এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১১-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১১-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন প্রদান এবং বাংলাদেশের কৃষি, সামুদ্রিক ও শিল্পসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করবে নেদারল্যান্ড।


ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে কাজ করছে সরকার - জানালেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা - অব্যাহত থাকবে ভারতীয় অর্থায়নে চলমান প্রকল্প।


দেশের  উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যে কোন বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে  - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে - জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য চার দিনের রিমান্ডে - ফারহান ফাইয়াজকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের।


রাশিয়াকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের দায়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।


ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে কলম্বিয়া, বলিভিয়া ও ইকুয়েডর।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইলিশ মাছের জন্য কারো সংসার ভাঙে? 

 ইলিশ মাছের জন্য কারো সংসার ভাঙে? আমার মায়ের ভেঙেছে। মাত্র পাঁচশো টাকা দামের ইলিশ মাছের মাথা নিজে খেয়ে ফেলার অপরাধে আম্মা চিরতরে আব্বার বাড়ি ছেড়ে হাঁটা দেন। ঘটনা টা শুরু থেকেই বলি তবে।


আমার বাবা মায়ের ভালোবাসার বিয়ে। তাদের ই ভালোবাসার ফসল আমি। তবে আমার জন্মের সাত বছর হয়ে গেলেও, আমার দাদী কখনো আম্মাকে আপন করে নিতে পারেন নি। আম্মার প্রতিটা কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখতো দাদী। একটা কিছু ভুল পেলে, তা নিয়েই গাল মন্দ করে দিন পার করা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। আম্মার প্রতি দাদীর এহেন আচরণের কারণ ছিল, দাদীর বোনের মেয়ে "মিতা ফুপি"। তিনি ছোট বেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে থাকতেন। দাদীই তাকে বড় করেছেন। তাই দাদী সবসময় চাইতো, মিতা ফুপির সাথে আব্বার বিয়ে দিতে। কিন্তু আব্বা সে কথা অমান্য করে আম্মাকে বিয়ে করে নেন। বিয়ের আগ অব্দি আব্বা দাদীর সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তাই দাদীর কথা অমান্য করে আম্মাকে বিয়ের ব্যাপারটা দাদী এত বছরেও হজম করতে পারেন নি। সেই রাগ আজ দশ বছর ধরে উনি আম্মার উপর তুলছেন।


আমার আম্মার ইলিশ মাছ খুব প্রিয় ছিল। তবে আব্বা ইলিশ মাছ আনতেন না সহজে। আনলেই দাদী চিৎকার জুড়ে দিত। আম্মা নাকি ইলিশ মাছের কাঁটা গলায় বিঁধিয়ে দাদীকে মারতে চান। কাঁটা শুধুই অযুহাত ছিল, মূলত দাদী চাইতেন না আম্মা নিজের পছন্দের খাবার খাক। এটা সবাই বুঝতো। তবে সাংসারিক শান্তির জন্য আম্মা ও আস্তে আস্তে ইলিশ খাওয়া ছেড়ে দিল। তার হয়ে আব্বা কোন দিন দাদীকে কিছু বলেন নি। যতকিছু ই হোক আব্বা সারাক্ষণ আম্মারে বলতো,

-" শেফালি, আম্মা বুড়া মানুষ। আর কয়দিন ই বা বাঁচবে? ওনার কথা কানে নিও না। একটু সহ্য করো। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।"


আম্মা আব্বার কথা পুরোপুরি মান্য করতো না। তিনি চুপচাপ সহ্য করলেও, কথা ঠিক ই কানে নিতেন। আর চোখের পানি ফেলতেন। আমি ড্যাবড্যাব করে আম্মার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ই কিছু বুঝে উঠতে পারতাম না। 


আম্মারে দেখতে না পারলেও দাদী আমাকে খুব আদর করতেন। হয়তো ওনার একমাত্র ছেলের অংশ বলেই। পুরো বাড়িতে যার সাথে উনি সব চেয়ে কম উঁচু স্বরে কথা বলতেন, সে হলাম আমি। আমারে উনি বুবু বলে ডাকত। কিছু খেলে, আমার জন্য খানিকটা রেখে দিত। আমিও দিনের বেশিরভাগ সময় দাদীর সাথে লেগে থাকতাম। উনি সারাক্ষণ ই আমার কাছে, আম্মার নামে এই সেই অভিযোগ করতেন। মিতা ফুপি কে বাদ দিয়ে আম্মাকে কেন বিয়ে করছে সেজন্য আব্বাকে নিয়ে আক্ষেপ করতেন।


আমার যখন সাত বছর বয়স, আম্মা আবার সন্তানসম্ভবা হলেন। সবাই মহাখুশি। সেই থেকে আমি আর আম্মা সারাদিন গুটুর গুটুর গল্প করতাম, নতুন বাবুকে নিয়ে। ওই সময় টা আমি সারাদিন আম্মার আগে পিছে ঘুরতাম। তখন অতশত বুঝতাম না। তাই ভাবতাম, এই বুঝি বাবুকে পরী রা দুনিয়ায় দিয়ে যাবে আর আমি বড় আপা হয়ে যাবো। দাদী আদর করে ডেকে কাছে বসালেও আমার মন পড়ে থাকতো আম্মার কাছে। বেশিক্ষণ দাদীর কাছে থাকতাম না। আমার এসব ব্যাবহারে দাদী ফুঁসে উঠতো আম্মার উপর। আম্মা নাকি, আব্বার মত আমাকেও তার থেকে দূরে সরাচ্ছে। আমি ঘুনাক্ষরে ও টের পাই নি, বড় আপা হওয়ার উত্তেজনায় আমি চির কালের জন্য আমার ছোট সাথী কে হারিয়ে ফেলবো।


এক রাতে আমি আম্মা আর আব্বার মাঝে শুয়ে ছিলাম। আব্বা নরম গলায় আম্মারে জিজ্ঞেস করলো,

-"শেফালি, এখন ভালা মন্দ খাইতে হইবো তোমার। নয়তো আমাগো শিমুল রানীর খেলার সাথী দুর্বল হইবো। কও তোমার কি খাইতে মন চায়?"


আম্মা আবেগী গলায় উত্তর দিল,

-"অনেক দিন থেকে ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য মন উথাল পাথাল করতাছে। এখন তো ইলিশের সিজন। আপনি কাল একটা ইলিশ আনবেন? আমি নিজ হাতে রান্না করে খামু।"


আব্বা হাসতে হাসতে সম্মতি দেয়। পরের দিন ঠিক ই সকালে উঠে আব্বা আমারে নিয়ে হাটে যায়। আমি হাটের সব থেকে বড় ইলিশ টার দিকে আঙুল দিয়ে আব্বারে ইশারা করি। আব্বা ওই ইলিশ টাই নেয়। খুশি মনে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেই আম্মার কাছে দৌড়ে যাই। আম্মা ও হাসি হাসি মুখে ইলিশ মাছ টা নিজে কেটে রান্না করে। সারাবাড়ি ইলিশের গন্ধে মো মো করছিল। 


দুপুরে আমাকে আর দাদীকে খেতে দেয় আম্মা। দাদী ইলিশের মাথা চায় খেতে। কিন্তু আম্মা ওটা আগেই খেয়ে ফেলছিলো। স্বভাব সুলভ ভাবে দাদী আবার গাল মন্দ করা শুরু করে আম্মারে। আম্মা তার পাতে মাছের বড় এক পিস দেওয়ার জন্য পাতিল নিয়া আসতেই, তিনি ছোঁ মেরে পাতিল নিয়ে উঠানে ছুড়ে মারে। 


