এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই !!

 তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই !!

তুমি টের পেয়ে ছিলে, তুমি ভালো করেই বুঝে গিয়ে ছিলে, তোমাকে ছাড়া অন্য কারো কথা আমি ভাবতেই পারি না, তুমি খুব ভালো ভাবেই বুঝে গিয়ে ছিলে তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা দায়।

তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার শক্তি আমার নেই...


তাই তুমি দিনের পর দিন অ'ব'হে'লা করতে শুরু করলে, আমি যত আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করলাম তুমি তত অ'ব'হে'লা বাড়িয়ে দিলে, মা'ন'সি'ক ভাবে ক'ষ্ট দিতে শুরু করলে, তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে-- সম্পর্কটা বাঁ'চাতে দিনের পর দিন অ'ব'হে'লা, তু'চ্ছ'তা'চ্ছি'ল্য, মা'ন'সি'ক য'ন্ত্র'ণা সব নীরবে স'হ্য করে নিয়েছি।


কিন্তু না! এতো কিছুতেও তোমার আশ মিটলো না... তোমার মন ভরল না, তুমি দিনের পর দিন রং বদলাতেই থাকলে, খো'লসের পর খো'লস ছা'ড়তেই থাকলে, বার বার আমাকে ভে'ঙ্গে'চু'রে এ'কাকার করার পর আমার অ'শ্রুসিক্ত আখি দেখে তুমি পি'চা'শে'র হাসিতে মেতে উঠতে শুরু করলে।


আমি একটু একটু করে নিজেকে বোঝাতে শুরু করলাম... তুমি হয়ত আমার ভাগ্যেই নেই, তবুও মাটি কা'মড়ে পরে ছিলাম, শুধুমাত্র "তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই বলে"; কিন্তু তুমি তো থামবে না... তুমি তো থামতেই জানো না, আমার প্রতি তো তোমার ভালোবাসা-ই ছিলো না, যেটা ছিলো সেটা ভালো লাগা, সেটা মো'হ, তাই ভালো লাগা আর মো'হ কে'টে যাওয়া মাত্রই তুমি মানুষ থেকে অ'মানুষ হয়ে গিয়ে ছিলে।


একদিন হঠৎ করেই তুমি নতুন কাউকে নিয়ে এলে, আমার চোখের সামনেই অন্য কাউকে ভালোবাসতে শুরু করলে, স'হ্য করতে পারছিলাম না, একদম স'হ্য করতে পারলাম না আর; সে মুহূর্তেই তোমাকে ছে'ড়ে দিয়ে ফিরে আসলাম, কারণ! সব কিছুর ভা'গ দেওয়া যায় কিন্তু স্বামীর ভা'গ কখনোই না, সব অ'ত্যা'চা'র স'হ্য করা যায় কিন্তু মা'ন'সি'ক অ'ত্যা'চা'র না, সব অ'প'মা'ন স'হ্য করা যায় কিন্তু নিজের অস্তিত্বের অ'প'মা'ন স'হ্য করা যায় না।


সব কিছু বি'স'র্জ'ন দিয়ে বাঁ'চা যায় কিন্তু ব্য'ক্তি'ত্ব বি'স'র্জ'ন দিয়ে বাঁ'চা যায় না, তাই তোমাকে নয় নিজেকেই নিজে মুক্তি দিলাম, মি'থ্যে বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম, "তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই" অনুভূতিটাকেই ভু'লে গেলাম।


লেখা : রুমা রাণী ঘোষ

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

সংসারের টুকিটাকি টিপস,,,,,,

 সংসারের টুকিটাকি টিপস


১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে নিন। এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।


২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।


৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।


৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।


৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।


৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।


৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।


৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।


৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।


১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।


১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।


১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।


১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।


১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।


১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।


১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।


১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।


২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।


২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।


২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।


২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।


২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।


২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।


২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।


২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।


৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।


৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়। তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।


৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।


#কপিপোস্ট

মানসিক ভাবে ভালো থাকার উপায়,,,

 **মানসিক ভাবে ভালো থাকার উপায়**

    গরু আমাদের দুধ দেয় না, আমরা কেড়ে নি। গাধাও মোট বয় না, ধোপারা এককালে জোর করে কাজটি করাতো। হিসেব মত সিংহীও দুধ দেয়, সিংহও ওজন বইতে সক্ষম। কিন্তু সিংহকে দিয়ে ওসব করানো মানুষের ক্ষমতার বাইরে।


ওই জন্য একটু বোকা আর ভালো মানুষদের গরু কিংবা গাধার সাথে তুলনা করা হয়। এই দুটো প্রাণীর নামে কোনো মানুষকে ডাকা মানে সেটা অপমান করা। কিন্তু কাউকে সিংহ বললে সে উল্টে গর্ববোধ করবে। সেই সিংহ, যে আজ অবধি মানুষের উপকার করল না, যার সামনে মানুষ গেলে মুহূর্তের মধ্যে পরপারে চলে যাবে, সেই সিংহ হচ্ছে মানুষের চোখে রাজা। উপকারী গাধা হচ্ছে হাসির বস্তু।


অতিরিক্ত ভালো হওয়ার সমস্যাই এটা। অতিরিক্ত ভালো মানুষরা কারোর কাছে গুরুত্ব পায় না। তুমি নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করতে থাকো, ভালো মনে কারোর ক্রমাগত উপকার করতে থাকো, আঘাতের পর আঘাত সহ্য করেও হাসিমুখে কাউকে ভালোবাসতে থাকো, তুমি তার চোখে 'গাধা' ছাড়া আর কিছুই হবে না। যদি মনে করো সে একদিন এগুলোর মূল্য বুঝবে, তাহলে তুমি সত্যিই গাধা। কারুর কাছে নিজের দাম পেতে গেলে একবার অন্তত সিংহের মত হতেই হয় ।


মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়। দান করবেন বলে কথা দিয়েও হয়তো কয়েকজনকে দেন নাই অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না। 


নিরেট সত্যটি হচ্ছে-অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে দীর্ঘ জীবন লাভ করা বেশি জরুরি। তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ্য জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়া উচিত।

      আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায় :

           দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

মাদক ব্যাবসা করতো বা করে বা ভালো হয়ে গিয়েছে এমন  বন্ধু বা পরিচিত কাউকে কখন ও বিশ্বাস করবেন না । এরা বেইমানী করবেই কারনে অকারনে ।

একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।


প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

     কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

      সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না। এমনকি বেঁচে থাকতেই আপনার অর্থের প্রাচুর্যে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে ছুড়ে আসতে পারে। তাই বেঁচে থাকতেই ১০০% এর সুরক্ষা এবং পূর্ণ সদ্ব্যবহার করাই শ্রেয়।


করণীয় কী ?

১) অসুস্থ না হলেও মেডিকেল চেকআপ করুন।

২) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

৩) মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

৪) রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

৫) পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন।

৬) সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

৭) যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীকে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও নিয়ে হাত ধরে হাঁটুন, হোটেলে খাওয়াতে না পারলে বাদাম বা ঝালমুড়ি খান। আর তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

৮) ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

৯) আর্থিক সঙ্গতি থাকলে আর সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের দেশ এমনকি ভিন্নদেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন। দান করুন ।

১০) ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন।

১১) মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয় ,রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না। বৃষ্টির জলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১০ মিনিট হলেও শরীরে রোদ লাগাবেন।

১২) মহাব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন আর ৩০ মিনিট হাঁটুন। আর মহান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়মিত  স্মরণ করুন। মিথ্যা ত্যাগ করুন ।

১৩.সর্বদা হাসিখুশি থাকুন। সুযোগ পেলেই কৌতুক পড়বেন। পরিবারের সবার সঙ্গে মজার ঘটনাগুলো শেয়ার করবেন। মাঝে মাঝে প্রাণবন্ত ভাবে  হাসবেন।

১৪) সবার সাথে মিশবেন ছোটো বড় ভাববেন না।

--------------

(লেখাটি "WORLD MENTAL HEALTH DAY"

 উপলক্ষে প্রকাশিত জার্নাল থেকে নেওয়া , কিছুটা পরিমার্জিত)

মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

 ১.  মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।


২।  মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।


৩.  মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।


৪.  ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না?  ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।


৫.  আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।


৬.  মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।


৭.  বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।


৮.  মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি।  দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।


৯.  বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।


১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি।  সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!


