এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

হুনায়ন আহমেদের লেখা,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমার বড় মেয়ে তার কলেজে একটা কোয়েশ্চেনীয়ার জমা দেবে। সেখানে অনেকগুলি প্রশ্নের ভেতর একটা প্রশ্ন হচ্ছে – “তােমার প্রিয় ব্যক্তি কে?” সে লিখলো, ‘আমার মা’।

আমি ভেবেছিলাম সে লিখবে – বাবা।

আমার সব সময় ধারণা ছিল আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে খুব পছন্দ করে। অন্তত তাদের মা’র চেয়ে বেশি তাে বটেই। করারই কথা, আমি কখনাে তাদের বকা-ঝকা করি না। অথচ তাদের মা এই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করছে –

“বাথরুম ভেজা কেন?”

“সন্ধ্যা হয়ে গেছে, পড়তে বসনি। পড়তে বােস।”

“টুথপেস্টের মুখ লাগানো নেই, এর মানে কি?”

“বন্ধুর সঙ্গে এতক্ষণ টেলিফোনে কথা কেন?”

“ফ্রকে ময়লা কি ভাবে লাগলো?”

“মাছ তাে গোটাটাই ফেলে দিলে। বােন-প্লেট থেকে তুলে এনে খাও। তােল বলছি। তােল।”

এই সব যন্ত্রণা আমি তাদের দেই না। খাবার টেবিলে আমি ওদের সঙ্গে মজার মজার গল্প করি। ভিডিও ক্লাবে কোন ভাল ছবি পাওয়া গেলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে দেখি। তারচেয়েও বড় কথা, এমন সব কাণ্ড-কারখানা মাঝে মাঝে করি যা বাচ্চাদের কল্পনাকে উজ্জীবিত করবেই। যেমন শহীদুল্লাহ হল-এ যখন থাকতাম তখন ভরা জোছনার রাতে বাচ্চাদের খুম থেকে তুলে পুকুরে গােসল করতে নিয়ে যেতাম। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে সবাইকে নিয়ে পানিতে ভেজা তাে আমার চিরকালের নিয়ম। সব সময় করছি। যে মানুষটি এমন সব কাণ্ডকারখানা করে সে কেন প্রিয় হবে না? আমার বড় মেয়ের কোয়েশ্চেনীয়ার দেখে হঠাৎ করে আমার মনে হল আমি কি এদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছি? যদি দূরে সরে গিয়ে থাকি তাহলে তা কখন ঘটলো ?

সারাদিন নানান কাজে ব্যস্ত থাকি। ইউনিভার্সিটির কাজ, নাটকের কাজ, লেখার কাজ। এর ফাকে ফাকে লোক আসছে। প্রকাশকরা আসছেন লেখার তাগাদা নিয়ে। এসেই চলে যাচ্ছেন না, বসছেন, গল্প করছেন। চা খাচ্ছেন। নাটকে অভিনয় করতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীরা আসছে। যে ভাবেই হােক তাদের টিভি নাটকে সুযোগ দিতে হবে। আমার গল্প-উপন্যাস পড়ে খুশি হয়েছে এমন লােকজন আসছে। খুশি হয়নি এমন লােকজন আসছে। আসছে পত্রিকা অফিসের মানুষ। কেউ বুঝতে পারছে না, আমি ক্লান্ত ও বিরক্ত। আমার বিশ্রাম দরকার, নিরিবিলি দরকার। আমার অনেক দূরে কোথাও চলে যাওয়া দরকার। আমার সবটুকু সময় বাইরের লোকজন নিয়ে নিচ্ছে । আমার ছেলেমেয়েদের জন্যে, আমার স্ত্রীর জন্যে একটুও সময় আলাদা নেই।

তবু ক্ষীণ আশা নিয়ে একদিন মেঝে মেয়েকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গেলাম। গলা নিচু করে কথা বলছি যেন অন্য কেউ কিছু শুনতে না পায়।

“কেমন আছ গো মা?”

“খুব ভাল, না মোটামুটি ভাল?”

“খুব ভাল।”

“এখন বল দেখি তােমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে ?”

“কোন প্রিয় মানুষ নেই বাবা।”

“না থাকলেও তাে এমন মানুষ আছে যাদের তােমার ভাল লাগে। আছে না?”

“মা তোমার সবচেয়ে প্রিয়?”

“হু–মা।”

“আর কেউ আছে?”

“আর ছােট চাচী।”

“আর কেউ?”

