এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪

পাঁচ মিনিটের ৫টি গল্প

 ♦ গল্প-১

বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে।

ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’

বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা।

শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।

বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’

‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে।

‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’

♥ শিক্ষণীয় বিষয়

আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।


♦ গল্প-২

সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা একটি পুরোনো প্রদীপ পেলেন।

তাঁরা ওটাতে ঘষা দিতেই দৈত্য বের হয়ে এল।

দৈত্য বলল, ‘আমি তোমাদের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব।’

‘আমি আগে! আমি আগে!’ বললেন অফিস ক্লার্ক, ‘আমি বাহামা সমুদ্রপারে যেতে চাই, যেখানে অন্য কোনো ভাবনা থাকবে না, কাজ থাকবে না।’

‘ফুঃ...!!’ তিনি চলে গেলেন।

‘এরপর আমি! এরপর আমি!’ বললেন সেলসম্যান, ‘আমি মায়ামি বিচে যেতে চাই, যেখানে শুধু আরাম করব।’

‘ফুঃ...!!’ তিনিও চলে গেলেন।

‘এখন তোমার পালা’, দৈত্য ম্যানেজারকে বলল।

ম্যানেজার বললেন, ‘আমি ওই দুজনকে আমার অফিসে দেখতে চাই।’


♥ শিক্ষণীয় বিষয়

সব সময় বসকে আগে কথা বলতে দেবেন। তা না হলে নিজের কথার কোন মূল্য থাকবে না।


♦ গল্প-৩

একটি ইগল গাছের ডালে বসে আরাম করছিল।

এমন সময় একটি ছোট খরগোশ ইগলটিকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিও কি তোমার মতো কিছু না করে এভাবে বসে আরাম করতে পারি?’

ইগল উত্তর দিল, ‘অবশ্যই, কেন পারবে না।’

তারপর খরগোশটি মাটিতে এক জায়গায় বসে আরাম করতে থাকল। হঠাত্ একটি শিয়াল এসে হাজির, আর লাফ দিয়ে খরগোশকে ধরে খেয়ে ফেলল।


♥ শিক্ষণীয় বিষয়

যদি কোনো কাজ না করে বসে বসে আরাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক ওপরে থাকতে হবে।


♦ গল্প-৪

একটি মুরগি ও একটি ষাঁড় আলাপ করছিল।

‘আমার খুব শখ ওই গাছের আগায় উঠব, কিন্তু আমার এত শক্তি নেই’, মুরগিটি আফসোস করল।

উত্তরে ষাঁড়টি বলল, ‘আচ্ছা, তুমি আমার গোবর খেয়ে দেখতে পার, এতে অনেক পুষ্টি আছে।’

কথামতো মুরগি পেট পুরে গোবর খেয়ে নিল এবং আসলেই দেখল সে বেশ শক্তি পাচ্ছে। চেষ্টা করে সে গাছের নিচের শাখায় উঠে পড়ল।

দ্বিতীয় দিন আবার খেল, সে তখন এর ওপরের শাখায় উঠে গেল।

অবশেষে চার দিন পর মুরগিটি গাছের আগায় উঠতে সক্ষম হলো।

কিন্তু খামারের মালিক যখন দেখলেন মুরগি গাছের আগায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি করে তাকে গাছ থেকে নামালেন।


♥ শিক্ষণীয় বিষয়

ফাঁকা বুলি (বুল শিট) হয়তো আপনাকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বেশিক্ষণ ওখানে টিকে থাকতে পারবেন না।


♦ গল্প-৫

একটি পাখি শীতের জন্য দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু এত ঠান্ডা ছিল যে পাখিটি শীতে জমে যাচ্ছিল এবং সে একটি বড় মাঠে এসে পড়ল।

যখন সে মাঠে পড়ে ছিল, একটি গরু তার অবস্থা দেখে তাকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিল। কিছুক্ষণ পর পাখিটি বেশ উষ্ণ অনুভব করল। যখন গোবরের গরমে সে খুব ঝরঝরে হয়ে উঠল, আনন্দে গান গেয়ে উঠল।

এমন সময় একটি বিড়াল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, পাখির গান শুনে খুঁজতে লাগল কোথা থেকে শব্দ আসে। একটু পরই সে গোবরের কাছে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গোবর খুঁড়ে পাখিটিকে বের করে তার আহার সারে।


♥ শিক্ষণীয় বিষয়

১. যারা আপনার ওপর কাদা ছোড়ে, তারা সবাই-ই আপনার শত্রু নয়।

২. যারা আপনাকে পঙ্কিলতা থেকে বের করে আনে, তারা সবাই-ই আপনার বন্ধু নয়।

৩. এবং যখন আপনি গভীর পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত, তখন মুখ বেশি না খোলাই শ্রেয়।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪

স্যারের মেসেজ ১১/০৭/২০২৪

 আমাদের ডিপার্টমেন্টে এখন দুই শ্রেণীর লোক বিদ্যমান এক নিজ উদ্যোগকে সেল করতেছে এবং সেল টাকে সাদরে গ্রহণ করছে এবং কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতেছে আর এক শ্রেণীর লোক তাদেরকে যেকোনো কাজে ঠেলে ঠেলে করাইতে হচ্ছে। লাস্ট মিটিং  জি এম স্যারের নির্দেশনা হচ্ছে যাদেরকে এভাবে ঠেলে ঠেলে সেল করাইতে হচ্ছে তাদেরকে তিন মাস পর্যবেক্ষণ করার পর তাদেরকে সসম্মানে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আলোচনা হয়েছে।,,,,,,,,

আজ মাসের ১১ তারিখ যারা এখনো পর্যন্ত এক টাকাও Do করেননি তাদের আগামী রবিবারের ভিতরে ডিও করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।।