*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া। 

সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি * 

সালাম  জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!!!


Collected.     

❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

দুবাইয়ের উপকূলে হতে যাচ্ছে আরেক ‘সুন্দরবন’

 দুবাইয়ের উপকূলে হতে যাচ্ছে আরেক ‘সুন্দরবন’ 

--------------------------------------------- 

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত সুন্দরবনকে। এবার ১০ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হতে পারে আরও একটি বিশাল উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বন। 


মানবসৃষ্ট এই বনের মহাপরিকল্পনা ও নকশার ছবি প্রকাশ করেছে দুবাই–ভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইউআরবি। উপকূলে বন তৈরি করার এই পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘উপকূলীয় পুনরুদ্ধার প্রকল্প’। 


এ বিষয়ে মঙ্গলবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে দুবাই ও এর কাছাকাছি কয়েকটি দ্বীপের ৭২ কিলোমিটার উপকূল রেখা সবুজ হয়ে উঠবে। 


ইউআরবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বর্তমানে নকশা এবং গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো—দুবাইয়ের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে উন্নত করা, উপকূলরেখার চেহারা বদলে দেওয়া এবং ইকো–টুরিজমে ১০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এই প্রকল্প দুবাইয়ের সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীরকেও বাড়িয়ে তুলবে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা নিয়ে বর্তমানে দুবাইয়ের ৬টি পাইলট অঞ্চলজুড়ে গবেষণা চলছে। এগুলো হলো— জেবেল আলি বিচ, দুবাই মেরিনা বিচ, জুমেইরাহ পাবলিক বিচ, উম্ম সুকিম বিচ এবং দুবাই আইল্যান্ডস বিচ। 


ইউআরবির একজন প্রতিনিধি দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হলে ওই ম্যানগ্রোভ বনে অসংখ্য সৈকত পার্ক ছাড়াও থাকবে সামাজিক মিলনমেলার নানা বন্দোবস্ত। এসব স্থানে মানুষ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি সাইক্লিংয়ের জন্য স্বতন্ত্র রাস্তা, রানিং ট্র্যাক এবং সৈকতে জনপ্রিয় বিভিন্ন ক্রীড়া সুবিধাও এই পরিকল্পনার অংশ। 


প্রকল্পটির কেন্দ্রস্থলে থাকবে একটি বোটানিক্যাল মিউজিয়াম। কাচের গম্বুজ যুক্ত এই মিউজিয়ামে উপকূলীয় সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য, উদ্ভিদের বিবর্তন ও অভিযোজন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে ধারণা পাবেন পর্যটকেরা। নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে এখানে আয়োজন করা হবে নানা কর্মশালা, ইভেন্ট ও সেমিনার। 


প্রস্তাবিত এই ম্যানগ্রোভ বন বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতি বছর ১২ কোটি ৩০ লাখ টন কার্বন–ডাই–অক্সাইড অপসারণ করতে সক্ষম হবে। এটি রাস্তা থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার পেট্রলচালিত গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সমতুল্য। 


ইউআরবি বলছে, প্রকল্পটি ২০৪০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

জানা অজানা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🏴    অজানাকে জানা  🏴

যখন পৃথিবীর মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪০-৪৫ বছর, পঞ্চাশের উপরে বেঁচে থাকা ছিল একটা বিরল ঘটনা। 