“শাহীন চাচা।”

আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম লিস্ট লম্বা হচ্ছে – কিন্তু সেই দীর্ঘ লিস্টে আমার নাম নেই। আমাকে সে হিসেবের মধ্যেই আনছে না। এ রকম কেন হবে। দু’দিন আমি খুব চিন্তা করলাম। ভেবেছিলাম ব্যাপারটা নিজের মধ্যেই রাখবো। আমার স্ত্রী গুলতেকিনকে জানাব না। এক রাতে তাকেও বললাম। সে বললো, “কি অদ্ভুত কথা বলছো? বাচ্চারা তােমাকে অপছন্দ করবে কেন? তুমি ওদের খুবই প্রিয়।”

“তুমি আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে বলছো?”

“মােটেই না। আমার ধারণা তােমার মত ভালো বাবা কমই আছে।”

“সত্যি বলছো?”

“হ্যা সত্যি। শীলার দুধ খাওয়ার ব্যাপারটা মনে করো। ক’জন বাবা এরকম করবে? শীলার দুধ খাওয়ার কথা মনে আছে?”

“আছে।”

আমার মেয়ের দুধ খাওয়ার গল্পটা বলি তার কাছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দের খাবার হল দুধ। দুধের বদলে তাকে বিষ খেতে দেয়া হলেও সে হাসিমুখে খেয়ে ফেলবে। সেই ভয়াবহ পানীয় তাকে রােজ বিকেলে এক গ্লাস করে খেতে হয়। আমি আমার কন্যার কষ্ট দেখে, এক বিকেলে তার দুধ চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেললাম! তাকে বললাম, মাকে বলিস না আমি খেয়েছি। এরপর থেকে রােজ তার দুধ খেতে হয়। এক সময় নিজের কাছেও অসহ্য বােধ হল। তখন দু’জন মিলে যুক্তি করে বেসিনে ফেলে দিতে লাগলাম। বেশিদিন চালানাে গেল না। ধরা পড়ে গেলাম

বাবা হিসেবে আমি যা করেছি তা আদর্শ বাবার কাজ না। তবে শিশুদের পছন্দের বাবার কাজ তাে বটেই। গুলতেকিন আমার কন্যার দুধের গল্প মনে করায় আমার উদ্বেগ দূর হল। আমি মােটামুটি নিশ্চিত হয়েই ঘুমুতে গেলাম। যাক, আমি খারাপ বাবা নই একজন ভাল বাবা। তবু সন্দেহ যায় না।

পরদিন ছােটমেয়ে বিপাশাকে আইসক্রীম খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। সে বিস্মিত, তাকে একা নিয়ে যাচ্ছি। অন্য কাউকে নিচ্ছি না। ব্যাপারটা কি ?

তাকে ডলসি ভিটায় কোন আইসক্রীম কিনে ফিস ফিস করে বললাম, “আচ্ছা মা বল তাে, কাকে তােমার বেশি পছন্দ ? তােমার মা’কে, না আমাকে?”

সে মুখভর্তি আইসক্রীম নিয়ে বললো, “তােমাকে”।

তার বলার ভঙ্গি থেকে আমার সন্দেহ হল। আমি বললাম, “তােমার মা শিখিয়ে দিয়েছে এরকম বলার জন্যে, তাই না?”

“হুঁ।”

“সে আর কি বলেছে ?”

“বলেছে–বাবা যদি তােমাদের জিজ্ঞেস করে কে সবচেয়ে প্রিয় তাহলে আমার নাম বলবে না, তােমার বাবার নাম বলবে। না বললে সে মনে কষ্ট পাবে। লেখকদের মনে কষ্ট দিতে নেই।”

সত্যকে এড়ানাে যায় না, পাশ কাটানাে যায় না। সত্যকে স্বীকার করে নিতে হয়। আমি স্বীকার করে নিলাম। নিজেকে বুঝালাম – আমার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা যে কোন ব্যস্ত বাবার ক্ষেত্রেই ঘটবে। একদিন এই ব্যস্ত বাবা অবাক হয়ে দেখবেন এই সংসারে তার কোন স্থান নেই। তিনি সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। সংসারও তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এই এক আশ্চর্য খেলা।

 —হুমায়ূন আহমেদ (এই আমি)

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সংসারের টুকিটাকি টিপস,,,,,,,

 সংসারের টুকিটাকি টিপস


১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে নিন। এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।


২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।


৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।


৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।


৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।


৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।


৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।


৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।


৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।


১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।


১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।


১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।


১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।


১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।


১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।


১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।


১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।


২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।


২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।


২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।


২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।


২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।


২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।


২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।


২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।


৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।


৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়। তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।


৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।



কচুরিপানা দমনে আইন হয়েছিল,,,,

 কচুরিপানা দমনে আইন হয়েছিল

গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি জলজ বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ কচুরিপানা ও তার ফুল! এ যেন প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে ওঠা এক অবহেলিত শোভা। বাংলাদেশে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর বা জলাশয়ে এটি জন্মাতে দেখা যায়। এর ইংরেজি নাম Water hyacinth. বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia crassipes. এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। এক ব্রাজিলিয়ান পর্যটকের মাধ্যমে ১৮ শতাব্দীতে বাংলাদেশে এর আগমন ঘটে।

কয়েক পরই বর্ষাকাল শুরু হবে। খাল, বিল, ঝিল, হাওর-বাঁওড়সহ বিভিন্ন জলাশয় পানিতে ভরে উঠবে।  এর মাঝেই গাঢ় সবুজ আবহ নিয়ে ভাসবে কচুরিপানা। তবে বর্ষা নয়, সবসময়ই পানি যেখানে সেখানে কঢ়ুরিপানার দেখা মিলে।

কচুরিপানায় প্রচুর পরিমাণে ফুল ফুটলেও ফল হতে তেমন একটা দেখা যায় না। এটি অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে দ্রুত বংশবিস্তার করে। এর অভিযোজন ক্ষমতা খুব বেশি। প্রতিকূল পরিবেশেও এটি বহু বছর টিকে থাকতে পারে। কচুরিপানার পাতা ডিম্বাকৃতির, চকচকে ও চর্মবৎ। এর বোঁটা স্ফীত ও স্পঞ্জি। ১৫-২০ সে.মি. লম্বা মঞ্জরিতে ৮-১৫টি দৃষ্টিনন্দন ফুল থাকে। প্রতিটি ফুল ৬টি পাপড়ি বিশিষ্ট। সাদা পাপড়িগুলো বেগুনী-নীল ছোপযুক্ত ও মাঝখানে হলুদ রঙের ফোটা থাকে।

২০২০ সালের  ১৮ ফেব্রুয়ারি  রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে  রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ফল কাঁঠালের পাশাপাশি কচুরিপানা নিয়েও গবেষণা করতে কৃষি গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।  এ সময় মন্ত্রী হাস্যরস করে বলেন-‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা, কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনোমতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন-এখন কাঁঠালের আকার অনেক বড়ো হওয়ায় প্রায় ৪০% নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপনারা কাঁঠালের আকারটা আরেকটু ছোটো কীভাবে করা যায়, তা গবেষণা করতে পারেন। কাঁঠালের আকার সিভিলাইজড (সভ্য) করেন। জাতীয় ফল কাঁঠালের আকার ছোটো করা গেলে তা বহন সহজ হওয়ার কথাও বলেন মান্নান।

তৎকালীন মন্ত্রী মান্নান গবেষণার কথা বললেও ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গীয় জলাভূমি আইন, মিউনিসিপ্যালিটি আইন, স্থানীয় সরকার আইন ও স্থানীয় গ্রাম সরকার আইন সংশোধন করে কচুরিপানার ধারা যুক্ত করেন। কিন্তু তা তেমন কার্যকর না হওয়ায় কচুরিপানা নিরোধে আলাদা আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৩৬ সালে Bengal Water Hyacinth Act, 1936'  বা বঙ্গীয় কচুরিপানা আইন নামে সরকার একটি আইন জারি করে। এ আইনে বাড়ির আশেপাশে ও নিজ দখলীকৃত জমিতে কচুরিপানা রাখা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেওয়াকে উৎসাহিত করা হয়। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে কচুরিপানা দমনে আদিষ্ট হন।

তবে বঙ্গীয় কচুরিপানা আইনটি সে সময় সমগ্র পশ্চিম বাংলায় কার্যকর ছিল। বাংলাদেশে এ আইনটি প্রযোজ্য হয়নি।

১৯৩৭ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে কচুরিপানা দমনের অঙ্গীকার করা হয়। নির্বাচনে বিজয় লাভ করে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে কচুরিপানা দমনে অভিযানে নেমেছিলেন।

এটি জঞ্জাল হলেও এর কিছু ভালো দিকও আছে। কচুরিপানা একটি ভালো জৈব সার। বন্যায় স্থলভাগ ডুবে গেলে কচুরিপানা গো-খাদ্যের জোগান দেয়। এছাড়া এটি থেকে দেশের ফরিদপুরে এক ধরনের কাগজ তৈরি করা হয়, যা জাপানে রপ্তানি করা হয়। হাওয়াই ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এঞ্জেলা হোয়াইট তার গবেষণায় কচুরিপানার ডগাকে পুষ্টিকর সবজি উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