সবার এরিয়া থানা উপজেলা পর্যালোচনা করা হচ্ছে প্রতিটা উপজেলায় একটা করে ডিলার কোর্ট থাকবে আমরা এমন টাই আশা করতেছি।।,,,,,,,,

সুপারভাইজার ভাইদের বিষয়ের অনুরোধ করতেছি প্রতিটা লোক যেন তার জেলার প্রতিটা উপজেলায় ভিজিট করে এবং প্রতিটা উপজেলায় একটি করে হলেও ডিলার থাকতে হবে।,,,,,,,

আর একটা বিষয় সবাইকে বলতে চাই চেষ্টা করলে অসম্ভব না আপনারা চেষ্টা করতেছেন না তাই হচ্ছে না আমরা এ মাসে অলরেডি 57 লক্ষ টাকা ডিও করে ফেলছি শুধুমাত্র ওয়েল কেক অন্যান্য প্রোডাক্ট বাদ দিলাম।,,,,,,,,

আপনাদের নির্দিষ্ট এরিয়া গুলো অর্থাৎ আপনি যে জেলায় কাজ করেন সেই জেলার যতগুলো উপজেলা আছে উপজেলায় যতগুলো বাজার আছে প্রতিটা বাজারে যদি আপনি নিয়মিত ভিজিট করেন নক করেন তাহলে দেখবেন অনায়াসে আপনার ডিলার কোড ওপেন হয়ে গেছে।।।।,,,,,,,


সবার এরিয়া থানা উপজেলা পর্যালোচনা করা হচ্ছে প্রতিটা উপজেলায় একটা করে ডিলার কোর্ট থাকবে আমরা এমন টাই আশা করতেছি।।,,,,,,,,

সুপারভাইজার ভাইদের বিষয়ের অনুরোধ করতেছি প্রতিটা লোক যেন তার জেলার প্রতিটা উপজেলায় ভিজিট করে এবং প্রতিটা উপজেলায় একটি করে হলেও ডিলার থাকতে হবে।,,,,,,,

আর একটা বিষয় সবাইকে বলতে চাই চেষ্টা করলে অসম্ভব না আপনারা চেষ্টা করতেছেন না তাই হচ্ছে না আমরা এ মাসে অলরেডি 57 লক্ষ টাকা ডিও করে ফেলছি শুধুমাত্র ওয়েল কেক অন্যান্য প্রোডাক্ট বাদ দিলাম।,,,,,,,,

আপনাদের নির্দিষ্ট এরিয়া গুলো অর্থাৎ আপনি যে জেলায় কাজ করেন সেই জেলার যতগুলো উপজেলা আছে উপজেলায় যতগুলো বাজার আছে প্রতিটা বাজারে যদি আপনি নিয়মিত ভিজিট করেন নক করেন তাহলে দেখবেন অনায়াসে আপনার ডিলার কোড ওপেন হয়ে গেছে।।।।,,,,,,,

আমাদের ডিপার্টমেন্টে এখন দুই শ্রেণীর লোক বিদ্যমান এক নিজ উদ্যোগকে সেল করতেছে এবং সেল টাকে সাদরে গ্রহণ করছে এবং কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতেছে আর এক শ্রেণীর লোক তাদেরকে যেকোনো কাজে ঠেলে ঠেলে করাইতে হচ্ছে। লাস্ট মিটিং  জি এম স্যারের নির্দেশনা হচ্ছে যাদেরকে এভাবে ঠেলে ঠেলে সেল করাইতে হচ্ছে তাদেরকে তিন মাস পর্যবেক্ষণ করার পর তাদেরকে সসম্মানে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আলোচনা হয়েছে।,,,,,,,,

আজ মাসের ১১ তারিখ যারা এখনো পর্যন্ত এক টাকাও Do করেননি তাদের আগামী রবিবারের ভিতরে ডিও করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।।,,,,,,,

সুপারভাইজার ভাই  রোড প্ল্যান টা ভালো করে চেক করবেন খেয়াল রাখবেন যে সে সব রোড গুলো ঠিকমত ভিজিট করছে কিনা।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ১১-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ১১-০৭-২০২৪


আজকের শিরোনাম:


চীনে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। 


বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তার নিশ্চয়তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। 


বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব অর্জনে ২১টি চুক্তি স্বাক্ষর এবং ৭টি প্রকল্পের ঘোষণা।


অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে একশো কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা চীনের প্রধানমন্ত্রীর।


সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 


কর্মসূচি বন্ধ করে আদালতের নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


ইউক্রেনের জন্য সামরিক মৈত্রী ও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার অঙ্গীকার ন্যাটোর। 


ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবলে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড।

বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

আমার দেখা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "আমার দেখা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা"

































জেলা- নওঁগা। 

বিভাগ- রাজশাহী। 


আমি একজন যাযাবর।বাংলার পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছি ছন্নছাড়াদের মত। "আমার দেখা বাংলাদেশের  ৬৪ জেলা" এই এ্যালবামের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। 


নওঁগা প্রথম গিয়েছি- ২৫ জুন ২০১৯।

নওগাঁ  সর্বশেষ গিয়েছি- ২৩ জুন ২০২৪।


📢যেসব উপজেলায় গিয়েছি- 


আত্রাই উপজেলা। 


পত্নীতলা উপজেলা

ধামইরহাট উপজেলা

মহাদেবপুর উপজেলা

পোরশা উপজেলা

সাপাহার উপজেলা

বদলগাছী উপজেলা

মান্দা উপজেলা

নিয়ামতপুর উপজেলা

রাণীনগর উপজেলা

নওগাঁ সদর উপজেলা


নওগাঁ শব্দর উৎপত্তি হয়েছে ‘নও’ (নতুন -ফরাসী শব্দ ) ও‘ গাঁ’ (গ্রাম ) শব্দ দু’টি হতে। এই শব্দ দু’টির অর্থ হলো নতুন গ্রাম। অসংখ্য ছোট ছোট নদীর লীলাক্ষেত্র এ অঞ্চল। আত্রাই নদী তীরবর্তী এলাকায় নদী বন্দর এলাকা ঘিরে নতুন যে গ্রাম গড়ে উঠে, কালক্রমে তা-ই নওগাঁ শহর এবং সর্বশেষ নওগাঁ জেলায় রুপান্তরিত হয়।