তখন চেঙ্গিস খান সিংহাসনে বসেছিলেন ৫১ বছর বয়সে।    


সিংহাসনে আরোহনের মাত্র বিশ বছরের মধ্যে  তিনি ভূ-লোকের যত অঞ্চল জয় করেছিলেন, যত সাম্রাজ্যকে পদানত করেছিলেন,  যত রাজা-মহারাজাদের নাকে খদ খাইয়েছিলেন  তার আগে-পরে  আর কেউ তা পারেনি। 


আলেক্সান্ডার,  সিজার কিংবা নেপোলিয়নদের মত দিগ্বিজয়ীরা যৌবনে যত অঞ্চলে পা রাখতে পারেননি চেঙ্গিস তার চেয়ে ঢের ঢের বেশি অঞ্চল জয় করে নিয়েছিলেন বার্ধক্যে। 


একজন দুর্ধর্ষ বিজেতা, দুর্দান্ত সংগঠক, দুর্বিনীত যোদ্ধা অথচ তিনি জানতেন না যে দুনিয়াতে 'লিখনপদ্ধতি' নামে একটি ব্যাপার আছে। তার সময়ে যাবতীয় রাজকীয় তথ্য ,  ফরমান এবং নির্দেশনা প্রথমে প্রবাদাকারে দূতকে মুখস্ত করানো হত। তারপর মৌখিকভাবে তা যথাস্থানে পৌঁছে দেয়া হত।

'লেখা'র বয়স তখন প্রায় ৪৫০০ বছর হয়ে গেছে। চীন অভিযানে বেরিয়ে চেঙ্গিস খান  প্রথম জানতে পারেন দুনিয়াতে 'লিখনপদ্ধতি' নামে একটা ব্যাপার আছে। জানার সাথে সাথে তিনি তার পুত্র এবং আমত্যবর্গকে এ পদ্ধতিটি আয়ত্ত করার জন্য আদেশ দেন। তার যাবতীয় বাণী, আইন, বিধি ইত্যাদি লিখে রাখার জন্যও তাদের নির্দেশনা দিয়ে দেন।। এ বিধানগুলো চিরকাল মানুষ সভয়ে পালন করবে  এই ছিল তার বিশ্বাস।


অনেকে চেঙ্গিস খানের নামের শেষে 'খান' শব্দটি দেখে তাকে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ভেবে থাকেন কিন্তু তিনি মোটেই তা ছিলেন না। তিনি ছিলেন নীল আকাশের পূজারী। আকাশকেই তিনি তার প্রভু মনে করতেন। বিপদে তিনি আকাশের কাছেই মাথা নুয়াতেন। আবার কারো কারো মনে তিনি ছিলেন অগ্নি পুজারী!


বংশধর রেখে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এ লোকটি বিরল মাইলফলক রেখে গেছেন। তার পুরুষ বংশধরের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষের উপরে। সন্তানদেরকে যদি ধন সম্পদের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে নিশ্চয় চেঙ্গিস খানের চেয়ে ধনী বাবা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।


চেঙ্গিস খানের ৫ জন স্ত্রী এবং অর্ধ সহস্রাধিক উপপত্নী ছিল। তবে এদের মধ্যে তিনি তার প্রথম স্ত্রী বোর্তের আশপাশে কাউকে আসতে দেননি। বিয়ের কিছুদিন পরেই বোর্তে অপহৃত হয়েছিল। অবধারিতভাবে তার শ্লীলতাহানিও করা হয়েছিল।  চেঙ্গিসখান সেখান থেকে বোর্তেকে উদ্ধার করেছিলেন এবং স্ত্রীর মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অপহরণের কিছুদিন পরে বোর্তে সন্তানসম্ভাবা হলেও চেঙ্গিস খান সে সন্তানকে নিজের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেন। 


 অসংখ্য সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও শুধু বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চার ছেলেকেই উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন তিনি। 