শুকনা কচুরিপানা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্ষারধর্মী হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে কচুরিপানার ছাই সোডার পরিবর্তে কাপড় কাচায় ব্যবহৃত হতো। তাছাড়া কচুরিপানার ফুল বড়া বানিয়ে খাওয়া যায়। আমাদের দেশে গরমে রেল লাইন বাঁকা হয়ে গেলে কচুরিপানা দিয়ে তা রোধ করার চেষ্টার ছবি ও মিডিয়ায় এসেছে।

অভিনেতা অভিনেত্রী একাধিক বিবাহ তালিকা,,,,

 1.  ৪ বিয়ে করেছেন পরীমণি 

2.   ২ বিয়ে করেছেন শাকিব খান

3.   ৩ বিয়ে করেছেন কবরী 

4.   ২ বিয়ে করেছেন আলমগীর 

5.   ২ বিয়ে করেছেন জসীম

6.   ২ বিয়ে করেছেন সুচরিতা 

7.   ২ বিয়ে করেছেন সুচন্দা

8.   ৩ বিয়ে করেছেন রুনা লায়লা 

9.   ২ বিয়ে করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন 

10. ২ বিয়ে করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন 

11. ৩ বিয়ে করেছেন দিতি 

12. ৩ বিয়ে করেছেন অপূর্ব 

13. ২ বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা 

14. ৩ বিয়ে করেছেন শাকিল খান 

15. ২ বিয়ে করেছেন রোজী আফসারী

16. ২ বিয়ে করেছেন শখ 

17. ২ বিয়ে করেছেন নিলয় 

18. ৩ বিয়ে করেছেন আরিফিন রুমি 

19. ২ বিয়ে করেছেন সালমা 

20. ৩ বিয়ে করেছেন মমতাজ

21. ২ বিয়ে করেছেন সামিনা চৌধুরী 

22. ২ বিয়ে করেছেন বাপ্পা মজুমদার 

23. ২ বিয়ে করেছেন রাজিব

24. ২ বিয়ে করেছেন প্রভা 

25. ২ বিয়ে করেছেন বিজরী বরকতউল্লাহ

26. ২ বিয়ে করেছেন অপি করিম

27. ৩ বিয়ে করেছেন অনন্ত জলিল 

28. ৩ বিয়ে করেছেন ন্যান্সি

29. ২ বিয়ে করেছেন ডলি সায়ন্তনী

30. ২ বিয়ে করেছেন মাহিয়া মাহি 

31. ২ বিয়ে করেছেন মিলা 

32. ২ বিয়ে করেছেন সুবর্ণা মোস্তাফা 


তবে কখনো কেউ এদের বিয়ের কাবিন নামা আজ ও পর্যন্ত কেউ দেখতে চাইলো না। এমনকি কোন মিডিয়া পর্যন্ত কোন নিউজ করলো না,,,এদের কারো বিয়ে কি আসলেই বৈধ..?


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কক্সবাজার জেলার এ দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে কতটি আপনি দেখেছেন? 

 কক্সবাজার জেলার এ দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে কতটি আপনি দেখেছেন? 


০১. দরিয়া নগর বিচ 

০২. কলাতলী সী বিচ 

০৩. লাবণী পয়েন্ট সী বিচ 

০৪. সুগন্ধা বিচ 

০৪. ইনানী সী বিচ 

০৫. হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় 

০৬. সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ 

০৭. সমুদ্র বিলাস, সেন্ট মার্টিন 

০৮. সেন্ট মার্টিন উত্তর বিচ

০৯. ছেড়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন 

১০. সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী 

১১. শাহ পরীর দ্বীপ, টেকনাফ

১২. রামু রাবার বাগান, 

১৩. রামু বৌদ্ধ মন্দির

১৪. রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, কক্সবাজার 

১৫. নিভৃতে নিসর্গ পার্ক, চকোরিয়া

১৬. ইনানী র‍য়েল রিসোর্ট 

১৭. মাথিনের কূপ, টেকনাফ 

১৮. র‍য়েল টিউলিপ সী পার্ল রিসোর্ট, ইনানী

১৯. মেরিন ড্রাইভ রোড, কক্সবাজার 

২০. মারমেইড বিচ রিসোর্ট, কক্সবাজার 

২১. শামলাপুর সমুদ্র সৈকত, টেকনাফ

২২. ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, চকোরিয়া

২৩. কুতুবদিয়া দ্বীপ, (বাতি ঘর)