নওগাঁ প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন ভূক্ত অঞ্চল ছিল। অন্য দিকে এটি আবার বরেন্দ্র ভূমিরও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ । নওগাঁর অধিবাসীরা ছিল প্রাচীন পুণ্ড্র জাতির বংশধর। নৃতাত্ত্বিকদের মতে, পুন্ড্ররা বিশ্বামিত্রের বংশধর এবং বৈদিক যুগের মানুষ। মহাভারত্র পুণ্ড্রদের অন্ধ ঋষি দীর্ঘতমার ঔরষজাত বলি রাজার বংশধর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কারো মতে, বাংলার আদিম পাদদর বংশধর রুপে পুন্ড্রদের বলা হয়েছে। এদিক দিয়ে বিচার করলে নওগাঁ যে প্রাচীন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল ছিল তা সহজেই বলা যায়।


নওগাতে আমি মোট ৪ বার গিয়েছি। আমি ছুটে চলেছি বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে।বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ,মাটি এবং মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করেছি।


 ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ছিলো আমার ভ্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। আমি ভ্রমণ করি জানার জন্য এবং তা জানানোর জন্য।আমার ভ্রমণের  প্রত্যেকটা গল্প এই পেইজে লেখা আছে খুজলেই পেয়ে যাবেন।ঐতিহাসিক স্থাপনা আমার ভ্রমণের মূল আকর্ষণ।বাংলাদেশ ইতিহাস সমৃদ্ধ একটা জনপদ এর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস  এবং  দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় তিন হাজারের মত ঐতিহাসিক স্থাপনা।


সবুজ শ্যামল এই বাংলার  পথে প্রান্তরে আমার পায়ের ছাপ পরে থাকুক,  বাংলার অনেক পথ এখনো আমার অচেনা, অনেক দেখা বাকি আমৃত্যু চলুক এই পথচলা।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া,,,, 


বাঙালি চেনার ২০ টি সাধারণ পদ্ধতিঃ-

 বাঙালি চেনার ২০ টি সাধারণ পদ্ধতিঃ-


০১. চা খাবে টোস্ট, বিস্কুট ডুবিয়ে।

০২. বেডের তলায় সারিসারি পুরনো পেপার ঢুকিয়ে রাখবে।

০৩. টয়লেটের ফ্লোরে পেশাব করে দেবে।

০৪. স্ত্রী ঘুমাবে দেয়ালের দিকটায় ঘেঁষে।

০৫. ঝাড়ু থাকবে দরজার পেছনে।

০৬. একজন ধনী হয়ে উঠলে, অন্যরা বলবে- নিশ্চয়ই সুদ/ঘুস/চুরির টাকা।

০৭. কেউ বুড়ো হতেই, অন্যরা অবাক হবে─ এখনো বাঁইচা আছে!

০৮. গোসল করলে, একে-একে জিজ্ঞেস করতে থাকবে─ কোথাও যাচ্ছ নাকি?

০৯. অতিথিদের জন্য থালাবাটি, কাপ, চামচ আলাদা করে তুলে রাখবে।

১০. মাংসের টুকরা গুনে রাখবে।

১১. এদের স্বাভাবিক মৃত্যু নেই, সব মৃত্যুতেই কারণ খুঁজবে, কারণ না-পেলে সমস্বরে বলবে─ সব আল্লার ইচ্ছা।

১২. এটিএম থেকে টাকা তুলে আবারও গুনবে, কারও উপরেই বিশ্বাস নেই।

১৩. কেউ সুন্দর মেয়ে বিয়ে করলেই, অন্যরা কানাঘুষা করবে─ চইদ্দ লম্বর মাইয়া। বাঙালি আজন্ম পরশ্রীকাতর।

১৪. মাছ, মাংসের বিশেষ কিছু অংশ স্বামীর জন্য আলাদা করে রাখবে, যেমন─ মাছের মাথা, মুরগির রান।

১৫. কাদায় হাঁটার সময় জুতো খুলে হাতে ঝোলাবে, তারপরও এঁকেবেঁকে চলবে যেন জুতোয় কাদা না-লাগে।

১৬. ঈদে,পূজায় নতুন কাপড় কিনবে, তারপর সারাবছর আফসোস করবে─ টাকাপয়সা নাই।

১৭. মাইক্রোফোন হাতে পেলে পয়লা একটা বিকট ফুঁ দিয়ে দেবে, তারপর আঙুল দিয়ে ঠুস করে একটা টোকা মারবে, ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যদিও, যার হাত থেকে মাইক্রোফোনটি পেয়েছে, সে এতোক্ষণ ঠিকই কথা বলছিল ওটা দিয়ে।

১৮. অতিথি আসার সম্ভাবনা থাকলে পুরো ঘরবাড়ি, উঠান, এমনকি ছাদও, ঝাড়ু দিয়ে দিবে।

১৯. ওয়ান-ওয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়ও ডানে আর বামে চোখ ঘুরিয়েফিরিয়ে তাকাবে।

২০. পান করা শেষে খালি বোতলটি সযত্নে রেখে দিবে, ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য।


