্যম দিন❞..........


❝আল্লাহ পাক বলেনঃ নাচ-গান, বাদ্য-বাজনা তোমার দিকে আহবান করার মাধ্যম❞.....


❝শয়তানঃ আমাকে লিখার কিছু দিন❞


❝আল্লাহ পাক বলেনঃ শরীরে দাগ দেওয়া উল্কি ট্যাটু অংকন করা❞,,,,,,


❝শয়তান: আমাকে কিছু কথা দিন❞......


❝আল্লাহ পাক বলেন,, মিথ্যা বলা তোমার কথা❞,,,,


❝শয়তানঃ মানুষকে বন্দি করার জন্য একটি জাল ফাদ দিন❞....


 ❝আল্লাহ পাক বলেন তোমার জাল ফাদ হলো বেপর্দা নারী❞


❝রেফারেন্স: তাবরানী অধ্যায়, মাজমাউজ্জা ওয়ায়েদ,,

হাদিস❞ নঃ ২/১১৯


❝হে আমার রব!আমাদের সবাইকে শয়তানের ধোকার হাত থেকে রক্ষা করো❞।

❝আমিন❞......

কপি পোস্ট


মাউন্ট ওমুরো (Mount Omuro): জাপানের এক অনন্য নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি।। 

 মাউন্ট ওমুরো (Mount Omuro): জাপানের এক অনন্য নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি।।  জাপান প্রকৃতি ও আগ্নেয়গিরির দেশ। এখানকার অসংখ্য পর্বতচূড়ার মধ্যে মাউন্...