২৪. দরিয়া নগর, কক্সবাজার 

২৫. মাহাসিংদোগ্ৰী বৌদ্ধ মন্দির, কক্সবাজার 

২৬. মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, কক্সবাজার 

২৭. পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার, কক্সবাজার 

২৮. বড়ঘোপ সমূদ্র সৈকত, কক্সবাজার 

২৯. রাখাইন পাড়া, কক্সবাজার 

৩০. মহেশখালী দ্বীপ / জেটি 

৩১. বার্মিজ মার্কেট, কক্সবাজার 

৩২. মাতামুহুরী নদী

৩৩. নাফ নদী সাইট

৩৪. এক গম্বুজ মসজিদ, কক্সবাজার 

৩৫. কানা রাজার সুড়ঙ্গ, উখিয়া 

৩৬. আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী 

৩৭. বরইতলী মৎস্য খামার, কক্সবাজার 

৩৮. রাডার স্টেশন, কক্সবাজার 

৩৯. বীর কামলা দীঘি, টেকনাফ 

৪০. লামারপাড়া বৌদ্ধবিহার, কক্সবাজার 

৪১. লবণ রপ্তানি বাজার, কক্সবাজার 

৪২. কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন, কক্সবাজার

৪৩. শুটকি মহল নাজিরাটেক 

৪৪. চৌফলদন্ডী লবণের প্রকল্প

৪৫. জাহাজপুরা গর্জন বাগান, টেকনাফ

৪৬. মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প

৪৭. মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর

৪৮. ইনানী পাথররাণী সি বিচ, ইনানী

৪৯. মাতারবাড়ি সমুদ্র সৈকত

৫০, মিনি বান্দরবান, গোয়ালিয়া পালং

৫১. বরই তলী ঝর্ণা উখিয়া

৫২. খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প

৫৩. পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত। 


(তথ্য ও কিছু ছবি কালেক্টেড )

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ০২-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ০২-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে আজ গণভবনে প্রেস ব্রিফিং করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ঐতিহাসিক মে দিবস উপলক্ষে এক ভাষণে কল-কারখানা মালিকদের প্রতি আহবান জানালেন শেখ হাসিনা। 


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। 


বর্তমান সরকারকে শ্রমিকবান্ধব উল্লেখ করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে শ্রমিকদের প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আহবান। 


গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিক্ষোভ অব্যাহত।


সিলেটে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল মুখোমুখি হবে ভারতের।

আগাম লাউ চাষ পদ্ধতি: লাউয়ের জাত নির্বাচন ও সঠিক পরিচর্যা

 আগাম লাউ চাষ পদ্ধতি: লাউয়ের জাত নির্বাচন ও সঠিক পরিচর্যা


সবজি জগতের অন্যতম একটি সবজির নাম হচ্ছে লাউ। অনেক আগে থেকেই এটি চাষাবাদ হয়ে আসছে। বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা বহুগুন বেড়েছে। সুধু এর কচি ফলই নয়, কচি ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এর অনেক পুষ্টিগুনও আছে। এতে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকায় দাত ও হাড়ের গঠন মজবুত রাখে। ক্যালোরির পরিমান কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।


এছাড়াও পেটের বহু পীড়া উপসম করে। বর্তমানে আধুনিক উপায়ে আগাম লাউ চাষ পদ্ধতি এর মাধ্যেমে  ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও কৃষক লাভবান হচ্ছে।


লাউ চাষাবাদ করার জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ


লাউ চাষাবাদ শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো নিচে দেয়া হলো।


১.লাও চাষ সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারনা বা জ্ঞান আছে? 

২.আপনার এলাকায় কি লাও চাষে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তি আছে, যে ৩.আপনাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারে?

৪.আপনার এলাকায় লাও এর চাহিদা কেমন? গোল লাও ভালো চলে নাকি লম্বা লাও? নাকি দুটোই?

৫.আপনার এলাকার আবহাওয়া কি লাও চাষের উপযুক্ত?

৬.আপনার জন্য লাও চাষে সুযোগ-সুবিধা কতটুকু?

৭.লাও চাষ কি ঝামেলা মনে হয়, নাকি পছন্দ করেন? এর প্রতি কি আপনার আবেগ আছে?

৮. লাও চাষ করে কি লাভবান হতে পারবেন?