তার সমাধি গোপন রাখার জন্য মৃত্যুর আগে তিনি সৈন্যদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন।  বলা হয়ে  থাকে তার সমাধিকে নিচিহ্ন করার জন্য সমাহিত অঞ্চলের উপর দিয়ে এক হাজার ঘোড়া ছুটিয়ে নেয়া হয়েছিল।

সংগৃহীত পোস্ট।

শ্রীফলতলি জমিদার বাড়ি।

 ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই জমিদারির ইতিহাস প্রায় দুইশ বছরের। মোঘল বাংলার বিখ্যাত ভূইয়া দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভাওয়াল গাজী। ভাওয়াল গাজীরা চার ভাই ছিলেন – ফজল গাজী, কাশেম গাজী, সেলিম গাজী ও তালেব গাজী। ভাওয়াল গড় এ মূল রাজবাড়ী থাকলেও তালেব গাজী তাঁর বসবাসের জন্য গাজীপুর এর কালিয়াকৈর থানার শ্রীফলতলী নামক স্থানে তাঁর জমিদার বাড়ী নির্মাণ করেন। এটি সেই তালেব গাজীর জমিদার বাড়ি।


সেকালে জমিদারদের মাঝে এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা হত তাদের শান সাওকাত, বাড়ি ঘর, পুকুর, স্কুল কলেজ, চিকিৎসালয় নিয়ে। প্রতিযোগিতা হত কার বাড়ি কত বড় আর কি তাদের কারুকাজ। এসব বিষয়ে জমিদারদের নিরব প্রতিযোগিতারই একটা ফসল এই জমিদারী এলাকা আর জমিদার বাড়ি।


তবে ছোট তরফের বাড়ির গেটে আর বংশ লতিকায় কিংবা এই বাড়ির ইতিহাসে তালেব গাজীর উল্লেখ নেই। এখানে বলা আছে, বিখ্যাত তালিবাবাদ পরগণার নয় আনা অংশের মালিকানা নিয়ে গঠিত হয় শ্রীফলতলী জমিদার এস্টেট। এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার খোদা নেওয়াজ খান। এই এলাকায় জমিদার বাড়িটি ভূতুড়ে জমিদার বাড়ি হিসেবে বেশ পরিচিত।


সবাই বলাবলি করে জমিদার যখন এই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তখন যে সমস্ত অলংকার এবং মূল্যবান জিনিষপত্র সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন নি, তা তিনি নাকি এই বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে, মেঝেতে পুতে প্লাস্টার করে দেন এবং ঘরের আসবাবসহ বিভিন্ন জিনিষ ঘরে রেখেই তালা লাগিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে অনেকেই সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করে সফল হতে পারে নাই। অনেকেই বলে সেসব সোনা জহরত নাকি বড় বড় সাপেরা পাহারা দেয় !! আর রাতে শোনা যায় বিভিন্ন ভৌতিক শব্দ!!


যা হোক সব কল্পকথা আর লোকমুখের প্রচলিত গল্পের বাইরে এই জমিদার বাড়ির অলঙ্করণ আর শৈল্পিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকেই। দ্বিতল এই বাড়ির পেছনে আরও কয়েকটা একচালা পুরনো বাড়ি আছে দেখার মতো। একটাতে এখনও চিনিটিকরি করা পিলার স্পষ্ট। তবে সীমানা প্রাচীরগুলা ধ্বংসপ্রায়। সীমানা প্রাচিরের ওইপাশে ছোট তরফের আরেকটা জমিদার বাড়ি যার কথা আগেই বললাম, আর দুই বাড়ির মাঝখানে পুরনো মুঘল আমলের আদলে একটি মসজিদ।


কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যে কোনও বাসে কালিয়াকৈর বাজারে নামা যায়। গাবতলি সাভার রোড ধরে আসলেও অনেক বাস আছে। কোনটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত এসে অন্য বাসে বা টেম্পুতে কালিয়াকৈর বাজার। তারপর রিকশায় ২০/২৫ টাকা ভাড়া। বললেই হবে শ্রীফলতলি জমিদার বাড়ি।