ওই সময় আব্বা দোকান বন্ধ করে দুপুরের ভাত খেতে বাড়ি আসে। বাড়ি তে পা দিতেই দেখে উঠানে ইলিশ মাছের তরকারি পরে আছে। আব্বারে দেখেই দাদী নাক কান্না করতে করতে আব্বার দিকে ছুটে আসে। আব্বা তখন হতভম্ব হয়ে আম্মার দিকে তাকিয়ে আছে। দাদী সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আব্বাকে বানিয়ে বানিয়ে বলেন,

-" দেখ আশরাফ, তোর বউয়ের কাছে ইলিশ মাছের মাথা টা খাইতে চাইছি দেইখা চেইতা গেছে। ওর জন্য আনা খাবার আমি চাইছি কেন? আমি নাকি তোর বউয়ের খানার দিকে নজর দেই। আমি শুধু কইলাম, বুড়া মানুষের মনের কি ঠিক আছে? কখন কি খাইতে মন চায়। তোর বউ আমারে কয়, ওই ইলিশের কাডা যেন আমার গলায় বাইজ্যা আমি মরি। এসব শুইন্যা আমি কান্দন শুরু করছি, তাই পাতিল সহ আমার সামনে ফালাইয়া দিয়া কইছে সব মাছ যেন আমি খাই।"


আব্বা উত্তরের আশায় পুনরায় আম্মার দিকে তাকায়। আম্মা শুধু নিচু গলায় বলে, 

-"পোয়াতি অবস্থায় একটা মাছের মাথা খাইছি বইলা এতো মিথ্যা কথা বলতে আপনার মুখে বাঁধতাছে না আম্মা? আপনিও তো একজন মা। জানেন ই তো এই সময় মনের অবস্থা। "


আম্মার কথা শুনে দাদী দ্বিগুন চেতে যায়। বিশ্রী ভাষায় গালাগাল শুরু করে। গালাগালির এক পর্যায়ে তিনি আম্মারে অভিশাপ দিয়ে বলেন,

-" তুই যদি মিথ্যা বলস, তোর যেন মরা বাচ্চা হয়।"


এটা শুনে আম্মা আর নিজেরে ধরে রাখতে পারলেন না। উঁচু গলায় দাদীকে কটু কথা বলে বসলেন। আব্বা সাথে সাথেই আম্মার গালে একটা চড় মেরে দেন। আম্মা অসুস্থ শরীরে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। এরপর ই ঘটে যায় ভয়ংকর রক্তারক্তি কান্ড। আম্মা মাটিতে পড়ে পেটে হাত দিয়ে একনাগাড়ে চিৎকার শুরু করেন। আব্বা আর দাদী ভড়কে যান। কোন মতে ধরাধরি করব আম্মাকে তখনই হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু আম্মা বেঁচে গেলেও, বাচ্চা টা মরে যায়। আম্মা ওই রাতেই আমাকে নিয়ে নানা বাড়িতে চলে যায়। পরেরদিন সকালে আব্বা আম্মামে আনতে গেলে, আম্মা সোজা সাপ্টা বলে দেন, উনি আর ওই বাড়ি যাবেন না।

আব্বা নিজের কাজের জন্য অনেক ক্ষমা চান। উনি আম্মাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন, দাদীর অভিশাপেই উনি রেগে গেছিলেন। তবে যতই হোক দাদী তো ওনার মা। তাই দাদী কে না পেরে আম্মাকে চড় দিয়ে বসেন।

আম্মা হিসহিসিয়ে বলেন,

-" আমারে যেমন দশ বছর ধরে সবকিছু চুপচাপ সহ্য করে মানিয়ে নিতে বলছেন, ওইরকম আপনার আম্মারেও যদি বুঝাতেন আমারে মানতে না পারলেও মানিয়ে চলতে। তাইলে আজ আমার বাচ্চা টা মইরা যাইতো না। আমার সাথে যা করছেন তার জন্য আপনারে আমি মাফ করলেও। আমার বাচ্চার মরার দায় থেকে আপনারে মাফ করমু না। নিজের বউয়ের উপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে যে পারে না, তার ঘর আমি করমু না।"


এরপর ও আব্বা বহুবার আমাকে আর আম্মাকে আনতে গেলেও আমরা আর যাই নি। আমাকে আম্মা যেতে কখনো নিষেধ করে নি। কিন্তু ওইদিন নিজের মায়ের উপর হওয়া অন্যায় দেখে আমার ছোট মনেও বাবা আর দাদীর জন্য ঘৃণা সৃষ্টি হয়। একসময় আব্বা ও আসা বন্ধ করে দিলেন।


বহুবছর কেটে গেলেও আম্মা আব্বার মধ্যে ডিভোর্স হয় নি। কিন্তু তারা একদিনের জন একসাথে ও থাকেন নি। প্রতি মাসে আব্বা লোক মারফত আমার আর আম্মার খরচ বাবদ টাকা পাঠিয়ে দিত। 


কিন্তু আজ হঠাৎ আব্বা আবার আমাদের দুয়ারে আসেন। এখন আমি মেট্রিক দিবো। আব্বা অনেক টাই বুড়িয়ে গেছেন। আম্মার হাত ধরে হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করেন। দাদী নাকি মৃত্যু শয্যায়। সারাদিন শুধু আম্মার নাম ধরে ডাকে আর কান্না করে। তার শেষ একটা ই ইচ্ছা আম্মার কাছে মাফ চাওয়া। মৃত্যুর কথা শুনে, আম্মা আর স্থির থাকতে পারলেন না। তৎক্ষনাৎ আমাকে বগলদাবা করে দাদীবাড়ির দিকে রওনা দিলেন। 


আম্মারে দেখেই দাদী চোখের পানি ছেড়ে,নিজের করা পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে শুরু করলেন। আম্মা তারে বাচ্চাদের মতো জড়িয়ে ধরে বুঝাতে লাগলো। হঠাৎ দাদী আব্বাকে ডেকে বললেন,

- আশরাফ, বাজান একটা ইলিশ আনবি? অনেকদিন শেফালির হাতের রান্ধন খাই না। খুব ইচ্ছা করতাছে। ও মাছ রান্না কইরা আমার সামনে বইসা মাথা খাইবো। আমি মন ভইরা দেখমু। এতে যদি আমার পাপের ক্ষমা হয়।"


আম্মার দিকে ফিরে বলেন,

-"কিরে মা, এই বুড়ি টারে চাইরডা ভাত রাইন্ধা খাওয়াবি না?"


আম্মা কান্না করতে করতে সম্মতি দিলেন। এই ভালোবাসা টুকুই তো এতবছর মা চেয়েছিলেন। আমি এক কোনে বসে অবাক চোখে দেখি আমার পরিবারের পুণর্মিলন।


.

