এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

তারাবীর নামাজ পড়ার নিয়ম,,,,,

 🔲 তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। রাসূল সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করেছেন। সুতরাং বিনা কারনে ইচ্ছাকৃতভাবে অলসতার ধরুন তারাবীর নামাজ ত্যাগ করা জায়েজ নেই, এতে সুন্নত তরক করার কারনে গুনাহ হবে। [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাঈবা- ৭৭৭৪]


🔸 হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে, রাসূল সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদানের ভিতরে এবং বাহিরে (রাত্রিবেলায়) সর্বমোট ১১ রাকাত নামাজ আদায় করতেন। আর সেটি হচ্ছে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ এবং ৩ রাকাত বেতের। [সহীহ বুখারী- ৩৫৬৯]


⭕ উপরোক্ত হাদীসে রমাদানের “ভিতরে এবং বাহিরে” শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। তাহলে রমাদানের বাহিরে যেটা তাহাজ্জুদ, সেটা রমাদানের ভিতরে তারাবী হয় কিভাবে..?? আমাদের দেশের আহলে হাদীস ভাইয়েরা এখানে এসে হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা করে থাকেন, আর তাহাজ্জুদের হাদীসকে তারাবীর হাদীস বলে প্রচার করে দেন.!!


🔹 এতে মানুষ ভুল জেনে কম আমল করে আর বেশি সওয়াব অর্জন করার ফজিলত থেকে বঞ্চিত হয়.!! তাই এই ব্যাপারে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা চাই। তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা যেটা কিনা ১০০ এরও অধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত.!


🔲 আর রমাদান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০-৭০০ গুনের চেয়েও বেশি পরিমান বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই রমাদান মাসে আমলের ব্যাপারে কোনো প্রকার অলসতা, অবহেলা কিংবা গাফলতি করা যাবে না।


🔸 সুতরাং তারাবীর নামাজ ২ রাকাত করে সর্বমোট ২০ রাকাত আদায় করতে হবে। তবে অসুস্থতার ধরুন কারো পক্ষে যদি ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে সাধ্য মোতাবেক ৪/৮/১০/১২...২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবে।


 ⭕ মৌখিকভাবে আরবীতে কোনো প্রকার নিয়ত করার কথা কুরআন হাদীসে বর্ণিত নেই। কারন নিয়ত অন্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট, মুখের সাথে নয়। তাই নিয়ত করার ক্ষেত্রে মনে মনে স্মরণ করতে হবে, আমি ২ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম, আল্ল-হু আকবার..।


🔹 তারাবীর নামাজের ২ অথবা ৪ রাকাত পর পর কিংবা একেবারে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা শেষে দোয়া করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই, নিজের মতো করে যে কোনো প্রকার দোয়া করা যাবে ইন শা আল্লাহ ✅


🔲 এশার ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করে সর্বশেষ ৩ রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হবে। তবে নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়ের অভ্যাস থেকে থাকলে শেষ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ আদায় করে এরপরে বেতের নামাজ আদায় করতে হবে।

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

কিংবদন্তি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী-কে অবিরাম শ্রদ্ধা | ভালো থাকবেন পরপারে💕

 পিএইচডি করতে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন জার্মানি | যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতেন সেই সময়ে আইনস্টাইন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একবার সেই শহরে এক কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হল | স্থানীয় জার্মান ভাষায় | আর সেই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেলেন এক বাঙালি | ভাবা যায় !


একবার এক রাষ্ট্রদূত তাঁর সাথে সাক্ষাত করে আলাপ করলেন। পরে সেই রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, “আমি জীবনে এত অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এত বিষয়ে আলাপ শুনি নাই, যেটা উনি আমাকে শুনিয়েছিলেন অল্প কয়েক ঘন্টার মধ্যে।"


১৭ টি ভাষা ছিল তাঁর দখলে | ১৭ টি ভাষাতেই তিনি কথা থেকে শুরু করে লিখতে পর্যন্ত পারতেন | "গীতা" সম্পূর্ণ মুখস্থ | কবিগুরুর "গীতবিতান" শেষ থেকে শুরু সম্পূর্ণ মুখস্থ | একবার এক অনুষ্ঠানে এক পুরোহিত সংস্কৃত ভাষায় গীতা সম্বন্ধে বক্তব্য রাখছিলেন | উনি ধরে ফেললেন কিছু জায়গায় ভুল বলেছেন ওই পুরোহিত | দাঁড়িয়ে সমস্ত বক্তব্য মূল সংস্কৃত ভাষায় কী হবে তা মুখস্থ বলে গেলেন | উপস্থিত দর্শকেরা হতবাক |


তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী | হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় "বঙ্গীয় শব্দকোষ” রচনা করেছিলেন | সেই হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যাবার পূর্বে বলেছিল, “আমার অভিধান যদি কোনো সময় সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে যেন সৈয়দ মুজতবা আলী সেটা করে।” এর মাধ্যমেই বোঝা যায় সৈয়দ মুজতবা আলী-র বাংলা ভাষায় কত গভীর দখল ছিল |


রসবোধ ছিল খুব বেশি | মৃত্যুর আগে অবধিও তা বজায় ছিল | বলেছিলেন,"আমার মৃত্যুর পর সবাইকে বলবে আলী সাহেব তার বেস্ট বইটা লেখার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু কী করবেন, উনার তো প্যারালাইসিস হয়ে ডান হাতটা অবশ হয়ে গেল। হাতটা ভালো থাকলে তিনি দেখিয়ে দিতেন সৈয়দ মুজতবা আলীর বেস্ট বই কাকে বলে।"

তাঁর লেখা পড়লে অনুধাবন করা যায় তাঁর লেখনীর গভীরতা, তাঁর জীবনতৃষ্ণার প্রতি ভালবাসা। সৈয়দ মুজতবা আলী-র মত সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে বিরল | 

 কিংবদন্তি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী-কে অবিরাম শ্রদ্ধা | ভালো থাকবেন পরপারে💕

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০১-০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০১-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে --- আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস --- দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা।


 রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে সরকার – জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব --- রমজানকে ঘিরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অলআউট অ্যাকশন শুরু।


 দলীয় পরিচয় নয় বরং অপরাধ বিবেচনায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ --- বিজিবির নবগঠিত উখিয়া ব্যাটেলিয়ানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।


  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে জাতীয় ভোটার দিবস।


 বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’কে বিএনপি’র অভিনন্দন।


 যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত ইউক্রেন, তবে এর জন্য প্রয়োজন ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা – বললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 


 এবং করাচিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে  ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

জায়ফল এবং জয়িত্রী একই ফলের দুটি ভিন্ন মশলা উপাদান। 

 জায়ফল এবং জয়িত্রী একই ফলের দুটি ভিন্ন মশলা উপাদান। এই দুটি মশলাই তাদের সুগন্ধ, স্বাদ এবং ঔষধি গুণের জন্য দীর্ঘকাল ধরে মূল্যবান। ভারত হচ্ছে জায়ফলের প্রধান ভোক্তা এবং বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম। জায়ফল এবং জয়িত্রী উভয়ই মিরিস্টিকা ফ্র্যাগ্রান্স (Myristica fragrans) গাছের ফল থেকে পাওয়া যায়। জায়ফল হল বীজের শুকনো শাঁস, আর জয়িত্রী হল শুকনো জালির মতো আবরণ (অ্যারিল) যা শুকনো শাঁসকে ঘিরে থাকে।


এর ইতিহাস বেশ আকর্ষণীয় এবং প্রাচীন। জায়ফল জয়িত্রীর আদি উৎস হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার মালাক্কা এবং বান্দা দ্বীপপুঞ্জে। এই মশলা বহু শতাব্দী ধরে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীনকাল থেকেই এই মশলাগুলোর ঔষধি গুণ এবং সুগন্ধের জন্য মূল্যবান ছিল। মধ্যযুগে, জায়ফল এবং জয়িত্রী ইউরোপে অত্যন্ত মূল্যবান মশলা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। যা মূলত আরব বণিকদের মাধ্যমে ইউরোপে আমদানি করা হতো। সেখানে এই মশলাগুলোর উচ্চ মূল্যের কারণে, ধনী এবং অভিজাত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যবহার মূলত সীমাবদ্ধ ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে, ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক যাযাবর ব্যবসায়ী জায়ফল জয়িত্রীর বাণিজ্য করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে। সেই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই মশলাগুলোর উৎপাদন এবং বাণিজ্যের উপর একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। 