৯. বাজার ব্যবস্থা কেমন? প্রশ্নগুলোর উত্তর পজিটিভ হলে এগিয়ে যেতে পারেন।


মাটির ধরণঃ

এটেল-দোআঁশ, দোআশ, বেলে-দোআশ ইত্যাদি সব ধরনের মাটিতেই লাও চাষ করা যায়। তবে এটেল মাটি যেহেতু পানি ধরে রাখায় ওস্তাদ, তাই খরা মৌসুমে এটেল মাটি লাও চাষের জন্য পার্ফেক্ট। কারন “Bottle gourd is very hungry and thirsty plant” অর্থাৎ এটি খুব তৃষ্ণার্ত ও খুদার্ত উদ্ভিদ। তবে জমি উচুতে হতে হবে, যাতে গোড়ায় পানি না জমে।


লাউ চাষের সময়ঃ

লাউ শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। আগাম শীতকালীন বা শীতকালে চাষাবাদের জন্য ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাসে বীজ বপন করতে হয়। আর গ্রীষ্মকালে চাষাবাদের জন্য মাঘ-ফাল্গুনে বীজ বপন করতে হবে। এছাড়াও বছরের যে কোন সময় চাষাবাদ করা সম্ভব। তবে অতিরিক্ত বর্ষায় ফলন কমে যায়।


লাউয়ের জাত নির্বাচনঃ

আপনি যদি সবচেয়ে ভাল জাতের লাউ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমার অনুরোধ হবে নিচের থেকে যেকোন একটি বেছে নিন। গ্রীষ্মকালীন চাষাবাদের জন্য লাল তীর কোম্পানির ডায়না, বারি লাও -৪ সহ আরো বহু কোম্পানীর হাইব্রিড জাত পাওয়া যায়। মেটাল সিড কোম্পানির “হাই গ্রিন, নাইস গ্রিন”,  এসি আই এর হাইব্রিড লাউ-ময়না, রওনক, মার্শাল সুপার”, সুপ্রিম সিড এর “গ্রিন ম্যাজিক” ইস্পাহানীর “সুলতান, নবাব, সম্রাট, বাদশাহ”, এ আর মালিক সীডের হাইব্রীড লাউ- মধুমতি-Modhumot “, বিক্রমপুর সিড এর "সুন্দরী" "মহুয়া", নাওমি সিড এর " হাসি", "বিন্দু"।  এছাড়াও ইন্ডিয়ান লাও সহ অন্যান্য বহু কোম্পানির হাইব্রিড লাও গ্রীষ্মকালে চাষাবাদ করা যায়। শীতকালের জন্য দেশি লাও সহ যে কোন লাও চাষ করা যায়। তবে বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করতে হলে অবশ্যই উপরোক্ত হাইব্রিড জাতের লাও চাষ করতে হবে। এ সময় হাইব্রিড জাতের হাজারী লাও ভালো ফলন দেয় এমন শোনা যায়।


লাউয়ের চারা তৈরীঃ

বীজ সরাসরি জমিতে বপন করা যায়, আবার চারা তৈরী করেও রোপন করা যায়। চারা তৈরী করে রোপনে নিরাপত্তা, সময় কম ও ফলন বেশি হয়। প্রথমে বীজ ২-১ ঘন্টা রোদ্রে রেখে তা ছায়ায় ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর পর ২০-২৫ ঘন্টা পানিতে রেখে দিতে হবে। শেষ ১০ মিনিট ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে কার্বেন্ডাজিম দিয়ে শোধন করে নিতে পারেন। এর পর সবচেয়ে ভালো হয় বীজগুলো গরম কাপড়/ ছালার চট ভিজিয়ে তাতে পেচিয়ে ২ দিন অপেক্ষা করা।


দুই দিনে বীজ ফেটে শেকড় বের হলে তা সাবধানে পলিব্যাগে বপন করতে হবে। মাটিতে রস না থাকলে সামান্য একটু পানি দিতে হবে। পলিব্যগে ২ ভাগ এটেল মাটির সাথে ১ ভাগ পচা ঝুরঝুরে গোবর মিক্স করে নিতে হবে। অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার জন্য পলি ব্যগের নিচে ফুটো করে নিতে হবে। পলিব্যাগে রোপনের ৩ দিন পর গাছ বের হবে। গাছ বের হওয়ার ১৫-১৭ দিন পর চারা গাছের ৩-৪ টা পাতা আসলে তা রোপনের উপযুক্ত হবে। রোপনের আগ পর্যন্ত গাছগুলো আদা-ছায়ায় রাখতে হবে।


জমি প্রস্তুতকরনঃ

লাউ গাছের শেকড় প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তাই যাতে সহজে শেকড় অনেক দুর যেতে পারে তার জন্য গভীরভাবে ৩-৪ টা চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। গোবর বা জৈব সার বেশি পরিমানে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। এগুলো চাষের আগে বা মাদাতেও দেয়া যায়। চাষের পর ২.৫ অথবা ৩ মিটার প্রশস্ত বেড তৈরী করতে হবে। ২.৫ মিটার পর পর মাদা করতে হবে। 