সমাপ্ত


🖊 জান্নাতুল আক্তার মুন্নি

রবীন্দ্রনাথকে লেখা নজরুলের একটি চিঠি,,,,

 রবীন্দ্রনাথকে লেখা নজরুলের একটি চিঠি


রবীন্দ্রনাথের উপর লেখা নজরুলের অনেকগুলি কবিতা পাওয়া গেলেও রবীন্দ্রনাথকে লেখা নজরুলের একটি মাত্র পুরা চিঠিই পাওয়া গেছে। সেই চিঠিটি লেখার ইতিহাস হ'ল-


নজরুল এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে ১৯৩৪ সালে 'নাগরিক' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। পত্রিকাটি প্রকাশিত হ'ত কলকাতার ১সি মন্মথ ভট্টাচার্য স্ট্রীট থেকে। এই পত্রিকার ২য় বর্ষের অর্থাৎ ১৯৩৫ সালের পূজা সংখ্যার জন্য নজরুল রবীন্দ্রনাথের কাছে একটি লেখা চেয়ে এই চিঠিটি লিখেছিলেন। নজরুলের লেখা চিঠিতে তারিখ ছিল - ২৮শে আগস্ট ১৯৩৫


রবীন্দ্রনাথকে লেখা নজরুলের সেই চিঠিটি,-


শ্রীচরণারবিন্দেষু,

গুরুদেব! বহুদিন শ্রীচরণ দর্শন করিনি। আমার ওপর হয়ত প্রসন্ন কাব্য-লক্ষ্মী হিজ মাস্টার্স-ভয়েসের কুকুরের ভয়ে আমায় ত্যাগ করেছেন বহু দিন। কাজেই সাহিত্যের আসর থেকে আমি প্রায় স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছি। আপনার তপস্যায় আমি কখনো উৎপাত করেছি বলে মনে পড়ে না, তাই অবকাশ সত্ত্বেও আমি আপনার দূরে দূরেই থেকেছি। তবু জানি আমার শ্রদ্ধার শতদল আপনার চরণস্পর্শ থেকে বঞ্চিত হয়নি।


আমার কয়েকজন অন্তরঙ্গ সাহিত্যিক ও কবি বন্ধু 'নাগরিক' পরিচালনা করছেন। গতবার পূজায় আপনার কিরণস্পর্শে ‘নাগরিক’ আলোকিত হয়ে উঠেছিল, এবারও আমরা সেই সাহসে আপনার দ্বারস্থ হচ্ছি। আপনার যে-কোনো লেখা পেলেই ধন্য হব। ভাদ্রের শেষেই পূজা সংখ্যা 'নাগরিক' প্রকাশিত হবে, তার আগেই আপনার লেখনীপ্রসাদ আমরা পাব আশা করি।

আপনার স্বাস্থ্যের কথা আর জিজ্ঞাসা করলাম না। - ইতি


প্ৰণত 

নজরুল ইসলাম


নজরুলের এই চিঠির উত্তরে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে ১৯৩৫-এর ১লা সেপ্টেম্বর নজরুলের কলকাতার ঠিকানায়, এই চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন।


কল্যাণীয়েষু,                                  

অনেকদিন পরে তোমার সাড়া পেয়ে মন খুব খুসী হ'ল।, কিছু দাবী করেছ — তোমার দাবী অস্বীকার করা আমার পক্ষে কঠিন। আমার মুস্কিল এই, পঁচাত্তরে পড়তে তোমার অনেক দেরি আছে। সেইজন্য আমার শীর্ণশক্তি ও জীর্ণদেহের 'পরে তোমার দরদ নেই। কোনো মন্ত্রবলে বয়স বদল করতে পারলে তোমার শিক্ষা হোতো। কিন্তু মহাভারতের যুগ অনেক দূরে চলে গেছে। এখন দেহে, মনে মানব সমাজকে চলতে হয় সায়েন্সের সীমানা বাঁচিয়ে।

অনেকদিন থেকে আমার আয়ুর ক্ষেত্রে ক্লান্তির ছায়া ঘনিয়ে আসছিল, কিছুদিন থেকে তার উপরও দেহযন্ত্রের বিকলতা দেখা দিয়েছে। এখন মূলধন ভেঙে দেহযাত্রা নির্বাহ করতে হচ্ছে, যা ব্যয় হচ্ছে তা আর পূরণ হবার নেই।


তোমাদের বয়সে লেখা সম্বন্ধে প্রায় দাতাকর্ণ ছিলুম, ছোটোবড়ো সকলকে অন্ততঃ মুষ্ঠি ভিক্ষাও দিয়েছি। কলম এখন কৃপণ, স্বভাবদোষে নয়, অভাববশতঃ । ছোটো বড়ো নানা আয়তনের কাগজের পত্রপুট নিয়ে নানা অর্থী আমার অঙ্গনে এসে ভিড় করে। প্রায় সকলকে ফেরাতে হলো। আমার অনাবৃষ্টির কুয়োর শেষতলায় অল্প যেটুকু জল জমেছিল, সেটুকু নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমি প্রতিজ্ঞা করেছি কৃপণের অখ্যাতি শেষ বয়সে স্বীকার করে নিয়ে রিক্ত দানপাত্র হাতে নিয়ে বিদায় নেব। যারা ফিরে যাবে, তারা দুয়ো দিয়ে যাবে, কিন্তু বৈতরণীর মাঝ দরিয়ায় সে ধ্বনি কানে উঠবে না।


আজকাল দেখতে পাই ছোটো ছোটো বিস্তর কাগজের অকস্মাৎ উদ্‌গম হচ্ছে ফুল ফসলের চেয়ে তাদের কাঁটার প্রাধান্যই বেশি। আমি সেকেলে লোক, বয়সও হয়েছে। সাহিত্যে পরস্পর খোঁচাখুঁচির প্রাদুর্ভাব কেবল দুঃখকর নয়, আমার কাছে লজ্জাজনক বোধ হয়।

এই জন্যে এখানকার ক্ষণসাহিত্যের কাঁচা রাস্তায় যেখানে সেখানে পা বাড়াতে আমার ভয় লাগে। সাবধানে বাছাই করে চলবার সময় নেই, নজরও ক্ষীণ হয়েছে, এইজন্যে এই সকল গলিপথ এড়িয়ে চলাই আমার পক্ষে নিরাপদ। তুমি ভরুণ কবি, এই প্রাচীন কবি তোমার কাছ থেকে আর কিছু না হোক, করুণা দাবী করতে পারে। অঙ্কিঞ্চনের কাছে প্রার্থনা ক'রে তাকে লজ্জা দিয়ো না। এই নতুন যুগে যে সব যাত্রী সাহিত্যতীর্থে যাত্রা করবে, পাথেয় তাদের নিজের ভিতর থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।


শুনেছি বর্ধমান অঞ্চলে তোমার জন্ম। আমরা থাকি তার পাশের জিলায় যদি ঐ সীমানা পেরিয়ে আমাদের দিকে আসতে পারো খুসী হব। স্বচক্ষে আমার অবস্থাও দেখে যেতে পারবে। ইতি-


স্নেহরত 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


১৫ ভাদ্র ১৩৪২


নজরুল এই চিঠি পেয়ে খুবই অভিভূত হয়ে পড়েন এবং ‘তীর্থ পথিক' নামক একটি কবিতার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের পত্রের উত্তর দেন।

#collected

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ১০-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ১০-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাঁদাবাজি রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলেন অর্থ উপদেষ্টা।


পয়লা অক্টোবর থেকে সুপার শপগুলোতে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ।


কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান - ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধের নির্দেশ।


আগামী শনিবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সম্মান জানাবে সরকার - জানালেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা।


বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তাবিদদের সাথে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতের।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কে স্থানীয় সময় আজ মুখোমুখি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস।


ওভালে তৃতীয় ও শেষ ক্রিকেট টেস্টে ইংল্যান্ডকে আট উইকেটে হারালো শ্রীলংকা।

কুষ্টিয়া শহরে কি আছে কি নাই!