জায়ফল এমন একটি মশলা যা গরম, আর্দ্র জলবায়ুতে এবং সুনিষ্কাশিত মাটি প্রয়োজন হয়। এটি বীজ রোপণ প্রক্রিয়া বা কলম দ্বারা বংশবিস্তার হয়ে থাকে। জায়ফল গাছের জন্য বার্ষিক কমপক্ষে ১৫০ সেমি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন হয়। এই গাছ আংশিক ছায়া এবং  উচ্ছস্থলযুক্ত উপত্যকা উপযুক্ত, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত হতে পারে। শুষ্ক আবহাওয়া এবং জলাবদ্ধতা এই গাছের উপযুক্ত নয়। বর্ষার শুরুতে জায়ফল গাছ রোপণ হয়।  এঁটেল দোআঁশ, বেলে দোআঁশ এবং লাল ল্যাটেরাইট মাটিতে ভালো জন্মে। বীজ বপনের ৪০ দিন পর অঙ্কুরোদগম শুরু হয় এবং ৯০ দিন পর্যন্ত তা স্থায়ী হয়।  


জায়ফল সাধারণত আকার এবং মানের উপর ভিত্তি করে গ্রেড করা হয়। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ফল গাছে পাকলে ফলের মাঝ বরাবর ফেটে যায় এবং তা সেদিনই গাছ থেকে  পেড়ে নিতে হয়। ফল পাড়ার মরসুম হলে যার দরুন প্রতিনিয়ত চাষিদের খেয়াল রাখতে হয়। ফল সংগ্রহ হলে সেদিনই তা ভালো করে ধুয়ে উপরে মাংসল অংশ জায়ফল থেকে আলাদা করে নিতে হয় না হলে জায়ফল জয়িত্রীর গুণগত মান এবং দাম দুটোই নিম্ন মানের হয়ে যাবে। এর মূল কারণ হচ্ছে ফলে দ্রুত ফাঙ্গাস আক্রম হয়ে থাকে, যার কারণে ফল থেকে দ্রুত ভেতরের দানা কে আলাদা করে নিতে হয়। 


ইন্দোনেশিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত জায়ফলের প্রধান ভোক্তা এবং এই মশলার উল্লেখযোগ্য উৎপাদকও। ভারতের প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে কেরালা, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক। ভারতে জায়ফলের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এবং জয়িত্রীর প্রতি কেজির দাম প্রায় ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে, এই দামগুলি পরিবর্তনশীল এবং বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যাদের বাগান আছে তাদের বাৎসরিক ট্রানওভার ২ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রান্তিক শ্রমিকের বেতন বা মজুরি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বেশি নয়। 


যাই হোক এই উভয় মশলাই আমাদের রন্ধনশৈলীতে ব্যবহৃত হয়, জয়িত্রী তীব্র স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে আর জায়ফল সামান্য তেঁতো-মিষ্ঠ ভাব থাকে। এগুলি ঐতিহ্যবাহী ওষুধে এবং প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয়। জায়ফল অনেক মিষ্টি এবং নোনতা খাবারে ব্যবহৃত হয়। জয়িত্রী সাধারণত নোনতা খাবারে বেশি ব্যবহৃত হয়। আবার আমাদের বাঙালি খাবারের বিরিয়ানি, মটন, চিকেনের মতো রান্নার উপাদানে এর ব্যাপক ব্যবহার চোখে পরে। 

👇

By Chef Moonu 

👇

#chefmoonuskitchen #chefmoonu #moonuandco #travellermoonu #thefoodietraveller #chefjobs #chef #kolkata #dhakacity #cocktails #kolkatafood #kolkatablogger #foodlovers #foodblogger @top fans

গাছের গোড়ায়, টবে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষার কার্যকরী পদ্ধতি কি? ছবি সহ বিস্তারিত আলোচনা:

 

গাছের গোড়ায়, টবে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষার কার্যকরী পদ্ধতি কি? ছবি সহ বিস্তারিত আলোচনা:

গাছের গোড়ায় বা টবে পিঁপড়ের উপদ্রব হলে তা গাছের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে যদি পিঁপড়ারা আফিড বা মিলিবাগের মতো কীটপতঙ্গ নিয়ে আসে। নিচে কিছু কার্যকরী ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি দেওয়া হলো, যেগুলো দিয়ে পিঁপড়ের সমস্যা সমাধান করা যায়।

পিঁপড়ের উপদ্রব দূর করার কার্যকরী পদ্ধতি:

১. পাথর চুন বা ছাই ব্যবহার করুন:

গাছের গোড়ায় অথবা টবের চারপাশে সামান্য পরিমাণে চুন বা কাঠের ছাই ছড়িয়ে দিন। এটি পিঁপড়ের চলাচল বাধাগ্রস্ত করবে।

২. লবণ পানি স্প্রে করুন:

১ লিটার পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে স্প্রে করুন। এটি পিঁপড়াদের গাছের গোড়া থেকে দূরে রাখবে।

৩. ভিনেগার ও পানি মিশ্রণ:

সমপরিমাণ ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে টবের চারপাশে স্প্রে করুন।
এটি পিঁপড়াদের পথ বাধাগ্রস্ত করবে এবং গন্ধের কারণে তারা ফিরে আসবে না।

৪. দারুচিনি গুঁড়া বা লবঙ্গ ছড়িয়ে দিন:

টবের মাটিতে দারুচিনি গুঁড়া অথবা লবঙ্গ ছড়িয়ে দিলে পিঁপড়ে দূরে থাকবে। কারণ এগুলোর তীব্র গন্ধ পিঁপড়ারা সহ্য করতে পারে না। যদিও এটা কিছুটা ব্যয়বহুল।

৫. ঝালযুক্ত দ্রব্য ব্যবহার করুন (লাল মরিচ গুঁড়া বা হলুদ):

সামান্য পরিমাণ শুকনো লাল মরিচের গুঁড়া বা হলুদ ছিটিয়ে দিন।
এটি পিঁপড়ার চলাচল বন্ধ করবে।

৬. সাবান পানি স্প্রে করুন:

১ লিটার পানিতে ১ চা-চামচ লিকুইড সাবান মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করুন। এটি পিঁপড়াদের জন্য ক্ষতিকর এবং দ্রুত দূর করবে।

৭. টবের নিচে পানির বেড়াজাল তৈরি করুন:

যদি সম্ভব হয়, টবের নিচে অল্প পানি দিয়ে একটি পাত্র রাখুন। পিঁপড়ে গাছে উঠতে পারবে না।

৮. বোরিক অ্যাসিড ও চিনি ব্যবহার করুন

সমপরিমাণ বোরিক অ্যাসিড ও চিনি মিশিয়ে গাছের চারপাশে রাখলে পিঁপড়া আকৃষ্ট হয়ে খেয়ে ফেলবে এবং তাদের কলোনি নষ্ট হবে।

তবে এটি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যদি বাড়িতে শিশু বা পোষা প্রাণী থাকে।

৯. নিম তেল স্প্রে করুন :

নিমের পাতা বা ফল দিয়ে প্রস্তুত তেল গাছে স্প্রে করুন। এগুলো তেতো স্বাদের হওয়ায় পিঁপড়ে দূরে থাকবে।
#garden #trees #everyone #highlights #rooftop #agriculture

রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে একটি অসাধারণ লেখা। susmita babarjee ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে

একটি অসাধারণ লেখা।


রবি ঠাকুর

--সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু


রবি ঠাকুর না জন্মালে আমাদের ছোটবেলায় সাধারণ মুসলিম ফ্যামিলিগুলোতে কিচ্ছু যায় আসত না। কারণ তখন কাজী নজরুল ইসলাম মুসলিম পরিবারগুলোতে ‘রাজ’ করতেন। ভদ্র ভাষায় বলা যায় বিরাজ করতেন। রেডিওতে ‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে’ বাজলে নব ঘুরিয়ে আওয়াজটা জোরে দেওয়া হত। রবীন্দ্রনাথের ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার কোনও ভাবে বাড়িতে এসে পড়লে খুব মুশকিল হত। দেওয়ালে ‘ঠাকুর’ এর ছবি টাঙালে গুনাহ হবে....এই সলিড ধর্মীয় কারণে রবি ঠাকুর ঢুকে যেতেন কাঠের আলমারিতে। মুসলিম পরিবারে শুধু ঠাকুর নন, যে কোনও মানব মহামানবের ছবি টাঙানোতেও ভয়ংকর নিষেধাজ্ঞা ছিল।


তখন সেই মুসলিম পরিবারটির কাছে রবি ঠাকুর মানে একজন মানুষ। অতিমানব নন। গান লেখেন। কবিতা লেখেন। গল্প উপন্যাস লেখেন। নোবেলও পেয়েছেন। তাতে কী! রেডিওতে তাঁর গান বাজলে ঘুম লাগে।


ক্যালেন্ডারে রবি ঠাকুরের ছবি দেখে আমার দাদির সে কী আক্ষেপ! ‘কী সোন্দর দাড়ি! ঠিক য্যান পীর পয়গম্বর! গায়ে মোলবি সায়েবের মতুন ঢুলা জামা। সব ঠিক আছিল। কিন্তু মোচখানের জন্য মোসলমান হতে পারল না মানুষটা!’ দাদি মাঝেমাঝে ক্যালেন্ডারটা বের করে রবি ঠাকুরকে দেখতেন আর বলতেন লোকটার মুখে কী য্যান একটা আছে! শান্তি লাগে। ক্যানে যে মোচটা থুতে গেল! ঝুলা মোচখান না থাইকলে এ লোক একেবারে খাঁটি মোসলমান। আমাগো ঘরের লোক।


ইতিমধ্যে বড় ওয়ানে উঠলাম। সহজ পাঠ হাতে এল। এত সহজ ভাবে জীবনের রস গ্রহণ করতে করতে বানান এবং বাক্যগঠনও শেখা যায়! কবিতা নয়, যেন ছবি!