১টি বোনাস: বাসের মধ্যে কোনো বিদেশীর পাশে বসতে পারলে, না-নামা পর্যন্ত গর্বে বুকটা ঢোলের মতো ফুলিয়ে রাখবে।


Collected

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ১০-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ১০-০৭-২০২৪


আজকের শিরোনাম:


আজ চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা — স্বাক্ষর হতে পারে ২০টির বেশি সমঝোতা স্মারক। 


জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।


২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এআইআইবি’র সহায়তা কামনা  শেখ হাসিনার। 


পেনশন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে কেউ যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার — জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী


যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হিসেবে নগরমন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক - স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পেলেন রুশনারা আলী।


ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্পেন।

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪

হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ'  আমার দেশ,  প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৪,,,,,

 'হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ' 

আমার দেশ, 

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৪ — আরিফুল হক


নব্বই দশকের শেষের দিকে একটা বই লিখেছিলাম, বইটির নাম ছিল ‘হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ’। আমার জানা মতে ভারতের হায়দারাবাদ দখল নিয়ে বাংলাভাষায় লেখা সেটাই ছিল প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ। সেখানে ভারত কিভাবে হায়দারাবাদ দখল করেছিল সেই ইতিহাস তুলে ধরে আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, বাংলাদেশের পরিণতিও কি হায়দারাবাদের পথ ধরে এগোবে! বইটি প্রকাশ করেছিল, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি:। বইটা এখন আর বাজারে নেই, প্রিন্ট ও পাওয়া যায়না। হয়ত দরকার নেই! কারন হিসাবে পুস্তক ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবেন ভারত তো হায়দারাবাদ দখল করে ‘হায়দারাবাদ’ নামটাকেই আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে! কে এসব বই পড়বে!


তবে আমার বিশ্বাস ইতিহাস বিলুপ্ত করা যায়না। শীঘ্রই হায়দারাবাদের ইতিহাস হয়ত বাংলাদেশ হয়ে ফিরে আসতে যাচ্ছে। তাই হায়দারাবাদ দখলের ব্লু প্রিন্ট ইতিহাস প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর জানা অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয় ছিল। হায়দারাবাদের করুন ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষকে অনেককিছু বলতে চায়, জানাতে চায়, সতর্ক করতে চায়! ইতিহাস কোনদিন বিলুপ্ত হয়না!


কি ছিল হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ বইটিতে


পৃথিবীর বিস্ময়, জ্যোতির পাহাড়, ‘কোহিনুর’ হীরার জন্মদাত্রী, হীরক-আকর সমৃদ্ধ গোলকুন্ডার কন্যা হায়দারাবাদ। গোদাবরী, কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা, পূর্ণা, ভীমা, পেনগঙ্গা, ওয়ার্ধা, মুসী, প্রানহিটা নদী বিধৌত সুজলা সুফলা দেশ হায়দারাবাদ।


ইতিহাস খ্যাত অজন্তা-ইলোরা গুহা। আওরঙ্গাবাদ, ওসমানাবাদ শহর। গোলকুণ্ডা, গুলবার্গ, ওয়ারাংগাল, রাইচুর, পারেন্দা, নলদূর্গ প্রভৃতি ঐতিহাসিক দূর্গের ঐতিহ্যমণ্ডিত হায়দারাবাদ। হীরক, স্বর্ণ, লৌহ, কয়লা, অভ্র প্রভৃতি মূল্যবান আকরিক সম্পদে সমৃদ্ধ হায়দারাবাদ। মক্কা মসজিদ, চার-মিনার সৌধ মসজিদ সহ পাঁচশ বছরের মুসলিম শাসনের আভিজাত্য সম্বলিত হায়দারাবাদ ,আজ নিঝুম গোরস্থানে নিভে যাওয়া এক প্রদীপের মত, নাম নিশানাহীন, ভারতশাষিত তেলেঙ্গানা অঙ্গ-রাজ্য মাত্র!


বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বড় (৮২,৬৯৬ বর্গ মাইল) বিস্তৃত দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সুবিশাল রাজ্য ছিল হায়দারাবাদ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনেও একধরণের স্বাধীন রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হত দেশটি। হায়দারাবাদের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ছিল। নিজস্ব মুদ্রা ছিল, সেনাবাহিনী ছিল, আইন আদালত ছিল, বিচার ব্যবস্থা ছিল, হাইকোর্ট ছিল, শুল্ক বিভাগ ছিল।


নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ভাষা ছিল। নিজস্ব স্বাধীন পতাকা ছিল, জাতীয় সঙ্গীত ছিল, দেশে দেশে নিজস্ব রাষ্ট্রদূত ছিল, এমনকি জাতিসংঘে নিজস্ব প্রতিনিধি ও ছিল। অর্থাৎ একটা স্বাধীন দেশের যা যা পদমর্যাদা থাকে, সবই হায়দারাবাদের ছিল। তাছাড়াও ১৯৩৫ সালের গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এ্যাক্টে হায়দারাবাদকে স্বাধীন মর্যাদা দান করে বলা হয়েছিল, দেশীয় রাজ্যগুলির পদমর্যাদা এবং স্বাভাবিক কার্যাবলী, স্বাধীন ভারতের কাছে রাজ্যগুলির অনুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা যাবেনা। তারপরও নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারত, আন্তর্জাতিক সকল আইন-কানুন নর্ম উপেক্ষা করে, হায়দারাবাদে সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে দেশটি দখল করে নেয়, কিন্তু আজও তা স্বীকার করেনা । ওরা বলে জনগনের অনুরোধে পুলিশি এ্যাকশানকরে দেশটিতে শান্তি শৃঙ্খলা সংহত করা হয়েছে!


ভারত কি ভাবে হায়দারাবাদ দখল করলো!


নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারতের আশপাশের রাজ্যগুলি দখল করার ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে যে ,প্রথমে তারা কিছু এজেন্টের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিরোধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারপর সেই সুযোগে দূর্বল দেশটির উপর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি দখল করে নেয়। ৪৭সালের পার্টিশনের সময় যেমনটা আমরা দেখেছি, ত্রিবাঙ্কুরে, যোধপুরে, ভূপালে, জুনাগড়ে এবং হায়দারাবাদে। পরে সিকিমে।


ফিরে আসি হায়দারাবাদের কথায়। মুসলিম শাসিত হায়দারাবাদের জন্মলগ্ন থেকে দেশটির জনগন কোনদিন সাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে জানতোনা। সেই হায়দারাবাদে হিন্দু মহাসভা, আর্য্য সমাজ প্রভৃতির শাখা সৃষ্টি করে ভারত সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা শুরু করলো।


বংশ পরম্পরায় প্রচলিত জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে, গান্ধীজীর নির্দেশে, তার শিষ্য রামানন্দ তীর্থ, নরসীমা রাও (ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী), ওয়াই বি চ্যবন প্রমুখ, ‘বন্দেমাতরম’ কে জাতীয় সঙ্গীত করার আন্দোলন শুরু করে দিল।


মোগল আমল থেকে প্রচলিত হায়দারাবাদের নিজস্ব জাতীয় ভাষা, উর্দুভাষার পরিবর্তে হিন্দুস্থানি ভাষা প্রচলন করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু করা হল।


ষ্টেট কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রামানন্দ তীর্থর মাধ্যমে বর্ডার এলাকা গুলোতে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের জড় করে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে, হায়দারাবাদের সীমান্ত অঞ্চলকে ফ্রীজোন ঘোষণা করলো।


তারপর, শ্রেণী সংগ্রামী নামধারী কমিউনিস্টদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ সৃষ্টি করে হায়দারাবাদ দখলের প্রস্তুতিমূলক ড্রেস রিহার্স্যাল শেষ করলো! এবার দেশটি দখলের ফাইনাল মঞ্চায়নের পালা।


প্রথম ভাগে, বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে হায়দারাবাদ কে ভিতর থেকে অস্থিতিশীল এবং জনগনকে বিভক্ত ও দূর্বল করে ফেলা হল, যাতে করে সেনাবাহিনীর সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের পতন ঘটে।


প্রিয় পাঠক! আগ্রাসী ভারতের হায়দারাবাদ দখলের নক্সা বা ব্লু-প্রিন্ট পর্যালোচনা করলে, বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রাজনীতির বেশ কিছু সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেননা কি?


১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট স্বাধীন পাকিস্তানের ঘোষণা দেয়া হল।ঐ একইদিনে হায়দারাবাদও স্বাধীনতা ঘোষণা করলো। বর্ণবাদী হিন্দু নেতারা হায়দারাবাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারলনা! জওহরলাল নেহেরু হুঙ্কার দিয়ে বললেন ‘ যদি এবং যখন প্রয়োজন মনে করবো, হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করা হবে।’ নেহেরুর এই দাম্ভিক উক্তি সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন বৃটিশ বিরোধীদলীয় নেতা উইনস্টন চার্চিল কমন্স সভায় বলেছিলেন, “Nehru’s threat to the language, which Hitler might have used the devouring of Austria” (B K Bawa. The last Nizam).


দেশের ভিতরে নানান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর ভারত ফাইনালি হায়দারাবাদ দখলে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করলো। লেঃ জেঃ ই এম গোর্দাদ , জিএসও সাউর্দান কমান্ড-এর উপর আক্রমণের প্ল্যান তৈরির ভার দেয়া হল। তাকে দেয়া হল —


১) একটি আর্মাড বিগ্রেড।


২) ১৭ ডোগরা রেজিমেন্টের থার্ড ক্যাভালরি ও নবম ব্যাটালিয়ন।


৩) নবম ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন সহ আরও ৩ টি ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন।


৪) ৪টি অতিরিক্ত ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন।


৫) ৩রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ও একটি এ্যান্টি ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট।


৬) ১৮ ক্যাভালরি সার্ভিস মেইনটেইনেন্স ট্রুপস।


৭) বিপুল সংখ্যক ফোরম্যান ও ষ্টুয়ার্ট ট্যাংক।


৮) রয়্যাল ইন্ডিয়ান বিমান বাহিনী!


অপর পক্ষে হায়দারাবাদের ছিল মাত্র-


১) ১২ হাজার সেনা।


২) ৮ টি ২৫ পাউন্ডের কামান।


৩) ৩ রেজিমেন্ট সেনা যানবাহন।


৪) ১০ হাজার পুলিশ ও কাস্টম বাহিনী, ও কিছু জানবাজ বেসরকারি রেজাকার বাহিনী।


১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যেদিন পাকিস্তানের প্রাণপ্রিয় নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ইন্তেকাল করলেন, সমস্ত মুসলমান জাতি তখন শোকে মুহ্যমান, ঠিক সেই সময়টিকে হায়দারাবাদ আক্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিলেন ভারতীয় খলনায়করা।


১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাহিনী, মে: জেঃ জে এন চৌধুরির নেতৃত্বে হায়দারাবাদ অভিমুখে ত্রিমুখী অভিযান শুরু করলো। অভিযানের নাম দেয়া হল ‘অপারেশন পোলো’। ১৯৪৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাত্র ৫ দিনের যুদ্ধে, হায়দারাবাদ বাহিনীর সেনাপতি মেজর জেনারেল আল ইদরুস (নিজাম কে না জানিয়ে) বেইমানী করে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলো ।


এভাবেই চিরতরে নিভে গেল স্বাধীন হায়দারাবাদের স্বাধীনতার প্রদীপ! আজ হায়দারাবাদ নামটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে হিন্দুত্ববাদীরা নাম দিয়েছ তেলেঙ্গানা। শকুনের দল স্বাধীন দেশটিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যের মধ্যে বিলিবন্টন করে দিয়েছে। হায়দারাবাদের নামনিশানা পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্রে আর অবশিষ্ট নেই!