 "কুষ্টিয়া শহরে কি আছে কি নাই!


মজমপুর বাসস্টান্ড থেকে উঠবেন আটোতে, দশ মিনিট পড়ে ৫ টাকা দিয়ে বড়বাজার রেলগেটে নামবেন। কুষ্টিয়া শহর ঘুরে দেখা শেষ।


তারমাঝে রথখোলার মন্দির পাড় হওয়ার সাথে সাথে পুরাতন কলকাতার আবহাওয়া পাবেন হালকা। যারা পুরাতন কলকাতাতে ঘুরেছেনে তারা বুঝবেন। আশে পাশের বিল্ডিং গুলা, দোকানের প্যাটার্নের, রাস্তার পানিপুরি ফুচকার মাঝে এ আমেজটা আছে।


বড় বাজার রেলগেটে নেমেই দেখবেন হাতের ডানে গান্ধী হোটেল। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে ধাম করে ডাবল ডিমের একটা মোগলাই এখানে খাওয়া যেতেই পারে। গান্ধী হোটেলর অপরদিকে কচুরী পাবেন খেতে৷


বড় বাজার থেকে ইচ্ছা হলে দুই মিনিট হেটে গড়াই নদীর তীরে যেতে পারেন, আবার আরেকটা অটো নিয়ে লালন শাহ এর মাজার ঘুরে দেখতে পারেন। মাঝ রাস্তাতে পড়বে টেগর লজ! রবী ঠাকুরের বাড়িতে উকি দিতেই পারেন। আর পুরা এই এলাকার মাঝে আছে, এক সময়কার এশিয়ার সব থেকে বড় বস্ত্রকল 'মোহিনী মিল'।


মোহিনী মিলের গেটের পাশেই কিন্তু পাবেন বিখ্যাত তিলের খাজার কারখানা। সাহস নিয়ে ঢুকে পড়বেন। ধীম ধাম গরম তিলের খাজা চালান করবেন পেটে। কুমিল্লার রসমালাই অনেক বিখ্যাত! খুব টেস্ট, বিশ্বাস করেন কুষ্টিয়া রসমালাই বিশেষ করে অশোকের রসমালাই খাওয়ার পড়ে, আপনাকে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে৷ কুমারখালীর দই খাওয়ার পড়েও আপনাকে বগুড়ার দই-এর টেস্টের সাথে একটা পরীক্ষা করা লাগতেই পারে।


যেখানে শাহের বারাম খানা!! সেখানে গিয়ে গান শুনবেন। খানেক জিড়াবেন। একটা কুলফি খাবেন৷ অতঃপর রানীর ঘাটে বসে কালী নদীর শান্ত পানির দোলনের সাথে হাওয়া দেখবেন বাতাস খাবেন।


কুষ্টিয়াতে কিন্তু আবার গরুর দুধের চা বেশী চলে। আমরা মাঝে মাঝেই চা খেতে চলে যাই মোল্লা তেঘরিয়ার মোরে,কখনো রাহিনীতে আবার কখনো কাটাইখানা মোড়ে।ইচ্ছে হলে চা এর সাথে টা হিসেবে আপনি পোড়া রুটিও খেতে পারেন।আহা কি স্বাদ!অমৃতের মতো৷ গরম গরম পেটিস খেতে হলে হরিবাসোর মোরে মন্দিরের পাশে! বিকালে আড্ডাবাজির জন্য সরকারি কলেজের পুকুর হচ্ছে বেস্ট।সেখানকার ঝালমুড়ি খেয়ে দেখতে পারেন।মন্দ নয়!


বিকালে আগে ঘোরার জায়গা ছিলো রেইনউইক বাধ! এখন সেটা হরিপুর শেখ রাসেল ব্রীজ। ব্রীজে এপার ওপার দুইপারে জনসমুদ্র! এই জনসমুদ্র ভালো না লাগলে হুট করে চলে যাবেন মোহনায়! পদ্মার পেট ফুড়ে গড়াই এখানেই জন্মেছে! আহা কি তার রুপ! মনে হয় সাগর। শহরের দিকে গড়াই শুকনা।এটা কিন্ত কুষ্টিয়ার মিনি কক্সবাজার।


কুষ্টিয়া



সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রবীন্দ্রনাথ নিষ্ঠুর জমিদার ছিলেন,,, RUPASREE ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রবীন্দ্রনাথ নিষ্ঠুর জমিদার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রজাদের সারাজীবন শোষণ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ কখনোই এদেশের কৃষকদের, সাধারণ মানুষের কখনো উন্নতি চাননি।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বলেছেন, 'মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়'।  এমন কতো অপবাদ কি অবলীলায় চালানো হয় রবীন্দ্রনাথের নামে। কতো মিথ্যাচার শুনতে হয়।

.

অথচ শিলাইদহ, শাহজাদপুর বাদ দিলাম এক পতিসরেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর জমিদারীতে যা করেছেন বাংলার ইতিহাসে কোন জমিদার তা করেনি। 

.

পারিবারিক সূত্রে পাওয়া জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে  প্রথম পতিসরে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জমিদারি ভাগ হওয়ায় নওগাঁর কালিগ্রাম পরগণার জমিদারি পেয়েছিলেন  রবীন্দ্রনাথ।

.

তৎকালীন সময়ে  কালিগ্রাম পরগণা ছিল নিচু এলাকা। এক ফসলি জমি। একটিমাত্র ধানের আবাদ হয়, তাও বন্যায় ষোলো আনা পাওয়া যায় না। অধিকাংশ প্রজাই দরিদ্র।

.

 একবেলা খেতেও পারত না। এসব বিষয়গুলো রবীন্দ্রনাথকে ভাবিয়ে তুলতো। মহাজনী সুদ থেকে প্রজাদের বাঁচাতে রবীন্দ্রনাথ স্বজনদের কাছ থকে টাকা ধার নিয়ে ১৯০৫ সাল থেকে প্রথম ‘কৃষি ব্যাংক’ চালু করেছিলেন।


মহাজনরা অখুশি হলেও গ্রামে-গ্রামে প্রজাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ব্যবস্থা। কৃষকদের বাঁচাতে আরো টাকা প্রয়োজন।

.

নিজের নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৮ হাজার টাকা কৃষি ব্যাংকে দিয়েছিলেন  রবীন্দ্রনাথ। তিনি এতোটাই নিষ্ঠুর জমিদার ছিলেন ঋণ আদায় করতে না পারায় অর্থ সংকটে পড়ে ব্যাংকটি।  এমতাবস্থায় ১৯৩৭ সালে জুডিশিয়াল বোর্ড গঠন করলে ঋণ ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।  তখন প্রজাদের কাছে থাকা ঋণের সব অর্থই আটকে যায়। 

.

১৯১০ সালে  পতিসরের কাছারি বাড়ির একটি কক্ষে হোমিও দাতব্য চিকিত্সালয় স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনার। কিন্তু হোমিও ওষুধ দিয়ে সব রোগের চিকিত্সা হতো না। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে প্রথম আধুনিক চিকিত্সা সেবা শুরু করেন।

.

 পরে সার্টিফিকেটধারী চিকিত্সক নিয়োগ দিয়ে প্রজাদের চিকিত্সা সেবা দিতেন। তখন নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়। তিন-চারটি বেড রাখা হয়েছিল। এই চিকিত্সাসেবা ১৯২০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।

.