— ‘পথের ধারেতে একখানে

হরি মুদি বসেছে দোকানে

-- বিধু গয়লানী মায়ে পোয় সকালবেলায় গোরু দোয়।

আঙিনায় কানাই বলাই

রাশি করে সরিষা কলাই।’


পাশে বসে বুড়ি দাদি ফুটুস করে ফুট কাটেন, ‘এ তো পুরাই হিঁদু পাড়ার বন্ননা! ও ময়না, মোসলমানদের নিয়া কিছু ল্যাখা পেলে শুনাবা।’


আমি পড়ি, ‘বামি ঐ ঘটি নিয়ে যায়। সে মাটি দিয়ে নিজে ঘটি মাজে।’ দাদি বলেন, ‘রোবিন্দনাত পীর মানুষ তো! ঠাকুর। সারাজীবন আল্লার কথা ভেবিছে। তাই ঘর সনসারের কথা ভুলভাল লিখেছে। মাটির সাথে এট্টু ছাই মিশায়ে না মাইজলে ঘটি সুনার মতুন ঝকমকা হওয়া মুশকিল।’ এ সব কথা শুনে আমি বিরক্ত হতাম। মা মুখ টিপে হাসত।


এরপর সংসারে যা হয় ... ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা, হাতাহাতি, দায়িত্ব এড়ানোর প্রচেষ্টা... এ সব অশান্তির মাঝখানে বাবা ‘ভেন্ন’ হলো এবং একটা ভাড়া বাড়িতে আমরা উঠে এলাম। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের নিজের বাড়ি হল। বাগানওয়ালা বাড়ি। আমার মায়ের জীবনে খুশি নেমে এল। রেডিওতে জোরে জোরে ‘প্রাত্যহিকী’ শোনা হত রোজ। প্রাত্যহিকীর পর ১৫ মিনিটের জন্য রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রোগ্রাম হত। বাংলাদেশের শিল্পীদের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতও বাজত সেই অল্পক্ষণের অনুষ্ঠানে। আমার পড়া মুখস্থর সঙ্গে জোরে বাজানো রবীন্দ্রসঙ্গীতের কোনও বিরোধ ঘটত না। মা-ও গলা মেলাত। মা গান না শিখলেও সুর জ্ঞান ভালোই ছিল।

নতুন বাড়িতে ছোট্ট মতো লাইব্রেরি তৈরি হল।


রবীন্দ্রনাথ সাড়ম্বরে এলেন। অনেক লেখকের বইয়ের সঙ্গে সঞ্চয়িতা, গীতবিতান, উপন্যাস সমগ্র, ছোটগল্প এল। আরও এল রেকর্ড প্লেয়ার। চারকোনা বক্স। তার উপর গোল রেকর্ড। কালো রঙের। পিন চাপিয়ে গান শুনতে হয়। সারাদিনে রবীন্দ্রসঙ্গীত দু’তিনবার তো বাজতই! হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সাগর সেন, অর্ঘ্য সেন, সুচিত্রা মিত্র, দেবব্রত বিশ্বাস, সুমিত্রা সেন আমাদের মন ভালো রাখতেন। আরও ছিল সিনেমার গানের রেকর্ড। মণিহার, লালকুঠি সিনেমার গান। সন্ধ্যা মুখার্জির গান। ছিল সিরাজদ্দৌলা নাটক। আমার দাদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন না। মাঝে মাঝে এসে এক দু’মাস করে থাকতেন। কাপড় চোপড়ের সঙ্গে জায়নামাজ, তসবিহ...সব আনতেন। আর আনতেন দাড়িওয়ালা ফেরেস্তার ছবিখানা। কেউ জানত না। আমি আর মা-ই শুধু জানতাম। পরে অবশ্য সবাই জেনেছিল।


হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় ‘রোদনভরা এ বসন্ত’ শুনে দাদির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ত। রেকর্ডের উল্টো পিঠে ছিল ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’... সেটা শুনেও কাঁদতেন। ‘মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো’র দুর্দান্ত মিউজিকে আমি যখন মাথায় গামছা বেঁধে নকল খোঁপা বানিয়ে ধিতিং ধিতিং করে নাচতাম, দাদি দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে উদাস ভাবে অন্যদিকের দেওয়ালটার দিকে তাকিয়ে থাকত।