ভারতীয় সাংবাদিক ভি টি রাজশেখর এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মুসলমানদের বড় অক্ষমতা তারা নাজী হিন্দুদের মনের কথা বুঝতে সক্ষম হয়নি’। কথাটির সত্যতা বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করার কথা থাকলেও,তারা সাপেরচাইতেও খল ভারতকে মিত্র ভেবে হাত বাড়িয়ে বসে আছে! প্রাণের কানুকে ভালবেসে আজ তারা গভীর খাদের শেষ কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে তবুও বেহুঁশ। এবার সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের মত বাংলাদেশেরও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পালা!


বাংলাদেশের মানুষ কি করে বিশ্বাস করে যে ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্র !


ভারত কোনদিনই বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ছিলনা। তার বহু প্রমান আমার বিভিন্ন লেখায় তুলে ধরেছি। এখানে স্থানাভাবে তার পুনঃরাবৃত্তি সম্ভব নয়। স্মৃতি তাজা করার জন্য মাত্র দু একটা উপমা তুলে ধরতে চাই। ১৯৪৭ থকে ৫০ সাল পর্যন্ত জওহরলাল নেহেরু ৩বার পুলিশ এ্যাকশন করে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান (আজকের বাংলাদেশ) দখল করার পরিকল্পনা করেছিল। এ তথ্য ফাঁস করেছেন মিঃ নিরোদ সি চৌধুরী তাঁর এক প্রবন্ধে। জয়প্রকাশ নারায়ন সৈন্য ঢুকিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু কি নেহেরু- জয়প্রকাশ! প্যাটেল বলেছিলেন ‘পূর্ববাংলাকে ৬মাসের মধ্যেই আমাদের পা’য়ে এসে পড়তে হবে ‘। ‘৪৭ থেকে বর্তমান মোদির জমানা পর্যন্ত ভারত প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেকে পররাজ্য লোভী, চরম হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রমান রেখেছে! তারপরও ৯০%মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ বলে ভারত নাকি তার ‘নাড়ীর বন্ধু ‘ !


বাংলাদেশের (ভারত নিয়োজিত) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে"। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত’!


অতএব স্ত্রীর সম্পত্তিতে তো স্বামীর অধিকার থাকা বাঞ্ছনীয়। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের সবকটা নদী ভারতের অধিকারে! বাংলাদেশের রাস্তাগুলোতে চলছে ভারতীয় ট্রাক বহর! রেলপথ ভারতের জন্য উন্মুক্ত! সমুদ্রবন্দরে ভারতের অবাধ অধিকার প্রতিষ্ঠিত! বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল ভারতের নজরদারিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান থেকে মন্ত্রনালয়ের সচিব বেশিরভাগ পদ ভারতীয় র’অপারেটরদের হাতে! পুলিশ প্রশাসনে গ্রাম পর্য্যায় পর্যন্ত ভারতীয় ক্যাডারদের দৌরাত্ম। তাদের অস্ত্র মুসলমানদের ক্রশফায়ারে হত্যা করার জন্য উন্মুক্ত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে !


দেশের মুসলমান যুবকরা বেকার, অথচ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়রা এদেশে চাকরীকরে, ব্যবসা করে ভারতে টাকা পাচার করছে। ভারত এখন বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক রেমিটেন্স অর্জনকারী দেশে।


দেশের প্রায় সবকটা সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন ভারতের নিয়ন্ত্রনে।


দেশের ভিতরে ‘ইসকন’, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য' ইত্যাদি নামের বেশ কিছু সংগঠন এবং এনজিও মুসলমানদের বাড়ীঘর দখল, অত্যাচার, হত্যা প্রভৃতির মাধ্যমে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ভিতর ত্রাস সঞ্চার করে রেখেছে। ৯৮% মুসলমান দেশে ইউনিভার্সিটি হলে গরুর গোস্ত খাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে! মেয়েদের হিজাব নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসবই নিত্যদিনের খবর। তারপরও বলা হচ্ছে বংলাদেশ নাকি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র!


বিজেপির গুরু ভিডি সাভারকর ১৯২৩ সালে হিন্দুর সংজ্ঞা দিয়ে বলেছিলেন, “হিন্দু এমন এক মানুষ যিনি সিন্ধু থেকে সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতবর্ষকে নিজের পিতৃভূমি, পূণ্যভূমি এবং তার ধর্মের জন্মস্থান বলে মনে করে।" ভারত তোষনকারী আওয়ামীলীগ নেতানেত্রীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য সেই হিন্দুত্ববাদী ভারতের যতই দালালি করুক,যতইগুনগান করুক, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে যতই প্রচার করুক না কেন, ভারত বন্ধুত্বের একটা নজীরও স্থাপন করতে পারেনি।


ভারতীয় দালালরা ‘৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপমা টেনে জনগনের মগজ ধোলাই করতে চায়, তাদের জানিয়ে দেবার সময় এসে গেছে যে , ভারত আমাদের স্বাধীনতার জন্য ৭১ সালে সেনা অভিযান করেনি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল, শক্তিশালি পাকিস্তান ভেঙ্গে দূর্বল করে ফেলা, এবং বাংলাদেশ নামক পূর্ববাংলাকে ১৯৪৭ এর আগের হিন্টারল্যান্ড বা ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করা, যা আজকের বাস্তবতা।