এলাকার কৃষকদের বাঁচাতে ধর্মগোলা স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ধর্মগোলা মানে শস্যভান্ডার। যে বছর আবাদ ভালো হতো সে বছর প্রজাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য নিয়ে রেখে দেয়া হতো ধর্মগোলায়। 

.

যখন আবাদ হতো না তখন সেই গোলা থেকে কৃষকদের মধ্যে দেয়া হতো। আবার আবাদ হলে সে শস্য আবার ধর্ম গোলায় জমা করতেন কৃষকেরা। 


 সে সময় কোনো মহাজনদের কাছ থেকে এক মণ খাদ্য নিলে দেড় গুণ বা দুই গুণ খাদ্য দিতে হতো মহাজনকে। এজন্য দরিদ্র প্রজাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই ধর্মগোলা।

.

 হতদরিদ্র প্রজাদের গাভী পালনে প্রশিক্ষণ ও ধানচাষের বাইরে অন্য পেশায় আয় বাড়াতে তাঁতব্যবস্থা, অন্য ফসলের দিকে যেন মানুষ  আকৃষ্ট হয় সে ব্যবস্থাও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। 

.

এ জন্য কয়েকজনকে নিয়ে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে্য শ্রীনিকতনেও। সেখানে তাঁদের কৃষি প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন পতিসরে। এক ফসলি জমিতে অন্য ফসল চাষ করাতে জমির আইলে খেজুর গাছ, আমগাছ, পেঁপে চাষ শুরু করান তিনি। 

.

এ ছাড়াও বাস্তুভিটাতে ফলের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এসময়ে এলাকায় অপ্রচলিত ভুট্টা, আলুর চাষ শুরু করেন। 

.

প্রজাদের মহাজনদের সুদের বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে ঋণ সালিশী সংস্থা কালিগ্রাম হিতৈষীসভা গঠন করেন রবীন্দ্রনাথ

সে সময় কালিগ্রাম কাছারিবাড়ি থেকে কালিগ্রাম পরগণায় জমিদারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হত। কালিগ্রাম পরগণার আওতায় প্রায় ৬শ’ গ্রাম ছিল। 

.

এই ‘হিতৈষীসভা’ তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে কালিগ্রাম হিতৈষীসভা, ভান্ডারগ্রাম হিতৈষীসভা ও পতিসর হিতৈষীসভা। কাছারি বাড়ির আওতায় থাকা প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন গ্রাম প্রধান ও কাছারি বাড়ির একজন ও জমিদারের প্রতিনিধি একজন করে পঞ্চায়েত গঠন করা হয়েছিলো। 

.

এই পঞ্চায়েতের কাজ ছিলো গ্রামের সাধারণ মানুষদের বিরোধ মিটিয়ে দেয়া, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ করা, পাঠশালা নির্মাণ করা। ম্যালেরিয়া হওয়ায় গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলা ইত্যাদি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ, গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলতে তো টাকা লাগবে। 

.

কিন্তু সে টাকা কোথা থেকে আসবে? তখন সিদ্ধান্ত হলো রবীন্দ্রনাথ অর্ধেক টাকা দিবেন, আর বাকি অর্ধেক টাকা হিতৈষীসভা  দিবে।

.

 এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে তখন ১১ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। এরপর শুরু হয় রাস্তাঘাট নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ।

.

 ৬শ’ গ্রামের মধ্যে প্রায় ২০০ টি গ্রামে পাঠশালা নির্মাণ করে পাঠদান শুরু হয়।  এই পাঠশালার মাস্টারদের বেতন ও দিতেন রবীন্দ্রনাথ।  একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ   তিনটি মাইনর স্কুল চালু করেন। একটি পতিসরে, অপর দুটি রাতোয়াল ও ভান্ডারগ্রামে।

.

 নিজের প্রজাদের জন্যে চাষ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটানো জন্যে ১৯০৬ সালে  রবীন্দ্রনাথ নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও  শিরিষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে সন্তোষ চন্দ্র মজুমদারকে আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষির উপর পড়াশুনার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। অথচ তিনি চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য কিছু পড়াতে পারতেন! 

.

 রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সন্তোষ চন্দ্র মজুমদার যখন কৃষির উপর পড়তে আমেরিকা গেলেন তখন রবীন্দ্রনাথ তাঁদের চিঠিতে লিখেছিলেন, 

. ‘তোমরা দুর্ভিক্ষপীড়িত প্রজার অন্ন গ্রাসের অংশ নিয়ে বিদেশে কৃষি শিখতে গেছ। ফিরে এসে এই হতভাগ্যদের অন্ন গ্রাস কিছু পরিমাণেও যদি বাড়িয়ে দিতে পার তাহলে মনে সান্ত্বনা পাব। মনে রেখো, জমিদারের টাকা চাষির টাকা এবং এই চাষিরাই তোমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার নিজেরা আধপেটা খেয়ে এবং না খেয়ে বহণ করছে। এদের ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করবার দায় তোমাদের উপর রইল। নিজেদের সংসারিক উন্নতির চেয়েও এইটেই তোমাদের প্রথম কর্তব্য হবে।’

.

 ১৯০৯ সালে পড়াশোনা শেষে  দেশে ফিরে এলেন রথীন্দ্রনাথ ও সন্তোষ মজুমদার।  কলকাতায় বা পশ্চিমবঙ্গে না রেখে নিজের ছেলেকে  পতিসরে নিয়ে এলে রবীন্দ্রনাথ। তখন  রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলের লাঙ্গলে চাষ করে আধুনিক পদ্ধতি শিখিয়েছেন প্রজাদের।    আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য পতিসরে ৭টি বিদেশি কলের লাঙল এনেছিলেন  কলকাতা থেকে। সঙ্গে আনিয়ে ছিলেন বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার।

.

আধুনিক চাষাবাদ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, খামার ব্যবস্থাপনা, হস্ত ও কুটিরশিল্প, তাঁতশিল্প, রেশমশিল্পের বিকাশ ঘটানো ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য রবীন্দ্রনাথ পতিসরে যা করেছিলেন তাতে পতিসর কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় দারিদ্র শূন্য হয়ে গিয়েছিলো। 

.

পতিসরকে মডেল হিসেবে তুলে ধরে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন,  ‘তোমরা যে পার ‍এবং যেখানে পার এক-একটি গ্রামের ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ করো। শিক্ষা দাও, কৃষিশিল্প ও গ্রামের ব্যবহার‍সামগ্রী সম্বন্ধে নূতন চেষ্টা প্রবর্তিত করো।'

.

রথীন্দ্রনাথ ঠাকু্র তাঁর পিতৃ স্মৃতি গ্রন্থে বাবা রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠি তুলে এনেছিলেন।  রবীন্দ্রনাথ সেই চিঠিতে ছেলেকে লিখেছিলেন, 


'পতিসরে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অবস্থার উন্নতি দেখে মন পুলকিত হয়ে উঠলো। পতিসরের হাইস্কুলে ছাত্র আর ধরছে না। দেখলুম– নৌকার পর নৌকা নাবিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ছেলের দল স্কুলের ঘাটে। এমনকি, আট-দশ মাইল দূরের গ্রাম থেকেও ছাত্র আসছে। পড়াশুনার ব্যবস্থা প্রথম শ্রেণীর কোন ইস্কুলের চেয়ে নিকৃষ্ট নয়। পাঠশালা, মাইনর স্কুল সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। হাসপাতাল ও ডিস্পেনসারিতে কাজ ভালো চলছে। যে সব জোলা আগে এক সময় গামছা বুনতো তাঁরা এখন ধুতি, শাড়ী, বিছানার চাদর বুনতে পারছে। কুমোরদেরও কাজের উন্নতি হয়েছে। গ্রামবাসীর আর্থিক দুরবস্থা আর নেই। শুধু চাষীরা অনুযোগ জানালো তাদেরকে চাষের জন্য আরও ট্রাক্টর এনে দেওয়ার জন্য।'

.