চোখ দিয়ে অবিশ্রান্ত অশ্রু ঝরত। গানের সব কথার মানে যে ঠিকমতো বুঝতেন না, সেটা আমার মতো বাচ্চা মেয়েও বুঝতে পারত। এক দাড়িওয়ালা পীর টাইপের মানুষের সঙ্গে এই গানগুলো জুড়ে দিয়ে আমার নিরক্ষর দাদি কখন যেন তাঁকে নিভৃত প্রাণের দেবতা বানিয়ে ফেলেছিলেন নিজের অজান্তেই। নইলে যে বার বাবার ভয়ঙ্কর টাইফয়েড হল, তখন দাদি কেন নামাজ শেষ করে বাবার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়ে গায়ে মাথায় ফুঁ দিতেন আর গোল করে পাকানো রবি ঠাকুরের ছবিওয়ালা ক্যালেন্ডারটি বাবার মাথায় স্পর্শ করাতেন?


দাদির মৃত্যুর সময় ছেলের বউরা চামচে করে বেদানার রস আর জমজমের পানি খাওয়াচ্ছিল। অশীতিপর বৃদ্ধার মুখ থেকে বাইরের দিকে গড়িয়ে পড়ে গিয়েছিল সব তরল। গেলবার শক্তিটুকুও ছিল না। অথচ হাতের মুঠোয় মুড়িয়ে রাখা রবি ঠাকুরের ছবি ছাপা সেই ক্যালেন্ডারটি শক্ত করে ধরে রেখে ছিলেন। ঘরে উপস্থিত সবাই ক্ষীণস্বরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বিড় বিড় করছিল। দাদি আমার মায়ের দিকে ঘোলাটে চোখে তাকানোর চেষ্টা করে কী যেন বলার চেষ্টা করছিলেন। একবার নয়। বার বার। ঘরে উপস্থিত থাকা মানুষগুলো দোয়া পড়ার আওয়াজ বাড়িয়ে দিয়েও বুড়িকে শান্ত করতে পারছিল না। দাদি একভাবে মায়ের দিকে তাকিয়ে ডান হাতের কাঠির মত তর্জনিটা নাড়িয়ে কাঁপিয়ে চলেছিলেন। মা কি বুঝল জানি না। বাবাকে একদিকে ডেকে কিছু একটা বলতেই বাবা সবাইকে বুঝিয়ে বাইরে নিয়ে গেল। ব্যাপারটা সহজ ছিল না। গ্রামেগঞ্জে মৃত্যু চাক্ষুষ করা একটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। ক্লাইম্যাক্স মুহূর্তে আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা ভীষণ বিরক্ত হয়ে বাইরে উঠোনে গিয়ে দাঁড়াল। তখন ঘরে মা, আমি আর আমার দাদি। দরজা বন্ধ করে মা দাদির খুব কাছে গিয়ে কানের কাছে মুখ লাগিয়ে গাইতে শুরু করলো....রোদন ভরা এ বসন্ত, সখী কখনো আসেনি বুঝি আগে....

মায়েরও চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। মা-কে কাঁদতে দেখে আমিও কাঁদছি। সে এক মুহূর্ত বটে!

দক্ষিণসমীরে দূর গগনে...মা থেমে গেল। দাদির চোখের জল আঁচলের খুঁট দিয়ে মুছিয়ে দিয়ে চোখের পাতা দুটো বুজিয়ে দিল। হাতের মুঠো থেকে গোল করে জড়ানো ক্যালেন্ডারখানা ছাড়িয়ে নিয়ে পুরোনো আলমারির ভিতরে তুলে রেখে দরজা খুলে দিল।

রবি ঠাকুর না জন্মালে এই দুষ্প্রাপ্য দৃশ্য কী ভাবে রচিত হত?


রবি ঠাকুরের কাছে পৌঁছতে গেলে কত পড়াশোনা লাগে! সাধনা লাগে। আলাদা করে মনটাকে তৈরি করতে হয়। কিন্তু যার কাছে রবীন্দ্রনাথ নিজে পৌঁছে যান, তার কেবল ভালোবাসা দিতে লাগে।


-----------------------

ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং follow করে পাশে থাকবেন 🧡 আপনাদের সুস্মিতা।