১৭কোটি মুসলমানের দেশটাকে ভারত জল, স্থল আকাশ সমুদ্র চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। আজ প্রয়োজন নবজাগরণের, সৎ বন্ধু অন্বেষণের, এবং প্রয়োজন আত্মবাদে বলীয়ান হয়ে ওঠার। বাংলাদেশের শোষিত মানুষকে আহ্বান জানাই! বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে আত্মবলে বলীয়ান হয়ে জেগে উঠুন! আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন “ক্ষমতা মদমত্ত জালেমের জুলুমবাজির প্রতিবাদে সত্য কথা বলা, ও সত্য মতের প্রচারই সর্বোৎকৃষ্ট জেহাদ।" আসুন এই আমরা সকলে এক হয়ে সেই জেহাদে প্রবৃত্ত হই। প্রিয় দেশটাকে ঘৃন্য দূর্বৃত্তের হাত থেকে রক্ষা করি! হায়দারাবাদের মত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে আমাদের আড়াই লক্ষ মসজিদের পূন্য দেশ কে ,আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে, হায়দারাবাদ বা তার পূণ্য চারমিনার মসজিদের মত অপরিচ্ছন্ন দূর্বিত্তের নাপাক পদস্পর্শ থেকে হেফাজত করি! ১৮ কোটি মুসলমানের ঈমানি শক্তি এক হলে আল্লাহর রহমতে যেকোন বৃহত শক্তির বিরূদ্ধে বিজয় গৌরব অর্জন কঠিন নয়।

©

লেখক: বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বহু গ্রন্থের লেখক।



সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৯-০৭-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৯-০৭-২০২৪


আজকের শিরোনাম:


চার দিনের সরকারী সফরে এখন বেইজিং-এ অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী -আগামীকাল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক।


জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিহারের আহ্বান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর।


‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’— প্রতিপাদ্যে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ শুরু।


গণমাধ্যমকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চায় সরকার-বললেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। 


ইউক্রেন জুড়ে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৬ জন নিহত।


ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ মধ্য রাতে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ফ্রান্স।

সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪

প্রাচীন বাংলার জনপদসমূহ,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🔰 প্রাচীন বাংলার জনপদসমূহ 🔰

-----------------------------------------

১. পুণ্ড্রঃ

বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ বিশেষ। প্রাচীন বাংলার জনপদগুলাের মধ্যে অন্যতম হলাে পুন্ড্র। বলা হয় যে, পুন্ড্র বলে একটি জাতি এ জনপদ গড়ে তুলেছিল। বর্তমান বগুড়া, রংপুর,  ও দিনাজপুর অঞ্চল নিয়ে এ পুন্ড্র জনপদটির সৃষ্টি হয়েছিল।পুন্ড্রদের রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। পরবর্তীকালে এর নাম হয় মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ড্র নগরীর ধ্বংসাবশেষ বলে পণ্ডিতেরা মনে করেন। 

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুন্ড্রই ছিল প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ। পাথরের চাকতিতে খােদাই করা লিপি এখানে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে প্রাপ্ত এটিই প্রাচীনতম শিলালিপি।


২. বরেন্দ্ৰঃ

নাটোর,পাবনা, রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ। 

বরেন্দ্রী, বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রভূমি নামে প্রাচীন বাংলায় অপর একটি জনপদের কথা জানা যায়। 

এটিও উত্তরবঙ্গের একটি জনপদ। অনুমান করা হয়, পুরো একটি অংশ জুড়ে বরেন্দ্রর অবস্থান ছিল। বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার অনেক অঞ্চল এবং সম্ভবত পাবনা জেলাজুড়ে বরেন্দ্র অঞ্চল বিস্তৃত ছিল।


৩. বঙ্গঃ

ঢাকা, ফরিদপুর, বিক্রমপুর, বাকলা (বরিশাল)।

‘বঙ্গ একটি অতি প্রাচীন জনপদ। বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গ জনপদ নামে একটি অঞ্চল গড়ে উঠেছিল। অনুমান করা হয়, এখানে বঙ্গ’ বলে একটি জাতি বাস করতাে। তাই জনপদটি পরিচিত হয় ‘বঙ্গ’ নামে। 

প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দুইটি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়—একটি বিক্রমপুর, আর অন্যটি নাব্য। বর্তমানে নাব্য বলে কোনাে জায়গার অস্তিত্ব নেই। 

ধারণা করা হয়, ফরিদপুর, বাখেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর নিচু জলাভুমি এ নাব্য অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন বঙ্গ জনপদ ছিল খুব শক্তিশালী অঞ্চল। ‘বঙ্গ থেকে বাঙালি জাতির উৎপত্তি ঘটেছিল।


৪. গৌড়ঃ

মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। গৌড়’ নামটি সুপরিচিত হলেও প্রাচীনকালে ঠিক কোথায় গৌড় জনপদটি গড়ে উঠেছিল তা জানা যায়নি। তবে ষষ্ঠ শতকে পূর্ব বাংলার উত্তর অংশে গৌড় রাজ্য বলে একটি স্বাধীন রাজ্যের কথা জানা যায়। সপ্তম শতকে শশাঙ্ককে গৌড়ের রাজ বলা হতাে। এ সময় গৌড়ের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ। বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায় ছিল এর অবস্থান। বাংলায় মুসলমানদের বিজয়ের কিছু আগে মালদহ জেলার লক্ষণাবতীকেও গৌড় বলা হতাে।


৫. সমতটঃ

বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে সমতটের অবস্থান। কেউ কেউ মনে করেন, সমতট বর্তমান কুমিল্লার প্রাচীন নাম। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে শুরু করে মেঘনার মােহনা পর্যন্ত সমুদ্রকূলবর্তী অঞ্চলকেই সম্ভবত বলা হতাে সমতট। 