আত্মকথা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,,,

 আত্মকথা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“আমার শৈশব ও যৌবন ঘোর দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। অর্থের অভাবেই আমার শিক্ষালাভের সৌভাগ্য ঘটেনি। পিতার নিকট হতে অস্থির স্বভাব ও গভীর সাহিত্যানুরাগ ব্যতীত আমি উত্তরাধিকারসূত্রে আর কিছুই পাইনি। পিতৃদত্ত প্রথম গুণটি আমাকে ঘরছাড়া করেছিল—আমি অল্প বয়সেই সারা ভারত ঘুরে এলাম। আর পিতার দ্বিতীয় গুণের ফলে জীবন ভরে আমি কেবল স্বপ্ন দেখেই গেলাম। আমার পিতার পাণ্ডিত্য ছিল অগাধ। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা—এক কথায় সাহিত্যের সকল বিভাগেই তিনি হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনটাই তিনি শেষ করতে পারেন নি। তাঁর লেখাগুলি আজ আমার কাছে নেই—কবে কেমন করে হারিয়ে গেছে, সে কথা আজ মনে পড়ে না। কিন্তু এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলায় কতবার তাঁর অসমাপ্ত লেখাগুলি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছি। কেন তিনি এগুলি শেষ করে যাননি, এই বলে কত দুঃখই না করেছি। অসমাপ্ত অংশগুলি কি হতে পারে, ভাবতে ভাবতে আমার অনেক বিনিদ্র রজনী কেটে গেছে। এই কারণেই বোধ হয় সতের বৎসর বয়সের সময় আমি গল্প লিখতে শুরু করি। কিন্তু কিছুদিন বাদে গল্পরচনা অ-কেজোর কাজ মনে করে আমি অভ্যাস ছেড়ে দিলাম। তারপর অনেক বৎসর চলে গেল। আমি যে কোন কালে একটি লাইনও লিখেছি, সে কথা ভুলে গেলাম।

“আঠার বৎসর পরে একদিন লিখতে আরম্ভ করলাম। কারণটা দৈব দুর্ঘটনারই মত। আমার গুটিকয়েক পুরাতন বন্ধু একটি ছোট মাসিকপত্র বের করতে উদ্যোগী হলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠাবান্‌ লেখকদের কেউই এই সামান্য পত্রিকায় লেখা দিতে রাজী হলেন না। নিরুপায় হয়ে তাঁদের কেউ কেউ আমাকে স্মরণ করলেন। বিস্তর চেষ্টায় তাঁরা আমার কাছ থেকে লেখা পাঠাবার কথা আদায় করে নিলেন। এটা ১৯১৩ সনের কথা। আমি নিমরাজী হয়েছিলাম। কোন রকমে তাঁদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যেই আমি লেখা দিতেও স্বীকার হয়েছিলাম। উদ্দেশ্য, কোন রকমে একবার রেঙ্গুন পৌঁছতে পারলেই হয়। কিন্তু চিঠির পর চিঠি আর টেলিগ্রামের তাড়া আমাকে অবশেষে সত্য সত্যই আবার কলম ধরতে প্ররোচিত করল। আমি তাঁদের নবপ্রকাশিত ‘যমুনা’র জন্য একটি ছোটগল্প পাঠালাম। এই গল্পটি প্রকাশ হতে না হতেই বাঙ্গালার পাঠকসমাজে সমাদর লাভ করল। আমিও একদিনেই নাম করে বসলাম। তারপর আমি অদ্যাবধি নিয়মিতভাবে লিখে আসছি। বাঙ্গালাদেশে বোধ হয় আমিই একমাত্র সৌভাগ্যবান লেখক, যাকে কোনদিন বাধার দুর্ভোগ ভোগ করতে হয়নি।’’ (‘বাতায়ন’, শরৎ স্মৃতি-সংখ্যা, ১৩৪৪)


মায়েরা আর বদলাল না

 ❤️ মায়েরা আর বদলাল না ❤️


*আইজাক নিউটনের মা-*

" আপেল নিয়ে তো ঘাঁটাঘাটি করছিস, না ধুয়ে খাবি না কিন্তু!"