ভাসানী যখন ইউরোপে খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস ভাসাভাসানী ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 লাগেজ বলতে মওলানা ভাসানীর আজীবনের সাথী একটি মাত্র স্যুটকেস। দৈর্ঘ্য ষোল ইঞ্চি। সম্পদ বলতে তার মধ্যে থাকে একটি গামছা, একটি লুঙ্গি, একটি খদ্দরের পাঞ্জাবি, মাথার একটা টুপি, কিছু তামাক পাতা ও চুনের একটি ডিব্বা। এসব নিয়েই পূর্ব বাংলার শহরে-গ্রামে সফর করেন এবং এসব নিয়েই তিনি গেছেন ইউরোপ সফরে।


চিরসাথী স্যুটকেসটিতে তার তালা নেই। সে বস্তু বিদায় নিয়েছে বহুদিন আগেই। ফলে চির উন্মুক্ত স্যুটকেসটি দড়ি বা শাড়ির পাড় দিয়ে বেঁধে নিয়ে এখানে সেখানে যেতে হয়। 


ঢাকা থেকে যে দড়ি দিয়ে তার একমাত্র লাগেজ বেঁধে আনা হয়েছিলো লন্ডনে, একদিন সেটা হারিয়ে গেলো। অনেক খোঁজাখুজির পর দেখা গেলো সেটা ডাস্টবিনে শোভা পাচ্ছে। বাসার ঝাডুদার রাবিশ মনে করে সেটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলো।


একদিন তার ইউরোপ সফর সঙ্গিরা বললো, 'হুজুর, এটা ফেলে দিয়ে একটা নতুন স্যুটকেস  কিনে নেন না কেনো?

উত্তরে তিনি বললেন, 'জীবনের বহুদিনের সঙ্গী  আমার এই স্যুটকেসটি। বিদেশবিভুঁইয়ে ওকে না ফেলে দিয়ে দেশে গিয়েই না হয় বদলানো যাবে।'


লন্ডন থেকে স্টকহোমে যাওয়ার পথেও ছেঁড়া লুঙ্গির একাংশ দিয়ে বেঁধে স্যুটকেসটি নিয়ে  যাওয়া হলো। স্টকহোম থেকে পুনরায় লন্ডনে  ফিরার পথেও সেই ছেড়া লুঙ্গির বাঁধন। কিন্তু  লন্ডন এয়ারপোর্টে এসে রহস্যজনক ভাবে  স্যুটকেসটি হারিয়ে যায়।


স্যুটকেসটি হারানোর ফলে সফর সঙ্গিরা খুব খুশি হয়। সিদ্ধান্ত হলো একটা নতুন ক্রয় করা হবে।


যেদিন স্যুটকেস কেনার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন ঠিক তখনি মওলানার সাথে কয়েকবার জেলখাটা সেই স্যুটকেসটি নিয়ে হাজির বৃটিশ এয়ারওয়েজ এর লোক। 


বললো, 'মনে কিছু করবেন না স্যার, স্যুটকেসটি  ভুলক্রমে ব্রাসেলসে চলে গিয়েছিলো। আমরা দুঃখিত।'


মওলানার তখনও বেলজিয়াম দেখার সুযোগ হয়নি অথচ তার জেলখাটা স্যুটকেসটি সে দেশটা এক চক্কর ঘুরে এসেছে।


পুরোনো সাথী পেয়ে হুজুরের আনন্দ আর ধরে না। তিনি আরো খুশি হলেন দেখে যে, বিমান কোম্পানী  তার ভাঙা স্যুটকেসটি মেরামত করে তাতে একটা তালা লাগিয়ে একজোড়া ঝুলিয়ে দিয়েছে।

 

ভাসানী যখন ইউরোপে

খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ০১-০৩-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ০১-০৩-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’-এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ - মোহাম্মদ নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক করে একশো ৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা।


রাজনীতিতে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না - আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন এনসিপি’র আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম।


জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আহত এক হাজার চারশ এক জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।


রমজান মাসকে সামনে রেখে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু।


অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে পলাতক ফ্যাসিস্ট এবং তার দোসররা - বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেইন বৈঠক পণ্ড - জেলেনস্কির বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের।


লাহোরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার পয়েন্ট নিয়ে সেমি- ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া - করাচিতে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৮-০২-২০২৫ খ্রি:।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৮-০২-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ --- মোহাম্মদ নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক করে একশো ৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা।


জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আহত এক হাজার চারশ এক জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।


রমজান মাসকে সামনে রেখে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হলো আজ।


আজ শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ।


ভারতের উত্তরাখন্ডে তুষারধসে অন্তত ৪১ জন সড়ক শ্রমিক নিখোঁজ। 


এবং লাহোরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া ।

পুইশাক_কিভাবে_আবাদ_করবেন বেকার সমস্যার সহজ সমাধান ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া