মাদা তৈরী ও সার প্রয়োগঃ

২ ফিট ব্যাস আর ১.৫ ফিট গভির করে গর্ত করে মাদা তৈরী করতে হবে। প্রতি মাদায় ২০০ গ্রাম টিএসপি + ১০০ গ্রাম জিপসাম + ৫০ গ্রাম এমওপি + (জিংক, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোফুরান ১৫-২০ গ্রাম হারে দেয়া যায়)। আর বেশি বেশি গোবর বা জৈব সার দিলে অতি উত্তম। 


চারা রোপন ঃ


মাদা প্রতি ২-৩ টি চারা রোপন অথবা ৩-৪ টি বীজ বপন করতে হবে। পরবর্তীতে মাদায় ২-১ টি গাছ রাখলেই চলবে। জমি শুকনো থাকলে চারা রোপন করে পানি দিতে হবে। প্রখর রৌদ্র থাকলে রোপনকৃত চারা কিছু দিয়ে রোদ থেকে আড়াল করে রাখতে হবে।


চারা পরিচর্যাঃ


বিটল পোকা এসে পাতা খেয়ে নিলে ছাই, কেরোসিন+পানি, অথবা সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরপাইরিফস হালকা করে স্প্রে করতে হবে অথবা মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ১৫ দিন পর ২ কেজী ইউরিয়া ও দেড় কেজী এমওপি সার (এই হারে) মিক্স করে প্রতি মাদায় ২-৩ মুঠ করে গোড়া থেকে ৬ ইঞ্চি দুরে গোল করে দিয়ে নিড়ানি দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। গাছ লতা নিতে শুরু করলে বাশের কঞ্চি বা শক্ত কাঠি দিতে হবে।


লাউ গাছের মাচা তৈরীঃ


লাউ এর গাছ অনেক ভারি হয়, তাই মাচা মজবুত করে দিতে হবে যতে ভারিতে ভেঙে না যায়। চারিদিকে টানা দিয়ে রাখতে হবে।


লাউ গাছের পরিচর্যাঃ

সুধু ভালো জাত আর জমিন নির্বাচনে ফলন নিশ্চিত হয় না। অধিক ফলন পাওয়ার জন্য অধিক পরিচর্যা করতে হয়। লাউ গাছ মাচায় ওঠার সময় গোড়া থেকে অনেক শোষক শাখা বের হয়। গাছের গোড়া থেকে ২.৫ ফিট পর্যন্ত বা মাচায় ওঠার আগে যে শাখাগুলো বের হয়, তা কেটে ফেলতে হবে। গাছ মাচায় উঠে কিছুদুর অগ

বাবা মা‌র বিচ্ছেদ যে‌ দিন-------

 #Divorce/#সেপারেশন 


বাবা মা‌র বিচ্ছেদ যে‌ দিন---------

সে দিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না, কোর্টে বাবা মায়ের সেপারেশনের সময় জজ সা‌হেব মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, "আপনি কাকে চান ? ছেলে কে না মেয়েকে?


মা তখন তার ছেলেকে চেয়ে ছিল, আমাকে চায়নি। মে‌য়ে ব‌লে বাবাও তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কারণ তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অযথা আমাকে নিয়ে নতুন সংসারে বোঝা বাড়াতে চাননি।


কাঠের বেঞ্চিতে বসে যখন অঝোরে কাঁদছিলাম তখন বুকে আগলে ধরে ছিলেন এক লেডি কনস্টেবল। আশ্রয় দিয়ে ছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তার মাতাল স্বামীর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল আমার উপর। শিশু বয়সে অত কিছু না বুঝলে ও কেমন যেন খারাপ লাগতো। রাতে যখন আন্টি বাড়িতে  ফিরতেন, আমি তাকে সব বলে দিতাম। মহিলা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আমাকে একটা অনাথ খানায় রেখে আসলেন। যাবার সময় আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে যেমন করে কাঁদলেন, আমার মাও আমাকে রেখে যাওয়ার সময় ও ভাবে কাঁদেনি।


দিন যায়-মাস যায়, অনাথ  খানাতেই জীবন কাটতে থাকে আমার। খুব অসহায় লাগতো নিজেকে। বাবা মা বেঁচে থাকতেও যে শিশুকে অনাথ খানায় থাকতে হয় তার থেকে অসহায় বুঝি আর কেউ নেই!!


বছর দু'য়েক পরের কথা। এক নিঃসন্তান ডাক্তার দম্পতি আমাকে দত্তক নেন। জীবনটাই পাল্টে গেল আমার। হেসে খেলে রাজকীয় ভাবে বড় হতে লাগলাম আমি। আমার নতুন বাবা মা আমাকে তাঁদের মতই ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিণ্তু  আমার একগুঁয়ে ইচ্ছে ছিল একটাই, আমি ল'ইয়ার হবো। ভগবানের অশেষ কৃপায়  আজ আমি একজন ডিভোর্স ল' ইয়ার। যারাই আমার কাছে তালাকের জন্য আসে, আগেই আমি বাচ্চার কাস্টোডির জন্য তাদের রাজি করাই। কারণ বাবা মা ছাড়া একটা শিশু যে কতটা অসহায়, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না!!