রবীন্দ্রনাথ ১৯১১ সালের উইলে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি দান করেছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথকে। এক চিঠিতে

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে  রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,  'জমিদারি সম্পত্তির আয় নিজের ভোগে না লাগাইয়া প্রজাদের হিতার্থে যাহাতে নিযুক্ত করেন রথীকে সে সম্বন্ধে বার-বার উপদেশ দিয়াছি। তদনুসারে এইরূপ মঙ্গল অনুষ্ঠানে সে যদি তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি প্রসন্নচিত্তে উৎসর্গ করিতে পারে তবে আমার বহুকালের একান্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয়..'


.

পতিসরের জমিদারী ছেড়ে দিলেও রবীন্দ্রনাথ পতিসরকে কিংবা পরিসরের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে কখনোই ভুলতে পারেনি। 

 তাইতো  প্রজাদের প্রবল  অনুরোধে মৃত্যুর চার বছর আগে  ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই শেষবারের মতো পতিসরে এসেছিলেন কথিত নিষ্ঠুর ও বর্বর জমিদার রবীন্দ্রনাথ। 


ছবি-  সাধারণ মানুষের কথা শুনছেন জমিদার রবীন্দ্রনাথ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ- ০৯-০৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ- ০৯-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা - স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান। 


অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি - মানবাধিকার, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম শুরু। 


নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হবে না - বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 


বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে  - জানালেন অর্থ উপদেষ্টা। 


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফর শুরু - আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একাত্তরের মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান।


দেশে জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে - বললেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর - গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে সরকার।


নাইজেরিয়ায় জ্বালানিবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে বিস্ফোরণে ৪৮ জনের প্রাণহানি। 


ইউএস ওপেন-এর পুরুষ এককে শিরোপা জিতলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার।

বর্তমানে  গার্মেন্টসে চাকুরি  পাওয়া আগের মত সহজ নেই।এখানে অনেক কিছু বিবেচনা করে কোয়ালিটি নিয়োগ দিয়ে থাকে।

 বর্তমানে  গার্মেন্টসে চাকুরি  পাওয়া আগের মত সহজ নেই।এখানে অনেক কিছু বিবেচনা করে কোয়ালিটি নিয়োগ দিয়ে থাকে।

 গার্মেন্টসের_কিছু_প্রশ্ন_উত্তর_নিয়ে_আলোচনা :

প্রশ্ন-১. কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর(QI) কি? 

উত্তর : কোয়ালিটি শব্দের অর্থ গুণ বা মান এবং ইন্সপেক্টর শব্দের অর্থ পরিদর্শক অর্থাৎ কোয়ালিটি ইনস্পেক্টর(QI) অর্থ হল মান পরিদর্শক। 

প্রশ্ন-২. গার্মেন্টস (Garments) অর্থ কি ? 

উত্তর : গার্মেন্টস অর্থ হল পোশাক। 

প্রশ্ন-৩. AQL এর পূর্ণরূপ কি? 

উত্তর : AQL এর পূর্ণরূপ হল Acceptable Quality Lebel অর্থাৎ গুণগত মানের গ্রহণযোগ্য অবস্থা। 

প্রশ্ন-৪. DTM এর Full Meaning কি? 

উত্তর : DTM এর Full Meaning হল– Dying to Match অর্থাৎ রঙের সাথে মিল থাকা। 

প্রশ্ন-.৫ HPS এর Full Meaning কি?

উত্তর : High Point Shoulder. 

প্রশ্ন-৬. এসপিআই (SPI) কি?

উত্তর : এসপিআই (SPI) হল Stitch Per Inchi (এক ইঞ্চিতে কয়টি সেলাই)। 

প্রশ্ন-৭. CB এর Full Meaning কি?

উত্তর : Centre Back 

প্রশ্ন-৮. GTM(জিটিএম) এর Full Meaning কি?

উত্তর : GTM(জিটিএম) এর Full Meaning হচ্ছে Garments Total Management (গার্মেন্টস মোট ব্যবস্থাপনা)। 

প্রশ্ন-৯. LPS এর Full Meaning কি?

উত্তর : LPS এর Full Meaning হল Low Point shoulder. 

প্রশ্ন-১০. ডিফেক্ট বা অল্টার কত প্রকার?

উত্তর : ডিফেক্ট বা অল্টার তিন প্রকার। যথাঃ (১). Major Problem (২). Minor Problem (৩). Critical Problem 

প্রশ্ন-১১. ব্রকেন স্টিচ কি?

উত্তর : দুইটি বন্ধনী জোড়া দেওয়াই হচ্ছে সেলাই । আর এই সেলাই এর কোন একটি স্টিচ কেটে গেলে তাকে বলা হয় ব্রকেন স্টিচ। 

প্রশ্ন-১২. স্কিপ স্টিচ(skip stich) কি?

উত্তর : সেলাইকৃত নিচের সুতা যদি উপর এর সুতাকে না ধরতে পারে এক্ষেত্রে তাকে বলা হয় স্কিপ স্টিচ(skip stich)। 

প্রশ্ন-১৩. প্লিট কি?

উত্তর : সেলাইকৃত বস্তুতে সেলাই এর সময় কুঁচি পড়লে তাকে বলা হয় প্লিট। 

প্রশ্ন-১৪. ওপেন স্টিচ(open stich) কি?

উত্তর : সেলাই এর সময় কিছু জায়গায় সেলাই এরিয়ে গেলে বা সেলাই না হলে তাকে বলা হয় ওপেন স্টিচ(open stich)। 

প্রশ্ন-১৫. একটি ইঞ্চি টেপে কত(সেঃমিঃ) cm থাকে?

উত্তর : একটি ইঞ্চি টেপে ১৫০(সেঃমিঃ) cm থাকে। 

প্রশ্ন-১৬. একটি ইঞ্চি টেপে কত ইঞ্চি(inch) থাকে?

উত্তর : একটি ইঞ্চি টেপে 60 ইঞ্চি(inch) থাকে। 

প্রশ্ন-১৭. একটি ইঞ্চি টেপে কত ফুট(fit) থাকে?

উত্তর : একটি ইঞ্চি টেপে ৫ ফুট(fit) থাকে। 

প্রশ্ন-১৮. ১০ mm(মিঃমিঃ) সমান কত cm?

উত্তর : ১০ mm(মিঃমিঃ) সমান 1 cm. 

প্রশ্ন-১৯. এক ইঞ্চি সমান কত cm?

উত্তর : এক ইঞ্চি = ২.৫৪ cm(সেমিঃ).

প্রশ্ন--২০. ১ মিটার সমান কত cm? 

উত্তর : ১ মিটার সমান ১০০ cm. 

প্রশ্ন-২১. ১ মিটার সমান কত ইঞ্চি? 

উত্তর : ১ মিটার সমান 39.37 ইঞ্চি।

১.ডিফেক্ট কত প্রকার?