 #পুইশাক_কিভাবে_আবাদ_করবেন


#জলবায়ুঃ

গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পুঁইশাক জন্মে। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং রোদ পুঁইশাক গাছের পছন্দ । কম তাপমাত্রায় গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়। 


#মাটিঃ

সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ মাটিতে পুঁইশাক ভালো হয়।


#জাত_পরিচিতিঃ

চিত্রা/বারি পুঁইশাক-২/মাধুরী/মনীষা/রুপশা গ্রীণ/কিয়ারা/সামার ওয়াল্ডার


#আবাদ_উপযোগী_এলাকাঃ

সারা দেশে আবাদ করা যায় পুইশাক।


#জমি_তৈরিঃ

আগাছা পরিষ্কারের পর ৫ থেকে ৬টি চাষ ও মই দিয়ে উত্তমরূপে জমি তৈরি করতে হয়।


#বীজ_বপনের_সময়ঃ

ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ (ফেব্রুয়ারি থেকে মে) পর্যন্ত বীজ বোনা যায়। সাধারণত গ্রীষ্মকালে বর্ষায় এর চাষ ভালো হয়। 


#বীজ_ভিজানোঃ

বীজ ১২-১৫ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জমিতে বুনতে হয়। 


#বীজহারঃ

প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম বীজ দরকার। 


#বীজবপন_চারা_তৈরিঃ

কখনো কখনো বেডে চারা তৈরি করা হয়। বেডে সারি করে ১০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে বীজ পুঁতে বা ছিটিয়ে বীজ বুনে চারা তৈরি করা যায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চে চারা তৈরির জন্য বেডে বা পলিব্যাগে বীজ বোনা হয়। বীজ গজানোর জন্য ১৮ থেকে ২১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার দরকার হয়। সেজন্য শীত শেষে যখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে তখন বীজ বোনা ভালো। বীজ গজাতে তাপমাত্রা ও মাটির আর্দ্রতার ওপর ভিত্তি করে ১০ থেকে ২১ দিন সময় লাগে। এর কম সময়েও গজাতে পারে যদি বীজ এক রাত পানিতে ভিজিয়ে বোনা হয়। চারা দু সপ্তাহের হলে সেগুলো তুলে মূল জমিতে লাগানো যায় বা ফাঁকা জায়গা পূরণ করা যায়।


#রোপণ_দূরত্বঃ 

পুঁইশাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারি ৮০-১০০ সে:মি: এবং চারা বা বীজ ৪০-৫০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হয়।


#সারের_পরিমানঃ (শতকপ্রতি)

গোবর ৬০ কেজি

সরিষার খৈল ৫০০ গ্রাম

ইউরিয়া ৮০০ গ্রাম

টিএসপি ৫০০ গ্রাম

এমওপি ৫০০ গ্রাম


#সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

জমি তৈরির সময় সম্পুর্ণ টিএসপি বা ডিএপি, অর্ধেক পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। 

প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সার চারার বয়স ১৫-২০ হলে 

দ্বিতীয় কিস্তি ৩৫-৪০ দিন পর এবং প্রথমবার ফলন তোলার পর বাকি দুই কিস্তি এই মোট তিন কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।


#সেচ

বর্ষায় সাধারণত সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মাটিতে রস না থাকলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। প্রায়ই মাটি আলগা করে দিতে হবে।


#আগাছা_পরিষ্কার_ছাঁটাইঃ

নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। 


#মাচা_বা_বাউনিঃ

ফলন বেশি পেতে হলে বাউনি বা মাচা দিতে হবে। 


#আগা_কর্তনঃ

চারা ২৫-৩০ সেন্টিমিটার উঁচু হলে আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ ঝোপালো হয়।


#রোগবালাইঃ

পাতায় দাগ রোগ (বীজ বাহিত) ও কান্ডের গোড়া পচা রোগ

দমন ব্যবস্থা:

কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক ব্যাভিষ্টিন বা নোইন ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হয়।


#ফসল_তোলাঃ

বীজ বা চারা রোপনের ৪৫-৫০ দিন বয়সে পুঁই শাক সংগ্রহ করা যায়। একবার চারা লাগিয়ে এক মৌসুমে ৮ থেকে ১০ বার পুঁইশাক সংগ্রহ করা যায়।


#ফলনঃ

ফলন প্রতি হেক্টরে ৬০-৭৫ টন।

শতকে ২০০-৩০০ কেজি


মোঃ ফরিদুল ইসলাম

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা 

ব্লকঃ ভোটমারী, কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...