*আর্কিমিডিসের মা*


আচ্ছা তুই যে জামাকাপড় না পরে রাস্তা দিয়ে দৌড়ুলি তোর লজ্জা করল না? ভাল কথা  "ইউরেকা, ইউরেকা" বলে যে মেয়েটাকে ডাকছিলি সেটা কে??


*থমাস এডিসনের মা*


বাল্ব আবিস্কার করে তো আমাকে ধন্য করে দিয়েছ। যাও এখন আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়....চেহারাটা কি হয়েছে, তোর ঘুমের দরকার বুঝলি?


*আব্রাহাম লিঙ্কনের মা*-


এখন তো প্রেসিডেন্ট হয়েছিস? ভগবানের দোহাই এবার এই জঘন্য পুরোন কোট, আর এই অসহ্য টুপিটা ছাড়। দোকানে গিয়ে নিজের জন্য একটা ভাল দেখে পোষাক কিনে আন।


*জেমস ওয়াটের মা-*


তুই যদি এখন বসে বসে ঢাকনার ওঠানামা দেখিস তবে ভাত কিন্তু পুড়ে যাবে বলে দিলাম। গ্যাসটা বন্ধ কর।


*গ্রাহাম বেলের মা-*


তুই যে এই বোকা বোকা যন্ত্রটা ঘরে লাগিয়েছিস, ঠিক আছে। কিন্তু এটা নিয়ে দিনরাত মেয়েদের সাথে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করবি, তা কিন্তু চলবেনা একথা আমি আগেই বলে দিলাম।


*গ্যালিলিও গ্যালিলির মা*


কি ছাতার যন্ত্র বানিয়ে চাঁদ দেখার চেষ্টা করছিস? এটা তো কোন কাজেরই না। চাঁদ তো দূরের কথা এতে তো আমি মিলানোতে আমার বাপের বাড়ীই দেখতে পারছি না।


*অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মা*


আচ্ছা এটা তাহলে তোর গ্র্যাজুয়েট হবার ছবি? ভাল। আচ্ছা তুই চুল কাটিস না কেন? একটা জেল টেল কিছু ব্যাবহার কর। কি বিশ্রী অবস্থা হয়েছে চুলের।


*বিল গেটসের মা*


দিনরাত ইন্টারনেট ঘাঁটছিস। একদিন যদি দেখি না উল্টোপাল্টা কিছু দেখছিস তবে তোর একদিন কি আমার  একদিন বলে রাখলাম।


*ড্যানিয়েল ফারেনহিটের মা-*

তোর এই গরম জল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বন্ধ কর। আমায় চা বানাতে হবে।


*রবার্ট বয়েলের মা*


ব্যাস্তানুপাতিক মানে বুঝেছি। তোর ভল্যুম অর্থাৎ পরিমান বেশী হলে প্রেশার মানে চাপ কমে যাচ্ছে এই তো? তোর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। তুই জোলাপ খা।


*ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের মা* 


কোথায়, কোন চুলোয় যাচ্ছ, কি আবিস্কার নিয়ে তুমি ব্যাস্ত,   ওসব নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই। যেখানে যাবে ফোন করবে না হলে অন্ততঃ দু লাইন লিখে একটা চিঠি পোষ্ট করবে।


*সারদা মা

একশো জনকে খাওয়াতে হবেনা কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্ত দেখলে তাকে একটু খেতে দিও।


(সংগৃহীত)

আমরা মুসলমান কি করছি, কোনদিকে যাচ্ছি,,,,,

 আমরা মুসলমান কি করছি, কোনদিকে যাচ্ছি.... 


ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো,-- যারা সত্যিকার ভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়। 


স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা। 


মুসলমানরা পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশি ধর্মীয় বয়ান,ওয়াজ নসিহত শোনে কিন্তু কোন মুসলিম দেশ পৃথিবীর সেরা রাষ্ট্র হতে পারেনি। অথচ গত ষাট বছরে মুসলমানরা অন্ততঃ ৩০০০ বার জুমার খুতবা শুনেছে।


একজন বিধর্মী চাইনিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে দুই নম্বর নকল জিনিষ বানানোর অর্ডার দিয়ে বলে, অমুক বিখ্যাত কোম্পানির লেবেল লাগাবেন। পরে যখন তাদেরকে বলি আমাদের সাথে খানা খান, তখন তাঁরা বলেন, হালাল না, তাই খাবোনা। তাহলে নকল মাল বিক্রি করা কি হালাল?


একজন জাপানি নব্য মুসলিম বলেছেন, আমি পশ্চিমা দেশগুলিতে অমুসলিমদের ইসলামের বিধান পালন করতে দেখি, আর পূর্বের দেশগুলিতে ইসলাম দেখি কিন্তু কোন মুসলিম দেখিনা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগেই ইসলাম এবং মুসলমানদের পার্থক্য বুঝেই আল্লাহর ধর্ম গ্রহন করেছি।


ইসলাম ধর্ম শুধু নামাজ রোজা নয়, এটি একটি জীবন বিধান এবং অন্যের সাথে মোয়ামালাত আর মোয়াশারাতের বিষয়। একজন নামাজ রোজা পড়া আর কপালে দাগওয়ালা মানুষও আল্লাহর চোখে একজন মোনাফেক হতে পারে।


নবী(স) বলেছেন, "আসল সর্বহারা আর রিক্ত মানুষ হচ্ছে তারা, যারা কেয়ামতের দিন রোজা, নামাজ, অনেক হজ্জ্ব, দান খয়রাত নিয়ে হাজির হবে কিন্তু দুর্নীতি করে সম্পদ দখল, অন্যদের হক না দেয়া, মানুষের উপর অত্যাচারের কারণে রিক্ত হস্তে জাহান্নামে যাবে।" 


ইসলামের দুটি অংশ, একটি হচ্ছে বিশ্বাসের প্রকাশ্য ঘোষণা যাকে 'ঈমান' বলা হয়, আর একটি হচ্ছে বিশ্বাসের অন্তর্গত বিষয় যাকে 'এহসান' বলা হয়,-- যা ন্যায়গতভাবে সঠিক সামাজিক নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়।  দুটোকে একত্রে প্র্যাকটিস না করলে ইসলাম অসম্পূর্ন থেকে যায় যা প্রতিটি নামের মুসলমান দেশে হচ্ছে।


ধর্মীয় বিধি নিষেধ মানা যার যার ব্যক্তিগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং এটি আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয়। কিন্তু সামাজিক বিধি নিষেধ মেনে চলা একজন বান্দার সাথে অন্য বান্দার মধ্যকার বিষয়। অন্য কথায় ইসলামিক নীতিমালা যদি মুসলমানরা নিজেদের জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োগ না করে, মুসলিম সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ হবে অসম্মানজনক।  


লর্ড বার্নার্ড' শ একবার বলেছিলেন, "ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী।"

(সংগৃহীত)


বাংলাদেশের ইসলামের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে। এদেশে যারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। তারা মিথ্যা, অসত্য এবং নিজের মনগড়া কথাকে কোরআন এবং হাদিসের দোহাই দিয়ে সেটাকে সত্য বানিয়ে ফেলে। এরা প্রতিমুহূর্তে দোযখের ভয় দেখিয়ে মানুষকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করে ফেলে।  আমি অনেক ইসলামিক স্কলারদের সাথে এবং এমনকি যারা তাশাঊফ চর্চা করেন 

এদের সাথে কথা বলে দেখেছি বেশিক্ষণ আলোচনা চালানো যায় না। মুহূর্তের মধ্যে নিজের সুবিধা মত কথাকে বাইপাস করে ফেলে, অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তায় চলে আসে, সবকিছুর মধ্যেই বেহেস্ত দোযখের বিষয়টা নিয়ে আসে,।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...