চেম্বারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। হঠাৎ একটা নিউজে চোখ আটকে গেল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার ছেলে আর বউ মিলে বস্তায় ভরে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিচে বৃদ্ধা মহিলার ছবি দেওয়া । মুখটা খুব চেনা চেনা লাগছিল। কাছে এনে ভালো করে ছবিটা দেখলাম। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। এ তো সেই মহিলা যে আমাকে অনেক বছর আগে আদালতে ছেড়ে গিয়েছিল, আমার মা। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে ছুটে গেলাম হাসপাতালে।


সেই মুখটা কিন্তু চেনার উপায় নেই। চামড়াটা কুঁচকে আছে, শরীরটা রোগে শোকে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগছে, ভেতরটা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আচ্ছা, সেদিন কি তার একটু ও কষ্ট লাগেনি, যেদিন তার ১০ বছরের শিশু কন্যাটি মা-মা করে পিছু পিছু কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াচ্ছিল?? হয়তো লাগেনি। নয়তো এভাবে ফেলে যেতে পারতো না।

একবার ভেবেছিলাম চলে যাবো। হঠাৎ দেখি তিনি ঘুম ভেঙে চোখ পিটপিট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝলাম চিনতে পারেন নি, চেনার কথাও নয়!! আমি আমার পরিচয় দিলাম। কয়েক সেকেন্ড নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। নিজের কৃতকর্মের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি মাকে।

মাকে পাওয়ার পর বাবার জন্য ও মনটা উতলা হয়ে উঠে। মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাবার অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, কয়েক বছর আগেই রিটায়ার্ড করেছেন তিনি। বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখি উনি নেই। উনার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, রিটায়ার্ড করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়েন। অযথা একটা রুম দখল করে নোংরা করত, তাই বিরক্ত হয়ে ছেলেমেয়েরা তাকে একটা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, অযথা ঘরে বোঝা বাড়িয়ে কি লাভ!!!

ওদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম গেলাম। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হলো একটা জীবিত লাশ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে বসে হাতটা ধরলাম, পরিচয় দিতেই মুখ ফিরিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

বাবা মা এখন আমার সাথে একই বাড়িতে আছেন। একসময় তারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমি পারিনি ছাড়তে। হাজার হোক আমার বাবা মা তো।


সংগৃহীত.....❤️

কিভাবে মাটি ছাড়া আলু চাষ করা যায়

 কিভাবে মাটি ছাড়া আলু চাষ করা যায়

১. অ্যারোপনিক্স বোঝা যাচ্ছে:

এরোপনিক্স বাতাসে গাছপালা স্থগিত করে এবং তাদের শিকড় পুষ্টির সমাধান দিয়ে মিশ্রিত করে।

মাটি-ভিত্তিক পদ্ধতির তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি, উচ্চ ফলন, এবং পরিষ্কার পরিবেশ অফার করে।

২। প্রয়োজনীয় উপকরণ:

এরোপনিক সিস্টেম, আলুর কপ বা কাটা, পুষ্টি সমাধান, পিএইচ টেস্টিং কিট, পিএইচ সমাধান, নেট পট।

৩। চাষের জন্য পদক্ষেপ:

এরোপনিক সিস্টেম সেটআপ।

জালের পাত্রে প্ল্যান্ট কবার বা কাটা।

পুষ্টি সমাধান তৈরি করুন এবং পিএইচ মানিয়ে নিন।

মিস্টিং এবং বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করুন।

ফসল কাটার সময় যখন গাছ ফুল যায় এবং আবার মরে যেতে শুরু করে।

৪. এরোপনিক চাষের উপকারিতা:

রোগের ঝুঁকি হ্রাস।

উচ্চ ফলন।

মহাকাশ দক্ষতা।

জল দক্ষতা।

এরোপনিক আলুর চাষ টেকসই এবং দক্ষতার সাথে বৃদ্ধিকে অনুকূল করে, কৃষিতে আরো খাদ্য-নিরাপত্তা ভবিষ্যতের পথ সুগম করে।

বুধবার, ১ মে, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ০১-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ০১-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে - গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি।


আজ মহান মে দিবস - বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।


 মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


 গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য আবারও আহ্বান জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব।


সিলেটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ১৯ রানে হারালো ভারত।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...