উত্তর =তিন প্রকার -মেজর. মাইনর. ক্রিটিক্যাল.

২ ফেব্রিক defect কি কি?

উত্তর.. fabric fault- knot, naps, hole, slub, color contamination/fly yarn, missing yarn, thick yarn, spot, weaving stop mark, lt/dk crease mark, shading patta, narrow goods, line mark, needle mark etc.

৩. iron defect কি ?

উত্তর =যে ডিফেক্ট আয়রন এর মাধ্যমে হয় তাকে আইরন ডিফেক্ট বলে যেমন crease mark shining mark.

৫. lay কি?

উত্তর lay হল কাপড়ের প্রতিস্থাপন/বিস্তার।একটার উপর আরেকটা কাপড় বিছানো।

৬.shade কাকে বলে?

উত্তর =একই কাপড়ের মধ্যে রংয়ের পরিবর্তন হলে তাকে shade বলে

7.cutt mark কাকে বলে?

উত্তর. cutt mark হল সেলাইয়ের আগে, সেলাইয়ের জন্য cutting থেকে যে mark দেওয়া হয় তাকে cutt mark বলে.

8.লাইনে blue ও black card বলতে কি বুঝ?

উত্তর = লাইনে blue card হল technical problem. black card হল machine problem.

9. Zipper কয়টি অংশ?

উত্তর= জিপারের পাঁচটি অংশ

১. zipper tape

2.zipper teeth

3.Runner

4.puller

5.stopper

11.নিডেল কত প্রকার ও কি কি? এবং কোন নিডেল কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর =Needle তিন প্রকার

১.sharp needle 2. Ball point needle. 3. Universal needle.

Sharp needle lock stc. ball point needle chain looper এবং universal

needle ভয় কাজে ব্যবহার করা হয়

১২. ওয়াস কত প্রকার ও কিকি?

উত্তর = Wash 5 প্রকার 1.Normal wash. 2.Enzyme wash.3.silicon wash 4.stone wash. 5.garment wash.

১৩.marker কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর= marker 4 প্রকার

১.group marker

2.solid Makkar

3.selvedge/line marker

4. way marker/all garments one way/one garments one way marker

14. Fusing কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর = ফিউজিং দুই প্রকার

১. cotton fusing 2. paper fusing

14. মেশিনে গেজ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর =সুইং অ্যালাউন্স ঠিক রাখার জন্য মেশিনে গেজ ব্যবহার করা হয়।

১৫.মোকআপ কি? কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর = mock up কাজের নমুনা এবং কাজের নমুনা বোঝার জন্য mock up ব্যবহার করা হয়।

১৬.Trim card কি? Trim card কেনো ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর: একটা গার্মেন্টসের জন্য যেসব পণ্য বা উপাদান ব্যবহার করা হয় সেসব উপাদানের approval card হল Trim card.

16. process ও part পার্থক্য কি?

উত্তর: যা সেলাই করা হয় তা হল process ও যাকে সেলাই করা হয় তা হল part.

17. 1 ইঞ্চিতে কত সেঃ মিঃ?

উত্তর 1 ইঞ্চিতে ২.৫৪ সেন্টিমিটার প্রায়

১৮.1 ইঞ্চিতে কত সুতা?

উত্তর.১ ইঞ্চিতে৮ সুতা.

১৯. measurement tape কি?

উত্তর=measurement tape হল পরিমাপ করার ফিতা।

২০. ৬০ ইঞ্চি measurement tape কি কি আছে?

উত্তর =measurement tape ১৫০০ মিলিমিটার 150 সেন্টিমিটার 60 ইঞ্চি 480 সুতা 1.66 গজ 5 ফুট।

22.Contrastকাকে বলে?

উত্তর=ফেব্রিক কালার থেকে সুতার কালার ভিন্ন হলে তাকে contrast বলে.

23. সীম অ্যালাউন্স কি?

উত্তর গার্মেন্টসের বর্ধিত অংশকে সীম অ্যালাউন্স বলে।

24.stitch কত প্রকার কি কি?

উত্তর দুই প্রকার: 1. চেইন স্টিচ 2.লক স্টিচ

25. thread কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর= thread 4 প্রকার-1.Cotton thread 2.polyester thread 3.silicon thread 4.lylon thread


গার্মেন্টসের_গুরুত্বপূর্ণ_কয়েকটি_

Full_Meaning:

SP= shoulder point

HPS=high point shoulder

DN=double needle

BND=back neck drop

FND=Front neck drop

GSM= Grams per square meter

UPC=universal product code

PPM=pre-production meeting

SPI=stitch per inch

CAD=Computer -Aided Design 

KPI= key performance indicator

SRM =Supplier Relationship Management.

QS=Quality system

SPI = stitch Per inch.

DHU=defect hundred Per inch

RN=Registration Number

RQS =Requirement for quality system

RFT= Right fist time.

QMS= Quality management system

A.Q.L=Acceptable Quality Level.

O.Q.L=Observed Quality Level.

D.H.U=Defect Per Hundred Unite.

D.T.M=Dying To Match.

S.P.I=Stitch Per Inch.

E.P.Z= Export processing zone

B.G.M.E.A=Bangladesh Garments Manufacturer & Exporter Association.

B.K.M.E.A=Bangladesh Knitwear Manufacturing & Export Association.

F.L=Front Length.

F.P.L=Front Placket Length.

C.B.L=Center Back Length.

B.W=Back Width.

S.O.P=Standard Operating Procedure.

 H.P.S=High Point Shoulder.

G.P.Q=Guideline For Production & Quality.

I.S.O=International Standardization Organization.

F.O.B=Free On Boat.

T.O.D=Time Of Delivery.

L.O.G.G=Label Of Graded Goods.

C.M=Cost Of Manufacturing.

L.C=Letter Of Credit.

L.G=Letter Of Guarantee.

C.M.T=Cutting Making & Trimming.

C.F=Center Front.

L.W=Length Width.

C.C=Carbon Copy.

S.N.T.S=Single Needle Top Stitch.

D.N.TS=Double Needle Top Stitch.

P.Q.S=Production Quality Shipment.

P.P.S=Pre Production Sample.

P.P.M=Pree Production Meeting.

B/D=Button Down.

K/C=Kent Collar.

S/S=Short Sleeve.

L/S=Long Sleeve.

K/S=Kansai Special.

O/L=Over Lock.

P/M=Plain Machine.

T/ N=Two Needle.

S.K.U=Store Keeping Unit.

D.H.C=Defect Hundred Counting.

UVM=Universal Voluem Manager.

U.P.C=Universal Product Code.

M.T.L=Mercendising Test Labratory.

F.R.I=Final Random Inspection.

Q.I.R=Quality Inspection Rating.

P.O.M=Point Of Measurement.

S.S P=Shippable Single Pack.

S.Q.C=Statisticals Quality Control.

T.Q.M=Total Quality Measurement.

 I.T.S=Intertek Testing Service.

G.S.M=Grams Per Square Metter.

G.M.S=Garments Manufacturing Service.

B.P.O=Buyer Purchas Order.

I/O=Internal Order.

P.D=Production Director.

M.D=Managing Director.

A.P.M=Assistant Production Manager.

P.M=Production Manager.

A.Q.M= Assistant Quality Manager.

Q.M= Quality Manager.

A.G.M= Assistant General Manager.

G.M=General Manager.

H.O=Head of Operation.



রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দ্যা আলকেমিস্ট বই থেকে ১০টি শিক্ষা

 দ্য আলকেমিস্ট বই থেকে ১০টি শিক্ষা


বই থেকে শেখা


বিশ্বের বেশি জনপ্রিয় বইগুলোর অন্যতম হলো ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর লেখা দ্য আলকেমিস্ট। বইটি ১৯৮৮ সালে পর্তুগিজ ভাষায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত ৮৩টির বেশি ভাষায় বইটি অনুবাদ হয়েছে। এটি একটি উপন্যাস হলেও এর মধ্যে রয়েছে জীবনদর্শন ও শিক্ষা। বইটি পড়ে শিক্ষাগুলো লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।


নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করা:


জীবনে বড় হতে হলে বড় স্বপ্ন থাকতে হয়। দ্য আলকেমিস্ট বইটিও স্বপ্নকে অনুসরণ করার কথা বলেছে। বইটির মূল চরিত্র সান্তিয়াগো নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করে চলেছে। পথে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এসেছে, কিন্তু সাহস নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে গেছে। নিজের স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বেরিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। ফলে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে সান্তিয়োগো প্রকৃতপক্ষে সুখী হয়েছে।


হৃদয়ের কথা শোনা:


বইয়ের গল্পটি আমাদের হৃদয়ের কথা শুনতে শিখিয়েছে। চলার পথে মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দেবে এবং অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সে পরামর্শ নেওয়াটা দোষের নয় কিন্তু সব সময় শুনতে হবে নিজের হৃদয়ের বা মনের কথা। কারণ, আমার হৃদয় জানে, আসলে কী চাই, যা অন্য কেউ জানে না। নিজের হৃদয়ের পথে হাঁটতে গেলে অনেক সময় সমালোচনার শিকার হতে হবে। নিজের গন্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে সেসব সমালোচনা কোনো বাধাই মনে হবে না।


আধ্যাত্মিকতা বাস্তব জীবনেরই অংশ:


বইটি আমাদের আধ্যাত্মিকতা যে বাস্তব জীবনেরই অংশ, সে বিষয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। এ জন্য সারা পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষ সৃষ্টিকর্তা ও ধর্মকে বিশ্বাস করে। পৃথিবীতে বড় বড় আবিষ্কার হতো না, যদি সবাই খুব প্র্যাকটিক্যাল চিন্তা করত বা পৃথিবীটা যেমন আছে, তেমনভাবেই মেনে নিত। অসাধারণ উদ্ভাবন ও অর্জন তখনই সম্ভব, যখন আপনি অসম্ভবকে উপেক্ষা করতে শিখবেন।


ব্যর্থতার ভয়কে জয় করা:


সান্তিয়াগোর গল্পের মাধ্যমে বোঝা যায়, ভয় হলো জীবনের লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে বড় বাধা। ব্যর্থতা এবং অজানা ভয় পেয়ে সফলতার পথে আমরা এগোতে পারি না। জীবনে সফল হতে হলে অজানা ভয়কে সবচেয়ে আগে বিদায় করতে হবে। স্বপ্ন পূরণ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ, বাধা, সমস্যা আসবেই। সেটাকে ভয় না পেয়ে সফলতার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে হবে। ব্যর্থতার ভয়কে জয় করতে হবে।


অধ্যবসায়ী হওয়া:


অধ্যবসায়ী ও ধৈর্য ধরে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেলে যে সফল হওয়া যায়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বইটি। সান্তিয়াগো অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হন, কিন্তু তার অটল অধ্যবসায় শেষ পর্যন্ত তাকে তার ধনভান্ডারে নিয়ে যায়। জীবনে চলার পথে বাধা আসবে, পড়ে যেতে হবে, কিন্তু অধ্যবসায়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই।


ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া:


সান্তিয়াগো তার যাত্রার সময় ভুল করেছে। তবে প্রতিটি ভুলকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখেছে। বইটি আমাদের ভুলগুলো থেকে শেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। স্বপ্নপূরণের পথে ভুল হওয়া মানে এটা প্রকাশ করে না যেআমি স্বপ্ন পূরণ করতে পারব না, বরং এটি একটি নতুন শিক্ষা, যা স্বপ্নপূরণের পথে বাড়তি অর্জন। বারবার ভুল করলেও ঘুরেদাঁড়াতে হবে।


সত্যকে মেনে নেওয়া:


সত্য যত খারাপ আর কঠিন হোক, তাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, যদি কোনো কিছু সত্যি হয়, তবে তা কখনোই অমলিন হবে না, হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে না। বইয়ের একটি অংশে লেখক তাই বলেছেন, ‘কেউ যদি বিশুদ্ধ পদার্থ খুঁজে পায়, তবে তা কখনোই নষ্ট হবে না। আর সবাই ফিরে আসতে পারে। আপনি যা খুঁজে পেয়েছিলেন, তা যদি কেবল একটি আলোর মুহূর্ত বা একটি নক্ষত্রের বিস্ফোরণের মতো হতো, তাহলে আপনি ফিরে এসে কিছুই খুঁজে পেতেন না।’


স্বপ্নপূরণে সহায়ক ‘ভালোবাসা’:


পৃথিবীর সব মানুষই জীবনে ভালোবাসা পেতে চায়। আর এই ভালোবাসাও জীবনে বড় লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। তা কিন্তু সান্তিয়োগো ও ফাতিমার মধ্যে ভালোবাসার প্রদর্শন দেখে বোঝা যায়। যদি সঠিক মানুষকে ভালোবাসা যায় এবং ভালোবাসার মানুষটি যদি স্বপ্নপূরণে উৎসাহ দেয়, তাহলে অনেক বড় স্বপ্নকেও স্পর্শ করা যায়।


আজকের জন্য বাঁচা:


আজকের জন্য না বেঁচে আমরা ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তায় মশগুল হয়ে যাই। জীবনে সুখী ও সফল হতে হলে দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে আজকের জন্য কাজ করতে হবে। কেননা জীবনে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। বইয়ে লেখক বলেছেন, ‘জীবন হলো জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী একটা ভ্রমণ। যেখানে প্রকৃতি বা পরিবেশ পরিবর্তন হবে, মানুষ পরিবর্তন হবে, আমাদের চাওয়া-পাওয়া পরিবর্তন হবে, কিন্তু ট্রেন চলবে। জীবন হলো একটা ট্রেন; কোনো স্টেশন নয়।’

-দৈনিক আজকের পত্রিকা 

©এম এম মুজাহিদ উদ্দীন 

লেখক: ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি, 

মুজাহিদ'স ভাইভা সাজেশন, 

ব্যাংকার'স ভাইভা বোর্ড।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০৭-০৯-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৭-০৯-২০২৪ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:…


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে ও তাদের খোঁজ-খবর নিতে প্রধান উপদেষ্টার রাজধানীর নিউরোসায়েন্সস হাসপাতাল পরিদর্শন।   


 জনগণের বিজয়কে ধারণ করার উদ্দেশ্যে গণভবনকে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তর করা হবে --- জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা   --- শিগগিরই স্থপতি ও জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন।

  


 আর্থিক খাতের রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নেই --- বললেন অর্থ উপদেষ্টা ।  

 


 হজযাত্রীদের হজ প্যাকেজসহ অন্যান্য খরচ কমাতে কাজ করছে সরকার ---- জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা।  

   

 পশ্চিম তীরে বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী নিহতের ঘটনায় পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের।   


 এবং আগামীকাল থিম্পুতে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবলের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...