কুমিল্লা শহরের ১২ মাইল পশ্চিমে বড় কামতা এর রাজধানী ছিল। কুমিল্লার ময়নামতিতে কয়েকটি প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেছে। শালবন বিহার এদের অন্যতম।


৬. রাঢ়ঃ পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চলের বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং মেদিনীপুর জেলা।


৭. হরকূল বা হরিকেলঃ 

চট্টগ্ৰাম, পার্বত্য চট্ৰগ্ৰাম, ত্ৰিপুরা, সিলেট। সপ্তম শতকের লেখকরা হরিকেল নামে অপর একটি জনপদের বর্ণনা করেছেন। এ জনপদের অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। মনে করা হয়, আধুনিক সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এই জনপদ বিস্তৃত ছিল।


৮. চন্দ্ৰদ্বীপঃ  

বরিশাল, বিক্ৰমপু্‌র, মুন্সীগঞ্জ জেলা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। প্রাচীন বাংলায় আরও একটি ক্ষুদ্র জনপদের নাম পাওয়া যায়। এটি হলাে চন্দ্রদ্বীপ। বর্তমান বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল।


৯. সপ্তগাঁওঃ খুলনা এবং সমুদ্ৰ তীরবর্তী অঞ্চল।


১০. তাম্ৰলিপ্তঃ 

মেদিনীপুর জেলা। হরিকেলের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ। বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকই ছিল তাম্রলিপ্তের প্রাণকেন্দ্র। সপ্তম শতক থেকে এটি দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে।


১১. রূহ্ম/ আরাকানঃ কক্সবাজার, মায়ানমারের কিছু অংশ, কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণা অঞ্চল।


১২. সূহ্মঃ গঙ্গা-ভাগীরথীর পশ্চিম তীরের দক্ষিণ ভূভাগ, আধুনিক মতে বর্ধমানের দক্ষিণাংশে, হুগলির বৃহদাংশ, হাওড়া এবং বীরভূম জেলা নিয়ে সূহ্ম দেশের অবস্থান ছিল।


১৩. বিক্রমপুরঃ মুন্সীগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।


১৪. বাকেরগঞ্জঃ বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট।

_________________________________________________________________

✅ প্রাচীন জনপদ সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন প্লিজ। 

https://www.facebook.com/share/p/WRttN8gFtj1i5fnk/?mibextid=oFDknk


অন্তত_একবার_পড়ুন_প্লিজ 

মন_দিয়ে_পড়ুন

ধান্যকুড়িয়ার জমিদার বাড়ি,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আজ থেকে প্রায় দুশো তিরিশ বছর আগের কথা। সুবিশাল এই রাজবাড়ি বানিয়েছিলেন ধান্যকুড়িয়ার জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। সেসময় ফুলেফেঁপে উঠেছিল তাঁর পাটের ব্যবসা। মূলত ইংরেজদের সঙ্গেই চলত তাঁর লেনদেন। আর সেই সুবাদেই উত্তর ২৪ পরগণার এই প্রান্তিক অঞ্চলেও নিত্যদিন লেগে থাকত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনাগোনা। তাঁদের বিলিতি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে উস্কে দিতেই ইউরোপীয় দুর্গের আদলে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন মহেন্দ্রনাথ।


৩০ একর জায়গায় জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আস্ত এক পুষ্করিণী, যাতে রাজবাড়ির প্রতিচ্ছবি ঝলমল করে সারাদিন। গোটা দুর্গটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল এক বাগানও। দুর্গের ভেতরে ঢুকলেও রীতিমতো চমকে যেতে হবে। নানা ধরনের ভিক্টোরিয়ান কারুকাজ থেকে শুরু করে রয়েছে ইতালিয় কাচের তৈরি আসবাব। যা এক কথায় মন্ত্রমুগ্ধকর। 


গ্রীষ্মকালে এই রাজবাড়িতে এসে অনেক সময়ই ছুটি কাটাতেন ব্রিটিশ সাহেবরা। তাঁদের জন্য ছিল পৃথক নহবতখানা, অতিথিশালা। এমনকি সেসময় এই রাজবাড়ির জন্য পৃথক রেল স্টেশনও তৈরি করেছিল মার্টিন কোম্পানি। গায়েন গার্ডেন নামের সেই স্টেশনে এসে থামত ন্যারো গেজের ছোট্ট বাষ্পচালিত ট্রেন। বর্তমানে অবশ্য সেই স্টেশনের অস্তিত্ব নেই আর। ২০০৮ সালে তা অধিগ্রহণ করে সরকার। গড়ে ওঠে অনাথ মেয়েদের সরকারি হোম। তবে মূল বাড়িটির কিছু অংশের পুনর্নির্মাণ হলেও, সামগ্রিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি। 


বাড়ির সামনে অবস্থিত শ্বেত পাথরের দুটি সিংহ মূর্তির একটি চুরি গিয়েছিল বহু আগেই। কয়েক বছর আগে আরেকটি সিংহও চড়া দামে বিক্রি করে দেন মহেন্দ্রনাথের উত্তরসূরিরা। তবে শুধু ঔপনিবেশিক ইতিহাসই নয়, এই বাড়িতে শুটিং হয়েছে ‘সত্যান্বেষী’, ‘সাহেব-বিবি-গোলাম’, ‘সূর্যতপা’-সহ একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রেরও। অভিনয় করে গেছেন স্বয়ং উত্তমকুমার। এমনকি বিদেশি বিভিন্ন চলচ্চিত্রেরও শুট হয়েছে এই দুর্গেই।















জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...